Tag: মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন

  • যে কোনো জাতির সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার হল শিক্ষা-মেয়র

    যে কোনো জাতির সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার হল শিক্ষা-মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ.জ.ম.নাছির উদ্দীন বলেছেন, যে কোনো জাতির সাফল্যের প্রধান হাতিয়ার হল শিক্ষা। পৃথিবীতে আজকে যে সকল দেশ মাথা উঁচু করে আছে তাঁদের মূল হাতিয়ারই হল শিক্ষা। আর প্রাথমিক শিক্ষা হল যেকোনো শিক্ষার সোপান।

    তিনি বলেন, আর তাই প্রাথমিক শিক্ষার গুনগত মান উন্নতি করনে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকসহ সকলকে এগিয়ে আসতে হবে।

    আজ শনিবার সকালে কাপাসগোলা বালিকা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও মেধা পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিটি মেয়র একথা বলেন।

    বিদ্যালয় পরিচালনা পরিষদের সভাপতি আবুল খায়ের বাচ্চু’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর সাইয়েদ গোলাম হায়দার মিন্টু, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আঞ্জুমান আরা বেগম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, জেলা প্রাথমিক থানা শিক্ষা অফিসার এস আর রাশেদ ও শমিষ্টা রানী মজুমদার, বিদ্যালয় পরিচালনা পর্ষদের কল্যাণ কমিটির সভাপতি লোকমান হাকিম মো. ইব্রাহিম।

    এতে উপস্থিত ছিলেন কাপাসগোলা সিটি কর্পোরেশন মহিলা কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মনোয়ার জাহান, প্রধান শিক্ষক আলাউদ্দিন, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রঞ্জনা সেন, রাজনীতিক হাজী আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, এ কে এম আনিসুজ্জামান, হাজী সেলিমুর রহমান, দেলোয়ার হোসেন ফরহাদ,কায়সার আহমদ, এস এম শহীদুল ইসলাম, সিরাজুল ইসলাম, জামাল আহমেদ, মঞ্জুরুল আনোয়ার চৌধুরীসহ প্রতিষ্ঠান পরিচালনা পর্ষদের সদস্যবৃন্দ শিক্ষক-শিক্ষিকা,অভিভাবকসহ শিক্ষার্থীরা।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, আমরা যারা এদেশের মাটিতে জন্ম নিয়েছি, এ দেশের ইতিহাস সম্পর্কে জানা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব্য। তিনি বলেন, এ প্রজন্মের সন্তানদের প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার পাশাপাশি মূল্যবোধ ও নৈতিকতা শিক্ষা অর্জন অতীব গুরুত্বপূর্ণ।

    তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘পড়াশোনা করে আদর্শ নাগরিক হতে হবে, সৎ, নীতিবান মানুষ হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে। স্কুল এ নিয়মিত আসতে হবে, দুপুরের খাবার বিদ্যালয়ে বসে বন্ধুদের সাথে খেলে পারষ্পারিক সোহার্দপূর্ণ সম্পর্ক বৃদ্ধি এবং পুষ্টিহীনতা রোধের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিক্ষার্থীদের জন্য দুপুরে টিফিন দেয়ার ব্যবস্থা প্রচলন করছেন।

    পরে পিএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ প্রাপ্ত মেধাবী ও বিজয়ী শিক্ষার্থীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিটি মেয়র।

  • বাঙালিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে-আ জ ম নাছির

    বাঙালিকে মেধাশূন্য করার চক্রান্ত এখনো অব্যাহত রয়েছে-আ জ ম নাছির

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ।চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের বিজয়ের ঊষালগ্নে পরাজয় নিশ্চিত হওয়ায় বাঙালিকে মেধা-মনন শূন্য করার পরিকল্পিত ষড়ন্ত্রের নীলনক্শায় রাজাকার আলবদর-আলসামস বুদ্ধিজীবীদের নৃশংসভাবে হত্যা করেছে।

    এই নীলনক্শার প্রধান পরিকল্পকদের বিচারিক কার্যক্রমের মাধ্যমে আদালতের রায়ের ফাঁসির দড়িতে ঝুলিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতিকে দায়মুক্ত করেন। তবে, বাঙালিকে মেধাশূন্য করার জন্য এখনো চক্রান্ত হচ্ছে নতুন প্রজন্মকে বিপথগামী করে তাদের চরিত্র হননের অপচেষ্টা চলছে। এর বিরুদ্ধে নতুন প্রজন্মকে সচেতন করে আমাদের আগামী ও ভবিষ্যতকে নিরাপদ করতে হবে।

    আজ শনিবার ১৪ ডিসেম্বর সকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে শহীদদের উদ্দেশ্যে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদনকালে তাৎক্ষণিক এক জমায়েতে তিনি কথাগুলো বলেন।

    তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার ৪৮ বছর পরও পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর দোসররা কতজন বুদ্ধিজীবীকে হত্যা করেছিল তার সঠিক পরিসংখ্যান এখনো তৈরি হয়নি। তবে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের তালিকা প্রাথমিকভাবে এক হাজারেও বেশি। এর মধ্যে আছেন শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, ডাক্তার, চিকিৎসক এবং প্রকৌশলীরা। এরা আমাদের শ্রেষ্ঠ মানসসম্পদ।

    সরকারের কাছে আহবান জানাই বুদ্ধিজীবী হত্যার সাথে সরাসরি জড়িত এখনো অনেকে বিদেশে পলাতক রয়েছে। তাদেরকে ফিরিয়ে এনে আদালতের রায়ে প্রদত্ত সর্বোচ্চ শাস্তি কার্যকর করা হোক।

    চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী বলেছেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা করেছিল বাংলাদেশের জাতিসত্তার অস্তিত্বকে বিপন্ন করতে। বাঙালি জাতি সশস্ত্র যুদ্ধে যখন বিজয়ের দ্বারপ্রান্তে তখনই ইতিহাসের এই ভয়াবহ হত্যাকা- সংঘঠিত হয়। ঘাতকরা বুঝতে পেরেছিল তারা তাদের অপকর্মে সফল হবেন। কিন্তু ইতিহাসের অমোঘ অপরিহার্য পরিণতি অনুযায়ী তাদের সেই ষড়যন্ত্র হয়নি।

    আমাদের নতুন প্রজন্মকে বুঝাতে হবে-কোন উদ্দেশ্যে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়েছিল। কারণ নতুন প্রজন্মকে পরিকল্পিতভাবে একাত্তরের পরাজিত শক্তি ইতিহাস বিকৃতির মাধ্যমে বিপথগামী করতে চেয়েছিল। আজ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুর্নীতি, অনিয়ম, মাদক ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে যে সাহসী লড়াই অব্যাহত রেখেছেন তার সাথে নতুন প্রজন্মকে সম্পৃক্ত করতে হবে।

    এসময় শহীদ মিনারের পাদদেশে উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব নঈম উদ্দিন চৌধুরী, এড. ইব্রাহিম চৌধুরী বাবুল, আলহাজ্ব খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উপদেষ্টা শেখ মাহমুদ ইসহাক, সাংগঠনিক সম্পাদক নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য আলহাজ্ব শফিকুল ইসলাম ফারুক, এড. শেখ ইফতেখার সায়মুল চৌধুরী, চন্দন ধর, মশিউর রহমান চৌধুরী, আবদুল আহাদ, মানস রক্ষিত, নির্বাহী সদস্য আবুল মনছুর, বখতিয়ার উদ্দিন খান, যুবলীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মাহমুদুল হক, থানা আওয়ামী লীগের আলহাজ্ব ফিরোজ আহমদ, ছিদ্দিক আলম, জাহাঙ্গীর চৌধুরী, সাহাবুদ্দিন আহমেদ, এ এস এম ইসলাম, সুলতান আহমেদ চৌধুরী, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. ইলিয়াছ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সৈয়দ মো. জাকারিয়া, নাজিম উদ্দিন চৌধুরী, মিথুন বড়–য়া, জামাল উদ্দিন, আবদুর সাকুর ফারুকী, আবদুর রহমান, মোজাহেরুল ইসলাম চৌধুরী, সাইফুদ্দিন খালেদ মাসুকসহ সহযোগি সংগঠনের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, আহ্বায়ক ও যুগ্ম আহ্বায়কগণ উপস্থিত ছিলেন।