Tag: মৃত্যুবার্ষিকী

  • স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এমআর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এমআর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    কামরুল ইসলাম দুলু: মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশে লায়নিজমের জনক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ৩২তম মৃত্যুবাষির্কী আজ ৬ ফেব্রুযারী। পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে সর্বত্র পরিচিত।

    ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন। সীতাকুণ্ড থানা থেকে এমআর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী রূপে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

    তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবনে তিনি বহু শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পড়ে তোলেন। সীতাকুণ্ডের মধ্যাংশে কোন কলেজ না থাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    তাঁর মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষ্যে নেয়া হয়েছে দিনভর নানা কর্মসূচি।

  • সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি কাসেম মাস্টারের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি কাসেম মাস্টারের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডের গণমানুষের নেতা হিসেবে খ্যাত সাবেক প্যানেল স্পিকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টারের ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী আজ শুক্রবার ২৪ নভেম্বর

    তিনি সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন।

    ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নিজ বাড়ি ফৌজদারহাটস্থ ফকিরহাটে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল, খতমে কোরআন, কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, স্বরণসভা এবং জেয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে।

  • হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী

    উপমহাদেশের কিংবদন্তি সুরস্রষ্টা হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের মৃত্যুবার্ষিকী আজ। বাংলা সঙ্গীত জগতে হেমন্ত মুখোপাধ্যায় এক কালজয়ী নাম। অসাধারণ সুর আর স্নিগ্ধ ও মোহনীয় কণ্ঠের ছোঁয়ায় তিনি বাংলা সঙ্গীতভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করেছেন, হয়ে উঠেন সঙ্গীতের বরপুত্র, হয়ে আছেন সুরের জাদুকর। রোববার গুণী এই শিল্পীর ৩১তম মৃত্যুবার্ষিকী।

    ১৯৮৯ সালের ২৬ সেপ্টেম্বর এই মহান শিল্পী মৃত্যুবরণ করেন। কালজয়ী এই সঙ্গীতব্যক্তিত্ব সঙ্গীতশিল্পী ও সঙ্গীতানুরাগীদের কাছে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে চিরভাস্বর হয়ে আছেন। শিল্পীসত্তাকে অক্ষুণ্ণ রেখে কি করে একজন ভালো মানুষ হওয়া যায়, সত্যিকারের মানুষ হয়ে ওঠা যায়- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের জীবনজুড়েই তার উদাহরণ রয়েছে। আজও তিনি সুরের জাদুকর হয়েই বেঁচে আছেন বাঙালির মানবস্রোতে।

    ভারতের কাশীর বেনারসে ১৯২০ সালের ১৬ জুন মামাবাড়িতে জন্মেছিলেন বাংলা গানের এই প্রথিতযশা শিল্পী। তার সুরেলা কণ্ঠে রবীন্দ্রসঙ্গীত আর আধুনিক গান আজও গেঁথে আছে প্রতিটি বাঙালির হৃদয়ে। তিনি হিন্দি সঙ্গীত জগতে হেমন্ত কুমার নামে প্রসিদ্ধ। পঞ্চাশ-ষাটের দশককে আধুনিক বাংলা গানের স্বর্ণযুগ মনে করা হয়। আর হেমন্ত মুখোপাধ্যায়কে বলা হয় আধুনিক গানের প্রবাদ পুরুষ।

    তার আদি নিবাস ছিল দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার জয়নগরে। তার ছেলেবেলা কেটেছে জয়নগরের বহেডু গ্রামে তিন ভাই আর একমাত্র বোন নীলিমার সাথে। বাবা ছোট চাকরি করতেন। মা হাসিমুখে চার ছেলেকে নিয়ে সামলাতেন সংসার। চব্বিশ পরগনা থেকে বিংশ শতাব্দীর প্রথমার্ধে‌ তার পরিবার কলকাতায় চলে যায়। বড় ভাই তারাজ্যোতি ছোটগল্প লিখতেন। হেমন্ত মেজো। হেমন্তের ছোটভাই অমল মুখোপাধ্যায় গান করতেন। কিছু বাংলা ছায়াছবিতে সঙ্গীত পরিচালনাও করেছিলেন এবং ১৯৬০-এর দশকে কিছু গানও গেয়েছিলেন।

    ছয় ফুট দেড়ইঞ্চি লম্বা হেমন্ত কখনও ওস্তাদের কাছে গান শিখেননি। লোকমুখে শুনে শুনে গান তুলে নিতেন গলায়। টিফিন পিরিয়ডে স্কুলের ক্লাসরুমে বসে গান গাইতেন। একবার সেই গান শুনে ফেলেন অ্যাসিস্ট্যান্ট হেডমাস্টার। স্কুল থেকে প্রায় বিতাড়িত করে দিয়েছিলেন। পরে বাবা গিয়ে অনেক অনুরোধ করে সামাল দেন।

    শিক্ষাজীবনে হেমন্ত ভবানীপুরের মিত্র ইন্সটিটিউশনে ছিলেন। সেখানেই তার সাথে পরিচয় হয় কবি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের। হেমন্তকে রেডিওতে নিয়ে গিয়েছিলেন সুভাষ মুখোপাধ্যায়। শৈলেশ দাসগুপ্তর সহায়তায় ১৯৩৫ সালে ১৪ বছর বয়সে রেডিওতে প্রথম গান গাইলেন হেমন্ত। সুভাষ মুখোপাধ্যায় লেখা ও কমল দাশগুপ্তর সুরে গানটি ছিল ‘আমার গানেতে এলে, নবরূপ চিরন্তনী’।

    এ গানটি খুব একটা জনপ্রিয়তা না পেলেও ১৯৩৭ থেকে তিনি সম্পূর্ণভাবে সঙ্গীতজগতে প্রবেশ করেন। এ বছরই ম্যাট্রিক পাস করেন হেমন্ত। এরপর গ্রামোফোন রেকর্ড Columbia লেবেলে নরেশ ভট্টাচার্যের লেখা ও শৈলেশ দাসগুপ্তর সুর করা ‘জানিতে যদি গো তুমি’ এবং ‘বলো গো বলো মোরে’ গান দুটি ধারণ করেন।

    সেই থেকে প্রতি বছর তিনি গ্রামোফোন কঃ অব ইন্ডিয়ার জন্য গান রেকর্ড করেছেন। ইন্টারমিডিয়েট পাশ করে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে যান। কিন্তু তিনি সঙ্গীতের নেশায় আপন শিক্ষা ত্যাগ করেন। তার সাহিত্যিক হবার ইচ্ছে ছিল। কিছুদিন তিনি দেশ পত্রিকায়ও লেখেন। ১৯৪০ সালে সঙ্গীত পরিচালক কমল দাসগুপ্ত হেমন্তকে দিয়ে ফাইয়াজ হাস্মির কথায় ‘কিতনা দুখ ভুলায়া তুমনে’ ও ‘ও প্রীত নিভানেভালি’ গাওয়ান। তিনি প্রথম ছায়াছবির গান গেয়েছেন ‘নিমাই সন্ন্যাস’ ছবির জন্যে।

    ১৯৪৭ সালে ‘অভিযাত্রী’ ছবিতে সঙ্গীত পরিচালনা করে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে তার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর সাড়া জাগানো ছবি- শাপমোচন, নীল আকাশের নিচে, হারানো সুর সহ অনেক বিখ্যাত ছবির সঙ্গীত পরিচালনা করেছেন হেমন্ত মুখোপাধ্যায়। তার গাওয়া অসংখ্য বিখ্যাত গানের মধ্যে ‘রানার’, ‘কোনো এক গাঁয়ের বধূর কথা’, ‘ঝড় উঠেছে’, ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি’, ‘আমার গানের স্বরলিপি’ প্রভৃতি উল্লেখযোগ্য।

    হেমন্তকে বাদ দিয়ে আধুনিক বাংলা গানের কথা ভাবাই যায় না। আধুনিক গান ছাড়াও হেমন্ত মুখোপাধ্যায় রবীন্দ্র সংগীত ও রজনীকান্তের গান গেয়েছেন। বেশ কিছু চলচ্চিত্রে রবীন্দ্র সঙ্গীতের সার্থক প্রয়োগ ঘটিয়েছেন তিনি।

    হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের অসংখ্য জনপ্রিয় গানের মধ্যে অন্যতম হচ্ছে- ‘পথের ক্লান্তি ভুলে স্নেহ ভরা কোলে তব মাগো, বলো কবে শীতল হবো’, ‘ও নদীরে, একটি কথা শুধাই শুধু তোমারে’, ‘আয় খুকু আয়, আয় খুকু আয়’, ‘মুছে যাওয়া দিনগুলি আমায় যে পিছু ডাকে’, ‘ও আকাশ প্রদীপ জ্বেলোনা, ও বাতাস আঁখি মেলোনা’, ‘আমি দূর হতে তোমারেই দেখেছি, আর মুগ্ধ এ চোখে চেয়ে থেকেছি’, ‘এই রাত তোমার আমার, ঐ চাঁদ তোমার আমার…শুধু দুজনে’, ‘মেঘ কালো, আঁধার কালো, আর কলঙ্ক যে কালো’ এবং ‘রানার ছুটেছে তাই ঝুমঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে’।

    সঙ্গীতে অসামান্য অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন পুরস্কার-সম্মাননার পাশাপাশি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পেয়েছেন সম্মানসূচক ডি.লিট।

    এন-কে

  • সাদেক বাচ্চুকে হারানোর এক বছর আজ

    সাদেক বাচ্চুকে হারানোর এক বছর আজ

    নব্বই দশকে পরিচালক এহতেশামের ‘চাঁদনী’ ছবিতে অভিনয় করে পরিচিতি পান তিনি। রেডিও বা টেলিভিশনের আগে তিনি অভিনয় শুরু করেন মঞ্চে। তার নাট্যদলের নাম মতিঝিল থিয়েটার। আমৃত্যু তিনি দলটির সভাপতি ছিলেন।

    তবে তার অভিনয় আলো ছড়িয়েছে সিনেমাতেই। বৈচিত্র্যময় চরিত্রে অভিনয় করে জয় করে নিয়েছিলেন সারা বাংলার সিনেমাপ্রেমীদের মন। তিনি সাদেক বাচ্চু। আজ তার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী

    ২০২০ সালের ১৪ সেপ্টেম্বর করোনায় আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় না ফেরার দেশে চলে যান জনপ্রিয় অভিনেতা সাদেক বাচ্চু।

    সত্তর দশকের শুরুতে মহিলা সমিতির মঞ্চে এক নাটকে সাদেক বাচ্চুর অভিনয় দেখে তাকে বিটিভিতে ডেকে নেন প্রযোজক আবদুল্লাহ ইউসুফ ইমাম। ১৯৭৪ সালে বিটিভিতে তিনি অভিনয় করেন ‘প্রথম অঙ্গীকার’ নাটকে। তার অভিনীত নাটকের সংখ্যা হাজারের বেশি।

    প্রথম অভিনীত সিনেমা শহীদুল আমিন পরিচালিত ‘রামের সুমতি’।

    বহুমাত্রিক এই অভিনেতার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে- ‘জজ ব্যারিস্টার পুলিশ কমিশনার’, ‘জীবন নদীর তীরে’, ‘জোর করে ভালোবাসা হয় না’, ‘তোমার মাঝে আমি’, ‘ঢাকা টু বোম্বে’, ‘ভালোবাসা জিন্দাবাদ’, ‘এক জবান’, ‘আমার স্বপ্ন আমার সংসার’, ‘মন বসে না পড়ার টেবিলে’, ‘বধূবরণ’, ‘ময়দান’, ‘আমার প্রাণের স্বামী’, ‘আনন্দ অশ্রু’, ‘প্রিয়জন’, ‘সুজন সখী’ প্রভৃতি।

    বাংলাদেশ ডাক বিভাগের অবসরপ্রাপ্ত এ কর্মকর্তা লেখালেখি করেছেন নানা বিষয় নিয়ে।

    এন-কে

  • সাংবাদিক সাইফুল ও দুলু’র পিতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    সাংবাদিক সাইফুল ও দুলু’র পিতার প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    নিজস্ব প্রতিবেদক : জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল পাঠক ডট নিউজ সম্পাদক ও ইউএনবি চট্টগ্রাম ব্যুরো প্রধান সাইফুল ইসলাম শিল্পী এবংং জনপ্রিয় অনলাইন টিভি চ্যানেল সিপ্লাস টিভি ও দৈনিক ভোরের দর্পণ পত্রিকার সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি কামরুল ইসলাম দুলু’র পিতা নুরুল ইসলাম এর প্রথম মৃত্যু বার্ষিকী আজ মঙ্গলবার।

    গত বছরের এই দিনে (২ মার্চ) বার্ধক্যজনিত রোগে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    তাঁর মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে সীতাকুণ্ডের বার আউলিয়া এলাকার নিজ বাড়িতে পবিত্র কুরআন খানি, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে।

  • স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী লায়ন এম আর সিদ্দিকী’র ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী লায়ন এম আর সিদ্দিকী’র ২৯ তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : স্বাধীন-বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্য মন্ত্রী, সাবেক রাষ্ট্রদূত ও শিল্পপতি লায়ন মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর (এম আর সিদ্দিকী) ২৯ তম মৃত্যু বার্ষিকী আজ শনিবার (৬ ফেব্রুয়ারী)। এ উপলক্ষে মরহুমের পারিবারিক আয়োজনে কোরআন খতম, মিলাদ মাহফিলসহ নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

    এ ছাড়া সীতাকুণ্ড সমিতি চট্টগ্রাম এর উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তক অর্পণ দোয়া কামনা করা হবে। মরহুম এম আর সিদ্দিকী ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড উপজেলার দক্ষিণ-রহমতনগর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতার নাম মোহাম্মদ হোসেন। এম.আর সিদ্দিকী ১৯৫৫ সালে জেমস ফিনলে পি.এল.সি-এর মুখ্য হিসাব কর্মকর্তা হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৯ সালে তিনি ইস্টার্ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির (বর্তমানে সাধারণ বীমা কর্পোরেশনের শাখা) ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৬৫ সালে তিনি পাকিস্তান ইন্স্যুরেন্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৬৭ সালে তিনি এ.কে খান জুট মিলসের ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন।

    তিনি ১৯৬৭ সালে ন্যাশনাল মটরস লিমিটেড, ক্রিসেন্ট মটরস লিমিটেড, ১৯৬৮ সালে থেরাপিউটিক্স (বাংলাদেশ) লিমিটেড এবং ১৯৬৯ সালে এস.কে.এম জুট মিলস লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে তিনি সিডকো লিমিটেড এবং ১৯৮৫ সালে সিডকো (গার্মেন্টস বিভাগ) লিমিটেড প্রতিষ্ঠা করেন। ১৯৮৭ সালে তিনি ফেডারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি ইস্টার্ন মার্কেন্টাইল ব্যাংকের (বর্তমানে পূবালী ব্যাংক) স্পন্সর পরিচালক এবং আল বারাকা ব্যাংক বাংলাদেশের (অধুনা বিলুপ্ত, বর্তমানে আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক লিমিটেড) ভাইস চেয়ারম্যান ছিলেন।

    এম.আর সিদ্দিকী ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৬৪ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দেন এবং কেন্দ্রীয় কমিটির কোষাধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া ১৯৬৪-১৯৭২ সাল পর্যন্ত তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ১৯৭০ সালে পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭১ সালে তিনি চট্টগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং চট্টগ্রাম জেলা সংগ্রাম পরিষদের আহবায়ক ছিলেন। চট্টগ্রামের প্রতিরোধ যুদ্ধে তিনি সংগঠকের ভূমিকা পালন করেন। তিনি স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেন। ১৯৭১ সালের ১৭ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠিত হলে তাঁকে পূর্বাঞ্চলীয় জোনাল কম্যান্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ করা হয়। বিদেশে প্রবাসী সরকারের পক্ষে জনমত গঠনের জন্য মুজিবনগর সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে তিনি জুলাই মাসে আমেরিকা সফর করেন। ১৯৭২ সালে এম.আর সিদ্দিকী বাংলাদেশ সরকারের বাণিজ্য ও বৈদেশিক ব্যবসা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নিযুক্ত হন। ১৯৭৩ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সংসদ-সদস্য নির্বাচিত হন। প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত হিসেবে ১৯৭৩ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, যুক্তরাজ্য, ইতালি, ফ্রান্স এবং পশ্চিম জার্মানি সফর করেন। এ সময় তিনি কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে পাকিস্তানে আটকে পড়া বাংলাদেশিদের ফিরিয়ে আনার ব্যাপারে এ সকল দেশের সমর্থন ও সহায়তা অর্জনে সফল হন। ১৯৭৫ সালে তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং মেক্সিকোর রাষ্ট্রদূত নিযুক্ত হন। তিনি ১৯৮০ সালে সক্রিয় রাজনীতি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবাষিকী পালন

    হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপির উদ্যোগে কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবাষিকী পালন

    বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বিএনপি চেয়ারপারসন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর ৬ষ্ঠ মৃত্যুবাষিকী উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী দল হাটহাজারী উপজেলা ও পৌরসভা বিএনপি উদ্যোগে আলোচনা সভা, দোয়া, কোরআনখানি ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ও হাটহাজারী উপজেলা বিএনপির আহবায়ক নুর মোহাম্মদ এর সভাপ্রতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিষ্টার মীর হেলাল উদ্দীন।

    বক্তব্য রাখেন নবগঠিত উত্তর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য ডাঃ রফিকুল আলম চৌধুরী, মোহাম্মদ সেলিম চেয়ারম্যান, হাটহাজারী পৌর সভা বিএনপির আহবায়ক মোহাম্মদ জাকের হোসেন,উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মোসলেম চৌধুরী, মোঃ আইয়ুব খান, রহমতুল্লাহ চৌধুরী, মোঃ ইসমাইল, মোঃ ওসমান গনি, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি ওয়াহিদুল আলম ওয়াহীদ, এম এ হারুন, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সহ সভাপতি এম, এ, রাজ্জাক, মহানগর সেচ্ছাসেবক দলের সহ সভাপতি শফিকুল আলম, চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল আলম জনি, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক শাখাওয়াত হোসেন শিমুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ইমরান চৌধুরী, উত্তর জেলা শ্রমিক দলের সাধারণ সম্পাদক ছৈয়দ নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন আলী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সহ-সাধারণ সম্পাদক মির্জা এরশাদ, মহানগর যুবদলের প্রচার সম্পাদক জিল্লুর রহমান জুয়েল, খোকন, শাহ আলম, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্ম আহবায়ক মাস্টার আরিফ, যুগ্ম আহবায়ক রাজিবুল হক বাপ্পি, যুগ্ম আহবায়ক, নুর নবী (মহররম), বায়েজিদ থানা ছাত্রদল নেতা রাসাম চৌধুরী সাদমান, এস এম আকিব, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জি এম সাইফুল, হাটহাজারী পৌরসভা কৃষকদল এর আহ্বায়ক আবদুল মন্নান দৌলত, আবু সায়িদ, হাটহাজারী উপজেলা তাঁতী দলের সভাপতি মোঃ শহিদুল্লাহ সাধারণ সম্পাদক মোঃ ফোরকান উদ্দীন, উত্তর জেলা যুবদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক ফখরুল হাসান, আবদুল কাদের, মহিউদ্দিন, মোহাম্মদ জাবেদ, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক মোঃ নুরুল কবির তালুকদার, ইয়াকুব মেম্বার, হাটহাজারী পৌরসভা যুবদলনেতা মীর্জা এমদাদ,হেলাল উদ্দিন, বায়েজিদ থানা যুবদল নেতা মোহাম্মদ রুবেল, উপজেলা যুবদল নেতা জাহাঙ্গীর, মোর্শেদ, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদল এর আহ্বায়ক তকিবুল হাসান তকি, কুয়াইশ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলাউদ্দিন জনি, হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রদল এর সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মিজানুর রহমান টিপু, সালাউদ্দিন খালেক, কামরুদ্দিন নাহিদ, হাটহাজারী পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম চৌধুরী রকি, সদস্য সচিব সাহেদ খান, কুয়াইশ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ ছাত্রদলের আহবায়ক সাজ্জাদ হোসেন রানা, সদস্য সচিব আহমেদ মাহিন, ফতেয়াবাদ কলেজ ছাত্রদলের সদস্য সচিব জুবায়ের সায়মন অন্তু, হাটহাজারী পৌরসভা বিএনপি যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা সাইফুল ইসলাম, ইলিয়াস মেহেদী, দিদারুল আলম,কামরুদ্দিন বাবু, মহিউদ্দিন, নেজাম উদ্দিন, আলমগীর, এস এম আলী,ওয়াহিদুল আলম, ফারভেজ, আকবর, ইমরান হাসান, ওসমান, নজরুল হাটহাজারী পৌরসভা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নোমান হোসেন, যুগ্ম আহ্বায়ক মোহাম্মদ রাসেল,যুগ্ম আহ্বায়ক রাসেদুল ইসলাম,যুগ্ম আহ্বায়ক শাহজালাল ফরহাদ, ইসলাম, মুবিন, হাসান শিকদার, সিফাত, সাহেদ, আরমান, রাজু সহ অসংখ্য নেতৃবৃন্দ।

    পরে কোকোর মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

  • মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    মহিউদ্দীন চৌধুরীর ৩য় মৃত্যুবার্ষিকীতে কবর জিয়ারত করলেন চসিক প্রশাসক

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও চট্টগ্রামসহ দেশের রাজনৈতিক অঙ্গণের অলোচিত ও পরিচিত মুখ গণমানুষের নেতা আধুনিক চট্টগ্রামের স্বপ্নদ্রষ্টা ‘চট্টলবীর’ খ্যাতি পাওয়া প্রয়াত সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দীন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার ভোরে মরহুমের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রশাসক আলহাজ্ব মোহাম্মদ খোরশেদ আলম সুজন।

    প্রশাসক কর্পোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে কবর জিয়ারত ও মরহুমের রূহের মাগফেরাত কামনায় বিশেষ মুনাজাত করেন। মুনাজাত পরিচালনা করেন চসিকের মাদ্রাসা পরিদর্শক মাওলানা হারুনুর রশিদ চৌধুরী। এর আগে কোরান খতমের অয়োজন করা হয়।

    শ্রদ্ধানিবেদনকালে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা কাজী মুহাম্মদ মোজাম্মেল হক, সচিব মুহাম্মদ আবু সাহেদ চৌধুরী, প্রধান প্রকৌশলী লে.কর্নেল সোহেল আহমেদ, প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা সুমন বড়ুয়া, চসিক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জোন-৬ এর আফিয়া আখতার, স্পেশাল ম্যজিস্ট্র্যাট ও যুগ্ম জেলা জজ জাহানারা ফেরদৌস, প্রশাসকের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ এ কে এম রেজাউল করিম, উপ-সচিব আশেক রসূল চৌধুরী টিপু,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, ঝুলন কুমার দাশ, সুদীপ বসাক, নির্বাহী প্রকৌশলী অসীম বড়ুয়া, আবু তৈয়ব, শাহিনুল ইসলাম ও ভু-সম্পত্তি কর্মকর্তা কামরুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণ প্রশাসকের সাথে ছিলেন।

  • আজ চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও সাবেক সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর নগরীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এ উপলক্ষে নানা কর্মসূচি গ্রহণ করেছে নগর আওয়ামী লীগ ও তার পরিবার। কর্মসূচির শুরুতে আজ রোববার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ৯টায় নগরের চশমাহিল কবরস্থানে মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত করা হবে।

    তাঁর তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯ টায় চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে মরহুমের কবরে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সকাল ১০টায় ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসি) খতমে কোরআন, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল, সকাল ১১টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে।

    এতে প্রধান অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ভার্চুয়ালি তার বাসভবন ঢাকা থেকে অংশ নেবেন।

    সভাপতিত্ব করবেন সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী।

    এসব কর্মসূচিতে অংশগ্রহণের জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল স্তরের নেতাকর্মী, থানা, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের যথাসময়ে উপস্থিত থাকার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আজম নাছির উদ্দীন সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।

    পাঁচ দশকেরও বেশি সময় নানা রাজনৈতিক সংকটে সম্ভাবনায় চট্টগ্রামের মানুষের পাশে থেকে এই আওয়ামী লীগ নেতা হয়ে উঠেছিলেন ‘চট্টল বীর’। তাঁর মৃত্যুতে প্রশংসা ঝরেছিল রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের কণ্ঠেও। দল মত নির্বিশেষে সকলের নেতা হয়ে উঠেছিলেন মহিউদ্দিন চৌধুরী। বিশেষ করে চট্টগ্রামের স্বার্থ ও সংকটের তাঁর অবদান চট্টলবাসী চিরদিন মনে রাখবে। প্রিয় নেতা মৃত্যুর খবর শুনে ২০১৭ সালের এইদিনে শোকের ছায়া নেমে এসেছিল চট্টলার পুণ্যভূমিতে। তাঁর জানাজায় হাজির হয়ে শেষ বিদায় জানিয়েছিল লাখো জনতা। দল মত নির্বিশেষে লাখো মানুষের অংশগ্রহণে সেদিনের জানাজা জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছিল।

    ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরা গ্রামের বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্ম মহিউদ্দিন চৌধুরীর। বাবা হোসেন আহমদ চৌধুরী ছিলেন রেলওয়ে কর্মকর্তা। মা বেদুরা বেগম।

    ছাত্রাবস্থায় রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া মহিউদ্দিন ১৯৬২ সালে এসএসসি, ১৯৬৫ সালে এইচএসসি এবং ১৯৬৭ সালে ডিগ্রি পাস করেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগ এবং পরে আইন কলেজে ভর্তি হলেও শেষ করেননি। জড়িয়ে পড়েন ছাত্র আন্দোলনে।

    ১৯৬৮ ও ১৯৬৯ সালে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করা মহিউদ্দিন একাত্তরে গঠন করেন ‘জয় বাংলা’ বাহিনী। গ্রেফতার হন পাকিস্তানি সেনাদের হাতে। পাগলের অভিনয় করে কারাগার থেকে ছাড়া পেয়ে পালিয়ে যান ভারতে। সম্মুখ সমরের যোদ্ধা মহিউদ্দিন স্বাধীনতার পর শ্রমিক রাজনীতিতে যুক্ত হন। পরে যুবলীগের নগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক পদ পান। দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে মহিউদ্দিন চট্টগ্রামে ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও শ্রমিক লীগের শীর্ষ পদে ছিলেন।

    পঁচাত্তরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে প্রতিশোধ নিতে মৌলভী সৈয়দের নেতৃত্বে ‘মুজিব বাহিনী’ গঠন করেন। ওই সময় ‘চট্টগ্রাম ষড়যন্ত্র মামলা’র আসামি করা হলে তিনি কলকাতায় চলে যান। এরপর ১৯৭৮ সালে দেশে ফেরেন।

    ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড়ের পর বেওয়ারিশ মরদেহ নিজ কাঁধে বহন করে দাফন ও সৎকার করে চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা হিসেবে পরিচিতি পান মহিউদ্দিন চৌধুরী।

    চট্টগ্রামে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন, বন্দর রক্ষা আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনেও তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।

    পাঁচ দশকের রাজনৈতিক জীবনে ছিল অনেক অর্জন। ১৯৯৪ সালে প্রথমবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র প্রার্থী হয়েই মহিউদ্দিন চৌধুরী বিজয়ী হন। ২০০০ সালে দ্বিতীয় দফায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এবং ২০০৫ সালে তৃতীয় দফায় মেয়র নির্বাচিত হন তিনি। তিন তিনবার নির্বাচিত হয়ে টানা ১৭ বছর তিনি চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে ছিলেন। তাঁর আমলে নগরের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও পরিচ্ছন্নতা সেবা এখনো চট্টলবাসী ভুলতে পারে না।

    ২০১৫ সালে আবার মেয়র প্রার্থী হলেও দলীয় সিদ্ধান্তের কারণে তিনি মেয়র প্রার্থী থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেন। তবে বঙ্গবন্ধুর স্নেহধন্য চট্টলবীর মহিউদ্দিন চৌধুরী মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। যে মাসে তাঁর জন্ম, সে বিজয়ের মাসে এই মহান বীরের মৃত্যু এখনো চিরস্মরণীয় হয়ে আছে চট্টলবাসীর মনে।

    ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর হৃদযন্ত্র ও কিডনির জটিলতায় নগরের একটি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন মহিউদ্দিন চৌধুরী।

  • আজ সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি কাসেম মাস্টার’র মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ সীতাকুণ্ডের সাবেক এমপি কাসেম মাস্টার’র মৃত্যুবার্ষিকী

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের গণমানুষের নেতা হিসেবে খ্যাত সাবেক প্যানেল স্পিকার, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি ও সাবেক এমপি মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টারের আজ ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী।

    তিনি সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সপ্তম ও নবম সংসদের সদস্য ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    ১৯৩৮ সালে সীতাকুণ্ডের দক্ষিণ সলিমপুরে জন্ম নেওয়া আবুল কাসেম শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন।

    তাঁর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুম মাস্টার আবুল কাসেম ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। সকালে মরহুমের কবরে পুস্পমাল্য অর্পন, জিয়ারত, মিলাদ মাহফিল, শোকসভা ও কাঙ্গালীভোজের আয়োজন করা হয়েছে।

    এছাড়া সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ ও জিয়ারত অনুষ্ঠিত হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/মোরশেদ/দুলু

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী’র মৃত্যুবার্ষিকীতে রেজাউল করিম চৌধুরী শ্রদ্ধাঞ্জলি

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী’র মৃত্যুবার্ষিকীতে রেজাউল করিম চৌধুরী শ্রদ্ধাঞ্জলি

    মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম আলহাজ্ব আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র মৃত্যুবার্ষিকীতে তার কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জিয়ারত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চসিক মেয়র পদপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু’র কবরে শ্রদ্ধাঞ্জলি ও জিয়ারতের সময় সি ডি এ চেয়ারম্যান এম. জহিরুল আলম দোভাষ, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক শফিক আদনান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফারুক আহমেদ সহ যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও ছাত্রলীগ এর নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আজ দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা ইউসুফ চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

    চট্টগ্রামের দৈনিক পূর্বকোণের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরীর ১৩তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ২০০৭ সালের ৯ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ১২টায় তিনি মক্কার জিয়াদ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

    ১২ সেপ্টেম্বর ফজরের নামাজের পর মসজিদুল হারামে নামাজে জানাজা শেষে সকাল ৯টায় মক্কার সরায়ে মকবরায় মরদেহ দাফন করা হয়। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

    মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী পবিত্র ওমরাহ পালনের জন্য ওই বছরের ৭ সেপ্টেম্বর মক্কা গিয়েছিলেন। পরদিন সকালে তিনি অসুস্থ হলে জিয়াদ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    মোহাম্মদ ইউসুফ চৌধুরী ১৯২১ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর রাউজানের ঢেউয়া হাজিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বর্ণাঢ্য কর্মজীবনে সংবাদপত্র শিল্পসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভূতপূর্ব অবদান রাখেন। ১৯৮৬ সালে তিনি দৈনিক পূর্বকোণ প্রকাশ করেন।

    ১৯৯২ সাল থেকে সক্রিয় ছিলেন ডেইরি ও পোল্ট্রি শিল্পের আন্দোলনে। ডেইরি ও পোল্ট্রি ফার্ম অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতিও ছিলেন।

    তিনি জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের আগমনস্থল নিজ বাড়িতে কবির স্মৃতিচিহ্ন রক্ষা, নজরুল মেলা এবং নজরুল পাঠাগার স্থাপন করেন। বিআইটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের সংগ্রামেও তিনি ভূমিকা রেখেছেন। চট্টগ্রামে ভেটেরিনারি কলেজ ও পরবর্তীতে ভেটেরিনারি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠায় তার অবদান চিরস্মরণীয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর