Tag: মেট্রোরেল

  • আজ থেকে নতুন সূচিতে চলছে মেট্রোরেল

    আজ থেকে নতুন সূচিতে চলছে মেট্রোরেল

    যাত্রীদের চাহিদার কথা বিবেচনা করে মেট্রোরেল চলাচলের সময়সীমা দুই ঘণ্টা বাড়ানো হয়েছে। আজ বুধবার সকাল ৮ থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে। এর আগে গত ডিসেম্বরে উদ্বোধনের পর থেকে সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মেট্রোরেল চলাচল করছিল।

    গত বৃহস্পতিবার ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে নতুন সূচির বিষয়টি জানান ডিএমটিসিএলর ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক।

    ওইদিন তিনি বলেন, ‌‘মেট্রোরেলের উত্তরা থেকে আগারগাঁও অংশের সব কয়টি (৯টি) স্টেশন এপ্রিল মাসের মধ্যে চালু হয়ে যাবে। আগামী জুলাই মাস থেকে পুরোদমে মেট্রোরেল চলাচল শুরু হবে। এরপর প্রতিদিন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে চলবে এই উড়াল ট্রেন।’

    এম এ এন ছিদ্দিক আরও বলেন, ‘যাত্রী চাহিদার কথা বিবেচনা করে দুই ঘণ্টা সময় বৃদ্ধি করা হয়েছে। জুলাই মাস থেকে আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হবে মেট্রোরেলের। ডিসেম্বরের মধ্যে উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালানোর লক্ষ্যমাত্রা সামনে রেখে পারফরম্যান্স টেস্ট শুরু হচ্ছে।’

    উল্লেখ্য, গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মেট্রোরেলের শুভ উদ্বোধন করেন। এর একদিন পর গত বছরের ২৯ ডিসেম্বর সাধারণ যাত্রীদের পরিবহনের মধ্য দিয়ে বাণিজ্যিকভাবে চালু হয় মেট্রোরেল। শুরু থেকে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা বিরতিহীনভাবে চলাচল করছিল মেট্রোরেল।

    মেট্রোরেল উদ্বোধনের দিনই চালু হয় উত্তরা উত্তর ও আগারগাঁও স্টেশন দুটি। এরপর একে একে আরও দুটি স্টেশন চালু হয়। এর মধ্যে গত ২৫ জানুয়ারি পল্লবী স্টেশন ও গত ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন এবং ১ মার্চ পঞ্চম স্টেশন হিসেবে চালু হয় ব্যস্ততম মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন।

    গত ১৫ মার্চ মেট্রোরেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ নম্বর স্টেশন দুটিও চালু হয়। সবশেষ গত ৩১ মার্চ মেট্রোরেলের শেওড়াপাড়া ও উত্তরা দক্ষিণ স্টেশন দুটিও খুলে দেওয়া হয়। এর মধ্য দিয়ে উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ৯টি স্টেশনই যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত হয়।

    প্রসঙ্গত, ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের প্রথম মেট্রোরেল এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। ২০১২ সালে সরকার এ প্রকল্প হাতে নেয়। এমআরটি লাইন-৬ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট ব্যয় হচ্ছে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা।

  • মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও রুটের সব স্টেশন চালু

    মেট্রোরেলের উত্তরা-আগারগাঁও রুটের সব স্টেশন চালু

    মেট্রোরেলের উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন চালু হয়েছে। এর মধ্যে দিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত মেট্রোরেলের ৯টি স্টেশনই চালু হয়ে গেল।

    আজ (শুক্রবার) সকাল ৮টায় উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন দুটির গেট খোলা হয় এবং সাড়ে ৮টার পর থেকে ট্রেন থামতে শুরু করে।

    এর আগে ২০২২ সালের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেল উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ২৯ ডিসেম্বর এটি সর্বসাধারণকে নিয়ে বাণিজ্যিক যাত্রা শুরু করে। সেসময় মেট্রোরেল শুধু উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে আগারগাঁও স্টেশনের মধ্যে চলাচল করতো।

    পরে পর্যায়ক্রমে ২৫ জানুয়ারি মেট্রোরেলর পল্লবী স্টেশন, ১৮ ফেব্রুয়ারি উত্তরা সেন্টার স্টেশন, ১ মার্চ মিরপুর-১০ স্টেশন, ১৫ মার্চ কাজীপাড়া ও মিরপুর ১১ এবং সর্বশেষ আজ চালু হলো উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশন।

    শুরুতে মেট্রোরেল সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত চললেও গত ২৫ জানুয়ারি থেকে মেট্রোরেল সকাল সাড়ে ৮টা থেকে সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পরিচালনা করা হয়। আগামী ৫ এপ্রিল থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত যাত্রী পরিবহন করবে বিদ্যুৎ চালিত দ্রুতগতির এই রাষ্ট্রীয় বাহনটি।

    উত্তরা উত্তর স্টেশন থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া যথাক্রমে ২০ টাকা ও ৪০ টাকা। অন্যদিকে আগারগাঁও থেকে উত্তরা দক্ষিণ ও শেওড়াপাড়া স্টেশনের ভাড়া যথাক্রমে ৪০ টাকা ও ২০ টাকা।

  • মেট্রো রেলের আরও দুটি স্টেশন চালু

    মেট্রো রেলের আরও দুটি স্টেশন চালু

    রাজধানীর মেট্রো রেলের কাজীপাড়া ও মিরপুর-১১ নম্বর স্টেশন খুলে দেওয়া হয়েছে। আজ বুধবার সকালে এ দুটি স্টেশনে যাত্রী ওঠানামা শুরু হয়।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক বলেন, নতুন চালু হওয়া এ দুই স্টেশন মিলে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে মেট্রো রেলের মোট সাতটি স্টেশন চালু হয়েছে। এই পথে বাকি আরো দুটি স্টেশন চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে চালু হবে। তবে এখনই সুনির্দিষ্ট তারিখ বলা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

    চলতি বছরের জুলাই মাস থেকে মেট্রো রেলের চলাচল পুরোদমে শুরু হবে। তখন ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ট্রেন চলবে বলেও জানান তিনি।

    গত ২৮ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের প্রথম দ্রুতগতির এলিভেটেড মেট্রোরেল সার্ভিস উদ্বোধন করেন। এটি এমআরটি লেন-৬ হিসেবে পরিচিত।

    কর্তৃপক্ষের পরিকল্পনা অনুযায়ী, রুটটি ২০২৫ সালে কমলাপুর পর্যন্ত চালুর আগেই আগামী বছর উত্তরা থেকে মতিঝিল পর্যন্ত এই ট্রেন সার্ভিস সম্প্রসারণের কথা রয়েছে।

  • মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

    মেট্রোরেলের মিরপুর-১০ স্টেশন চালু

    মেট্রোরেলের আরও একটি স্টেশন চালু হয়েছে। পঞ্চম স্টেশন হিসেবে মিরপুর-১০ চালু হলো আজ বুধবার থেকে।

    এর আগে চালু হয় উত্তরা উত্তর, আগারগাঁও, পল্লবী ও উত্তরা সেন্টার স্টেশন। মিরপুর-১০ নম্বর স্টেশন চালু হওয়ায় মেট্রোরেলের পাঁচটি স্টেশনের যাত্রা শুরু হলো।

    এর ফলে বাকি থাকবে উত্তরা-আগারগাঁও অংশের চার স্টেশন— ‘উত্তরা দক্ষিণ’, ‘মিরপুর-১১’, ‘কাজীপাড়া’ ও ‘শেওড়াপাড়া’।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কার্যালয়ে সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক জানান, মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করা হবে ১ মার্চ থেকে। এ ছাড়া মার্চ মাসের মধ্যেই উত্তরা-আগারগাঁও অংশে থাকা বাকি স্টেশন চালু হবে। সেই সঙ্গে পুরো ৯টি স্টেশনই চালু করা হবে।

    এমএএন ছিদ্দিক বলেন, মার্চ মাসের মধ্যে সব কটি স্টেশনে ট্রেনের যাত্রাবিরতি দেওয়া শুরু হবে। আর জুলাই থেকে পুরোদমে শুরু হবে ট্রেন চলাচল। তখন ভোর থেকে শুরু হয়ে মধ্যরাত পর্যন্ত মেট্রোরেল চলবে।

    ডিএমটিসিএল জানিয়েছে, সকাল সাড়ে ৮টা থেকে মিরপুর-১০ মেট্রো স্টেশনে যাত্রী চলাচল শুরু হবে। এর আধাঘণ্টা আগে সকাল ৮টা থেকে স্টেশন যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।

    গত ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের লাইন ৬-এর উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার উড়াল রেলপথের মধ্যে উত্তরার (দিয়াবাড়ী) অংশ থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উদ্বোধনের পর দিন থেকে সাধারণ যাত্রী নিয়ে বাণিজ্যিকভাবে ঢাকায় মেট্রোরেলের চলাচল শুরু হয়।

    আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশ এ বছরের শেষ দিকে চালুর পরিকল্পনা আছে। মতিঝিল থেকে কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত অংশ চালু হতে পারে ২০২৫ সাল নাগাদ।

  • মেট্রোরেলের উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালু

    মেট্রোরেলের উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালু

    উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালুর মধ্যে দিয়ে মেট্রোরেলের নয়টি স্টেশনের মধ্যে চারটি যাত্রীদের জন্যে উন্মুক্ত হলো।

    শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় এই স্টেশনটি। অন্য স্টেশনগুলোর মতো সকাল সাড়ে ৮টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত এই স্টেশন থেকেও যাত্রীরা মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন।

    ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক বলেন, কোন ধরনের আনুষ্ঠানিকতা ছাড়াই শনিবার উত্তরা সেন্টার স্টেশন চালু করা হয়েছে। মার্চের মধ্যে ধাপে ধাপে সব স্টেশন খুলে দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে।

    এর আগে উত্তরা (দিয়াবাড়ী), আগারগাঁও স্টেশন দিয়ে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। পরে পল্লবী স্টেশন উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। সবশেষ মেট্রোরেলের চতুর্থ স্টেশন হিসেবে খুলেছে উত্তরা উত্তরের এই স্টেশনটি।

    ঢাকার উত্তরা থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ২১ দশমিক ২৬ কিলোমিটার দৈর্ঘের প্রথম মেট্রোরেল যেটা এমআরটি লাইন-৬ নামে পরিচিত। এ প্রকল্প সরকার হাতে নেয় ২০১২ সালে।

    উত্তরার বাসিন্দা আব্দুল করিম বলেন, মেট্রোরেল চালুর পর উত্তরা দিয়াবাড়ী স্টেশন গিয়ে ট্রেনে উঠতে হতো। কিন্তু এখন থেকে সেই সমস্যায় আর পড়তে হবে না। এস্টেশনটি চালু মধ্যে দিয়ে আমাদের যাতায়াতের আরু সুবিধা হলো। তবে ফার্মগেট স্টেশন চালু হলে আরও অনেক সুবিধা হতো।

  • হাছান মাহমুদের বারবার পীড়াপীড়ির সুফল চট্টগ্রামে মেট্টোরেল: কাদের

    হাছান মাহমুদের বারবার পীড়াপীড়ির সুফল চট্টগ্রামে মেট্টোরেল: কাদের

    সড়ক পরিবেহন ও সেতু মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান আমাদের দলের সিনিয়র যুগ্ন সাধারন সম্পাদক এবং তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বারবার পীড়াপীড়ি করে অনুরোধ করেছেন চট্টগ্রামে মেট্টোরেল লাইন স্থাপনের জন্য। তিনি আমাকে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিভিন্ন সময়ে বিশেষ ভাবে অনুরোধ করেছেন যাতে চট্টগ্রামে মেট্টোরেল চালু করা যাই। তারই সুফল আজকে চট্টগ্রামে মেট্টোরেল প্রকল্পের ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধন।

    তিনি বলেন, চট্টগ্রাম আমাদের বাণিজ্যিক রাজধানী, বন্দর নগরী। সেই বিবেচনায় প্রধানমন্ত্রীর সাথে পরামর্শ করে আমরা ঢাকা ট্রান্সপোর্ট কোঅর্ডিনেশন অথরিটি (ডিটিসিএ) এই উদ্যোগ গ্রহন করেছে সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে।

    মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রামের হোটেল রেডিসন ব্লু বে ভিউতে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল নির্মাণের লক্ষ্যে ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনলাইনে সংযুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তথ্যমন্ত্রীকে চট্টগ্রামের কৃতি সন্তান ও জনপ্রিয় সংসদ সদস্য উল্লেখ করে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

    সেতুমন্ত্রীর বক্তব্যের পর চট্টগ্রামের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরীও বিশেষ অতিথির বক্তব্য প্রদানকালে তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের প্রশংসা করে বলেন, চট্টগ্রামে মেট্টোরেল লাইন স্থাপনের জন্য তিনিই প্রথম আওয়াজ তুলেছিলেন।

    ওবায়দুল কাদের আরও বলেন, বাণিজ্যিক রাজধানী ও বন্দর নগরী চট্টগ্রাম হচ্ছে দেশের অর্থনীতির প্রাণকেন্দ্র। তাই চট্টগ্রামের যানজট নিরসনে তরুণ প্রজন্মের ড্রিম প্রজেক্ট মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। স্বপ্নের এ প্রকল্প চট্টগ্রামের যানজট নিরসন ও টেকসই পরিবহন ব্যবস্থা গড়ে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ঢাকার মতো চট্টগ্রামেও মেট্রোরেল আকর্ষণীয় হয়ে উঠবে। চট্টগ্রামে যে মেট্রোরেল হবে, তাতে কোনো সন্দেহ নেই। তাই আজকের দিনটি চট্টগ্রামের জন্য স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

    জানা যায়, ২০১৯ সালের ১৫ অক্টোবর একনেক সভার কয়েকদিন আগে প্রধানমন্ত্রীর কাছে চট্টগ্রামে মেট্রোরেল চালুর ব্যাপারে অনুরোধ জানান তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ। এ সময় সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও উপস্থিত ছিলেন। তথ্যমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলেন, চট্টগ্রাম শহরের জনসংখ্যা ৬৫ লাখ ছাড়িয়ে গেছে। নির্বিঘ্ন যাতায়াত ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে এখনই যদি মেট্রোরেলের উদ্যোগ নেয়া না হয় তাহলে ভবিষ্যতে মানুষের দুর্ভোগ বাড়বে। তথ্যমন্ত্রীর প্রস্তাবনার প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম শহরে মেট্রোরেল সার্ভিস চালুর ব্যাপারে আগ্রহ প্রকাশ করেন উপস্থিত সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরও। তিনিও প্রধানমন্ত্রীকে এ বিষয়ে তার আগ্রহের কথা ব্যক্ত করেন।

    মেট্রোরেল প্রকল্পের সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ জানান, ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রামকে অনেক বেশি পছন্দ করেন। তিনি চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নেয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রামের জলজট নিরসন, স্যুয়ারেজ প্রকল্প, বেশ কয়েকটি ফ্লাইওভারসহ অবকাঠামো নির্মাণ ও উন্নয়নে ইতিপূর্বে হাজার হাজার কোটি টাকার প্রকল্প অনুমোদন করেছেন, যার অধিকাংশ বাস্তবায়ন হয়েছে ও হচ্ছে। চট্টগ্রামবাসী এর মধ্যে এসব প্রকল্পের সুফল পাচ্ছেন। মেট্টোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডির উদ্বোধন চট্টগ্রামের প্রতি প্রধানমন্ত্রীর গভীর আন্তরিকতার প্রকাশ এবং নতুন বছরে চট্টগ্রামের জন্য নেত্রীর উপহার।’

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে সর্বাত্মকভাবে এটি আধুনিক ও উন্নত নগরী হিসেবে গড়ে তোলার জন্য দায়িত্ব নেয়ার পর থেকেই প্রধানমন্ত্রী সচেষ্ট রয়েছেন। চট্টগ্রামকে বিশ্বমানের শহরে রূপান্তরে তিনি ইতিমধ্যে সব সেবা সংস্থাকে দিয়ে সুদূরপ্রসারী ও টেকসই অবকাঠামো গড়ে তোলার ওপর জোর দিচ্ছেন। এখন আমরা চট্টগ্রামবাসীর দায়িত্ব হচ্ছে, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আন্তরিকতা ও সদিচ্ছাকে সর্বোচ্চ পর্যায়ে কাজে লাগানো।

     

  • মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তান প্রসব করলেন নারী

    মেট্রোরেল স্টেশনে সন্তান প্রসব করলেন নারী

    ডাক্তারের কাছে যাওযার সময় মেট্রোরেলে প্রসব বেদনা উঠে আগারগাঁও স্টেশনের ফার্স্ট এইড সেন্টারে ছেলে সন্তান প্রসব করেছেন এক নারী। তার নাম সোনিয়া রানী রায়।

    মেট্রোরেলের ভেতর অসুস্থ হয়ে পড়লে রোভার স্কাউট ও মেট্রোরেলের প্রাথমিক প্রতিবিধানকারীর তত্ত্বাবধানে সন্তান প্রসব করেন তিনি।

    বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সকাল পৌনে ৯টার দিকে আগারগাঁও স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে।

    সোনিয়া রানী দাসের স্বামী সুকান্ত সাহা বলেন, আমার স্ত্রী সন্তানসম্ভবা হওয়ায় নিয়মিতই ডাক্তারের কাছে চেকআপ করাতে হত। আজ হাসপাতলে ভর্তি করানোর জন্য বাসা থেকে নিয়ে যাচ্ছিলাম। পরে মেট্রোরেলেই প্রসব বেদনা উঠে। সেসময় মেট্রোরেল স্টেশন কর্তৃপক্ষ এবং রোভার স্কাউটের নারী সদস্যদের সহযোগিতায় সেখানেই বাচ্চা প্রসব হয়। মা এবং ছেলে দুজনেই সুস্থ আছেন। এখন তাদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    মেট্রোরেল স্টেশনে তাৎক্ষণিকভাবে সবাই দেবদূতের মতো সহযোগিতা করেছেন উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে শেষ করতে পারবো না। সবাই তাৎক্ষণিকভাবে প্রচণ্ড রকম সহযোগিতা করেছেন। মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষই আমাকে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। সবার প্রতি আমি অনেক বেশি কৃতজ্ঞ।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএটিসিএল) নর্থ রোডের (লাইন-৫) এডিশনাল প্রজেক্ট ডিরেক্টর আনোয়ারুল হক বলেন, মেট্রোরেলেই ওই নারীর প্রসব বেদনা শুরু হলে আগারগাঁও স্টেশনে নামার পর আমাদের চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে আসা হয়। সেখানে আমাদের সিক বেড রয়েছে। পরে চিকিৎসক এবং রোভার স্কাউটের নারী সদস্যের সহায়তায় তার ছেলে সন্তান প্রসব হয়। তাৎক্ষণিকভাবে ট্রিপল নাইনে ফোন করে অ্যাম্বুলেন্স এনে তাদের নির্ধারিত হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আসলে যেকোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তাৎক্ষণিকভাবে মোকাবিলা করার জন্য আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।

    আগারগাঁও স্টেশনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত রোভার স্কাউট লিডার নূর মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) পক্ষে কাস্টমার ফ্যাসিলেটর অ্যাসিস্ট্যান্ট (সিএফএ) হিসেবে সহযোগিতা করছেন রোভার স্কাউটের প্রশিক্ষিত সদস্যরা। বাংলাদেশ স্কাউটস রোভার অঞ্চল, নৌ অঞ্চল, এয়ার অঞ্চল এবং রেলওয়ে অঞ্চলের রোভার স্কাউট ও রোভার লিডারদের আগেই প্রশিক্ষণ দিয়ে প্রস্তুত করা হয়েছে। এসব প্রশিক্ষিত রোভার স্কাউট সদস্য মানুষের যাত্রা সহজীকরণে প্ল্যাটফর্মে সহযোগিতা করছেন। আজকেও যথারীতি সকালে কাজ শুরুর পর ওই মায়ের প্রসব বেদনা শুরু হলে নারী গার্ল ইন রোভার সদস্যের সহযোগিতায় প্রসব সম্পন্ন হয়েছে। আমরা সব সময় সেবার ব্রত নিয়ে কাজ করি। এই ধারাবাহিকতা আগামী দিনেও অব্যাহত থাকবে।

    গত বছরের ২৮ ডিসেম্বর মেট্রোরেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরদিন ২৯ ডিসেম্বর বাণিজ্যিকভাবে যাত্রা শুরু করে মেট্রোরেল। তখন থেকে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত সরাসরি চলাচল করছে মেট্রোরেল।

    মেট্রোরেলে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ী) স্টেশন থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে উত্তরা; আগারগাঁও থেকে পল্লবী, পল্লবী থেকে আগারগাঁও স্টেশনের ভাড়া ৩০ টাকা। প্রাথমিকভাবে প্রতিদিন সকাল ৮টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত মোট ৪ ঘণ্টা চালানো হচ্ছে দ্রুত গতির এ বাহনটি। তবে আগামী ২৫ জানুয়ারি থেকে মেট্রোরেলের সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন হয়ে চলবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে। ওইদিন থেকে পল্লবী স্টেশনেও থামবে মেট্রোরেল।

  • যাত্রীদের মেট্রোরেলের নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    যাত্রীদের মেট্রোরেলের নির্দেশিকা অনুসরণের আহ্বান প্রধানমন্ত্রীর

    দেশের প্রথম বৈদ্যুতিক ট্রেন আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্মিত হওয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ যাত্রীদের ভ্রমণের সময় মেট্রোরেলের নিয়ম ও নির্দেশনা মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, “সকল যাত্রীর কাছে আমার অনুরোধ ভ্রমণের সময় মেট্রো রেলের নিয়ম ও নির্দেশিকা মেনে চলুন, এটি একটি আধুনিক প্রযুক্তি ভিত্তিক ট্রেন। সুতরাং, প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারে সতর্ক হওয়া উচিত।”

    প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে মেট্রোরেল প্রসঙ্গে তিনি এ আহ্বান জানান।

    তিনি যাত্রীদের মেট্রো রেল পরিষ্কার রাখতে এবং এখানে-ওখানে কোনও আবর্জনা না ফেলতে, বরং প্রত্যেককে ট্রেনে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা ব্যবহার করার আহ্বান জানিয়েছেন।

    তিনি আরও বলেন, এই মেট্রো রেল ডিজিটাল সিস্টেম ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এটি চলতেই থাকবে। সুতরাং, নিয়ম এবং নির্দেশিকা অনুসরণ করে এটি ব্যবহার করুন। প্রত্যেকেরই এটি ব্যবহারের সময় মনে রাখা উচিত।
    বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের মেট্রোরেল প্রকল্প বাস্তবায়নের আগে বিশেষ করে সংসদ ভবন এলাকা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে যেসব চ্যালেঞ্জ দেখা দিয়েছে সে বিষয়েও জানান।

    তিনি বলেন, দেশে বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে সরকার নানা ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে।

    তিনি বলেন, “আমরা যে কোনো কাজে (উন্নয়ন প্রকল্প) যাওয়ার সময় চ্যালেঞ্জের সৃষ্টি হয়েছিল। আমরা সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সেই সমস্ত প্রকল্পগুলি সম্পন্ন করেছি।”

    মেট্রোরেল প্রকল্প সম্পর্কে সরকার প্রধান বলেন, সম্ভাব্যতা সমীক্ষায় প্রাথমিকভাবে বিজয় সরণির মধ্য দিয়ে মেট্রোরেল রুট তৈরি করা হয়েছিল যেখানে আমার ঘোর আপত্তি ছিল।
    “তা হলে আমাদের তেজগাঁও বিমানবন্দর বন্ধ করে দিতে হবে যেটির ৯ হাজার ফুট দীর্ঘ রানওয়ে রয়েছে। একটা তৈরী করা এয়ারপোর্ট সেটা কখনো নষ্ট হোক আমি চাইনি,” তিনি স্মরণ করেন।

    এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ১৯৯৮ সালের বন্যায় কুর্মিটোলা বিমানবন্দর বন্যার পানিতে চলে যাওয়ায় সব ত্রাণসামগ্রী এই বিমানবন্দর দিয়ে এসেছিল। তাছাড়া, এখানে ঘন কুয়াশায় কখনো কখনো বিমান চলাচল ব্যবহৃত হয়, গতকালও সাতটি প্লেন কোলকাতায় চলে যেতে বাধ্য হয়েছে। কিন্তু তেজগাঁও বিমানবন্দরটা কখনো বন্যা কবলিত হয় না এবং এখানে কায়াশার পরিমানটাও খুব কম। কিন্তু এই এয়ারপোর্টাকে বন্ধ করে দিয়ে এখানে হাউজিং নির্মাণের প্রস্তাবও আমাদের অনেক জ্ঞানী-গুণীরা দিয়েছিলেন।

    তিনি আরও বলেন যে সরকার যখন প্ল্যানেটোরিয়ামের জন্য ডিজাইন করেছিল, তখন এর গম্বুজটা অনেক উপরে করার কথা ছিল।

    তিনি যোগ করেছেন “আমরা সেই উচ্চতা কমিয়েছি। যদি উচ্চতা ৬০-৭০ ফুট অতিক্রম করে তবে এটি (তেজগাঁও বিমানবন্দরের) এয়ার ফানেলে পড়ে যাবে। বিমান ওঠানামার জায়গাটা কিন্তু রাখতে হবে।”

    প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে বলেন, যদি পুরানো অ্যালাইনমেন্ট কার্যকর করা হয় তবে সরকারকে ২২টি ভবন ভেঙে ফেলতে হোত এবং সে কারণেই “আমি খামার বাড়ি এলাকা ব্যবহার করে নতুন রুট প্রস্তাব করেছি। যদিও আমাদের আঁতেল শ্রেনীর তীব্র আপত্তি ছিল সংসদ ভবন নাকি ধ্বংস হয়ে যাবে, খেজুর বাগান নষ্ট হবে। তছাড়া, এই খেজুর বাগান আমাদেরই লাগানো ছিল।

    তিনি বলেন, লুই কানের ডিজাইন নিয়ে এসে সে সময় তিনি দেখলেন সংসদ ভবনের পাশে যে দুটি মাঠ রয়েছে তার জায়গা এই ডিজিাইনে পড়েনা। তাছাড়া এই বাগানও নষ্ট হবে না।

    তিনি আরও বলেন, তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কমলাপুর স্টেশন পর্যন্ত মেট্রোরেল রুট সম্প্রসারণ করেছেন।

    “সেই সময়, মেট্রোরেলের জন্য কমলাপুর রেলস্টেশনটি তার বাঁক এবং অবতরণের জায়গার জন্য ভেঙে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছিল,” তিনি যোগ করেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, তিনি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বলেছিলেন যে এত বড় স্টেশন ভেঙে আরেকটি নির্মাণ করা বুদ্ধিমানের কাজ হবে না।

    “আমি তাদের জিজ্ঞাসা করেছি, স্টেশনটিকে অক্ষত রেখে আমরা কীভাবে এটি করতে পারি, প্রয়োজনে মেট্রো রেল স্টেশনের উপর দিয়ে যাবে বা তার বাঁক নেওয়ার জন্য অন্য জায়গা খুঁজে নেবে। এখন, এটি সেইভাবে বাস্তবায়ন করছে,’’ বলেন তিনি ।

    শেখ হাসিনা আরও উল্লেখ করেন যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় মেট্রোরেল প্রকল্পটি বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক পরিবেশ নষ্ট করবে বলে শিক্ষার্থীরা বাধা দিয়েছে।

    তিনি বলেন, ‘আমি তাদের আশ্বস্ত করেছি যে মেট্রো রেলের কারণে তারা কোন ঝামেলার সম্মুখীন হবে না, কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয় এলাকার একটি কোণ দিয়ে যাবে যার কোন শব্দ থাকবে না, স্বয়ংক্রীয় ভাবে চলবে।’

    হলি আর্টিজান (বেকারী) আক্রমণের পরে এটির কাজ বন্ধ করা হয়েছিল যেখানে এই প্রকল্পের সাথে জড়িত সাত জাপানি পরামর্শক নিহত হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেই সময়ে সমস্ত জাপানিরা তাদের স্বদেশে ফিরে গিয়েছিল এবং তিনি নিজে জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের কাছে তাঁর সমবেদনা প্রকাশ করেছিলেন এবং তাঁর জাপান সফরে সাতজন নিহত জাপানি কর্মকর্তার পরিবারের সদস্যদের সাথে দেখা করেছিলেন। তাদের সান্ত¦না দেয়ার পাশাপাশি যা যা করণীয় তাঁর সরকার তা করেছে এবং এরই প্রেক্ষিতে জাপান সরকার তাঁর অনুরোধ বিবেচনায় নেয়।

    তিনি স্মরণ করেন যে এটি আবার কোভিড-১৯ মহামারী চলাকালীন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ‘কিন্তু সেই সময় ভিডিও কনফারেন্সিং সিস্টেম ব্যবহার করে আমাদের প্রকৌশলীরা সঙ্গে মিলে কাজটি ধীরে ধীরে এগিয়ে নিয়ে গেছে,’ তিনি যোগ করেন।

    পদ্মা সেতু নিয়েও নানা ঢালাও সমালোচনা হয়েছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, এই সেতুতে কে উঠবে আর কোথা থেকে এর টাকা উঠবে যারা বলেছিল তাদের বলতে চাই ইতোমধ্যে কয়েকমাসের মধ্যে ৪শ’ কোটি টাকা উঠে গেছে। আসলে প্রত্যেকটা কাজে বাধা দেওয়াটা আমাদের কিছু মানুষের চরিত্র।

    প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবের মত এমন একজন ব্যক্তিত্বকে আততায়ীর গুলিতে নিহত হওয়ায় গভীর দুঃখ প্রকাশ করেন এবং তিনি তাকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন। তিনি মেট্রোরেল বাস্তবায়নে জাপান সরকার, মন্ত্রণালয় এবং স্থানীয় জনগণকেও ধন্যবাদ জানান।

    তিনি বলেন, আজকে তিনি মানুষের মাঝে বিপুল উৎসাহ ও উচ্ছাস দেখছেন এই মেট্রো রেল নিয়ে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, যাত্রী ও হজযাত্রীদের সুবিধার্থে সরকার বিমানবন্দর রেলস্টেশন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার জন্য আধুনিক সুযোগ-সুবিধাসহ একটি আন্ডারপাস নির্মাণ করছে।

    তিনি আরো বলেন, আমরা আন্ডারপাসে বিনা ঝামেলায় চলাচলের জন্য আধুনিক সব সুবিধার ব্যবস্থা করব।

  • প্রথম দিনে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী

    প্রথম দিনে মেট্রোরেলে ভ্রমণ করেছে ৩ হাজার ৮৫৭ যাত্রী

    সাধারণ যাত্রী নিয়ে ঢাকায় মেট্রোরেলের বাণিজ্যিক চলাচল শুরু হওয়ার প্রথম দিনে ৩ হাজার ৮৫৭ জন যাত্রী এতে ভ্রমণ করেছেন। সকাল ৮টা থেকে চালু হয়ে দুপুর ১২টায় বন্ধ হবার আগ পর্যন্ত এই যাত্রীরা মেট্রোরেলসেবা পরিসেবা গ্রহণ করে।

    ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক গণোমাধ্যমকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    সকাল ৮টা থেকে ট্রেন চলার কথা থাকলেও ভোর থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন যাত্রীরা। এই যাত্রীদের কেউ ছিলেন অফিসগামী, কেউবা এসেছিলেন পরিবারসহ। আবার অনেকেরই লক্ষ্য ছিল শুধু মেট্রোরেলে ঘোরা।

    তবে সকাল থেকেই যাত্রীদের অভিযোগ ছিল স্টেশনে যাত্রীদের ঢোকাতে ধীরগতিতে কাজ করছে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষ বলছিল শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এবং যাত্রীদের পুরো ব্যবস্থার সঙ্গে অভ্যস্থ করাতে কিছুটা ধীরে কাজ করা হয়েছে।

    এদিকে খুচরা বা ভাংতি টাকা না থাকায় টিকিট বিক্রীর ভেন্ডীং মেশিনেও দেখা দেয় জটিলতা।

    তবে এসবের মাঝেও পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী দুপুর ১২টার পর আর চলেনি মেট্রোরেল। ফলে মেট্রো রেলে চলার ইচ্ছা অপূর্ণ রেখেই শেষ পর্যন্ত স্টেশন ছাড়তে হয় হাজারো মানুষকে।

  • ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয় : কাদের

    ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয় : কাদের

    অন্যান্য দেশের বিবেচনায় ঢাকার মেট্রোরেলের ভাড়া বেশি নয় বলে মন্তব্য করেছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    বৃহস্পতিবার দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।

    ওবায়দুল কাদের বলেন, এখন রিকশায় উঠলেই তো ন্যূনতম ২০ টাকা ভাড়া দিতে হয়। সুতরাং ঢাকার মেট্রোর ভাড়া তো বেশি নয়।

    তিনি বলেন, ঢাকার মেট্রোরেল আর অন্যান্য দেশের মেট্রোরেল এক নয়। মালয়েশিয়া ও থাইল্যান্ডের চেয়ে ভাড়া বেশি না। সময়ও অনেক বাঁচবে। মতিঝিল থেকে ৩৮ মিনিটে উত্তরা যেতে পারবে। ঢাকার যে অবস্থা সেখানে মাত্র ৩৮ মিনিটে এতোটা পথ চলে যাবে।

    সেতুমন্ত্রী বলেন, ঢাকায় মেট্রোরেল নতুন এসেছে। মানুষকে অভ্যস্ত করতে হবে। এগুলো বাঁকা চোখে দেখার সুযোগ নেই। সেখানে সব অভিজ্ঞ ব্যক্তিরা বসে আছেন। কলকাতার মেট্রো এটা না, এটা অনেক আধুনিক প্রযুক্তিসম্পন্ন।

    তিনি বলেন, ‘টেকনোলজির দিক থেকে অনেক উন্নত আমাদের মেট্রোরেল। মেট্রোরেলে শব্দদূষণ হতে পারে এমন আশঙ্কায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনও করেছে। প্রধানমন্ত্রী শিক্ষকদের সাথে কথা বলেছেন, আমিও কথা বলেছি। তাদের জানিয়েছি, আমাদের মেট্রোরেলে কোনো নয়েজ হবে না। উন্নত প্রযুক্তির কারণে শব্দও হবে না, শিক্ষার্থীদের কোনো সমস্যা হবে না’।

  • মেট্রোরেলে চেপে ১০ মিনিটে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী

    মেট্রোরেলে চেপে ১০ মিনিটে দিয়াবাড়ী থেকে আগারগাঁওয়ে প্রধানমন্ত্রী

    ‘স্বপ্নের’ মেট্রোরেলে চেপে মাত্র ১০ মিনিটে দিয়াবাড়ি থেকে আগারগাঁওয়ে পৌঁছালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ বুধবার উদ্বোধনের পর আনুষ্ঠানিকতা শেষে বোন শেখ রেহানা ও আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা মতিয়া চৌধুরীসহ ২০০ জন অতিথিকে সঙ্গে নিয়ে দিয়াবাড়ী স্টেশন থেকে মেট্রোরেলে ওঠেন তিনি। দুপুর ১টা ৫৩ মিনিটে মেট্রোরেলটি ছেড়ে যায়। ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড বিরতিহীন যাত্রা শেষে আগারগাঁও স্টেশনে থামে।

    আগারগাঁও স্টেশনে নেমে শেখ রেহানাসহ অন্যদের সঙ্গে দাঁড়িয়ে জনতার উদ্দেশে হাত নাড়েন প্রধানমন্ত্রী। এ সময় তাঁদের হাতে মেট্রোরেলের টিকিট দেখা যায়।

    এর আগে প্রথম যাত্রী হিসেবে টিকিট কেটে মেট্রোরেলে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী। বোন শেখ রেহানাও টিকিট কেটে মেট্রোরেলে ওঠেন।

    উত্তরা উত্তর স্টেশনে দুটি ট্রেন ছিল। এর মধ্যে প্রথম ট্রেনটি বেলা ১টা ৩৯ মিনিটে উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী। পরেরটায় যাত্রী হন তিনি।

    এর আগে উত্তরা ১৫ সেক্টরের সি/এ এর মাঠে সুধী সমাবেশে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কোনো আতশবাজির আয়োজন ছিল না।

    বক্তব্য শেষে উত্তরা উত্তর স্টেশন পরিদর্শন করেন শেখ হাসিনা। উদ্বোধন ফলকের পাশে একটি তেঁতুলগাছের চারা রোপণ করেন। এরপর সেখান থেকে প্ল্যাটফর্মে উঠে টিকিট মেশিন ব্যবহার করে টিকিট কেনেন সরকারপ্রধান।

    সেখানে তাঁকে মেট্রোরেল ও প্ল্যাটফর্মগুলো সম্পর্কে ধারণা দেওয়া হয়। তৃতীয় তলার প্ল্যাটফর্মে প্রধানমন্ত্রী সবুজ পতাকা নেড়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের সূচনা করেন। স্মারক হিসাবে সবুজ পতাকায় স্বাক্ষরও করেন তিনি।

  • যাত্রী হয়ে মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রী

    যাত্রী হয়ে মেট্রোরেলে প্রধানমন্ত্রী

    মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর সুধী সমাবেশ শেষে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেলে উঠলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মধ্যে দিয়ে রাজধানীবাসীর দীর্ঘদিনের লালিত স্বপ্নপূরণের পাশাপাশি যোগাযোগব্যবস্থার নতুন অধ্যায় সূচিত হলো।

    বুধবার দুপুরে টিকিট কেটে মন্ত্রী, সচিব, জাইকা ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংশ্লিষ্টদের নিয়ে মেট্রোযাত্রা শুরু করেন প্রধানমন্ত্রী।

    রাজধানীর উত্তরা থেকে প্রথম মেট্রোরেলের যাত্রা শুরু হয়েছে। আগারগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১২ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিচ্ছেন।

    শেখ হাসিনা, তার ছোট বোন শেখ রেহানাসহ পরিবারের ১০ সদস্য এবং মেট্রোরেলে প্রথম এ যাত্রায় তার সফরসঙ্গী হিসেবে আছেন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা, শিক্ষক, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের সদস্য, শ্রমিক, শিশু ও শিক্ষার্থীসহ বিভিন্ন পেশার মানুষ।

    এরআগে প্ল্যাটফর্মে দাঁড়িয়ে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে বাংলাদেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের আনুষ্ঠানিক যাত্রার শুভ সূচনা করেন প্রধানমন্ত্রী। পরে প্রধানমন্ত্রীর জন্য সংরক্ষিত কোচের দরজায় ফিতা কেটে ট্রেনে ওঠেন প্রধানমন্ত্রী।