Tag: মেয়র

  • মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    মসজিদ খুলে দেয়ার ঘোষণা মেয়র জাহাঙ্গীরের

    গাজীপুর সিটি করপোরেশনের যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় আগামী শুক্রবার থেকে সব মসজিদ মুসল্লিদের স্বাভাবিক প্রবেশের জন্য খুলে দেয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র জাহাঙ্গীর আলম।

    আজ মঙ্গলবার এক ভিডিও বার্তায় তিনি এই ঘোষণা দেন।

    মেয়র জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘গাজীপুর জেলা ও সিটি করপোরেশন এলাকায় গার্মেন্ট কারখানা খুলে দেওয়া হয়েছে। কৃষিকাজও চলছে। এছাড়া গাজীপুরের আটটি থানা ও ৫৭ ওয়ার্ডের কোথাও তেমনভাবে করোনা ছড়িয়ে পড়ার ঘটনা ঘটেনি। তাই সামাজিক দূরত্ব মেনে, সামনে চার ফুট ও পাশে দুই ফুট জায়গা রেখে মসজিদে নামাজের সুযোগ দেওয়া হবে। এটা রোজার মাস, মসজিদে প্রার্থনার সুযোগ দেওয়া উচিত। যেসব এলাকায় করোনা সংক্রমণ নেই, সেসব এলাকায় মসজিদগুলোতে মুসল্লিরা নামাজ পড়তে পারবেন।’

    ভিডিও বার্তায় তিনি বলেন, ‘গাজীপুর সিটি করপোরেশন এবং গাজীপুর জেলা এই দুটি এলাকাকে নিয়েই গাজীপুর বলা হয়। সেজন্য আমরা বলছি, গাজীপুর সিটি করপোরেশনের ৫৭টি ওয়ার্ডে করোনা পজিটিভের সংখ্যা অনেক এলাকার চেয়ে কম বলে আমরা মনে করি। এটা আমরা নথিপত্র ঘেঁটে দেখেছি। সেজন্য আমরা মনে করি যেহেতু গার্মেন্ট চালু করে দিয়েছে বিজিএমইএ, সেহেতু আমাদের যেসব ওয়ার্ডে কোনও করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী নেই সেগুলোতে আগামী শুক্রবার থেকে মসজিদভিত্তিক মানুষ নামাজ পড়তে পারবেন।

    মেয়র বলেন, মুসলমানদের জন্য বছরের সবচেয়ে উত্তম মাস রমজান মাস। আর এই রমজান মাসে মুসলমানগণ প্রতি দিন মসজিদে গিয়ে তারাবি নামাজ আদায় করে থাকেন।

    তাই মুসল্লিদের সুবিধার্থে মসজিদ খুলে দেয়া হলো।

    তিনি আরও বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে মুসল্লিরা মসজিদে যাবেন। এক মহল্লার লোক অন্য মহল্লায় যাবেন না।

    বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও বাংলাদেশ সরকারের নিয়ম মেনেই মুসল্লিরা মসজিদে গিয়ে নামাজ আদায় করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শপথ নিলেন আতিক-তাপস

    শপথ নিলেন আতিক-তাপস

    শপথ নিলেন রাজধানীর দুই সিটি করপোরেশনের নবনির্বাচিত দুই মেয়র ও কাউন্সিলররা।

    বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

    প্রথমে দুই মেয়রকে শপথবাক্য পাঠ করান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একই অনুষ্ঠানে ২ সিটির সাধারণ ও সংরক্ষিত ওয়ার্ডের ১৭২ জন কাউন্সিলকে শপথ পাঠ করান স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম।

    শপথ নিলেও আইনি জটিলতায় এখনই চেয়ারে বসতে পারছেন না মেয়ররা। আগামী মে মাসের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত অপেক্ষায় থাকতে হবে তাদের।

    প্রসঙ্গত গত ১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ওই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত দুই মেয়র প্রার্থী বিজয়ী হন। এরপর গত ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন থেকে নির্বাচিত মেয়র ও কাউন্সিলরদের নাম-ঠিকানাসহ গেজেট প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন।

    স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন-২০০৯ অনুযায়ী, সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পর মেয়র বা কাউন্সিলরদের নাম সরকারি গেজেটে প্রকাশের ৩০ দিনের মধ্যে সরকার বা সরকারের মনোনীত কর্তৃপক্ষ মেয়র ও সব কাউন্সিলরের শপথ গ্রহণের ব্যবস্থা করবে।

    এবারের সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা দক্ষিণে আওয়ামী লীগ প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস জয়ী হয়েছেন পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে; তিনি পেয়েছিলেন ৪ লাখ ২৪ হাজার ৫৯৫ ভোট, তার প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির ইশরাক হোসেন ধানের শীষ প্রতীকে পেয়েছেন ২ লাখ ৩৬ হাজার ৫১২ ভোট।

    ঢাকা উত্তরেও পৌনে ২ লাখ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী আতিকুল ইসলাম; নৌকায় তার ৪ লাখ ৪৭ হাজার ২১১ ভোটের বিপরীতে বিএনপির তাবিথ আউয়াল ধানের শীষে পেয়েছেন ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৬১ ভোট।

    দক্ষিণে ২৪ লাখ ৫৩ হাজার ভোটারের মধ্যে মাত্র ২৯ শতাংশ ভোট দেন। অন্যদিকে উত্তরে ভোটের হার ছিল ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ।

  • মির্জাপুলে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে মেয়র

    মির্জাপুলে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর শুলকবহর ওয়ার্ডের কাতালগঞ্জ মির্জাপুল এলাকার ডেকোরেশন গলিতে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের দেখতে যান চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন।

    গতকাল শুক্রবার বিকেলে সিটি মেয়র ঘটনাস্থলে পৌছলে অগ্নিকান্ডের ক্ষতিগ্রস্থরা আবেগ আপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। এ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ২’শ পরিবার ক্ষতিগ্রস্থ হয়।

    ক্ষতিগ্রস্থ প্রায় ২শত পরিবারকে আপদকালীন নগদ অর্থ প্রদান করেন সিটি মেয়র। এছাড়া গৃহস্থালি সামগ্রী ও ভরণপোষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য চসিকের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।

    তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সর্বাত্মক সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন এবং অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থদের মাঝে নগরীর বিত্তবানসহ সর্বস্তরের মানুষকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।

    এ সময় জেলা রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সভাপতি ডা. শেখ সফিউল আজম, সিটি রেড ক্রিসেন্ট ইউনিটের সহ-সভাপতি আবদুস সালাম, চসিক কাউন্সিলর মো. মোরশেদ আলম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জেসমিন পারভীন জেসি,নগর আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল আহমেদ, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ সভাপতি আতিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক শেখ সরওয়ার্দী, কাতালগঞ্জ সমাজ কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ইমরানুল হক, সাধারণ সম্পাদক রফিক আহমদ, নুরুল আনোয়ার, মহিউদ্দিন, নগর যুবলীগ নেতা ওয়াহিদুল আলম শিমুল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ম্যুরাল উদ্বোধন করলেন মেয়র

    ‘বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার’ ম্যুরাল উদ্বোধন করলেন মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে নগরীর আলকরন সুলতান আহমদ সিটি কর্পোরেশন উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে উদ্বোধন করা হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ম্যুরাল।

    বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকীকে স্মরনীয় করে রাখতে গত বুধবার রাতে ফলক উম্মোচন করে এই ম্যুরাল উদ্বোধন করেন সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।

    এই ম্যুরালে বঙ্গবন্ধু’র ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ এবং শেখ হাসিনার উদ্ভব নতুন বছরের বই উৎসব টেরাকোটার মাধ্যমে ফুটিয়ে তোলা হয়।

    ১৪ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ১০ ফুট দৈর্ঘ্য ও ৮০ ফুট প্রশস্তের আর্কিটেক্ট ফয়সল ও মামুনের সলিড ভয়েড আর্কিটেক্টস নামক প্রতিষ্ঠান এই ম্যুরাল তৈরীর কাজ সম্পন্ন করেছেন।

    এই উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বলেন, ইতোমধ্যে নগরীকে দৃষ্টি নন্দন করতে নগরীর বিভিন্ন স্থানে সিটি কর্পোরেশন সৌন্দর্যবর্ধনে অনেক কাজ করেছে। এছাড়া ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে নব প্রজন্মের কাছে পরিচয় ও জানার জন্য বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক বিভিন্ন খ্যাতিমান ব্যক্তিদের নামে নাম করণ করা হয়েছে। বরেণ্য ব্যক্তিদের ভাষ্কর্য স্থাপিত হয়েছে এবার।

    সিটি মেয়র আরো বলেন, বাংলাদেশ বিশ্বে এখন উন্নয়নের রোল মডেল। ২০২১ সনের মধ্যে মধ্যম আয়ের এবং ২০৪১ সনের মধ্যে উন্নত দেশে পরিণত করতে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন বর্তমান প্রজন্মকে স্বাধীনতার সঠিক ইতিহাস জানানোর জন্য কর্পোরেশনের এই উদ্যোগ।ম্যুরাল উদ্বোধন

    বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আয়োজিত সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব।

    সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর লুৎফুন্নেছা দোভাষ বেবী, ৩১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব আবদুর রহমান, সমাজসেবক আবদুল হালিম দোভাষ, ব্যবসায়ী আলহাজ্¦ জহুর আহমদ সওদাগর, শিক্ষক সাহাদাত হোসেন, আলহাজ্ব সিদ্দিক আহমেদ সর্দ্দার, আলহাজ্ব ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, ইস্পাহানী লি. এর জেনারেল ম্যানেজার ওমর হান্নান, সলিট ভেইড আর্কিটেক্ট এর পরিচালক প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানুন, শিক্ষক মো. নুর হোসেন ও স্থপতি ফয়সাল ভূইয়া।

    সভা পরিচালনা করেন নগর যুবলীগ নেতা জাহাঙ্গীর আলম। সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন আনোয়ার আলম, মঞ্জুর হোসাইন, জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী, হাজী নাসির আহমদ, ছবির আহমেদ, সাবিনা খায়ুম দোভাষ, নিগার সীমা, আফসার আহমেদ, মো. সিরাজ, লক্ষী পদ দাশ, অনিল দাশ, ওয়াহিদুল আলম শিমুল, এস এম সিরাজ, সাখাওয়াত হোসেন সাকু, তাজউদ্দিন রিজভী, সাইফুদ্দিন আহমেদ, কামরুল হক, তানভীর আহমেদ রিংকু, আবদুল আজিজ ও শাহেদ হোসেন টিটু প্রমুখ।

    মুনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুর রহমত জামে মসজিদের খতিব আলহাজ্ব আবদুর রহমান।

  • একক ক্ষমতা থাকলে ডোপ টেস্টে দলীয় পদে নেতা-নেত্রী নির্বাচন করতাম-মেয়র

    একক ক্ষমতা থাকলে ডোপ টেস্টে দলীয় পদে নেতা-নেত্রী নির্বাচন করতাম-মেয়র

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, দেশে প্রায় ৭০ লক্ষ মাদকসেবী রয়েছে। এদের মধ্যে অধিকাংশই এই প্রজন্মের যুব সমাজ। যা জাতির জন্য একটি অশানি সংকেত। এ থেকে উত্তোরণ ঘটাতে তিনি সমাজপতি, পরিবার ও পরিবারের কর্তাদেরকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।

    এই প্রসঙ্গে তিনি তাঁর দলের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার যদি একক ক্ষমতা থাকতো, দলের নেতা-নেত্রী নির্বাচনের ক্ষেত্রে ডোপ টেস্ট (মাদক গ্রহণ করেছে কি না তার পরীক্ষা) এর মাধ্যমে দলীয় পদে স্থান দিতাম।সিএমপি কমিশনার মাহবুবর রহমান

    তিনি আজ ১৮ ডিসেম্বর বুধবার সকালে চট্টগ্রাম আগ্রাবাদস্থ সিডিএ এলাকায় উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ(সিএমপি), চট্টগ্রাম এর কার্যালয় উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার মাহাবুবর রহমান। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন চিটাগাং চেম্বার অব কমার্স সভাপতি মাহবুবুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মো. আলতাফ হোসেন বাচ্চু, আগ্রাবাদ মহিলা কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর আনোয়ারা আলম, প্যানেল মেয়র কাউন্সিলর ড.নিছার উদ্দিন আহমদ মঞ্জু, সিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (প্রশাসন ও অর্থ) আমেনা বেগম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অপরাধ ও অভিযান) শ্যামল কুমার নাথ, আরাসকা সিডিএ এর ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লিয়াকত আলী।

    এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপ পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) মো. ফারুকুল হক। এছাড়া কাউন্সিলর আবদুল কাদের, সংরক্ষিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর আবিদা আজাদ, ফারহানা জাবেদ, কমিউনিটি পুলিশি এর সভাপতি অহিদ সিরাজ চৌধুরী সহ প্রশাসনের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারী, বিভিন্ন রাজনীতিক ও স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ উপস্থিত ছিলেন।

    তিনি বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদক, সন্ত্রাস,জঙ্গীবাদ ও দূর্ণীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি অবলম্বন করেছেন। এতে যারা জড়িত তাদের পার পাওয়ার কোন পথ নেই। এই ক্ষেত্রে দলীয় প্রধানের অনড় অবস্থানের কারণে দলের কেউ সন্ত্রাসী,মাদক ব্যবসায়ী ও জঙ্গীদের স্থান দিলেও তাতে রক্ষা পাওয়া যাবেনা।

    মেয়র বলেন, বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদের ধারাবাহিকতায় দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষণীয়। উপস্থিত এলাকাবাসীদের উদ্দেশ্যে মেয়র বলেন মাদকাসক্ত পরিবার,সমাজ ও দেশের জন্য অভিশাপ। এই অভিশাপ থেকে বেরিয়ে আসতে হলে পরিবারকে মাদকমুক্ত রাখতে হবে। এর জন্য পরিবারের প্রধান বা অভিভাবককে দায়িত্ব পালনে আন্তরিক হতে হবে।

    তিনি বলেন যারা মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত রয়েছে, এরা আপনার আমার সন্তান। এদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে এই ব্যবসা থেকে ফিরিয়ে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবন যাপন করার সুযোগ করে দিতে হবে। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রশাসনের কাছে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডে মাদকসেবী ও মাদক ব্যবসয়ীদের তালিকা রয়েছে। এই সব ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শিঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে মেয়র সংশিষ্টদের সতর্ক করে দেন।

    মেয়র বলেন, নগর আওয়ামী লীগের কমিটিতে কোন সন্ত্রাসী ও মাদক ব্যবসায়ী ওয়ার্ড,থানা কমিটি বা কোন নেতৃত্বে স্থান দেওয়া হবে না। মাদকের মাধ্যমে একটি গোষ্ঠী আমাদের দলের সুনাম নষ্ট ও দেশকে মেধাশূন্য করার চেষ্টায় রয়েছে।

    তাই আমাদের সন্তানরা কি করছে, কোথায় যাচ্ছে,সেটি বিশেষভাবে খেয়াল রাখতে হবে। আমাদের সন্তানদের নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত করে তুলতে পারলেই স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মিত হবে।

    তিনি বলেন,পুলিশ বাহিনী সরকারের পক্ষ হয়ে কাজ করে যাচ্ছে। শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সদস্যদেরকে সর্বাত্মক সহযোগিতা করার আহবান জানান মেয়র।

    চট্টগ্রাম এর নব নির্মিত কার্যালয়টি উদ্বোধনের ফলে অত্র এলাকার জনসাধারনের নিরাপত্তা ও দ্রুত পুলিশিং সেবা প্রাপ্তি নিশ্চিত হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন। পরে মেয়র ও পুলিশ কমিশনার উপ-পুলিশ কমিশনার (পশ্চিম) এর নব নির্মিত কার্যালয়ের ফলক উম্মোচন করেন।

  • বিএনপি থেকে মেয়র আরিফুলের পদত্যাগ

    বিএনপি থেকে মেয়র আরিফুলের পদত্যাগ

    সিলেটে যুবদলের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন সিলেটের মেয়র আরিফুল হক চৌধুরীসহ তিনজন।

    রবিবার সকালে, গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ে মির্জা ফখরুলের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন মেয়র আরিফুল হক, কেন্দ্রীয় কমিটির ক্ষুদ্র ঋণ বিষয়ক সহসম্পাদক আবদুর রাজ্জাক, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. শাহরিয়ার।

    সবশেষ ২০০০ সালে সিলেটের যুবদলের নেতৃত্ব নির্বাচিত হয় কাউন্সিলের মাধ্যমে। দুই দশকের পুরনো কমিটি ভেঙ্গে গঠন করা হয় জেলা ও মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক কমিটি। কারো মতামত না নিয়ে ত্যাগীদের বাদ দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির কার্যনির্বাহী সদস্য ও সিটি মেয়র আরিফুল চৌধুরীসহ দলের বেশকিছু সিনিয়র নেতা।

    বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয় তাদের পদত্যাগের হুমকির খবরও। সমস্যা সমাধানে কেন্দ্র উদ্যোগ না নিলে গণপদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছিলেন সদ্যবিদায়ী কমিটির নেতাকর্মীরা।

  • খোকাকে নিয়ে মির্জা আব্বাসের ‘অশ্রুসিক্ত’ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    খোকাকে নিয়ে মির্জা আব্বাসের ‘অশ্রুসিক্ত’ ফেসবুক স্ট্যাটাস

    বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। বর্তমানে তিনি নিউইয়র্কে মেমরিয়্যাল স্লোন ক্যাটারিং ক্যান্সার হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে আছেন।

    বিএনপির এই নেতার অসুস্থতা নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস।

    তার লেখা এই লেখা বিএনপির কর্মী সমর্থকদের হৃদয় ছুঁয়ে গেছে।

    মির্জা আব্বাস লিখেছেন, প্রিয় খোকা এই মাত্র আমি জানতে পারলাম যে তোমার শরীর খুব খারাপ তুমি হাসপাতালে শয্যাশায়ী। জানার পর থেকে আমার মানষিক অবস্থা যে কতটা খারাপ এই কথাটুকু কারো সঙ্গে শেয়ার করবো সেই মানুষটা পর্যন্ত আমার নেই। তুমি আমি একসঙ্গে রাজনীতি করেছি অনেক স্মৃতি আমার চোখের সামনে এই মুহুর্তে ভাসছে। তোমার আর আমার দীর্ঘ এই পথচলায় কেউ কেউ তাদের ব্যাক্তি স্বার্থে তোমার আর আমার মাঝে একটা দুরত্ব তৈরী করে রেখেছিল, তবে তুমি আর আমি কেউই সেই দুরত্ব রয়েছে বলে কখনোই মনে করিনি।

    আমি জানিনা, তোমার সাথে আমার আর দেখা হবে কিনা। আমার এই লিখাটি তোমার চোখে পরবে কিনা বা তুমি দেখবে কিনা তাও আমি জানিনা, তবে বিশ্বাস করো তোমার শারীরিক অসুস্থতার কথা জানবার পর থেকেই বুকেরটা ভেতরটা কেন যেনো ভেঙ্গে আসছে। আমি বার বার অশ্রুসিক্ত হচ্ছি। মহান আল্লাহ্ তায়ালার কাছে দুহাত তুলে তোমার জন্য এই বিশ্বাস নিয়ে দোয়া করছি, তিনি অবশ্যই তোমাকে সুস্থ করে আমাদের মাঝে ফিরিয়ে আনবেন।

    তুমি আর আমি কাধে কাধ মিলিয়ে, বুকে বুক মিলিয়ে রাজনীতির মাঠে কাজ করে যাব। নাহয় সেই আগের মতোই স্বার্থপর কোনো মানুষদের জন্য আব্বাস আর খোকা বাইরে বাইরে দুরত্বের সেই অভিনয়টা করে যাবে, আর ভেতরে থাকবে দুজনের প্রতি দুজনের অন্তর নিংরানো ভালবাসা। আল্লাহ্ তোমার সুস্থতা দান করুক।
    তুমি ফিরে এসো খোকা, তুমি ফিরে এসো।
    আমি অপেক্ষায় থাকবো।।
    ….মির্জা আব্বাস।
    (ফেসবুক থেকে সংগৃহীত)

  • হিজড়া সম্প্রদায়ের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার-মেয়র

    হিজড়া সম্প্রদায়ের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছে সরকার-মেয়র

    চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব আ.জ.ম নাছির উদ্দীন বলেছেন বাংলাদেশ সরকার হিজড়া সম্প্রদায়কে তৃতীয় লিঙ্গ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে হিজড়া সম্প্রদায়ের মানবাধিকার প্রতিষ্ঠা করেছেন।

    আজ সোমবার সকালে সিটি কর্পোরেশন কনফারেন্স হলে সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে হিজড়া প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে সনদ বিতরণকালে সিটি মেয়র একথা বলেন।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোহাম্মদ শহীদুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় হিজড়া দলনেতা জেরিন,পিংকী তাদের সমস্যাদি সম্পর্কে বক্তব্য রাখেন।

    অনুষ্টানে চসিক প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মুফিদুল আলম,সমাজ সেবা অধিদপ্তরের এডি ওয়াহিদুল আলম,সমাজ সেবা কর্মকর্তা আবুল কাশেম,আরমান বাবু,হাফেজ আমান উল্লাহসহ হিজড়া প্রশিক্ষণার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

    সিটি মেয়র আরো বলেন এই সরকারই হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এই স্বীকৃতির উদ্দেশ্যে হচ্ছে হিজড়া সম্প্রদায়কে স্বাভাবিক জীবন ধারায় সম্পৃক্তকরণ। দেশের উন্নয়ন কর্মকান্ডে গতি আনায়ন। অর্থনীতির এ গতির জন্য সকল জনগোষ্টির সম্পৃক্ততা অপরিহার্য।

    কোনো সম্প্রদায়কে বাদ দিয়ে কাংখিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। হিজড়া সম্প্রদায়ও মানুষ। এ লক্ষ্যে বর্তমান সরকার তাদেরকে স্বাভাবিক জীবনে আনার জন্য বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহন করেছে। তা ধাপে ধাপে বাস্তবায়ন করে যাচ্ছে। হিজড়া ভাতাসহ বিভিন্ন ভাবে ভিক্ষাবৃক্তি থেকে সরিয়ে আনা আনা হচ্ছে হিজড়াদের। এমনকি তাদের সন্তানদের জন্য সরকার চালূ করেছে উপবৃত্তি।

    সরকারের এ উদ্যোগ আগামী দশ বছর চালু থাকলে দেশে কোনো হিজড়া বেকার কিংবা ভিক্ষাবৃত্তিতে থাকবে না বলে তিনি মন্তব্য করেন। তিনি বলেন তাদের নিয়ে আমাদের পরিবার, সমাজের নেতিবাচক মনোভাব রয়েছে। তার পরিবর্তন ঘটাও জরুরি। প্রচলিত আইন অনুযায়ী দেশের সব মানুষ সমান।

    ব্যাপক প্রচার- প্রচারণা চালিয়ে হিজড়াদের সম্পর্কে মানুষের মধ্যে যে ভুল ধারণা, তা দূর করতে হবে। এ ব্যাপারে তিনি তাদের নিজেদেরও মনমানসিকতার পরিবর্তন ঘটাতে হবে বলে মেয়র উল্লেখ করেন।

    সিটি মেয়র বলেন সরকার ২০১৩ সালে হিজড়াদের ‘তৃতীয় লিঙ্গ’ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। তারপরও সমাজে তাদের অবস্থানের তেমন কোনো পরিবর্তন ঘটেনি। সমাজে তারা প্রতিনিয়ত তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের শিকার হয়। নিজ পরিবারেও তারা অচ্ছুত ও অনাদৃত। বেশির ভাগ হিজড়াই কোনো সম্মানজনক জীবিকায় নেই, ভিক্ষা ও চাঁদাবাজিই তাদের মূল পেশা।

    এই প্রসঙ্গে সিটি মেয়র হিজড়া সম্প্রদায়ের ৯জনকে চসিকে চাকুরির কথা উল্লেখ করে বলেন হিজড়াদের সাথে আমরা কম বেশী সবাই পরিচিত। কিছু মানুষ হিজড়াদের সাথে মজা করতে পছন্দ করে, কেউ আবার এড়িয়ে চলে। নারীদের ক্ষেত্রে তারা হিজড়াদের রীতিমত ভয় পায় বিশেষ করে তাদের অশোভন আচরণ এর কারণে। এই ধরণের আচরণ পরিত্যাগ করতে হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

    সমাজসেবা অধিদপ্তরাধীন হিজড়া জনগোষ্টির জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি আওতায় ৫০জন হিজড়াকে ৪টি ট্রেডে ৫০দিন ব্যাপি প্রশিক্ষণ দেয়া হয়। প্রশিক্ষণ শেষে প্রত্যেক প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হিজড়ার হাতে ২৫ হাজার টাকার অনুদান ও সনদ তুলে দেন সিটি মেয়র।

    হিজড়া জনগোষ্ঠিপর দক্ষতা অর্জন ও স্বাবলম্ভী করার জন্য সমাজকল্যাণ অধিদপ্তরের এই উদ্যোগ। ট্রেডগুলো মধ্যে হস্তশিল্প,বুটিক,সেলাই ও কম্পিউটার প্রশিক্ষণ রয়েছে।

  • মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার

    মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার

    চীনে অবৈধভাবে গড়ে তোলা এক স্বর্ণের বাড়ির খোঁজ পেয়েছে পুলিশ। বাড়িটি সাবেক এক মেয়রের।

    সেই মেয়রের বাসা থেকে ১৩ টন স্বর্ণ উদ্ধার করা হয়েছে। চীনের পুলিশ ডানজহোর প্রদেশের সাবেক মেয়র জাং কিউয়ের বাড়ির বেসমেন্ট থেকে এই সোনা উদ্ধার করে। যার পুরোটাই অবৈধভাবে উপার্জন করা স্বর্ণ।

    স্বর্ণ ছাড়াও ওই মেয়রের বাসা থেকে কয়েকশ মিলিয়ন মার্কিন ডলার পাওয়া গেছে। এছাড়া বিভিন্ন দেশের মুদ্রাও পাওয়া গেছে যার পরিমাণ প্রায় ৩৪ মিলিয়ন ইউরো।

    দুর্নীতির অভিযোগে মেয়রের বাড়িতে অনুসন্ধান করার আদেশ দেয় দেশটির জাতীয় তত্ত্বাবধান কমিশন।

    এছাড়া, মেয়রের মালিকানায় রয়েছে কয়েকটি বিলাসবহুল বাড়ি। বিশেষজ্ঞদের অনুমান, তার বাড়ি থেকে যে সম্পদ উদ্ধার হয়েছে তা দিয়ে দুইবার গ্রীসকে দেউলিয়া থেকে বাঁচানো যেত।

    উল্লেখ্য, ২০১৩ সালে রাষ্ট্রপতি হিসাবে শিজিনপিং নিয়োগের পর থেকে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইকে অগ্রাধিকার দিয়ে আসছেন। এ পর্যন্ত দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ২৫৪ জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করেছেন তিনি।