Tag: মৃত্যু

  • চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধে হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/৭ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু

    চট্টগ্রামে করোনাযুদ্ধে হেরে গেলেন আরো এক চিকিৎসক/৭ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দিনের মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানেই ৩ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। করোনা যুদ্ধে হেরে গেছেন চট্টগ্রামের আরো এক চিকিৎসক।

    আজ ৪ জুন বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৫টা থেকে সকাল ১২টার মধ্যে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে এবং জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাদের মৃত্যু হয়।

    জানা যায়, আজ ৪ জুন বৃহস্পতিবার সকাল ১২টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন একই হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার ডা.মুহিদ হাসান।

    তার মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম বিএমএ চট্টগ্রামের সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সাল ইকবাল চৌধুরী।

    তিনি বলেন,মাত্র একদিনের ব্যবধানে আমাদের আরেক সহকর্মীকে হারালাম। কয়েকদিন আগে নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে তার শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। মুহিত মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চমেক হাসপাতালের চিকিৎসক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    এর আগে একই হাসপাতালে চট্টগ্রামে প্রথম করোনা আক্রান্ত চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছিলো। গতকাল ৩ জুন বুধবার দুপুরে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম মেরিন সিটি মেডিকেলের মেডিসিন বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. এহসানুল করিম।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ২ নারীর মৃত্যু :

    আজ একদিনে চিকিৎসক মুহিদ হাসানের মৃত্যুর মাত্র ৭ ঘণ্টার ব্যবধানে করোনা আক্রান্ত আরো ২ নারীর মৃত্যুর খবর জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে দায়িত্বরত চিকিৎসক।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব জানান, মাত্র দুই ঘন্টার ব্যবধানে হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই নারীর মৃত্যু হয়েছে। দুজননেরই করোনা পজেটিভ ছিলো।

    তিনি বলেন, এদের একজন হলেন নগরীর জামালখান এলাকার বাসিন্দা সেলিনা আফরোজ (৫৬)। তিনি করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৯ মে তিনি চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন।

    আজ ভোরে তার শারিরীক অবস্থা খারাপ হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে নিলে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সকাল ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তিনি করোনা আক্রান্ত হওয়ার আগে থেকে উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস রোগেও ভোগছিলেন।

    তিনি আরো বলেন, এ নারীর মৃত্যুর মাত্র ২ ঘণ্টা আগেই চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ এলাকার বাসিন্দা ৫০ বছর বয়সী অপর এক নারী করোনায় মারা গেছেন।

    আজ ভোর ৫টার সময় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় হাফসা বেগমের মৃত্যু হয়। এর আগে গত মঙ্গলবার করোনা আক্রান্ত এ নারী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন।

    করোনার পাশাপাশি তিনিও রক্ত চাপ ও ডায়াবেটিস রোগে ভোগছিলেন বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব।

    প্রসঙ্গত : জেলা সিভিল সার্জন সুত্রে গতকাল ৩ জুন রাতে সর্বশেষ প্রকাশিত ফলাফলে জানা গেছে চট্টগ্রামের মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৩৫৩৭ জন। এর মধ্যে নগরে ২৬৬৬ জন এবং উপজেলায় ৮৭১ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৮৫ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২৪৮ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনা হলনা মারুফের,নবজাতক শিশু হারালো পিতা/করোনা উপসর্গে মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : মাত্র বছর দেড়েক আগে সামাজিক ভাবে ঝাকজমকপূর্ণ আয়োজনে বিয়ের পিড়িতে বসেছিলেন মারুফ চৌধুরী। চট্টগ্রাম আদালতে শিক্ষানবিশ আইনজীবী হিসেবে প্রাকটিস করতেন তিনি।

    গেল ঈদের আগের দিন তাদের সংসারে ঘর আলো করে আসে ফুটফুটে এক বেবি। তবে বাবা হওয়ার আনন্দটা সে খুব একটা বেশি সময় উদযাপন করতে পারেনি। এরমাঝেই তার শরীরে দানা বাধে করোনার সব উপসর্গ।

    নবজাতক কণ্যা সন্তানের মুখে বাবা ডাক শোনার লোভ ছিলো তার। আর তাই করোনা যুদ্ধে জয়ী হতে চেয়েছে মারুফ। এজন্য করোনা পরীক্ষা করানোর জন্য নমুনা দিতে বেশ কয়েকটি ল্যাবে ছুটোছুটিও করেছেন নিজেই। কিন্তু নমুনা পরীক্ষা করাতে ব্যর্থ হন।

    এর মাঝেই তার শ্বাসকষ্ট অতিরিক্ত বেড়ে গেলে গত ১ জুন সে বাজার থেকে অক্সিজেন সিলিণ্ডার কিনে নিয়ে শ্বাসকষ্টের যন্ত্রণা মুক্ত হওয়ার চেষ্টা করে।

    এরপরও মারুফের শারিরীক অবস্থার অবনতি হলে গত ২ জুন স্বজনরা তাকে প্রথমে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে কোন সিট খালি না পেয়ে নিয়ে যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। দীর্ঘসময় পর সেখানে ভর্তি করা হলেও সিট পাননি।

    ৩ জুন দিবাগত রাতে পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে না ফেরার দেশে পারি জমান তরুণ এ শিক্ষানবিশ আইনজীবী। নবজাতক কণ্যা সন্তানের বাবা ডাকটা তার আর শোনা হলনা, নবজাতক শিশুটি হারালো পিতা।

    ইস্ট ডেল্টা ইউনিভার্সিটিতে পড়ুয়া তার ছোট ভাইয়ের বন্ধু আবু তাহের ৩ জুন রাত সাড়ে ৯টার সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্ট করে সেখানে উল্লেখ করেন, মারুফ চৌধুরী। ইউনিভার্সিটি সহপাঠীর বড় ভাই। বছর দেড়েক আগে বিয়ে করেছিলেন। ওনার গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে শেষবার দেখা হয়েছিল। ঈদের আগের দিন ফুটফুটে বেবিটার বাবা হয়েছেন।

    কিন্তু বাবা ডাক না শোনার আগেই পৃথিবী থেকে বিদায় নিলেন। বুধবার (৩ জুন) করোনার উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তিনি হাসপাতালে উপযুক্ত চিকিৎসা পাননি অভিযোগও করেন ফেসবুক পোস্টে।

    তিনি আক্ষেপ করে বলেন, চোখের সামনে এভাবে অনেকে আপনজন হারাচ্ছেন। পর্যাপ্ত টেষ্টের অভাব, পর্যাপ্ত হাসপাতালের অভাব, পর্যাপ্ত চিকিৎসার অভাবে এভাবে দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিল।

    ওদের পরিবারকে সান্ত্বনা দেওয়ার ভাষা আমার জানা নেই। আল্লাহ যেন মারুফ ভাইকে জান্নাত নসিব করে। আমাদেরকে এই মাহামারি থেকে হেফাজত করুন।

    করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা যাওয়া শিক্ষানবিশ আইনজীবীর চট্টগ্রাম আদালত ভবনের সহকর্মী আইনজীবী বরকত উল্লাহ খান বলেন, করোনার উপসর্গ নিয়ে চমেক হাসপাতালে ভর্তির পর মারুফের মৃত্যু হয়। সে শেষবারের মতো আদালতে গিয়েছিলেন গত ২৫ মার্চ। তখন তার সাথে দেখা হয়েছিলো।

    কখনো ভাবিনি সহপাঠিটি এত তাড়াতাড়ি আমাদের ছেড়ে চলে যাবেন। আল্লাহ যে তার পরিবারকে এ শোক সইবার শক্তি দিন। তার মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন আইনজীবীরা।

    তার কলেজ জীবনের বন্ধু সরওয়ার সিহাব ফেসবুকে আবু তাহেরের পোস্টে কমেন্ট করে লিখেছেন, ২০১০ সালে আমি যখন মহসিন কলেজে পড়তাম তখন উনি আমার রুমমেট ছিলেন। চাকরি করতেন গোল পাহাড় মোড়ের মেট্রো ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।

    আজকে হঠাৎ উনার মৃত্যুর খবর শুনে অনেকক্ষণ স্তব্ধ ছিলাম। আল্লাহ বেহেশত নসীব করুক। আমিন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    করোনায় গ্রাস পটিয়া/নতুন ৪৯ জনসহ আক্রান্ত ২শ ছুঁই ছুঁই, মারা গেছে বীমা কর্মকর্তা

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। রাজীব সেন প্রিন্স : চট্টগ্রাম জেলার উপজেলা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে করোনায় হটস্পট এখন পটিয়া। গত ১২ এপ্রিল ৬ বছরের এক শিশুর আক্রান্তের পর ১৩ এপ্রিল তার মৃত্যুর খবর দিয়ে উপজেলায় করোনার সংখ্যা গোনা শুরু হয়।

    চট্টগ্রামের অন্যান্য উপজেলার তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যায় মাঝে বেশ কিছুদিন স্বস্থিতে থাকলেও ফের আতঙ্কের উপজেলায় রুপ নিয়েছে পটিয়া।

    পৌরসভা সদর-গ্রাম সবখানেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে মরণঘাতী এ করোনা সংক্রমণ। উপজেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের হার। ছোট শিশু থেকে বয়স্করাও বাদ পড়ছেন না আক্রান্ত হওয়া থেকে।

    চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বী জানান, মঙ্গলবার (২ জুন) চারটি ল্যাবে মোট ৬২১ জনের নমুনা পরীক্ষায় চট্টগ্রাম মহানগর ও জেলার মোট ২০৬ জন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছে।

    এর মধ্যে ১১৯ জন মহানগরের এবং ৮৭ জন চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দা। এর মধ্যেই একদিনে পটিয়া উপজেলায় নতুন করে ৪৯ জন আক্রান্তের ভয়ানক তথ্য জানায় জেলা সিভিল সার্জন। এর আগে গত ১ জুন একই উপজেলায় একদিনে সর্বাধিক ৫২ জন আক্রান্তের তথ্যও জানা গেছে প্রশাসন সূত্রে।

    গত ১ জুন ও ২ জুনের প্রকাশিত ফলাফল থেকে জানা যায় এ দুদিনে আক্রান্তের সেঞ্চুরি করেছে পটিয়া উজেলা। এতে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন পটিয়ার চার লাখ বাসিন্দা।

    জানা যায়, গত দুইদিনে উপজেলার মোট ১৯০ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১০১ জনের শরীরে করোনা ভাইরাসের অস্তিত্ব মিলেছে। এর মধ্যে গত ১ জুন সোমবার একদিনে ৯৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫২ জন এবং ২ জুন মঙ্গলবার ৯৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৪৯ জনের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ আসে।

    সংশ্লিষ্টরা ধারণা করছেন সম্প্রতি ঈদের সময় দেশের বিভিন্নস্থানে কর্মরতরা ছুটিতে গ্রামের বাড়ি পটিয়াতে ঈদ করতে আসে। তাদের মাধ্যমেই করোনার বিস্তার ঘটতে পারে।

    পটিয়ায় করোনা উপসর্গ নিয়ে রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় নমুনা সংগ্রহের চাপও বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পটিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইপিআই টেকনোলজিষ্ট রবিউল হোসেন। তিনি বলেন তারা রোগীদের নমুনা সংগ্রহ করে তা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ল্যাবগুলোতে পাঠিয়ে দিচ্ছেন।

    দিন দিন লাফিয়ে লাফিয়ে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াতে উদ্বেগ প্রকাশ করে উপজেলার সকল বাসিন্দাদের আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন পটিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারহানা জাহান উপমা।

    তিনি বলেন, দক্ষিণ চট্রগ্রামের প্রাণকেন্দ্র পটিয়া। চট্টগ্রাম শহর থেকে যাতায়াত ব্যবস্থা খুব সহজতর হওয়ায় প্রতিদিন হাজার হাজার লোকজন আসা যাওয়া করে। অন্যান্য উপজেলার লোকজনেরও যাতায়াত রয়েছে এ উপজেলায়। সব মিলিয়ে রোগী বাড়ছে। একটাই উপায় আমাদের আরো অনেক সতর্ক হতে হবে, সচেতন হতে হবে।

    এনিয়ে চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দুইশ ছুঁতে চলেছে। উপজেলায় মোট আক্রান্ত সংখ্যা এখন ১৯০ জন বলে একটি সূত্রে জানা গেছে। তবে চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জনের তালিকায় ১৪৪ জন শনাক্তের তথ্য মিলেছে। উপজেলায় মৃত্যুবরণ করেছে এ পর্যন্ত ৩ জন।

    উপজেলায় নতুন একজনের মৃত্যু : গতকাল ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় উপজেলার এক বীমা কর্মকর্তার মৃত্যু হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। এর আগে তার করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    করোনায় মৃত্যু হওয়া বীমা কর্মকর্তার নাম গাজী সারোয়ার আলম টুকু (৫৫)। তিনি পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের গাজীর বাড়ির বাসিন্দা মরহুম মাহমুদুল হকের পুত্র। পাইওনিয়ার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জ শাখার ব্যবস্থাপক ও ডেপুটি ম্যানেজিং ডিরেক্টর ছিলেন মারা যাওয়া টুকু।

    তার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন পটিয়া পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর গোফরান রানা। তিনি বলেন, চট্টগ্রামমেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় তার এলাকায় পাইনিয়র ইন্সুরেন্স কোম্পানীর সাবেক জিএম টুকু। মৃত্যুর আগে তার করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছিল।

    জানা গেছে, বিকাল ৪টায় প্রশাসনের নির্দেশনা মোতাবেক পটিয়ার গ্রামের বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তাকে দাফন করা হয়। দাফন-কাপন ও জানাজায় নিয়োজিত ছিলেন আল মানাহিল ওয়েল ফেয়ার ফাউন্ডেশনের সদস্যরা।

    এর আগে একই ওয়ার্ডে করোনায় মারা গেছেন এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের বড় ভাই ও ওই গ্রুপের পরিচালক মোরশেদুল আলম। তিনি গত ২২ মে শুক্রবার রাত ১০টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। 

    গত ১৩ মে বুধবার সন্ধ্যায় উপজেলার কোলাগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম চাফড়া গ্রামের এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়। ওইদিন ফিল্ড হাসপাতাল থেকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পথে ৫৮ বছর বয়েসী ওই ব্যক্তি মারা যান। এর আগে গত ১১ মে নমুনায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ পাওয়া যায়।

    এর একমাস আগে ১৩ এপ্রিল রাত আড়াইটার সময় চট্টগ্রামের আন্দরকিল্লা জেনারেল হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত ছয় বছর বয়সী এক শিশুর মৃত্যু দিয়ে পটিয়া উপজেলায় শুরু হয় মৃত্যুর খাতা। বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দশ বছরের নিচে কোন শিশুর প্রথম মৃত্যু হয়েছে চট্টগ্রামের এ পটিয়ায়।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব সেন প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    করোনা উপসর্গ নিয়ে না ফেরার দেশে সিএমপির আরো এক পুলিশ সদস্য

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তির একদিন পরেই না ফেরার দেশে চলে গেলেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের আরো এক সদস্য।

    আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকালে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মারা যাওয়া পুলিশ সদস্যের নাম মর্তুজা আবদুল কাইয়ুম (৩৮)।

    তিনি সিএমপির সদরঘাট থানার সহকারি উপ-পরিদর্শক (এএসআই) পদে কর্মরত ছিলেন। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম এলাকায়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) আবু বক্কর সিদ্দিক আরো এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসজনিত কোভিড-১৯ এর উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের এক সদস্যের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, এর আগেও গত ১৯ মে থেকে জ্বর-সর্দি নিয়ে বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের চিকিৎসাধীন ছিলেন এএসআই মর্তুজা।

    গত ২৭ মে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়। হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে ৩১ মে সে নিজ কর্মস্থল সদরঘাট থানায় আসেন। তখন তার একবার নমুনা পরীক্ষা করা হলে করোনা পরীক্ষার নেগেটিভ ফল আসে। আরো পড়ুন : করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    তবে সোমবার (১ জুন) সকাল ১১ টার দিকে তার শরীরে ফের করোনার উপসর্গ দেখা দিলে তাকে আবারো চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। আজ মঙ্গলবার সকালে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক বলেন,মৃত্যুর আগে এএসআই মর্তুজার শরীরে“কোভিড-১৯ এর উপসর্গ থাকায় মৃত্যুর পর তার ফের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। তিনি করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত ছিলেন কিনা তা রিপোর্ট আসলেই জানা যাবে।

    সদরঘাট থানা সূত্রে জানা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে তাদের থানার এক পুলিশ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। বিকেলে সদরঘাট থানায় তার নামাযে জানাজা শেষে লাশ গ্রামের বাড়িতে পাঠানোর ব্যবস্থা করেন।

    এর আগের দিন সোমবার সকাল ১১টার সময় প্রাণঘাতী করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো এক পুলিশ সদস্য মৃত্যুবরণ করেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে। তিনি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি}‘র পাবলিক অর্ডার ম্যানেজমেন্টে (পিওএম) কন্সটেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    সিএমপি সূত্রে জানা যায়, গতকাল ১ জুন সোমবার পর্যন্ত চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মোট ১৬৬ জন পুলিশ সদস্য করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে ৪৪ জন সুস্থ হয়ে পুনরায় কর্মস্থলে যোগ দিলেও দুঃখজনক হলেও সত্যি যে দুজন সদস্য আর বেঁচে নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেলেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামে প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পাশাপাশি মৃত্যুর মিছিলও দীর্ঘ হচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই এক দুটি মৃত্যুর খবর প্রকাশ হচ্ছে গণমাধ্যমে। উপসর্গ নিয়েও মৃত্যু হচ্ছে কয়েকজনের।

    এরই ধারাবাহিকতায় করোনায় মৃত্যুর মিছিলে এবার যোগ হয়েছে আরো একটি নাম। আজ ২ জুন সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন দেশবরেণ্য আইনজীবী মো. কবির চৌধুরী। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।

    তথ্যটি নিশ্চিত করেন হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব। তিনি বলেন, অ্যডভোকেট কবির চৌধুরী চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন। তার নমুনা সংগ্রহের পর গতকাল রাতে করোনা পজেটিভ আসে। আজ ২ জুন মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় তার মৃত্যু হয়।

    করোনায় মৃত্যুবরণকারী মো. নুরুল কবির বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতাকালিন সদস্য। তাছাড়া চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের সাবেক সদস্য এবং জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম চট্টগ্রামের সাবেক সভাপতি ছিলেন বলে জানা গেছে।

    তার মৃত্যুতে চট্টগ্রামের আইনজীবী সমাজ একজন বটবৃক্ষ ও একজন অভিভাবককে হারাল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে একজনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে মারা গেলেন করিম উল্লাহ (৫৩) নামে এক পুরুষ। আজ ২ জুন মঙ্গলবার ভোর ৬টার সময় চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    করোনা উপসর্গ ছাড়াও মৃত্যুর আগে করিম উল্লাহ হৃদরোগেও ভুগছিলেন এমন তথ্য দিয়েছেন জেনারেল হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্টে ডা. আব্দুর রব।

    তিনি বলেন, করোনা উপসর্গ নিয়ে গতকাল হাসপাতালের আইসিইউতে ভর্তি হন করিম উল্লাহ। আজ সকাল ৬টার দিকে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    এদিকে জেলা সিভিল সার্জন গতকাল রাতের নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে নতুন করে আক্রান্ত ২০৮ জনসহ চট্টগ্রামে মোট আক্রান্ত বেড়ে ৩ হাজার ১৯৩ জনে দাড়িয়েছে। করোনা আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ৭৬ জন মারা গেছেন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ২২৭ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানল সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি

    চট্টগ্রামে করোনার কাছে হার মানল সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের কাছে হার মেনে না ফেরার দেশে চলে গেলেন সাতকানিয়ার তরুণ ব্যবসায়ি নেজাম উদ্দিন (৩৫)।

    আজ ১ জুন সোমবার বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের করোনা ইউনিটে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

    মারা যাওয়া তরুণ ব্যবসায়ি নেজাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার ঢেমশা চর পাড়ার মন্টু মিয়ার ছেলে এবং পাশ্ববর্তী লোহাগাড়া উপজেলার আমিরাবাদে ডাটা বাজার নামের একটি জুতার শোরুমের স্বত্তাধীকারী বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে।

    অপর এক ব্যবসায়ির কাছ থেকে জানা যায়, গত ২৩ মে জ্বর-শ্বাসকষ্ট (করোনা উপসর্গ) নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিল ব্যবসায়ি নেজাম।

    ভর্তির পর তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। গত ২৬ মে তার করোনা পজেটিভ রিপোর্ট আসে। আজ সোমবার বিকেলে চমেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    কক্সবাজারে একদিনে করোনায় ৩ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। কক্সবাজার প্রতিনিধি : কক্সবাজারে একদিনে পৃথকভাবে করোনা উপসর্গ নিয়ে এক নারীসহ তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১জুন) কক্সবাজার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পৃৃথকভাবে এসব রোগীর মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে কক্সবাজার জেলায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে ১৬জন।

    মৃত্যু হওয়া রোগীরা হলেন- কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলী ইছুলুর ঘোনা এলাকার মো: এছারুল করিম (৩৫), শহরের মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার মোহাম্মদ করিম (৩০) ও টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম (৫৫)।

    কক্সবাজার জেলা হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোমবার (১জুন) ভোর ৫টার দিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে মারা যান মো: এছারুল করিম (৩৫), সে কক্সবাজার শহরের পূর্ব পাহাড়তলি ইছুলুরঘোনার বাসিন্দা। সেখানে ব্যবসা করতেন।

    তাদের পরিবারে ৩ সদস্য করোনায় আক্রান্ত। ইতিমধ্যে এক সদস্য সুস্থ হয়ে গেছেন। মো. এছারুল করিমের করোনা লক্ষণ দেখা দিলে তিনি স্যাম্পল জমা দেন। রবিবার (৩১ মে) তার রিপোর্ট পজিটিভ আসে। রাতেই শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসিইউতে রাখা হয় এবং সেখানেই তিনি আজ সোমবার আনুমানিক ভোর ৫টা নাগাদ মৃত্যুবরণ করেন।

    কক্সবাজার পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ডের মধ্যম নুনিয়ারছড়ার তরুণ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ করিম (৩০) করোনার উপসর্গ নিয়ে মারা গেছেন। সোমবার (১ জুন) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

    করোনার উপসর্গ নিয়ে দুই দিন আগে তাকে হাসপাতালে তাকে ভর্তি করা হয়। ওই দিনই তার স্যাম্পল সংগ্রহ করা হয়। তবে এখনো রিপোর্ট প্রকাশ হয়নি। মোহাম্মদ করিম মধ্যম নুনিয়াছড়া এলাকার শামসুল আলম প্রকাশ শামসু মাঝির ছেলে।

    একইভাবে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মনোয়ারা বেগম (৫৫) নামের এক নারী মারা গেছে। সে টেকনাফ পৌরসভার ডেইলপাড়া এলাকার মোহাম্মদ কবিরের স্ত্রী। একই দিন বেলা ১১টার দিকে তিনি মারা যান। এর তিনদিন আগে তার করোনার লক্ষণ দেখা দিলে রবিবার কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি হন।

    কক্সবাজার সিভিল সার্জন ডা: মাহবুবুর রহমান জানান, ‘কক্সবাজার জেলায় গত ৬১টি দিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ইতিমধ্যে ১৩জন মারা গেছে। আজকের তিনজন সহ মোট ১৬জন নারী পুরুষের মৃত্যু হয়েছে। এরমধ্যে করোনা উপসর্গ নিয়ে মারা গেছে ৭জন। মারা যাওয়া ১৬জনই করোনায় আক্রান্ত।

    মৃত্যু হওয়া রোগীদের মধ্যে কক্সবাজার সদর উপজেলায় ১১জন, রামু ১জন, টেকনাফে ২জন, উখিয়া ১জন ও চকরিয়া ১জন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম মাহমুদ/রাজীব প্রিন্স

  • মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

    মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মিরসরাই প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় ট্রাক চালক ও চালকের সহকারীর মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (১ জুন) ভোরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারইয়ারহাট কমফোর্ট হাসপাতালের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলো ফটিকছড়ি উপজেলার ভুজপুর থানার বড়বিল এলাকার আবদুল কাদিরের পুত্র ট্রাক চালক মোহাম্মদ আরিফ হোসেন (২৫) ও একই গ্রামের মোহাম্মদ ইউনুসের পুত্র চালকের সহকারী (হেলপার) মোহাম্মদ শাহীন (২৩)।

    জানা গেছে, ফেনী থেকে ছেড়ে আসা একটি ট্রাক (যার নং: ফেনী ড-১১-০১০০) চট্টগ্রামের দিকে যাওয়ার পথে বারইয়ার হাট বাজারের উত্তর পাশে কমফোর্ট হাসপাতাল লিমিটেডের সামনে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। এতে ঘটনা স্থলেই চালক ও চালকের সহকারী মারা যান।

    জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ মোঃ ফিরোজ হোসেন ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনার নির্দিষ্ট কোন কারণ জানা না গেলেও নিহত চালক ও হেলপার সম্ভবত ঘুমন্ত অবস্থায় ছিল।

    চলন্ত অবস্থায় তাদের ট্রাকটি কোন লরিকে ধাক্কা দেয় বলে ক্লু পাওয়া যাচ্ছে। কিন্তু এতে লরিটির ক্ষতি না হলেও ট্রাকটির সামনের অংশ চেপে যায় এবং মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় গাড়ির এই চালক ও হেলপার।

    ২৪ ঘণ্টা/আশরাফ উদ্দিন/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু/মারা গেছে পুলিশ,চিকিৎসক ও হাসপাতাল ক্লিনার

    চট্টগ্রামে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৩ ঘণ্টায় ৩ মৃত্যু/মারা গেছে পুলিশ,চিকিৎসক ও হাসপাতাল ক্লিনার

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রামে একদিনের মাত্র ৩ ঘণ্টার মধ্যেই ৩টি মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।

    মৃত্যুবরণকারীদের মধ্যে একজন সিএমপি’র পুলিশ কনস্টেবল, একজন হোমিও চিকিৎসক ও অন্যজন চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের চুক্তিভিত্তিক ক্লিনার হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত মাত্র ৩ ঘণ্টার ব্যবধানে এ তিনজনের মৃত্যু হয়।

    চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানার ২ নং জালালাবাদ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু জানান, আজ সোমবার সকাল ৮টার সময় তার ওয়ার্ডে করোনা উপসর্গ নিয়ে ৬০ বছর বয়সী এক হোমিওপ্যাথি চিকিৎসকের মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, ওই চিকিৎসক জালালাবাদ ওয়ার্ড কাউন্সিলর অফিসে নিয়মিত রোগী দেখতেন। সপ্তাহ খানেক আগে তার জ্বর ও সর্দি দেখা দিলে তিনি রোগী দেখা বন্ধ করে দেন।

    সর্বশেষ ২৭ এপ্রিল রোগী দেখেছিলেন তিনি। গত ৩১ এপ্রিল তার নমুনা পরীক্ষার জন্য নেওয়া হয়। রিপোর্ট আসার আগেই আজ সকালে তার বাকলিয়াস্থ নিজ বাসায় তিনি মারা যান।

    দিনের ঠিক একই সময়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক ক্লিনারের দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন। আরো পড়ুন : উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম।

    এর মাত্র ৩ ঘন্টা পর করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে এক পুলিশ কনস্টেবলের মৃত্যু হয়। আজ ১ জুন সোমবার সকাল ১১টার সময় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

    নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ও জনসংযোগ কমকর্তা আবু বকর সিদ্দিক। করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুর পর করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। রিপোর্ট আসলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যাবে। আরো পড়ুন : উপসর্গ নিয়ে মারা গেল সিএমপির পুলিশ কনেস্টেবল

    এদিকে সিএমপি কমিশনার মো. মাহাবুবর রহমান সহ সিএমপি’র ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে সামাজিক দূরত্ব ও স্বাস্থ্যবিধি বজায় রেখে মারা যাওয়া ওই পুলিশ কনস্টেবলের জানাযা অনুষ্ঠিত হয়।

    নগরীর সিএমপির দামপাড়া পুলিশ লাইনে জানাজা শেষে সিএমপি’র ব্যবস্থাপনায় মরদেহ তার গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে বললেন সিএমপির জনসংযোগ শাখার এ কর্মকর্তা ।

    মৃত্যুবরণকারী পুলিশ কনস্টেবলের বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরামে এলাকায়। তিনি ২০১২ সালে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেছিলেন বলে সিএমপি সূত্রে জানা গেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আয়ার মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের ৬০ বছর বয়সী এক কর্মচারীর মৃত্যু হয়েছে করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে। তিনি ওই হাসপাতালের করোনা ইউনিটে চুক্তিভিত্তিক আয়ার দায়িত্বে নিযুক্ত ছিলেন।

    আজ ১ জুন সোমবার সকাল ৮ টার দিকে জেনারেল হাসপাতালের আইসিউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা. আব্দুর রব মাসুম।

    তিনি বলেন, গতকাল করোনার উপসর্গ নিয়ে ওই নারী হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন। তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছিল।

    আজ (সোমবার) সকাল ৮ টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। তাছাড়া মৃত্যুর আগে তিনি দীর্ঘদিন ধরে এজমায় ভুগছিলেন বলে তিনি জানান।

    জানা গেছে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত্যুবরণ করা ওই নারী হাসপাতালের ফ্লু কর্নারে ক্লিনার হিসেবে চাকরি করতেন।

    অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ করার পাশাপাশি করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) ইউনিটে রোগীদের কিছু প্রয়োজন হলে গেইটের বাইরে থেকে তা সংগ্রহ করে দিতেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা/শোকে জমাট হৃদয়,কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না-মু. সেলিম হক

    করোনা/শোকে জমাট হৃদয়,কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না-মু. সেলিম হক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। মতামত ডেস্ক : এখন আগের মতো করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা দেখিনা। এটা তেমন মনেও রাখতে পারিনা। এখন দেখি কেবল মৃত্যু আর সুস্হতার সংখ্যা। হয়তো কিছুদিন পর এ দৃশ্য হবে আজকের মৃত্যু সংখ্যা সেদিনের আক্রান্তের সংখ্যার মতোই।

    করোনার প্রথম দিকে মৃত্যু ছিল একজন কিংবা বেশি হলে দুইজন। এটা মানসিক ভাবে মেনে নিতে বড়ই খারাপ লাগতো। দিনে দিনে এ সংখ্যা বাড়তে থাকলো।

    ঘুরে ফিরে ২০ নিচে থাকতো। হঠাৎ ২৮জন। কেন জানি ভয় লাগেনি। ভাবছি এটা কি এরকম থাকবে, সামনে আরো বাড়বে। আজ ৪০ দাড়াঁলো।হয়তো সামনে দিনে সংখ্যাটা শতের উপর যাবে, হয়তো হাজারে।

    তিনমাসে-মোট মৃত্যু দাঁড়ালো ৬শ’র মতো। আগামী কয়েক মাসে দৃশ্যটা কেমন হবে? এক অজানা মাথামোটা প্রশ্ন।

    তখন আমরা আক্রান্তের সংখ্যা হিসেব করবো না। করবো মৃত আর সুস্হতা নিয়ে। কত মরে কত বাঁচে। জায়গা নেই মেডিকেলে। রাস্তায় লোক পড়ে থাকবে, কেউ কারো মৃত্যু নিয়ে তেমন শোক করবে না। সবার আশেপাশে কেবল লাশ আর লাশ।

    শোকে জমাট হবে সবার হৃদয়। বেদনাহীন জীবন আমরা অভ্যস্ত হয়ে পড়বো। গন্ধ পাবো না জীবনের চলার পথে। অসচেতনতার বড়ই মাশুল আমরা দিবো। না দিলে হবো পৃথিবীর সেরা ভাগ্যবান জাতি!?

    মুহাম্মদ সেলিমহক-সাংবাদিক, লেখক ও কলামিস্ট