Tag: মেজর সিনহা হত্যা মামলা

  • সিনহা হত্যা : ৩ সাক্ষীকে চার দিনের রিমান্ডে নিলো র‌্যাব

    সিনহা হত্যা : ৩ সাক্ষীকে চার দিনের রিমান্ডে নিলো র‌্যাব

    মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে চার দিনের রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ান (র‌্যাব)। জেলা কারাগারের সুপার মোকাম্মেল হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    আজ শনিবার বেলা সোয়া ১১টার দিকে কক্সবাজার জেলা কারাগার থেকে হাসপাতালে স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর তাদের হেফাজতে নেয় র‌্যাবের একটি দল।

    রিমান্ডে নেওয়া তিন আসামি হলেন- টেকনাফ মারিশবুনিয়া এলাকার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন ও মো. আয়াছ।

    গত ২৫ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ খায়রুল ইসলাম তাদেরকে সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে দ্বিতীয় দফায় চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক তামান্না ফারাহ্।

    এর আগে গত ২০ আগস্ট প্রথম দফায় তাদের সাত দিনের রিমান্ড শেষ হয়েছিল। মেজর সিনহা খুনের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ১১ আগস্ট মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব।

    উল্লেখ্য, গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া থেকে ফেরার পথে শামলাপুরের পুলিশের তল্লাশি চৌকিতে গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর রাশেদ মো. সিনহা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা: দোষ স্বীকার করে এপিবিএন সদস্যের জবানবন্দি

    সিনহা হত্যা: দোষ স্বীকার করে এপিবিএন সদস্যের জবানবন্দি

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন মামলার আসামি এপিবিএন কনস্টেবল আব্দুল্লাহ।

    কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট তামান্না ফারাহর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি।

    বুধবার বিকাল ৫টার দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি বহর তাকে আদালতে হাজির করেন। পরে রাত ৮টা ১৫ মিনিট পর্যন্ত তার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন আদালত।

    জবানবন্দি গ্রহণ শেষে তাকে কক্সবাজার জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলে জানান কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ কুমার দাশ।

    কোর্ট ইন্সপেক্টর প্রদীপ যুগান্তরকে বলেন, কক্সবাজার-১৬ এপিবিএনের তিন পুলিশ সদস্যকে সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শনিবার রিমান্ডে নিয়ে যান। তাদের তিনজনের ২৮ আগস্ট রিমান্ড শেষ হওয়ার কথা ছিল।

    কিন্তু এদের মধ্যে কনস্টেবল আবদুল্লাহ ১৬৪ ধারায় হত্যাকাণ্ডের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ায় তাকে বুধবার জবানবন্দি গ্রহণ শেষে আদালত জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশ দিয়েছেন।

    এ মামলায় কক্সবাজারের ১৬ এপিবিএনের অপর দুই সদস্য হলেন এএসআই শাহজাহান ও কনস্টেবল রাজীব। তারা বর্তমানে ৭ দিনের রিমান্ডে র‌্যাব-১৫ হেফাজতে রয়েছেন।

    গত ১৭ আগস্ট এপিবিএনের তিন সদস্যকে জিজ্ঞাসাদের জন্য নেয়া হয় র‌্যাব-১৫ কার্যালয়ে। পরের দিন ১৮ আগস্ট এ মামলায় তাদের গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানালে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    পরে শনিবার কক্সবাজার কারাগার থেকে তাদের রিমান্ডের জন্য র‌্যাব হেফাজতে নেয়া হয়।

    জেলা কারাগারের তত্ত্বাবধায়ক (জেল সুপার) মো. মোকাম্মেল হোসেন যুগান্তরকে বলেন, বর্তমানে কারাগারে ৪ পুলিশ সদস্য ও একজন এপিবিএন পুলিশ সদস্য ছাড়া সিনহা হত্যা মামলার কোনো আসামি নেই। ১৩ আসামির মধ্যে ৮ জন র‌্যাব হেফাজতে রয়েছেন। বাকি ৫ জন কারাগারে আছেন।

    রিমান্ড শেষে আদালত প্রাঙ্গণে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও র‌্যাবের সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত অনেকদূর এগিয়ে গেছে। ওসি প্রদীপসহ অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

    এদিকে আগামীকাল বৃহস্পতিবার দ্বিতীয় দফায় রিমান্ড শেষে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলার অন্যতম আসামি বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, ইন্সপেক্টর লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতকে আদালতে হাজির করার কথা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা: ফের ৪ দিনের রিমান্ডে পুলিশের ৩ সাক্ষী

    সিনহা হত্যা: ফের ৪ দিনের রিমান্ডে পুলিশের ৩ সাক্ষী

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে ফের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে আদালত।

    মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) বেলা সোয়া ১২টায় জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম (কক্সবাজার সদর-৪) তামান্না ফারাহ এ আদেশ দেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম।

    এর আগে গত ২০ আগস্ট এ মামলার আসামিদের প্রথম দফায় ৭ দিনের রিমান্ড শেষ হয়।

    গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে ‘গাড়ি তল্লাশিকে’ কেন্দ্র করে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    এ ঘটনায় সম্পৃক্ততার অভিযোগে র‌্যাবের একটি দল টেকনাফের মারিশবুনিয়া এলাকা থেকে গত ৯ আগস্ট পুলিশের দায়ের করা মামলার এ সাক্ষীকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন তাদের আদালতে নেয়া হলে গত ১২ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন।

    এ নিয়ে র‌্যাবের তদন্ত কর্মকর্তার ১০ দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিল। এ ৩ আসামিকে গত ১৪ আগস্ট র‌্যাব হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়। পরে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত ২০ আগস্ট আদালত কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।

    এরপর মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) আদালত মামলার তদন্ত কর্মকর্তার ৭ দিনের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা: প্রদীপদের মুখোমুখি হবে এপিবিএনের তিন জন

    সিনহা হত্যা: প্রদীপদের মুখোমুখি হবে এপিবিএনের তিন জন

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহাকে নন্দ দুলালের পিস্তল দিয়ে গুলি করে লিয়াকত। জবানবন্দির সত্যতা যাচাইয়ে ঐ অস্ত্র পরীক্ষা করবে র‌্যাব। তাই আজ পুলিশের কাছ থেকে অস্ত্রটি বুঝে নেবে তারা। এদিকে, সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার তিন এপিবিএন সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ডে নিয়েছে তদন্তকারী সংস্থা। সেখানে প্রদীপসহ তিন আসামির মুখোমুখি করা হবে এপিবিএনের তিনজনকে।

    অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহার হত্যা তদন্তে বড় ধরনের অগ্রগতির খবর পাওয়া যাচ্ছে। মূলত দুটি অগ্রগতির খবর পাওয়া গিয়েছে। এরমধ্যে প্রথমটি হল সিনহার ওপর যে অস্ত্র দিয়ে গুলি করা হয়েছে সেটা কার? তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন এই মামলার অন্যতম আসামি এবং পুলিশের মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নন্দ দুলাল দাবি করেছেন ইনস্পেক্টর লিয়াকত তার অস্ত্রটি নিয়ে সিনহার ওপর ৪টি গুলি করেছেন। লিয়াকত তার নিজের অস্ত্র দিয়ে গুলি করেননি।

    তবে নিয়ম অনুযায়ী যার জন্য অস্ত্র বরাদ্দ তিনি সেটা দিয়ে গুলি করতে পারেন। এই ব্যতয়টি ৩১ জুলাই পুলিশের অভিযানে হয়েছে কিনা সেটা খতিয়ে দেখতে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম পুলিশ লাইন্সে এসেছিলেন। সেই অস্ত্রটি এরইমধ্যে সংগ্রহ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সিনিয়র এএসপি খাইরুল ইসলাম।

    এএসপি খাইরুল ইসলাম বলেন, আমাদের উদ্দেশ্যই একটাই, আমরা যেসব তথ্য পাচ্ছি সেগুলো মিলিয়ে সঠিক তথ্য প্রমাণ খুঁজে দিতে পারি।

    এছাড়া আরেকটি অগ্রগতি হচ্ছে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় কারাগারে থাকা আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে র‌্যাব হেফাজতে সাত দিনের জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেয়া হয়েছে। র‍্যাবকে তারা যে তথ্য দিয়েছে তা সত্য কিনা জানার জন্যই তাদের আজ মুখোমুখি করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা মামলায় ৩ এপিবিএন সদস্য রিমান্ডে

    সিনহা হত্যা মামলায় ৩ এপিবিএন সদস্য রিমান্ডে

    সিনহা হত্যা মামলায় গ্রেফতার ৩ এপিবিএন সদস্যকে রিমান্ডে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে র‍্যাব।

    শনিবার (২২ আগস্ট) সকালে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    এর আগে, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) গ্রেফতার তিন সদস্যের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) দুপুরে কক্সবাজারের জ্যেষ্ঠ বিচারকি হাকিম (টেকনাফ-৩) তামান্না ফারার আদালত এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র‌্যাবের এএসপি খাইরুল ইসলাম।

    উল্লেখ্য, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যকে গ্রেফতার করেছিলো র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। এ নিয়ে এ ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করা হয়।

    এরা হলেন-এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ঘটনার দিন এ তিন জনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেন।

    গত ৩ জুলাই সিনহার সঙ্গে শিপ্রা দেবনাথ, সাহেদুল ইসলাম সিফাত ও তাসকিন ভ্রমণবিষয়ক ভিডিওচিত্র ধারণ করতে কক্সবাজার যান। ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের মারিষবুনিয়া পাহাড়ে ভিডিওচিত্র ধারণ করে মেরিন ড্রাইভ দিয়ে কক্সবাজারের হিমছড়ি এলাকার নীলিমা রিসোর্টে ফেরার পথে শামলাপুর তল্লাশি চৌকিতে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সিনহা। এ সময় সিনহার সঙ্গে থাকা সিফাতকে আটক করে কারাগারে পাঠায় পুলিশ। পরে রিসোর্ট থেকে শিপ্রাকেও আটক করা হয়। দুজনই বর্তমানে জামিনে মুক্ত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দকে রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব

    প্রদীপ-লিয়াকত-নন্দকে রিমান্ডে নিয়েছে র‌্যাব

    সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান হত্যা মামলায় অভিযুক্ত টেকনাফ থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও নন্দ দুলাল রক্ষিতকে সাতদিনের রিমান্ডে র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (১৮ আগস্ট) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এ তিনজনকে র‍্যাব কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বলে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হক।

    অন্যদিকে, ঘটনার দিন এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্বরত তিন এপিবিএন সদস্যের সম্পৃক্ততা পাওয়ায় তাদের গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

    এপিবিএনের এ তিন সদস্য হলেন— এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ।

    প্রসঙ্গত, গত ৩১ জুলাই টেকনাফের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের হাতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন আদালতে মামলা করেন। ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যকে ওই মামলায় আসামি করা হয়।

    পরে টেকনাফ থানার প্রত্যাহারকৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ সাত জন পুলিশ সদস্য আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এছাড়া পুলিশের করা মামলার তিন সাক্ষী টেকনাফের বাহারছড়ার মারিশবুনিয়ার নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দীন ও মোহাম্মদ আইয়াসকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা : এপিবিএনের ৩ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড

    সিনহা হত্যা : এপিবিএনের ৩ সদস্যের ৭ দিনের রিমান্ড

    কক্সবাজারের টেকনাফে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের (এপিবিএন) তিন সদস্যের প্রত্যেককে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার দুপুরে কক্সবাজারের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তামান্না ফারাহ তাদের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।

    রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া এপিবিএন সদস্যরা হলেন- এপিবিএনের সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) শাহজাহান, কনস্টেবল রাজীব ও আব্দুল্লাহ। ৩১ জুলাই ঘটনার দিন এই তিনজনই এপিবিএনের চেকপোস্টে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    সোমবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে আটকের পর র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন-১৫ (র‌্যাব) এর কক্সবাজার কার্যালয়ে নেয়া হয়। সেখানে জিঞ্জাসাবাদের পর এ হত্যাকাণ্ডে তাদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়। পরে তাদের মেজর (অব.) সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যা মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।

    সোমবার তাদেরকে আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিন করে রিমান্ডে নেয়ার আবেদন জানানো হয়। আদালত ৭ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ৩১ জুলাই ঈদুল আজহার আগের রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    ঘটনার পর পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় দুটি মামলা করে। আর রামু থানায় একটি মামলা করা হয়।

    পরে ৫ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা করেন সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

    এতে ৯ জনকে আসামি করা হয়। আসামিরা হলেন- টেকনাফ থানার বরখাস্ত হওয়া ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, টেকনাফের বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের প্রত্যাহার হওয়া পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দদুলাল রক্ষিত, এএসআই লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. মোস্তফা ও এসআই টুটুল। এদের মধ্যে আসামি মোস্তফা ও টুটুল পলাতক।

    এর মধ্যে রিমান্ড মঞ্জুর হওয়া পুলিশের চার সদস্য এবং এ ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা মামলার তিন সাক্ষীকে গত শুক্রবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করেছে র‌্যাব।

    যাদের রিমান্ডে নেয়া হয়েছে তারা হলেন- এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন, পুলিশের দায়ের করা মামলার সাক্ষী মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াছ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

    সিনহা হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন

    কক্সবাজারের টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কে পুলিশের গুলিতে অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা সিনহা রাশেদ খান হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পরিবর্তন করা হয়েছে।

    শুরুতে র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) জামিল আহমদকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিযুক্ত করা হলেও বর্তমানে নতুন দায়িত্ব দেয়া হয়েছে র‌্যাবের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলামকে।

    শুক্রবার দুপুরে র‍্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    তিনি বলেন, ‘মামলার অধিকতর তদন্তের জন্য চাঞ্চল্যকর বিভিন্ন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে কাজ করা খাইরুল ইসলামকে এ দায়িত্ব দেয়া হয়েছে।’

    এদিকে সিনহা হত্যা মামলার আনুষ্ঠানিকভাবে রিমান্ড সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)। পুলিশের চার সদস্যসহ সাতজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকালে কক্সবাজার কারাগার থেকে হেফাজতে নিয়ে গেছে র‌্যাব। তবে মামলার অন্যতম অভিযুক্ত বহিষ্কৃত টেকনাফের ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দদুলালকে আপাতত জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে না। পরবর্তীতে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এর আগে গতকাল সকালে র‌্যাবের একদল সদস্য কক্সবাজার জেলা কারাগারে গিয়েছিলেন। কিন্তু আসামিদের না নিয়ে ফিরে যান।

    গত ৩১ জুলাই রাতে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর এলাকায় চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর অব. সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় মেজর সিনহার বোনের করা মামলায় বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের পরিদর্শক লিয়াকত আলীকে প্রধান আসামি এবং ২ নম্বর আসামি করা হয় টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশকে। তারা ছাড়া আরও সাতজনকে এজাহারভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

    আলোচিত এই মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এএসআই টুটুল ও কনস্টেবল মোহাম্মদ মোস্তফা।

    মামলার পর ৬ আগস্ট বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। এ সব মামলারই তদন্তভার এখন র‌্যাবের হাতে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যা: চার পুলিশসহ ৭ আসামি রিমান্ডে

    সিনহা হত্যা: চার পুলিশসহ ৭ আসামি রিমান্ডে

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান নিহত হওয়ার ঘটনায় তার বোনের দায়ের করা হত্যা মামলায় পুলিশের তিন সাক্ষী ও চার পুলিশ সদস্যের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

    বুধবার (১২ আগস্ট) কক্সবাজারের একটি আদালত তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    যাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে তারা হলেন- সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) লিটন মিয়া, পুলিশ কনস্টেবল সাফানুর রহমান, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুন। অন্য তিনজন হলেন- মো. নুরুল আমিন, মো. নেজামুদ্দিন ও মোহাম্মদ আয়াজ। তারা তিনজনই টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের মারিশবুনিয়া এলাকার বাসিন্দা। এরা হত্যাকাণ্ডের পর সিনহা রাশেদ খানকে ডাকাত বলে প্রচার করেছিল।

    গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ বাহারছড়া চেকপোস্টে তল্লাশির সময় পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় হত্যা ও মাদক আইনে এবং রামু থানায় মাদক আইনে পৃথক ৩টি মামলা করে। এ মামলায় নিহত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের সঙ্গে থাকা শাহেদুল ইসলাম সিফাত ও শিপ্রা রানী দেব নাথকে গ্রেফতার দেখিয়ে কারাগারে পাঠায় পুলিশ।

    এদিকে ৫ আগস্ট নিহত সিনহার বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস বাদী হয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ইন্সপেক্টর লিয়াকত, ওসি প্রদীপ কুমার দাশসহ ৯ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ৬ আগস্ট কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল আদালতে আত্মসমর্পণ করেন বরখাস্ত ওসি প্রদীপ ও লিয়াকতসহ ৭ আসামি।

    এদিকে আদালতের নির্দেশে চারটি মামলায়ই এখন তদন্ত করছে র‌্যাব। এরইমধ্যে পুলিশের তিন মামলায় গ্রেফতার সিফাত ও শিপ্রাকে জামিনে মুক্তি দিয়েছেন আদালত।

    সিনহা হত্যাকাণ্ডে জড়িত অভিযোগে গত সোমবার (১০ আগস্ট) রাতে টেকনাফের মারিশবুনিয়া থেকে তিন বাসিন্দাকে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব, যাদের এ ঘটনায় পুলিশের করা মামলায় সাক্ষী করা হয়েছিল।

    (১১ আগস্ট) মঙ্গলবার বিকেলে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হেলাল উদ্দিনের আদালতে হাজির করে তাদের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করে র‌্যাব। আদালত র‌্যাবের আবেদন আমলে নিয়ে তিন জনকে জেল হাজতে পাঠানোর নিদের্শ দেন। একই আদেশে রিমান্ডের আবেদন শুনানির জন্য বুধবার দিন ধার্য করেন। বুধবার তাদের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    অন্যদিকে গত সোমবার বিকেলে মামলার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার পুলিশ সদস্যের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়। যার শুনানি শেষে তাদেরও ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সিনহা হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ৩ জন

    সিনহা হত্যায় জড়িত সন্দেহে গ্রেফতার ৩ জন

    কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তা মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান হত্যায় জড়িত সন্দেহে আরও ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    তারা হলেন-নুরুল আমিন, নিজাম উদ্দিন, মোহাম্মদ আয়াদ। তারা টেকনাফ থানায় পুলিশের দায়ের করা দুই মামলার সাক্ষী।

    মঙ্গলবার র‌্যাব-১৫ সদস্যরা তাদেরকে আটক করে। র‌্যাব হেফাজতে নেয়ার পর তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সিনহা হত্যায় সম্পৃক্ততা পাওয়ায় গ্রেফতার দেখানো হয়। নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    পরে বেলা সোয়া ৪ টায় তাদেরকে কক্সবাজার জেলা সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করা হয়। তাদের রিমান্ডের আবেদন করা হবে বলে জানায় র‌্যাব।

    সিনহার হত্যার ঘটনায় পুলিশের দায়ের করা দুটি মামলার তদন্তভার ইতিমধ্যে র‌্যাবকে দেয়া হয়েছে। এত দিন মামলা দুটির তদন্ত পুলিশ করছিল।

    ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর (অব.) সিনহা নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়। একটি মামলা হয় টেকনাফ থানায়। এই মামলায় সরকারি কাজে বাধা ও গুলিতে নিহত হওয়ার অভিযোগ আনা হয়। সেই মামলার আসামি করা হয় সিফাতকে। আর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রামু থানায় দায়ের করা মাদক মামলায় আসামি করা হয় শিপ্রা দেবনাথকে।

    ৫ আগস্ট সিনহার বড় বোন বাদী হয়ে একই আদালতে টেকনাফ থানার বরখাস্ত ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক লিয়াকত আলী, থানার এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ নয় পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। পরের দিন বৃহস্পতিবার বিকেলে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিতসহ ৭ পুলিশ আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। একই আদালত র‍্যাবের পৃথক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ওসি প্রদীপ, পরিদর্শক লিয়াকত ও এসআই নন্দলাল রক্ষিতকে সাত দিনের রিমান্ড এবং অপর চার আসামি কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন, আবদুল্লাহ আল মামুন ও এসআই লিটনকে কারাফটকে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। অপর দুই আসামি এসআই টুটুল ও মো. মোস্তফা আদালতে হাজির হননি। পুলিশের দাবি, এই নামে জেলা পুলিশে কেউ নেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সেই চার আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন

    কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সেই চার আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন

    পুলিশের গুলিতে নিহত অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মো. রাশেদ খানের হত্যা মামলায় কারা ফটকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সেই চার আসামিকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেছে র‌্যাব।

    বুধবার (১২ আগস্ট) এ আবেদনের শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। ইতিমধ্যে ওই ৪ আসামিকে কারাগারের গেটে দুই দিন ধরে জিজ্ঞাসাবাদ শেষ করেছে তদন্তকারী র‌্যাব কর্মকর্তা।

    র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার প্রধান লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ জানিয়েছেন, যে ৪ জন আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, তাদের কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে আদালতে নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করা হয়েছে।

    আদালতের পুলিশ পরিদর্শক প্রদীপ কুমার দাশ সাংবাদিকদের বলেন, ‘রিমান্ডের আবেদনটি জমা দেওয়া হয়েছে। আগামী ১২ আগস্ট আবেদনটির ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে।

    প্রসঙ্গত, ঈদের আগের দিন (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    পরে তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন। পাশাপাশি র‌্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। এক পর্যায়ে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন: ৩ গুলিতে ঝাঁজরা সিনহার শরীর

    ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন: ৩ গুলিতে ঝাঁজরা সিনহার শরীর

    কক্সবাজারে পুলিশের গুলিতে নিহত সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খানের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন র‌্যাবের কাছে জমা দিয়েছে পুলিশ।

    রোববার কক্সবাজার সিভিল সার্জনের মাধ্যমে কক্সবাজারের পুলিশ সুপার র‌্যাবের কাছে প্রতিবেদনটি জমা দেন।

    নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– খুব কাছ থেকে সিনহাকে গুলি করা হয়। তাকে তিনটি গুলি করা হয়েছে। তিনটি গুলি তার দেহে প্রবেশ করে আবার বেরিয়ে গেছে। এ কারণে তার শরীরে গুলির চিহ্ন ৬টি পাওয়া গেছে।

    তিনটি গুলির একটি সিনহার বাম বুকে, একটি বাম হাতের বাহুতে অন্যটি বুকে।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে– সিনহার গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাতের একাধিক চিহ্ন রয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে তার মৃত্যু হয়েছে।

    ৭ জুলাই কক্সবাজার সদর হাসপাতালের আরএমও শাহীন আবদুর রহমান ময়নাতদন্ত শেষে প্রতিবেদনটি সিভিল সার্জনের মাধ্যমে পুলিশ সুপার বরাবর পাঠান। আজ পুলিশ সুপার সেটি সিনহা হত্যার তদন্তকারী র‌্যাব কর্মকর্তাদের কাছে পাঠিয়েছে।

    গত ৩ জুলাই স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিল্ম অ্যান্ড মিডিয়া বিভাগের তিন শিক্ষার্থীসহ ইউটিউব চ্যানেলের জন্য ভ্রমণ ভিডিও তৈরি করতে কক্সবাজারে যান সিনহা।

    ৩১ জুলাই রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন সেনাবাহিনীর অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা মোহাম্মদ রাশেদ খান।

    পরে গত বুধবার তার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস ৯ পুলিশ সদস্যকে আসামি করে আদালতে মামলা করলে আদালত মামলাটি টেকনাফ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে নথিভুক্ত করার আদেশ দেন।

    পাশাপাশি র‌্যাব ১৫-এর কমান্ডারকেও তদন্ত করার নির্দেশ দেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে এ মামলায় ওসি প্রদীপসহ সাত আসামি আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। বর্তমানে সবাই কক্সবাজার জেলা কারাগারে রয়েছেন।

    এদিকে সিনহা হত্যার ঘটনায় গত বৃহস্পতিবার তদন্তকারী সংস্থা র‌্যাবের পক্ষ থেকে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হয়।

    প্রথমে টেকনাফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক হেলাল উদ্দিন মৌখিকভাবে টেকনাফ থানার সদ্য সাবেক ওসি প্রদীপ কুমার দাশ, বাহারছড়া পুলিশ তদন্তকেন্দ্রের সদ্য সাবেক ইনচার্জ পরিদর্শক লিয়াকত আলী ও এসআই নন্দ দুলাল রক্ষিতের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    বাকি চার আসামি এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কামাল হোসেন ও আবদুল্লাহ আল মামুনকে দুদিন জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের আদেশ দেন। পরে লিখিত আদেশে সবারই সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর