Tag: মৃত্যু

  • ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে জীপ-সিএনজি সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু

    ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে জীপ-সিএনজি সংঘর্ষে ১ জনের মৃত্যু

    ফটিকছড়ির নানুপুর-খিরাম সড়কে চাঁদের গাড়ী (জীপ)র সাথে সিএনজির মুখোমুখী সংঘর্ষে ঘটনাস্থলে একজনের মৃত্যু হয়েছে।  আজ ৬ নভেম্বর বুধবার সকাল ১১টার দিকে খিরাম সড়কের প্রেমপুর লম্বাটিলা বাগানে এই দূর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা কবলিত জীপটি লাকড়ী বোজাই ছিলো বলে জানিয়েছে প্রত্যক্ষদর্শীরা।

    নিহতের নাম সাইদুল হক (৫৫)। সে নোয়াখালী কবিরাজ থানার ইন্দ্রপুর গ্রামের মৃত রহমত উল্লাহ পুত্র। নিহত সাইদুল হক পেশায় একজন বাবুর্চী।

    এ ব্যাপারে ফটিকছড়ি থানার উপ-পরিদর্শক দেলোয়ার হোসেন ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানান, নিহত ব্যক্তি বিয়ে বাড়িতে বাবুর্চীর কাজ করে। নানুপুর সৈয়দবাড়ি থেকে খিরামে একটি বিয়ে বাড়িতে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনাটি ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করা হয়েছে জানিয়ে দুর্ঘটনা কবলিত জীপ গাড়ীটি ফেলে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে বলেন।

  • সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় সেনাসদস্যের মৃত্যু, আহত এক

    সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত গাড়িচাপায় সেনাসদস্যের মৃত্যু, আহত এক

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে অজ্ঞাত গাড়ির চাকার নিচে পৃষ্ট হয়ে শেখ সাব্বির আহম্মেদ (৩০) নামে এক সেনাসদস্যের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন নামে অপর এক সেনা সদস্য আহত হয়েছেন।

    আজ মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০ টার সময় নগরীর নিউমার্কেট থেকে মোটরসাইকেল যোগে ভাটিয়ারি যাওয়ার পথে ফৌজদারহাটস্থ ইডেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে দুর্ঘটনাটি ঘটে।

    নিহত সাব্বির আহম্মেদ খুলনা জেলার ফুলতল শিরোমনি গ্রামের পশ্চিম পাড়ার শেখ জামিল আহম্মেদের ছেলে। সে বর্তমানে বাংলাদেশ সেরাবাহিনী ভাটিয়ারিতে কর্মরত।

    সীতাকুণ্ডের বারআউলিয়া হাইওয়ে থানার ইনচার্জ আব্দুল আওয়াল ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, মঙ্গলবার রাত পৌনে ১০ টার সময় সাব্বির ও আনোয়ার মোটর সাইকেলযোগে নগরীর নিউ মার্কেট থেকে ভাটিয়ারি যাচ্ছিলেন।

    মোটরসাইকেলটি ফৌজদারহাটস্থ ইডেন পার্ক কমিউনিটি সেন্টারের সামনে রাস্তার পাশে কোন কিছুর সাথে ধাক্কা লেগে দুজনই মোটরসাইকেল থেকে ছিটকে পড়ে।

    এসময় চট্টগ্রাম থেকে ঢাকামুখী অজ্ঞাত কোন গাড়ি সাব্বিরকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যায়। চাকার নিচে পৃষ্ট হয়ে সেনা সদস্য সাব্বির ঘটনাস্থলেই মারা যায়।

    এ ঘটনায় আহত অপর সেনা সদস্য আনোয়ারকে  উদ্ধার করে সেরাবাহিনীর বিএমএ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    এদিকে ঘটনার পরপর ঘটনাস্থল পরিদর্শণে আসেন সীতাকুন্ড এএসপি শম্পা রানী ও মডেল থানার ওসিসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা।

  • চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে গৃহবধুর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে গৃহবধুর মৃত্যু

    চট্টগ্রামে ডেঙ্গু ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় মারা গেছে শরিফা আক্তার (৩০) নামে এক গৃহবধু।

    শনিবার দিবাগত রাত ১টার সময় হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। শরিফা নগরীর ঝাউতলা এলাকায় তার স্বামী মো. ইউছুফকে নিয়ে থাকতেন। তিনি মাদারীপুরের কালকিনি থানার নতুনচর এলাকার আশরাফ ভূঁইয়ার মেয়ে বলে জানা গেছে।

    বিষয়টি নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের সহকারি রেজিস্ট্রার ডা. ইমন দাশ বলেন, ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে গৃহবধু শরিফার মৃত্যু হয়েছে।

    তিনি বলেন, গত ৩১ অক্টোবর জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চমেক হাসপাতালের ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভর্তি হলে পরীক্ষা নিরিক্ষার পর শরিফার ডেঙ্গু রোগ শনাক্ত হয়।

    এরপর থেকে তাকে নিয়মিত চিকিৎসা দেওয়া হয়। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শনিবার রাত ১টার দিকে তার মৃত্যু হয়।

  • চট্টগ্রামের সানমার ভ্যালেন্সিয়া’র ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু

    চট্টগ্রামের সানমার ভ্যালেন্সিয়া’র ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু

    চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালি থানা সার্সন রোড এলাকার ‘সানমার ভ্যালেন্সিয়া’র নামক সাততলা ভবনের ছাদ থেকে পড়ে এক গৃহকর্মীর মৃত্যু হয়েছে।

    ৩ নভেম্বর রবিবার সকাল ১০টার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত গৃহকর্মীর নাম লাকী আক্তার (৩৫)। সে ওই ভবনের পঞ্চম তলার বাসিন্দা সরওয়ার জাহানের বাসায় কাজ করতেন এবং নগরীর হালিশহর থানার ঈদগাঁ বৌ বাজার এলাকায় থাকেন বলে পুলিশ জানায়।

    বহুতল ভবনের ছাদ থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালি থানার ওসি মো. মোহসিন।

    ওই বাসার সদস্যদের বরাতে মোহসিন বলেন, সকালে বাসার একটি কার্পেট নিয়ে রোধে শুকানোর জন্য গৃহকর্মী লাকী ভবনের ছাদে উঠেছিলো। এসময় অসাবধানতাবশত ছাদের সংযোগস্থলের ফাঁকা জায়গায় টিনের ছাউনি ভেঙ্গে নিচে পড়ে যায় লাকী।

    পরে স্থানীয়রা কোতোয়ালি থানায় খবর দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি টিম গিয়ে লাশটি উদ্ধার করে। দুর্ঘটনার বিভিন্ন আলামত দেখে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে বলে তিনি জানান।

  • চবিতে বাবাকে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে লাশ নিয়ে ফিরল মেয়ে

    চবিতে বাবাকে নিয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিয়ে লাশ নিয়ে ফিরল মেয়ে

    সকালে জীবিত বাবাকে নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে যায় পরীক্ষার্থী তিন্নি দাশ। ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ৪র্থ দিনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণও করেন এ পরীক্ষার্থী।

    বুধবার দুপুর ১টায় পরীক্ষা শেষ করে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে বাবাকে নিয়ে দুপুর দেড়টায় শাটল ট্রেনে উঠে তিন্নি। তখনও সে জানতো না বাবার সাথে কাটানো এটাই তার শেষ মুহুর্ত্ব।

    শাটল ট্রেনেই হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ে বাবা মৃণাল দাশ। দ্রুত ট্রেন থেকে নামিয়ে তাকে নিয়ে যাওয়া হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারে। ততক্ষনে তিন্নির বাবা মৃণাল দাশ চলে যায় না ফেরার দেশে। মেয়ের স্বপ্ন পুরণ করতে এসে নিজেই পারি জমিয়েছেন স্বর্গরাজ্যে। মৃত্যু কালে তিনি ২ মেয়ে ও ১সন্তান রেখে গেছেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম চলছে শোকের মাতম।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, মেয়েকে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘সি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা দিতে অভিভাবক হিসেবে সকালে ক্যাম্পাসে নিয়ে যায় মেয়ের বাবা মৃণাল দাশ। পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে ক্যাম্পাসের আশে পাশে মেয়ের অপেক্ষায় ছিলেন।

    পরীক্ষা শেষে মেয়েকে নিয়ে বাড়ি ফেরার উদ্দ্যেশে শাটল ট্রেনে উঠলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ওই অভিভাবককে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে নিয়ে যায়। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান ডাক্তার মোহাম্মদ আবু তৈয়ব পরীক্ষার্থীর অভিভাবকের মৃত্যুর তথ্যটি নিশ্চিত করেন। তিনি ধারণা করছেন, হিট স্ট্রোকে তার পিতার মৃত্যু হয়েছে। নিহত মৃণাল দাশের লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে জানালেন এ চিকিৎসক।

    হিট স্ট্রোকে নিহত মৃণাল দাশের গ্রামের বাড়ি সাতকানিয়ার আমিলাইশ ইউনিয়নে এবং চট্টগ্রাম নগরীর এনায়েত বাজারের রেওলয়ে কলোনির বাসিন্দা বলে জানা গেছে।

  • দীপাবলি উৎসবের আতশবাজির আগুনে ৭ জনের মৃত্যু

    দীপাবলি উৎসবের আতশবাজির আগুনে ৭ জনের মৃত্যু

    হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম উৎসব দীপাবলি উপলক্ষ্যে আতশবাজির আগুনে ভারতজুড়ে ৭ জনের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে।

    দিল্লির ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তাদের বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, রবিবার গোটা ভারতে আতশবাজির কারণে ৭ নিহতের কথা জানা গেলে শত শত মানুষ অগ্নিদগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।

    দীপাবলির আতশবাজিকে কেন্দ্র করে রাজধানী দিল্লিতে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে সবচেয়ে বেশি। রোববার একদিনে শুধু দিল্লিতে তিন শতাধিক স্থানে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। আর সবগুলো ঘটনাতেই দিল্লির ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা (ডিএফএস) দক্ষতার সঙ্গে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

    পুলিশ বলছে, দিওয়ালি উপলক্ষ্যে আতশবাজির ঘটনায় ছত্তিশগড় রাজ্যের কোন্ডাগাঁও জেলায় তিন জনের মৃত্যু হয়েছে। উড়িষ্যার ভুবেনশ্বর জেলায় একজন দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। সরকারি এক কর্মকর্তা আতশবাজির আগুনে পুড়ে প্রাণ হারিয়েছেন। দক্ষিণ কলকাতার হরিদেবপুর এলাকার কালীপুজোয় আতশবাজি পোড়ানোর সময় হঠাৎ একটি তুবড়ি ফেটে গেলে আদি দাস নামে ৫ বছর বয়সী একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে।

    মহরাষ্ট্রের সাংলি শহরে আতশবাজি থেকে সৃষ্ট আগুনে বেশ কিছু দোকান পুড়ে গেছে। আগুন ধরেছে অনেক ভবনে। গোটা দেশেই আতশবাজির ঘটনায় রাস্তার পাশে থাকা বিভিন্ন মুদি দোকানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভারতের দমকল বাহিনী হাজার হাজার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা মোকাবিলা করেছে। এসব অগ্নিকান্ডের ঘটনায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয়রা।

    এনডিটিভি আরও জানায়, রাজস্থানের রাজধানী জয়পুরের এক হাসপাতালেই আতশবাজিতে দগ্ধ হয়ে ভর্তি হয়েছেন ৪৯৮ জন। যার মধ্যে ১০৮ জনের অবস্থা গুরুতর। এদের অনেকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছেন। রোববার চেন্নাইয়ের এক সরকারি হাসপাতালেও ভর্তি হয়েছেন ৩১ অগ্নিদগ্ধ।

    ওই হাসাপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এরা সবাই আতশবাজির ঘটনায় দগ্ধ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের আঙ্গুল মারাত্মকভাবে পুড়ে গেছে আর তাদের বেশিরভাগই তরুণ।

  • আনোয়ারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

    আনোয়ারায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে যুবকের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলার বরুমছড়া ইউনিয়ন এলাকার একটি বাড়িতে মেরামতের কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ হারিয়েছেন নুরুল আলম নামে ৩০ বছর বয়সী এক যুবক।

    আজ ২৭ অক্টোবর রবিবার সকাল সাড়ে ৯টার সময় উপজেলার বরুমচড়া ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের থানাদার টেক এলাকায় দুর্ঘটনাটি ঘটে। নিহত নুরুল আলম একই ইউনিয়নের মিয়াজান মাঝির বাড়ির বজল আহমদের ছেলে বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি নিশ্চিত করে তিনি বলেন, ভোরে আমার ইউনিয়নের বাসিন্দা বজল আহমেদের ছেলে নুরুল আলম একই গ্রামের একটি বাড়িতে কাজ করতে গিয়ে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছে বলে স্থানীয়রা খবর দিয়েছেন। আমি ঘটনাস্থলে যাচ্ছি। সেখানে গিয়ে বিস্তারিত জানানো যাবে।

  • আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ির মৃত্যু

    আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ির মৃত্যু

    দক্ষিণ আফ্রিকায় ডাকাতের গুলিতে ফের এক বাংলাদেশী ব্যবসায়ীর মৃত্যু হয়েছে। জোহানেসবার্গে ডাকাতের গুলিতে আহত হয়ে জীবন মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকা বাংলাদেশী ব্যবসায়ী আনোয়ার খাঁন (২২) চিকিৎসাধীন অবস্থায় স্থানীয় একটি হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।

    রবিবার (১৩ অক্টোবর) রাত ২ টার সময় জোহানেসবার্গের হেলেন জোসেফ হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। নিহত আনোয়ার চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার রসুলাবাদ গ্রামের সিরাজুল ইসলাম খানের ছেলে।

    এর আগেও দক্ষিণ আফ্রিকার খাউটেং প্রভিন্স,লেনাসিয়া -দক্ষিণ আফ্রিকার খাউটেং প্রভিন্সের জোহানেসবার্গের সোয়েটু লোকেশনের দক্ষিণে লেনাসিয়া উপশহরে ডাকাতের গুলিতে বাংলাদেশি ব্যবসায়ি নিহতের ঘটনা ঘটেছে। এ নিয়ে চলতি বছরেই শুধু দেশটিতে সন্ত্রাসী ও ডাকাত দলের হাতে ৪৪ বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে।

    জানা যায়, গত ১০ অক্টোবর মসজিদে যাবার পথে,দেশটির কসমো সিটিতে অন্য এক বাংলাদেশির দোকানে ডাকাতি করার সময় এলাপাতাড়ি গুলি চালায় ডাকাতদল। এতে পেটে গুলিবিদ্ধ হন তিনি। পরে, জোহানেসবার্গের হেলেন জসেফ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে,সেখানে রোববার ১৩ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আনোয়ার মারা যান।

    এর আগে চলতি বছরের গত ২৩ এপ্রিল সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে মোহাম্মদ ফিরোজ (সিমুল) নামে একজন প্রবাসী বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। নিহত মো. রেজাউল করিমের বাড়ি ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার হরিপুর গ্রামে।

    সূত্রে জানা যায় মৃত্যুর পূর্বে সে লেনাসিয়া শহরের লেনাসিয়া মলে গিয়েছিল ব্যাংকে টাকা ডিপোজিট করার জন্য। ঠিক সেই সময় আকস্মিক সে কিছু বুঝে উঠার আগেই সন্ত্রাসীরা তাকে লক্ষ করে গুলি করে আর তার কাছে থাকা নগদ অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে ফালিয়ে যায়। পরে স্হানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত মোহাম্মদ ফিরোজ শিমুলের দেশের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার মির্জাপুর থানার হুমায়ুন কবিরের ছেলে।

  • টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারির মৃত্যু

    টেকনাফে বন্দুকযুদ্ধে দুই মাদক কারবারির মৃত্যু

    টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে এক রোহিঙ্গাসহ দুই মাদক কারবারির মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (১২ অক্টোবর) ভোর রাতে টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পর্যটন বাজারের উত্তরে মালির পাহাড়ের পাদদেশে এই ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পুলিশের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হয়।

    নিহত মাদক কারবারি হলেন টেকনাফ সদর ইউনিয়নের হাতিয়ার ঘোনা এলাকার হাজী হামিদ হোসেনের ছেলে আহাম্মদ হোসেন(৪৫), নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি ব্লকের মৃত কালা মিয়ার ছেলে আব্দুর রহমান (৪৬)।

    আহতরা হলেন, এসআই মোঃ বাবুল, এএস আই অহিদ ও কনস্টেবল মালেকুল।

    টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, শুক্রবার রাতে থানা পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তালিকাভুক্ত মাদক ব্যবসায়ী ও ৬টি মাদক মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত পলাতক আসামি আহমদ হোসেন ও আব্দুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে।

    তাদেরকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে এসে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ ও তাদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে ইয়াবা ও অস্ত্র উদ্ধারের জন্য টেকনাফ সদর ইউনিয়নের পর্যটন বাজারের উত্তরে মালির পাহাড়ের পাদদেশে পৌঁছামাত্র সন্ত্রাসীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।

    এসময় পুলিশের তিন সদস্য গুলিবিদ্ধ হলে, পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। উভয়ের পক্ষের গোলাগুলিতে ধৃত আসামী আহাম্মদ হোসেন ও আব্দুর রহমান গুলিবিদ্ধ হয়।

    গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই জনকে উদ্ধার করে টেকনাফ সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে, জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার প্রেরণ করা হয়। সেখানে পৌঁছালে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন।

    তিনি আরো বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দুটি এলজি 8 রাউন্ড তাজা কার্তুজ ও ৫ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। নিহত দুই জনের মৃতদেহ ময়না তদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এই সংক্রান্তে আইনগত ব্যবস্থাগ্রহণ করা হচ্ছে।

  • রাউজানে বিষপানে যুবকের মৃত্যু

    রাউজানে বিষপানে যুবকের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের রাউজানে বিষপানে মুহাম্মদ নাছের (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    এর আগে একইদিন রাত ১২ টার দিকে বাড়ীর কাচারী ঘরে গিয়ে বিষপান করেন তিনি। তাঁর বাড়ী উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছামিদর কোয়াং আজিম ফকিরের বাড়ীতে। তিনি ওই বাড়ীর মুহাম্মদ বাদশা মিয়ার ছেলে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত নাছের সোমবার রাত ১০ টার দিকে খাবার খেয়ে দেড় বছরের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে বাড়ীর বাইরে চলে যান। পরে রাতে ঘরে না ফেরায় বাইরে খুঁজতে বের হন স্বজনরা। এসময় তাদের কাচারী ঘরে তাঁকে বিষপানরত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩ টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

    বিষপানের সময় শিশুকন্যা তাঁর কোলে থাকায় সেও অসুস্থ’ হয়ে পড়ে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    পরিবারের সদস্যরা জানায় নাছের গত ৫ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন চাঁন্দগাও থানার মোহরা গোলাপের দোকান এলাকার এ্যানি আকতারকে। এরপর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।

    বিয়ের ১ বছরের মাথায় বাপের বাড়ীতে বিষপানে মারা যান নাছেরের ১ম স্ত্রী এ্যানি আকতার। তার মৃত্যুও কিছুদিন পর নাছের ২য় বিয়ে করেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাদার পাড়া গ্রামের হিরা নামের এক মেয়েকে। এই স্ত্রীর ঘরে দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান ছিল। এই সংসারেও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।

    নিহত নাছের রাজমিস্ত্রী ও পাইপ ফিটারের কাজ করতো। নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক শেখ জাবেদ মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে মারা যায় নাছের। পরিবারের কেউ কোন অভিযোগ না করায় ময়না তদন্ত ছাড়া তাকে দাফন করা হয়েছে।

  • চান্দগাঁওতে আগুন : দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু, ৫ জন হাসপাতালে

    চান্দগাঁওতে আগুন : দগ্ধ ১ জনের মৃত্যু, ৫ জন হাসপাতালে

    চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও থানা এলাকায় অগ্নিকান্ডের ঘটনায় তিন নারী ও এক শিশুসহ একই পরিবারের ৬ সদস্য দগ্ধ হয়েছে। হাসপাতালে নেয়ার পর দগ্ধ নজরুল ইসলাম (৫৫) চিকিৎসাধিন অবস্থায় দুপুর আড়াইটায় মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

    সোমবার দুপুরে সময় কে বি আমান আলী সড়কের বাদশা মিয়া চেয়ারম্যান ঘাটা এলাকার হাজী মফিজুর রহমান আবাসিক এলাকার বেদার মিয়া চৌধুরী টাওয়ারের তৃতীয় তলায় এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। নিহত নজরুল ইসলাম ছোটন (৫৫) চট্টগ্রামের কর্ণফুলী ইপিজেডের একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন।

    এ ঘটনায় দগ্ধ অন্য সদস্যরা হলেন, নজরুলের মা মনোয়ারা বেগম (৭০), নজরুলের স্ত্রী জোবাইদা (৩৫), নজরুলের বোন সেলিনা কলি (৩২), নজরুলের ২ ছেলে হাজ্জাজ (৩) ও আজবির (১৩)।

    দগ্ধ ৬ জনেরই শরীরে বিভিন্ন অংশে ১৫ শতাংশ থেকে ৬৫ শতাংশ পুড়ে গেছে বলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের বার্ণ ইউনিটে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।

    হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, সোমবার দুপুরে নগরীর চান্দগাঁও থানা এক কিলোমিটার এলাকা থেকে আগুনে দগ্ধ একই পরিবারের ৬ সদস্যকে চমেক হাসপাতালে আনা হলে একজনের মৃত্যু ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। বাকিরাও আশংকাজনক জানিয়ে ২জনকে ঢাকায় প্রেরণ করে বাকি তিনজনকে চমেক হাসপাতালের বার্ণ ইউনিটে ভর্তি করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করলেও তাৎক্ষনিক বিস্তারিত জানাতে পারেনি তিনি। তবে তিনি প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট বা গ্যাসের লাইন লিক হয়ে অগ্নিকাণ্ড ঘটতে পারে বলে ধারণা করছে।

    পরিবারের লোকজন বলছে বাইরে থেকে আগুনের পুলকি ভেতরে ঢুকেছে। ঘরের কাঠের মূল দরজা এবং সিঁড়ির জানালার কাঁচ ভাঙ্গা দেখে তারা ধারণা করছে বজ্রপাত বা আগুনের ফুলকি বাইরে থেকে এসেছে।

  • নোয়াখালীতে কোমলপানীয় স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু

    নোয়াখালীতে কোমলপানীয় স্পিরিট পান করে ৬ জনের মৃত্যু

    ২৪ ঘন্টা ডেস্ক : নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট বাজারের পান বাজার সংলগ্ন রফিক হোমিও হলের কোমলপানীয় স্পিরিট পান করে এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের।

    শুক্রবার (২৭ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে একই ঘটনায় আরো অনেককেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল এবং কয়েকজনকে ঢাকায় নেয়া হয়েছে।

    নিহতরা হলেন- কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মৃত এছাক মিয়ার ছেলে নুরনবী মানিক (৫২), একই এলাকার মৃত আবদুর রহমানের ছেলে লিটন (৫০), খিরুদ মহাজন বাড়ির মৃত অনিল কুমার দের ছেলে রবি লাল (৫৫), সিরাজপুর ওয়ার্ডের মতলব মিয়ার বাড়ির মৃত image রইসল হকের ছেলে সবুজ (৪৫), একই এলাকার মোহাম্মদ নগর এলাকার মহিন উদ্দিন ড্রাইভার (৪০) ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের মৃত আবদুল আজিজের ছেলে আবদুল খালেক (৬৫)।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনা সকালের দিকে হলেও, পুলিশের কাছে খবর পৌঁছতে দেরি হয়। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে কয়েকটি মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ স্পিরিট বিক্রেতা জায়েদের ছেলে প্রিয়মকে আটক করতে পারলেও, ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দিয়েছেন জায়েদ।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, দীর্ঘদিন ধরে রফিক হোমিও হলের মালিক ডা. জায়েদ ও তার ছেলে প্রিয়ম নেশা জাতীয় দ্রব্য স্পিরিট বিক্রি করে আসছেন। এ ব্যবসার টাকা দিয়ে উপজেলায় ভূমি অফিসের পাশে বহুতল ভবন নির্মাণ করেছেন জায়েদ।

    এ বিষয়ে কোম্পানিগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুর রহমান বলেন, স্পিরিট পানে পাঁচজনের মৃত্যুর খবর শুনে নিহতদের বাড়ি পরিদর্শন করা হয়েছে। এ সময় একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আরো একজনের লাশ উদ্ধারের চেষ্টা চলছে। এর আগে তিনজনের দাফন সম্পন্ন করা হয়েছে।

    তিনি আরো বলেন, ঘটনার পর থেকেই স্পিরিট বিক্রেতা ডা. জায়েদ পলাতক রয়েছেন। তবে তার ছেলে প্রিয়মকে আটক করা হয়েছে। জায়েদকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ২৪ ঘন্টা/আরএস..