Tag: মৃত্যুপুরী

  • বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

    বাংলাদেশ কি মৃত্যুপুরীর দিকে অগ্রসর হচ্ছে?

    অ আ আবীর আকাশ:খুব দ্রুতই বুঝি বাংলাদেশ মৃত্যুপুরীতে রূপান্তরিত হতে যাচ্ছে? মানুষের হেয়ালিপনায় মহামারী ভাইরাস ঝড়ের বেগে ছুটছে। করোনা জাল বিস্তার লাভ করছে দেশের আনাচে-কানাচে, পল্লী-গ্রাম-গঞ্জের পরতে পরতে,চর- চরাঞ্চল, নদীতে বসবাস করা বেদে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে। কোন শ্রেণি-পেশার মানুষ বাদ যাচ্ছে না এই ছোঁয়াচে বালাই থেকে। চরম দুঃখের সাথে বলতে হচ্ছে যে ঈদ-উল ফিতরের দিনেই খবর এসেছে একদিনে বহু মানুষের প্রাণহানি হয়েছে এই ঘাতক ভাইরাসের সংক্রমিত হয়ে। মহান আল্লাহর রহমত ছাড়া আর কোন উপায় নেই। করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কার হয়েছে মর্মে প্রতিদিনই খবরে আসতে থাকে। এদেশ ওদেশ করে প্রকৃতপক্ষে এখনো চূড়ান্ত প্রতিষেধক কোন দেশেই আবিষ্কৃত হয়নি। তবে আভাস যে হারে আসছে তাতে করে খুব শিগগিরই আশা করা যাচ্ছে যে এ প্রাণঘাতী ভাইরাসের প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হবেই ইনশাল্লাহ।

    অতীতে এরকম বহু প্রাণঘাতী ভাইরাস ছিল, তার সবগুলো ভাইরাস এখন মূল্যহীন হয়ে পড়েছে প্রতিষেধক আবিষ্কারের মাধ্যমে। আল্লাহর রহমতে বিশ্বের সব নামিদামি গবেষণাগারেই রাতদিন করে এই করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারের নিরন্তর প্রয়াস চলছে।

    সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী প্রশাসনিক নির্দেশনা মেনে চলার মন ও মানসিকতা আমাদের হারিয়ে গেছে। তবে কেন তা বোঝা যায় না। তাহলে কি আমরা চোখের সামনে চরম অবহেলায় আত্মীয়-স্বজনদের মৃত্যু ও মৃত্যু পরবর্তী চরম অবহেলা দেখতে যাচ্ছি? পরম আপন জনের মৃত্যুতে শোক সন্তপ্ত প্রকাশ না করে আতঙ্কের মাধ্যমে দিনযাপন করতে যাচ্ছি? আমাদের মন-মানসিকতা ভালোবাসা স্নেহ মায়া-মমতাকে বিসর্জন দিয়ে দিনকে দিন পাথরে পরিণত হতে যাচ্ছি? তবে কি হবে আমাদের! কি হবে পরিবার-পরিজনের? কি হবে সমাজ ব্যবস্থার? কি হবে রাষ্ট্রব্যবস্থার? এর থেকে উত্তরণের পথ কী আমাদের জানা আছে?

    একদিকে যেমন জনগণ নিয়ম-নীতির তোয়াক্কা করে না, কোন বাধা, নিষেধ মানতে চায় না অপরদিকে সরকার ব্যবস্থায় যেসব নির্দেশনা দেয়া হয় তা জনগণের মাঝে তেমন একটা প্রয়োগ হতে দেখা যায় না। যেমন লকডাউন দিনে কোনরকম থাকলেও রাতে তেমনটা মানা হয়না। হোম কোয়ারেন্টিন মানা হয়না। ঘরে থাকে না, জনগণ দলাদলি-জমায়েত, দোকানপাট, প্রকাশ্যে চলাফেরা, কোনটাই ঠেকানো সম্ভব হচ্ছেনা। আইন-কানুন যেমন মানা হচ্ছে না তেমনি চলাফেরা স্ববিরোধী হওয়াতে নিজের বিপদ, পরিবার-পরিজনের বিপদ, পরম আপনজনের বিপদ হাতে ধরে নিজেরাই আনছে ডেকে। এতে করে অল্প সময়ের মধ্যেই বাংলাদেশে মৃত্যুপুরীতে পরিণত হবে! স্বাধীনতার সময়ে পশ্চিমাদের হামলায় এদেশে মানুষের মৃত্যু হয়েছিল নির্বিচারে পাখির মতো, লাশের পর লাশ পড়েছিল, কবরস্থ করার কেউ ছিলনা। শেয়াল কুকুরের আহারে পরিণত হয়েছিল মানুষ! আমরা কি সেরকম পরিস্থিতির দিকে অগ্রসর হচ্ছি?

    শপিং মল মার্কেট দোকানপাট খোলার বিষয়ে সরকারি নির্দেশনা শিথিল করার সিদ্ধান্ত খুবই বিপদজনক হয়েছে। যে বা গোষ্ঠীর সুবিধার্থে এমন সিদ্ধান্ত শিথিল করা হয়েছে তা মোটেও সঠিক হয়নি। গার্মেন্টস মালিক সমিতির চাপে হোক বা শিল্পপতিদের চাপেই হোক এমন ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি করা সরকারের ঠিক হয়নি। ২৪ ঘন্টায় যেখানে পুরো দেশে প্রায় শ’খানেক করোনা শনাক্ত হতো সেখানে গার্মেন্টস শপিংমল মার্কেট খোলার সাথে সাথেই দুই হাজার ছাড়িয়ে যায় করোনা শনাক্ত রোগী।এ বড় খারাপ খবর নিঃসন্দেহে।

    পুঁজিবাদ সুদি ব্যবসায়ী-শিল্পপতিদের আরো মোটা লাভের জন্য লকডাউন শিথিল করে আপামর জনসাধারণকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়া হয়েছে বৈকি। এর প্রতিবাদ করার ক্ষমতা কারোর নেই এই দুঃসময়ে। তবে কেউ কেউ হয়তো বিষয়টি টের পেয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বোধহয়।

    ঈদের ছুটি ঘোষণা করে সরকারি সিদ্ধান্ত এসেছে গণপরিবহন বন্ধ তবে ব্যক্তিগত পরিবহনে মানুষ বাড়ি যেতে পারবে। এ সিদ্ধান্ত একদিকে যেমন হাস্যরসের সৃষ্টি করেছে এইজন্য, যে মন্ত্রী বলেন -‘ নিজস্ব পরিবহনে বাড়ি যাওয়া যাবে তবে গণপরিবহন বন্ধ থাকবে।’ অপরদিকে পুলিশের আইজি বেনজীর আহমেদ বলেছেন -‘ কেউ যেন ঈদের ছুটিতে বাড়ি না যায়। যে যেখানে আছে সেখানেই থাকবে।’ তবে কার নির্দেশনা মানবে জনগণ?

    অপরদিকে বড় দুঃখ জাগিয়েছে মানুষের হৃদয়ে। অর্থাৎ শ্রমজীবী অসহায় মানুষগুলো এসব সরকারি সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য। ধনীরা নিজস্ব গাড়ী হাঁকিয়ে অসহায় মানুষের চোখে মুখে ধুলো উড়িয়ে গ্রামে যাবে শরীর জুড়াতে, ছেলেমেয়ে মা-বাবা ভাই-বোন আত্মীয়-স্বজনের কাছে যেতে না পেরে শ্রমজীবী অসহায় মানুষেরা হাঁসফাঁস করবে, নিজেকে ধিক্কার দেবে ‘কেন তারা গরীব হয়ে জন্মেছে’? এই কি তবে দেশ? এই কি তবে রাষ্ট্রব্যবস্থা? যাদের নিজস্ব গাড়ি আছে তারাই বাড়ী যাবে যাদের নেই তারা যেতে পারবেনা গ্রামে। প্রশ্ন করতে ইচ্ছে হয় সরকারের ভেতরে এমন সিদ্ধান্ত কে দিয়েছেন ও কেমন করে এমন সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছেন তিনি? সাধারণ মানুষের কথা একটুও ভাবেননি। তিনি কি বাংলাদেশে কতজন মানুষের গাড়ি আছে তার হিসাব রাখেন?

    এই বিষয়ে একটা গল্পের কথা মনে পড়ে। এক রাজ্যের রাজা ও মন্ত্রীর কথার সাথে মিলে যায় এমন সিদ্ধান্তগুলো। রাজা তার মন্ত্রীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন -‘মন্ত্রী আপনি তো রাজ্যের সকল কিছুর হিসেব রেখেছেন ঠিকঠাক? মন্ত্রী মাথা নাড়িয়ে জবাব দিলেন -‘জি হুজুর’। রাজা প্রশ্ন করলেন তাহলে বলুনতো -এ রাজ্যে কতগুলো পাখি আছে? মন্ত্রী খানিকটা থ বনে গেলেন। চতুর মন্ত্রী পরক্ষণেই সরব হয়ে বলে উঠলেন -‘সে হিসেবেও আমি দেখেছি হুজুর,আপনার রাজ্যে বেতাল্লিশ হাজার তেতাল্লিশ’শ চোতাল্লিশটি পাখি আছে। এর চেয়ে একটা কম হলে বুঝবেন অন্য এলাকায় বেড়াতে গিয়েছে আর একটা বেশি হলে বুঝবেন অন্য এলাকা থেকে এলাকায় বেড়াতে এসেছে।’

    এমন চতুর মন্ত্রী বাংলাদেশে অনেকেই রয়েছেন। মুক্তমত প্রকাশে সেসব মন্ত্রী সবসময় বাধা হয়ে দাঁড়ান। তারা আইনজারি করেন একের পর এক। গলা টিপে ধরেন মুক্তমনাদের, যেন দ্বিতীয় কেউ আর সাহস না করে মত প্রকাশে।

    হোম কোয়ারেন্টিন ও লকডাউন শব্দ দুটো করোনাভাইরাস এর সাথে নতুন করে বাংলাদেশের মানুষ শুনতে শুরু করেছে। এর আগে বোধ হয় এত প্রচলিত ছিল না। আগে অনেক কলামে আমি এ শব্দদুটো নিয়ে বলেছি। বাঙালি শব্দ-দু’টো তেমন বোঝেনা। না বুঝলে দেশে করোনা ভাইরাস ছড়াবে দ্রুত গতিতে। সত্যিই, তাই হয়েছে। বাঙালিকে বোঝাতে হলে কারফিউ জারি করতে হবে। অনির্দিষ্টকালীন সময়ের জন্য যেমন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ করা হয়েছে তেমনি করে গার্মেন্টস শপিং মল মার্কেট কল কারখানা সব ধরনের জমায়েত নিষিদ্ধ করে দেশে কি পুরো এক মাসের জন্য কারফিউ জারি করা যাবে না? যদি পুরো একমাস কারফিউ জারি করা যায় তাহলে শীঘ্রই করোনা শনাক্ত শূন্যের কোঠায় নেমে আসবে। এক মাসের আহারের অভাবে কোন ব্যক্তি মারা যাবে না। কমবেশ সবার ঘরেই অন্তত এক মাসের খাদ্য মজুদ আছে। যদি নেহাত প্রয়োজন হয় প্রশাসনকে জানালে তা যদি ব্যবস্থা করা যায়, আমার বিশ্বাস বাংলাদেশ করোনা পূর্বের পরিবেশে ফিরে যেতে পারবে। মানুষ না খেয়ে থাকতে রাজি তবু পুঁজিবাদের লালসায় গার্মেন্টস কলকারখানা শপিং মল খুলে চরম অবহেলায় দুর্ভাগ্য নিয়ে মরতে চায় না।

    লেখক : কবি প্রাবন্ধিক, কলামিস্ট ও সাংবাদিক।
    সম্পাদক : আবীর আকাশ জার্নাল
    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার নতুন মৃত্যুপুরী ব্রাজিলে এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু

    করোনার নতুন মৃত্যুপুরী ব্রাজিলে এক দিনে রেকর্ড সংখ্যক মৃত্যু

    আমেরিকা, ব্রিটেন, ইতালি, স্পেন ও ফ্রান্সের পর এবার প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের তাণ্ডবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে লাতিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল।

    দেশটিতে বৃহস্পতিবার রেকর্ড ১ হাজার ১৮৮ জনের মৃত্যু হয়েছে, যা সেখানে করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পরার পর থেকে সর্বোচ্চ।

    এর ফলে ব্রাজিলে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২০ হাজার ৮২ জনে।

    স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্যমতে দেশটিতে গেল ২৪ ঘণ্টায় ১৭ হাজার ৫৬৪ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছে।

    তাতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ছাড়িয়েছে। বর্তমানে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ১০ হাজার ৯২১ জন। বিশ্বের মধ্যে যা তৃতীয় সর্বোচ্চ।

    ব্রাজিলের সামনে আছে কেবল রাশিয়া (৩ লাখ ১৭ হাজার ৫৫৪ জন) ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (১৬ লাখ ২০ হাজার ৯০২ জন)।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনার নতুন মৃত্যুপুরী ব্রাজিল

    করোনার নতুন মৃত্যুপুরী ব্রাজিল

    করোনা রোগীর সংখ্যায় ইতোমধ্যে ফ্রান্স ও ইতালিকে ছাড়িয়ে গেছে ল্যাটিন আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। মারা গেছেন ১৬ হাজারের বেশি মানুষ। স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন, নতুন মৃত্যুপুরী হয়ে উঠছে দেশটি।

    ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্য অনুযায়ী, ব্রাজিলে এখন পর্যন্ত মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৪১ হাজার ৮০ জন, মোট মৃত্যু ১৬ হাজার ১১৮ জন।

    আক্রান্তের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্র, রাশিয়া, স্পেন ও যুক্তরাজ্যের পরই এখন ব্রাজিলের অবস্থান। কিন্তু আক্রান্ত শনাক্তে ওই চারটি দেশ যে পরিমাণ পরীক্ষা করেছে ব্রাজিলের পরীক্ষা তার চেয়ে ঢের কম।

    আক্রান্তের সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় দেশগুলোর একটি হয়ে ওঠা ও পরীক্ষায় অন্য দেশ থেকে পিছিয়ে থাকার কারণে দেশটির প্রেসিডেন্ট জাইর বোলসোনারোর ওপর চাপ বাড়ছে।

    এমন পরিস্থিতিতে করোনাভাইরাসের বিস্তার রোধে কঠোর সামাজিক দূরত্ববিধি, আইসোলেশন ও কোয়ারেন্টিনের পদক্ষেপ নিয়ে স্কুল, দোকানপাট ও রেস্তোরাঁ বন্ধ করে দেয় ব্রাজিলের বেশ কয়েকটি রাজ্য সরকার। কিন্তু বোলসোনারো এর তীব্র সমালোচনা করেন।

    রাজ্যগুলোর এসব পদক্ষেপের কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি অসহনীয় হয়ে উঠছে যুক্তি দেখিয়ে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়ার কথা বলেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রাণঘাতী করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যুপুরী স্পেনে এবার মৃত্যু হল প্রথম বাংলাদেশির

    প্রাণঘাতী করোনায় দ্বিতীয় মৃত্যুপুরী স্পেনে এবার মৃত্যু হল প্রথম বাংলাদেশির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। ডেস্ক রিপোর্ট : প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রথম মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয় চীন। এরপর চীনকে ছাড়িয়ে বিশ্বের মধ্যে এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যায় শীর্ষে উঠে আসে ইতালি।

    মাত্র কিছুদিনের ব্যবধানে চীনকে ছাড়িয়ে ইউরোপের দেশ স্পেনে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর সংখ্যায় দ্বিতীয় মৃত্যুপুরী হিসেবে রুপ নেয়। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নতুন করে আরও ৬৫৫ জনের মৃত্যু হয়। মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৪ হাজার ৮৯ জন। আরো খবর : স্পেনে মৃত্যু ৪ হাজার ছাড়াল

    করোনায় বিশ্বের এ দ্বিতীয় মৃত্যুপুরীতে আজ প্রথম বাংলাদেশির মৃত্যু হয়। স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে তার বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

    স্পেনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত প্রথম বাংলাদেশির নাম হোসাইন মোহাম্মদ আবুল (৬৭)। বাংলাদেশের ঢাকার নারায়ণগঞ্জে তার বাড়ি। আরো খবর : চীনকে পেছনে ফেলে ২য় মৃত্যুপুরী স্পেন

    করোনায় মৃত হোসাইন মোহাম্মদ আবুল পরিবার নিয়ে স্পেনের রাজধানী মাদ্রিদে বসবাস করতেন।অনেক দিন ধরে সর্দি-কাশি ও শ্বাসকষ্টজনিত রোগে ভুগছিলেন। পরে পরীক্ষা করার পরে তার শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এরপর থেকে নিজ বাসায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার না ফেরার দেশে চলে যান।

    স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আজকের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী, দেশটিতে করোনায় আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৮৯ জন করোনায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া প্রাণঘাতী এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যাও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার ১৮৮ জনে।

    সূত্র : যুগান্তর

  • করোনা : চীনকে পেছনে ফেলে ২য় মৃত্যুপুরী স্পেন, ১ দিনে ৬৫৬সহ মৃতের সংখ্যা ৩৬৪৭

    করোনা : চীনকে পেছনে ফেলে ২য় মৃত্যুপুরী স্পেন, ১ দিনে ৬৫৬সহ মৃতের সংখ্যা ৩৬৪৭

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : চীনের উহানে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের প্রথম রোগী শনাক্ত হয় গত ৩১ ডিসেম্বর। এরপর রীতিমত মৃত্যুর মিছিলে মৃত্যুপুরীতে রুপ নেয় চীন।

    মাত্র কয়েক মাসের ব্যবধানে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যায় চীনকে ছাড়িয়ে গেছে স্পেন। দ্বিতীয় দেশ হিসেবে বেশি মৃত্যু হারের তালিকায় যোগ হয়েছে স্পেনের নাম।

    গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৫৬ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬৪৭ জন। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় এ ভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে ৭ হাজার ৪৫৭ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪৯ হাজার ৫১৫ জন।

    স্পেনে এ পর্যন্ত ৫ হাজার ৩৬৭ জন কোভিড-১৯ রোগী চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়েছেন। এখনও চিকিৎসাধীন ৪০ হাজারের বেশি মানুষ। এদের মধ্যে ৩ হাজার ১৬৬ জনের অবস্থা সঙ্কটাপন্ন বলে জানা গেছে।

    স্পেনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, মঙ্গলবারের চেয়ে বুধবার (২৫ মার্চ) স্পেনের আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে ২০ গুণ। সবচেয়ে ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে মাদ্রিদ। ব্যাপক ঝুঁকিতে আছে দেশটির স্বাস্থ্যকর্মীরা। পরিসংখ্যান বলছে, দেশটিতে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের ১০ শতাংশই স্বাস্থ্যকর্মী।

    তবে মহামারি করোনা ভাইরাসে চীনে মৃত্যুর যে রেকর্ড ছিল তা অনেক আগেই অতিক্রম করেছে ইতালি। করোনায় সবচেয়ে বেশি মানুষ মারা গেছেন দেশটিতে। গত ২৪ ঘণ্টায় ইতালিতে মারা গেছেন ৬৮৩ জন, মোট মৃতের সংখ্যা দাড়িয়েছে ৭ হাজার ৫০৩ জনে। তাছাড়া গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছেন ৫ হাজার ২১০ জন। এ নিয়ে সেখানে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭৪ হাজার ৩৮৬ জন।

    এছাড়া, চীনে মোট ৮১ হাজার ২১৮ জনের শরীরে ধরা পড়েছে নভেল করোনাভাইরাস, মারা গেছেন ৩ হাজার ২৮১ জন।

    ২৪ ঘন্টা/আর এস পি