Tag: মৃত্যু

  • করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় কাবু পুরো বিশ্ব। মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসটির বয়স চার মাস পার হলেও বিশ্বের কোথাও এখনে নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ মিলছে না।

    ভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ছুঁই ছুঁই।

    যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

    কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।

    বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জনের শরীরে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৫ হাজার ৯২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

    মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।

    মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১০৪ জন।

    স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২২৭ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১০৪ জন।

    এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১২ জনের।

    ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৩, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন।

    এছাড়া জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ জনের।

    ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

    এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।

    পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। ভারতে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।

    বাংলাদেশে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮২২, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ২৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেল ৬৫ বছরের নারী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

    চট্টগ্রামে করোনায় মারা গেল ৬৫ বছরের নারী, মৃতের সংখ্যা বেড়ে ২০

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে চট্টগ্রামে কর্ণফুলি উপজেলার চরপাথরঘাটা ইছানগর গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধা আমেনা বেগম (৬৫)।

    আজ ১১ মে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এতে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণকারীর তালিকায় যুক্ত হলো আরো একজন।

    চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে সিনিয়র কনসালটেন্ট ডা.আব্দুর রব বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, আজ সন্ধ্যায় হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত নারীটি চট্টগ্রামের কর্ণফুলি চরপাথরঘাটা ইউনিয়নের ইছানগর কর্ণফুলী ডকইয়ার্ড সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা।

    করোনায় মৃত নারীর পারিবিারিক সূত্রে জানা যায়, তিনি দীর্ঘদিন যাবত ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন ধরে নগরীর আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।

    তখন তার নমুনা সংগ্রহ করে করোনা পরীক্ষার জন্য চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে অবস্থিত বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজ (বিআইটিআইডি)-তে পাঠানো হয়।

    পরে কিছুটা সুস্থ অনুভব হলে গত ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতাল থেকে বাড়ি নেওয়া হয়। বাড়ি আসার পরদিন ২৮ এপ্রিল রাতে বিআইটিআইডিতে তার করোনা ভাইরাস (কোভিড-১৯) শনাক্ত হয়।

    এরপর আন্দরকিল্লার জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে ১৪ দিনের বেশি সময় ধরে চিকিৎসাধীন থেকে অবশেষে করোনার কাছে হার মেনেছে।

    আজ সোমবার বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সিভিল সার্জন কার্যালয়, চট্টগ্রাম নামে ভেরিফাইড ফেসবুক লাইভে এসে জেলা সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বী জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলায় এখন পর্যন্ত করোনা আক্রান্তের মোট সংখ্যা ২৬৮ জন।

    আজ সোমবার নতুন করে ২ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। করোনা জয় করে এ পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৬৯ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/ রাজীব প্রিন্স

  • করোনা/চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬/সিভাসু ল্যাবে নতুন আক্রান্ত সাতজনের ১ জন চট্টগ্রামের

    করোনা/চট্টগ্রামে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৬/সিভাসু ল্যাবে নতুন আক্রান্ত সাতজনের ১ জন চট্টগ্রামের

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। নিজস্ব প্রতিনিধি : চট্টগ্রামে প্রথম করোনা পরীক্ষার ল্যাব বিআইটিআইডিতে গতকাল শুক্রবারের রিপোর্টে নগরীর পাহাড়তলী বাঁচা মিয়া রোডের বাঁচা মিয়া কন্ট্রাক্টর বাড়ির মৃত জাফর আহমদের ছেলে নুরুল আলম (৬৫) ‘র করোনা পজেটিভ আসে।

    তবে তিনি আর বেঁচে নেই। রিপোর্ট হাতে পাওয়ার আগের দিন গত ৭ মে বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    ফলে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রামে মৃত্যুর তালিকায় আরো একজন যুক্ত হল। শুক্রবার ৮ মে রিপোর্ট অনুযায়ী চট্টগ্রামে জেলায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে এখন ১৬ জনে ঠেকেছে।

    জানা যায়, শ্বাসকষ্ট ও জ্বর নিয়ে ৬৫ বছর বয়সী বৃদ্ধ নুরুল আলম গত ৬ মে বুধবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে ভর্তি হন।

    পরের দিন বৃহস্পতিবার সকালে করোনা পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। একইদিন বিকালে ওই বৃদ্ধ হাসপাতালেই মারা যান।

    তার মৃত্যুর তথ্যটি আজ ৯ মে শনিবার দুপুরে নিশ্চিত করেন চট্টগ্রাম জেলা সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি। তিনি জানান, রিপোর্ট আসার আগ পর্যন্ত মৃত ব্যক্তির মরদেহ চমেক হাসপাতালেই ছিলো।

    গতকাল রিপোর্টে মৃত ব্যাক্তিটির করোনা সনাক্ত হওয়ায় স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়ম অনুযায়ী দাফন করতে বলা হয়েছে এবং বৃদ্ধার সংস্পর্শে আসাদের কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিতের পাশাপাশি তাদের বাড়িও লকডাউন করা হচ্ছে।

    এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে করোনা টেস্টের ২য় চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) ল্যাবে আরো ৭ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে বলে তিনি জানান।

    তিনি বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় ওই ল্যাবে মোট ২৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৭ জনের শরীরে করোনার অস্তিত্ব পাওয়া যায়। এরমধ্যে চট্টগ্রাম জেলার সীতাকুণ্ডের ৩৫ বছর বয়সী এক পুরুষ করোনায় আক্রান্ত আছে। বাকি ছয়জন লক্ষীপুর জেলার বাসিন্দা বলে তিনি জানায়।

    নতুন একজনসহ এনিয়ে চট্টগ্রাম জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়ায় ২০৭ জনে। এর মধ্যে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মোট ৪৯ জন করোনা জয় করে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনা : যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ৭৫ হাজার ছাড়াল/আফ্রিকায় মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ার আশংকা!

    করোনা : যুক্তরাষ্ট্রে মৃত্যু ৭৫ হাজার ছাড়াল/আফ্রিকায় মৃত্যু লাফিয়ে বাড়ার আশংকা!

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : যুক্তরাষ্ট্রে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টা) যুক্তরাষ্ট্রে আরও ২,৪৪৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে দেশটিতে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ৭৫ হাজার ছাড়াল।

    তাছাড়া মৃত্যু ও আক্রান্তের দিক থেকে শীর্ষে থাকা দেশটিতে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও প্রায় ১৩ লাখ যা বিশ্বের মোট আক্রান্তের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ!

    বাল্টিমোরভিত্তিক বিশ্ববিদ্যালয় জনস হপকিন্স জানিয়েছে, দেশটিতে মোট আক্রান্ত দাঁড়িয়েছে ১২ লাখ ৫৪ হাজার ৭৫০ জন। দেশটিতে মোট মৃত্যু দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ৫৪৩ জন, যা এই ভাইরাসে বিশ্বের মোট মৃত্যুর এক-চতুর্থাংশের বেশি।

    গত ২৪ ঘণ্টায় প্রায় আড়াই হাজার মানুষের মৃত্যু হয়েছে দেশটিতে। নিউ ইয়র্কের চেহারা এখনও ভয়াবহ। হাসপাতালে নতুন রোগী নেওয়ার কার্যত কোনও জায়গা নেই। পাওয়া যাচ্ছে না মৃতদেহ কবর দেওয়ার জায়গা।

    তবে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প এখনও লকডাউন তুলে জনজীবন স্বাভাবিক ছন্দে ফেরানোর পক্ষপাতী। তিনি আগেই বলেছিলেন, দিনের পর দিন এ ভাবে সব কিছু বন্ধ করে বসে থাকা সম্ভব নয়। অর্থনীতিকে সচল করতেই হবে।

    যদিও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুত জীবনযাত্রা স্বাভাবিক করে দিলে মৃতের সংখ্যা অনেক গুণ বেড়ে যাবে। বাড়বে আক্রান্ত। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়া আরও কঠিন হয়ে পড়বে।

    এরই মধ্যে আরও এক আতঙ্কের কথা জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। আফ্রিকাতেও মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে বাড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার। তাদের বক্তব্য, নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা না গেলে আফ্রিকায় এই মহামারি ভয়াবহতম চেহারা নিতে পারে। আক্রান্ত হতে পারেন তিন থেকে চার কোটি মানুষ। মৃত্যু হতে পারে ৮০ হাজার থেকে দুই লাখ লোকের।

    শুধু তাই নয়, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, প্রথম আঘাতের পরে ফের নতুন ঢেউ নিয়ে ফিরে আসতে পারে করোনা। ফলে যে সব দেশ দ্রুত লকডাউন তোলার পরিকল্পনা করছে, তাদের আরও সতর্ক হওয়া উচিত।

    ইউরোপ কিংবা অ্যামেরিকা যে ভাবে করোনার সঙ্গে লড়াই করেছে, আফ্রিকার দেশগুলির পক্ষে স্বাভাবিক ভাবেই সে ভাবে লড়াই করা সম্ভব নয়। অর্থনৈতিক ভাবে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশই পিছিয়ে পড়া। করোনার পরীক্ষাও সেখানে ঠিক ভাবে হচ্ছে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন না।

    পরিস্থিতি এমনই চলতে থাকলে আফ্রিকায় করোনা ভয়াবহ চেহারা নেবে বলে আশঙ্কা। মৃত্যু হবে অসংখ্য লোকের। কিন্তু বিকল্প উপায়ও দেখতে পাচ্ছেন না অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ।

    তাঁদের বক্তব্য, ক্যামেরুন বুঝিয়ে দিয়েছে, এক মাস অর্থনীতি সচল না থাকলে আফ্রিকার অধিকাংশ দেশের কী ধরনের বিপর্যয় ঘটতে পারে। বিপুল পরিমাণ অর্থ সাহায্য করে ক্যামেরুনের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল করার চেষ্টা চলছে। অন্য দিকে সেখানে করোনা আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে।

    জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকাল পর্যন্ত গোটা বিশ্বে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩৯ লাখ ১৬ হাজার। মৃত দুই লাখ ৭০ হাজার। সুস্থ হয়েছেন ১৩ লাখ ৪৩ হাজার।

    তিরিশ হাজার ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে মৃত্যুর মিছিলে যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। আক্রান্তে চতুর্থস্থানে আছে দেশটি, প্রায় ২ লাখ ৮ হাজার। তিরিশ হাজার ছুঁই ছুঁই মৃত্যু নিয়ে তৃতীয়স্থানে ইতালি; আক্রান্তে তৃতীয়স্থানে আছে দেশটি, ২ লাখ ১৫ হাজার।

    মৃত্যুর তালিকায় এক সময় দ্বিতীয়স্থানে থাকা স্পেন চতুর্থস্থানে নেমে এসেছে, ২৬ হাজার। তবে আক্রান্তের তালিকায় এখনো দ্বিতীয়স্থানে দেশটি, ২ লাখ ২১ হাজার। মৃত্যুতে পঞ্চমস্থানে ফ্রান্স, ২৬ হাজার ছুঁই ছুঁই। আক্রান্তে ষষ্ঠস্থানে আছে দেশটি, প্রায় ১ লাখ ৭৫ হাজার।

    আক্রান্তে হঠাৎ ওপরে উঠে আসছে রাশিয়া। এক লাখ ৭৭ হাজার ছাড়ানো আক্রান্ত নিয়ে বর্তমানে পঞ্চমস্থানে আছে বিশ্বের বৃহত্তম দেশটি। দক্ষিণ এশিয়ার বৃহত্তম দেশ ভারতে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৬ হাজার; মৃত্যু ১ হাজার ৮৮৯ জন। বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে মৃত্যু ১৯৯ জন।

    করোনার প্রকোপ যত দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে, পৃথিবী জুড়ে অর্থনীতি ততই সংকটজনক চেহারা নিচ্ছে। অর্থনৈতিক ভাবে পৃথিবীর তৃতীয় শক্তিশালী দেশ জাপানে গভীর মন্দা শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হলে আপাতত এই সংকট কাটার কোনও সম্ভাবনা নেই।

    এ দিকে হংকংয়ের একটি বিশ্ববিদ্যালয় সম্প্রতি জানিয়েছে, শুধু মুখ আর নাক নয়, চোখ দিয়েও করোনা ভাইরাস শরীরে প্রবেশ করছে। শুধু তাই নয়, তাদের বক্তব্য সার্স ভাইরাসের চেয়ে করোনা অন্তত ১০০ গুণ বেশি শক্তিশালী।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • ঘুমন্ত শ্রমিকের উপর চলে গেল মালবাহী ট্রেন/ ১৭ জনের মৃত্যু, আহত ৫

    ঘুমন্ত শ্রমিকের উপর চলে গেল মালবাহী ট্রেন/ ১৭ জনের মৃত্যু, আহত ৫

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতের মহারাষ্ট্রে ঔরঙ্গাবাদ জেলায় রেললাইনের উপর ঘুমন্ত শ্রমিকদের শরীরের উপর চলে গেছে মালবাহী ট্রেন।

    এতে চাকার নিচেই পিষ্ট হয়ে ১৭ শ্রমিকের মৃত্যু এবং এ ঘটনায় আরো ৫ শ্রমিক আহত হয়। এদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর। আজ শুক্রবার ভোরে এই দুর্ঘটনা ঘটে। 

    জানা যায়, হতাহত শ্রমিকরা সবাই জালনা শহরের একটি লোহার কারখানায় কাজ করতেন। সেখান থেকে বাড়িতে ফেরার জন্য মধ্যপ্রদেশের পথে রওনা দেন তারা।

    ভারত জুড়ে লকডাউন থাকায় ২২ থেকে ২৫ জনের একটি শ্রমিকদল প্রায় ৪৫ কিলোমিটার পথ হেঁটে ক্লান্ত হয়ে রেল লাইনের উপরেই তাঁরা বিশ্রাম নিচ্ছিলেন। তাদের ঘুম এমনটাই ভারি ছিলো যে, মালগাড়ি আসার শব্দেও তাদের ঘুম ভাঙ্গেনি। কালঘুমেই মালগাড়ির চাকার তলায় পিষ্ট হয়ে ১৭ জন শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। পাঁচ জন গুরুতর আহত।

    ভারতীয় গণমাধ্যম ডিডাব্লিউ টিভি সূত্রে জানা যায়, মালবাহি ট্রেনটি খালি ছিলো। রেল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে মালবাহী ট্রেনের চালক শেষ সময়ে ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছেন।

    সংবাদমাধ্যমটি জানায়, এই শ্রমিকরা সকলেই মধ্যপ্রদেশের। তাঁরা জালনার কারখানায় কাজ করতেন। জালনা থেকে ১৭০ কিলোমিটার দূরে ভুসাওয়াল যাচ্ছিলেন, যাতে তাঁরা শ্রমিক এক্সপ্রেস ধরে নিজেদের রাজ্যে ও গ্রামে ফিরতে পারেন।

    এই দুর্ঘটনায় প্রবল ক্ষুব্ধ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি রেলমন্ত্রীকে ফোন করে তাঁর ক্ষোভের কথা জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা : চট্টগ্রামে নতুন ১ জনসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, আক্রান্ত রোগী ৮৬

    করোনা : চট্টগ্রামে নতুন ১ জনসহ মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৭, আক্রান্ত রোগী ৮৬

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেলায় আরো এক জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে গতকাল রবিবার। গত ৩০ এপ্রিল তিনি মারা যান। এ নিয়ে চট্টগ্রামে করোনায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ জনে।

    করোনায় মৃত্যু নতুন ব্যাক্তিটি হলেন, চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানাধীন মোহরার বাসিন্দা।

    মৃত ব্যাক্তির পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, মৃত্যুর চারদিন আগে গত ২৬ এপ্রিল তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে পরদিন তাকে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেজে (বিআইটিআইডি) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

    গত ২৮ এপ্রিল তার করোনা পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হলেও মৃত্যুর আরো ২ দিন পর গতকাল রবিবার (৩ মে) তার ফলাফল পজেটিভ আসে। তবে এর আগে গত ৩০ এপ্রিল তিনি মারা যান। ১ মে গাউসিয়া কমিটির সদস্যরা পিপিই পরিধান করে নুরুল আবছারের দাফন সম্পন্ন করেন এমনটাই জানিয়েছেন মৃত আবছারের পরিবার।

    সর্বশেষ রোববার রাতে (৩ মে) বিআইটিআইডি ল্যাবে ১৮৩ জনের নমুনা পরীক্ষা করে নতুন করে চট্টগ্রামের ৫ জনের দেহে করোনাভাইরাস পাওয়া যায়। নতুন করে শনাক্ত চট্টগ্রামের ৫ জনের মধ্যে একজন ৫৫ বছর বয়সী মোহরায় মৃত আবছার চৌধুরী।

    তাছাড়া একজন ৩৮ বছর বয়সী দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের পুরুষ পুলিশ সদস্য, সাতকানিয়ার পশ্চিম ঢেমশার সিটুয়াপাড়ার ৪৫ বছর বয়সী এক পুরুষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ৩৫ বছর বয়সী করোনা সনাক্ত ব্যাক্তিটি নগরীর পাহাড়তলীর বাসিন্দা।

    এছাড়া বিআইটিআইডিতে পরীক্ষার জন্য নমুনা জমা দেওয়া ৬২ বছর বয়সী আরেক পুরুষ সদস্যের করোনা পজেটিভ আসে। তবে তার যোগাযোগের জন্য সংরক্ষিত মোবাইল ফোনটি বন্ধ থাকায় তার বিস্তারিত জানা যায়নি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করা যাচ্ছে না বলে জানান সিভিল সার্জন।

    চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিআইটিআইডি ল্যাবে নমুন সংগ্রহ করা নমুনা পরীক্ষার ফলাফলে রবিবার পজিটিভ আসা চট্টগ্রামের ৫ জনের মধ্যে ৫৫ বছর বয়সী এক ব্যক্তি অন্তত দুইদিন আগে মারা গেছেন।

    মৃত্যুর পর নমুনা পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ রিপোর্ট পাওয়া গেছে। তবে ঠিকানা হিসেবে দামপাড়া পুলিশ লাইন্সের কথা উল্লেখ থাকলেও তিনি পুলিশ সদস্য নন।

    চট্টগ্রামে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা সর্বমোট ৮৬ জনে দাঁড়ালো। চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, গত ৩৮ দিনে চট্টগ্রামে মোট ৮১ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    এছাড়া ঢাকা, কুমিল্লা, কক্সবাজার ও রাজবাড়ীতে করানো শনাক্ত হয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতাল ও ফিল্ড হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো পাঁচ ব্যক্তি।

    চট্টগ্রামে আক্রান্তের মধ্যে নগরের ৫৪ জন, সাতকানিয়ার ১৬ জন, লোহাগাড়ার একজন সীতাকুণ্ডের ৩ জন, বোয়ালখালীর ২ জন, পটিয়ার ২ জন, আনোয়ারার ১ জন, চন্দনাইশের ২ জন, সন্দ্বীপের ১ জন, রাঙ্গুনিয়ার ১ জন, ফটিকছড়ির ১ জন ও মিরসরাইয়ের ২ জন রয়েছেন।

    চট্টগ্রামে এখন পর্যন্ত ৬ বছরের এক শিশু, তিন বয়স্ক পুরুষ ও দুই নারীসহ মোট সাতজন করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। এছাড়াও ৬ জন মারা গেছে আইসোলেশনে। তবে মৃত্যুর পর তাদের পাঁচজনের নমুনা পরীক্ষায় করোনা নেগেটিভ পাওয়া যায়। আইসোলেশনে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন ৬১ জন। সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরে গেছেন ২২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স…

  • সিলেটে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ

    সিলেটে নারায়ণগঞ্জ ফেরত পুলিশ সদস্যের মৃত্যু, করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সারাদেশ ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের আক্রান্তের দিক থেকে দেশের হটস্পট নারায়ণগঞ্জ ফেরত এক পুলিশ সদস্য সিলেটে মারা গেছে।

    করোনা উপসর্গ জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে শুক্রবার (১ মে) রাত ৮.১৫ মিনিটের সময় সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন)

    মৃত পুলিশ সদস্যের নাম মো. ইমন মিয়া (২১)। তিনি নারায়ণগঞ্জ শিল্প পুলিশে কনস্টেবল পদে কর্মরত ছিলেন। ইমন মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের মো. ফজলু মিয়ার ছেলে।

    জানা যায়, ইমন ২০১৮ সালের ২২ জানুয়ারি কনস্টেবল পদে শিল্প পুলিশে যোগ দেন। তার কনস্টেবল নম্বর ৫৮৪। সম্প্রতি তিনি নারায়ণগঞ্জ থেকে কিডনিতে সমস্যা, জ্বর ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে অসুস্থ থাকায় ছুটি নিয়ে মৌলভীবাজারের সদর উপজেলার খলিলপুর গ্রামের বাড়িতে ফেরেন।

    বাড়িতে তিনি হোম কোয়ারেন্টিনে ছিলেন। ইমন মিয়ার অবস্থার অবনতি হলে গত ২৭ এপ্রিল তাকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন থেকে শুক্রবার রাত সোয়া ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

    শুক্রবার গভীররাতে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায় বলেন, ওই পুলিশ সদস্যের শরীরে করোনার উপসর্গ ছিল। তবে নমুনা পরীক্ষায় তার রিপোর্ট করোনা নেগেটিভ এসেছে। এরপরও সতর্কতার জন্য করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে ২ জনের মৃত্যু

    করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম ও বান্দরবানে ২ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডেস্ক নিউজ। জ্বর, সর্দিসহ করোনা উপসর্গের লক্ষণ নিয়ে একই দিনে চট্টগ্রাম ও বান্দরবান জেলায় ২ জনের মৃত্যুর খবর জানা গেছে।

    জানা যায়, বুধবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে ফৌজদারহাটের বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসে (বিআইটিআইডি) আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় পলাশ নামে এক রোগীর মৃত্যু হয়। তিনি চট্টগ্রাম নগরীর দক্ষিণ কাট্টলি এলাকার বাসিন্দা।

    তথ্যটি নিশ্চিত করে বিআইটিআইডির পরিচালক অধ্যাপক ডা. মো. আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, একই দিনে বুধবার (২৯ এপ্রিল) দিনগত রাতে বিআইটিআইডি’র আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, মৃত ব্যক্তিটির শরীরে জ্বর, সর্দিসহ করোনা উপসর্গের লক্ষণ থাকায় তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। ফলাফল আসলে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা জানা যাবে।

    এদিকে একই দিনে চট্টগ্রাম বিভাগের বান্দরবান জেলার সদর উপজেলায় করোনা ভাইরাসের উপসর্গ নিয়ে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    বুধবার (২৯ এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে উপজেলার সুয়ালক ইউনিয়নের সুলতানপুর এলাকায় নিজ বাড়িতে ওই নারীর মুত্যু হয়।

    এদিকে ওই নারী শ্বাসকষ্ট নিয়ে মারা গেছে এমন খবরে পুরো এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। পরে স্থানীয় ইউপি সদস্যের মাধ্যমে বিষয়টি সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়।

    বান্দরবান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. হাবিবুল হাসান বলেন, স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে স্বাস্থ্যকর্মীদের ঘটনাস্থলে পাঠানো হয় এবং সামাজিক দূরত্ব মেনে ওই নারীর দাফন কাজ সম্পন্ন করে মৃত নারীটির বাড়ির আশপাশে লকডাউন করে রাখা হয়।

    এদিকে করোনা উপসর্গ নিয়ে মৃত ওই নারীর নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য কক্সবাজার হাসপাতাল ল্যাবে পাঠানো হয়েছে বললেন জেলা সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডা. মো. আলমগীর।

    তিনি বলেন, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল হাতে পেলে জানা যাবে তিনি করোনায় আক্রান্ত ছিলেন কিনা।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • দেশে সবচেয়ে লম্বা, বিশ্বে ২য় দীর্ঘকায় ব্যক্তি জিন্নাত আলী মারা গেছে

    দেশে সবচেয়ে লম্বা, বিশ্বে ২য় দীর্ঘকায় ব্যক্তি জিন্নাত আলী মারা গেছে

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশের সবচেয়ে লম্বা ও বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘকায় ব্যক্তি জিন্নাত আলী আর বেঁচে নেই।

    সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা গেছেন। (ইন্নালিল্লাহি ওয়াইন্না ইলাইহে রাজেউন)

    কক্সবাজারের বাসিন্দা জিন্নাত তুরস্কের সুলতান কোশেনের পরেই বিশ্বের দ্বিতীয় দীর্ঘকায় ব্যক্তি ছিলেন। জিন্নাত আলীর উচ্চতা ছিল ৮ ফুট ৬ ইঞ্চি। শৈশব থেকে হরমোনের জটিলতায় ভুগছিলেন জিন্নাত আলী। এ কারণে তিনি অস্বাভাবিক উচ্চতা নিয়ে বেড়ে ওঠেছেন।

    জিন্নাতের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন তার বড় ভাই ইলিয়াস আলী। তিনি বলেন, মস্তিস্কে টিউমার আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরো-সার্জারি বিভাগে চিকিৎসাধীন ছিলেন জিন্নাত। সোমবার রাত ৩টায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    চমেক হাসপাতালের অধ্যাপক ডা. নোমান খালেদ চৌধুরী জানান, নিউরো-সার্জারি বিভাগে আনার আগে থেকেই জ্ঞান ছিল না জিন্নাত আলীর। তার মস্তিস্কে টিউমারটি এতোই বড় ও জটিল অবস্থায় ছিল যে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে তা অপসারণ করা সম্ভব ছিল না। আর জ্ঞান ফেরেনি তার।

    প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালের অক্টোবরে জিন্নাত আলীর চিকিৎসায় সহায়তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া প্রধানমন্ত্রীর তহবিল থেকে আর্থিক সহযোগিতায় জিন্নাতকে তার এলাকায় একটি দোকানও করে দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা : বিশ্বে আক্রান্ত ২৯ লাখ ছাড়াল, ৮ লক্ষাধিক রোগীর করোনা জয়

    করোনা : বিশ্বে আক্রান্ত ২৯ লাখ ছাড়াল, ৮ লক্ষাধিক রোগীর করোনা জয়

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাস মহামারীতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৯ লাখ ছাড়িয়ে সংখ্যা দাড়ায় ২৯ লাখ ২১ হাজার ২০১ জনে।

    পরিসংখ্যান বিষয়ক আন্তর্জাতিক সংস্থা ওয়ার্ল্ডওমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বের ২১০টি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়া এ ভাইরাস রোববার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৯টা পর্যন্ত ২ লাখ ৩ হাজার ২৮৯ জন মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৮ লাখ ৩৬ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ১৮ লাখ ৮০ হাজার ৯৪৩ জন। এদের মধ্যে ১৮ লাখ ২৩ হাজার ৮০ জনের জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৫৭ হাজার ৮৬৩ জনের অবস্থা গুরুতর।

    করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যে ভাইরাসটির আক্রমণে মৃত এবং আক্রান্তের সংখ্যায় সবার চাইতে এগিয়ে রয়েছে প্রভাবশালী দেশ যুক্তরাষ্ট্র। নতুন করে আরো ২০৬৫ জনের প্রাণহানী এবং একদিনেই প্রায় সাড়ে ৩৫ হাজার মানুষ আক্রান্ত হয়েছে দেশটিতে।

    এ নিয়ে দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৫৪ হাজার ২৬৫ জন মানুষের মৃত্যু এবং সর্বমোট ৯ লাখ ৬০ হাজার ৮৯৬ জন মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।

    মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরে অবস্থানে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এ পর্যন্ত ২৬ হাজার ৩৮৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৯৫ হাজার ৩৫১ জন।

    এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৯০২ জনের মৃত্যু হয়েছে বিশ্বে মৃতের সংখ্যায় ৩ নাম্বার অবস্থানে থাকা দেশ স্পেনে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যার দিক থেকে অবশ্য ২য় অবস্থানে রয়েছে। এখানে ২ লাখ ২৩ হাজার ৭৫৯ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

    এরপরে মৃত্যুর তালিকার চার নম্বরে রয়েছে ফ্রান্স। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২২ হাজার ৬১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৬১ হাজার ৪৮৮ জন। ফ্রান্সের পরের অবস্থানে রয়েছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ২০ হাজার ৩১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ৪৮ হাজার ৩৭৭ জন।

    এদিকে জার্মানিতে ১ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৩ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৮৭৭ জনের। এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। এখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৮৯ হাজার ৩২৮ জন। মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৬৫০ জনের।

    অন্যদিকে ভাইরাসটির প্রথম শনাক্তস্থ চীনে এখন পর্যন্ত ৪ হাজার ৬৩২ জনের মৃত্যু এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৮২৭ জন।

    বাংলাদেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হয় ৮ মার্চ। ওইদিন তিনজন করোনা ভাইরাসের রোগী শনাক্ত হওয়ার কথা জানিয়েছিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এরপর থেকে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তকৃত রোগীর সংখ্যা অনেকটাই সমান্তরাল ছিল। কিন্তু এরপর থেকে হুট করেই বাড়তে থাকে রোগীর সংখ্যা।

    বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ১৪০ জন এবং ৪ হাজার ৯৯৮ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে এর মধ্যে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ১১২ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন ৪ হাজার ৭৪৬ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • করোনা/ যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৮ বাংলাদেশিসহ মৃত্যু ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

    করোনা/ যুক্তরাষ্ট্রে ১৭৮ বাংলাদেশিসহ মৃত্যু ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক || করোনা ভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারীতে বিশ্বের যে কোনো দেশের তুলনায় মৃত্যুর মিছিলে শীর্ষে থাকা যুক্তরাষ্ট্রে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ১ হাজার ৯৯৭ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    এ নিয়ে গত ৩৮ দিনেই বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশটিতে ৪০ হাজার ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। নতুন আরো ৮ জনসহ এ রিপোর্ট লেখার সময় সর্বমোট ১৭৮ জন বাংলাদেশি প্রবাসী করোনা ভাইরাসে মারা গেছে দেশটিতে।

    আক্রান্তের দিক থেকেও দেশটি সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৭ লাখ ৬৩ হাজার ৮৩৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

    প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে প্রথম মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে গত ২৯ ফেব্রুয়ারি। এরপর গত ৬ এপ্রিল তা ১০ হাজারে পৌঁছায়। তখন থেকে মাত্র পাঁচ দিনের মাথায় সংখ্যাটি হয়ে যায় ২০ হাজার।

    এভাবেই লাফিয়ে লাফিয়ে গত ৩৮ দিনে দেশটিতে ভয়াবহ আকার ধারণ করে। যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ব বিদ্যালয়ের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত শনিবার ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে মৃত্যু হয়েছিল ১ হাজার ৮৯১ জনের। রবিবার তা বেড়ে ১ হাজার ৯৯৭ জন। মোট মৃতের সংখ্যা ৪০ হাজার ৬৬১ জন।

    এদিকে বিশ্বব্যাপী এই ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ২৪ লাখ ৬ হাজার ৯০৫ জন। মারা গেছে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৬৯ জন। এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৬ লাখ ১৭ হাজার ১৩ জন।

    গত বছরের ডিসেম্বরে চীনের হুবেই প্রদেশের উহানে সর্ব প্রথম এই ভাইরাসের আবির্ভাব ঘটে। এর পর একে একে বিশ্বের ১৮০ টির বেশি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে এই ভাইরাস।

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু

    ফৌজদারহাট বিআইটিআইডিতে করোনা উপসর্গ নিয়ে আরো একজনের মৃত্যু

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি || করোনা ভাইরাস আক্রান্তের লক্ষণ নিয়ে সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাটস্থ বিআইটিআইডিতে আরও ১ জন মারা গেছেন। তার বয়স ৫৫ বছর।

    তিনি নগরীর সাগরিকা রোড এলাকার বাসিন্দা। আজ রোববার (১৯ এপ্রিল) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ফৌজদারহাটস্থ বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব ট্রপিক্যাল অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেস (বিআইটিআইডি) এর আইসোলেশনে থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিআইটিআইডি এর পরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল হাসান চৌধুরী।

    এ ব্যাপারে সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, বিআইটিআইডিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে। নমুনা পরীক্ষা শেষে জানা যাবে তিনি করোনা রোগী কিনা।

    বিআইটিআইডিত এর পরিচালক ডা. আবুল হাসান চৌধুরী বলেন, গতকাল শনিবার বিকেলে রোগীকে ভর্তি করানো হয়। ভর্তির পর পরই নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষার পর জানানো যাবে করোনা আক্রান্ত কিনা।

    তবে রোগীটির সর্দি, কাশি ও শ্বাসকষ্টের লক্ষণ ছিলো বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/ কামরুল দুলু/আর এস পি