Tag: মেয়র নির্বাচন

  • চসিক নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন রেজাউল

    চসিক নির্বাচনে আ.লীগের মনোনয়ন পেলেন রেজাউল

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।

    শনিবার রাত গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।

    এছাড়া, সংসদীয় বোর্ডের সভায় জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া ৫টি আসনেও দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন। বাগেরহাট-৪ আসনে অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, যশোর-৬ আসনে শাহীন চাকলাদার, গাইবান্ধা-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং বগুড়া- ১ আসনে প্রয়াত সাংসদ আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।

    চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হতে মোট ১৯ জন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ছিলেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ও আলতাফ হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. এমদাদুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে ও নগর আওয়ামী লীগের সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান।

    আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত পারে। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমকে পরাজিত করে মেয়র হন। যদিও নির্বাচনের দিন বেলা ১১টায় বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মোহাম্মদ মনজুর আলম এবার আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছিলেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি।

    চসিক নির্বাচনেমেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রেজাউল বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষপ্রান্তে এসে নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রামবাসীর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।

  • ঢাকা উত্তরে আতিকের জয়

    ঢাকা উত্তরে আতিকের জয়

    দক্ষিণের মতো ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনেও নৌকা প্রতীকে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম। প্রায় দেড় লাখ ভোটে তিনি হারিয়েছেন বিএনপি প্রার্থী তাবিথ আওয়ালকে।

    শনিবার দিবাগত রাতে সবগুলো কেন্দ্রের ‍ভোট গণনা শেষে তাকে বিজয়ী বলে ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল কাসেম।

    আতিকুল ইসলামের প্রাপ্ত ভোট ৩ লাখ ৭০ হাজার ৬১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপি সমর্থিত তাবিথ আউয়াল ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ১২ হাজার ৫৭৭ ভোট।

    কারচুপির অভিযোগ তুলে এরই মধ্যে নির্বাচন প্রত্যাখ্যান করেছে বিএনপি। প্রতিবাদে রোববার ঢাকায় সকাল-সন্ধ্যা হরতাল আহ্বান করেছে দলটি।

    শনিবার সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়ে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলে ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে ভোটগ্রহণ।

    ঢাকা উত্তর সিটিতে ভোটার ৩০ লাখ ১০ হাজার ২৭৩ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৫ লাখ ৪৯ হাজার ৫৬৭ জন এবং নারী ভোটার ১৪ লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন।

    উত্তরে মেয়র পদে ভোটে লড়েন ৬ জন প্রার্থী। তারা হলেন: আওয়ামী লীগের আতিকুল ইসলাম, বিএনপির তাবিথ আউয়াল, সিপিবির সাজেদুল হক, পিডিপির শাহীন খান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ফজলে বারী মাসউদ এবং এনপিপির আনিসুর রহমান দেওয়ান।

  • মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকার নিয়ে ইশতেহার ঘোষণা তাবিথের

    মশা নিধন ও পরিছন্ন ঢাকা গড়ার অঙ্গীকারসহ ১৯ দফা প্রতিশ্রুতি দিয়ে নির্বাচনী ইশ‌তেহার ঘোষণা করেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে (ডিএনসিসি) বিএনপির মেয়র প্রার্থী তাবিথ আউয়াল।

    সোমবার (২৭ জানুয়ারি) সকালে গুলশা‌নে ইমানুয়্যেলস ব্যাংকুয়েট হলে নির্বাচনী ইশ‌তেহা‌র ঘোষণা করেন তিনি।

    ঘোষিত ১৯ দফার মধ্যে রয়েছে- দূষণমুক্ত, পরিচ্ছন্ন ঢাকা, মশক নিয়ন্ত্রণ, যানজট ব্যবস্থাপনা, গণপরিবহন, সড়ক নিরাপত্তা, অবকাঠামো, স্বাস্থ্যসেবা, নারী শিশু ও প্রতিবন্ধী বান্ধব ঢাকা, নিরাপত্তা ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা, নিরাপদ পানি, নিরাপদ খাদ্য, পাবলিক টয়লেট, ক্ষুদ্র ব্যবসা, ইন্টেলিজেন্ট সিটি অপরাধ দমন ও বিনোদন, আবাসন ও নগর প্রশাসন।

    ইশতেহার ঘোষণাকালে তাবিথ বলেন, ‘এ দফাগুলো বাস্তবায়নে আমি প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। তাই সবার সহযোগিতা কামনা করছি।’

    এসময় তা‌বিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘নগর প্রশাসন ক‌রে নাগ‌রিক সেবা ওয়ার্ড পর্যা‌য়ে বি‌কেন্দ্রীকরণ করা হ‌বে। নগর সরকার ক‌রে মানু‌ষের নিরাপত্তা নি‌শ্চিত করা হ‌বে।’

    ‌তি‌নি ব‌লেন, ‘ঢাকা সি‌টি‌তে মশার উপদ্রপ এক‌টি অন্যতম সমস্যা। বর্তমান সরকার ও মেয়রেরা মশা নিধ‌নে ব্যর্থ হ‌য়ে‌ছে। আমরা নির্বা‌চিত হ‌লে বছরব্যাপী মশা নিধ‌নে কার্যত্রম গ্রহণ কর‌বো। যানজট নিরস‌নে কাজ কর‌বো। বায়ুদূষণ রো‌ধে কার্যকর উদ্যোগ নেবো।’

    ‌নির্বাচিত হলেও বি‌রোধী দ‌লে থে‌কে ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রেত পারবেন কিনা- সাংবা‌দিক‌দের এমন প্রশ্নের জবা‌বে তাবিথ আউয়াল ব‌লেন, ‘জনগণ পা‌শে থাক‌লে ‌বি‌রোধী দ‌লে থে‌কেও ইশতেহার বাস্তবায়ন ক‌রা সম্ভব।’

    ইশতেহার ঘোষণা করে তাবিথ আউয়াল বলেন, ‘সরকার চায় আমরা মাঠ ছেড়ে যাই, সেজন্য সবাইকে ভোটাধিকার প্রয়োগোর আহ্বান জানাচ্ছি। হুমকি ভয়ভীতি ছড়াচ্ছে, ভোটাররা যেনে কেন্দ্রে না যায়। কিন্তু এসব হুমকিতে ভীত হবেন না, ১ ফেব্রুয়ারি নির্ভয়ে সবাই ভোট দিতে যাবেন।’

    মেয়র নির্বাচিত হলে পরবর্তী ৬০ দিনের মধ্যে ডেঙ্গু মহামারি ও ঢাকার দূষণ প্রতিরোধে কার্যকর উদ্যোগ নেবেন বলেও প্রতিশ্রুতি দেন ধানের শীষের এই প্রার্থী।

    তিনি বলেন, ‘আমরা নির্বাচিত হলে বাসা ভাড়া নির্ধারণে, আবাসনের উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে। ব্যাচেলর স্টুডেন্টড হাউজিং, চাকুরিজীবী নারীদের আবাসনের জন্য সুপরিকল্পিত ব্যবস্থা নেয়া হবে। একইসঙ্গে জনগণের ক্ষমতা ব্যবহার করে বিদ্যমান সংকট সমাধান করা হবে।’

    তাবিথ বলেন, ‘বিজয়ী হলে সততা সদিচ্ছা দিয়ে ওয়াসার সাথে সমন্বয় করা হবে। নারীদের জন্য নিরাপদ ঢাকা গড়ে দেয়া হবে। প্রথম দিন থেকেই নগরবাসীকে ২৪ ঘণ্টা সেবাদান করা হবে।’

    ইশতেহার ঘোষণার সময় মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, নজরুল ইসলাম খান, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম, সভাপতি আ স ম আবদুর রব, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ শাহজাহান, আব্দুল আউয়াল মিন্টুসহ ঐক্যফ্রন্ট ও ২০ দলীয় জোটের নেতারা

  • বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই:ইশরাক

    বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই:ইশরাক

    ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেনের প্রচারণায হামলার ঘটনা ঘটেছে। তবে এ ঘটনায় নেতাকর্মীকে বিন্দুমাত্র বিচলিত না হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে ধানের শীষের এই প্রার্থী বলেন, ‘এ ধরনের হামলার ঘটনা ন্যক্কারজনক। ধানের শীষের পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এটি দেখে নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য এধরনের একটা ঘটনা ঘটিয়েছে সরকার।’

    রবিবার (২৬ জানুয়ারি) দুপুরে নিজ বাসার নির্বাচনী কার্যালয়ে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহবান জানান।

    নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে খোকাপুত্র বলেন, ‘আমি নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলতে চাই— আপনারা শান্ত থাকবেন, বিচলিত হওয়ার কোনও কারণ নেই। শুধু নির্বাচনকে বানচাল করার, ভয়-ভীতি দেখানোর, ভোটারদের ভয়-ভীতি প্রদর্শনের একটা অপচেষ্টা। এতে জনগণ বিভ্রান্ত হবে না। আমরা অবশ্যই পহেলা ফেব্রুয়ারি ভোটারদের আহ্বান জানাব— আপনারা নির্ভয়ে কেন্দ্রে যাবেন, এসব ঘটনায় আপনারা বিন্দুমাত্র বিচলিত হবেন না।’

    এই হামলার কারণে পরবর্তীতে কয়দিন আছে, নির্বাচনী প্রচারণায় কোন শঙ্কা বোধ করছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইশরাক হোসেন বলেন, ‘একদমই না। আমি বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান।এর আগেও আমি বলেছি, আমি জীবন দিতে প্রস্তুত। রক্ত ঝরাতে প্রস্তুত। কারণ আমরা জনগণের অধিকারের লড়াইয়ে আছি। সেটার জন্য এই গুলির শব্দে আমি ভয় পাই না। কোন হামলা ভয় পাইনা আমি থাকবো। মরতে হলে আমি মরবো আবারও বলছি সন্ত্রাসী তোমাকে মারতে আসে আমি মাঠ ছেড়ে দেবো না।’

    ইশরাক বলেন, ‘আমরা শান্তিপূর্ণভাবে গণসংযোগ করে বাসায় আসছিলাম। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ড লাভলী চৌধুরী ক্যাম্প থেকে আমরা আসছিলাম। আকস্মিকভাবে আমাদের উপর হামলা চালায়। তিনজন সাংবাদিক ও ৮/১০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নয়া দিগন্তের সাংবাদিক ইকবাল মজুমদার, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান আশরাফুল ইসলাম ও বাংলাভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাপারসন উজ্জ্বল দাস আহত হয়েছেন। আমার উপরে হামলার আশঙ্কা ছিল আমার নেতাকর্মীরা আমাকে সুরক্ষা দিয়েছে।’

    নির্বাচন কমিশনার এর ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘ওখান থেকে যখন চলে আসি তখন কয়েক রাউন্ড গুলি ছোড়া হয়, আমি নিজে গুলির শব্দ শুনতে পাই। আমি একজন মেয়রপ্রার্থী আমি গণসংযোগ করে বাসায় আসছি তখন এই ধরনের একটা হামলা।’

    যখন যে ধরনের হামলা হয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা মেয়র প্রার্থীদের উপরে সেসব বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে লিখিতভাবে জানানো হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কোনো পদক্ষেপই নেয়নি। আমি নিজেই একজন প্রার্থীকে থানা গিয়ে দেখে এসেছি তার মাথা থেকে রক্ত পড়ছে কিন্তু থানা কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। আর কি বলব? আপনারা জানেন যে বাংলাদেশ এখন কি চলছে।’

    একজন মেয়র প্রার্থী হিসেবে যে ধরনের নিরাপত্তা পাওয়ার কথা আপনি সে ধরনের পেয়েছেন কিনা এমন প্রশ্নে ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন জানান, ‘কোন ধরনের নিরাপত্তা পাননি।’

    পুলিশের ভূমিকা সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরে তারা এসেছেন। এর আগেও আমি আপনাদের বলেছি কিছু কিছু থানায় কিছু কিছু কর্মকর্তারা আমাদের সাহায্য করেছেন। কামরাঙ্গীরচরে আজকের মত এরকম একটা ঘটনা ঘটার আশঙ্কা ছিল। সেখানে তারা যথেষ্ট পরিমাণ সুরক্ষা দিয়েছেন। কিন্তু ওয়ারী থানায় ন্যাক্কারজনকভাবে অনেকগুলো ঘটনা ঘটেছে। কাউন্সিলর প্রার্থীর ক্যাম্প পুড়িয়ে দেয়া হয়েছে, আরেক জনের মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়েছে। এই থানার কর্মকর্তা তিনি একেবারেই দায়সারা তিনি কোনকিছুর পরোয়া করেন না। এখানে আমরা একটা ডিফারেন্স দেখতে পাচ্ছি। তাদের কেউ সাহায্য করছে এবং একেবারে কেউ কেউ দলীয় ভূমিকা পালন করছেন।’

    এ ঘটনায় কোনো মামলা করবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমি মামলা করব। আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল আমাদের এতগুলো মানুষ আহত হয়েছে গণমাধ্যমের ভাইয়েরা আহত হয়েছে। মামলা তো করবোই।’

  • সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    সবাই মিলে সবার ঢাকা গড়ার অঙ্গিকার আতিকুলের

    রাজধানী ঢাকাকে সুস্থ, সচল, আধুনিক ও স্মার্ট সিটি হিসেবে গড়ে তোলার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনিত মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম।

    রোববার দুপুরে রাজধানীর একটি হোটেলে আনুষ্ঠানিকভাবে নিজ নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা কালে আতিকুল ইসলাম এ ঘোষণা দেন।

    ইশতেহার প্রকাশ অনুষ্ঠানে আতিকুল ইসলাম জানান, বায়ু দূষণ রোধে চালু করা হবে ইলেক্ট্রিক্যাল বাস। এছাড়া, স্মার্ট বাসস্টপ নির্মাণ, বছরব্যাপী মশা নিধনে আইভিএম পদ্ধতি প্রয়োগ, টেকসই বর্জ্য ব্যবস্থাপনা,জলাবদ্ধতা নিরসন, বাইসাইকেল লেনসহ ৩৮টি প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেন তিনি।

    আওয়ামী লীগে মনোনিত মেয়র প্রার্থী বলেন, নির্বাচিত হলে মেয়রসহ সব কাউন্সিলরের প্রতি বছর সম্পদের হিসাব নেয়া হবে। তাদেরকে জবাবদিহিতার মধ্যে নিয়ে আসা হবে। জবাবদিহীতা নিশ্চিত করতে কাউন্সিলর ও মেয়রকে জনতার মুখোমুখি করা হবে।

    ইশতেহারে ঘোষিত অঙ্গীকার পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা হবে জানিয়ে আতিকুল ইসলাম বলেন, ৪০০ বছরের পুরানো শহর ঢাকা। ১১ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ আজ আলোয় উদ্ভাসিত। উন্নয়ন-অগ্রগতির মহাসড়কে দুর্বার গতিতে এগিয়ে চলবে বাংলাদেশ।

    তিনি বলেন, ঢাকা নগরীর সার্বিক উন্নয়নে আমি কথা দিচ্ছি, আমাকে পুনরায় পূর্ণমেয়াদে নির্বাচিত করলে ঢাকাবাসির সার্বিক লক্ষ্য অর্জনে সাধ্যের সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে তা পুরনের জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করবো।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, সব উন্নয়ন অগ্রগতির সঙ্গে সমন্বয় ঘটিয়ে ঢাকা শহরের প্রতিটি পাড়া-মহল্লার সমস্যার সমাধান করে আগামী দিনে গড়ে তুলবো সবার প্রিয় ঢাকা, যে ঢাকা আপনাদের সবার প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তর নগরবাসির প্রতি আহবান জানিয়ে মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম বলেন, আমি জানি শত সংকট, শত সীমাবদ্ধতা, নাগরিক যন্ত্রণাসহ নানাবিধ সমস্যা আছে এই ঢাকা উত্তর সিটিতে। এই ঢাকা আপনার, আমার ও সকলের। আমাদের একটু সচেতনতা ও কিঞ্চিৎ সহযোগিতা এই নগরীর প্রাপ্য।

    ঢাকা উত্তরে দৃশ্যমান আগামীতে পরিবর্তন আসবেই জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যদি সবাই একটু সচেতন, আন্তরিক ও উদ্যোগী হই, আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রসারিত রাখি এবং শহর বিনির্মাণে অংশ নেই,তাহলে অবশ্যই ঢাকা উত্তর সিটির দৃশ্যমান বদলে যাবে।

    আতিকুল ইসলাম বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় স্বপ্নের ঢাকাকে বাস্তব করতে চলুন আমরা সবাই সামনের দিকে এক সাথে এগিয়ে যাই। আমরা সকলে মিলে মিশে সবার ঢাকা- একটি সুস্থ, সচল ও আধুনিক স্বপ্নের ঢাকা গড়ে তুলি। আমি নগরবাসীর সঙ্গে একত্রিত হয়ে আগামী দিনে ঢাকা নগরবাসির সার্বিক উন্নয়নে কাজ করতে চাই। এটাই আমার অঙ্গীকার। ইশতেহারে আতিকুল ইসলাম ‘সচল ঢাকা’ শিরোনামে ১৩টি, ‘আধুনিক ঢাকা’ শিরোনামে ১২টিসহ মোট ৩৮টি অঙ্গীকার ঘোষনা করেন।

  • সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাপস

    সংসদ থেকে পদত্যাগ করেছেন তাপস

    আসন্ন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচন করার জন্য সংসদ সদস্য পদ ছাড়লেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলে নূর তাপস।

    রবিবার (২৯ ডিসেম্বর) জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি।

    ফজলে নূর তাপসের ব্যক্তিগত সহকারী তারেক শিকদার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তারেক জানান, মেয়র পদে প্রার্থিতার জন্য সংসদ থেকে পদত্যাগের জন্য স্পিকার শিরীন শারমিনের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন তাপস। স্পিকার তার পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।

    এর আগে গতকাল শনিবার রাতে দলীয় সভানেত্রীর সভাপতিত্বে আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফজলে নুর তাপসকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র পদে প্রার্থী করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আজ দলটির সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের দক্ষিণ সিটিতে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী হিসেবে তাপসের নাম ঘোষণা করেন। আইন অনুযায়ী সংসদ সদস্য থেকে মেয়র পদে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সুযোগ নেই।

    ব্যারিস্টার তাপস বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছোট ছেলে। তিনি টানা তিন মেয়াদ ধরে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন।

  • উত্তরে আতিকুল, দক্ষিণে তাপস আ’লীগের প্রার্থী

    উত্তরে আতিকুল, দক্ষিণে তাপস আ’লীগের প্রার্থী

    আসন্ন ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। এতে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে ঢাকা উত্তরে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম। আর দক্ষিণে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকনের পরিবর্তে প্রার্থী করা হয়েছে শেখ ফজলে নূর তাপসকে, যিনি ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য।

    রবিবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে দলীয় প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এছাড়া দুই সিটিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থীদের নামও ঘোষণা করেন দলটির সাধারণ সম্পাদক।

    ঢাকার দুই সিটি নির্বাচনে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্ত করতে গতকাল রাতে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বোর্ড বসলেও কারও নাম ঘোষণা করা হয়নি।

    গতকাল বৈঠক শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা বিচার বিশ্লেষণ করছি, পর্যালোচনা করছি। নেত্রী নিজের সোর্স থেকেও খোঁজ নিচ্ছেন, গোয়েন্দা সংস্থার রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে। সব কিছু বিচার বিশ্লেষণ করতে আমাদের একটু সময় লাগছে। রবিবার সকাল ১১টায় ধানমন্ডিতে সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে উভয় সিটির মেয়র ও কাউন্সিলর পদে যাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে, তাদের নাম ঘোষণা করা হবে।’

    আজ রবিবার নাম ঘোষণা করার নির্ধারিত সময়ের আগেই আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে হাজির হন ঢাকা উত্তরে মেয়র পদে মনোনয়নপ্রত্যাশী আতিকুল ইসলাম ও দক্ষিণের শেখ ফজলে নূর তাপস।

    ধানমন্ডি কার্যালয়ে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতা জানান, প্রার্থীদের নাম ঘোষণার আগেই সকাল সাড়ে ১০টার দিকে নেতাকর্মীদের নিয়ে কার্যালয়ে যান ফজলে নূর তাপস। পরে বেলা পৌনে ১১টার দিকে বিশাল শোডাউন নিয়ে কার্যালয়ে হাজির হন উত্তরের বর্তমান মেয়র আতিকুল ইসলাম।

    এবারও ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে বর্তমান মেয়র সাঈদ খোকন মনোনয়ন প্রত্যাশা করলেও নৌকার টিকিট পাননি। তার সঙ্গে এবার এই সিটিতে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হওয়ার দৌড়ে আরও ছিলেন হাজী মো. সেলিম, আওয়ামী লীগের আইন সস্পাদক আইনজীবী নজিবুল্লাহ হিরু, মুক্তিযোদ্ধা কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক মহাসচিব এমএ রশিদ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি হাজী আবুল হাসনাত, বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি আশরাফ হোসেন সিদ্দিকী এবং শেখ রাসেল জাতীয় শিশু কিশোর পরিষদ ঢাকা মহানগর শাখার উপদেষ্টা মো. নাজমুল হক। শেষ পর্যন্ত শেখ ফজলে নূর তাপসের হাতেই তুলে দেওয়া হয় নৌকার টিকিট।

    বঙ্গবন্ধুর ভাগ্নে শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে ব্যারিস্টার তাপস এখন টানা তৃতীয় মেয়াদে ঢাকা-১০ আসনের সংসদ সদস্য। বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের নেতৃত্বেও আছেন তিনি।

    অন্যদিকে আনিসুল হকের মৃত্যুর পর গত ২৮ ফেব্রুয়ারির উপ-নির্বাচনে জয়ী হয়ে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়রের চেয়ারে বসা গার্মেন্ট ব্যবসায়ী আতিকুল ইসলাম এবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছেন।

    আতিকুল ছাড়াও ঢাকা উত্তরে মেয়র হতে আরও ১১ জন মনোনয়নপত্র তুলেছিলেন। তারা হলেন বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ ওসমানী, ভাষানটেক থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ইয়াদ আলী ফকির, ১৫ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য মো. জামাল ভূইয়া, বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশনের সহ-সভাপতি মো. কুতুবউদ্দিন, আওয়ামী লীগের গ্রীস শাখার সহ-সভাপতি মো. ইদ্রিস আলী মোল্লা, যুবলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সালাউদ্দিন মাহমুদ, আওয়ামী লীগের সাবেক ধর্ম বিষয়ক উপ কমিটির সদস্য জেরিন সুলতানা কান্তা, হেলেন জাহাঙ্গীর, আদম তমিজি হক, যুবলীগ নেতা খায়রুল মজিদ, যুব মহিলা লীগ নেত্রী রেহানা ফরহাদ। শেষমেশ ঢাকা উত্তরে আতিকুলকে দলীয় মনোনয়ন দেয় আওয়ামী লীগ।