Tag: মেট্রোরেল

  • মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    রেল দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না, মেট্রোরেল কিভাবে চালানো হবে? শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে। এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলীয় নেতা এসব কথা বলেন।

    রওশন এরশাদ বলেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমরা মাটির ওপর দিয়ে ট্রেন ঠিকমত চালাতে পারি না বলে দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আবার শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে তখন চালাবো কিভাবে? এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য যা প্রয়োজন তাই নিয়ে কথা বলে। বিরোধী দল হিসেবে রাজনীতির ধারা বদলে দিয়েছি। অতীতের বিরোধী দল যা করেনি আমরা তা করেছি। আমরা যে সব কথা বললে জনগণের উপকার হয় সে সব নিয়ে কথা বলেছি।

    তিনি বলেন, যানজট নিরসনে বড় বড় ফ্লাইওভার, এখন মেট্রোরেল তৈরি করা হচ্ছে। এত টাকা খরচ করে এগুলো তৈরি না করে, এই টাকা দিয়ে সারা দেশে শিল্প উন্নয়ন করলে বেকার সমস্যা দূর হত। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে যানজট থাকতো না।

    বিরোধী দলের নেতা বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু, পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আকতারসহ এ পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সবগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আইনমন্ত্রীকে বলেন, দ্রুত বিচার করুন। তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

    রওশন বলেন, কিছু কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হয় আবার কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হলেও সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো শুরুই হয়নি। কিছু কিছু মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যেগুলো সরকার চায় সেগুলো দ্রুত বিচার হয়। আর সরকার যেগুলো চায় না সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসব মামলা দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বিরোধী দলের নেতা বলেন, যখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয় তখন কিছু কিছু ক্লাব ও বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের নেতাদেরও ছাড় দেননি। এসব ক্লাবে ক্যাসিনোর খবর স্থানীয় থানাগুলো কেন দেখেনি। আমি চাইবো শুদ্ধ অভিযান অব্যাহত থাকুক।

    নিরাপদ খাদ্য নিয়ে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো খাবার খাওয়া যায় না। হোটেলগুলো ২০ বছর আগের ঝোল ও ডাল বিক্রি করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নেই। সরকার না চাইলে মানুষ হাজার চেষ্টা করেও নিরাপদ খাদ্য খেতে পারবে না।

    রোহিঙ্গা নিয়ে রওশন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিনের। এখনও হয়নি। কবে এটার সমাধান হবে, কে জানে। তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।

  • ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    ঢাকার পর চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে-ওবায়দুল কাদের

    সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, চট্টগ্রামও মেট্রোরেলের অন্তভুক্ত হবে। বন্দরনগরী চট্টগ্রামবাসীর জন্য এটি একটি সুখবর। রাজধানী ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম মহানগরীতে তিনটি মেট্রোরেল নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। মেট্রোরেলের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শিগগরই শুরু হবে।

    আজ রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রামের আগ্রাবাদের সড়ক ভবনে হাটহাজারী থেকে রাউজান সড়কের চারলেন প্রকল্পসহ সাতটি প্রকল্পের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন। সড়ক ভবনের সম্মেলন কক্ষে ৫ টি প্রকল্পের ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন ও দুটি প্রকল্পের উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের।

    অনুষ্ঠানে মন্ত্রী আরও বলেন, চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চার লেনে উন্নীত করা হবে। মেট্রোরেলের ফিজিবিলিটি স্টাডির জন্য চট্টগ্রামে ইআরডিকে চিঠি দিয়েছি। তাদের দিয়ে ফিজিবিলিটি স্টাডি হবে। শিগরই এ ব্যাপারে প্রক্রিয়া শুরু হবে।

    এসময় ওবায়দুল কাদের নির্মাণাধীন কর্ণফুলি ট্যানেলের ৪৮ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানান। বলেন, অবকাঠামো উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী নিজেই ট্যানেলের নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করে গেছেন। তার সঙ্গে আমিও ছিলাম। এই টানেলের কাজ শেষ হলে পাল্টে যাবে চট্টগ্রাম।

    তিনি বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন- চট্টগ্রামের মেট্রোরেল বা এমআরটি লাইনের ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করার জন্য। তার নির্দেশনা অনুযায়ী আমি মন্ত্রণালয়ের সচিব ও মেট্রোরেলের সাথে যারা জড়িত, তাদের বলেছি অবিলম্বে ফিজিবিলিটি স্টাডি শুরু করতে হবে।

    উল্লেখ্য-প্রস্তাবিত মেট্রোরেল প্রকল্পে তিনটি এমআরটি লাইন করার কথা বলা হয়েছে। এর মধ্যে কালুরঘাট থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত এমআরটি লাইন-১ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ২৬ কিলোমিটার (২০টি স্টেশন), সিটি গেট থেকে নিমতলা হয়ে শাহ আমানত সেতুর গোল চত্বর পর্যন্ত লাইন-২ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৩ কিলোমিটার (১২টি স্টেশন) এবং অক্সিজেন থেকে ফিরিঙ্গিবাজার ও পাঁচলাইশ থেকে একেখান পর্যন্ত লাইন-৩ এর দৈর্ঘ্য হবে সাড়ে ১৪ কিলোমিটার (স্টেশন ১৫টি)। প্রায় ১ হাজার ৫শ ৪৫ কোটি টাকা সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে প্রস্তাবে।

    ৫২৪ কোটি টাকা ব্যয়ে মন্ত্রী যে নতুন ৭টি প্রকল্প কাজের উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্থর স্থাপন করেছেন সে প্রকল্পগুলোর মধ্যে রয়েছে ৪৫৮ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি জাতীয় মহাসড়ক (এন-১০৬) হাটহাজারী থেকে রাউজান পর্যন্ত ৪ লেনের প্রকল্প কাজ।

    ১ কোটি টাকা ব্যয়ে ফটিকছড়ি সড়ক উপ-বিভাগ অফিস কাম পরিদর্শন বাংলো নির্মাণ, শাহ আমানত সেতুর ইলেকট্রনিক্স টোল সিস্টেম ও ওজন স্কেলের কার্যক্রম।

    ৫ কোটি টাকা ব্যয়ে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই আঞ্চলিক মহাসড়কের ৪৪তম কিলোমিটারে ৩১ দশমিক ৮২ মিটার দীর্ঘ পিসি গার্ডার সেতু প্রকল্প, সীতাকুণ্ডের বড় দারোগারহাট ওজন স্কেলের নবনির্মিত ৫ম লেনের কার্যক্রম।

    প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে মইজ্জারটেক-বিএফডিসি-মৎসবন্দর ফেরিঘাট সড়কে ২টি পিসি গার্ডার সেতুর পুনঃনির্মাণসহ এক কিলোমিটার থেকে ৫ কিলোমিটার পর্যন্ত সেতু মজবুতকরণ, সম্প্রসারণ ও নতুন সড়ক নির্মাণ কাজ প্রকল্প এবং প্রায় ৩০ কোটি টাকা ব্যয়ে কাশিমপুর-রেলওয়ে স্টেশন-বাগিচারহাট সড়কের চেইনেজ: ০+০০০ থেকে ১০+০০০০ কিলোমিটার পর্যন্ত ফ্লেক্সিবল পেভমেন্ট ও রিজিড পেভমেন্ট দ্বারা মান উন্নতীকরণ প্রকল্প।

  • নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    নতুন দুই মেট্রোরেলসহ ১০ প্রকল্প একনেকে অনুমোদন

    মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্পসহ মোট ১০টি প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক)।

    মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে একনেক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে এসব প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।

    মেট্রোরেল দুটির বেশিরভাগ অংশই মাটির নিচ দিয়ে যাবে। ১০ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় এক লাখ ২৫ হাজার ২৩ কোটি টাকা। এর মধ্যে সরকার দেবে ৩০ হাজার ৪৬৬ কোটি, সংস্থার নিজস্ব অর্থায়ন ৫১৫ কোটি ৮৪ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৬৯ হাজার ৪৩ কোটি ৩৭ লাখ টাকা। মোট টাকার মধ্যে দুই মেট্রোরেল প্রকল্পেই ব্যয় ধরা হয়েছে ৯৩ হাজার ৭৯৯ কোটি ৯৮ লাখ টাকা।

    মেট্রোরেলের এই দুই প্রকল্পসহ মোট তিনটি প্রকল্প একনেক সভায় অনুমোদন পেল। প্রথমে অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেল প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (এমআরটি লাইন- ৬)’ প্রকল্প। আজ অনুমোদন পাওয়া নতুন দুই প্রকল্পের নাম ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-১)’ এবং ‘ঢাকা ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট (লাইন-৫): নর্দান রুট’ প্রকল্প।

    এছাড়াও অনুমোদন পাওয়া ৮ প্রকল্প হলো- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের ‘ডোমার-চিলাহাটি-ভাউলাগঞ্জ (জেড-৫৭০৬), ডোমার(বোড়াগাড়ী)-জলঢাকা-(ভাদুরদরগাহ) (জেড-৫৭০৪) এবং জলঢাকা-ভাদুরদরগাহ-ডিমলা (জেড-৫৭০৩) জেলা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ’ ও ‘কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ-চামড়াঘাট জেলা মহাসড়ক যথাযথ মানে উন্নীতকরণসহ ছয়না-যশোদল-চৌদ্দশত বাজার সংযোগ সড়ক নির্মাণ’ প্রকল্প; স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের ‘গৃহায়ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন অবকাঠামো উন্নয়ন (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প’, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের ‘ঢাকাস্থ মিরপুর পাইকপাড়ায় সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য বহুতল আবাসিক ফ্ল্যাট নির্মাণ’ ও ‘ঢাকার আজিমপুরে বিচারকদের জন্য বহুতল ভবন নির্মাণ (প্রথম সংশোধন) প্রকল্প; পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘ইরিগেশন ম্যানেজমেন্ট ইনম্প্রুভমেন্ট প্রজেক্ট ফর মুহুরী ইরিগেশন প্রজেক্ট (দ্বিতীয় সংশোধন) প্রকল্প এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব নিরসনে সিলেট বন বিভাগে পুনঃবনায়ন ও অবকাঠামো উন্নয়ন’ প্রকল্প।

    নতুন মেট্রারেল প্রকল্প:
    লাইন-১ এর আওতায় মোট ৩১ দশমিক ২৪১ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে বিমানবন্দর থেকে কমলাপুর পর্যন্ত ১৬ দশমিক ২১৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল এবং কুড়িল থেকে পূর্বাচল ডিপো পর্যন্ত ১১ দশমিক ৩৬৯ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল হবে।

    লাইন-৫ এর আওতায় ২০ কিলোমিটার মেট্রোরেল নির্মাণ করা হবে। এর মধ্যে হেমায়েতপুর থেকে আমিনবাজার পর্যন্ত ৬ দশমিক ৫ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল এবং আমিনবাজার থেকে ভাটারা পর্যন্ত ১৩ দশমিক ৫ কিলোমিটার পাতাল (আন্ডারগ্রাউন্ড) মেট্রোরেল হবে।

    আর এমআরটি লাইন-৬ রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল সিটি সেন্টার পর্যন্ত ২০ দশমিক ১০ কিলোমিটার এলিভেটেড মেট্রোরেল নির্মাণকাজ চলমান। লাইন-৬ প্রকল্পে ২১ হাজার ৯৮৫ কোটি সাত লাখ ২১ হাজার টাকা খরচ করা হচ্ছে। এর মধ্যে সরকার দিচ্ছে পাঁচ হাজার ৩৯০ কোটি ৪৮ লাখ এবং জাইকা দিচ্ছে ১৬ হাজার ৫৯৪ কোটি ৫৯ লাখ ২১ হাজার টাকা। ২০১২ সালের জুলাই থেকে ২০২৪ সালের জুনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে।

    প্রথম বা লাইন-৬ প্রকল্পের চেয়ে আজকের একনেক সভায় অনুমোদন পাওয়া মেট্রোরেলের নতুন দুই প্রকল্প বড় ও খরচও অনেক বেশি। তবে লাইন-৬-এ নির্মাণের জন্য ১২ বছর সময় ধরা হলেও এই নতুন দুই প্রকল্পে কম সময় ধরা হয়েছে। এমআরটি লাইন-১ বাস্তবায়নের জন্য সময় ধরা হয়েছে ৭ বছরের কিছু বেশি, অর্থাৎ ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে ২০২৬ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। আর এমআরটি লাইন-৫ নির্মাণের জন্য সময় ধরা হয়েছে সাড়ে ৯ বছর, অর্থাৎ ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২৮ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত।

    এমআরটি লাইন-১ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। এর মধ্যে বাংলাদেশ সরকার দেবে ১৩ হাজার ১১১ কোটি ১১ লাখ এবং বৈদেশিক ঋণ ৩৯ হাজার ৪৫০ কোটি ৩২ লাখ টাকা। আর এমআরটি লাইন-৫ প্রকল্পে মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ৪১ হাজার ২৩৮ কোটি ৫৪ লাখ ৭৭ হাজার টাকা। এর মধ্যে ১২ হাজার ১২১ কোটি ৪৯ লাখ ৬৭ দেবে বাংলাদেশ সরকার এবং ২৯ হাজার ১১৭ কোটি ৫ লাখ ১০ হাজার বৈদেশিক ঋণ।

    সড়ক পরিহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে প্রকল্প দুটি বাস্তবায়ন করবে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। প্রকল্প দুটিতে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) ঋণ প্রদান করছে। প্রথমটিতেও জাইকা ঋণ প্রদান করেছে।

    ১২ শতাংশ ডিসকাউন্ট রেট ধরে প্রকল্পটি দুটির আর্থিক ও অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণ করা হয়েছে। বিশ্লেষণ অনুযায়ী, দুটি প্রকল্পই আর্থিকভাবে লাভজনক নয়। তবে অর্থনৈতিকভাবে লাভজনক।

    এ রকম পরিপ্রেক্ষিতে আর্থিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় না নিয়ে অর্থনৈতিক আয়-ব্যয় বিশ্লেষণের ফল বিবেচনায় নেয়া হয়েছে প্রকল্প দুটির ক্ষেত্রে। আর্থিক ক্ষতি একটি থাকবে দুই হাজার ৪২৪ কোটি ২৬ লাখ টাকা এবং অন্যটিতে ৭ হাজার ৩২৭ কোটি ৯৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা। আর অর্থনিতিক দিক থেকে একটি প্রকল্পে ৯৪৯ কোটি ৯৭ লাখ এবং অন্যটিতে ৫ হাজার ৩০ কোটি ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকা লাভ হবে।