চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
শনিবার রাত গণভবনে আওয়ামী লীগের সংসদীয় মনোনয়ন বোর্ড ও স্থানীয় সরকার মনোনয়ন বোর্ডের বৈঠকে এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করা হয়।
এছাড়া, সংসদীয় বোর্ডের সভায় জাতীয় সংসদের শূন্য হওয়া ৫টি আসনেও দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়। ঢাকা-১০ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি শফিউল আলম মহিউদ্দিন। বাগেরহাট-৪ আসনে অ্যাডভোকেট আমিরুল আলম মিলন, যশোর-৬ আসনে শাহীন চাকলাদার, গাইবান্ধা-৩ আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন কৃষক লীগের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক উম্মে কুলসুম স্মৃতি এবং বগুড়া- ১ আসনে প্রয়াত সাংসদ আব্দুল মান্নানের স্ত্রী সাহাদারা মান্নান আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন।
চট্টগ্রাম সিটির মেয়র হতে মোট ১৯ জন দলীয় ফরম সংগ্রহ করেন। এর মধ্যে ছিলেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, নগর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি নুরুল ইসলাম, খোরশেদ আলম ও আলতাফ হোসেন এবং কোষাধ্যক্ষ আবদুচ ছালাম, সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মনজুর আলম, চট্টগ্রাম চেম্বারের সভাপতি মাহবুবুল আলম, সাবেক সেনা কর্মকর্তা মো. এমদাদুল ইসলাম, সাবেক মন্ত্রী জহুর আহমদ চৌধুরীর ছেলে ও নগর আওয়ামী লীগের সদস্য হেলাল উদ্দিন চৌধুরী এবং সাবেক মন্ত্রী নুরুল ইসলামের ছেলে মুজিবুর রহমান।
আগামীকাল রবিবার চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। মার্চের শেষ সপ্তাহে নির্বাচন অনুষ্ঠিত পারে। এর আগে ২০১৫ সালের এপ্রিলে চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই নির্বাচনে চট্টগ্রাম নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মোহাম্মদ মনজুর আলমকে পরাজিত করে মেয়র হন। যদিও নির্বাচনের দিন বেলা ১১টায় বিএনপি–সমর্থিত প্রার্থী মনজুর আলম কারচুপির অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন। মোহাম্মদ মনজুর আলম এবার আওয়ামী লীগের ফরম কিনেছিলেন। তবে তিনি শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি।
চসিক নির্বাচনেমেয়র পদে দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় রেজাউল বলেন, আমার রাজনৈতিক জীবনের শেষপ্রান্তে এসে নেত্রী আমাকে মূল্যায়ন করেছেন। এজন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। চট্টগ্রামবাসীর কাছেও আমি কৃতজ্ঞ।