Tag: মৃত্যুদণ্ড

  • চট্টগ্রামে ৪ শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

    চট্টগ্রামে ৪ শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতন, শিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলাের একটি মাদ্রাসার চার শিশু শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে নাছির উদ্দীন (৩৫) নামে এক শিক্ষককে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    রোববার (১৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক জয়নাল আবেদীন এই রায় দেন।

    নাছির উদ্দীন কক্সবাজার জেলার চকরিয়া উপজেলার ছোট ভেওলা এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার আহমদিয়া আজিজুল উলুম মাদ্রাসার হোস্টেল সুপার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    চট্টগ্রাম নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর স্পেশাল পিপি জিকো বড়ুয়া বলেন, ১১ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যপ্রমাণে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯ এর ১ ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আসামি নাছির উদ্দীনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। রায়ের সময় নাছির ট্রাইব্যুনালে উপস্থিত ছিলেন। পরে সাজা পরোয়ানামূলে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১৯ অক্টোবর রাঙ্গুনিয়া উপজেলার একটি মাদ্রাসায় চার শিশুকে যৌন নির্যাতনের অভিযোগে ভুক্তভোগী এক শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে নাছির উদ্দীনের নামে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা করেন।

    আসামি নাছির উদ্দীন আদালতে দোষ স্বীকার করে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ২০২১ সালের ৪ জুলাই নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়। ২০২২ সালের ২৫ জানুয়ারি নাছিরের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

  • চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রামে আইনজীবী হত্যায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ৩ জনের যাবজ্জীবন

    চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য অ্যাডভোকেট ওমর ফারুক বাপ্পি হত্যা মামলায় দুজনের মৃত্যুদণ্ড ও তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।

    বুধবার (২৬ জুলাই) চট্টগ্রামের তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. জসিম উদ্দিনের আদালত এই রায় দেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- কক্সবাজার জেলার চকরিয়া থানার উত্তর লক্ষ্যারচর এলাকার মন্ডল পাড়ার জাকির হোসেনের মেয়ে রাশেদা বেগম (২৮) ও পটিয়া থানার শোভনদন্ডী এলাকার হারুনুর রশিদের ছেলে হুমায়ুন রশিদ (২৮)।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- বরগুনা জেলার তালতলী থানার সোনাকাটা ইউনিয়নের লাউপাড়া আকন্দ বাড়ির মনসুর আলীর ছেলে আল আমিন (২৮), নোয়াখালী জেলার সাধুরাম থানার ব্রহ্মপুর এলাকার আন্দার বাড়ির মৃত হাবিবুল্লাহ’র ছেলে আকবর হোসেন রুবেল প্রকাশ সাদ্দাম (২৩) ও খাগড়াছড়ি জেলার সদর থানার শালবন এলাকার ফিরোজ সরকার বাড়ির হাফিজুল ইসলামের ছেলে মো.পারভেজ আলী (২৪)।

    জাকির হোসেন প্রকাশ মোল্লা জাকির নামে একজন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

    রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেন আদালতের বেঞ্চ সহকারী নেছার আহম্মেদ।

    তিনি বলেন, পাঁচজন আসামির মধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত রাশেদা বেগম, যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আল আমিন ও আকবর হোসেন পলাতক রয়েছে। রায়ের সময় আদালতে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত হুমায়ুন রশিদ ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মো.পারভেজ আলী এবং খালাস পাওয়া জাকির মোল্লা উপস্থিত ছিলেন।

    পরে হুমায়ুন রশিদ ও মো.পারভেজ আলীকে সাজা পরোয়ানা মূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

    মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৫ নভেম্বর নগরীর চকবাজার থানার কে বি আমান আলী রোডের একটি তিন তলা ভবন থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় আইনজীবী ওমর ফারুক বাপ্পির মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এই ঘটনায় নিহত আইনজীবীর বাবা আলী আহমদ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় মামলা দায়ের করেন।

    মামলার তদন্ত শেষে পিবিআই চট্টগ্রাম মেট্রোর তৎকালীন পরিদর্শক ও বর্তমান খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। ২০২০ সালের ১৫ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে আসামিদের বিরুদ্ধে বিচার শুরু করেন আদালত।

    চট্টগ্রাম মহানগর পিপি মো. আবদুর রশিদ বলেন, বাপ্পি হত্যা মামলায় মোট ৩২ জন সাক্ষী ছিলেন। আদালত ২৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। আদালত সাক্ষী ও প্রমাণের ভিত্তিতে দুজনের মৃত্যুদণ্ড, তিনজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং একজন আসামিকে খালাস দিয়েছেন।

    পিপিকে মামলা পরিচালনায় সহযোগিতা করেন চট্টগ্রাম অতিরিক্ত মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট দুলাল চন্দ্র দেবনাথ, অ্যাডভোকেট ফারহানা রবিউল লিজা ও অ্যাডভোকেট তৌহিদা আক্তার খানম রাবেতা।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধ : পিরোজপুরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধ : পিরোজপুরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার আব্দুল মান্নানসহ চারজনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    বৃহস্পতিবার (২০ জুলাই) চেয়ারম্যান মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল এ রায় দেন।

    আসামিরা হলেন- পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলার হেতালিয়া এলাকার আব্দুল মান্নান হাওলাদার ওরফে আ. মান্নান ডিলার ওরফে মান্নাফ, একই এলাকার আশ্রাব আলী ওরফে আশরাফ আলী হাওলাদার, চরখালী এলাকার মো. মহারাজ হাওলাদার ওরফে হাতকাটা মহারাজ (জামিনে) এবং নুরুল আমিন হাওলাদার (পলাতক)।

    ট্রাইব্যুনালে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন প্রসিকিউটর সাহিদুর রহমান। তার সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর রেজিয়া সুলতানা চমন। আর আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট গাজী এমএইচ তামিম।

    এর আগে গত ১৮ জুলাই মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ার আব্দুল মান্নানসহ চারজনের বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    আসামিদের বিরুদ্ধে অবৈধ আটক, নির্যাতন, অপহরণ, লুণ্ঠন, অগ্নিসংযোগ ধর্ষণ হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ আনা হয়েছে।

    চারটি অভিযোগে ২৪ জনকে হত্যা, একজনকে ধর্ষণ, আসামিদের গুলিতে তিন ব্যক্তি ও এক নারীকে গুরুতর জখম, এর মধ্যে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যুর কথা বলা হয়েছে।

    চার আসামি মুক্তিযুদ্ধের সময় কনভেনশন মুসলিম লীগের সমর্থক হলেও বর্তমানে তারা জামায়াতে ইসলামীর সমর্থক।

  • কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কক্সবাজারে ইয়াবা পাচারের দায়ে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কক্সবাজারে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট পাচারের দায়ে এক রোহিঙ্গাসহ চারজনকে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ডও দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার (১৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে এই রায় ঘোষণা করেন কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- কক্সবাজারের উখিয়ার বালুখালী রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প-১৩ এর ব্লক-এইস-১৬ এর মো. বশির আহমদ ও আয়েশা খাতুনের ছেলে মো. আয়াজ (৩৪), কক্সবাজার সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের পাওয়ার হাউজ দক্ষিণ হাজীপাড়ার মৃত আবদুল মজিদের ছেলে আবুল কালাম (৩৭), খাগড়াছড়ির মানিকছড়ি উপজেলার পঞ্চরাম পাড়ার মকবুল আহমদের ছেলে আজিমুল্লাহ (৪৩) এবং একই এলাকার ফয়জুল হকের ছেলে আবুল কালাম (৩৭)। রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের প্রশাসনিক কর্মকর্তা এস এম আব্বাস উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    রাষ্ট্র পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম ফরিদ।

    মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানা যায়, ২০২০ সালের ২৩ আগস্ট সন্ধ্যা ৭টা ৫ মিনিটের দিকে র‍্যাব-১৫ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে কক্সবাজার শহরের মাঝির ঘাটে খুরুস্কুল ব্রিজের উত্তর পাশে, রাস্তার পশ্চিম পাশে একটি ফিশিং বোট আটক করে। একসিঙ্গে ফিশিং বোটে থাকা মো. আয়াজ ও মো. বিল্লালকে আটক করে। এ সময় র‍্যাব সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে আরও ৪-৫ জন পালিয়ে যায়। পরে ফিশিং বোট তল্লাশি করে ১৩ লাখ ইয়াবা ট্যাবলেট, ১০ হাজার ৯ হাজার নগদ টাকা উদ্ধার করা হয়।

    এ ঘটনায় র‍্যাব-১৫ এর নায়েব সুবেদার মো. হারুনর রশীদ বাদী হয়ে উল্লিখিত ২জনসহ অজ্ঞাত আরও ৪-৫ জনকে আসামি করে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) সারণির ১০(গ)/৩৮/৪১ ধারায় কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা করেন।

    এ ঘটনায় মো. আয়াজ ও মো. বিল্লাল তাদের দোষ স্বীকার করে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় আদালতে জবানবন্দি দেন। তারা জবানবন্দিতে পলাতক আসামি আজিমুল্লাহ ও আবুল কালামের নাম-ঠিকানা প্রকাশ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‍্যাব-১৫ এর এসআই মোহাম্মদ সোহেল সিকদার ২০২১ সালের ১০ জুন আদালতে মামলার চার্জশিট দেন।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • ‘তালেবান’ আতঙ্কে আত্মগোপনে আফগান সমকামীরা

    ‘তালেবান’ আতঙ্কে আত্মগোপনে আফগান সমকামীরা

    তালেবানের শরিয়া আইন অনুযায়ী সমকামীতার শাস্তি মৃত্যুদণ্ড। তাই জীবন বাঁচাতে এখন জন্মভূমি ছাড়তে চান দেশটির সমকামী সম্প্রদায়। যদিও তাদের জন্য তালেবান কী ধরনের আইন জারি করে, তা এখনও স্পষ্ট নয়।

    গেল জুলাই মাসে একটি জার্মান সংবাদমাধ্যমকে দেয়া সাক্ষাৎকারে এক তালেবান বিচারক বলেছিলেন, সমকামিতার শাস্তি দুই ধরনের হতে পারে। পাথর নিক্ষেপ অথবা দেয়ালে পিষে হত্যা।

    তালেবান বিচারকের এই বক্তব্যের কারণেই তাদের ওপর ভরসা করতে পারছে না দেশটির সমকামী সম্প্রদায়। এরইমধ্যে যে যার মত আত্মগোপনে চলে গেছেন তারা। তাদের বেশিরভাগই চেষ্টা করছেন দেশ ছাড়ার।

    বালখি ছদ্মনামে একজন সমকামী বলেন, তার সম্পর্কে সব রকমের তথ্য আছে তালেবানের কাছে। কারণ মার্কিন সেনাদের নিয়ন্ত্রণ চলার সময় তাকে সমকামী হিসাবেই স্বীকৃতি দিয়েছিল তার পরিবার। এখন স্বীকৃত সেই পরিচয়ই হয়েছে তার জন্য হুমকির কারণ।

    বালখি সিএনএনকে দেয়া সাক্ষাৎকারে জানান, তিনি আতঙ্কে আছেন। কারণ তালেবান তাকে খুঁজে পেলে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করবে। প্রথমত, একজন নারী হওয়ায় শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তিনি। দ্বিতীয়ত, সমকামী হিসাবে এখন তাঁর জীবন হুমকির মুখে।

    তবে নারী সমকামী হওয়ায় একটা সুবিধা তিনি পেয়েছেন। তার ভাষ্য মতে, তালেবানের পোশাক নির্দেশনার কারণে হিজাবে মুখ ঢেকে চলাফেরা করছেন তিনি। এতে পরিচয় গোপন করে থাকা কিছুটা সহজ হচ্ছে।

    আফগানিস্তানের বাইরে থাকা দুইজন সমকামী সিএনএনকে জানান, তাদের গোষ্ঠীর অন্তত একশো জনের তালিকা তারা করেছেন। যারা বর্তমানে আফগানিস্তানে আত্মগোপনে আছেন এবং তালেবানের শাসন থেকে বাঁচতে আইনজীবিদের সাহায্য চাচ্ছেন।

    তবে এই সম্প্রদায় নিয়ে এখনও সরকারিভাবে কোনও পরিকল্পনা নেই বলে জানান তালেবান মূখপাত্র।

    এন-কে

  • সাতক্ষীরায় এক পরিবারের চার জনকে হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

    সাতক্ষীরায় এক পরিবারের চার জনকে হত্যায় আসামির মৃত্যুদণ্ড

    সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে এক পরিবারের চার জনকে হত্যা মামলার একমাত্র আসামি রায়হানুলকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। সাতক্ষীরার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমানের আদালতে আজ মঙ্গলবার দুপুর ১২টার দিকে এ রায় ঘোষণা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যাকাণ্ডের প্রায় ১১ মাসের মধ্যে এ রায় ঘোষণা করা হলো। এ সময় আদালত চত্বরে কৌতুহলী জনতার ভিড় লক্ষ্য করা যায়।

    মৃত্যুদণ্ডাদেশ পাওয়া রায়হানুল এ মামলার চার্জশিটভুক্ত একমাত্র আসামি। তিনি নিহত শাহীনুর রহমানের ভাই।

    রাষ্ট্রপক্ষে এ মামলা পরিচালনা করেন সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট আবদুল লতিফ। তিনি মামলার রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন। অপরদিকে, আসামিপক্ষ ছিলেন অ্যাডভোকেট এস এম হায়দর।

    এর আগে ১৮ জন সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ এবং মামলার বাদী ও বিবাদীপক্ষে যুক্তিতর্ক উপস্থাপনসহ অন্যান্য আইনি প্রক্রিয়া শেষ হওয়ায় জেলা ও দায়রা জজ আদালত রায় ঘোষণার জন্য ১ সেপ্টেম্বর দিন নির্ধারণ করেছিলেন। পরে এই তারিখ পরিবর্তন করে ১৪ সেপ্টেম্বর ধার্য করা হয়।

    মামলার নথি থেকে জানা গেছে, ২০২০ সালের ১৪ অক্টোবর গভীর রাতে কলারোয়ার হেলাতলা ইউনিয়নের খলিসা গ্রামে একই পরিবারের যে চার জনকে গলাকেটে হত্যা করা হয় তারা হলো—মো. শাহীনুর রহমান (৪০), তাঁর স্ত্রী সাবিনা খাতুন (৩০), ছেলে সিয়াম হোসেন মাহী (১০) ও মেয়ে তাসমিন সুলতানা (৮)। ঘাতক শাহীনুর ইসলামের চার মাসের সন্তান মারিয়া সুলতানাকে অক্ষত অবস্থায় ঘটনাস্থলে রেখে যান।

    তদন্ত শেষে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানায়, ওই চার জনকে প্রথমে ঠান্ডা পানীয়র সঙ্গে চেতনানাশক দ্রব্য খাওয়ানো হয়। গভীর রাতে ঘুমের মধ্যে তারা অচেতন হয়ে পড়লে ওই পরিবারের সদস্য রায়হানুল ইসলাম তাঁর ভাই, ভাবি ও তাঁদের দুই সন্তানের পা বেঁধে গলাকেটে হত্যা করেন। পরে ধারালো অস্ত্রটি নিকটস্থ একটি পুকুর থেকে উদ্ধার করে সিআইডি। ঘটনার পর ১৫ অক্টোবর সকালে শাহীনুরের ভাই রায়হানুলকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    সিআইডির সাতক্ষীরা পুলিশ পরিদর্শক মো. শফিকুল ইসলাম জানান, রায়হানুল একাই চার জনকে গলাকেটে হত্যা করেছেন বলে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আদালতে ১৬৪ ধারায়ও সেই হত্যার ঘটনা স্বীকার করেন তিনি। এই মামলায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে একমাত্র আসামি রায়হানুলের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেওয়া হয়।

    এই মামলায় ১৮ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে। একজন সাফাই সাক্ষীও দিয়েছেন। দুপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে আজ মঙ্গলবার চাঞ্চল্যকর এই মামলার রায় ঘোষণা করা হলো।

    এন-কে

  • কুড়িগ্রামে চারজনকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কুড়িগ্রামে চারজনকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    কুড়িগ্রামে এক পরিবারের চারজনকে হত্যার দায়ে ছয়জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আব্দুল মান্নান এ রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- উপজেলার দিয়াডাঙ্গা গ্রামের মনতাজ উদ্দিন, নজরুল ইসলাম মঞ্জু, আমির হোসেন, জাকির হোসেন, জালাল গাজি ও আজমত আলী শেখ।

    রায় ঘোষণার সাথে সাথে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা আদালত কক্ষের আসামিদের দাঁড়ানোর ডক ভংচুর করে এবং বিভিন্নজনকে উদ্দেশ্য করে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ শুরু করেন। পুলিশ দ্রুত পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনে দণ্ডপ্রাপ্তদের ভ্যানে তুলে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেন।

    জেলা পাবলিক প্রসিকিউটর এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, ২০১৪ সালের ১৪ জানুয়ারি মধ্যরাতে একদল সন্ত্রাসী দেশিয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘরে ঢুকে একই ঘরে অবস্থানরত সুলতান আলী মন্ডল, হাজেরা বেগম, কন্যা নীলিমা আক্তার মৌসুমি, নাতনী রোমানা আকতার এবং আনিকাকে এলোপাতাড়িভাবে কোপ দেয়। এতে সুলতান আলী মন্ডল, রোমানা আকতার আনিকা ঘটনাস্থলে আর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান হাজেরা বেগম। গুরুতর আহত হওয়ার পরও ভাগ্যক্রমে বেঁচে নীলিমা আক্তার মৌসুমি।

    পাবলিক প্রসিকিউটর বলেন, মামলাটি ছিল ক্লু লেস। ওই এলাকায় সংঘটিত আরেকটি হত্যা মামলার গ্রেফতারকৃত আসামিদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এই মামলার জট খুলতে সক্ষম হয় পুলিশ।

    তিনি আরও জানান, মামলায় মোট ৬৫ জন সাক্ষীর মধ্যে ৬১ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়েছে। মামলায় রায়ে রাষ্ট্রপক্ষ সন্তুষ্ট।

    মামলার বাদি হাফিজুর রহমান বলেন, মাত্র ১৭ বিঘা জমি নিজের দখলে নেওয়ার জন্য তার পিতার বড় ভাই মনতাজ এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। মামলার রায়ে তিনি সন্তুষ্ট।

  • ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

    ব্লগার অভিজিৎ হত্যা মামলায় ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড

    বিজ্ঞানমনস্ক লেখক ও ব্লগার অভিজিৎ রায়কে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় বরখাস্ত মেজর জিয়াউল হকসহ ৫ জনের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) এ রায় ঘোষণা করা হয়। রায়ে একজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে।

    এর আগে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শেষে ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মজিবুর রহমান রায়ের দিন ১৬ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করেন।

    মামলা সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রপক্ষে ২৮ জন সাক্ষী আদালতে সাক্ষ্য দিয়েছেন। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন তিন আসামি। ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসির কাছে চাপাতির কোপে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় নিহত হন। এ সময় তার স্ত্রী রাফিদা আহমেদ আহত হন।

    অভিজিৎ ও রাফিদা যুক্তরাষ্ট্রের নাগরিক। অমর একুশে গ্রন্থমেলা উপলক্ষে তারা দেশে এসেছিলেন। মেলা থেকে বেরিয়ে বাসায় ফেরার পথে তারা ওই হামলার শিকার হন। এ ঘটনায় অভিজিৎ রায়ের বাবা অজয় রায় শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

    পরে পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ইউনিট মামলা তদন্ত করে ২০১৯ সালের ১৩ মার্চ অভিযোগপত্র দাখিল করে।

  • দীপন হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

    দীপন হত্যা মামলায় ৮ জনের মৃত্যুদণ্ড

    জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সল আরেফিন দীপন হত্যা মামলায় বহিষ্কৃত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক জিয়াসহ আট জনের মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত।

    আজ বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমানের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। আদালতের পর্যবেক্ষণে বলা হয় মত প্রকাশের দায়ে যারা মানুষ হত্যা করতে পারে তারা সমাজ ও রাষ্ট্রের শত্রু।

    এর আগে, গত ২৪ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ এবং আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষে রায়ের তারিখ ১০ ফেব্রুয়ারি ধার্য করেন আদালত।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, বহিষ্কৃত মেজর জিয়া, আকরাম হোসেন, মইনুল হাসান শামীম ওরফে সামির ওরফে ইমরান, আবদুস সবুর সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাদ, খাইরুল ইসলাম ওরফে জামিল ওরফে জিসান, আবু সিদ্দিক সোহেল ওরফে সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব, মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন ওরফে শাহরিয়ার এবং শেখ আবদুল্লাহ ওরফে জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের। আসামিদের মধ্যে জিয়া ও আকরাম পলাতক রয়েছেন।

    রায় উপলক্ষে সকাল সাড়ে আটটার দিকে কাশিমপুর কারাগার থেকে গ্রেফতার ছয় আসামিকে আদালতে আনা হয়। এ সময় তাদের কোর্ট হাজতে রাখা হয় বলে জানান সিএমএম আদালতের হাজতের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-পরিদর্শক শহিদুল ইসলাম। বেলা সাড়ে ১১টার একটু আগে তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করা হয়।

    মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুবৃত্তরা। ওই দিনই তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন।

    ২০১৮ সালের ১৫ নভেম্বর সন্ত্রাস বিরোধী আইনে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রে‌ট আদালতে দীপন হত্যা মামলার অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। অভিযোগপত্রে ৮ জনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

    ২০১৯ সালের ১৩ অক্টোবর ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) সদস্য বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

    ২০১৯ সালের বছর ১ ডিসেম্বর এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। সেদিন মামলার বাদী ও দীপনের স্ত্রী রাজিয়া রহমান ও জব্দ তালিকার সাক্ষী আজিজ সুপার মার্কেট কো-অপারেটিভ মালিক সমিতির অফিস সহকারি আনোয়ার হোসেন আদালতে সাক্ষ্য দেন। মামলায় ২৬ সাক্ষীর ২৩ জন আদালতে সাক্ষ্য দেন।

    এরপর গত ১৭ জানুয়ারি রাষ্ট্রপক্ষ তাদের যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করেন। এ সময় আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ড চান তারা। এরপর রোববার আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ করলে রায়ের জন্য এই দিন ধার্য হয়।

  • রিফাত হত্যা: স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    রিফাত হত্যা: স্ত্রী মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড

    বরগুনার বহুল আলোচিত শাহনেওয়াজ রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় মিন্নিসহ ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও চারজনকে খালাস দেয়া হয়েছে।

    বুধবার দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আছাদুজ্জামান এ রায় দেয়।

    এর আগে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আদালতে হাজির করা হয় এ মামলার প্রাপ্তবয়স্ক ৯ আসামিকে।

    উল্লেখ্য, রিফাত হত্যা মামলায় ২৪ জনকে আসামি করে দুটি ভাগে গত বছরের ১ সেপ্টেম্বর চার্জশিট দেন তদন্তকারী কর্মকর্তা। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ জন শিশু আসামি।

    ২০১৯ সালের ২৬ জুন বরগুনা সরকারি কলেজের সামনের সড়কে রিফাত শরীফকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে জখম করে নয়ন বন্ডের গড়া কিশোর গ্যাং বন্ড গ্রুপ। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হলে দেশব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়। ২ জুলাই মামলার প্রধান আসামি নয়ন বন্ড সন্ত্রাসীর গুলিতে নিহত হন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • দুই ভাই হত্যায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

    দুই ভাই হত্যায় চার জনের মৃত্যুদণ্ড

    ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানায় দায়ের করা স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমান ও তার ভাই মিজানুর রহমান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত ৪ আসামীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া ৭ জনকে যাবজ্জীবন ও ১ জনকে ১০ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

    রোববার (১ ডিসেম্বর) সকালে কুষ্টিয়া নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুন্সী মো. মশিয়ার রহমান এই দণ্ডাদেশের রায় ঘোষণা করেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা উপজেলার গোলাপনগর গ্রামের নুরুল ইসলামের ছেলে কমল হোসেন মালিথা, ফকিরাবাদ গ্রামের কাবুল প্রামাণিকের ছেলে কামরুল প্রামাণিক ও সুমন প্রামাণিক এবং একই গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে নয়ন শেখ।

    যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ভেড়ামারা উপজেলার ফকিরাবাদ গ্রামের ছের আলী শেখের ছেলে নজরুল শেখ ও আব্দুর রহিম ওরফে লালিম শেখ, একই গ্রামের আকুল মন্ডলের ছেলে মাহফুজুর রহমান, বেনজির প্রামাণিকের ছেলে হৃদয় আলী, নাজির প্রামাণিকের ছেলে সম্রাট আলী প্রামাণিক, গোলাপনগর গ্রামের মৃত নুরুল হক মালিথার ছেলে জিয়ারুল ইসলাম ও আশরাফ মালিথা। এছাড়াও আরিফ মালিথা নামে এক আসামীকে ১০ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত ও ১০ বছরের সাজাপ্রাপ্তকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডে রায় দেন আদালত।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল বাদী জাহারুল ইসলামের ভাতিজা আশরাফুজ্জামান রতনের ৭ম শ্রেণি পড়ুয়া মেয়েকে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আসামীরা যোগসাজশে হামলা করে স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানকে ঘটনাস্থলেই হত্যা করে এবং তার ভাই মিজানুর রহমানকে রক্তাক্ত করে। পরবর্তীতে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনায় নিহত স্কুল শিক্ষক মুজিবর রহমানের ছেলে জাহারুল ইসলাম বাদী হয়ে ভেড়ামারা থানায় মামলা দায়ের করেন।

    কুষ্টিয়া জজ কোর্টের পিপি (নারী ও শিশু) অ্যাড. আব্দুল হালিম রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

  • আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ জনের ফাঁসি

    আক্কেলপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণের পর হত্যা, ৭ জনের ফাঁসি

    জয়পুরহাটের আক্কেলপুর উপজেলার দেওড়া গ্রামে গৃহবধূ আরতি রাণীকে ধর্ষণের পর হত্যার দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (২২ অক্টোবর) দুপুরে জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এবিএম মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।

    মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে দুইজনকে পাঁচ লাখ ও পাঁচজনকে এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়েছে।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-আক্কেলপুর উপজেলার মারমা গ্রামের সোহেল তালুকদার, দেওড়া সোনারপাড়া গ্রামের আফজাল হোসেন,দেওড়া গুচ্ছগ্রামের রাহিন, দেওড়া সাখিদার পাড়ার ফেরদৌস আলী, দেওড়া সোনারপাড়ার মজিবর রহমান, জগতি গ্রামের রুহুল আমীন ও দেওড়া গুচ্ছগ্রামের আজিজার রহমান।

    আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর রাতে দেওড়া গ্রামের উজ্জল মহন্তের স্ত্রী আরতি রাণীকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে আসামিরা গণধর্ষণ করে পালিয়ে যায়। গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নেয়ার পথে আরতি রাণী মারা যান। এ ঘটনায় ১০ অক্টোবর আরতি রাণীর স্বামী উজ্জল মহন্ত বাদী হয়ে সাত জনকে আসামি করে আক্কেলপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।

    মামলার দীর্ঘ শুনানির পর আজ জয়পুরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সাত আসামিকেই মৃত্যুদণ্ড দেন। একই সঙ্গে আসামি সোহেল ও ফেরদৌসকে পাঁচ লাখ টাকা আর বাকি পাঁচজনকে ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

    রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পিপি অ্যাডভোকেট ফিরোজা চৌধুরী আর বাদী পক্ষে অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান ও রফিকুল ইসলামসহ পাঁচজন ছিলেন।