সাতক্ষীরায় বিকাশের ২৬ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের মূল হোতা (মাস্টারমাইন্ড) জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আলাদা একটি মামলা হয়েছে।
ছিনতাই হওয়া ২৬ লাখ টাকার মধ্যে ২২ লাখ টাকা নেন জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিক। কালীগঞ্জ থেকে টাকা ছিনতাইয়ের পর তারা আশাশুনিতে এসে মোটরসাইকেলের রঙ পরিবর্তন করেন। পথে পুলিশ তল্লাশি রয়েছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করে চক্রের কয়েকজন। এ ঘটনায় জেলা ছাত্রলীগ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান সাদিককে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
রোববার (১ ডিসেম্বর) সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে এক প্রেসব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, টাকা ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত মোট নয়জনের সাতজনকে আটক করা হয়েছে। এরই মধ্যে দুই আসামি সাইফুল ইসলাম ও মামুনুর রহমান দ্বীপ পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে শনিবার ভোরে নিহত হয়েছে। দুজন আসামি আজিজুর ও সামী হাসান সোহানকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। তারা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে ছিনতাইয়ের ঘটনায় সাদিকের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করেছে বলে জানান তিনি।
পুলিশ সুপার আরও বলেন, গত ৩১ অক্টোবর কালীগঞ্জ উপজেলার পাওখালী থেকে বিকাশের তিনজনকে মোটরসাইকেল থেকে নামিয়ে অস্ত্রের মুখে ফাঁকা গুলি করে ২৬ লাখ টাকা ছিনতাই করে সন্ত্রাসীরা। এ ঘটনায় সাইফুল ও দ্বীপকে গ্রেফতার করা হলে তারাও নিজেদের অপরাধ স্বীকার করে জানায়, এই ছিনতাইয়ের মূল হোতা জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ সাদিকুর রহমান। পরে তাদের কাছ থেকে তিনটি অস্ত্র, গুলি, দুটি মোটরসাইকেল এবং নগদ টাকা জব্দ করা হয়।
পুলিশ সুপার জানান, সাইফুল ও দ্বীপ বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেও সৈয়দ সাদিকুর রহমান পলাতক। তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। সাদিকসহ চারজনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে আলাদা একটি মামলা হয়েছে।
প্রেসব্রিফিংয়ে আরও উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইলতুৎমিশ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ুন কবির, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মির্জা সালাহউদ্দিনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।