ঢাকা প্লাটুনের বিপক্ষে আজ বিপিএল ইতিহাসের তৃতীয় সর্বোচ্চ রান করেছিলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। স্কোর বোর্ডে জমা করেছিলো ২২১ রান। শেষপর্যন্ত ম্যাচ হারলেও লড়াই চালিয়েছে ঢাকা। পরে সবমিলিয়ে ৪২৬ রানের শ্বাসরুদ্ধকর ম্যাচে ১৬ রানে জয় পায় চট্টগ্রাম।
চট্টগ্রামের দেওয়া ২২২ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ১ রান করে আউট হয়ে যান ওপেনার এনামুল হক। এরপর জাকের আলীকে নিয়ে ৫২ রানের পার্টনারশিপ গড়েন আরেক ওপেনার মুমিনুল হক। যেখানে জাকেরের ব্যাট থেকে আসে ২৭ রান। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন মুমিনুল। তবে তাকে বেশিক্ষণ সঙ্গ দিতে পারেননি লরি ইভান্স (১৭) ও আসিফ আলী (১৫)। পরে মাত্র ৩৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন মুমিনুল।
অবশ্য ফিফটি পূরণ করার পরে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। ৫২ রান করে নাসির হোসেনের বলে আউট হয়েছেন তিনি। খানিক বাদে শহিদ আফ্রিদিও ৯ রান করে একই পথের সারথি হলে জয়ের আশা একপ্রকার ফিকে হয়ে যায় ঢাকার। তবে শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন অধিনায়ক মাশরাফি মুর্তজা। ইনিংসের ১৬ তম ওভারে নাসিরকে টানা ৩ ছাক্কা ও ১টা চার হাঁকিয়েছেন তিনি। পরের বলেই অবশ্য মাত্র ৫ বলে ২৩ রান করে বিদায় নিতে হয় মাশরাফিকে।
এরপর থিসারা পেরেরার ২৭ বলে ৪৭ রানের অনবদ্য ইনিংসে লড়াই জমিয়ে তুলেছিলো ঢাকা প্লাটুন। তবে নির্ধারিত ওভার শেষে তাদের ইনিংস থামে ২০৫ রানে। ফলে ঘরের মাঠে ১৬ রানের জয় তুলে নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান মজবুত করলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বাহিনী। নিজেদের ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে শুরু থেকেই ঢাকার বোলারদের উপর চড়াও হন লেন্ডল সিমন্স ও আভিস্কা ফানান্দো। উদ্বোধনী জুটিতে দলকে এনে দেন ৫১ রান। আভিস্কা মাত্র ১৩ বলে ২৬ রান করে আউট হওয়ার পর ২৪ বলে ঝড়ো ফিফটি তুলে নেন সিমন্স। পরে ইমরুল কায়েসের সাথে ভুল বুঝাবুঝিতে ৫৭ রানে রান আউটে কাটা পড়েন তিনি। এরপর সাগরিকায় ঝড় তোলেন মাহমুদল্লাহ, হ্যামস্ট্রিং ইনজুরি নিয়েই চার-ছক্কার ফুলঝুরি সাজিয়ে বসেন তিনি।
এদিন কম যাননি ইমরুলও, ২৪ বলে ৪০ রানের অনবদ্য এক ইনিংস খেলেছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। পরে চোটকে সঙ্গী করে মাত্র ২৪ বলে অর্ধশত তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। ৫৯ রান করে সাজঘরে ফেরার আগে ৫টা চারের সাথে ৪টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন তিনি। শেষদিকে ওয়ালটনের অপরাজিত ২৭ রানের সুবাদে ২২১ রানের বিশাল সংগ্রহ পায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। যাতে চলতি বিপিএলে খুলনা টাইগার্সের সর্বোচ্চ দলীয় স্কোরকে (১৯২) টপকে যায় চট্টগ্রাম। একই সাথে এবারের বিপিএল প্রথমবারের মত দেখে ২০০ ছাড়ানো সংগ্রহ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২২১/৪ (২০ ওভার)
মাহমুদউল্লাহ ৫৯, সিমন্স ৫৭, ইমরুল ৪০; মাহমুদ ২/৫৫, সাকিল ১/২৭।
ঢাকা প্লাটুন: ২০৫/১০ (২০ ওভার)
মুমিনুল ৫২, পেরেরা.৪৭, জাকের আলী ২৭; মুক্তার ৩/৪২, উইলিয়ামস ২/৪৮, মেহেদী হাসান ৩/২৩।
ফলাফল: চট্টগ্রাম ১৬ রানে জয়ী।