Tag: মেয়র প্রার্থী

  • মেয়র পদে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭, রানীশংকৈলে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

    মেয়র পদে ঠাকুরগাঁওয়ে ৭, রানীশংকৈলে ১২ প্রার্থীর মনোনয়ন দাখিল

    গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে এই দুইটি পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে। ঠাকুরগাঁও পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে সাত জন মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। এছাড়া সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৫৭ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    রোববার (১৭ জানুয়ারি) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে দলের মনোনীত মেয়র প্রার্থী ছাড়াও আওয়ামী লীগ থেকে তিনজন ও বিএনপি থেকে একজন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন।

    নির্বাচন কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী কেন্দ্রীয় মহিলা লীগের সদস্য আঞ্জুমান আরা বেগম, বিএনপির দলীয় মনোনীত প্রার্থী জেলা বিএনপির অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম শরিফ মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন।

    এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন জেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ আপেল, যুব মহিলা লীগের সভাপতি অধ্যক্ষ তাহমিনা আখতার, জেলা আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক বাবলুর রহমান বাবুল, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন ও ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মনোনীত প্রার্থী আনোয়ার হোসেন।

    পৌরসভার ১১ নম্বর ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে নুর ইসলামের বিপরীতে কোনো প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা না দেওয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনি আবারও কাউন্সিলর নির্বাচিত হতে যাচ্ছেন।

    অন্যদিকে জেলার রানীংকৈল পৌরসভা নির্বাচনে ১২ জন মেয়র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এছাড়া কাউন্সিলর পদে ৩০ জন ও সংরক্ষিত নারী আসনের ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন বলে নিশ্চিত করেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা।

    এ পৌরসভায় আওয়ামীলীগ মনোনীত প্রার্থী মোস্তাফিজুর রহমান (মোস্তাক), বিএনপি মনোনীত প্রার্থী মাহমুদুন্নবী বিশ্বাস পান্না ও জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী আলমগীর হোসেন।

    এছাড়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে বর্তমান মেয়র আলমগীর সরকার, রফিউল ইসলাম, নওরোজ কাউসার কানন, ইস্তেখার আলম, রুকুনুল ইসলাম ডলার, সাধন বসাক, মোখলেসুর রহমান, মোকাররম হোসেন ও আব্দুল খালেক মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

    এ পৌরসভায় মোট ভোটার ১৪ হাজার ৬২৪ জন। তাদের মধ্যে নারী ভোটার ৭ হাজার ৩৬৮ জন ও পুরুষ ভোটার ৭ হাজার ২৮৬ জন।

    আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি চতুর্থ ধাপে এই দুইটি পৌরসভার ভোট অনুষ্ঠিত হবে।

  • লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

    লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে ৪ মেয়র প্রার্থীর মনোনয়নপত্র দাখিল

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : পৌরসভা নির্বাচনে চতুর্থ ধাপে লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি নির্বাচন কমিশনের তফসিল ঘোষণা অনুযায়ী মনোনয়ন দাখিলের শেষ দিন রবিবার। এদিন মেয়র পদে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থিতসহ ৪জন প্রার্থী তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেছেন বলে নির্বাচন অফিস সূত্রে গেছে।

    করোনা পরিস্থিতির ভেতরেও দলবল নিয়ে সকাল সাড়ে ১০টায় বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী শাহেদ আলী পটু ও ১১টায় আওয়ামী লীগের মেজবাহ উদ্দিন মেজু, এরপর জাতীয় পার্টির আলমগীর হোসেন ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আব্দুল্ল্যাহ উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে তাদের মনোনয়ন পত্র দাখিল করেন।

    এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর ও সাধারণ কাউন্সিলর পদের প্রার্থীরাও উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের মনোনয়নপত্র দাখিল করেন বলে জানান উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মো. হেকমত আলী।

    নির্বাচন কর্মকর্তা আরো জানান পৌর নির্বাচনকে কেন্দ্র করে রামগতি পৌরসভায় ভোটারদের মাঝে বিভিন্ন রকম প্রতিক্রিয়া লক্ষ্য করা যায়। তবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী শাহেদ আলী পটু ও স্বতন্ত্র প্রার্থী আলী আব্দুল্লাহ আপন দুই ভাই।

    বিভিন্ন লোকজনের সাথে কথা বলে জানা গেছে আপন দুই ভাই দীর্ঘদিন থেকে পৌর নির্বাচনে লড়বেন বলে জনসংযোগ করে আসছিলেন।

  • বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাতের গাড়ীতে হামলার অভিযোগ

    বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডাঃ শাহাদাতের গাড়ীতে হামলার অভিযোগ

    চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী শাহাদাত হোসেনের গাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। বিএনপি নেতারা হামলার জন্য আওয়ামী লীগ সমর্থিত এক কাউন্সিলর প্রার্থীর অনুসারী যুবলীগের নেতাকর্মীদের দায়ী করেছেন।

    শনিবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে নগরীর হালিশহর থানার ঈদগাহ এলাকায় রূপসা বেকারির সামনে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।

    ২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড থেকে গণসংযোগ শেষ করে ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে যাচ্ছিলেন। ডাঃ শাহাদাত হোসেন ও আবুল হাশেম বক্কর একই গাড়িতে ছিলেন। রূপসা বেকারির সামনে রামপুরের আওয়ামী লীগের কাউন্সিলর প্রার্থী আব্দুস সবুর লিটনের অনুসারী যুবলীগের সন্ত্রাসীরা গাড়িতে ইট-পাথরের টুকরা নিক্ষেপ করে। তারা লাঠি দিয়ে গাড়িতে আঘাত করেছে। তবে গাড়ি থামানোর পর তারা দ্রুত চলে যায়। লাঠিসোঠা নিয়ে ২০-২৫ জন সেখানে আগে থেকেই দাঁড়ানো ছিল। এসময় সেখানে কোনো পুলিশ ছিলনা।

    হামলায় গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হলেও প্রার্থী শাহাদাতসহ প্রচারণায় যাওয়া নেতারা অক্ষত আছেন।

    এদিকে গণসংযোগে হামলাকারীদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মেয়র প্রার্থী ও নগর বিএনপির আহবায়ক শাহাদাত হোসেন।

    গণসংযোগে তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসীরা এখন প্রার্থীদের ওপর হামলা চালানোর দুঃসাহস দেখাচ্ছে। আজ গণসংযোগ করার সময় আমার গাড়িতে হামলা হয়েছে। রামপুর ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগ দলীয় কাউন্সিলর প্রার্থীর সন্ত্রাসীরা অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আমার গাড়ীতে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করেছে। বৃহস্পতিবার রাতে মধ্যম রামপুর বড়পুকুর এলাকায় সরকার দলীয় সন্ত্রাসী সাইফুর রহমান পলাশের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা ধানের শীষের পোস্টার লাগানোর সময় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। এ অবস্থায় ভয়-ভীতিহীন পরিবেশ নির্বাচন করতে হলে সন্ত্রাসীদের গ্রেফতার করতে হবে।’

    শাহাদাত বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা নিজেরা নিজেদের মধ্যে হানাহানি, মারামারি করছে। তাদের গ্রেফতার না করলে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। আমরা কোনো ধরনের হানাহানি, মারামারি চাই না। রাজনৈতিক মামলায় কাউকে হয়রানিও চাই না।’

  • মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

    মোংলায় বিএনপির মেয়র প্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীর ভোট বর্জন

    মোংলা পৌরসভার নির্বাচনে কেন্দ্র দখল, ভোটারদের বাধা, এজেন্টদের বের করে দেওয়াসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে ভোট শুরুর মাত্র দুই ঘণ্টার মাথায় ভোট বর্জন করেছেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থীসহ ১২ কাউন্সিলর প্রার্থী।

    আজ শনিবার সকাল ১০টার দিকে পৌর শহরের মাদ্রাসা রোড এলাকায় নিজ বাড়িতে সংবাদ সম্মেলন ডেকে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী মো. জুলফিকার আলী। এ সময় মেয়র পদপ্রার্থীর সঙ্গে বিএনপি সমর্থিত ১২ কাউন্সিলর প্রার্থীরাও ভোট বর্জন করেন।

    সংবাদ সম্মেলনে মেয়র পদপ্রার্থী জুলফিকার আলী অভিযোগ করেন, ভোট শুরুর সঙ্গে সঙ্গেই প্রতিটি কেন্দ্র দখল করে নেয় আওয়ামী সমর্থকরা। তারা সাধারণ ভোটারদের ভোটদানে বাধা দেয়। এ ছাড়াও প্রকাশ্যে ভোট দিতে বলে। এ ছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে তাঁর এজেন্ট বের করে দেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করেন এই মেয়র পদপ্রার্থী।

    জুলফিকার আলী আরো অভিযোগ করেন, তিনি প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েও পাননি। ভোটের আগের দিন রাতভর তাঁর কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা হামলা ও মারধর করেছে।

    কাউন্সিলর প্রার্থী মো. হোসেন ও আলাউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘ভোটারদের উপস্থিতি ভাল থাকলেও তাঁদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে দেওয়া হয়নি। জোর করে তাঁদের ভোট নেওয়া হয়েছে।’

    অপর কাউন্সিলর পদপ্রার্থী মো. খোরশেদ আলমের দাবি, র‌্যাব ও পুলিশের উপস্থিতিতে তাঁকে বের করে দেওয়া হয়েছে।

    কাউন্সিলর পদপ্রার্থী এমরান হোসেন দাবি করে বলেন, ‘ভোটের অনিয়ম তুলে ধরায় প্রেসক্লাব সভাপতিসহ মিডিয়ার অনেক ভাইকেও লাঞ্ছিত করা হয়েছে।’

    এদিকে এসব অভিযোগের ব্যাপারে আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী শেখ আবদুর রহমান দাবি করেন, শান্তিপূর্ণভাবেই ভোট গ্রহণ করা হচ্ছে।

  • স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    স্বেচ্ছাচারিতার বিপরীতে জবাবদিহিতাপূর্ন পৌরসভা গঠনে সচেষ্ট থাকবো: নির্মলেন্দু চৌধুরী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক ও পৌর নির্বাচনে ‘নৌকা’র প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেছেন, ঐতিহ্যবাহী খাগড়াছড়ি পৌরসভাকে মেয়র রফিক স্বেচ্ছাচারিতা ও অনিয়মের জনগণের আকাঙ্খার সাথে প্রতারণা করেছেন। দফায় দফায় হোল্ডিং ট্যাক্স বাড়ানো হলেও শহরের অধিকাংশ জনগুরুত্বপূর্ন সড়ক অলিগলি চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঠিকাদারদের পাওনা প্রদানে অহেতুক গড়িমসির কারণে সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বেড়েছে। তাই জনবান্ধব পৌরসভা গঠন এবং অংশগ্রহণমূলক নেতৃত্ব গড়ে তুলতে পরিবর্তনের বিকল্প নেই।

    বুধবার দুপুরে খাগড়াছড়ি শহরের নারিকেল বাগান সড়কে জেলা আওয়ামীলীগের নিজস্ব কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।

    সভায় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক ও বর্ষীয়াণ রাজনীতিক বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরা বলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য ও মেয়র রফিকুল আলম কেন্দ্র থেকে দলের মনোনয়ন ফরম কিনে তা জমাও দিয়েছেন। বিভিন্ন মিডিয়ায় দলের প্রতীক পাবার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ভঙ্গিতে সাক্ষাতকারও দিয়েছেন। প্রতীক না পেয়ে তিনি নানারকম মিথ্যাচার করছেন। দলের সভানেত্রী শেখ হাসিনার মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে যেহেতু অবস্থান নিয়েছেন, সেহেতু অতি শিগগির গঠনতন্ত্র অনুযায়ী তাঁর বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য-সচিব ও জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া বলেন, রফিকুল আলম পৌর এলাকায় উন্নয়নের ক্ষেত্রে ব্যাপক বৈষম্যের আশ্রয় নিয়েছেন। নিজের এবং কাছের মানুষদের সুবিধা দিতে উন্নয়ন প্রকল্প গ্রহণ করেছেন। জোর করে মানুষের রেকর্ডিয় জায়গায় সড়ক নির্মাণ করেছেন। কিন্তু কাউকে কোন ক্ষতিপূরণ দেন নি।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান, জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো: দিদারুল আলম ও পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো: শানে আলম, মাটিরাঙা উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং রামগড় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিশ্ব প্রদীপ ত্রিপুরা।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মেয়র প্রার্থী বদিউল আলমের মতবিনিময়

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন নিয়ে সাংবাদিকদের সাথে মেয়র প্রার্থী বদিউল আলমের মতবিনিময়

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বদিউল আলম সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় করেছেন।

    শনিবার বিকেল উপজেলার উত্তর বাজারস্থ চারটায় তার নির্বাচনী কার্যালয়ে উক্ত মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    এসময় মেয়র প্রার্থী বদিউল আলম বলেন, আমি ৫বছর যাবৎ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করেছি। এরপরও পৌরসভার কিছু অসম্পূর্ণ কাজ সম্পন্ন করে পৌরসভার জনগনের জীবনমান উন্নত করার জন্য আবারো প্রার্থী হয়েছি। আমি পৌরসভার উন্নয়নে আরো বেশ কিছু উন্নয়ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। সীতাকুণ্ড কলেজ রোডকে পাহাড়ের প্রাদদেশ ২নং ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা ঢালাই করে পুণঃনির্মাণ করা, সীতাকুণ্ড দৈনিক কাঁচা বাজারকে আধুনিক মার্কেটে পরিনত করা, সীতাকুণ্ড খেলার মাঠকে মিনি স্টেডিয়ামে পরিণত করা, মডেল থানা থেকে পৌরসভা পর্যন্ত বাজারে আগত ক্রেতা-বিক্রেতা ও জনসাধারণ চলাচলের জন্য ওয়ার্ক ওয়ে নির্মাণ করা, পানি নিস্কাশনের জন্য পর্যাপ্ত ড্রেন নির্মাণ এবং বর্জ্য ব্যবস্থাপনার জন্য ডাম্পিং সেট নির্মাণসহ অসমাপ্ত কাজগুলো বাস্তবায়ন করবো।

    তিনি বলেন, ২০১৫ সালে আমি সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে জনগনের ভোটে মেয়র নির্বাচিত হয়ে পূর্বের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে প্রাপ্ত প্রায় ৩৩ কোটি টাকার অব কাঠামো উন্নয়নে রাস্তাঘাট সংস্কারের কার্যকরী ভূমিকা রাখি। যেকোন সময়ের চেয়ে সীতাকুণ্ড পৌরসভা এখন বহু উন্নত ও স্বচ্ছল।

    মতবিনিময় সভায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, কাউন্সিল মাইনুর উদ্দিন মামুন, পৌরসভা আওয়ামীগ নেতা সিরাজদৌলা ছুট্টো, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস আব্দুস সামাদ ও মেয়র বদিউল আলমের বড় পুত্র আইটি বিশেষজ্ঞ মাসুম সামজাদ।

    এসময় সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন প্রেসক্লাবের সভাপতি সুমিত্র চক্রবর্তী, সাবেক সভাপতি স.ম ফোরকান আবু, এম. হেদায়েত উল্লাহ, সাধারণ সম্পাদক লিটন কুমার চৌধুরী, সদস্য কামরুল ইসলাম দুলু এবং হাকিম মোল্লা।

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী

    খাগড়াছড়ি পৌরসভায় আওয়ামী লীগের প্রার্থী নির্মলেন্দু চৌধুরী

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আসন্ন দ্বিতীয় দফা পৌরসভা নির্বাচনে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলায় খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনযন পেয়েছেন নির্মলেন্দু চৌধুরী।

    নির্মলেন্দ চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য।

    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কেন্দ্রে প্রেরিত পৌরসভার মেয়র প্রার্থী হিসেবে যে তিন জনের নাম সুপারিশ করা হয়েছে, তৎন্মধ্যে নির্মলেন্দু চৌধুরীও ছিলেন।

    জেলা কমিটি সুপারিস প্রাপ্ত অপর দুই প্রার্থী হলেন দুই বার নির্বাচিত মেয়র ও প্রস্তাবিত আওয়ামীলীগের জেলা কমিটির সদস্য রফিকুল আলম ও সাবেক যুবলীগ নেতা ও বর্তমানে খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের সদস্য পার্থ ত্রিপুরা।

    শুক্রবার সন্ধ্যায় আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।

    কেন্দ্রের সিদ্ধান্ত খাগড়াছড়ি পৌঁছার সাথে সাথে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠন সমুহের নেতা কর্মীদের মধ্যে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ

  • শনিবার জানা যাবে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী কে? কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন কিনেছেন তিনজন

    শনিবার জানা যাবে খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনে আ’লীগের প্রার্থী কে? কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন কিনেছেন তিনজন

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীসহ সাধারণ মানুষের ব্যাপক কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে। এরিমধ্যে খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে সরকারি দলের জন্য জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত তিন প্রার্থী কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন ফরম কিনেছেন। তাঁরা হলেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী, বর্তমান মেয়র মো: রফিকুল আলম, এবং জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল।

    জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম-সা: সম্পাদক এড. আশুতোষ চাকমা জানিয়েছেন, নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা না করলেও রামগড় ও মাটিরাঙা পৌরসভার জন্যও আগাম প্রার্থী তালিকা প্রেরণ করা হয়েছে। ঢাকায় নমিনেশন বোর্ড চুড়ান্ত একজনের নাম ঘোষণা করবেন।

    জেলা আওয়ামীলীগের একটি সূত্র জানিয়েছেন, রামগড়ের জন্য পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি রফিকুল আলম কামাল, বর্তমান মেয়র কাজী রিপন ও পৌর আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক আব্দুল কাদেরের নাম পাঠানো হয়েছে কেন্দ্রে।

    একইভাবে মাটিরাঙার জন্য বর্তমান মেয়র মো: শামছুল হক, উপজেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি হুমায়ুন মোরশেদ খান এবং তবলছড়ির সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ভূইয়া’র নাম।

    তবে সংক্ষিপ্ত প্রার্থী তালিকায় খাগড়াছড়ি ও রামগড় পৌরসভায় বর্তমান দুই মেয়র মো: রফিকুল আলম ও কাজী রিপন এবং মাটিরাঙায় আবুল কাশেম ভূইয়ার নাম প্রেরণ নিয়ে তিনটি পৌরসভাতেই সরকারি দলের নেতাকর্মীদের মাঝে প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

    খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন এবং রামগড় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তফা হোসেন জানান, যাঁরা দলের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করেও দলের সিদ্ধান্তের বিপরীতে অবস্থান নিয়েছেন। নিজেদের স্বার্থে অহেতুক দলের নেতাকর্মীদের হামলা-মামলার মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন, তাঁরা দলের মনোনয়ন পেলে অতীতের মতো আবারও একই ভূমিকায় অবতীর্ণ হবেন।

    জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মনির হোসেন খান মনে করেন, দলের ঐক্য-শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন; এমন প্রার্থীকে সাধারণ নেতাকর্মীরা মন থেকে ভালোভাবে গ্রহণ করবেন না। তাই যাঁরা মনোনয়ন পাবেন, তাঁদেরকে অবশ্যই সম্মান-ভালোবাসার মাধ্যমে নেতাকর্মীদের মন জয় করতে হবে।

    তরুণ রাজনীতিক ও মেয়র প্রার্থী পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল জানান, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিশেবে ছোটকাল থেকে অসাম্প্রদায়িক রাজনৈতিক ও সামাজিক পরিবেশে বেড়ে উঠেছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিবেচনায় যদি ‘নৌকা’র প্রার্থী হতে পারেন, তাহলে পৌর এলাকার উন্নয়ন-কর্মসংস্থান-নাগরিক সেবা এবং আর্থ-সামাজিকতার ক্ষেত্রে কোন বৈষম্য করা হবে না।

    টানা দুই মেয়াদের সমালোচিত-প্রশংসিত মেয়র মো: রফিকুল আলম ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার আগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সকলকে নিয়েই এগোতে চাই। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা গড়তে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

    জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী জানিয়েছেন, সম্ভাব্য প্রার্থী জীবনবৃত্তান্ত এবং বিগত দিনের কমকান্ডের বিশদ বিবরণসহ প্রতিবেদন পাঠানো হয়েছে। দলের প্রধান অভিভাবক জননেত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশের দলের শৃঙ্খলা পরিপন্থী ক্ষতিক কর্মকান্ডে জড়িতদের বিষয়ে অবগত আছেন। যেহেতু আমি নিজেও একজন প্রার্থী তাই দল যাকে নমিনেশন দেবেন তার পক্ষে সবাই মিলে কাজ করতে হবে।

    খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি এবং প্রতিমন্ত্রী পদ-মর্যাদায় শরণার্থী টাস্কফোর্সের চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি জানান, আমরা কেন্দ্রের নির্দেশনা ও গঠনতন্ত্র মোতাবেক জেলা আওয়াশীলীগের বিশেষ বর্ধিত সভার মাধ্যমেই সংক্ষিপ্ত তালিকা কেন্দ্রে প্রেরণ করেছি। মনোনয়ন দেয়ার চূড়ান্ত দায়িত্ব কেন্দ্রীয় মনোনয়ন বোর্ডের। তবে কেউ যদি ব্যক্তি ও প্রার্থী হিশেবে নিজেকে দলের চেয়ে শক্তিশালী ভাবেন, তাহলে চরম ভুল হবে। দলের সাধারণ নেতাকর্মীরা অতীতেও দলের শৃঙ্খলা বিরোধীদের ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যাখান করেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

    কাল খাগড়াছড়ি পৌর নির্বাচনের প্রার্থী বাছাইয়ে আ’লীগের সভা: চমক দেখতে চান নেতাকর্মীরা

    খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি : আগামী ১৬ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় খাগড়াছড়ি পৌরসভার নির্বাচনে দলের প্রার্থী বাছাইয়ে শনিবার (৫ ডিসেম্বর) নীতি-নির্ধারণী পর্যায়ের সভা ডেকেছে আওয়ামীলীগ।

    গঠনতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতাসীন দলের এই ফোরামটিই যাচাই-বাছাইয়ের পর দলের মনোনয়ন পাবার যোগ্য এমন প্রার্থীদের তালিকা কেন্দ্রে পাঠান। এবং সে তালিকার বাইরে থেকে টপকে ‘নৌকা’ পাবার নজির খুব একটা নেই।

    খাগড়াছড়ি পৌরসভার দুইবারের নির্বাচিত স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম, এবারও নির্বাচন করতে চান। শুধু তাই নয়, তিনি এবার জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটির সদস্য হবার সুবাদে খোদ ‘নৌকা’র প্রার্থী হতেই বেশি আগ্রহী। যদিও আগেরবারের নির্বাচনে তিনি নৌকা প্রতীককে অগ্রাহ্য করেছিলেন। এবার বেশ আগেভাগেই তিনি দলের প্রার্থী হতে জেলা আওয়ামীলীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র বাসায় বড়-ছোট দুই ভাইকে নিয়ে দাবি জানিয়ে এসেছেন।

    এই পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে আওয়ামীলীগের পক্ষ থেকে গ্রহণযোগ্য একজন যোগ্য প্রার্থী বাছাই এবং বিজয়ী করার ব্যাপারে তৎপর হয়ে উঠেছে ক্ষমতাসীন দলটির বড়ো অংশ।

    দলের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাকর্মীরা বলছেন, স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম সমর্থকদের হাতে দলের এমপি থেকে শুরু করে অনেক সিনিয়র নেতা অপমান-অপদস্ত হয়েছেন। হামলা-মামলার শিকার হয়েছেন অসংখ্য নেতাকর্মী। এসব কারণে এবার আওয়ামীলীগের প্রার্থীকে অবশ্যই বিজয়ী করার ব্যাপারে সজাগ নেতাকর্মী ও সমর্থকরা।

    আওয়ামীলীগের প্রার্থী হিসেবে চমক আসার সম্ভাবনাই বেশি দেখছেন তারা। সে হিশেবে খাগড়াছড়ি পৌরসভায় মেয়র প্রার্থী হতে পারেন জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী। দল ও দলের বাইরে একজন সজ্জন ও নম্র নেতা হিশেবে তাঁর দারুণ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।

    তিনি নির্বাচনে প্রার্থী হতে অতটা মরিয়া না হলেও তাঁর প্রার্থীতার গুঞ্জনে পুরো জেলার নেতাকর্মীদের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। তিনি প্রার্থী হতে না চাইলে জেলা আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা বিশিষ্ট আইনজীবি নাসির উদ্দিন আহমেদকে প্রার্থী করানোর ব্যাপারেও সক্রিয় দলের নীতিনির্ধারকরা। এডভোকেট নাসির মানুষ হিশেবে নিরহংকারী ও নাগরিক আন্দোলনের একজন দক্ষ সংগঠক হিশেবে পরিচিত। এই দুইজনের একজন প্রার্থী হলে বিজয়ী হওয়া সহজ হবে। এছাড়া মেয়র পদে সরকারি দলের মনোনয়ন পেতে আগ্রহী রয়েছেন জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি ও সাবেক পৌর চেয়ারম্যান মংক্যচিং চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা রণ বিক্রম ত্রিপুরার ছেলে জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল, সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিশ্বজিৎ রায় দাশ এবং পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন।

    অপরদিকে বর্তমানে স্বতন্ত্র মেয়র রফিকুল আলম আবারও প্রার্থী হবার দৌঁড়ে এগিয়ে রয়েছেন। এই মেয়রকে জেলা আওয়ামীলীগের প্রস্তাবিত কমিটিতে সদস্য করায় হিসেব নিকেশ কিছুটা ব্যত্যয় ঘটতে পারে। তবে বিগত দুই পৌর নির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে অবস্থান করায় তাঁকে নিয়ে আওয়ামীলীগের অভ্যন্তরে বিরোধিতা রয়েছে। সেক্ষেত্রে তাকে আওয়ামীলীগের প্রার্থী করা হবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে।

    এই অবস্থায় প্রথম শ্রেণী (বিশেষ) মর্যাদার পৌর মেয়রের লোভনীয় পদটি ধরে রাখতে মরিয়া খাগড়াছড়ি’র প্রভাবশালী ‘আলম’ পরিবার। দলের নীতি-নির্ধারকদের কাছে যদি শেষতক মেয়র রফিক সায় না পান তাহলে কী হবে, সেটি এখনো পরিস্কার নয়। তবে তাঁকে ছাড়া অন্য যে কাউকেই মেয়র পদে দলের প্রার্থী হিশেবে দেখতে চান, দলের শীর্ষ থেকে তৃণমূল।

    এ প্রতিবেদক সবস্তরের নেতাদের সাথে কথা বলে নিশ্চিত হয়েছেন, মেয়র রফিক তৃতীয়বারেরমাথায় যদি দলের মনোনয়নে মেয়র নির্বাচিত হন, তাহলে তাঁর লাগাম টানা যেমন কঠিন হবে তেমনি দলেও অতীতের মতো বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি হতে পারে। এই পরিস্থিতিতে একটি পক্ষ মেয়র রফিকের চেয়ে তাঁর ছোটভাই মো: দিদারুল আলমকেই উপযুক্ত মনে করছেন। জেলা আওয়ামীলীগের এই সাংগঠনিক সম্পাদক একসময় জেলা ছাত্রলীগের সা: সম্পাদক হিশেবে সুনাম কুড়িয়েছেন। দলের নেতাকর্মীদের কাছে মেয়র রফিকের চেয়ে মো: দিদারুল আলম অপেক্ষাকৃত ভালো অবস্থানে আছেন বলেই মনে হয়েছে।

    খাগড়াছড়ি পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বলেন, যে বা যাঁদের নেতৃত্বে দলের এমপি থেকে শুরু করে তৃণমূলের নেতাকর্মী পর্যন্ত হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের কাছে দলের মেয়র পদ তুলে দিলে পরিণতি যা হবার তাই হবে।
    জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল; তাঁরা কেউই মুখ খুলে প্রার্থীতার জানান দেননি। তাঁরা বলছেন, নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ ইচ্ছের কারণে হয়তো মনোনয়ন চাইতে পারেন তবে দলের সিদ্ধান্তকইে স্বাগত জানাবেন। তবে পৌর এলাকার ছাত্র-যুবদের মাঝে কম সময়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠা পার্থ ত্রিপুরা জুয়েল মনে করেন, এমন প্রার্থীই জয়ী হয়ে আসুক, যিনি অসাম্প্রদায়িক এবং দলীয় শৃঙ্খলার জন্য হুমকি হবেন না।

    দলে আলোচিত-সমালোচিত ‘আলম’ পরিবারের সন্তান মো: দিদারুল আলম বলেন, বড়ো দলে নানা কারণে মতবিরোধ হতে পারে। দিনশেষে আমরা সবাই আওয়ামী পরিবারের সন্তান। দল মনোনয়ন দিলে অবশ্যই জননেতা ও সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র হাতকে শক্তিশালী করতে পারবো। আর মনোনয় না পেলে দলের সিদ্ধান্তের বাইরে যাবো না।

    টানা দুই মেয়াদের সমালোচিত-প্রশংসিত মেয়র মো: রফিকুল আলম ‘নৌকা’ প্রতীক পাবার আগ্রহের কথা স্বীকার করে বলেন, আমি সকলকে নিয়েই এগোতে চাই। অতীতের ভুলভ্রান্তি পেছনে ফেলে সমৃদ্ধ খাগড়াছড়ি পৌর এলাকা গড়তে জেলা আওয়ামীলীগের সম্মানিত নেতাদের সহযোগিতা চেয়েছি।

    জেলা আওয়ামীলীগের সা: সম্পাদক নির্মলেন্দু চৌধুরী বলেন, অতীতের যেকোন সময়ের চেয়ে খাগড়াছড়ি আওয়ামীলীগ অনেক বেশি সংঘঠিক-ঐক্যবদ্ধ। জননেতা কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা’র দূরদর্শী-অসাম্প্রদায়িক নেতৃত্বের কারণে খাগড়াছড়ি পৌরসভাসহ পুরো জেলায় দৃশ্যমান বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছে। এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে কাল (শনিবার) খাগড়াছড়ি পৌরসভা নির্বাচনে দলের প্রার্থী নির্ধারণে গঠনতান্ত্রিক সভার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

    তিনি সিদ্ধান্ত অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে গঠনতন্ত্র অনুযায়ী ব্যবস্থা নেবারও দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/প্রদীপ চৌধুরী

  • সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল

    সীতাকুণ্ড পৌর নির্বাচনে নাগরিক কমিটির প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিল

    কামরুল ইসলাম দুলু : সীতাকু্ণ্ড পৌর নির্বাচনে মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাই শেষে নাগরিক কমিটির মেয়র প্রার্থী জহিরুল ইসলামের মনয়নপত্র অবৈধ ঘোষণা করেছে নির্বাচন কমিশন।

    আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন পৌরসভা নির্বাচনের সহকারি রিটার্ণিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা বুলবুল আহম্মদ।

    তিনি বলেন, জহিরুল ইসলামের দেওয়া ১০০ সমর্থকের তালিকা থেকে দৈবচয়ন করা ৫ জনের মধ্যে একজন অবৈধ সমর্থক পাওয়া যায়। তাই তার মনোনয়ন বাতিল করা হয়।

    একইদিনে ৮ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর পদ প্রার্থী মো. মফিজুর রহামনেরও মনোনয়ন বাতিল হয়। তার শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ সঠিক না থাকায় মনোনয়নও বাতিল করা হয়। নির্বাচন বিধিমালা অনুসারে তার মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে।অপর দুই মেয়র প্রার্থী আওয়ামীলীগ মনোনিত বদিউল আলম ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা আবুল মুনসুরের মনোনয়ন পত্র যাচাই বাছাই শেষে বৈধ বলে ঘোষণা দেন নির্বাচন কমিশন। এদিকে মনোনয়ন পত্র বাতিল বিষয়ে তাৎক্ষণিক সীতাকুণ্ড প্রেসক্লাবে সংবাদ সন্মেলন জহিরুল ইসলাম বলেন, ঠুনকো একটি বিষয়ে ষড়যন্ত্র করে নির্বাচন কমিশন আমার মনোনয়ন বাতিল করেছেন। নির্বাচন কমিশনের রায়ের বিরুদ্ধে আমি আপিল করবো।

  • সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে বিএনপি’র মেয়র প্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আবুল মনসুর

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : আসন্ন সীতাকুণ্ড পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ঘোষণার একদিন পরই নিজেদের প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বিএনপির হয়ে ধানের শীষ প্রতীকে লড়বেন বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল মনসুর। গতবারও তিনি বিএনপির হয়ে লড়েছিলেন।

    সোমবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যায় দলের চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান গণমাধ্যমে এ তালিকা পাঠিয়েছেন।

    সীতাকুণ্ড পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ইউসুফ নিজামী বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘কেন্দ্র থেকে আবুল মুনসুরকে দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তিনি আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতিকে নির্বাচন করবেন।’

    ২৪ ঘণ্টা/দুলু

  • রাউজান পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পারভেজের সমর্থনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভা

    রাউজান পৌর নির্বাচনে মেয়র পদে পারভেজের সমর্থনে মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভা

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : রাউজান পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র প্রার্থী ও রাউজান উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ বলেছেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করতে গিয়ে অনেকবার মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছি। জনগণের দোয়া ও ভালোবাসা ছিল বিধায় আমি এখনো বেঁচে আছি। দলের দুঃসময়ে নিজের জীবনের সর্বোচ্চ ত্যাগ দিয়ে মাঠে থেকেছি। কখনো অপশক্তির কাছে মাথা নত করিনি।

    রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর নির্দেশে করোনা পরিস্থিতিতে সব সময় জীবনের ঝুঁকি উপেক্ষা করে মানুষের জন্য কাজ করেছি। আমি পৌরবাসীর সুখে-দুঃখে সব সময় পাশে ছিলাম। আমি চাই দলের মনোনয়ন নিয়ে নির্বাচনে মেয়র পদে নির্বাচিত হয়ে পৌরবাসীর সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করতে।

    বৃহস্পতিবার (২৬ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রাউজান উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে তার সমর্থনে আয়োজিত রাউজান উপজেলা মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের মতবিনিময় সভায় তিনি এই কথা বলেন।

    মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চে রাউজান উপজেলার সভাপতি বেলাল হোসেন সিফাতের সভাপতিত্বে ও শফিউল হোসাইন সম্রাটের সঞ্চালনায় মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আ.লীগের সিনিয়র-সহ সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জানে আলম জনি, দপ্তর সম্পাদক জসিম উদ্দিন চৌধুরী, উপ দপ্তর সম্পাদক হাসান মোহাম্মদ রাসেল, চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, রাউজান পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ড কমিশনার এ্যাড. সমীর দাশ গুপ্ত, উপজেলা আ.লীগের কার্যনির্বাহী সদস্য, সুপ্রিম কোর্টের সহকারি এটর্নি জেনারেল এ্যাড.অপূর্ব ভট্টাচার্য, রাউজান ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সহ সভাপতি মোজাফ্ফর সালাম মুবিন, রাউজান পৌরসভা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তসলিম উদ্দিন, মুছা আলম খান, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের সহ সভাপতি সারজু মোঃ নাছের, রাউজান উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক মো আলমগীর, বিনাজুরী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল ইসলাম বাচ্চু, রাউজান পৌরসভা যুবলীগের সহ সভাপতি ফরহাদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল হক রোকন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আজাদ খান, উত্তরজেলা ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক সম্পাদক দিপলু দে দীপু, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জিল্লুর রহমান মাসুদ, সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, রাউজান উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি (দ.) জাহেদুল আলম, সাধারণ সম্পাদক মো সালাউদ্দিন, রাউজান পৌরসভা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো আসিফ, রাউজান কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল মাহমুদ, শেখ রাসেল স্মৃতি সংসদের সভাপতি মোঃ এরশাদ।

    অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ, রাউজান উপজেলা সহ সভাপতি মো একরাম,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাবলা বড়ুয়া, মাইকেল বড়ুয়া, অন্তু দে, সাংগঠনিক সম্পাদক সুদীপ্ত দাশ অন্তু, সাইম উদ্দিন শাহ, বাদশা আলম জুয়েল, দপ্তর সম্পাদক রিয়াদ হোসেন অন্তর, জিসান, মো আসিফ, মো আলাউদ্দিন, তওহিদ, কুতুব উদ্দিন, ছাত্রনেতা শাহদাত, রাকিব প্রমুখ।