Tag: মেজর হাফিজ

  • মেজর হাফিজকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হল

    মেজর হাফিজকে বিমানবন্দর থেকে ফিরিয়ে দেয়া হল

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিনকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) মেজর হাফিজের বরাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    চিকিৎসার জন্য ভারতের দিল্লিতে যেতে চাইলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ কোনো কারণ না দেখিয়ে তাকে যেতে বাধা দেয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

    তিনি বলেন, চিকিৎসার জন্য আজ দুপুরে দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল মেজর হাফিজের। বুধবার দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে তার অস্ত্রোপচারের তারিখ ছিল। কিন্তু বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন থেকে তাকে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

  • বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে আছে: মেজর হাফিজ

    বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধারা কোণঠাসা হয়ে আছে: মেজর হাফিজ

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর হাফিজের বিরুদ্ধে আনা ১১টি অভিযোগের সব কয়টি প্রত্যাখান করেছেন তিনি। বেশিরভাগ অভিযোগকে হাস্যকর বলেও মন্তব্য করেন সাবেক সেনা কর্মকর্তা।

    তিনি বলেন, বরাবর আমি বিএনপিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছি। জেল থেকে বেগম জিয়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার। আমি সেটিও করেছি। কিন্তু তারাই আমার বিরুদ্ধে বলেন আমি সংস্কারপন্থী, আমি ভাঙার পক্ষে। এর চাইতে দুঃখজনক লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না।

    শনিবার নিজ বাসভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে আত্মপক্ষ সমর্থন করে সব অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করেন তিনি।

    গত দেড় দুই বছর ধরে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হয় না। তবে আগে সবসময় আমন্ত্রণ জানানো হতো।

    তিনি আরও বলেন, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখতে একটি মহল সক্রিয় রয়েছে। আমি মুক্তিযোদ্ধা, জীবন বাজি রেখে যুদ্ধ করেছি। মেজর জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে আমরা সিলেট দখল করেছি। ১৯৭৭ সালে গণভবনে আমাকে ডেকে জিয়া বলেছেন তুমি নির্বাচন করো, তখন আমি বলেছি আমি এখন রাজনীতি করবো না।

    তিনি বলেন, বিএনপিতে যোগদানের আগে আমি তিনবার সংসদ সদস্য ছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে বিজয়ী হয়ে বিএনপিতে যোগ দিয়েছিলাম। আমি গত ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি।

    আমি এলাকার জন্য কাজ করি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি। আমি ২৯ বছর ধরে এই দল করি। আমি কখনও বিএনপির বিরুদ্ধে কথা বলি নাই। এমন কি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধেও কখনও খারাপ মন্তব্য করি না কারণ এসব আমার আচরণে নেই।

    দলীয় মানববন্ধনে অংশগ্রহন না করা, বরিশালে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির কর্মসূচিতে অংশ না নেয়া, বিএনপির সর্বোচ্চ স্তরের নেতাবৃন্দদের নিয়ে অসৌজন্যমূলক বক্তব্য দেয়াসহ ১১ টি অভিযোগ এনে সম্প্রতি মেজর হাফিজকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি।

    সংবাদ সম্মেলনে মেজর হাফিজ বলেন, আমার নামের ভুল সহ নানা ভুল সহিত আক্রমনাত্মক ভাষায় যে চিঠি রুহুল কবির রিজভী আমাকে দিয়েছেন আমি তাতে হতবাক৷ জিয়াউর রহমান থাকলে তিনি নিজেও লজ্জা পেতেন যে আমাকে শোকজ করা হয়েছে। এসময় তিনি ২০২১ সালের মধ্যে বিএনপির জাতীয় কাউন্সিলিং করা সহ চারটি সুপারিশ করেন৷

    মেজর হাফিজ বলেন, আমি পদত্যাগ করছিনা। আমি যে ব্যাখা দিয়েছি সেটি কিভাবে তারা নেয় তা দেখতে চাই। যদিও ভেবেছিলাম পদত্যাগ করব, আমার সাবেক কলিগ, বন্ধুরা বলেছিলেন পদত্যাগ করতে। কিন্তু আমার যারা নেতাকর্মীরা তারা আমাকে অনুরোধ করেছেন যাতে পদত্যাগ না করি। তাদের অনুরোধের কারণেই কেবল আমি পদত্যাগ করলাম না৷

    উল্লেখ্য গত সোমবার দলের দুই ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ ও শওকত মাহমুদের বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকাণ্ডের অভিযোগ এনে কারণ দর্শানোর নোটিস (শোকজ) দিয়েছিল বিএনপি। ওই নোটিশে সই করেন দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

  • বিমানবন্দর থেকে মেজর হাফিজ গ্রেফতার

    বিমানবন্দর থেকে মেজর হাফিজ গ্রেফতার

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদকে র‌্যাব-৪ এর একদল সদস্য শনিবার সন্ধ্যায় ঢাকা বিমানবন্দর থেকে গ্রেফতার করেছে।

    পুলিশের মিরপুর বিভাগের উপ-কমিশনার মোস্তাক আহমেদ জানিয়েছেন, তাকে আটক করে পল্লবী থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

    বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানিয়েছেন, হাফিজ উদ্দিন সিঙ্গাপুর থেকে ফিরছিলেন। কালকেও উনার সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছে, উনি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বিভাগীয় সমাবেশে যোগ দেয়ার জন্য উনি দেশে ফিরেছেন। সকালে উনার বরিশাল যাওয়ার কথা, সেভাবে টিকেটও কেনা হয়েছে।

    মেজর হাফিজের স্ত্রী দিলারা হাফিজ সাংবাদিকদের বলেন, আজ বিমান বন্দর থেকে তাকে আটক করা হয়েছে। শুনতেছি পুলিশ তাকে আটক করেছে। তবে কারা আটক করেছে এ বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। মেজর হাফিজের নামে কোন গ্রেফতারি পরোয়ানা আছে কিনা জানতে চাইলে মিসেস হাফিজ বলেন, উনার নামেতো অনেক মামলা রয়েছে। সবগুলোই সময় মতো আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন। আগামীকালও একটা মামলার হাজিরা রয়েছে।

    বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের পানি সম্পদ মন্ত্রী হাফিজ সেনা নিয়ন্ত্রিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় বিএনপির ‘সংস্কারপন্থি’ অংশের মহাসচিব ছিলেন।