Tag: মৃত্যু

  • সীতাকুণ্ডের জোরআমতলে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

    সীতাকুণ্ডের জোরআমতলে ট্রেনের ধাক্কায় অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডে রেললাইনের ব্রীজের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির (৫৫) লাশ উদ্বার করেছে পুলিশ।

    আজ সোমবার(৫ অক্টোবর) সকাল ১০ টার সময় উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জোরআমতলা এলাকার রেললাইনের ব্রীজের নিচ থেকে লাশটি উদ্বার করে।

    স্থানীয় এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, মধ্যে বয়সী লোকটি রেললাইন দিয়ে হেঁটে ব্রীজ পার হওয়ার সময় চট্টগ্রামমুখী একটি ট্রেনের ধাক্কায় ব্রীজের নিচে পড়ে গিয়ে মারা যায়।

    তবে ধারণা করা হচ্ছে লোকটি মানসিক ভারসাম্যহীন ছিল। খবর পেয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানা ও রেলওয়ে থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বনিক বলেন, রেললাইনের ব্রীজের নিচ থেকে অজ্ঞাত একটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে, পোষ্টমোটেমের জন্য লাশ মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/কামরুল/রাজীব

  • হাটহাজারীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    হাটহাজারীতে পুকুরে ডুবে শিশুর মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। হাটহাজারী প্রতিনিধি : বন্ধুদের সাথে গোসল করতে গিয়ে হাটহাজারীতে পুকুরে ডুবে ইয়ামিন (৯) নামে এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    আজ সোমবার (৭সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মেখল ইউনিয়নের মোজাফফরপুর গ্রামে জসিম তালুকদারের বাড়িতে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নিহত ইয়ামিন ছিপাতলী ইউনিয়নের বোয়ালিয়া মুখ লোদি তালুকদার বাড়ির প্রবাসী হোসেনের পুত্র বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ইয়ামিন নানার বাড়িতে বেড়াতে এসে অন্যান্য শিশুদের সাথে পুকুরে গোসল করতে নেমে ডুবে যায়। খবর পেয়ে স্থানীয়রা নিহত শিশুটিকে উদ্ধার করে হাটহাজারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/পারভেজ/রাজীব

  • হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    হাসপাতালে-হাসপাতালে ঘুরেছি/আকুতি মিনতি করেও চিকিৎসা জুটেনি, বাঁচাতে পারলাম না বাচ্চাকে!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। বিশেষ প্রতিবেদন : চট্টগ্রাম নগরীর পতেঙ্গা থানা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা লেগে গুরুতর আহত হয়েছে চার বছরের শিশু শাওন। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে স্বজনরা তাকে নিয়ে প্রথমে ছুটে যান নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে।

    অবস্থা গুরুতর হওয়ায় সেখান থেকে শিশুটিকে নিয়ে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ছুটে গেলেন স্বজনরা। সেখানেও চিকিৎসা জুটেনি। এরপর আহত শিশুটিকে নিয়ে স্বজনরা ছুটে গেলেন সাউথ পয়েন্ট হাসপাতালে। সেখানেও জুটেনি তার চিকিৎসা!

    অবশেষে তাকে নিয়ে শেষ ভরসাস্থল চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেওয়া হলেও ততক্ষনে শিশু শাওনের দেহ নিস্তেজ হয়ে পড়ে। শিশুর স্বজনদের কঠিন কথাটি শুনালেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বললেন শিশু শাওন আর বেঁচে নেই।হাসপাতালে হাসপাতালে ঘুরেও চিকিৎসা পায়নি শাওন

    মঙ্গলবার দুপুর ১টার দিকে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটলেও আহত শিশুটিকে নিয়ে তার একটু সুচিকিৎসা ব্যবস্থার করার জন্য স্বজনরা বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত সময় নষ্ট করেছেন শুধুমাত্র এ হাসপাতাল টু ওই হাসপাতালে ঘুরতে ঘুরতে। এমন শংকটাপণ্ন অবস্থার পরও কোন হাসপাতালের মন গলাতে পারেনি শিশু শাওনের পরিবার।

    সড়ক দুর্ঘটনায় আহত চার বছরের শিশু বাচ্চার চিকিৎসা সেবা না পাওয়ার এমন অভিযোগ করে শাওনের বাবা জাহিদ হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমার ছেলে শাওন আজ মঙ্গলবার দুপুরে পতেঙ্গা এলাকায় অটোরিকশার সাথে ধাক্কা খেলে গুরুতর আহত হয়। তার নাক দিয়ে ব্লিডিং শুরু হলে তাকে প্রথমে নিকটস্থ বেপজা হাসপাতালে নেয়া হয়।

    এরপর তাকে নিয়ে নগরীর আরো দুটি হাসপাতালে ঘুরেছি। কোনো হাসপাতাল ভর্তি নিতে রাজি হয়নি। অবশেষে মঙ্গলবার পৌনে ৩টার দিকে যখন তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনা হলো তখন কর্তব্যরত চিকিৎসক জানালেন শিশু শাওন আর নেই! এক ঘণ্টার মধ্যে যদি তার সুচিকিৎসার ব্যবস্থা হতো তাহলে শাওন সুস্থ হয়ে যেতো বলে দাবী তার।

    চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, শিশু শাওনের স্বজনদের আহাজারীতে ভারী হয়ে উঠে হাসপাতালের পরিবেশ। শিশুটির বাবা জাহিদ হোসেন কান্না করতে করতে গণমাধ্যমকে বলেন, এত আকুতি মিনতি করেও আমার বাচ্চাকে বাঁচাতে পারলাম না। আমার শিশু পুত্রটির এমন কি অপরাধ ছিলো যে চিকিৎসা না পেয়ে মরতে হলো। এর চেয়ে ব্যর্থতা কি হতে পারে।

    এদিকে হাসপাতালের স্ট্রেচারে রাখা শাওনের মরদেহ নিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েছেন স্বজনরা। নানা তার নাতি হারিয়ে মাটিতে লুটিয়ে গড়াড়ড়ি খাচ্ছেন। এ এক হৃদয় বিদারক দৃশ্য।

    জানা যায়, গ্রামের বাড়ি রংপুর হলেও চট্টগ্রামের পতেঙ্গা এলাকায় থাকেন শিশু শাওনের পরিবার। শাওনের মরদেহ রংপুর নিয়ে যাবে এবং সেখানেই দাফন কাজ সম্পন্ন করবে বলে জানালেন নিহত শাওনের পরিবার।

    প্রসঙ্গত, করোনা পরিস্থিতির পর থেকে চট্টগ্রামে চিকিৎসার অভাবে রোগী মৃত্যুর অভিযোগ দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। চট্টগ্রামে বিভিন্ন হাসপাতাল ঘুরেও একটি আইসিইউ বেডের অভাবে মৃত্যু হয়েছে এক অন্তঃসত্ত্বা নারীর।

    হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরেও চিকিৎসা না পেয়ে স্বজন হারানোর অভিযোগ করেছেন বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক নেতার পরিবারও। হাইকোর্টের আদেশ, সরকারি নির্দেশ, মেয়রের হুমকি জনগণের প্রবল প্রতিবাদেও এই করোনাকালে বেসরকারি হাসপাতালগুলোর যেন মন গলছে না!

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় বিশ্বের প্রথম প্রেসিডেন্টের মৃত্যু!

    করোনায় বিশ্বের প্রথম প্রেসিডেন্টের মৃত্যু!

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ ডেস্ক : আফ্রিকার দেশ বুরুন্ডির প্রেসিডেন্ট পিয়েরে এনকুরুনজিজা’র মৃত্যু করোনাভাইরাসের কারণে হয়েছে বলে নতুন করে জানিয়েছেন দেশটির চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন, মৃত্যুর আগে শ্বাসকষ্টে ভুগেছেন ৫৬ বছর বয়সি প্রেসিডেন্ট পিয়েরে।

    এ খবর সত্যি হয়ে থাকলে পিয়েরে হবেন বিশ্বের প্রথম ক্ষমতাসীন রাষ্ট্রপ্রধান যিনি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করলেন।

    এর আগে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে এনকুরুনজিজার মৃত্যু হয়েছে বলে বুরুন্ডি সরকার জানিয়েছিল। গত ৯ জুন সরকারের পক্ষ থেকে হঠাৎ করে প্রেসিডেন্টের মৃত্যর খবর প্রচার করে দেশে সাতদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়।

    প্রয়াত প্রেসিডেন্ট এনকুরুনজাজি’র স্ত্রী গতমাসের শেষদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলন। তাই ধারণা করা হচ্ছিল, প্রেসিডেন্ট নিজেও এই প্রাণঘাতী রোগে আক্রান্ত হয়েছেন।

    পূর্ব ঘোষিত এক পরিকল্পনা অনুযায়ী, ১৫ বছর দায়িত্ব পালনের পর আগামী আগস্ট মাসে প্রেসিডেন্ট পিয়েরের ক্ষমতা থেকে সরে দাঁড়ানো করার কথা ছিল। বুরুন্ডিতে গত ২০ মে অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী ও সাবেক সেনাপ্রধান এভারেস্টে এন্ডিশিমি বিজয়ী হন।

    সূত্র DBC news

  • চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল আরো এক চিকিৎসকের নাম/ডা. সাদেকুর এর মৃত্যুও করোনা উপসর্গে

    চট্টগ্রামে মৃত্যুর মিছিলে যোগ হল আরো এক চিকিৎসকের নাম/ডা. সাদেকুর এর মৃত্যুও করোনা উপসর্গে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ও করোনার উপসর্গ নিয়ে চিকিৎসক মৃত্যুর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আর মৃত্যুর মিছিলে এবার নতুন করে যুক্ত হয়েছে চট্টগ্রাম জেমিসন রেড ক্রিসেন্ট মাতৃসদন হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. সাদেকুর রহমানের (৬৫) নাম।

    রোববার (১৪ জুন) ভোরে চট্টগ্রামের মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে গতকাল করোনা উপসর্গ শ্বাসকষ্ট নিয়ে ডা. সাদেককে হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি করানো হয়। আজ ভোরে তিনি মারা যান।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে মা ও শিশু হাসপাতালের পরিচালক ডা. নুরুল হক। তিনি বলেন, ডা. সাদেকুর রহমান বেশ কিছু দিন ধরে হৃদরোগে ভুগছিলেন। গতকাল শনিবার তিনি গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। শনিবার মা ও শিশু হাসপাতালে শিফট করা হয়। তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি হয়। সকালে সেখানেই তিনি মারা যান।

    জানা যায়, ডা. সাদেকুর রহমানের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়া। তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে পড়ার সময় ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। তার মৃত্যুতে স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদ, বাংলাদেশ মেডিকেল এসোসিয়েশনসহ বিভিন্ন সংগঠন শোক জানিয়েছে।

    প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার দিবাগত রাতে করোনা আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মো. আরিফ হাসান নামে এক চিকিৎসকের মৃত্যু হয়। এ নিয়ে করোনায় আক্রান্ত ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে ৫ জন চিকিৎসক মৃত্যু বরণ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনার কাছে হেরে গেলেন আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ/আইসিইউতেই মৃত্যু

    করোনার কাছে হেরে গেলেন আইসিইউ বিশেষজ্ঞ ডা. সাজ্জাদ/আইসিইউতেই মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : টানা ১৪ দিন ধরে মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে করোনার কাছে হেরে গেলেন বিআরবি হাসপাতালের আইসিইউ বিভাগের প্রধান এবং এনেস্থেসিওলজির সাবেক সহযোগী অধ্যাপক ডা. সাজ্জাদ হোসাইন।

    গতকাল ১৩ জুন শনিবার রাত ৯টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    গত বৃহস্পতিবার থেকে তার স্ত্রীও করোনা আক্রান্ত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।

    বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন ফাউন্ডেশন ফর ডক্টরস সেফটি রাইটস অ্যান্ড রেসপন্সসিবিলিটিসের (এফডিএসআর) জয়েন্ট সেক্রেটারি ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী।

    তিনি বলেন, ডা. সাজ্জাদ হোসাইন প্রথমে বাসাতেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত ২৯ মে তাকে বিআরবিতে নিয়ে যাওয়া হলেও অবস্থার অবনতি দেখে একই দিন সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেলে রেফার করা হয়।

    অবস্থা আরো খারাপ হওয়ায় ওই দিন রাতে ভেন্টিলেশনে নেয়া হয়। সেখানে ১৪ দিন চিকিৎসাধীন থেকে শনিবার রাত ৯টায় তিনি মারা যান। তার মরদেহ আল-মারকাজুল ইসলামী বাংলাদেশের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে তিনি জানান।

    ডা. সাজ্জাদ হোসেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (সিএমসি) থেকে এমবিবিএস সম্পন্ন করেন। তিনি ছিলেন সিএমসির ২০তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।

    উল্লেখ্য : করোনায় এখন পর্যন্ত ৩১ জন এবং উপসর্গ নিয়ে আরও ৫ জনসহ মোট ৩৬ জন চিকিৎসক মারা গেছেন বলে সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলেন আরো এক চিকিৎসক/ চট্টগ্রামে এনিয়ে ৪ চিকিৎসকের মৃত্যু

    শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেলেন আরো এক চিকিৎসক/ চট্টগ্রামে এনিয়ে ৪ চিকিৎসকের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনাকালে শ্বাসকষ্ট ও করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে আরো এক চিকিৎসকের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শুক্রবার (১২জুন) রাত সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে তার মৃত্যু হয়।

    মারা যাওয়া চিকিৎসকের নাম ডা, আরিফ হাসান। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের ৪৯ ব্যাচের ছাত্র, থাকতেন চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা আবেদিন কলোনীতে আর চেম্বার খুলে রোগী দেখতেন নগরীর পাহাড়তলীত। একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তিনি কর্মরত ছিলেন বলে জানা গেছে।

    তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের স্বচিপের সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান।

    তিনি জানান, করোনাকালেও তিনি পাহাড়তলীতে নিয়মিত চেম্বারে যেতেন এবং রোগীর সেবায় নিয়োজিত ছিলেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ডা. আরিফ জ্বরে ভুগছিলেন। ১২ জুন শুক্রবার রাতে তার শ্বাসকষ্ট বেড়ে গেলে প্রথমে তাকে পাঁচলাইশ এলাকার ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নেয়া হয়।

    অবস্থার আরও অবনতি হলে সেখান থেকে চমেক হাসপাতালের আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেখানেই চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাত সাড়ে ৯টায় তার মৃত্যু হয়।

    ইন্টানী চিকিৎসক হোসাইন আহমেদ জানান, মৃত্যুর আগে ডা. আরিফের শরীরে করোনার সবগুলো উপসর্গ দেখা দিয়েছিল। রাতে যখন অক্সিজেন লেভেল ৬০ এ নেমে আসছিল তখন তাকে প্রথমে ট্রিটমেন্ট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অবস্থা আরো খারাপ হলে চমেকে নিয়ে ভর্তির পর আইসিইউ সাপোর্ট দেয়ার আগেই তিনি মারা যায়।

    ডা. আরিফ কোভিড-১৯ পজেটিভ ছিলেন কিনা তা সঠিকভাবে বলতে না পারলেও এ ইন্টানী চিকিৎসক জানিয়েছেন আরিফ ভাই চট্টগ্রামের লাভলেইন আবেদীন কলোনিতে পরিবার নিয়ে থাকতেন। তার পরিবারের আরও কয়েকজন করোনায় আক্রান্ত বলে তিনি শুনেছেন।

    প্রসঙ্গত, চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের শিশু বিভাগের চিকিৎসক এ এম জাফর হোসাইন রুমির মৃত্যু হয়েছে ২৫ মে ঈদুল ফিতরের দিন। এটি ছিল চট্টগ্রামে চিকিৎসকদের মধ্যে সর্বপ্রথম মৃত্যু।

    এরপর গত ১ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে একই হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন ডা. এহসানুল করিম এবং গত ৪ জুন করোনা আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালের আইসিইউ’তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন ডা. মুহিদ হাসান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • মিরসরাইতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের গুলিতে ডাকাতের মৃত্যু, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    মিরসরাইতে ডাকাতির প্রস্তুতিকালে র‌্যাবের গুলিতে ডাকাতের মৃত্যু, আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি উদ্ধার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাইতে করোনাকালেও ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে একদল ডাকাত। এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি টহল টিমঅভিযানে গেলে ডাকাত সদস্যদের সাথে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে।

    এতে র‌্যাব সদস্যদের ছোঁড়া গুলিতে এক ডাকাত নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গুলিবিদ্ধ লাশের পাশ থেকে দুটি দেশিয় এলজি ও ৮ রাউন্ড গুলি উদ্ধারের তথ্য জানিয়েছে র‌্যাব।

    গতকাল (১০ জুন) রাত সাড়ে বার টায় উপজেলার নয় দুয়ারিয়া এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে এই ঘটনা ঘটে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে র‌্যাব-৭ অপারেশন এসপি আমির উল্লাহ ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, আমাদের নিয়মিত টহল দল গোপন সংবাদে জানতে পারে নয় দুয়ারিয়া এলাকায় ডাকাতির প্রস্তুতি চলছে একদল ডাকাত।

    খবর পেয়ে টহল দল নয় দুয়ারিয়া এলাকায় পৌছলে ঢাকাত দল টহল দলের উপর গুলি চালাতে থাকে। আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় র‌্যাবের টহল দল। গোলাগুলির এক পর্যায়ে ঢাকাত দলের পক্ষ থেকে কোন সাড়া না পেয়ে ঘটনাস্থল তল্লাশি চালালে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় এক ডাকাত সদস্যকে উদ্ধার করা হয়।

    পরে আহত ডাকাত সদস্যকে চিকিৎসার জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত ডাকাত সদস্যের কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। এর আগে বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাস্থল থেকে দুটি আগ্নেয়াস্ত্র ও আট রাউন্ড অব্যবহৃত গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    এ বিষয়ে মিরসরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুজিবুর রহমান ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, র‌্যাবের তথ্য অনুযায়ী নিহতের লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য চমেকের মর্গে রয়েছে। উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলি এখনো র‌্যাবের হেফাজতেই রয়েছে। নিহতের কোন তথ্য বা পরিচয় জানা যায়নি বলে তিনিও জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/আশরাফ উদ্দিন/আর এস পি

  • বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে শেষ আ’লীগ নেতার প্রাণ/মেয়রের ক্ষোভ,নওফেলের শোক

    বুকে ব্যাথা নিয়ে হাসপাতালে ছুটতে ছুটতে শেষ আ’লীগ নেতার প্রাণ/মেয়রের ক্ষোভ,নওফেলের শোক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বুকে প্রচণ্ড ব্যাথা নিয়ে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি তিনটি হাসপাতালে ছুটোছুটি করতে করতেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন চট্টগ্রাম মহানগরীর বায়োজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ শফিউল আলম সগীর। মঙ্গলবার সকালে চিকিৎসা বঞ্চিত হয়ে তিনি মারা গেছেন।

    কোন হাসপাতালেই তাকে ভর্তি করেনি, চিকিৎসাও দেননি অভিযোগ স্বজনদের। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছিরসহ আওয়ামী লীগ নেতারা। তার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    জানা গেছে, শফিউল আলম সগীরের হঠাৎ বুকে ব্যথা অনুভব করলে মঙ্গলবার সকাল এগারোটার দিকে তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে নেওয়া হয়। সেখানে তার চিকিৎসাতো দুরে থাক ভর্তি করাও হয়নি।

    এরপর সেখান থেকে জি ই সি মোড়স্থ মেডিকেল সেন্টার নেওয়া হয় সেখানেও তার চিকিৎসা সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে হাসপাতালের কর্মরতরা। এদিকে বুকের ব্যথায় ছটফট করা এ আওয়ামী লীগ নেতাকে নিয়ে আবারো ছুটলো নতুন হাসপাতালের খোঁজে।

    পাঁচলাইশের পার্কভিউ হাসপাতালে তাকে নেওয়া হলে সেখানেও প্রথমে তার চিকিৎসা প্রদানে অপারগতা প্রকাশ করে। পরে অবশ্য বিভিন্ন তদবির ও কাউন্সিলর শাহেদ ইকবাল বাবুর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় তাকে ভর্তি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে ভর্তি হওয়ার পর চিকিৎসা শুরুর আগেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

    স্বজনরা জানিয়েছেন হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যু হয়েছে বর্ষীয়ান এই আওয়ামী লীগ নেতার। তাকে নিয়ে সরকারি বেসরকারি ৩টি হাসপাতালে ছুটোছুটি করেছি। তাদের অভিযোগ করোনা উপসর্গ সন্দেহে তাকে কোন হাসপাতালেই ভর্তি করতে চাইনি। সামান্য চিকিৎসার অভাবে নির্মমভাবেই মারা গেলেন চট্টগ্রামের এই আওয়ামী লীগ নেতা।

    চট্টগ্রামের সিটি মেয়র আ জ ম নাছির মঙ্গলবার সকালে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যাওয়া বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি সগিরের মৃত্যুর ঘটনায় বেসরকারি হাসপাতাল মালিকদের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

    একইদিন বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের মুখ্যসচিব ড. আহমদ কায়কাউসের সঙ্গে এক জুমের কনফারেন্সে ক্ষোভ প্রকাশ করে সচিবকে তিনি বলেন, ‘আজকে সকালে আমাদের থানা আওয়ামী লীগের এক সেক্রেটারি স্ট্রোক করেছিলেন।

    তাকে তিন চারটা হাসপাতালে নেওয়া হলেও কোনও হাসপাতালেই সিট খালি নেয় এমন অজুহাতে ভর্তি করায় নি। পরে যখন পার্কভিউ হাসপাতালে নেওয়া হলো তখন চিকিৎসকরা পরীক্ষা করে দেখেন তিনি আর বেঁচে নেই।

    বায়েজীদ থানা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক হারুন বলেন ”হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছেন সগীর ভাই। কিন্তু করোনা সন্দেহ করে উনাকে চিকিৎসা দেয়নি হাসপাতালগুলো।

    সঠিক সময়ে চিকিৎসা পেলে সগীর ভাইকে এভাবে আমাদের হারাতে হতো না। আমরা আশা করবো, চট্টগ্রামের আর কোন মানুষ যেন চিকিৎসা সুবিধা বঞ্চিত হয়ে এভাবে অকালে মৃত্যুর কোলে ঢলে না পড়েন।

    শিক্ষা উপ-মন্ত্রী নওফেলের শোক : বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সফিউল আলম ছগির এর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপ-মন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল(এম.পি)।

    শোক বার্তায় শিক্ষা উপ-মন্ত্রী বলেন, ছাত্রলীগ-যুবলীগ করে তৃণমূল থেকে উঠে আসা বায়েজিদ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম ছগির এর মৃত্যুতে আওয়ামী লীগ একজন দক্ষ ও মেধাবী সংগঠক হারালো। তাঁর মৃত্যুতে চট্টগ্রামের আওয়ামী পরিবারের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে।

    শিক্ষা উপ-মন্ত্রী তাঁর বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবার পরিজনের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় এবার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালকের মৃত্যু

    করোনায় এবার মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালকের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেলেন মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের পরিচালক পরিচালক যুগ্মসচিব মো. ফখরুল কবির (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    সোমবার রাত আড়াইটার দিকে রাজধানীর পান্থপথের স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    আজ মঙ্গলবার সকালে মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতে বলা হয়, মো. ফখরুল কবির গত ১ জুন করোনায় আক্রান্ত হন। তার স্ত্রীও তখন করোনা আক্রান্ত হন। পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর থেকে তারা দুজনই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    মো. ফখরুল কবিরের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে সোমবার তাকে স্কয়ার হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় সেখানেই তার মৃত্যু হয়। তার স্ত্রী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন বলে জানা গেছে।

    বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডারের ১৩তম ব্যাচের সদস্য ও যুগ্মসচিব মো. ফখরুল কবিরের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা ও সচিব কাজী রওশন আক্তার।

    তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে তার এক ঘনিষ্টজন বলেন, দেশ একজন সৎ, মেধাবী ও দক্ষ কর্মকর্তাকে হারাল। প্রমোশন বঞ্চিত হলেও উনার মুখে আমি হাসি দেখেছি। সরকারি দায়িত্বের বাইরে সবসময় পড়াশোনা নিয়েই থাকতেন।

    পিএইচডি থিসিস যখন শেষ পর‌্যায়ে তখন আমাকে একদিন বলেছিলেন, ‘হাসান ভাই, আমার জীবনে সবচেয়ে বড় পাওয়া হবে এই পিএইচডি ডিগ্রী। অনেক কষ্ট করেছি এটার জন্য।’ লিখতেন কবিতা। তার সঙ্গে দেখা করতে গেলে নতুন লেখা কবিতাগুলো আমাকে পড়তে দিতেন। জানতে চাইতেন মতামত। সৎ এ মানুষকে আল্লাহ নিশ্চয় জান্নাতবাসী করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় মারা গেলেন এনবিআরের উপ কর কমিশনার সুধাংশু সাহা

    করোনায় মারা গেলেন এনবিআরের উপ কর কমিশনার সুধাংশু সাহা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। ঢাকা ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হয়ে এনবিআরের আরো এক কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। গতকাল ৮ জুন সোমবার মধ্যরাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) ও হাসপাতাল আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    মৃত্যুবরণ করা কর্মকর্তার নাম সুধাংশু কুমার সাহা। তিনি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) উপ কর কমিশনার পদে কর্মরত ছিলেন। তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন এনবিআরের সিনিয়র তথ্য অফিসার সৈয়দ এ মুমেন।

    তিনি জানান, ২৭তম বিসিএস কর ক্যাডারের (১ম) সদস্য সুধাংশু কুমার সাহা কর অঞ্চল-৩ ঢাকাতে কর্মরত ছিলেন। গত ১৪ মে সর্বশেষ অফিস করেন তিনি। এরপর তার জ্বরসহ করোনার কিছু উপসর্গ দেখা দিলে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেন এই কর্মকর্তা।

    মে মাসের শেষ সপ্তাহে সুধাংশু কুমার সাহা সপরিবারে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। সুধাংশুর স্ত্রী মানষী সাহা, তাদের সাত বছর বয়সী কন্যা এবং গৃহকর্মীও করোনায় আক্রান্ত হয় তখন। তবে তারা বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

    এর মধ্যে তার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ মে তাকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল সোমবার মধ্য রাতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। হাসপাতাল সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

    এর আগে গত ৩ জুন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের সুপারিন্টেনডেন্ট মুহাম্মদ জসিম উদ্দিনের মৃত্যু হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • হাটহাজারীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যু

    হাটহাজারীতে করোনা উপসর্গ নিয়ে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মো: পারভেজ, হাটহাজারী : করোনার প্রকোপ কোনভাবেই থামছে না হাটহাজারীতে। একের পর এক করোনা শনাক্তের খবরে কম্পিত হচ্ছে হাটহাজারীবাসীর হৃদয়।

    এরি মধ্যে শুক্রবার (৫ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে হাটহাজারীতে দুই সহোদরসহ ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

    সূত্র জানায়, শুক্রবার দুপুর ১ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা উপসর্গ প্রচন্ড শ্বাস কষ্টে মৃত্যু হয় মো: শাহ আলম (৩৩) নামে এক প্রবাসীর।

    ঠিক এর ১০ ঘন্টা পর রাত ১০টার দিকে একই উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মুত্য হয় তার ছোট ভাই হাটহাজারী এন জহুর শপিং সেন্টারের আপন ফ্যাশন এর স্বত্বাধিকারী মো: শাহজাহান (৩০)র ।

    মঙ্গলবার (২ জুন) করোনা উপসর্গ নিয়ে তারা দুজনেই চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। তবে তাদের করোনার রিপোর্ট এখনো পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন তাদের নিকট আত্মীয় মো: খোরশেদ।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণকারী দুই সহোদর হাটহাজারী পৌরসভার কালাচাঁদ দিঘীর পাড়ের জোহরা বাপের বাড়ির মৃত গোলাম রসূলের পুত্র বলে জানা গেছে।

    এদিকে করোনা উপসর্গে নিয়ে চমেক হাসপাতালে আজ সন্ধ্যা ৭ টায় হাটহাজারী উপজেলার মির্জাপুর ইউনিয়নের সুমন বড়ুয়া নামে এক প্রধান শিক্ষকের মৃত্যুর খরর পাওয়া গেছে।

    তিনি করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন। করোনায় মৃত্যুবরণকারী সুমন বড়ুয়া মনছুরাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বলে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি