Tag: মেজর সিনহা

  • আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিভিশন মামলা

    আলোচিত সিনহা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে আদালতে রিভিশন মামলা

    ২৪ ঘণ্টা কক্সবাজার প্রতিনিধি : পুলিশের গুলিতে সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় তাঁর বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌসের দায়ের করা হত্যা মামলার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিভিশন মামলা করা হয়েছে।

    মামলার ১ নম্বর আসামি কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের বরখাস্ত হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলীর পক্ষে আজ রোববার দুপুরে কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

    কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ফরিদুল আলম জানান, আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইল মামলাটি গ্রহণ করে আগামী ২০ অক্টোবর শুনানির জন্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন।

    আসামি লিয়াকতের নিযুক্ত আইনজীবী ফরহান শাহরিয়ার জানান, গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মেজর সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে যে হত্যা মামলা করেছিলেন, সেই মামলার আদেশের বিরুদ্ধে বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিভিশন মামলাটি দায়ের করা হয়েছে। কেননা সিনহার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ঘটনার পর পরই আরো দুইটি মামলা দায়ের করেছিল।

    গত ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ রোডে শামলাপুর চেকপোস্টে পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    এরপর ৫ আগস্ট এ ঘটনায় নয়জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার আদালতে মামলা করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটি তদন্তের দায়িত্ব র‌্যাবকে দেওয়া হয়।

    ৬ আগস্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করেন টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের তৎকালীন ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলীসহ পুলিশের সাত সদস্য। পরে র‌্যাব এপিবিএনের তিন সদস্য, পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী ও সর্বশেষ পুলিশের একজন কনস্টেবলকে সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার করে।

    এই মামলায় এখন মোট আসামি ১৪ জন। ১ নম্বর আসামি লিয়াকত আলীসহ ১২ জন আসামি এ পর্যন্ত আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

    এখনো জবানবন্দি দেননি ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও সর্বশেষ গ্রেপ্তার হওয়া কনস্টেবল রুবেল শর্মা। গত ৩০ সেপ্টেম্বর দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম তামান্না ফারাহ আসামি রুবেল শর্মার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/ইসলাম/রাজীব

  • অবশেষে সিনহাসহ তার সহকর্মীদের ডিভাইস ফেরত দিলো পুলিশ

    অবশেষে সিনহাসহ তার সহকর্মীদের ডিভাইস ফেরত দিলো পুলিশ

    অবশেষে আদালতের আদেশে সিনহা ও তার সহকর্মীদের ২৯ ইলেকট্রনকি ডিভাইস র‌্যাবের কাছে হস্তান্তর করেছে রামু থানা পুলিশ। জব্দ তালিকা কেন ৫ দিন পর আদালতে পাঠানো হলো সে বিষয়ে আদালতে হাজির হয়ে লিখিত ব্যাখা দিতে রামু থানার ওসিকে নির্দেশ দিয়েছেন কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রট হেলালউদ্দীন।

    বৃহস্পতিবার (২০ আগস্ট) রাত সাড়ে দশটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক সময় ধরে ডিভাইসগুলো বুঝে নেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা।

    এর আগে, কক্সবাজার সদর থানার ওসি মোহাম্মদ খায়রুজ্জামানকে দায়িত্ব নেয়ার তিনদিন পর ও টেকনাফ থানার ওসি মো. আবুল ফয়সলকে ১০ দিন পর বদলি করা হয়। এদিকে, ওসি প্রদীপকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে না পারায় প্রতিবেদন দিতে আরো সাতদিন সময় চেয়েছে তদন্ত কমিটি।
    গত ৩১ শে জুলাই রাতে শামলাপুরে চেকপোষ্টে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার নিহত হওয়ার পরপরই নীলিমা রিসোর্টে অভিযান চালিয়ে রামু থানা পুলিশের জব্দ করা ২৯টি ইলেকট্রনিক ডিভাইস বুঝে নিল র‌্যাব।

    বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে দশটা থেকে ঘণ্টা দুয়েক সময় ধরে ডিভাইসগুলো বুঝে নেন র‌্যাবের কর্মকর্তারা। এর আগে কক্সবাজার সদর থানা ও টেকনাফ থানার ওসিকে বদলি করা হয়। ওই দিন দুপুরে ডিভাইসগুলো ফরেনসিক পরীক্ষা করতে পুলিশের আবেদন খারিজ করেন আদালত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে: রাওয়া চেয়ারম্যান

    সিনহাকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে: রাওয়া চেয়ারম্যান

    কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদকে ঠান্ডা মাথায় গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় কক্সবাজার পুলিশ সুপার (এসপি) এবিএম মাসুদ হোসেনকে প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাদের সংগঠন রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।

    সোমবার (১০ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টায় সিনহার উত্তরার বাসায় (সেক্টর-১৪, রোড-১৭, বাড়ি-৭৭) তার মায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে রাওয়ার চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর খন্দকার নুরুল আফসার এই দাবি জানান।

    তিনি বলেন, মেজর (অব.) সিনহা হত্যাকাণ্ডের তদন্ত যে গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে আমরা সন্তুষ্ট। তবে বিচার প্রক্রিয়া যাতে দ্রুত হয় সেটি আমরা চাই।

    তিনি দাবি করে বলেন, কক্সবাজারের টেকনাফ থানার সংশ্লিষ্ট সব পুলিশ সদস্যের অস্ত্র সিজ (জব্দ) করতে হবে। এর পাশাপাশি যাতে এটাই বিচার বহির্ভূত শেষ হত্যাকাণ্ড হয়, আর কোনো মায়ের বুক যাতে খালি না হয়, সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান তিনি।

    খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, ১৪০টা যে মার্ডার যে করেছে এই ওসি প্রদীপ। আজ দেখেন আমরা সিনহা হত্যার ব্যাপারে সোচ্চার হতে পেরেছি। কিন্তু ওই যে দেখেন ওই সেই লোকগুলোর পরিবার তো মুখ খুলতে পারছে না। তাদের সাথে কোনও সংস্থা নেই, অবসরপ্রাপ্ত কল্যাণ সংস্থা নেই। মিডিয়াই পাশে দাঁড়িয়েছে, লিখেছে। আমরা চাই একটা একটা করে সব ঘটনার বিচার করা হোক। এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিং যে প্রদীপ করেছে সেগুলোর বিচার হোক।

    তিনি বলেন, এটা তো বলার অপেক্ষায় রাখে না, এক্সট্রা জুডিশিয়াল কিলিংয়ের কারণে যদি বাংলাদেশ ডিস্টার্ব হয়ে যায়! পুলিশ বাহিনী যাতে পুনর্গঠিত করে, পুলিশকে নিয়ন্ত্রণে যে সিস্টেম দেয়া আছে ডিসির আওতায় সেটা যেন থাকে এবং ডিসির ভিজিট করার কথা, দিকনির্দেশনা বিধিগুলো থাকার কথা সেটা যেন পালন করে। যদি সুপারভিশন ঠিক থাকে তাহলে তখন একটা পুলিশও উদ্ধত হতে পারে না। একটা রঙ কনফিডেন্স গ্রো করেছে, কারণ তার কোনো বিচার হয়নি। সে একটার পর একটা আকাম-কুকাম করে গেছে সেটা নজরে আসেনি। কী কারণে আসেনি, আমরা তা ঠিক বুঝতে পারছি না। আমরা চাই এ ধরনের ঘটনা আর না ঘটুক, আর কোনো মায়ের বুক খালি না হোক, এসব ঘটনা নিয়ে আর কোনো কথাবার্তা হোক।

    এ সময় মেজর (অব.) সিনহার মা বলেন, ‘আমি চাই এটাই যেন হয় বিচারবহির্ভূত হত্যার শেষ ঘটনা। আর কোনো মায়ের বুক যেন খালি না হয়। এ বিষয়ে সবাই যেন সচেতন হয়।’

    ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

    পাশাপাশি র‍্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কাঁদতে কাঁদতে সন্তান হত্যার বিচার চাইলেন সিনহার মা

    কাঁদতে কাঁদতে সন্তান হত্যার বিচার চাইলেন সিনহার মা

    কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদের মা নাসিমা আক্তার কেঁদে কেঁদে সন্তান হত্যার বিচার চাইলেন।

    সোমবার (১০ আগস্ট) দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে কান্নাজড়িত কণ্ঠে আসামিদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাইলেন তিনি।

    নাসিমা আক্তার বলেন, কথায় নয়, কাজে বিশ্বাসী ছিল আমার ছেলে। দেশকে নিয়ে অনেক ভাবতো। ছেলে আমাকে বলতো, আম্মি আমরা যদি দেশে ভালো কিছু রেখে যাই তাহলে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম সেটা অনুসরণ করবে।

    তিনি আরও বলেন, সিনহা সবসময় ক্রিয়েটিভ কাজ করতে চাইত, সবসময় সারপ্রাইজ দিতে চাইত কাজের মাধ্যমে। ও বলতো, আমি আমার মনের খোরাকের জন্য কাজ করি; যাতে মানুষ উপকৃত হয়। একটা ডকুমেন্টারি করছি এখনো বলার মতো কিছু হয়নি, যখন হবে তখন বলব।

    নাসিমা আক্তার বলেন, সিনহা বলতো ভালো কাজ দিয়ে যদি মানুষকে আকৃষ্ট করতে পারি, এর চেয়ে বড় আর কী হতে পারে। আমি বলতাম, বাবা তুমি যে আর্মি থেকে চলে আসছো, সেখানে এতগুলো কোর্স তাহলে কেন করলে? এখন তোমার কত প্রমোশন হতো, ভালো অবস্থান হতো তোমার। সে বলতো মাম্মি, পাওয়ার! পাওয়ার কি? পাওয়ার আজ আছে কাল নেই, মানুষে হৃদয়ের মধ্যে থাকব, কাজ করব। আর কাজের কথা মুখে বলার মতো কিছু নয়।

    ছেলে হারিয়ে শোকে মুহ্যমান নাসিমা আক্তার বলেন, কাজের কথা মুখে বলতো না সে। আমি বুঝতাম সে কথায় বিশ্বাসী ছিল না, কাজে বিশ্বাসী ছিল। যেমন বিশ্ব ভ্রমণ করা নিয়ে সে বলতো, এটা তো স্বাভাবিক ঘটনা। এইটা নিয়ে কোনো পূর্ব পরিকল্পনা নিয়ে পুঙ্খানুপুঙ্খ সে জানাতে চাইতো না। সারপ্রাইজ দেবে। কিছু উপহার দেবে দেশকে। নেক্সট জেনারেশনের কথা অনেক ভাবতো। বলতো আমরা যদি কিছু ভালো রেখে যাই পৃথিবীতে। আম্মু এ দেশের সবাই কেবল নেগেটিভ জিনিস দেখে, এ দেশে কিচ্ছু হবে না। কেন? এ ধরনের চরিত্রের অধিকারী সে ছিল।

    গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ।

    দুই বছর আগে সেনাবাহিনী থেকে অবসরে যাওয়া রাশেদ ‘লেটস গো’ নামে একটি ভ্রমণ বিষয়ক ডকুমেন্টারি বানানোর জন্য গত প্রায় একমাস ধরে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকায় ছিলেন। ওই কাজেই তার সঙ্গে ছিলেন স্ট্যামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের শিক্ষার্থী সিফাত ও শিপ্রা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • জামিন পেলেন সিনহার সহকর্মী সিফাত

    জামিন পেলেন সিনহার সহকর্মী সিফাত

    মাদক ও হত্যা মামলায় জামিন পেয়েছেন কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের সহযোগী সিফাত।

    সোমবার (১০ আগস্ট) শুনানি শেষে কক্সবাজারের চিফ জুডিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক এ জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন।

    একইসাথে সিফাতের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার তদন্তভার পুলিশের কাছ থেকে র‌্যাবে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

    এর আগে রবিবার জামিন পান সিনহার আরেক সহযোগী শিপ্রা দেবনাথ। শিপ্রা ও সিফাত দুজনই স্ট্যামফোর্ড ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী।

    গতকাল সিফাতেরও জামিন আবেদন করা হয়। বিচারক তামান্না ফারার আদালতে সিফাতের বিরুদ্ধে করা দুটি মামলার শুনানি হয়। তবে সিফাতের জামিন আদেশ সোমবার নির্ধারণ করেন বিচারক।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবেনা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

    সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনা দুঃখজনক উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল জানিয়েছেন, তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরই এ মামলা জট খুলে যাবে। এ ঘটনায় জড়িত কাউকেই ছাড় দেয়া হবে না বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    শুক্রবার (৭ আগস্ট) সকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে নিজ বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

    এ সময় তিনি আরো বলেন, ‘সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় তদন্ত কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করেছেন। আশা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই তারা তদন্ত রিপোর্ট আমাদের কাছে জমা দেবেন।’ রিপোর্ট অনুযায়ী যাদের অপরাধ প্রমাণিত হবে তাদের আইন অনুযায়ী সাজা প্রদান করা হবে বলেও জানান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

    সিনহা রাশেদ নিহতের ঘটনায় এরইমধ্যে পুলিশ মহাপরিদর্শক এবং সেনাপ্রধান কক্সবাজার পরিদর্শন করেছেন জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তদন্তে কক্সবাজারের এসপির বিষয়ে কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হবে।’

    এদিকে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে জানিয়েই সব অভিযান পরিচালনা করতে হবে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দ ৭ দিনের রিমান্ডে,৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দ ৭ দিনের রিমান্ডে,৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি

    সাবেক সেনা কর্মকর্তা (মেজর) সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ তিনজনকে সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত। এ মামলায় কারাগারে পাঠানো বাকি চার পুলিশকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার রাতে কক্সবাজারের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন এ আদেশ দেন।

    এর আগে কক্সবাজার র‌্যাব-১৫ ব্যাটালিয়নের কমান্ডার ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আজিম আহমেদ সাত আসামিদের প্রত্যেককে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করেন।

    শুনানি শেষে আদালত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাত দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আদেশ দেন। আর বাকি চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার আদেশ দেন।

    এর আগে বৃহস্পতিবার পুলিশের গাড়িতে করে কঠোর নিরাপত্তায় দুই দফায় ওই ওসিসহ সাতজনকে আদালতে তোলা হয়। বিকাল সোয়া ৪টায় প্রথমে মামলার প্রধান আসামি লিয়াকত আলীসহ ৬ জনকে আদালতে তোলা হয়। পরে কঠোর পুলিশি পাহারায় চট্টগ্রাম থেকে এনে বিকাল ৫টায় তোলা হয় নানা অপকর্মের হুতা ওসি প্রদীপকে। পরে আদালত দুই দফা শুনানি শেষে হত্যা মামলার ৭ আসামিকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেন।

    এরপরই র‌্যাব কর্মকর্তা আসামি সাতজনকে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন করলে আবার শুনানি শুরু হয়।

    জেলগেটে যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে, তারা হলেন- মামলার এজাহারভুক্ত কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল মো. আবদুল্লাহ আল মামুন ও এএসআই লিটন মিয়া। এ ছাড়া মামলার আরও দুই আসামি এসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোস্তফা পলাতক রয়েছেন।

    সূত্রমতে, বৃহস্পতিবার দুপুরের পর সিনহা হত্যা মামলার দ্বিতীয় আসামি টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ হেডকোয়ার্টার হাসপাতালে চিকিৎসার কথা বলে গাড়ি নিয়ে এলে তাকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়। সেখান থেকে তাকে নিয়ে দুপুর ২টার দিকে কক্সবাজারের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় পুলিশ। বিকাল ৫টার দিকে তাকে তোলা হয় কক্সবাজারের টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।

    এর আগে গেল বুধবার রাত ১০টায় টেকনাফ থানায় আদালতের নির্দেশে মেজর সিনহার বোনের করা হত্যা মামলাটি নথিভুক্ত হয়। ওই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ টেকনাফের বিচারক তামান্না ফারহার আদালতে অভিযোগ দায়ের করেন সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া। পরে আদালত সেটি টেকনাফ থানাকে মামলা হিসেবে নথিভুক্ত করার নির্দেশ দেন। এ ছাড়া মামলার তদন্তভার দেয়া হয় কক্সবাজার র‌্যাব-১৫-এর অধিনায়ককে।

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার ওপর গুলি চালান বাহারছড়া ফাঁড়ির দায়িত্বরত পুলিশ ইন্সপেক্টর লিয়াকত। নিহত সিনহা রাশেদকে ঢাকায় সামরিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। এই ঘটনায় বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলীসহ ২০ জনকে ক্লোজড (প্রত্যাহার) করা হয়েছে। বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়িতে পুরো নতুন টিম দেয়া হয়েছে।

    এদিকে গেল বুধবার (৫ আগস্ট) পুলিশ সদর দফতরের একটি সূত্র জানায়, টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। থানার সেকেন্ড অফিসার পরিদর্শক এ‌বিএম দোহাকে এ পদে দায়িত্ব দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেজর সিনহা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারদের

    মেজর সিনহা হত্যায় জড়িতদের ফাঁসি দাবি রিটায়ার্ড আর্মি অফিসারদের

    আগামী তিন মাসের মধ্যে দ্রুত আদালতের মাধ্যমে মেজর সিনহা হত্যার ন্যায় বিচার সম্পন্ন করা এবং দোষীদের ফাঁসি কার্যকর করতে হবে বলে দাবি জানিয়েছে রিটায়ার্ড আর্মড ফোর্সেস অফিসার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন (রাওয়া)।

    বুধবার (৫ আগস্ট) বিকেলে রাজধানীর মহাখালীতে রাওয়ার হেলমেট হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেজর খন্দকার নুরুল আফসার।

    মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান নিহতের ঘটনায় দোষীদের বিচারের দাবিতে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে রাওয়া। অন্য দাবিগুলো তুলে ধরে মেজর খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, মেজর সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত সব আসামিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠাতে হবে। তদন্ত চলাকালীন সময়ে যাদের নাম আসবে তাদেরও গ্রেপ্তার করতে হবে।

    এছাড়া কক্সবাজারের এসপিকে অনতিবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে। এ ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা, তথ্য গােপন করে মিডিয়াতে মিথ্যা বিবৃতি দেওয়া ও একমাত্র চাক্ষুস স্বাক্ষী সিফাতের বিরুদ্ধে দু’টি কাল্পনিক ও বানােয়াট মামলা দায়েরের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে হবে।

    অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে দাবি জানানো হয়, ওসি প্রদীপকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো। প্রত্যক্ষদোর্শী সিফাত ও ট্রাকড্রাইভারসহ সব সাক্ষীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনুরূপ একটি ভিন্ন মন্ত্রণালয় (ভ্যাটারান মন্ত্রণালয়) গঠন করে সশস্ত্র বাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত সদস্যদের নিরাপদ ও আত্মমর্যাদা সম্পন্ন জীবনযাপনে সার্বিক সহায়তা নিশ্চিত করা।

    প্রধানমন্ত্রী, সরকার প্রধান ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রী, তিনি সার্বিক বিষয়গুলো অবহিত আছেন এবং যথাযথ দিকনির্দেশনা দিয়ে এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার সম্পন্ন করে সব সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের হৃদয়ের রক্তক্ষরণ বন্ধ করে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরিয়ে আনবেন।

    আরও বলা হয়, আমাদের আমৃত্যু সম্মান ও সামাজিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করার দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। সব সাক্ষীদের দীর্ঘ মেয়াদী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে হবে। সাক্ষীদের পরিচিত বা আত্মীয় স্বজনের মাধ্যমেও যেনো কোনো চাপ সৃষ্টি না করা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়া কালক্ষেপণ না করে এ মামলার দ্রুত তদন্ত সম্পন্ন করে অভিযােগপত্র দাখিল করতে হবে।

    বাংলাদেশের সংবিধান মােতাবেক বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীকে সুশৃঙ্খল বাহিনী হিসাবে গড়ে তােলার জন্য জবাবদিহিমূলক আইন প্রণয়ন করে, সেই অনুযায়ী বাহিনীকে পুনর্গঠিত করা। রাষ্ট্রের সব অস্ত্রধারী বাহিনীকে অবশ্যই সংবিধান মােতাবেক সুশৃঙ্খল হওয়া বাধ্যতামূলক। কোনোভাবেই এ ঘটনার সঙ্গে যেনো কোনো রাজনৈতিক দুরভিসন্ধি বাস্তবায়িত না হয়। সেদিকে সবার সদয় দৃষ্টি কামনা।

    সংবাদ সম্মেলনে অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মেজর খন্দকার নুরুল আফসার বলেন, আমাদের দাবি পূরণ না হলে প্রয়োজনে আমরা রাস্তায় নামতে বাধ্য হবো।

    কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে গত শুক্রবার রাতে বাহারছড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীর গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পরিদর্শক লিয়াকত আলী, টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাসসহ পুলিশের নয়জন সদস্যকে আসামি করে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করা হয়েছে। বুধবার নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস এ মামলা করেন। দণ্ডবিধির ৩০২/২০১/৩৪ ধারায় এ মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছেন।

    সিনহা রাশেদ খান ২০১৮ সালে সেনাবাহিনী থেকে স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। সেনাবাহিনীতে থাকার সময় তিনি স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সেও (এসএসএফ) দায়িত্ব পালন করেন। এসএসএফের সদস্য হিসেবে তিনি প্রয়াত রাষ্ট্রপতি মো. জিল্লুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নিরাপত্তায়ও দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক উপসচিব প্রয়াত মো. এরশাদ খানের ছেলে। তিনি ১৯৯৯ সালে বিএএফ শাহীন কলেজ থেকে এসএসসি এবং ২০০১ সালে রাজউক উত্তরা মডেল কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেন। তিনি গত ৩ জুলাই ঢাকা থেকে স্টামফোর্ড ইউনিভার্সিটির ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিনজন ছাত্রছাত্রীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য একটি ট্রাভেল ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজার আসেন। প্রায় এক মাস তারা কক্সবাজারের বিভিন্ন স্থানে শুটিং করেন।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঙ্গলবার সকালে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা মোহাম্মদ রাশেদের মা নাসিমা আক্তারকে ফোন করে সমবেদনা ও সান্ত্বনা জানিয়েছেন। তিনি এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের আশ্বাস দিয়েছেন। নাসিমা আক্তার এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বিচার চান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমের বিচারের আশ্বাস দেন। নাসিমা আক্তার ফোন করে সমবেদনা জানানোর জন্য প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    মেজর সিনহা হত্যা দুই বাহিনীতে কোন প্রভাব ফেলবে না:সেনাপ্রধান-আইজিপি

    টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা অফিসার সিনহা মো: রাশেদ হত্যা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে মন্তব্য করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান আজিজ আহমেদ।

    তিনি বলেছেন, এ ঘটনার তদন্ত টিম কাজ করছে তদন্তে যাদের নাম আসবে তাদের সবাইকে বিচারের মুখোমুখি করা হবে বলে জানান তিনি।

    বুধবার (৫ আগস্ট) দুপুরে সেনা বাহিনী প্রধান আজিজ আহমেদ ও পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ কক্সবাজারে যৌথ এক প্রেসব্রিফিং এ এই কথা বলেন।

    প্রেসবিফিং এ পুলিশের আইজি বেনজির আহমেদ বলেন, কক্সবাজারে সাবেক সেনা অফিসার খুনের ঘটনা দুই বাহিনীতে কোন ধরণের প্রভাব ফেলবে না।

    তিনি প্রশাসনের মাদক বিরোধী স্থানীয় সাংবাদিকদের সহযোগিতা চেয়ে বলেন- এলাকায় কারা মাদক ব্যবসা করে কারা মাদক পাচারে জড়িত আপনার জানেন। কারণ আপনারা এ এলাকার মানুষ। আপনারা তাদের চিহ্নিত করে দিয়ে প্রশাসনকে সহযোগিতা করতে পারেন।

    জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনী ও পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করছে। যে ঘটনা ঘটেছে, অবশ্যই সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনী মর্মাহত। আমি আপনাদের মাধ্যমে যে মেসেজ দিতে চাই, তা হলো এটাকে আমরা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হিসেবে দেখতে চাই।

    সেনাপ্রধান আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি ‘জয়েন্ট ইনকোয়ারি টিম’ (যৌথ তদন্ত দল) গঠিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খানের মাকে ফোন করে সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিয়েছেন। তার কথার ওপর সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর আস্থা আছে। যে যৌথ তদন্ত দল গঠিত রয়েছে, তার ওপরও দুটি বাহিনীই আস্থাশীল।

    জেনারেল আজিজ বলেন, আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় বলতে চাই, দুই বাহিনীর সম্পর্কে চিড় ধরে, এমন কিছু হবে না। এ ঘটনা নিয়ে যেন সেনাবাহিনী ও পুলিশের ভেতর অনাকাঙ্ক্ষিত চিড় ধরানোর মতো ঘটনা না ঘটে, সে ব্যাপারে সতর্ক থাকারও অনুরোধ করেছেন তিনি।

    পুলিশের মহাপরিদর্শক বেনজীর আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ আধুনিক গণতান্ত্রিক দেশ। এখানে আইনের শাসন আছে। সংবাদমাধ্যম সর্বোচ্চ স্বাধীনতা ভোগ করছে। বিচার বিভাগ মুক্ত। এ ঘটনা নিয়ে অনেকে উসকানিমূলক কথা বলার চেষ্টা করছেন। যারা উসকানি দিয়ে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে, তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না।

    বেনজীর আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর সঙ্গে তাদের পারস্পরিক শ্রদ্ধা, বিশ্বাস ও আস্থার সম্পর্ক। মেজর (অব.) সিনহার মৃত্যুতে পারস্পরিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে কোনো ব্যত্যয় হবে না। কমিটি প্রভাবমুক্ত পরিবেশে তদন্ত করবে। কমিটি যে সুপারিশ দেবে, সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

    এর আগে আজ বুধবার (৫ আগষ্ট) দুপুর ১টা ২০ মিনিটে তাঁরা বিমানে তারা কক্সবাজার যান।

    দুই বাহিনীর প্রধান পরে কক্সবাজার সৈকতে অবস্থিত সেনাবাহিনীর রেস্টহাউস জলতরঙ্গতে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে মিলিত হোন। এ সময় সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ ৯ পুলিশকে আসামী করে মেজর সিনহা হত্যা মামলা দায়ের

    ওসি প্রদীপ-লিয়াকতসহ ৯ পুলিশকে আসামী করে মেজর সিনহা হত্যা মামলা দায়ের

    মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খান হত্যার বিচার চেয়ে টেকনাফের সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি হত্য মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    মামলায় টেকনাফের বাহারছরা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি ও ওসি প্রদীপসহ ৯ জনকে আসামী করে বুধবার (৫ আগস্ট) সকাল ১১ টার দিকে এ মামলাটি আদালতে ফাইল করা হয়।

    মামলার প্রধান কৌশলী সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    তিনি জানান, মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের বড়বোন শারমিন শাহরিয়ার ফেরদৌস বাদী হয়ে দায়ের করা মামলায় বাহারছরা তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহারকৃত আরো ৭ জনকে আসামী করা আসামী করা হয়েছে।

    অন্যান্য আসামীরা হলেন-এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোঃ মোস্তফা। দন্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ ধারায় মামলাটি দায়ের করা হয়।

    মামলায় মেজর (অবঃ) সিনহা মোঃ রাশেদ খানের সঙ্গী সাহেদুল ইসলাম সিফাত সহ ১০ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

    টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালত সুত্রে জানা গেছে, মামলাটি বিজ্ঞ বিচারক এজলাসে বসলে মামলাটি গ্রহন করে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দেন। টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্যাট আদালতের নিয়মিত বিচারক সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মুহাং হেলাল উদ্দিন ছুটিতে থাকায় টেকনাফ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক তামান্না ফারাহ্ মামলাটির গ্রহনযোগ্যতা শুনানি করেন বলে আদালত সুত্রে জানা গেছে।

    মামলার প্রধান কৌশলী সিনিয়র আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ মোস্তফা জানান, এসআই লিয়াকতকে প্রধান আসামী ও ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯জনকে আসামী করা হয়েছে।

    বিজ্ঞ আদালত মামলাটি এজাহার হিসেবে গ্রহণ করে র‌্যাবকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন। ৭ কার্য দিবসে ওনারা রিপোর্ট প্রদান করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহার মাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন,সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস

    সিনহার মাকে প্রধানমন্ত্রীর ফোন,সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাস

    কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে পুলিশের গুলিতে নিহত সাবেক সেনা কর্মকর্তা সিনহা মো. রাশেদ খানের মায়ের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    মঙ্গলবার (৪ আগস্ট) বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সিনহার মাকে টেলিফোন করেন। এ সময় মেজর সিনহার মাকে সান্ত্বনা দিয়েছেন।

    সেই সঙ্গে নিহতের পরিবারকে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের আশ্বাসসহ আর্থিক সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এদিকে নিহতের পরিবারের খোঁজ-খবর নেয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন সিনহার পরিবার।

    এর আগে কক্সবাজারের টেকনাফের শামলাপুরে পুলিশের গুলিতে সাবেক সেনা কর্মকর্তা নিহতের ঘটনায় আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত তদন্তদলের প্রধান চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    মঙ্গলবার (০৪ আগস্ট) বিকেল সাড়ে ৩টায় কক্সবাজার হিলডাউন সার্কিট হাউজে তদন্ত কমিটির বৈঠক শেষে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

    মিজানুর রহমান বলেন, ‘দীর্ঘ বৈঠকে তদন্তদলের সদস্যরা ঘটনার ব্যাপারে বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন। এতে তদন্ত দলের নির্দিষ্ট কর্ম-পরিকল্পনা তথা কর্মপরিধি নির্ধারণ করা হয়েছে। এ অনুযায়ী কমিটির সদস্যরা ঘটনার তদন্তের স্বার্থে ঘটনাস্থলসহ মাঠ পর্যায়ে যেখানে যাওয়া দরকার সেখানে পরিদর্শন করবে। এছাড়া প্রত্যক্ষদর্শীসহ যাদের দরকার তাদের সঙ্গে কথা বলবে তদন্ত দল।’

    তবে মন্ত্রণালয়ের বেঁধে দেয়া ৭ কর্ম-দিবসের মধ্যে কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার চেষ্টা করবে বলে জানান তদন্তদলের এ প্রধান। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের গঠিত উচ্চ পর্যায়ের এই কমিটি বৈঠকের পর প্রয়োজনে তথ্য ও সাক্ষ্য গ্রহণের প্রক্রিয়া শুরু করেছে জানিয়েছেন চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।

    সকাল সাড়ে ৯ টায় শুরু হওয়া তদন্ত কমিটির এ বৈঠক চলে দীর্ঘ প্রায় সাত ঘণ্টাব্যাপী। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সশস্ত্র বিভাগে কর্মরত সেনাবাহিনীর রামু ১০ পদাতিক ডিভিশনের জিওসি ও কক্সবাজার এরিয়া কমান্ডারের মনোনীত প্রতিনিধি লেফটেন্যান্ট কর্নেল মোহাম্মদ সাজ্জাদ, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মনোনীত প্রতিনিধি অতিরিক্ত ডিআইজি (অপরাধ ও অপারেশন) মো. জাকির হোসেন এবং কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ শাহজাহান আলি।

    উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে মারা যান সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর