Tag: মেট্রোরেল

  • মেট্রোরেল সংস্কার: ১০০ কোটির কাজ হচ্ছে ১ কোটিরও কম টাকায়!

    মেট্রোরেল সংস্কার: ১০০ কোটির কাজ হচ্ছে ১ কোটিরও কম টাকায়!

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পুনরায় সংস্কার এবং চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। কাজীপাড়া স্টেশনের সংস্কারের কাজ এখন প্রায় শেষ পর্যায়ে এবং এটি চালু হওয়ার সম্ভাবনা সপ্তাহখানেকের মধ্যে ঘোষণা করা হতে পারে। একইভাবে, মিরপুর-১০ স্টেশনটির সংস্কারও দ্রুত গতিতে চলছে এবং কয়েক মাসের মধ্যে এটি যাত্রীদের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে।

    গত ১৯ জুলাই হামলার পর আওয়ামী লীগ সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল যে, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটির সংস্কার করতে কমপক্ষে এক বছর সময় লাগবে। সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের তখন বলেছিলেন, ‘মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১০ স্টেশন ধ্বংসপ্রাপ্ত। এক বছরেও যন্ত্রপাতি এনে সচল করা সম্ভব হবে না।’ এছাড়া, সংস্কারের জন্য প্রায় ৩৫০ কোটি টাকার প্রয়োজন হতে পারে বলে জানানো হয়েছিল।

    তবে, নোবেলজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকারের ক্ষমতা গ্রহণের পর উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান দায়িত্ব নেয়ার পর কর্মকর্তারা এখন বলছেন, স্টেশন সংস্কারে এত বিপুল অর্থের প্রয়োজন পড়বে না।

    কোটা আন্দোলনের সময় ১৮ জুলাই মিরপুর-১০ স্টেশনের নিচে পুলিশের বক্সে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে, যার ফলে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন মিরপুর-১০ এবং কাজীপাড়া স্টেশনে হামলা ও ভাঙচুর হয়। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে ক্ষয়-ক্ষতির মূল্যায়ন করা হয়।

    মিরপুর-১০ স্টেশন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেখানে ছয়টি ভেন্ডিং মেশিন এবং কাউন্টারগুলিতে ভাঙচুর হয়েছে এবং এক ডজনেরও বেশি স্বয়ংক্রিয় দরজা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাজীপাড়া স্টেশনে কিছুটা কম ক্ষতি হয়েছে; সেখানে ভেন্ডিং মেশিন, কাউন্টার এবং কিছু স্বয়ংক্রিয় দরজা ভাঙচুর হয়েছে।

    ডিএমটিসিএলের নবনিযুক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আবদুর রউফ জানিয়েছেন, কাজীপাড়া স্টেশন সংস্কারে ১ কোটি টাকারও কম খরচ হবে, যা আগে ১০০ কোটি টাকা বলা হয়েছিল। মিরপুর-১০ স্টেশনের যন্ত্রপাতি আমদানির কারণে কিছুটা বেশি খরচ হবে, তবে প্রকৃত খরচ এখনও নির্ধারিত হয়নি।

    রউফ বলেছেন, ‘আমরা স্থানীয়ভাবে যন্ত্রপাতি সংগ্রহ করে দ্রুত কাজ করছি, এতে খরচ কমে গেছে।’ তিনি আশা প্রকাশ করেছেন— কাজীপাড়া স্টেশন এই মাসেই চালু হতে পারে।

    আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন হচ্ছে, আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারেও মেট্রোরেল চলবে। সরকারি ছুটির দিন বিকেল ৩টা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকার রীতি পরিবর্তিত হচ্ছে।

    দুর্নীতিবিরোধী প্রতিষ্ঠান ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) সরকারের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে। টিআইবি’র নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেছেন, ‘এ ঘটনার মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে, বিগত সরকারের সময় উন্নয়নের নামে কীভাবে দুর্নীতি হয়েছে। অন্যান্য প্রকল্পগুলোর হিসাবও পুনরায় নিরীক্ষণ করা উচিত।’

  • ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোস্টেশন চালুর জন্য জাপানের সহযোগিতা কামনা

    ক্ষতিগ্রস্ত মেট্রোস্টেশন চালুর জন্য জাপানের সহযোগিতা কামনা

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়ায় ক্ষতিগ্রস্ত দু’টি মেট্রোরেল স্টেশন পুনরায় চালু করতে জাপানের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন। বাংলাদেশে জাপানের রাষ্ট্রদূত আইওয়ামা কিমিনোরি প্রধানমন্ত্রীর অফিসে তার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে গেলে তিনি এ সহযোগিতা চান।

    বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মোহাম্মদ নাঈমুল ইসলাম খান সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন।

    জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তারা প্রথমে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষয়ক্ষতি নিরূপণ করবেন এবং তারপর সিদ্ধান্ত নেবেন যে, কীভাবে তারা বাংলাদেশকে স্টেশনগুলো পুনরায় চালু করতে সাহায্য করতে পারেন।

    কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে দেশজুড়ে ব্যাপক তাণ্ডবে হতাহতের ঘটনায় সমবেদনা জানিয়েছেন জাপানের রাষ্ট্রদূত।

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুর্বৃত্তরা জনকল্যাণ, নিরাপত্তা ও সেবার জন্য নির্মিত সরকারি স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, ‘তারা সেইসব স্থাপনাগুলোতেই হামলা করেছে, যেগুলো জনগণের জন্য উপকারী ছিল এবং সেগুলোই হামলাকারীদের লক্ষ্য ছিল। এটা আমার জন্য খুবই কষ্টের।’ তিনি বলেন, গত ১৫ বছরে অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা স্থাপনাগুলো নির্মাণ করেছেন।

    জাপানের রাষ্ট্রদূত বলেন, তার দেশের ব্যবসায়ীরা আগস্টের দ্বিতীয়ার্ধে টোকিওতে অনুষ্ঠিতব্য পাবলিক প্রাইভেট ইকোনমিক ডায়ালগের আসন্ন ইপিএ আলোচনার জন্য অপেক্ষা করছেন। ওই ডায়ালগের আগেই আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, এটি ডায়ালগকে সফলভাবে অনুষ্ঠিত হতে সহায়তা করবে।

    মেট্রোরেলের ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশনের কথা বলতে গিয়ে আবেগাপ্লুত হয়ে রাষ্ট্রদূত কিমিনোরি বলেন, মেট্রোরেলে হামলার পেছনে মুষ্টিমেয় কিছু লোক রয়েছে এবং বিপুল সংখ্যক মানুষ এর সুবিধাভোগী। রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘মেট্রোরেল নির্মাণে অনেকের ঘাম ও অশ্রু আছে।’ তিনি বলেন, তিনি মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর ক্ষতি করা দেখেছেন- যা তাকে অত্যন্ত কষ্ট দিয়েছে।

    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান ফজলুর রহমান ও অ্যাম্বাসেডর অ্যাট লার্জ এম জিয়াউদ্দিন, মুখ্য সচিব এম তোফাজ্জল হোসেন মিয়া ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

  • মেট্রোর ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

    মেট্রোর ধ্বংসলীলা দেখে কাঁদলেন প্রধানমন্ত্রী

    কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় দুর্বৃত্তদের হামলায় ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বহুল প্রতিক্ষিত মেট্রোরেল প্রকল্প। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশন। টিকেট ভেন্ডিং মেশিন, মূল স্টেশনে যাত্রী প্রবেশের পাঞ্চ মেশিনসহ প্রায় সবকিছুই ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। এককথায় ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হয়েছে স্বপ্নের মেট্রো স্টেশনটি।

    আজ বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সকালে ক্ষতিগ্রস্ত মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশন পরিদর্শনে যান প্রধানমন্ত্রী। নিজেই পুরো স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখেন। একপর্যায়ে স্টেশনের ধ্বংসলীলা দেখে কেঁদে ফেলেন প্রধানমন্ত্রী। বারবার নিজের অশ্রু সংবরণের চেষ্টা করতে দেখা যায়। এ সময় ধ্বংসযজ্ঞকারীদের রুখে দিতে জনসাধারণকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

    শিক্ষার্থীদের ডাকা ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ কর্মসূচির মধ্যেই গত ১৮ জুলাই মেট্রোর লাইনের নিচে মিরপুর-১০ গোলচত্বরে ফুটওভার ব্রিজে পুলিশ বক্সে আগুন দেওয়া হয়। সেই আগুনের মধ্য দিয়েই একটি ট্রেন ছুটে যায়। পরে চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরদিন সন্ধ্যায় মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় দুর্বৃত্তরা। একই দিনে পল্লবী ও ১১ নম্বর স্টেশনেও হামলা হয়। সেখানেও উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ক্ষতি হয়েছে।

    এসব দুর্বৃত্তদের রুখে দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, সরকারের উন্নয়ন যারা ধ্বংস করছে তাদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে। এ তাণ্ডব যারা করেছে, তাদের বিচার দেশবাসীকে করতে হবে।

    তিনি বলেন, সাধারণ মানুষ যেন নির্বিঘ্নে কর্মক্ষেত্র পৌঁছাতে পারে সেটা সুনিশ্চিত করা হবে। দেশ যেন আর্থিকভাবে সচ্ছল হতে পারে সেই চেষ্টা করা হবে। এ দেশ মানুষ রক্ত দিয়ে স্বাধীন করেছে সেটা ব্যর্থ হতে পারে না।

    তিনি আরও বলেন, যে স্থাপনাগুলো মানুষের জীবনকে সহজ করে সেগুলো ধ্বংস করা আসলে কোন ধরনের মানসিকতা। ঢাকা শহর যানজটে নাকাল থাকলেও মেট্রোরেল স্বস্তি দিয়েছে। আধুনিক প্রযুক্তির এই পরিবহন এভাবে ধ্বংস করেছে তা মানতে পারছি না।

    দেশবাসীর কষ্ট লাঘবে সরকার যে উন্নয়ন করছে সেগুলো ধ্বংসকারীদের বিরুদ্ধে দেশবাসীকেই রুখে দাঁড়াতে হবে বলেও উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, কোটা আন্দোলনকারীদের যেমন দাবি ছিল তার থেকে বেশি পূরণ করা হয়েছে। তাহলে এখনও কীসের আন্দোলন। তাদের দাবি ক্ষণে ক্ষণে পরিবর্তন হয়েছে। যা ধ্বংসযজ্ঞকে সুযোগ করে দিচ্ছে।

    তিনি বলেন, গেল ১৬ বছরে দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন করা হয়েছে। যার সুফল সাধারণ মানুষ পাচ্ছে। এগুলোর উপর এত ক্ষোভ কেন? রাষ্ট্রীয় সম্পদ বিনষ্টে সাধারণ মানুষেরই কষ্ট হবে। সেটা কি সাধারণ মানুষ ভেবেছে? যারা এই কষ্ট তৈরি করল তাদেরকে জনগণেরই প্রতিহত করতে হবে। এসব তাণ্ডব যারা চালিয়েছে তাদের বিচার জনগণকেই করতে হবে।

  • ‘ইজতেমা ও বইমেলাকে মাথায় রেখে মেট্রোরেলের সময় সমন্বয় করা হবে’

    ‘ইজতেমা ও বইমেলাকে মাথায় রেখে মেট্রোরেলের সময় সমন্বয় করা হবে’

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিনন্দন জানিয়ে জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেসের চিঠি মিডিয়ার কল্পিত কোনো বিষয় নয়, যা হয়েছে মিডিয়া তাই বলছে।

    আজ শনিবার (২০ জানুয়ারি) ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডডের (ডিএমটিসিএল) দিয়াবাড়ির ডিপোতে ‘বঙ্গবন্ধু কর্নার’ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, জাতিসংঘের শুভেচ্ছা বার্তা সম্পর্কে আমিও গণমাধ্যম থেকে অবহিত হয়েছি। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আমার কথা হয়নি। এটাতো মিডিয়ার কল্পিত কোনো বিষয় নয়, যা হয়েছে মিডিয়া তাই বলছে।

    তিনি বলেন, বিশ্ব ইজতেমার জন্য মেট্রোরেল চলাচলের সময় সমন্বয় করা হবে। আর বাংলা একাডেমির মহাপরিচালকের (ডিজি) সঙ্গে কথা বলে বইমেলায় সময় সমন্বয়ের বিষয়টি নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও বলেন, যাত্রীদের কথা ভেবেই সুফল দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

  • টিএসসিতে প্রথমবারের মতো থামল মেট্রোরেল, ঢাবিতে উচ্ছ্বাস

    টিএসসিতে প্রথমবারের মতো থামল মেট্রোরেল, ঢাবিতে উচ্ছ্বাস

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশন অর্থাৎ টিএসসিতে বুধবার প্রথমবারের মতো থেমেছে মেট্রোরেল। এতে করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ আশপাশের মানুষদের জন্য যোগাযোগের ক্ষেত্রে নতুন এক দ্বার উন্মোচন হয়েছে।

    বুধবার সকাল ৭টা ১৪ মিনিটে প্রথমে মতিঝিল থেকে উত্তরা অভিমুখী ছেড়ে আসা মেট্রো ট্রেনটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় স্টেশনের থামে। এর পর উত্তরা থেকে মতিঝিল অভিমুখের ট্রেনটি সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে এ স্টেশনে এসে পৌঁছায়।

    আজ থেকে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে আরও দুটি স্টেশন চালু হওয়ার ফলে যোগাযোগের ক্ষেত্রে এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। স্বল্প সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তরা পর্যন্ত যাওয়া আসার ক্ষেত্রে কষ্ট লাঘব হয়েছে বহুগুণ। এতে খুশি যাত্রীরা।

    এই স্টেশন দুটি চালুর ফলে মেট্রোরেলের ১৭টি স্টেশনের মধ্যে বাকি থাকবে কাওরান বাজার, শাহবাগ এবং কমলাপুর স্টেশন। যদিও কমলাপুর পর্যন্ত মেট্রোরেল লাইন বর্ধিতের কাজ চলছে। বাকি স্টেশনগুলোও এই মাসের মধ্যে চালুর কথা রয়েছে।

    সব স্টেশন চালু হওয়ার পর দিন-রাত চলাচল করবে মেট্রোরেল। বর্তমানে সকাল সাড়ে ৭টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মতিঝিল থেকে উত্তরা রুটে মেট্রোরেল চলাচল করছে। আর আগারগাঁও থেকে উত্তরা রুটে চলাচল করছে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত। এর বাইরে এমআরটি কার্ডধারীদের জন্য রয়েছে দুটি আলাদা ট্রেন।

  • প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল যাত্রায় একঝাঁক তারকা

    প্রধানমন্ত্রীর মেট্রোরেল যাত্রায় একঝাঁক তারকা

    মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটার দিকে সবুজ পতাকা উড়িয়ে এ অংশের উদ্বোধন করেন তিনি। এরপর বেলা পৌনে তিনটায় মেট্রোরেলের দ্বিতীয় পর্বের যাত্রী হিসেবে ১০ নম্বর কোচটিতে চড়েন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তার সফরসঙ্গীরা সবাই ট্রেনে ওঠেন। এই উদ্বোধনী যাত্রায় দেখা গেছে এক ঝাঁক তারকাকে।

    এসময় উদ্বোধনী যাত্রায় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা ও প্রার্থনা ফারদিন দীঘিকে পাশাপাশি বসে গল্প করতে করতে মেট্রোরেল ভ্রমণ করতে দেখা গেছে। অন্য আসনে রিয়াজ, গাজী রাকায়েত, শহীদুল আলম সাচ্চুসহ আরও অনেককে দেখা গেছে।

    আজ উদ্বোধন করা হলেও আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে এটি সর্বসাধারণের চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে। প্রথমে তিনটি স্টেশন চালুর মাধ্যমে এ অংশের মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। স্টেশনগুলো হলো-মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট।

    ডিএমটিসিএল’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক বলেন, উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল শুরুতে শুধু মাত্র চার ঘণ্টা চলবে। আর স্টেশন খোলা থাকবে তিনটি। আস্তে আস্তে সময় ও স্টেশন বাড়ানো হবে।

    বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশ গত বছরের ডিসেম্বর উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল লাইন নির্মাণের ফাস্ট ট্র্যাক প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার।

     

  • আগারগাঁও থেকে ২১ মিনিটে মতিঝিল গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    আগারগাঁও থেকে ২১ মিনিটে মতিঝিল গেলেন প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শনিবার (৪ নভেম্বর) বিকেল ২টা ৩৪ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেন। এ সময় নিরাপত্তার জন্যে উদ্বোধনী ট্রেনটি চলে যায়।

    এরপর ২টা ৪২ মিনিটে মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে মেট্রোরেলে চড়েন প্রধানমন্ত্রী।

    এ মেট্রোরেলটি প্রধানমন্ত্রীকে নিয়ে মাত্র ২১ মিনিটে পৌঁছায় মতিঝিল স্টেশনে। প্রধানমন্ত্রী যখন মতিঝিল স্টেশনে পৌঁছান তখন বিকেল ৩টা ০৩ মিনিট।

    এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ পথ হারায়নি। মেট্রোরেল নির্মাণ করা হয়েছে সবাই যেন যাতায়াত করতে পারে, কর্মঘণ্টা বাঁচে। আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন বর্ধিত করছি। জাপান সরকার ধন্যবাদ বিনিয়োগ করায়। মেট্রোরেল নির্মাণে যারা জড়িত তাদের সবাইকে ধন্যবাদ জানাই।

    এরপর তিনি বিকেল ৪টায় মেট্রোরেল উদ্বোধন উপলক্ষে আরামবাগে আওয়ামী লীগ আয়োজিত জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

    এর আগে ঢাকাকে যানজটমুক্ত করতে গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রো রেলের উদ্বোধন করা হয়। সে সময় মেট্রো রেলের প্রথম অংশ উত্তরা উত্তর থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার ১০ মাস পরে এসে আজ আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত দ্বিতীয় অংশের উদ্বোধন করা হল।

    ২০ কিলোমিটার দূরত্বের উত্তরা-মতিঝিল রুটে কর্মব্যস্ত দিনে লেগে যায় দুই থেকে আড়াই ঘন্টা। যানজটের শহরে জাদুর মেট্রোরেল এ পথ অতিক্রম করবে মাত্র ৩১ মিনিটে।

    আর আধুনিক এ গণপরিবহন আগামীকাল(৫ নভেম্বর) থেকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন ডিএমটিসিএল-এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক।

  • মতিঝিল-আগারগাঁও অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    মতিঝিল-আগারগাঁও অংশের মেট্রোরেল উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    রাজধানীবাসীর বহুল প্রতীক্ষিত মেট্রোরেলের আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশের উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার (৪ নভেম্বর) দুপুর আড়াইটায় আগারগাঁও স্টেশনের উদ্বোধনস্থলে আসেন প্রধানমন্ত্রী।

    সেখানে প্রথমে ট্রেনের স্বয়ংক্রিয় টিকিট (অস্থায়ী পাস কার্ড) নেন। এরপর কার্ড পাঞ্চ করে প্রধানমন্ত্রী ট্রেনের লাউঞ্জে প্রবেশ করেন। সেখানে উদ্বোধনী ফলক উন্মোচন করেন। ট্রেন চলাচলের সংকেত পতাকা নেড়ে ট্রেন চলার সংকেত দেন। পরে ট্রেনেই চড়ে প্রধানমন্ত্রী ও তার সফরসঙ্গীদের নিয়ে আগারগাঁও থেকে মতিঝিলের উদ্দেশে রওনা হন।

    মতিঝিল স্টেশনে আরেকটি উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী। বিকেলে আরামবাগে আওয়ামী লীগের ঢাকা বিভাগীয় জনসভায় যোগ দেবেন তিনি।

    এ সময় সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সেনাপ্রধান এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব মাহবুব হোসেন, মুখ্য সচিব তোফাজ্জাল হোসেন মিয়া, শেখ হেলাল এমপি, সড়ক ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিনুল্লাহ নুরী, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এম এন এ সিদ্দিকসহ সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

    একদিন পর আগামীকাল রোববার (৫ নভেম্বর) থেকে মেট্রোরেলে চড়ে যাওয়া যাবে মতিঝিল স্টেশন পর্যন্ত। অর্থাৎ উদ্বোধনের পরদিনই আগারগাঁও-মতিঝিল অংশটি যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে। ওইদিন থেকে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত চলবে স্বপ্নের এ উড়াল ট্রেন।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. এম এন এ সিদ্দিক জানিয়েছেন, শনিবার প্রধানমন্ত্রী এমআরটি লাইন-৫ (উত্তর রুট) নির্মাণ কাজেরও উদ্বোধন করবেন। এ লাইন হেমায়েতপুর থেকে ভাটারা হয়ে গাবতলী, মিরপুর-১০, গুলশান পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ হবে। ৪১ হাজার ২৩৯ কোটি টাকার এ প্রকল্পের কাজ শেষ হবে ২০২৮ সালে।

    তিনি বলেন, উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের কারণে শনিবার উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত নিয়মিত মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকবে।

    শুরুতে আগারগাঁও-মতিঝিল অংশে তিনটি স্টেশনে মেট্রোরেল থামবে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল সেকশনের দৈর্ঘ্য ৮ দশমিক ৭২ কিলোমিটার। এ অংশে ফার্মগেট, সচিবালয় ও মতিঝিল স্টেশনে ট্রেন থামবে।

    উত্তরা-মতিঝিল রুটে ৫ নভেম্বর থেকে প্রতিদিন সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত মেট্রো চলাচল করবে। বেলা সাড়ে ১১টার পর মতিঝিল-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল বন্ধ থাকলেও উত্তরা-আগারগাঁও সেকশনে যথারীতি রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত চলবে।

    এর আগে গত ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের প্রথম ধাপের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।

    উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত যেভাবে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হয়েছিল, একইভাবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল রুটে আপাতত দৈনিক চার ঘণ্টা চলবে মেট্রোরেল। এ অংশে শুরুতে তিনটি স্টেশন চালু করা হলেও পরে ধাপে ধাপে অন্য স্টেশনগুলোও খুলে দেওয়া হবে।

    মেট্রোরেলের আগারগাঁও-মতিঝিল অংশের উদ্বোধনের কথা ছিল গত ২০ অক্টোবর। পরে সেটি ৯ দিন পিছিয়ে ২৯ অক্টোবর করা হয়। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর শিডিউলজনিত কারণে ২৯ অক্টোবরের পরিবর্তে ৪ নভেম্বর এ অংশের উদ্বোধনের দিন ঠিক করা হয়।

    ২০১২ সালের জুলাই মাসে মেট্রোরেল প্রকল্প গ্রহণ করে সরকার। উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেলের মোট দৈর্ঘ্য ২১ কিলোমিটার। তবে নগরবাসীর সুবিধার কথা বিবেচনা করে পরবর্তীতে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১ দশমিক ১৬ কিলোমিটার রুট বাড়ানো হয়। বর্ধিত অংশের কাজ ২০২৪ সালের জুন নাগাদ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে। এমআরটি লাইন-৬ এর উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে কমলাপুর পর্যন্ত মোট দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ২২ কিলোমিটার (২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার)।

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেন ২ হাজার ৩০০ যাত্রী নিয়ে ১০০ থেকে ১১০ কিলোমিটার গতিতে চলতে পারবে। তবে বাঁকযুক্ত এলাকায় গতি কমে যাবে।

    গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। ওইদিন তিনি সরকারের বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিবর্গসহ নানা শ্রেণিপেশার দুই শতাধিক যাত্রী নিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেন। এর একদিন পর ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ যাত্রীদের পরিবহনের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় মেট্রোরেল।

    মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। এরপর একে একে আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। এর মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং ১ মার্চ পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হয় ব্যস্ততম মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন।

    গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশন দুটিও চালু হয়। সবশেষ গত ৩১ মার্চ মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন দুটিও খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনই যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয়। এবার মেট্রোরেল যাবে আপাতত শেষ ঠিকানা মতিঝিলে।

  • ‘মেট্রোরেলের ইন্ট্রিগেশন টেস্ট ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে’

    ‘মেট্রোরেলের ইন্ট্রিগেশন টেস্ট ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে’

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আজ থেকে আগামী ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত মেট্রোরেলের সিস্টেম ইন্টিগ্রেশন টেস্ট চলবে। এই টেস্ট শুক্রবারে দিন এবং অন্যান্য দিন রাতে চলবে। আশা করছি, অক্টোবরের শেষ প্রান্তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ অংশে (আগারগাঁও থেকে মতিঝিল) মেট্রোরেল চলাচলের শুভ উদ্বোধন ঘোষণা করবেন।

    শুক্রবার (৭ জুলাই) আগারগাঁওয়ের মেট্রোরেল স্টেশনের প্ল্যাটফর্মে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) আয়োজিত ‘এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রো ট্রেন চলাচল পরীক্ষণের শুভ সূচনা’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব তথ্য বলেন।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের একটি গুরুত্বপূর্ণ মেগা প্রকল্প মেট্রোরেল। এটির আরেকটি মাইলফলক আমরা উদ্বোধন করতে যাচ্ছি, সেটি হচ্ছে আগারগাঁও-মতিঝিল রুটে ইন্ট্রিগেশন টেস্ট।

    তিনি বলেন, মেট্রোরেলে এটাই আমাদের প্রথম কাজ। এরপরে আরও পাঁচটি লাইন আছে। ২০৩০ সালের মধ্যে মেট্রোরেলের ছয়টি লাইনের কাজ আমরা সম্পূর্ণভাবে সম্পন্ন করতে পারব। এই লক্ষ্য নিয়েই আমাদের কাজ এগিয়ে চলেছে। এর জন্য ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সবাইকে নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।

  • পরীক্ষামূলকভাবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যাবে মেট্রোরেল, উদ্বোধন বিকেলে

    পরীক্ষামূলকভাবে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল যাবে মেট্রোরেল, উদ্বোধন বিকেলে

    রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে আজ পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলবে। শুক্রবার (৭ জুলাই) বিকেল ৪টায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর উদ্বোধন করবেন।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানায়, শুক্রবার বিকেল ৪টায় আগারগাঁও স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম থেকে এমআরটি লাইন-৬ এর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পরীক্ষামূলকভাবে মেট্রোরেল চলবে।

    কোম্পানিটি আরও জানায়, মেট্রোরেলের এ পরীক্ষামূলক যাত্রা উদ্বোধন করবেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সেতুমন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অক্টোবরে আগারগাঁও-মতিঝিল মেট্রোরেল চলাচলে উদ্বোধন করবেন।

    গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর উত্তরা-আগারগাঁও রুটে মেট্রোরেল চলাচল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমানে এই রুটে সকাল ৮টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছে।

  • অক্টোবরে মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    অক্টোবরে মেট্রোরেল মতিঝিল পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগামী অক্টোবর মাসে মেট্রোরেলের মতিঝিল অংশ পর্যন্ত উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    রোববার (১৮ জুন) সকালে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ডিএমটিসিএল আয়োজিত আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ এর পরিচালনা বিষয়ক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন তিনি।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নিয়ে সিটি কর্পোরেশনের কিছু কিছু জায়গায় আপত্তি আছে। যেমন হাতিরঝিল। আমরা চিন্তা করছি ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে তেজগাও পর্যন্ত রাখব। পরবর্তী অংশ আমরা আলাপ আলোচনা করে সমাধান করতে পারব। এটাতে চ্যালেঞ্জ আছে। তবে আমি মনে করি না এই চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা যাবে না। কারণ আমাদের সবার আন্তরিকতা আছে।

    মেট্রোরেলের পিলারে পোস্টার লাগানো বিষয়ে সড়কমন্ত্রী বলেন, মেট্রোরেলের পিলারগুলো শুরুতে যেভাবে আক্রান্ত হচ্ছিল আমরা ভয় পেয়ে যাচ্ছি। এইটুকু সৌন্দর্যটি আমাদের থাকবে না। রুচিবোধের এতই কি ঘাটতি বাংলাদেশে! যে দেশ আজকে সারা বিশ্বের বিস্ময়, সেই দেশের এত রুচির দারিদ্র কেন। এখানে জরিমানা করে হলেও পোস্টটা লাগানো বন্ধ করতে হবে। এই মেট্রোরেল সারা জাতির সম্পদ। এই সম্পদ রক্ষা করতে সবাইকে নিজ নিজ দায়িত্ব পালন করতে হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চিরদিন ক্ষমতায় থাকবেন না।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মন্ত্রী আমার প্রটেকশন গাড়িতে কোন হুটারের আওয়াজ শোনবেন না। আমি এটা বন্ধ করে দিয়েছি। আমি হুটার চালাই না। হাসপাতালে সামনে দিয়ে গাড়িগুলো যেভাবে হর্ন বাজিয়ে থাকে, এটা যেন না হয় এটা বন্ধ করতে হবে। আমি দুই মেয়রের উপস্থিতিতেই কথাগুলো বলছি।

    রাস্তায় গাড়ি থেকে ময়লা ফেলার বিষয়ে বিআরটিএকে আইন করতে হবে জানিয়ে তিনি বলেন, গাড়ি থেকে সিগারেটের শেষ অংশ রাস্তায় ফেলা বা কোনো কিছু খেয়ে রাস্তায় ফেলা বন্ধ করতে হবে। গাড়ি থেকে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা যাবে না এবং যেখানে সেখানে সিগারেট খাওয়া যাবে না। ঢাকা শহরে সিগারেট খাওয়া বন্ধ করুন। ধুমপানের জন্য দুই মেয়র প্লিজ আপনারা আলাদা জায়গা করে দিন।

    জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সির বাংলাদেশের প্রধান প্রতিনিধি ইচিগুচি তমোহিদে বলেন, আপনাদের এ ব্র্যান্ডিং সেমিনারে উপস্থিত হতে পেরে আমি আনন্দিত। ঢাকা মেট্রো এমআরটি আমাদের সবচেয়ে সফল প্রকল্পগুলোর একটি। এটি বাংলাদেশ-জাপানের পারস্পরিক বিশ্বাস-বন্ধুত্বের এক অনন্য উদাহরণ। ডিএমটিসিএলের প্রকৌশলীরা প্রত্যেক বছর জাপানে যেতে পারবেন, এছাড়া জাইকা থেকে সব ধরনের কারিগরি সহায়তাও অব্যাহত রাখা হবে। আপনাদের মতো ঢাকা আমারও খুব প্রিয় শহর। ঢাকার মতো এত জনবহুল শহরে এরকম প্রকল্প সম্পন্ন করা আসলেই চ্যালেঞ্জিং। ভবিষ্যতেও বাংলাদেশে জাইকার সব ধরনের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

    বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইয়োমাকি মিনোওরি বলেন, আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এমআরটি লাইন-৬ বাংলাদেশ-জাপানের আরেকটি যৌথ গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম। এটি প্রমাণ করে যোগাযোগ খাতে জাপান-বাংলাদেশ কতটা অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িত। এটি ঢাকার জনগণের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে বড় ভূমিকা রাখবে। জাপান বাংলাদেশের উন্নয়নে ভবিষ্যতেও সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে। এবং উইন-উইন সিচুয়েশনের ভিত্তিতে বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।

    সেমিনারে আরও বক্তব্য রাখেন সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী, ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস প্রমুখ।

  • এক বছর মেট্রোরেলের ভ্যাট নেবে না এনবিআর

    এক বছর মেট্রোরেলের ভ্যাট নেবে না এনবিআর

    মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর অব্যাহতি দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এনবিআরের এক বিশেষ আদেশে এই কর অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৩ মে) এনবিআর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

    এনবিআরের বিশেষ আদেশে বলা হয়েছে, মেট্রোরেল বাংলাদেশের প্রথম সর্বাধুনিক গণপরিবহন হিসেবে যানজট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। পাশাপাশি মানুষের কর্মঘণ্টা সাশ্রয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখবে।

    আদেশে আরও বলা হয়, প্রাথমিক পর্যায়ে এ জাতীয় গণপরিবহনকে আরও জনপ্রিয় করার জন্য যাতায়াত খরচ কমানো দরকার।

    সেই লক্ষ্যে আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত মূল্য সংযোজন কর ও সম্পূরক শুল্ক আইন, ২০১২ (২০১২ সনের ৪৭ নং আইন) এর ধারা ১২৬ এর উপ-ধারা (৩) এ প্রদত্ত ক্ষমতাবলে, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন কর থেকে অব্যাহতি দিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড।

    এই আদেশ ২৮ ডিসেম্বর, ২০২২ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে বলেও বিশেষ আদেশে উল্লেখ করা হয়েছে।