Tag: মেক্সিকো

  • মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭

    মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ২৭

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় কমপক্ষে ২৭ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে ১৩ জন নারী। এছাড়া এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১৭ জন।

    উত্তর আমেরিকার এই দেশটির দক্ষিণাঞ্চলে একটি বাস রাস্তা থেকে ছিটকে গিরিখাদে পড়ার পর হতাহতের এই ঘটনা ঘটে। বৃহস্পতিবার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকোর দক্ষিণাঞ্চলীয় ওক্সাকা প্রদেশে একটি বাস রাস্তা থেকে ছিটকে গিয়ে গিরিখাদে পড়ে ২৭ জন নিহত হয়েছেন বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ওক্সাকা প্রদেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেসুস রোমেরো এক সংবাদ সম্মেলনে মৃতের সংখ্যা নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেছেন, দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ১৩ জন পুরুষ, ১৩ জন নারী এবং একটি ছেলে শিশু রয়েছে।

    অবশ্য ভয়াবহ এই সড়ক দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা নিয়ে ভিন্ন ভিন্ন রিপোর্ট সামনে এসেছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জেসুস রোমেরো ইঙ্গিত দিয়েছেন, দুর্ঘটনায় আরও ২১ জন আহত হয়েছেন। তবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বার্নার্ডো রদ্রিগেজ আলামিল্লা এএফপিকে বলেছেন, বাস দুর্ঘটনায় আহতের সংখ্যা ১৭ জন।

    আল জাজিরা বলছে, দুর্ঘটনাকবলিত বাসটি মেক্সিকো সিটি থেকে ইয়োসোন্ডুয়া যাওয়ার সময় মাগডালেনা পেনাস্কো শহরের কাছে হাইওয়ে থেকে উল্টে যায়। কর্মকর্তাদের মতে, দুর্ঘটনার শিকার বাসটি প্রায় ২৫ মিটার (৮০ ফুট) গভীর গিরিখাদে পড়ে যায়। আর এতেই হতাহতের ওই ঘটনা ঘটে।

    ওক্সাকা স্টেট হাইওয়ে পুলিশ পরিচালক টোরিবিও লোপেজ সানচেজ টুইটারে দেওয়া একটি পোস্টে বলেছেন, ‘সিডিএমএক্স থেকে সান্তিয়াগো ইয়োসোন্ডুয়া মিক্সটেকাগামী একটি বাস মাগডালেনা পেনাস্কো শহরে আজ সকালে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ওই এলাকায় চলাচলকারী মোটরচালকদের চরম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে।’

    বুধবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ওক্সাকা প্রদেশের গভর্নর সালোমন জারা ক্রুজ লিখেছেন, ‘মাগডালেনা পেনাস্কোতে ঘটে যাওয়া দুর্ঘটনার জন্য আমরা গভীরভাবে দুঃখপ্রকাশ করছি। আমাদের সরকারি কর্মীরা ইতোমধ্যেই উদ্ধার অভিযানে কাজ করছে এবং আহতদের সব ধরনের সহায়তা প্রদান করছে।’

    মেক্সিকোতে সড়ক দুর্ঘটনা ও তাতে প্রাণহানির ঘটনা বেশ সাধারণ। এর আগে চলতি বছরের এপ্রিলে পশ্চিম মেক্সিকোতে একটি বাস পাহাড়ি রাস্তা থেকে ছিটকে পড়ার পর ১৮ জন মারা গিয়েছিলেন।

    এর আগে ২০২১ সালের ডিসেম্বরে চিয়াপাস প্রদেশে প্রায় ১৬৬ জনকে বহনকারী একটি ট্রাক দুর্ঘটনার মুখে পড়ার পর ৫৪ জন নিহত এবং আরও কয়েক ডজন মানুষ আহত হয়।

    এছাড়া চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মধ্য মেক্সিকান প্রদেশ পুয়েবলাতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহত হন। নিহতদের সবাই ছিলেন অভিবাসী।

  • মেক্সিকোতে দুর্গম গিরিখাতে মিলল ৪৫ ব্যাগ মানব দেহাবশেষ

    মেক্সিকোতে দুর্গম গিরিখাতে মিলল ৪৫ ব্যাগ মানব দেহাবশেষ

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ৪৫ ব্যাগ মানব দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়েছে। দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াদালাজারার বাইরে একটি দুর্গম গিরিখাত থেকে এসব ব্যাগ খুঁজে পাওয়ার পর পুলিশ সেগুলো উদ্ধার করে।

    সেখানে ঠিক কতজনের মৃতদেহের অংশ আছে তা এখনও জানা যায়নি। শুক্রবার (২ জুন) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মেক্সিকান কর্তৃপক্ষ পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর গুয়াদালাজারার বাইরে একটি গিরিখাতে মানুষের দেহাবশেষ সম্বলিত ৪৫টি ব্যাগ খুঁজে পেয়েছে। মূলত গত সপ্তাহে নিখোঁজ হওয়া সাতজন তরুণ কল সেন্টার কর্মীকে খুঁজছিলেন কর্মকর্তারা। এসময় তারা এসব মৃতদেহ খুঁজে পান।

    বিবিসি বলছে, উদ্ধারকৃত দেহাবশেষের মধ্যে পুরুষ ও নারী উভয়েরই মৃতদেহের অংশ রয়েছে। এছাড়া সেখানে মৃতদেহের সংখ্যা ঠিক কত তা এখনও জানা যায়নি। ওই এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় এবং আলো কম থাকার কারণে অনুসন্ধান কর্মকাণ্ড আরও কয়েক দিন অব্যাহত থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

    মেক্সিকোর পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রদেশ জলিসকোর রাষ্ট্রীয় প্রসিকিউটরের কার্যালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, নিখোঁজ সাত জনের সন্ধানের বিষয়ে একটি তথ্য পাওয়ার পর মেক্সিকান কর্মকর্তারা মিরাডোর দেল বস্ক গিরিখাতে অনুসন্ধান শুরু করে এবং একপর্যায়ে সেখানে তারা মানবদেহের অঙ্গসহ এসব ব্যাগ খুঁজে পায়।

    অগ্নিনির্বাপক দল ও সিভিল ডিফেন্স পুলিশ এবং হেলিকপ্টার ক্রুদের একটি দল ঘটনাস্থলে দেহাবশেষ উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। কর্মকর্তারা বলেছেন, উদ্ধারকৃত ব্যাগে মৃতদেহের সংখ্যা, তারা কারা এবং তাদের মৃত্যুর কারণ নির্ধারণে তারা কাজ চালিয়ে যাবেন।

    এছাড়া নিখোঁজ হওয়া সাতজন তরুণ কল সেন্টার কর্মীর সন্ধান পেতে কর্মকর্তারা চেষ্টা চালিয়ে যাবেন বলেও জানানো হয়েছে।

    বিবিসি বলছে, মৃতদেহগুলো কীভাবে এই গিরিখাতে পড়েছিল তা এখনও জানা না গেলেও মেক্সিকোতে গুমের মতো অপরাধ তুলনামূলকভাবে সাধারণ বিষয়। উত্তর আমেরিকার এই দেশটির সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী, মেক্সিকোতে ১ লাখেরও বেশি মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।

    দেশটিতে ভুক্তভোগী এসব মানুষের অনেকেই অপরাধী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্ঘবদ্ধ অপরাধের শিকার। তবে মেক্সিকোতে অপরাধীদের খুব কমই শাস্তি দেওয়া হয়।

    সরকারি তথ্য বলছে, ২০০৭ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ফেলিপ ক্যালডেরন মেক্সিকোতে ‘মাদকের বিরুদ্ধে যুদ্ধ’ শুরুর ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে দেশটিতে অনেক মানুষ নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ এসব মানুষের তিন-চতুর্থাংশ পুরুষ এবং এক-পঞ্চমাংশের বয়স ১৮ বছরের কম।

    নিখোঁজদের স্বজনরা বলছেন, সরকার তাদের খুঁজে বের করার জন্য যথেষ্ট কাজ করছে না এবং তারা যখন তাদের প্রিয়জনকে নিখোঁজ বলে জানায় তখন কর্মকর্তারা তাতে কোনও গুরুত্ব না দিয়ে উদাসীন থাকেন।

    জাতিসংঘ এটিকে ‘বিশাল অনুপাতের মানবিক ট্র্যাজেডি’ বলে অভিহিত করেছে।

  • মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬

    মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, নিহত ২৬

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোতে ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনায় ২৬ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় রোববার (১৪ মে) সকালে মেক্সিকোর উত্তরাঞ্চলীয় তামাউলিপাস প্রদেশে এই দুর্ঘটনা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

    সোমবার (১৫ মে) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, রোববার সকালে উত্তর মেক্সিকান তামাউলিপাস প্রদেশের একটি হাইওয়েতে ট্রাক্টর ট্রেলার এবং ভ্যানের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে ২৬ জন নিহত হয়েছেন বলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে।

    তামাউলিপাসের জননিরাপত্তা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, প্রাদেশিক রাজধানী সিউদাদ ভিক্টোরিয়া থেকে প্রায় আধা ঘণ্টার দূরত্বে দু’টি গাড়ির মধ্যে সংঘর্ষ হয় এবং তারপর আগুন ধরে যায়। আর এতেই ওই প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।

    অবশ্য কর্তৃপক্ষ দুর্ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর পর তারা সেখানে ট্রেলার বহনকারী ট্রাকটিকে দেখতে পাননি।

    তামাউলিপাস প্রসিকিউটর অফিসের একটি সূত্র জানিয়েছে, ট্রাকের চালক পালিয়ে গেছে কিনা বা দুর্ঘটনায় সেও মারা গেছে কিনা তদন্তকারীরা এখনও নিশ্চিত নয়।

    অন্যদিকে ভ্যানের যাত্রীরা একটি ব্যক্তিগত পরিবহন ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত বলে মনে করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের মধ্যে শিশুও ছিল বলে সূত্রটি জানিয়েছে।

    ঘটনাস্থল থেকে জাতীয় পরিচয়পত্র উদ্ধার করায় নিহতদের সবাই মেক্সিকান নাগারিক বলে ধারণা করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে সূত্রটি।

  • মেক্সিকোতে নাইটক্লাবে গোলাগুলি, নিহত ৮

    মেক্সিকোতে নাইটক্লাবে গোলাগুলি, নিহত ৮

    মেক্সিকোতে নাইটক্লাবে গোলাগুলিতে আটজন নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন আরও পাঁচজন। দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় জেরেজ শহরের একটি ব্যস্ত নাইটক্লাবে বন্দুকধারীর গুলিতে এ হতাহতের ঘটনা ঘটে।

    সোমবার মেক্সিকান পুলিশ এ তথ্য দিয়েছে। খবর এএফপির।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জাকাতেকাস প্রদেশের জেরেজ শহরে স্থানীয় সময় শুক্রবার গভীর রাত ও শনিবারের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় ভারি অস্ত্রধারী ব্যক্তিরা দুটি গাড়িতে করে বারে এসে ঢুকে পড়ে এবং নির্বিচারে গুলি চালাতে শুরু করে বলে দেশটির নিরাপত্তা সচিবালয়ের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে।

    এএফপি বলছে, গুলিবর্ষণের পর ঘটনাস্থলেই ছয়জন মারা যান এবং চিকিৎসাধীন আরও দুজন মারা যান। বন্দুকের গুলিতে আহত পাঁচজন রোববার হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন।

    ‘এল ভেনাদিটো’ নামক এই বারটি জেরেজ শহরের কেন্দ্রে অবস্থিত। এ পৌরসভাটি প্রাদেশিক রাজধানী জাকাতেকাসের প্রায় ৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত।

  • মেক্সিকোয় কারাগারে হামলায় নিহত ১৪

    মেক্সিকোয় কারাগারে হামলায় নিহত ১৪

    উত্তর আমেরিকার দেশ মেক্সিকোর একটি কারাগারে সশস্ত্র হামলায় কমপক্ষে ১৪ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন।

    স্থানীয় সময় রোববার (১ জানুয়ারি) দেশটির উত্তরাঞ্চলীয় সীমান্ত শহর জুয়ারেজের একটি কারাগারে সশস্ত্র হামলার পর হতাহতের এ ঘটনা ঘটে। সোমবার (২ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    চিহুয়াহুয়া রাজ্যের কৌঁসুলি এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, কারাগারে সশস্ত্র হামলায় নিহতদের মধ্যে ১০ জনই নিরাপত্তারক্ষী। বাকি চারজন বন্দি। এ হামলায় আরও ১৩ জন আহত হওয়ার পাশাপাশি অন্তত ২৪ জন বন্দি পালিয়েছেন।

    কৌঁসুলি আরও জানিয়েছেন, প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে সশস্ত্র আক্রমণকারীরা স্থানীয় সময় সকাল ৭টার দিকে কারাগারে পৌঁছায়। এ সময় তারা বেশ কয়েকটি সাঁজোয়া যানে করে এসে গুলি শুরু করে।

  • সৌদিকে হারিয়েও গোল ব্যবধানে মেক্সিকোর বিদায়

    সৌদিকে হারিয়েও গোল ব্যবধানে মেক্সিকোর বিদায়

    চিত্রটা আর্জেন্টিনা ম্যাচের। মেসিদের কাছে ২-০ গোলে হেরে যাওয়ার পর কিছুটা মুখ মলিন পোল্যান্ড ফুটবলারদের। খানিক পরই উল্লাসে মেতে উঠলেন তারা। হঠাৎ কী হলো? উল্লাস কেনো লেওয়ানডস্কিদের? রহস্য জানা গেলো সঙ্গে সঙ্গেই। শেষ মুহূর্তে মেক্সিকোর জালে একবার বল জড়িয়ে দিয়েছে সৌদি আরব।

    সৌদির এই এক গোলেই ভিন্ন কোনো হিসাব-নিকাশ ছাড়াই দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত হলো পোলিশদের। অন্যদিকে সৌদি আরবকে ২-১ গোলে হারিয়েও কোনো লাভ হলো না মেক্সিকোর। গোল ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বিদায় নিতে হলো তাদের।

    প্রথম দুই ম্যাচ থেকে অর্জন মাত্র ১ পয়েন্ট। শেষ ম্যাচে সৌদি আরবকে হারাতে পারলে সম্ভাবনা টিকে থাকবে। তবে হিসাব-নিকাশেরও প্রয়োজন ছিল।

    সেই জয়টা পেলোও। কিন্তু ৯০+৫ মিনিটে হজম করা গোলটিই হলো যা সর্বনাশের মূল। তাতে গোল ব্যবধানে পিছিয়ে গেলো মেক্সিকো। যার ফলে বিদায় ঘটলো তাদের।

    তবে, ওই গোলটা হজম না করলেও বিদায় হতো মেক্সিকোর। কারণটা ভিন্ন। মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডের পয়েন্ট এবং গোল ব্যবধান সমান হলে ফিফার ভিন্ন এক নিয়মে দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে যেতো পোল্যান্ড।

    কারণ, হলুদ কার্ড বেশি দেখেছে মেক্সিকো। তারা ৭টি হলুদ কার্ড দেখেছে। অন্য দিকে ৫টি হলুদ কার্ড দেখেছে পোল্যান্ড। হলুদ কার্ডের এই পার্থক্যের কারণে বিদায় ঘটতো মেক্সিকোর। তবে সে হিসেবে যেতে হয়নি সৌদি আরবের শেষ গোলটার কারণে।

    প্রথমার্ধ গোলশূন্যই ছিল মেক্সিকো এবং সৌদির ম্যাচ। অনেক আক্রমণ করেও গোল বের করতে পারেনি মেক্সিকানরা। সৌদিও পাল্টা আক্রমণে উঠে চেষ্টা করেছিলো। কিন্তু গোল পায়নি।

    তবে দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতে না হতেই গোল পেয়ে যায় মেক্সিকো। বরং, ৫ মিনিটের ব্যবদানে ২-০ গোলে এগিয়ে যায় তারা। ৪৭ মিনিটে প্রথম গোল করেন হেনরি মার্টিন। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলে অসাধারণ দক্ষতায় সৌদির জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

    ৫ মিনিট পর আবারও গোল। ৫২তম মিনিটে দ্বিতীয় গোলটি করেন লুইস শাভেজ। দুর্দান্ত এক ফ্রি-কিক। বাম পায়ের ফ্রি-কিকটা ডান কোন দিয়ে প্রবেশ করলো সৌদি আরবের জালে। আল ওয়াইজ মুভ করারও সময় পাননি।

    এরপর মেক্সিকানরা আরেকটি গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ওঠে। কারণ, তারা বুঝতে পেরেছিলো, পোল্যান্ডের সঙ্গে গোল ব্যবধান সমান হয়ে যাবে এবং হলুদ কার্ড দেখায় তারা পিছিয়ে। কিন্তু তৃতীয় গোল তো দুরে থাক, ইনজুরি সময়ের একেবারে শেষ মুহূর্তে উল্টো গোল হজম করে বিদায় বরণ করে নিলো তারা।

    সালেম আল দাওসারি এ সময় গোলটা করেন। হাতান বাহব্রির সঙ্গে ওয়ান টু ওয়ান বল দেয়া নেয়া করে বক্সে ঢুকে পড়েন এবং ওচোয়াকে বোকা বানিয়ে মেক্সিকোর জালে বল জড়িয়ে দেন তিনি।

    ৮৭ মিনিটে একবার সৌদির জালে বল প্রবেশ করিয়েছিলো মেক্সিকো। উরিয়েল আনতুনা আল ওয়াইজকে ফাঁকি দিয়ে বলটি জালে জড়িয়ে যখন উল্লাস করছিলেন, তখন ভিএআর চেক করে জানিয়ে দেয়া হলো গোল হয়নি। অফসাইড ছিলো।

    তার আগে ৭৮ মিনিটে দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করে দেন রদ্রিগেজ। লোজানোর কাছ থেকে বল পেয়ে তিনি বলটি বাইরে মেরে দেন। এর আগে ৭৩ মিনিটে আরও এক ফ্রি-কিক থেকে গোলের সুযোগ পেয়েছিলেন শাভেজ। কিন্তু তার শট দারুণ দক্ষতায় তালুবন্দী করে নেন আল ওয়াইজ।

    ম্যাচের শুরুতেই গোল দিয়ে এগিয়ে যেতে পারতো সৌদি আরব। তৃতীয় মিনিটে আল শেহরির শট অসাধারণ দক্ষতায় ফিরিয়ে দেন মেক্সিকো গোলরক্ষক গুইলার্মো ওচোয়া। ফিরতি বলটিতেই কাউন্টার অ্যাটাক। এবার অ্যালেক্সিস ভেগা অসাধারণ এক শট নিয়েছিলেন সৌদি গোললক্ষ্যে। কিন্তু আল ওয়াইজও দারুন দক্ষতায় গোল থেকে দলকে রক্ষা করেন।

  • মেক্সিকোকে হারাল আর্জেন্টিনা

    মেক্সিকোকে হারাল আর্জেন্টিনা

    বিশ্বকাপে টিকে থাকতে জয় ছাড়া বিকল্প নেই। কিন্তু সৌদি আরবের বিপক্ষে হারের ধাক্কা যেন সামলে উঠতে পারেননি লিওনেল মেসিরা। ম্যাচের প্রথমার্ধের পারফরম্যান্স অন্তত সেটাই বলে! তবে শুরুর ছন্দহীনতা কাটিয়ে আর্জেন্টিনাকে পথ দেখান মেসি। চোখ জুড়ানো গোলে গড়ে দেন ম্যাচের ভাগ্য। সঙ্গে অবদান রাখেন ফার্নান্দেজ। দুই তারকার দৃঢ়তায় মেক্সিকোকে হারিয়ে বিশ্বকাপে নিজেদের আশা বাঁচিয়ে রাখল আর্জেন্টিনা।

    কাতার বিশ্বকাপে ‘সি’ গ্রুপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে মেক্সিকোকে ২-০ গোলে হারিয়েছে আর্জেন্টিনা। লুসাইল স্টেডিয়ামে শুরু হওয়া ম্যাচটির প্রথমার্ধে মেক্সিকোর বিপক্ষে গোলহীন থাকে দুদল। ম্যাচে ভাগ্য গড়ে দেওয়া গোল দুটি আসে দ্বিতীয়ার্ধে।

    বিশ্বকাপের শুরুটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়েছে আর্জেন্টিনার। নিজেদের প্রথম ম্যাচে হেরে যায় সৌদি আরবের কাছে। প্রথম ধাক্কায় আর্জেন্টিনার পিঠ ঠেকেছে দেয়ালে। সেই চাপ সামলে মেসিরা তুলে নিলেন দুর্দান্ত জয়।

    এমন সমীকরণের ম্যাচে শুরুতে খুব একটা ছন্দে দেখা গেল না আর্জেন্টিনাকে। ম্যাচের ৩০ মিনিটে একবারও আক্রমণে যেতে পারেনি লিওনেল স্কালোনির শিষ্যরা। শুরুতে উল্টো দাপট দেখিয়েছে মেক্সিকো।

    ম্যাচের ২০তম মিনিটে ফ্রি কিক পায় মেক্সিকো। কিন্তু সুযোগ কাজে লাগাতে পারেনি। এর পাঁচ মিনিট পর মেসির নেওয়া শট ঠিকানা মিস করে। ৩২তম মিনিটে দি পল ফাউলের শিকার হলে ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু বক্স থেকে বেশ দূরে হওয়ায় তার সুবিধা নিতে পারেনি আর্জেন্টিনা।

    প্রথমার্ধে একবার ভালো সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার। ডান দিক থেকে ডি মারিয়ার কর্ণার কিক ডি বক্সে ভেতরের দিকে আসছিল। মাঝামাঝি জায়গায় থাকা লাউতারো মার্টিনেজ হেড দিয়ে জালে পাঠাতে পারতেন। কিন্তু মেরে দেন পোস্টের বাইরে। সহজ সুযোগ হারায় আর্জেন্টিনা। এরপর বাকি সময়ে আর গোল না পাওয়ার হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির দল।

    বিরতি থেকে ফিরে আক্রমণে ওঠেন মেসি। তখনই প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হন। ফ্রি কিক পায় আর্জেন্টিনা। কিন্তু এবারও ব্যর্থ মেসি। ২২ গজ দূর থেকে নেওয়া ফ্রি কিক পোস্টের ওপর দিয়ে উড়িয়ে মারেন পিএসজি তারকা।

    তবে অপেক্ষার প্রহর আর লম্বা হতে দেননি মেসি। ম্যাচের বয়স তখন ৬৪ মিনিট। ডান দিক থেকে মেসি বল বাড়ান ডি মারিয়া। নিজের দৃঢ়তায় বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডি বক্সের সামনে যান মেসি। ডি বক্সের বাইরে থেকে মাটি গড়ানো নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন আর্জেন্টাইন অধিনায়ক। গিয়ের্মো ওচোয়া ঝাঁপিয়েও নাগাল পাননি, বল পোস্ট ঘেঁষে চলে যায় ঠিকানায়।

    পরের গোলটি আসে ফার্নান্দেজের পা থেকে। ম্যাচের ৮৭তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে দুর্দান্ত শটে ঠিকানা খুঁজে নেন ফার্নান্দেজ। ম্যাচের বাকি অংশেও সুযোগ আসে আর্জেন্টিনার। তবে গোলের দেখা আর মেলেনি। দুই গোলের ব্যবধান ধরে রেখেই শেষ পর্যন্ত মাঠ ছাড়ে লিওনেল স্কালোনির দল।

    পুরো ম্যাচে মেক্সিকান শিবিরে ৫বার আক্রমণ করে আর্জেন্টিনা। যার মধ্য অনটার্গেট শট ছিল ২টি। দুটিতেই মেলে সাফল্য। বিপরীতে ৪বার আক্রমণ করে মেক্সিকানরা। যার একটি ছিল অনটার্গেট শট।

    এই নিয়ে বিশ্বকাপে মেক্সিকোর বিপক্ষে চারটি ম্যাচ খেলেছে আর্জেন্টিনা। সবগুলোতেই জয়ের স্বাদ পেয়েছে ‘আলবিসেলেস্তেরা।’ মেক্সিকোর পর এবার পোল্যান্ডকে হারাতে পারলেই দ্বিতীয় রাউন্ডের টিকেট পাবে লিওনেল মেসির দল।

  • পেনাল্টি পেয়েও মেক্সিকোকে হারাতে পারল না পোল্যান্ড

    পেনাল্টি পেয়েও মেক্সিকোকে হারাতে পারল না পোল্যান্ড

    মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতারে অনুষ্ঠেয় ফিফা বিশ্বকাপের ২২তম আসরে আজ দিনের তৃতীয় ম্যাচে মাঠে নেমেছিল মেক্সিকো ও পোল্যান্ড। যেখানে প্রথম থেকেই পোল্যান্ডের বিপক্ষে দাপট দেখাচ্ছিল মেক্সিকো। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ডি-বক্সে রবার্ট লেভানদভস্কি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টি পায় পোল্যান্ড। তবে স্পট কিক থেকে গোল করতে পারেননি বার্সার এই তারকা ফরোয়ার্ড। অন্যদিকে মেক্সিকো বল দখলে বেশ এগিয়ে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত জালের দেখা পায়নি। ফলে নিষ্প্রাণ গোলশূন্য ড্রয়েই শেষ হয়েছে সি গ্রুপের ম্যাচটি।

    মঙ্গলবার (২২ নভেম্বর) দোহার স্টেডিয়াম ৯৭৪ এ পোল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু থেকেই মেক্সিকোর খেলোয়াড়রা বলের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের দখলে রাখেন। তবে প্রথম ২৫ মিনিট থেকে গোলমুখে কোনো শট নিতে পারেনি। অন্যদিকে পোল্যান্ড বলের নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার চেষ্টা করেও বার বার ব্যর্থ হন।

    তবে ২৬তম মিনিটে ভেগারের ক্রস থেকে বাড়ানো বল হেরেরা শট নেন। তবে বল গোলবারের সামান্য বাইরে দিয়ে চলে যায়। এতে সহজ সুযোগ পেয়েও গোলবঞ্চিত হয় মেক্সিকো। আক্রমণের বিপরীতে ২৯ মিনিটে উল্টো হলুদ কার্ড খেয়ে বসে মেক্সিকোর সানচেজ। তবে প্রথমার্ধের শেষ দিকে আবারও মেক্সিকোর সামনে সুযোগ আসে। তবে বল গোলবারের উপর দিয়ে গেলে গোলশূন্য অবস্থাতেই বিরতিতে যায় দুই দল।

    বিরতি থেকে ফিরে পোল্যান্ডের ফরোয়ার্ডরা মেক্সিকান ডিফেন্ডারদের চেপে ধরে। যার সুবাদে ৫৬তম মিনিটে প্রতিপক্ষের ডি-বক্সে রবার্ট লেভানদভস্কি ফাউলের শিকার হলে পেনাল্টিও পায় পোল্যান্ড। তবে স্পট কিক থেকে গোল করতে ব্যর্থ হন পোলিশ এই তারকা ফরোয়ার্ড। কাতারে নিজের পঞ্চম বিশ্বকাপ খেলতে নামা মেক্সিকোর গোলকিপার ওচোয়া বার্সা এই তারকার পেনাল্টি বাম পাশে ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দেন। এতে বেশ হতাশ হয়ে পড়েন পোল্যান্ডের সমর্থকরা।

    ৬৪ মিনিটে এবার গোলের সুযোগ পায় মেক্সিকো। তবে মার্টিনের শট আলভারেজের মাথা ছুঁয়ে গোলমুখে যেতেই ঝাঁপিয়ে পড়ে কর্নারের বিনিময়ে দলকে রক্ষা করেন পোল্যান্ডের গোলরক্ষক সিজনি। ম্যাচের শেষ দিকে পোল্যান্ড গোলের চেষ্টা করলেও গোল মুখে শট নিতে ব্যর্থ হয়। এতে নিষ্প্রাণ গোলশূন্য ড্রয়ে দুই দল এক পয়েন্ট নিয়ে মাঠ ছাড়ে।