Tag: মৃত্যুবার্ষিকী

  • মরহুম এম এ রহিমের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কোরআন ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন

    মরহুম এম এ রহিমের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে খতমে কোরআন ও শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেদন

    নাঙ্গলমোড়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সফল সভাপতি,চট্টগ্রাম উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও হাটহাজারী উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মরহুম জননেতা এম এ রহিমের ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তার কবরে খতমে কুরআন, ফুলের শ্রদ্ধাঞ্জলী ও তার আত্নার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক মোঃ হোসেন, মামুনুল হক, আলী আব্বাস, আ স ম সাইফুল্লাহ, ওয়াহিদুল আলম, সোহেল, শহীদুল ইসলাম, তারেক, ইয়াছির আরাফাত, শেখ আরফাত, জাহেদ, জিমি, সাকিল রায়হান, আরফাত, ফরহাদ, আরমান, রবি, সাব্বির, রিফাত, জুয়েল, সম্রাট, ফাহিম, প্রমুখ।

    এম এ রহিম ২০১৫ সালের ২৭ রমজান চট্টগ্রামস্থ মেট্রো পলিটন হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • আজ ছাত্রনেতা জালাল উদ্দীন সোহেলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ ছাত্রনেতা জালাল উদ্দীন সোহেলের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকী

    বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল চট্টগ্রাম মহানগর শাখার সাবেক যুগ্ম সম্পাদক জালাল উদ্দীন সোহেলের ৩য় মৃত্যু বার্ষিকী আজ।

    ২০১৭ সালের ১৭ মে নগরীর বাদশা মিয়া সড়কে সড়ক দুর্ঘটনায় গুরুতর আহত অবস্থায় নগরীর একটি প্রাইভেট হাসপাতালে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    মরহুম জালাল উদ্দীন সোহেল ছিলেন ছাত্রদলের তৃণমূল পর্যায়ে খুবই জনপ্রিয় ও মেধাবী একজন ছাত্রনেতা। স্কুল জীবন থেকে ছাত্ররাজনীতিতে জড়িয়ে পড়া এই ছাত্রনেতা ইউনিট পর্যায় থেকে পর্যায়ক্রমে মহানগর ছাত্রদলের গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন ছিলেন আমৃত্যু।

    তাঁর মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, নগর ছাত্রদলের অন্যতম মেধাবী ও দূরদর্শী ছাত্রনেতা ছিলো সোহেল। সে ছাত্রদলের পাশাপাশি অন্যান্য সহযোগী সংগঠনও জোরালো ভূমিকা পালন করতো। আমার দেখা নগর ছাত্রদলের অন্যতম শ্রেষ্ঠ সংগঠক ছিলো সোহেল। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করছি।

    নগর বিএনপির সাধারন সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, সোহেল ছিলো একজন সফল ছাত্রনেতা। সে সবসময় দল ও সংগঠনের কথা সর্বাগ্রে চিন্তা করতো। এক কথায় দল পাগল। তার মতো ছাত্রনেতা কদাচিৎ জন্মায়।

    এদিকে জালাল উদ্দীন সোহেলের মৃত্যুবার্ষিকী করোনার কারণে যথাযথভাবে পালন করতে পারছে না নগর ছাত্রদল।

    এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নগর ছাত্রদল নেতা সৌরভ প্রিয় পাল বলেন, আমরা মরহুম ছাত্রনেতা জালাল উদ্দীন সোহেল ভাইয়ের মৃত্যুবার্ষিকী করোনার জন্য যথাযথ ভাবে পালন করতে পারছি না, এটার জন্য আমরা আন্তরিকভাবে দুঃখিত। তবুও মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনায় খতমে কুরআন ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করেছি সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে এবং সীমিত পরিসরে। এছাড়াও নগরীর বিভিন্ন স্পষ্টে ঐ দিন নগর ছাত্রদলের বিভিন্ন ইউনিট ইফতার বিতরণ কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। সবাইকে নিজনিজ অবস্থানে থেকে মরহুম ছাত্রনেতা জালাল উদ্দীন সোহেল ভাইয়ের আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া করতে বলা হয়েছে।

    এ ব্যাপারে তাঁর বড়ভাই জামাল উদ্দিন বাবু ফেইসবুকে স্ট্যাটাসদিয়ে লিখেন, পরিবারের সকল আত্বীয়-স্বজন, বন্ধু-বান্ধব ও শুভাকাঙ্খী এবং শহীদ এস এম জালাল উদ্দিন সোহেলের সকল বন্ধু-বান্ধব, সহকর্মী, শুভাকাঙ্খী এবং তার রাজনৈতিক জীবনের সকল স্তরের নেতা-কর্মী, সহযোদ্ধা সহ সকলকে যার যার অবস্হানে থেকে তার জন্য দোয়া করতে পরিবারের পক্ষ থেকে আন্তরিক অনুরোধ জানানো হচ্ছে। দেশে করোনা ভাইরাস মহামারী আকার ধারন করায় জীবনের ঝুকিঁ এড়াতে সবাইকে কোনোরকম জমায়েত না করে নিজ অবস্হানে থেকে দোয়া করার অনুরোধ রইল। গণজমায়েত করে অনুষ্ঠান করতে গিয়ে কারো জীবন ঝুকিঁতে পড়ুক আমরা তা চাইনা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু’র কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলী

    ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু’র কবরে খোরশেদ আলম সুজনের শ্রদ্ধাঞ্জলী

    ’৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী ছাত্র গণ আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক, প্রাক্তন ছাত্রনেতা ডা. জাহাঙ্গীর সাত্তার টিংকু’র ৮ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারী) সকালে মরহুমের গ্রামের বাড়ী রাউজানের কদলপুরস্থ কবরস্থানে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন।

    এ সময় তিনি মরহুমের কবরে কিছু সময় নীরবে দাড়িয়ে থাকেন এবং তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া মোনাজাতে অংশগ্রহণ করেন।

    শ্রদ্ধা নিবেদনকালে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মসিউর রহমান চৌধুরী, মহানগর আওয়ামী লীগ নেতা জামশেদুল আলম চৌধুরী, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সম্পাদক শওকত হোসাইন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য নুরুল কবির, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম মাসুম, সেলিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য সাইফুল্লাহ আনছারী, ইসলামিয়া কলেজ ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি মনিরুল হক মুন্না, মাসুদ আলম প্রমূখ।

     

  • বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এম.আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী এম.আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ

    কামরুল ইসলাম দুলু : মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, রাজনীতিবিদ, প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত, স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম বাণিজ্যমন্ত্রী, এম আর সিদ্দিকীর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ ৬ ফেব্রুয়ারী।

    তাঁর ২৮তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে লায়ন্স ফাউন্ডেশন চট্টগ্রাম জেলার উদ্দোগে নগরীর খুলশীস্থ লায়ন্স ফাউন্ডেশনে আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।

    তাঁর পুরো নাম মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী যিনি সারা দেশব্যাপী এম আর সিদ্দিকী নামে সর্বত্র পরিচিত। ১৯২৫ সালের ১ মার্চ সীতাকুণ্ড থানার মুরাদপুর ইউনিয়নের রহমতনগর গ্রামে তিনি জন্মগ্রহন করেন। এম.আর সিদ্দিকী জাতীয় রাজনীতিতে ছিলেন সফল ব্যক্তিত্ব। ১৯৬২ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে তিনি তৎকালীন পাকিস্তান ন্যাশনাল এসেম্বলির সদস্য নির্বাচিত হন।

    সীতাকুণ্ড থানা থেকে এম.আর সিদ্দিকীর পূর্বে কেউ পাকিস্তানের জাতীয় বা প্রাদেশিক পরিষদে নির্বাচিত হননি। ১৯৭০ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্য এবং ১৯৭৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের সদস্য নির্বাচিত হন।

    বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তিনি বঙ্গবন্ধু সরকারের প্রথম মন্ত্রীসভায় বাণিজ্যমন্ত্রী রূপে যোগদান করেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ছিলেন।

    তাঁকে বাংলাদেশের লায়নিজম চর্চার জনক হিসেবে গণ্য করা হয়। জীবনে তিনি বহু শিল্প কল-কারখানা, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিজ উদ্যোগে পড়ে তোলেন।

    সীতাকুণ্ডের মধ্যাংশে কোন কলেজ না থাকায় ১৯৭৩ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় এবং ১৯৮৫ সালে প্রতিষ্ঠা করেন লতিফা সিদ্দিকী ডিগ্রি কলেজ। এই ক্ষণজন্মা মহাপুরুষ ১৯৯২ সালে ৬ ফেব্রুয়ারী ঢাকায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

  • জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র থেমে নেই:কর্ণেল অলি

    জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র থেমে নেই:কর্ণেল অলি

    সাবেক মন্ত্রী, ২০ দলীয় জোটের সমন্বয়ক ও এলডিপির চেয়াম্যান ড. কর্ণেল অলি আহমেদ বীর বিক্রম বলেছেন, জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় ষড়যন্ত্র থেমে নেই। আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সহধর্মিনী, মাটি ও মানুষের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সরকারের রোষানলে জেল হাজতে আজও বন্দি।

    ক্ষমতাসীন জালিম সরকারের দু:শাসনে দেশবাসী অতিষ্ট। ১/১১ সরকারের সরকারের মেন্টাল টর্সারে পরবর্তীতে ক্ষমতাসীন আওয়ামীলীগের মামলার জালে ফরমায়েশী সাজার রায়ে নানাবিধ মানসিক অত্যাচারে অল্প বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন শহীদ জিয়া ও খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠ পুত্র বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো।

    রাষ্ট্রীয় হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন মিথ্যা, বিভ্রান্তিকর অপপ্রচারে লিপ্ত ক্ষমতালোভী আওয়ামীলীগ।

    আওয়ামী দু:শাসনে দেশের সাধারণ জনগণ নিদারুন কষ্টে দিনাতিপাত করছে। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি, শেয়ারবাজার লুট, ব্যাংক লুটে ব্যস্ত ক্ষমতাসীন।

    তিনি আজ ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার বাদে জুমা আমানত শাহ মাজার সংলগ্ন মসজিদে আরাফাত রহমান কোকোর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

    চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে সংক্ষিপ্ত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন নগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক এস এম সাইফুল আলম। মিলাদ ও দোয়া মাহফিলে মুনাজাত পরিচালনা করেন ড. কর্ণেল অলি আহমদ বীর বিক্রম।

    তিনি এ সময় কোকোর রূহের মাগফেরাত কামনা করেন। তিনি শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও কোকোর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে আল্লাহর দরবারে দোয়া করেন জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করার জন্য। দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কারামুক্তি ও রোগমুক্তির জন্য দোয়া করেন।

    উক্ত দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ-সভাপতি এস এম শাহ আলম রব, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ ইলিয়াছ, আবদুল গফুর বাবুল, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, জসিমুল ইসলাম কিশোর, মুজিবুর রহমান মুজিব, যুগ্ম সম্পাদ সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, রাজন খান, সহসাধারণ সম্পাদক ওসমান গণি মুজিবুর রহমান রাসেল, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. ইকবাল, দিদারুল আলম, সহ সম্পাদক কমল জ্যোতি, জহিরুল ইসলাম জহির, কামরুল ইসলাম, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, আশ্রাফ উদ্দিন, ইব্রাহিম খান, জাফর সাদেক সোহেল, আবুল কালাম আবু, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গির আলম মানিক, ইমরান ভূঁইয়া, সদস্য লতিফুল বারী সুমন, আবদুল্লাহ আল মামুন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুর করিম।

    থানা যুবদলের কুতুব উদ্দিন মনজুর আলম মঞ্জু, শওকত খান রাজু, আকাশ রাসেল, রাসেল রানা বাবু, আমজাদ, মুশফিকুর রহমান নয়ন, শফিকুল আলম, সুজাত হোসেন সুজন, রুবেল, সৌরভ বড়ুয়া, রবিউল ইসলাম সুমন, রুবেল, মো. হাসান, জহিরুল ইসলাম, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেন, আনোয়ার হোসেন, মোজাম্মেল, তারেক রহমান, এম এস অভি প্রমূখ।

  • আরাফাত রহমান কোকো প্রচারবিমূখ ও নিরহংকারী ছিলেন:শাহাদাত

    আরাফাত রহমান কোকো প্রচারবিমূখ ও নিরহংকারী ছিলেন:শাহাদাত

    মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, আরাফাত রহমান কোকো শহীদ জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার সন্তান হয়েও ছিলেন সাদাসিধে জীবন যাপনে করতেন। তিনি অত্যন্ত বিনয়ী, প্রচারবিমূখ এবং নিরহংকারী
    ব্যক্তি ছিলেন। রাজনৈতিক পরিবারে তার জন্ম হলেও তিনি রাজনীতিক হিসাবে নয় একজন ব্যবসায়ী ও ক্রীড়া সংগঠক হিসাবে বেশী পরিচিত ছিলেন।
    ক্রিকেটপ্রেমী হিসেবে ক্রিকেটের উন্নয়নে ছুটে বেড়িয়েছেন শহর থেকে গ্রামে। ক্রিকেট বোর্ডেও উপদেষ্টা হিসবে তিনি ক্রিকেটের উন্নয়নে যে কর্মসূচি শুরু করেছিলেন বর্তমানে তার সুফল পাচ্ছে ক্রিকেট দল।
    তিনি আজ ২৪ জানুয়ারী শুক্রবার বিকালে বিশিষ্ট ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকো’র ৫ম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদের উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে এক স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।
    এতে প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসেম বক্কর বলেন, ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারী দেশের গণআন্দোলনের এক শ্বাসরুদ্ধকর সময়ে বেগম খালেদা জিয়া গুলশানের নিজ কার্যালয়ে পুলিশী
    অবরুদ্ধ থাকা অবস্থায় মালয়েশিয়ায় আকস্মিক মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন আরাফাত রহমান কোকো। তার অকাল মৃত্যুতে দেশবাসি শোকের মুহ্যমান হয়ে পড়েছিলেন। ১/১১ সরকারের সময়ে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে গ্রেফতার পর রিমান্ডে নিয়ে শারীরিক ও মানসিকভাবে প্রচন্ড নির্যাতন করে তাকে পুঙ্গু করা হয়। নির্যাতনের ফলে কোকোর হৃদযন্ত্রের সমস্যা দেখা দেয়।
    কোকোর ৫ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বাদে জুমা চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে দলীয় কার্যালয় সংলগ্ন জামে মসজিদে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। দোয়া মাহফিলে বেগম খালেদা জিয়া, তারেক রহমানের আশু রোগমুক্তি সুস্বাস্থ্য কামনা এবং জিয়াউর রহমান ও আরাফাত রহমান কোকোর রুহের মাগফেরাত কামনা করে
    দোয়া ও মুনাজাত করা হয়। জামে মসজিদের খতীব মাওলানা এহসানুল হক দোয়া ও মিলাদ পরিচালনা করেন। বিকাল ৩ টায় নগরীর চকবাজারস্থ টাকশাহ মসজিদে এতিমদের মাঝে খাবার বিতরণ করা হয়।
    কোকো স্মৃতি সংসদের সভাপতি হাসান রুবেলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এন মোহাম্মদ রিমনের পরিচালনায় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি আলহাজ্ব এম এ আজিজ, মোহাম্মদ মিয়া ভোলা, নাজিমুর রহমান,
    জাহিদুল করিম কচি, যুগ্ম সম্পাদক ইসকান্দর মির্জা, আর ইউ চৌধুরী শাহীন, ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, সামশুল হক, গাজী মো. সিরাজ উল্লাহ, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামরুল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক শিহাব উদ্দিন মুবিন, প্রবাসী কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক আবদুস সালাম তালুকদার, স্বাস্থ্য বিষযক সম্পাদক ডা. এস এম সরওয়ার আলম, পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিন মাহমুদ, নগর মহিলা দলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ফাতেমা বাদশা,  কোতোয়ালী থানা বিএনপির সভাপতি মনজুর রহমান চৌধুরী, নগর বিএনপির সহসম্পাদকবৃন্দ আবদুল হালিম স্বপন, মো. ইদ্রিস
    আলী, অধ্যক্ষ খোরশেদ আলম, খোরশেদ আলম কুতুবী, জেলী চৌধুরী, বেলায়েত হোসেন বুলু, আবু মুসা, আলমগীর নূর, আলী আজম, কোতোয়ালী থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব জাকির হোসেন, নগর সদস্য ইউসুফ সিকদার, গোলজার বেগম, ফিরিঙ্গিবাজার ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি আকতার খান, মো. সেকান্দর,  ওয়ার্ড
    বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জাহিদ উল্লাহ রাশেদ, মনজুর কাদের, হাজী মো. জাহেদ, মোস্তাক আহমদ, নগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, নগর যুবদলের সহসম্পাদক মো. সালাহ উদ্দিন, কোকো স্মৃতি সংসদ’র আওরঙ্গজেব খান সম্রাট, মিজানুর রহমান মোস্তফা, গোলাম শফি দুলু, এস এম
    ইউসুফ, নাজমুল হায়দার, ইমতিয়াজ উদ্দিন, ওমর কাইয়ুম, সাইফুদ্দিন ওয়াসিম, সাইফুল ইসলাম সায়েল, শাহরিয়ার আহমদ, শাহাদাত রাসেল, মো. ইউসুফ, ইফতেখার করিম, নাজিম উদ্দিন নয়ন,  প্রমুখ।
  • মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মেয়র হজ্ব কাফেলার খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুবার্ষিকীতে মেয়র হজ্ব কাফেলার খতমে কোরআন ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত

    স্বল্প খরচে উন্নতমানের হজ্ব সেবা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত মেয়র হজ্ব কাফেলার সাবেক চেয়ারম্যান এবং চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে মরহুমের কবরে ফুলেল শ্রদ্ধা অর্পন, কবর জেয়ারত ও বাদ জোহর থেকে বাদ আসর পর্যন্ত প্রেসক্লাবস্থ মেয়র হজ্ব কাফেলার কার্যালয়ে খতমে কোরআন এবং মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর সারা দিনব্যাপী উক্ত কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন মেয়র হজ্ব কাফেলার নির্বাহী পরিচালক আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, পরিচালকবৃন্দ যথাক্রমে আলহাজ্ব মুছা মিরদাদ, আলহাজ্ব মোঃ জাহাঙ্গীর, আলহাজ্ব সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী, আলহাজ্ব শহীদুল ইসলাম, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম নুরুল আনোয়ারসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং প্রতিষ্ঠানের সকল কর্মকর্তা কর্মচারীবৃন্দ।

  • কাল চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী : নগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    কাল চট্টগ্রামের বর্ষিয়ান নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী : নগর আওয়ামী লীগের কর্মসূচি

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী আগামিকাল ১৫ ডিসেম্বর রবিবার।

    চট্টলবীর খ্যাত চট্টগ্রামের মাটি ও গণমানুষের প্রিয় জননেতা আলহাজ্ব এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন।

    কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে রবিবার সকাল ৯টায় চশমা হিলস্থ মরহুমের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও জিয়ারত, সকাল ১১টায় কাজীর দেইড়ীস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেশনাল সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর সদস্য সাবেক মন্ত্রী আমির হোসেন আমু এমপি। সভাপতিত্ব করবেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী।

    এই কর্মসূচিতে উপস্থিত থাকার জন্য মহানগর আওয়ামী লীগের সকল কর্মকর্তা, সদস্যবৃন্দ, থানা ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সহ সহযোগি সংগঠনের সকল স্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকার জন্য চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন অনুরোধ জানিয়েছেন।

    গত ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর ইন্তেকাল করেন চট্টগ্রামের ১৭ বছরের মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। তিনি একাধারে ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সফল সভাপতি।

    ১৯৪৪ সালের ১ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের রাউজানের গহিরা গ্রামের বক্স আলী চৌধুরী বাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী। ছাত্র অবস্থাতেই রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। স্বাধীনতার পর থেকে মৃত্যু অবধি চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন তিনি।

    ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালের তিনি তৃতীয়বারের মতো মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হন। একাধারে তিনি ১৭ বছর চট্টগ্রামের মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    দীর্ঘদিন ধরে হৃদ্‌রোগ, কিডনি জটিলতাসহ বার্ধক্যজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে গত ২০১৭ সালের ১৫ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত তিনটার দিকে চট্টগ্রামের মেহেদিবাগের বেসরকারি একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মহিউদ্দিন চৌধুরী মারা যান।

  • আজ সীতাকুণ্ডের সাবেক সাংসদ আবুল কাসেম মাস্টারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ সীতাকুণ্ডের সাবেক সাংসদ আবুল কাসেম মাস্টারের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের গণমানুষের নেতা হিসেবে খ্যাত সাবেক প্যানেল স্পিকার ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মরহুম আলহাজ্ব এ বি এম আবুল কাসেম মাস্টারের আজ ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী

    তিনি সীতাকুণ্ড সংসদীয় আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে দু’বারের নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছাড়াও চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    শিক্ষকতা দিয়ে কর্মজীবন শুরু করলেও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একজন ত্যাগী নেতা হিসেবে বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন।

    তাঁর ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে পরিবারের পক্ষ থেকে দোয়া মাহফিল,খতমে কোরআন, কবরে পুস্পমাল্য অর্পণ, স্বরণসভা এবং জেয়াফতের আয়োজন করা হয়েছে।

  • আজ মওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ মওলানা ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী

    আজ মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানীর ৪৩তম মৃত্যুবার্ষিকী। ১৯৭৬ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকার পিজি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। পরে টাঙ্গাইলের সন্তোষে তাকে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়। এ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা ও টাঙ্গাইলের সন্তোষে বিভিন্ন কর্মসূচি নেয়া হয়েছে।

    কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- ভাসানীর কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল।

    ১৮৮০ সালের ১২ ডিসেম্বর সিরাজগঞ্জের ধানগড়া গ্রামে মওলানা ভাসানীর জন্ম। সিরাজগঞ্জে জন্ম হলেও মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী তার জীবনের সিংহভাগই কাটিয়েছেন টাঙ্গাইলের সন্তোষে। তিনি কৈশোর-যৌবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দীর্ঘদিন তিনি তৎকালীন বাংলা-আসাম প্রদেশ মুসলিম লীগের সভাপতি ছিলেন।

    মওলানা ভাসানী দেশের নিপীড়িত ও নির্যাতিত মানুষের মুক্তির জন্য সারা জীবন আন্দোলন ও সংগ্রাম করেছেন। তিনি ১৯৫৪ সালের নির্বাচনে যুক্তফ্রন্ট গঠনকারী নেতাদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন। বাংলাদেশের স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালে গঠিত প্রবাসী সরকারের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সভাপতি ছিলেন তিনি।

    মওলানা ভাসানী মানুষের অধিকার ও স্বার্থরক্ষায় আজীবন নিরবচ্ছিন্নভাবে সংগ্রাম করে গেছেন। দীর্ঘ কর্মজীবনে তিনি জনগণের জন্য নিঃস্বার্থভাবে কাজ করে গেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি ছিলেন নির্মোহ, অনাড়ম্বর ও অত্যন্ত সাদাসিধে। তার সাধারণ জীবনযাপন এ দেশ ও জনগণের প্রতি গভীর ভালোবাসার প্রতিফলন।

  • আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর মৃত্যুবার্ষিকীতে চাচার প্রতি নওফেলের শ্রদ্ধা জ্ঞাপন

    আজ ৪ নভেম্বর বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী। তার শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন ছাড়াও আনোয়ারা উপজেলার বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠনের উদ্দ্যেগে দিনব্যাপী স্মরণানুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এছাড়াও মরহুমের আনোয়ারা হাইলধরের গ্রামের বাড়িতে পরিবারের পক্ষ থেকেও খতমে কোরআন, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল ছাড়াও বিশেষ মোনাজাতের আয়োজন করা হয়েছে জানালেন প্রয়াত নেতার বড় ছেলে ভুমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ।

    এদিকে বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদকে স্মরণ করে ৪ নভেম্বরের প্রথম প্রহরে চাচার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করেছেন চট্টগ্রামের আরেক প্রয়াত বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ পুত্র ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের আওয়ামী লীগের দুঃসময়ের কান্ডারি এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ঘনিষ্ট আস্তাবাজন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ও এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর তৎকালীন বিভিন্ন রাজনৈতিক মঞ্চের কয়েকটি ছবিসহ রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৯ মিনিটে নওফেল তার ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে স্ট্যাটাস দিয়ে প্রয়াত এ রাজনীতিবিদকে শ্রদ্ধা জানান।

    নওফেল তার ফেসবুক পেইজে বিনম্র শ্রদ্ধা… শিরোনামে লিখেছেন, বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী।

    তিনি লিখেছেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচা মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ১৯৭২ সালে গঠিত গণপরিষদের সদস্য, স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি, এফবিসিসিআই-এর প্রেসিডেন্ট ও পরবর্তীতে প্রশাসক, ওআইসি ভুক্ত দেশ সমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট, ১৯৮৯ সালে ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস-চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।

    চট্টগ্রাম মাটি ও মানুষের বন্ধু জননেতা মরহুম আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু চাচার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীতে আমাদের গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।

    উল্লেখ্য : ২০১২ সালের অক্টোবর মাসে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে ভর্তি হন বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদ। সেখানে প্রায় এক মাস চিকিৎসাধীন থাকার পর ২০১২ সালে ৪ নভেম্বর ৭১ বছর বয়সে আখতারুজ্জামান চৌধুরী মৃত্যুবরণ করেন। ব্যক্তি জীবনে ৩ ছেলে ও ৩ কণ্যার জনক ছিলেন তিনি।

    বড় ছেলে সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ বর্তমানে আনোয়ারা-কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। মেজ ছেলে আনিসুজ্জামান চৌধুরী রনি দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক এবং ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের (ইউসিবি) ইসি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট ছেলে আসিফুজ্জামান চৌধুরী জিমিও একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী।

    তথ্যসূত্রে জানা যায়, ১৯৪৫ সালে আনোয়ারা হাইলধর গ্রামে আইনজীবী নুরুজ্জামান চৌধুরী ও খোরশেদা বেগমের পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। পটিয়া হাইস্কুল থেকে ১৯৫৮ সালে ম্যাট্রিক পাস করে ঢাকা নটরডেম কলেজে ভর্তি হন ওই বছর। তখন দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের সদস্য নির্বাচিত হন বাবু।

    ইন্টারমিডিয়েট ক্লাসে পড়ার সময় তিনি বৃত্তি পেয়ে আমেরিকার ইলিনয় ইউনিভার্সিটি অব সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজিতে ভর্তি হন। পরে তিনি নিউ ইয়র্ক ইউনিভার্সিটিতে বিজনেস এডমিনিস্ট্রেশনে পড়ালেখা করেন। সেখান থেকে এসোসিয়েট ডিগ্রি নিয়ে ১৯৬৪ সালের ডিসেম্বরে দেশে ফিরেন। ১৯৬৫ সালে ব্যবসা শুরু করেন। ১৯৬৭ সালে তিনি আওয়ামী লীগে যোগদান করেন।

    ৭০ সালের সাধারণ নির্বাচনে তিনি আনোয়ারা ও পশ্চিম পটিয়া থেকে প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য হন। ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ১৯৭০ সালের প্রাদেশিক পরিষদ সদস্য (এমপিএ) হিসেবে আখতারুজ্জামান চৌধুরী ১৯৭২ সালে গঠিত বাংলাদেশ গণপরিষদের সদস্য হন এবং বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়নে ভূমিকা রাখেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৯ সালে তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

    স্বাধীনতার পূর্বে তিনি বাটালি রোডে রয়েল ইন্ডাস্ট্রি নামে একটি কারখানা প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীতে আসিফ স্টিল মিল, জাভেদ স্টিল মিল, আসিফ সিনথেটিক, প্যান আম বনস্পতি, আফরোজা অয়েল মিল, বেঙ্গল সিনথেটিক প্রোডাক্ট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। ভ্যানগার্ড স্টিল মিল, সিনথেটিক রেজিন প্রোডাক্ট ক্রয় করে স্বাধীনতা উত্তর বাংলাদেশে জামান শিল্পগোষ্ঠীর গোড়াপত্তন করেন। তিনি বিদেশি মালিকানাধীন আরামিট মিল কিনে নেন। তিনি ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক লিমিটেড (ইউসিবিএল) এর উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান।

    তিনি দু’দফায় চট্টগ্রাম চেম্বারের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ১৯৮৮ সালে তিনি দেশের ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠক এফবিসিসিআইয়ের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। ওআইসিভুক্ত দেশসমূহের চেম্বারের প্রেসিডেন্ট হিসেবেও তিনি দায়িত্ব পালন করেন।

    ১৯৮৯ সালে তিনি ৭৭ জাতি গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

  • রাউজানে সমাজসেবক শামসুল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

    রাউজানে সমাজসেবক শামসুল আলমের মৃত্যুবার্ষিকী কাল

    খাদ্য ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রণালয়ের (তৎকালীন খাদ্য অধিদপ্তর) চট্টগ্রাম বিভাগীয় কার্যালয়ের সাবেক অ্যাকাউনটেন্ট রাউজানের নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া গ্রামের সমাজসেবক এসএম শসমসুল আলমের ১১তম মৃত্যুবার্ষিকী আগামীকাল ১ নভেম্বর শুক্রবার।

    তিনি দৈনিক প্রথম আলোর রাউজান প্রতিনিধি এসএম ইউসুফ উদ্দিনের বাবা।

    মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের পরিবারের পক্ষ থেকে গ্রামের বাড়িতে দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়েছে। এতে সকল আত্মীয় স্বজন ও শুভাকাঙ্খিদের উপস্থিতি কামনা করেছেন মরহুমের ছেলে ডাচ্ বাংলা ব্যাংক কর্মকর্তা এসএম সালাহ উদ্দিন ও শিক্ষক ছড়াকার সাইফুদ্দিন সাকিব।