Tag: মেসি

  • মেসির মাথায় অষ্টম মুকুট

    মেসির মাথায় অষ্টম মুকুট

    প্যারিস যে প্রেমের শহর— এটা বোধকরি নতুন করে উপলব্ধি করলেন লিওনেল মেসি। ক্যারিয়ারের পিএসজি অধ্যায়ের কারণে এ সুপারস্টারের কাছে প্যারিস ছিল অস্বস্তির নাম! সোমবার রাতে শহরে পা রেখে ভক্তদের উষ্ণ অভ্যর্থনার পর শেটেলেট থিয়েটারে হাতে তুললেন অষ্টম ব্যালন ডি’অর।

    কাতার বিশ্বকাপ মুঠোভরে দিয়ে গেল আর্জেন্টাইন সুপারস্টারকে। ফুটবলার হিসেবে অমরত্বে সকল শর্ত পূরণের পরও আক্ষেপ ছিল একটা বিশ্বকাপের। তা দূর হয়েছে গেল ডিসেম্বররে। লুসাইল স্টেডিয়ামের স্বপ্নের ট্রফির সঙ্গে গোল্ডেন বলও উঁচিয়ে ধরেছিলেন লিটল জিনিয়াস। ফুটবল ইতিহাসে প্রথম ফুটবলার হিসেবে দুটি বিশ্বকাপে গোল্ডেন বল জিতেছেন মেসি। যা ৩৬ বছর বয়সি তারকাকে ব্যালন ডি’অর জয়ের দৌড়ে এগিয়ে রেখেছিল। এ স্বীকৃতির পথে বড় বাধা ছিলেন ম্যানচেস্টার সিটির হয়ে ট্রেবল জয়ী নরওয়েজিয়ান গোল মেশিন আর্লিং হলান্ড। সে বাধা টপকে পাঁচবার ব্যালন ডি’অর জয়ী ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর সঙ্গে দূরত্বটা বড় করলেন মেসি।

    ২০০৯ সালে প্রথমবারের মতো এ পুরস্কার হাতে তোলার মাধ্যমে রোনালদোর সঙ্গে লড়াইটাও জমিয়ে তোলেন মেসি। পুরস্কার জয়ের দৌড়ে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মেসি ও রোনালদোর মাঝে সমতা ছিল। ২০০৮, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৬ ও ২০১৭ সালে জিতেছেন পর্তুগিজ সুপারস্টার। ২০০৯ সালের পর ২০১০, ২০১১, ২০১২, ২০১৫, ২০১৯ ও ২০২১ সালেও পুরস্কার হাতে তোলেন মেসি। ২০০৮ সালের পর থেকে মেসি ও রোনালদোর মাঝে সীমাবদ্ধ হয়ে যাওয়া দ্বৈরথটা লুকা মদ্রিচ ও করিম বেঞ্জেমার কল্যাণে শেষ বলেই মনে করা হচ্ছিল। ২০১৮ সালে পুরস্কার জিতেছেন মদ্রিচ, ২০২২ সালে জিতেছেন করিম বেঞ্জেমা। মেসি সে ধারনাকে ভুল প্রমাণ করলেন।

    গেল কয়েকদিন ধরেই গুঞ্জন ছিল— মেসির হাতেই উঠছে এবারের ব্যালন ডি’অর। শেষপর্যন্ত গুঞ্জনই সত্যি হল। স্পেন ও বার্সেলোনা মিডফিল্ডার আইতানা বনমাতি নারী বিভাগে সেরা ফুটবলারের স্বীকৃতি পেয়েছেন। সেরা স্ট্রাইকার হিসেবে মুলার ট্রফি জিতেছেন আর্লিং হলান্ড। রিয়াল মাদ্রিদ সুপারস্টার জুড বেলিংহাম সেরা তরুণ প্রতিভার স্বীকৃতি হিসেবে কোপা ট্রফি জিতেছেন। বর্ণবাদের বিরুদ্ধে লড়াই করা রিয়াল মাদ্রিদের ব্রাজিলিয়ান উইঙ্গার ভিনিসিউস জুনিয়র সক্রেটিস অ্যাওয়ার্ড জিতেছেন। সেরা গোলরক্ষকের স্বীকৃতি হিসেবে ইয়াসিন ট্রফি জিতেছেন আর্জেন্টিনার এমিলিয়ানো মার্তিনেজ। সেরা ক্লাবের স্বীকৃতি পেয়েছে ম্যানচেস্টার সিটি।

  • মেসির নতুন ঠিকানা ইন্টার মিয়ামি

    মেসির নতুন ঠিকানা ইন্টার মিয়ামি

    শেষ হলো তিন ক্লাবের লড়াই। কয়েক মাস ধরে চলা সেই ম্যারাথনে শেষ পর্যন্ত জিতে নিয়েছে আমেরিকান মেজর সকার (এমএলএস) ক্লাব ইন্টার মিয়ামি। সর্বশেষ কাতার বিশ্বকাপের পর থেকেই পিএসজির আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসির দলবদলের আলোচনা শুরু হয়।

    ক্ষণে ক্ষণে বাঁক নিয়েছে সেই গুঞ্জন। অবশেষে বার্সেলোনা ও সৌদি আরবের আশায় গুড়েবালি করে দিয়ে মিয়ামি মেসিকে দলে ভিড়িয়েছে।

    বুধবার (৭ জুন) সন্ধ্যা নাগাদ স্প্যানিশ সাংবাদিক গিলেম বালাগ মেসিকে নিয়ে প্রথম সেই চমকে দেওয়া খবর দিয়েছিল। তার মতে, সম্প্রতি পিএসজিকে বিদায় বলা এই ফরোয়ার্ড মিয়ামিতে যেতে রাজি হয়েছেন। তবে বাকি ছিল মেসির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা। এবার চূড়ান্তভাবে মিয়ামিতে যোগদানের ঘোষণা দিয়েছেন এই আর্জেন্টাইন অধিনায়ক।

    আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় প্যারিসে স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যম স্পোর্তো ও মুন্দো দেপোর্তিবোকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইন্টার মিয়ামিতে নাম লেখানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন মেসি। বলেন, আমি বার্সেলোনায় ফিরে যাচ্ছি না, আমি ইন্টার মিয়ামিতে যাচ্ছি।

    মেসির দলবদল আলোচনায় ঘুরে ফিরে আসছিল পুরনো ক্লাব বার্সেলোনার নাম। সে প্রসঙ্গে আর্জেন্টাইন মহাতারকা বলেন, আমি সত্যিই ফিরে আসতে চেয়েছিলাম কিন্তু, আমি ছেড়ে যাবার সময় যা অনুভব করেছিলাম তা অনুভব করার পর আবারো একই পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে চাইনি। আমার ভবিষ্যৎ অন্য কারো হাতে ছেড়ে দিতে চাই না।

    মেসি আরও বলেন, ‘শুনেছিলাম, (আমার জন্য) বার্সেলোনাকে খেলোয়াড় বেচতে হবে বা খেলোয়াড়দের বেতন কমাতে হবে। আমি এর ভেতর দিয়ে যেতে চাইনি।’

    তবে মেসির এমন চমক জাগানো সিদ্ধান্তে বার্সেলোনার অবদানও কম নয়। গুঞ্জন রয়েছে, এই আর্জেন্টাইন মহাতারকার সঙ্গে চুক্তির বিষয়ে তার বাবা ও এজেন্ট জর্জ মেসিকে নিশ্চয়তা দিতে পারেনি বার্সা। অন্যদিকে লোভনীয় সব প্রস্তাব নিয়ে সৌদি ক্লাব আল-হিলাল ক্রমাগত যোগাযোগ করে গেলেও, মেসি কাতালান ক্লাবটিকেই এক নম্বরে রেখেছিলেন। কিন্তু আবেগের সেই ঠিকানা অর্থ সঙ্কট ও লা লিগার কঠোর নীতিমালা মিলিয়ে মহাতারকাকে পুনরায় স্প্যানিশ ডেরায় ফেরাতে ব্যর্থ হয়েছে।

  • মেসি ৫ : এস্তোনিয়া ০

    মেসি ৫ : এস্তোনিয়া ০

    মেসি ও আর্জেন্টাইন ভক্তদের অসাধারণ এক রাত। আর্জেন্টিনা ৫-০ গোলে হারিয়েছে এস্তোনিয়াকে। দলের হয়ে পাঁচটি গোলই করেছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলার মেসি।

    ম্যাচের ৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোলের যাত্রা শুরু করেন মেসি। প্রথমার্ধের শেষ মিনিটে করেন আরেক গোল। মেসির জোড়া গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় আর্জেন্টিনা।

    প্রথমার্ধের মতো যে দ্বিতীয়ার্ধও মেসিময় লিখে রেখেছেন বিধাতা তা কে জানত! দ্বিতীয়ার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে নিজের হ্যাট্রিক পূর্ণ করেন মেসি। ৭১-৭৬ মিনিটে করেন আরও দুটি গোল। মেসির অসাধারণ নৈপুণ্যে আর্জেন্টিনা ৫-০ গোলে জেতে।

    দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছে আর্জেন্টিনা। সম্প্রতি ইউরো চ্যাম্পিয়ন ইতালিকে ৩-০ গোলে হারিয়ে ফিনালিসিমা কাপ জেতে দেশটি। সেই ম্যাচে মেসি গোল করালেও নিজে করেননি। সেই কাপ জয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে ফিফা প্রীতি ম্যাচটি মেসিময় হয়ে রইল।

  • ‘ওরা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’, মেসিদের উল্লাস নিয়ে নেইমার

    ‘ওরা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’, মেসিদের উল্লাস নিয়ে নেইমার

    দুই মহাদেশ চ্যাম্পিয়নের প্রথম ও শেষ মহারণ ইতালির জন্য ‘মরণ’ হয়ে উঠল।

    লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে পরশু রাতে লিওনেল মেসি ও আনহেল দি মারিয়ার চোখধাঁধানো আলোয় মেরেকেটে বেরিয়ে গেল ম্যারাডোনার দেশ। একবারের জন্যও মনে হয়নি ইউরোপ ও দক্ষিণ আমেরিকার দুই চ্যাম্পিয়ন দলের দ্বৈরথ এটি।

    ৩-০ গোলে ফাইনালিসিমা জেতার পর মাঠে বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাস করেছে আর্জেন্টিনা ফুটবল দল। ড্রেসিংরুমে গিয়ে এ উল্লাসের মাত্রা আরও বেড়েছে। সেই বাড়তি উচ্ছ্বাসে জড়ানো হয় ব্রাজিল দলকেও।

    ফেসবুক, টুইটার ও ইনস্টাগ্রামে ছড়িয়ে পড়া একটি ভাইরাল ভিডিওতে দেখা গেছে, ব্রাজিলকে খোঁচা মেরে গান গাইছেন আর্জেন্টিনার খেলোয়াড়রা— ‘কী হলো ব্রাজিল? পাঁচবারের চ্যাম্পিয়নরা কি ভয় পেয়ে গেল?’

    ইনস্টাগ্রামে ফুটবল ইজ আর্ট নামের একটি প্রোফাইল থেকে আপলোড করা হয় আর্জেন্টিনার সেই গান গেয়ে উদযাপনের ভিডিও।

    আর্জেন্টিনার ফুটবলারদের এমন উদযাপন ভালো লাগেনি ব্রাজিল ফুটবলের প্রাণভ্রমরা নেইমার জুনিয়রের। পাল্টা খোঁচা দিলেন তিনিও।

    ব্রাজিলকে খুঁচিয়ে আর্জেন্টিনা দলের সেই গানের ভিডিওর কমেন্টে নেইমার লিখলেন – ‘ওরা কি বিশ্বকাপ জিতে গেছে?’

    নেইমারের সেই কমেন্ট মুহূর্তেই ভাইরাল। ব্রাজিল সমর্থকরা লুফে নিয়েছে প্রিয় তারকার মন্তব্যটি।

    এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত ফুটবল ইজ আর্টের সেই ভিডিওতে লাইক পড়েছে ২৮ হাজার ৬৭৬টি। সেখানে নেইমারের সেই মন্তব্যে লাইক পড়েছে ২৮ হাজার ১৯২টি।

  • ‘মেসিকে ৯০ মিনিট আটকে রাখা অসম্ভব’

    ‘মেসিকে ৯০ মিনিট আটকে রাখা অসম্ভব’

    লিওনেল মেসিকে আটকানোই ছিল ম্যানচেস্টার সিটির মূল ভাবনা। কিন্তু লড়াইয়ের মঞ্চে ব্যবধান গড়ে দিলেন আর্জেন্টাইন তারকাই। আক্রমণে এগিয়ে থেকেও কিছুতেই সুযোগ তৈরি করতে পারেনি ম্যান সিটি। ইংলিশ দলটির কোচ বুঝতে পেরেছিলেন, মেসিকে ৯০ মিনিট আটকে রাখা অসম্ভব।

    আগস্টে বার্সেলোনা ছেড়ে পিএসজিতে যোগ দেন মেসি। এর মাঝে কিছুটা সময় চলে গেলেও কিছুতেই জালের দেখা পাচ্ছিলেন না তিনি। এরপর চোটের কারণে খেলা হয়নি দুই ম্যাচ। চোট কাটিয়ে ফিরেই কাল পেয়ে গেলেন তাঁর কাঙ্ক্ষিত গোল। চ্যাম্পিয়নস লিগে শক্তিশালী ম্যান সিটির বিপক্ষে দলকে প্রথম গোল উপহার দিলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড। তাঁর গোলে ম্যান সিটিকে হারিয়েছে পিএসজি।

    মেসির গোলের অপেক্ষা ফুরায় ৭৪ মিনিটে। বল নিয়ে প্রতিপক্ষের ডিফেন্ডার এমেরিক লাপোর্তকে এড়িয়ে ডি-বক্সে এমবাপ্পেকে পাস দেন মেসি। ফরাসি তারকা প্রথম ছোঁয়ায় ফেরত পাঠালেন। এরপর বল ধরে বাঁ পায়ের দুর্দান্ত এক শটে পিএসজিতে নিজের প্রথম গোল করেন মেসি।

    স্কাই স্পোর্টসের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মেসির গোলের পর প্রশংসা করে প্রতিপক্ষ কোচ গার্দিওয়ালা বলেন, ‘(মেসির) গোলটি অসাধারণ ছিল। আমরা জানি পুরো ৯০ মিনিট লিওকে নিয়ন্ত্রণ করা অসম্ভব। কিন্তু ও আজ খুব বেশি বল স্পর্শ করতে পারেনি।’

    বিটি স্পোর্টকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সিটির কোচ আরও বলেন, ‘আমরা বেশ ভালো করেই জানি যে, সে কখন কাটিয়ে ঢুকতে পারে এবং বক্সের কাছে চলে আসলে তাকে আটকানো অসম্ভব হয়ে যায়। আমরা এটা আগে থেকেই জানতাম। আমরা সে বিষয়ে কথাও বলেছিলাম। কিন্তু আমরা এই বিশাল প্রতিভাকে ৯০ মিনিটের জন্য নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনি। আমার জানা মতে একমাত্র বিকল্প ছিল পুরো ৯০ মিনিট গভীর থেকে রক্ষণ আগলে রাখা এবং প্রার্থনা করা। অথবা বল কেড়ে নেওয়া এবং নিজেদের খেলাটি খেলার চেষ্টা করা। আমরা আমাদের খেলা খেলেছি।’

    অন্যদিকে পিএসজিতে গোল পেয়ে খুশি মেসি নিজেও। গোল ডটকমের প্রতিবেদন অনুযায়ী ম্যাচ শেষে মেসি বলেন, ‘একটি দুর্দান্ত প্রতিপক্ষের বিপক্ষে একটি দারুণ রাত ছিল। আমাদের জন্য ম্যাচটি জেতা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। আমি গোল করতে পেরে খুবই খুশি। আমি সম্প্রতি খুব বেশি খেলিনি, এখানে মাত্র একটি ম্যাচ খেলেছি। আমি একটু একটু করে মানিয়ে নিচ্ছি। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে জিততে থাকা।’

    পিএসজি তারকা আরও বলেন, ‘প্রতিটি ম্যাচ দিয়ে আমাদের সম্পর্ক আরও ভালো ও উন্নত হবে। আমাদের সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে যেতে হবে, আমাদের খেলার মাত্রা বাড়াতে হবে। আমাদের জয়ের ধারা চালিয়ে যেতে হবে।’

    এন-কে

  • কোম্যানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন মেসির সতীর্থ জাভি

    কোম্যানের স্থলাভিষিক্ত হতে পারেন মেসির সতীর্থ জাভি

    দিন যত যাচ্ছে, তত বাড়ছে বার্সেলোনার হতাশা। সেই সঙ্গে কোচ রোনাল্ড কোম্যানের সময়ও ঘনিয়ে আসছে। ন্যু ক্যাম্প থেকে তাকে তাড়াতে উঠেপড়ে লেগেছে খোদ সমর্থকরাই। এদিকে প্রেসিডেন্ট লাপোর্তেও আর চাচ্ছেন না কোম্যানকে।

    স্প্যানিশ সংবাদমাধ্যমের খবর, সবশেষ ম্যাচে গ্রানাদার বিপক্ষে ড্র করায় আরও বেশি হতাশ বার্সা প্রেসিডেন্ট লাপোর্তে। তাই যত দ্রুত সম্ভব কোম্যানের জায়গায় নতুন কাউকে চান তিনি। কোম্যানের স্থলাভিষিক্তদের তালিকায় আছেন বার্সারই সাবেক কিংবদন্তি ও মেসির একসময়ের সতীর্থ জাভি হার্নান্দেজ।

    এ ছাড়া তালিকায় বেশ কয়েকজনের নামই শোনা যাচ্ছে। আছেন বেলজিয়ামের কোচ রবার্তো মার্টিনেজ, জার্মানির সাবেক কোচ জোয়াকিম লো। এ ছাড়া য়্যুভেন্তাস থেকে বাদপড়া আন্দ্রে পিরলোর কথাও শোনা যাচ্ছে। তবে সবাইকে ছাপিয়ে সবচেয়ে বেশি শোনা যাচ্ছে জাভির নামই।

    তবে এসব নিয়ে একদমই মাথা ঘামাতে চাইছেন না কোম্যান। বার্সার ডাচ কোচ জানালেন, নিজের ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তিত নন তিনি। কোম্যান মনে করেন, একজন কোচ হিসেবে তার কাজ হলো দল নিয়ে ভাবা।

    এদিকে দিন যত যাচ্ছে তত লাপোর্তে আর কোম্যানের দূরত্ব বাড়ছে। নির্বাচিত হওয়ার আগেই এমন আভাস মিলছিল। কেননা লাপোর্তে চান না সাবেক প্রেসিডেন্ট বার্তোমেউর কোনো চিহ্ন রাখতে। আর কোম্যান বার্তোমেউর আমলের কোচ। সে জন্য ধীরেসুস্থে হলেও তাকে বাদ দিতে মরিয়া ছিলেন লাপোর্তে।

    অন্যদিকে, ‘অপ্রতিরোধ্য, প্রভাবশালী, ধারাবাহিক, উড়ছে, জয়রথ’-এ বিশেষণগুলো এখন আর বার্সেলোনার সঙ্গে যেন কেমন বেমানান। ক্লাবটির সবচেয়ে বড় তারকা মেসির বিদায়ের পরই যেন সব চিত্রনাট্য বদলে গেছে। একের পর এক হার, নয়ত কোনোরকমে ‘ড্র’ করে মান বাঁচানো-বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই ম্যাচের ফলাফলে দেখা যাচ্ছে এই চিত্র। মৌসুম শুরুর পর ৫ ম্যাচে বার্সার জয় মাত্র দুটি। চ্যাম্পিয়নস লিগের ম্যাচেও ফল ছিল হতাশাজনক। বায়ার্নের কাছে হেরেছে ৩-০ গোলে।

    গত মৌসুমে লা লিগায় মেসির কল্যাণে তিন নম্বরে থেকে লিগ শেষ করতে পেরেছিল বার্সেলোনা। কিন্তু এবার তাদের কপালে কি আছে, তা স্বয়ং ফুটবল বিধাতাও জানেন কিনা, কে জানে? টেবিলের তলানির দলগুলোই এখন বার্সার কাছে শক্ত প্রতিপক্ষ।

    এদিকে মেসি চলে যাওয়ার পর দলের বেহাল দশায় কোচ রোনাল্ড কোম্যানও। সবশেষ ম্যাচে সোমবার (২০ সেপ্টেম্বর) খর্বকায় গ্রানাডার বিপক্ষে শেষ মুহূর্তে গোল করে কোনোরকমে ড্র করে মুখ বাঁচিয়েছে বার্সা। তবে এ ম্যাচের পর কোম্যানের বার্সা ভাগ্য আরও নড়বড়ে হয়ে গেছে।

    এন-কে

  • রাতে মাঠে নামছেন মেসিরা, প্রতিপক্ষ লিঁও

    রাতে মাঠে নামছেন মেসিরা, প্রতিপক্ষ লিঁও

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগের বিরতি কাটিয়ে লিগ ওয়ানে মাঠে নামার অপেক্ষায় মেসির প্যারিস সেইন্ট জার্মেই (পিএসজি)। প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিঁও। পার্ক দে প্রিন্সেসে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রোববার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১টায়। এদিকে লা লিগায় ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামবে রিয়াল মাদ্রিদ। ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত ১টায়।

    চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ব্রুগার বিপক্ষে ড্র ছিল অপ্রত্যাশিত। ম্যাচটা এমনভাবে শেষ হবে তা হয়তো ভাবেনি প্যারিস সেইন্ট জার্মেই। এবার তারা ফিরছে লিগ ওয়ানের ম্যাচে। যেখানে প্রতিপক্ষ অলিম্পিক লিঁও।

    পাঁচ ম্যাচের সব ক’টিতেই জিতে টেবিলের শীর্ষে আছে পিএসজি। লিঁও-র বিপক্ষে পরিসংখ্যানও কথা বলছে তাদের পক্ষেই। তাই, ব্রুগার বিপক্ষে ড্রয়ের হতাশা এ ম্যাচ জিতে কাটাতে চায় প্যারিসিয়ানরা।

    পিএসজি কোচ মৌরিসিও পচেত্তিনো বলেন, আগের ম্যাচে আমাদের রক্ষণভাগে দুর্বলতা ছিল। তাই আমরা হেরেছি। এর মানে এই না যে, ভবিষ্যতেও এমনটা হবে। আমরা সামনের ম্যাচগুলোতে ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াব বলে আমার বিশ্বাস।

    রামোসসহ বেশ কিছু ইনজুরি তো আছেই, সঙ্গে দলের তারকা স্ট্রাইকার কিলিয়ান এমবাপ্পের থাকা নিয়েও আছে সংশয়। পিএসজির হয়ে মাঠে নেমে এখন পর্যন্ত গোলের দেখা পাননি লিওনেল মেসি। নেইমারও নেই ছন্দে। তবে, ডি মারিয়া, মেসি আর নেইমাররা জ্বলে উঠলে ম্যাচে নিশ্চিত জয় অপেক্ষা করছে পচেত্তিনোর শিষ্যদের।

    এদিকে স্প্যানিশ লিগে মাঠে নামার অপেক্ষায় রিয়াল মাদ্রিদ। এবার ভ্যালেন্সিয়ার মাঠে আতিথ্য নেবে তারা। টেবিলে দু’দলেরই সমান ১০ পয়েন্ট থাকায় এ ম্যাচে যারাই জিতবে তাদের সামনেই থাকছে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ। তবে, কাজটা অতটা সহজ হবে না লস ব্লাঙ্কোসদের। কারণ ভ্যালেন্সিয়াকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগই নেই তাদের সামনে। কোচও স্বীকার করলেন তাই।

    কার্লো অ্যানচেলত্তি বলেন, ভ্যালেন্সিয়াকে ছোট করে দেখার কোনো সুযোগ নেই। তারা অনেক ভালো একটা দল। সবচেয়ে বড় কথা তারা আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। তাই তাদের বিপক্ষে ম্যাচের আগে আমাদের পূর্ণ প্রস্তুতি নিয়েই মাঠে নামতে হবে।

    মার্সেলো, বেল, টনি ক্রুসদের ইনজুরি সমস্যা এখনও আছে। মেন্ডিকে নিয়ে আছে শঙ্কা। বেনজেমা, হ্যাজার্ডদের নিয়েই তাই জয়ের জন্য ছক কষছেন কোচ অ্যানচেলত্তি।

    এন-কে

  • মেসিহীন বার্সার বড় পরাজয়

    মেসিহীন বার্সার বড় পরাজয়

    মেসিবিহীন বার্সেলোনার মাঠের পারফর্মেন্স হতাশার। তারা উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লীগের প্রথম ম্যাচে বায়ার্ন মিউনিখের কাছে ৩-০ গোলে হেরেছে। জার্মান ক্লাবটির একের পর এক আক্রমণে কোণঠাসা হয়ে পড়ে কাতালানরা।

    মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে ন্যু ক্যাম্পে ই-গ্রুপের এ খেলায় হারের মধ্য দিয়ে চ্যাম্পিয়নস লীগ শুরু করলো বার্সা। ১৯৯৭-৯৮ মৌসুমের পর এবারই প্রথম চ্যাম্পিয়ন্স লিগের প্রথম ম্যাচে হারের স্বাদ পায় তারা।

    বার্সেলোনা গোলের উদ্দেশে পাঁচটি শট নিলেও কোনোটিই ছিল না লক্ষ্যে। বিপরীতে বায়ার্নের ১৭ শটের সাতটি ছিল লক্ষ্যে। ম্যাচের প্রতিটি ধাপে মিউনিখের আধিপত্যের চাপে ছিল বার্সা।

    বায়ার্ন মিউনিখের স্ট্রাইকার রবার্ট লেয়ান্দোস্কি ছিল আজকের মূল খেলোয়ার। সেই মূলত বার্সেলোনাকে এক প্রকারে চেপে ধরেছিল।

    খেলার ৩৩তম মিনিটে মুলারের শট আর ঠেকাতে পারেনি টের স্টেগেন। ডি-বক্সে বল পেয়ে গোলরক্ষককে বোকা বানিয়ে বাঁকানো শটে জাল খুঁজে নেন জার্মান এ ফরোয়ার্ড। কাতালানদের হয়ে সদ্য দলে ভেড়ানো মেম্ফিস ডিপেই ও লুক ডি জং কোনো সুযোগ করতে পারছিলেন না। পিছিয়ে থেকেই প্রথমার্ধ শেষ করে ক্লাবটি।

    বিরতি থেকে ফিরে বায়ার্ন বারবার আক্রমণ করে যাচ্ছিল কাতালানদের। ৫৬তম মিনিটে জার্মান ক্লাবটির স্কোরলাইন দ্বিগুণ করেন লেভানডভস্কি। জামাল মুসিয়ালার শট গোলপোস্টে থেকে ফিরে এলে পরের শটেই বার্সার জাল খুঁজে নেন পোলিশ এ তারকা।

    ৮৫তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ান লেভানদোভস্কি। সের্গে জিনাব্রির শট পোস্টে লেগে ফেরার পর বল ধরে এক ডিফেন্ডারকে এড়িয়ে সব অনিশ্চয়তার ইতি টেনে দেন পোলিশ তারকা। এ নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ৯৭ ম্যাচে তার মোট গোল ৭৫টি।

    জার্মান ক্লাবটির বিপক্ষে এ নিয়ে অষ্টমবার হারল বার্সেলোনা। ১২ বারের মুখোমুখিতে বায়ার্ন জিতেছে ৮ বার, আর বার্সেলোনা ২ বার। বাকি দুটি ম্যাচ ড্র।

    এন-কে

  • রোনালদোকে ছাড়িয়ে সেরা মেসি

    রোনালদোকে ছাড়িয়ে সেরা মেসি

    চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে ছাড়িয়ে সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা লিওনেল মেসি। পেছনে ফেলেছেন নেইমার ও এমবাপ্পেসহ অন্যদেরও।

    বিশ্বজুড়ে ফুটবলভক্তদের কাছে জনপ্রিয় ‘ফিফা ভিডিও’ গেম। এমনকি ফুটবলাররাও অবসর সময়ে এই গেম খেলে সময় কাটান। বছরজুড়ে গেমটির নতুন এডিশন বা সংস্করণের জন্য অপেক্ষায় থাকেন সবাই।

    এদিকে, নতুন সিজন শুরুর আগে গেমটিতে সর্বোচ্চ রেটিংধারী খেলোয়াড়ের তালিকা প্রকাশ করা হয়ে থাকে। যথারীতি এ বছরও ফিফার ভিডিও গেমে সর্বোচ্চ রেটিং নিয়ে শীর্ষে আছেন পিএসজির তারকা লিওনেল মেসি।

    চলতি বছরে ফুটবলের এই মহাবিস্ময়ের রেটিং ৯৩। এছাড়া দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা রবার্ট লিওনডস্কি। যার রেটিং ৯২।

    অন্যদিকে, ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো ৯১ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় অবস্থানে আছেন। তালিকায়, ম্যানচেস্টার সিটির মিডফিল্ডার কেভিন ডি ব্রুইন চতুর্থ এবং পিএসজিতে মেসির সতীর্থ কিলিয়ান এমবাপ্পে পঞ্চম এবং নেইমার ষষ্ঠ অবস্থানে রয়েছেন।

    এদিকে, এ বছরের চলতি সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত বিশ্ব ফুটবলে সেরা পাঁচ গোলমেশিন মেসি, রোনালদো, লিওনডস্কি, হালান্ড, এমবাপ্পে অসংখ্য স্মরণীয় মুহূর্ত উপহার দিয়েছেন ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে। যারা বছরের সর্বোচ্চ গোলদাতার দৌড়েও ভালোমতোই টক্কর দিচ্ছেন একে অপরকে।

    যদিও এবারের মৌসুমে মেসি-রোনালদোকে ছাপিয়ে গোলের দৌড়ে এখন পর্যন্ত শীর্ষে আছেন বায়ার্ন মিউনিখের পোলিশ তারকা ফুটবলার রবার্ট লিওনডস্কি। চলতি বছরে সর্বোচ্চ ৪৫ বার প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন তিনি।

    বুন্দেসলিগার নতুন মৌসুমেও গোলচাকা অব্যাহত আছে পোলিশ এই তারকার, প্রথম চার ম্যাচে এখন পর্যন্ত করেছেন ছয়টি গোল। এছাড়া পোল্যান্ডের হয়ে বিশ্বকাপ বাছাইয়েও একাধিক গোলের দেখা পেয়েছেন। পরের নামটি বুন্দেসলিগারই আরেক ক্লাব বরুশিয়া ডর্টমুন্ডের নরওয়েজিয়ান সেনসেশন আর্লিও হালান্ডের। নরওয়ে ও বরুশিয়ার হয়ে ৩৮ গোল করে তালিকায় দুইয়ে আছেন তিনি। ২১ বছর বয়সী এই তারকা লিগের নতুন মৌসুমের সবশেষ চার ম্যাচেও পাঁচ গোল করেছেন।

    তালিকার তিনে অবস্থান লিওনেল মেসির। বার্সেলোনায় সোনালি সময় পার করে পিএসজিতে গেছেন ক’দিন আগেই। বার্সায় থাকতে গোলবন্যায় ভাসালেও নতুন ক্লাবের হয়ে এ পর্যন্ত এক ম্যাচে মাঠে নামলেও খেলেছেন অর্ধেক সময়েরও কম। আর তাই গোলেরও দেখা পাননি। তবে লাতিন আমেরিকা অঞ্চলের বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে আর্জেন্টিনার হয়ে শেষ ম্যাচে করেছেন হ্যাটট্রিক। এছাড়া এখন পর্যন্ত ক্লাব ও আলবিসেলেস্তেদের জার্সিতে ৩৬ গোল করেছেন।

    মেসির পরেই অবস্থান পিএসজি সতীর্থ ও ফরাসি ফরোয়ার্ড কিলিয়ান এমবাপ্পের। ক্লাব ও জাতীয় দলের হয়ে ৩৩ গোল করে নিজেকে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন ফরাসিদের বিশ্বকাপজয়ী এই সেনসেশন।

    সবশেষ অর্থাৎ পাঁচে অবস্থান পর্তুগিজ তারকা ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর। য়্যুভেন্তাস থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে ফিরে দ্বিতীয় অভিষেকে জোড়া গোল করে রাজকীয় প্রত্যাবর্তন হয়েছে। এছাড়া পর্তুগালের বিশ্বকাপ বাছাইয়েও প্রতিম্যাচেই গোলের দেখা পাচ্ছেন । সবমিলিয়ে এ বছর ক্লাব ও জাতীয় দল জার্সিতে সিআর সেভেনের পাশে জমা হয়েছে ৩১ গোল।

    এন-েকে

  • প্রতি রাতে মেসির হোটেলের ভাড়া ২০ লাখ

    প্রতি রাতে মেসির হোটেলের ভাড়া ২০ লাখ

    একদিন আগেই প্যারিসের ক্লাব পিএসজিতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন সময়ের সেরা তারকা লিওনেল মেসি। গত বুধবার পরিবার নিয়ে প্যারিসে পা রেখেছেন আর্জেন্টাইন তারকা। পিএসজির সঙ্গে চুক্তি সেরে পরিবার নিয়ে প্যারিসের হোটেল লে রয়্যাল মনচিআওতে উঠেছেন মেসি। প্যারিসে বাসা খুঁজে না পাওয়া পর্যন্ত আপাতত কয়েকদিন এই হোটেলেই সময় কাটবে রেকর্ড ছয়বারের বর্ষসেরা ফুটবলারের

    দ্য মিররের খবর অনুযায়ী, লে রয়্যাল মনচিআওতে হোটেলে মেসিকে রাখতে প্রতি রাতে ১৭ হাজার পাউন্ড ভাড়া গুনছে পিএসজি। বাংলাদেশি মুদ্রায় যার পরিমাণ প্রায় ২০ লাখ টাকা।

    অবশ্য প্রতি রাতে ২০ লাখ টাকা দেওয়ার মতোই হোটেলই লে রয়্যাল মনচিআও। প্যারিসের খুব বিখ্যাত হোটেল এটি। যেখানে বিখ্যাত ব্যক্তিরাও প্যারিস ভ্রমণে আসলে থাকেন। সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী উইনস্টন চার্চিল, ওয়াল্ট ডিজনি ও রবার্ট ডি নিরো সহ বহু বিখ্যাত মানুষ এই হোটেলে থেকেছেন। ২০১৭ সালে নেইমার পিএসজিতে আসার পর তাঁকেও এই হোটেলেই রাখা হয়েছে।

    দ্য সান বলছে, পাঁচ তারকা হোটেলটিতে সুইমিং পুল, ব্যক্তিগত সিনেমা হল, ছয়টি রেস্তোরাঁসহ রয়েছে সব ধরনের সুযোগ সুবিধা। লিওনেল মেসি ওই হোটেলের বারান্দা থেকেই হাত নাড়িয়ে নতুন ভক্তদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

    মেসি তাঁর পরিবারসহ এই হোটেলে পা রাখায় হোটেলটির সোশ্যাল মিডিয়ার অনুসারি হু হু করে বাড়ছে। গতকাল হোটেলটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মেসির একটি ভিডিও পোস্ট করা হয়েছে। ওই ভিডিওর পর আরও বাড়ছে হোটেলটির ফলোয়ার।

    দুদশকের বেশি সময় বার্সেলোনায় খেলে অনেক সাফল্য পেয়েছেন লিওনেল মেসি। ১০টি লা লিগা, ৪টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগ এবং ছয়টি কোপা দেল রেসহ মোট ৩৩টি শিরোপা জয় করেছেন, যা বার্সেলোনার ইতিহাসে কোনো খেলোয়াড়ের পক্ষে সর্বোচ্চ। সেই মেসি কাতালান ক্লাবটি ছেড়ে এখন পিএসজিতে। প্যারিসের ক্লাবটির হয়েও সাফল্য পেতে চান, জিততে চান চ্যাম্পিয়নস লিগ।

    গতকাল আজ বুধবার পিএসজিতে প্রথম সংবাদ সম্মেলনে দরুণ সব আশাবাদের কথা শোনান মেসি। আর্জেন্টাইন তারকা বলেন, ‘পিএসজি এই মৌসুমে দুর্দান্ত কিছু খেলোয়াড় দলে এনেছে। গত কয়েক বছর চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার ক্ষেত্রে অনেকদূর এগিয়েছিল তারা। আমি এই ক্লাবে এসেছি এই লক্ষ্য নিয়েই। নিজের সেরাটা দিয়ে আমি পিএসজির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতার চেষ্টা করব। আমার লক্ষ্য আরেকটা চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়, আর আমার মনে হয় আমি সে জন্য আদর্শ জায়গাতেই এসেছি।’

    এন-কে