Tag: মোবাইল কোর্ট

  • মাস্ক না পড়ায় ৬৩ জনকে অর্থদণ্ড দিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ ম্যাজিস্ট্রেট

    মাস্ক না পড়ায় ৬৩ জনকে অর্থদণ্ড দিল চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের ৩ ম্যাজিস্ট্রেট

    চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ হঠাৎ করে বেড়ে যাওয়ায় সংক্রমণ প্রতিরোধে জনগণের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাঠে নেমেছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের বিভিন্ন টিম।

    আজ সোমবার (২৩ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে নগরীর কর্ণফুলী নতুন ব্রিজ এলাকা, অলঙ্কার, দেওয়ানহাট, কোতোয়ালী এবং রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    এরমধ্যে নগরীর নতুন ব্রীজ এলাকায় পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত টিমের নের্তৃত্ব দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস.এম.আলমগীর। অভিযানে মুখে মাস্ক পরিধান না করায় ১০ টি মামলায় ১১ জনকে মোট ২ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    তাছাড়া প্রায় ২ ঘণ্টার অভিযানে গরীব ও অসচ্ছল মানুষদের মাঝে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১১০ টি মাস্ক বিতরণ করা হয়।

    এদিকে নগরীর অলঙ্কার, দেওয়ানহাট ও কোতোয়ালী এলাকায় পৃথক ভ্রাম্যমান আদালতের পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশরাফুল আলম।

    তিনি মাস্ক পরিধান না করে বাইরে বের হওয়ায় ৩১টি মামলায় ৩৪ জনকে মোট ১৫ হাজার ২শ টাকা অর্থদণ্ড দেন। এসময় গরীব ও অস্বচ্ছল মানুষদের মধ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষে ১৭০ টি মাস্ক বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আশরাফুল আলম।

    এছাড়াও সকাল বেলার পৃথক অপর অভিযানটির নের্তৃত্ব দিয়েছেন জেলা প্রশাসনের আরেক নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সুরাইয়া ইয়াসমিন। তিনি নগরীর কোতোয়ালি থানার রেলওয়ে সংলগ্ন এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

    তার অভিযানের সময় মুখে মাস্ক না থাকায় ১০টি মামলায় ১৮ জনকে মোট ১ হাজার ৬শ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন। জনস্বার্থে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে জানিয়ে আজকের অভিযানে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষের মাঝে বিনামূল্যে প্রায় ৩শ মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • চট্টগ্রামে মাস্ক পরিধান না করায় ৬৫ জনকে অর্থদন্ড

    চট্টগ্রামে মাস্ক পরিধান না করায় ৬৫ জনকে অর্থদন্ড

    চট্টগ্রাম মহানগরীতে করোনাভাইরাসের (কোভিড-১৯) প্রকোপ থেকে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার অংশ হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন মাস্ক বিতরণ করেছে এবং মাস্ক পরিধান না করায় ৬৫ জনকে অর্থদন্ড করা হয় ৬৭০০ টাকা।

    বৃহস্পতিবার (১৯ নভেম্বর) সকাল ১১টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর হোসেন, উমর ফারুক ও আলী হাসানের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্ট পরিচালিত হয়।

    এতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর হোসেন ইপিজেড এলাকায়, উমর ফারুক নগরীর মুরাদপুর ও বদ্দারহাট এলাকা ও আলী হাসান বায়েজিদ এলাকায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন।

    মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক মাস্ক পরিধান না করার কারণে ৪০ জন ব্যাক্তিকে ৩৩০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন, আলী হাসান ১৮ জন ব্যাক্তিকে ২৬০০ টকা অর্থদণ্ড করেন ও এস এম আলমগীর হোসেন ৭ জনকে ৮০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন। পাশাপাশি মাস্কহীনদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট
    মোঃ উমর ফারুক বলেন, করোনার সম্ভাব্য সেকেন্ড ওয়েভকে সামনে রেখে মানুষকে সচেতন করার লক্ষে প্রতিদিন ৮ জন ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরীর গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্ট, বিপনি বিতান, শপিংমল, বাস স্ট্যন্ডে অভিযান পরিচালনা করছি। আশার কথা হলো গত কয়েকদিনের অভিযানে একটা ইতিবাচক প্রভাব দেখা যাচ্ছে বেশিরভাগ মানুষ মাস্ক পরে বাইরে আসছে।

    তিনি আরও বলেন, মাস্ক নিয়ে জেলা প্রশাসনের ব্যাপক কর্মসূচি নেয়া হয়েছে। মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে মাস্ক পরতে সচেতন করা। যারা মাস্ক পরতে অবহেলা করছে তাদের অর্থদণ্ড দেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি নিম্ন আয়ের মানুষকে মাস্ক দেয়া হচ্ছে।করোনাকালীন সময়ে বাধ্যতামূলক মাস্ক পরিধান নিশ্চতকরণে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আলী হাসান বলেন,অভিযানে দেখা যায় কিছু মানুষ অবহেলা করে মাস্ক পরেনা যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে।পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাস্ক বিতরণ করছি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ আড়তদারকে মোবাইল কোর্টের লক্ষাধিক টাকা অর্থদণ্ড

    আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ১০ আড়তদারকে মোবাইল কোর্টের লক্ষাধিক টাকা অর্থদণ্ড

    চট্টগ্রাম মহানগরীর কোতোয়ালি থানার রিয়াজউদ্দিন বাজারে অতিরিক্ত দামে আলু বিক্রি করার অপরাধে ১০ আড়তদারকে ১ লাখ ৪০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) সকাল ৯ ঘটিকা হতে ১২ ঘটিকা পর্যন্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ উমর ফারুকের নেতৃত্বে আলুর দাম নিয়ন্ত্রণে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়।

    ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনাকালে আলুর আড়তে দেখা দেখা যায় সরকার নির্ধারিত দামে আলু প্রতি কেজি ৩০ টকা পাইকারি বিক্রয় করার নির্দেশনা থাকলেও তারা ৪০ টাকার উপরে বিক্রি করছিল। খুচরা ব্যাবসায়ীদের কাছে বিক্রি করার বিক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি। বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে আলুর দাম বৃদ্ধি করে আড়তদাররা আলু বিক্রি করছিল।

    যার ফলে ১০ টি আড়তকে প্রায় ১৪০০০০ (এক লক্ষ চল্লিশ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়। এর মধ্যে মেসার্স কুমিল্লা ট্রেডার্সকে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, রফরফ বাণিজ্যালয়কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মক্কা বাণিজ্যালয়কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মামুন ট্রেডার্স কে ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স মা বিতান ২০০০০ (বিশ হাজার) টাকা, মেসার্স কুসুমপুরা বানিজ্যালয়কে ১০০০০ (দশ হাজার টাকা), মেসার্স জননী ট্রেডার্সকে ১০০০০ (দশ হাজার টাকা), মেসার্স দাউদকান্দি বাণিজ্যালয় ১০০০০ (দশ হাজার) টাকা, নিউ রাজমহল বাণিজ্যালয়কে ৫০০০ (পাঁচ হাজার)টাকা, মেসার্স আশীষ লালধর এন্ড ব্রাদার্সকে ৫০০০ (পাঁচ হাজার) টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।

    অভিযান পরিচালনাকারী জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, সরেজমিনে দেখা যায় সরকার পাইকারি ক্ষেত্রে আলুর দাম সর্বোচ্চ ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিলেও আড়তদার ও পাইকারি ব্যবসায়ীরা ৪২ টাকার উপরে বিক্র‍য় করছিল।এমনকি খুচরা ব্যাবসায়ীদেরকে কোন ধরনের বিক্রয় রশিদ দেয়নি যার ফলে বিক্রয় রশিদ ও ক্রয় রশিদ দেখাতে পারেনি।অর্থাৎ দাম নিয়ে কারসাজির প্রমাণ মেলে।ফলে ১০ আড়তদার ও পাইকারি ব্যাবসায়ীকে অর্থদণ্ড করা হয়।

    অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বদিউল আলম বলেন, আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে।তারপরও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী সরকারের বেঁধে দেয়া দামে আলু বিক্রয় না করার অভিযোগ আমাদের কাছে আসে। যার ফলে অভিযানে যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়মের কারণে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হয়েছে।

    জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, যারা দাম কারসাজির মাধ্যমে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বৃদ্ধি করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতদের মাধ্যমে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হচ্ছে। ভবিষ্যতেও যারা নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়িয়ে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ সৃষ্টি করবে তাদের বিরুদ্ধে আমাদের বাজার মনিটরিংসহ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • পটিয়ায় জনস্বার্থে সারাদিন মোবাইল কোর্ট, দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায়

    পটিয়ায় জনস্বার্থে সারাদিন মোবাইল কোর্ট, দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায়

    পটিয়া প্রতিনিধিঃ চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ইন্দ্রপুল, মুন্সেফ বাজার, বাসস্ট্যান্ড বৈলতলী রোড এলাকায় রোববার (২২ মার্চ) সারাদিন মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমা।

    মোবাইল কোর্ট পরিচালনাকালে পাইকারী ও খুচরা চাউলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য অধিক মূল্যে বিক্রয়, চাউলের আরতে বিক্রয় ভাউচারের মূল্যে গড়মিল থাকায় ও মূল্যে তালিকায় অধিক মূল্যে থাকার অপরাধে সোনালী রাইচ মিলের মালিক মোঃ জসীম উদ্দিনকে ১ লক্ষ টাকা, আলম স্টোর এর মালিক দিদারুল আলমকে ৫ হাজার টাকা, খাজা স্টোর এর মালিক ফজল আহমদকে ৭ হাজার টাকা, ইদ্রিস এন্ড সন্স এর মালিক ইদ্রিস সওদাগরকে ৫ হাজার টাকা, মদিনা স্টোরের মালিক মোঃ নাজিম উদ্দিনকে ৭ হাজার টাকা, ইসলাম ট্রেডার্স এর মালিক নুরুল ইসলাম সওদাগরকে ১০ হাজার টাকাসহ লাইসেন্সবিহীন নোংরা পরিবেশ এবং অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় খাবার সামগ্রী তৈরি করার অপরাধে গোল্ডেন হোটেলের মালিক নুরুল আলমকে ৫০ হাজার টাকা, সর্বমোট ০৭ টি প্রতিষ্ঠানকে ১লক্ষ ৮৪ হাজার টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়।

    পটিয়া উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বলেন, পটিয়াতে দ্রব্যমূল্যর দাম বেশি নিলে অভিযোগ ফেলে সাথে সাথে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।