Tag: মোহাম্মদ আলী

  • মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’

    মোহাম্মদ আলীর দ্বিতীয় চলচ্চিত্র ‘দামপাড়া’

    দ্বিতীয় বারের মত চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেন চট্টগ্রামের মঞ্চ ও টিভি অভিনেতা মোহাম্মদ আলী। চট্টগ্রাম থেকে নির্মিতব্য ‘দামপাড়া’ চলচ্চিত্রে এক্সট্রা অভিনয় শিল্পী হিসেবে গত রোববার ও সোমবার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছেন তিনি।

    সত্য ঘটনা অবলম্বনে ‘দামপাড়া’ চলচ্চিত্রের গল্প, চিত্রনাট্য ও সংলাপ লিখেছেন নাট্যকার আনন জামান। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) প্রযোজনায় চলচ্চিত্রটি পরিচালনা করছেন শুদ্ধমান চৈতন। কারিগরী সহযোগিতায় রয়েছে ‘আখড়াই’। এর দুইটি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন ফেরদৌস ও ভাবনা।

    গত শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) থেকে চট্টগ্রাম সিটিতে চলচ্চিত্রটির দৃশ্য ধারন শুরু হয়েছে। এর আগে ৪৭ বাংলার ব্যানারে নির্মিত কাজী মাজহারুল হকের প্রযোজনায় ও অনির্বাণ করিম পরিচালিত ‘হুইল চেয়ার’ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলেন মোহাম্মদ আলী।

    ২০০৭ সালে থিয়েটার স্লোগান চট্টগ্রামে যোগদানের মাধ্যমে নাট্য জীবন শুরু হয় তার। এ দলের হয়ে অভিনয় করেছেন ‘সংবাদ কার্টুন’ নাটকে। ২০০৮ সালে যোগ দেন গ্রুপ থিয়েটার নাট্যাধারে। এ দলের হয়ে এ পর্যন্ত মঞ্চ নাটক ‘স্মৃতি ৭১, শিখন্ডী কথা, হিড়িম্বা, বীরাঙ্গনা সাক্ষাৎকার, ভগা কাইন, কাল বোধন, মাস্টারদা, ফুলজান, উন্মাদ সাক্ষাৎকার, ৩২ ধানমন্ডি এবং…’ ‘দাম দিয়ে কিনেছি’ এবং যাত্রাপালা ‘বাংলার মহানায়’কে অভিনয় করেছেন আলী। তার করা অন্য কাজগুলো হল টিভি বিজ্ঞাপন ‘জাগরণের গান- দুই (অপারেশন জ্যাকপট, বাংলালিংক-২০১০), টিভি নাটক: ‘ভালবাসার অন্য রং (ইউটিউব), ‘জলতরঙ্গ’ (টিভি সিরিয়াল, বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র), টেলিফিল্ম ‘প্রত্যাশা অনন্তকাল’ (বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র), টিভি নাটিকা/পিলার: ‘ফরমালিন’ (বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র), ‘নৈতিকতা (বিটিভি চট্টগ্রাম কেন্দ্র)’ ডকুমেন্টারি: ‘লাইসেন্স (সিএমপি, ট্রাফিক পশ্চিম বিভাগ), ডকুড্রামা ‘বুদ্ধি গরি চলি’ (উন্নয়নের জন্য থিয়েটার বিষয়ক)।

    চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে জন্ম নেয়া মোহাম্মদ আলী অর্থনীতিতে অনার্স ও মাস্টার্স সম্পন্ন করেছেন চট্টগ্রাম কলেজ থেকে। কর্ম জীবনে তিনি একজন পেশাদার সাংবাদিক। বর্তমানে কাজ করছেন আমেরিকার নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত অনলাইন নিউজ পোর্টাল চলমান নিউইয়র্কে। অভিনয় ও সাংবাদিকতা দুইটায় সমান তালে চালিয়ে যেতে চান অভিনেতা আলী।

    এন-কে

  • সিইউজের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ আলী,সম্পাদক শামসুল ইসলাম

    সিইউজের নতুন সভাপতি মোহাম্মদ আলী,সম্পাদক শামসুল ইসলাম

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নির্বাহী পরিষদের দ্বিবার্ষিক নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হলেন মোহাম্মদ আলী এবং সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন ম. শামসুল ইসলাম।

    বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ৯টা থেকে বিরতি ছাড়াই বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ করা হয়। মোট ৪০৪ জন সদস্যের মধ্যে নির্বাচনে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন ৩৮২ জন।

    এবারের নির্বাচনে মোট নয়টি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ২৭ জন প্রার্থী। এতে সভাপতি পদে দৈনিক পূর্বকোণের মোহাম্মদ আলী ১৪০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ১২৯ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অবজারভারের মোস্তাক আহমদ। এ পদে অন্য দুই প্রার্থী ছিলেন একাত্তর টিভির মাঈনুদ্দীন দুলাল (৭০ ভোট) এবং সদ্য সাবেক সভাপতি দি ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেসের নাজিমুদ্দীন শ্যামল (৪০ ভোট)।

    ফুলেল শুভেচ্ছায় সিক্ত নবনির্বাচিত সভাপতি-সম্পাদক

    সিনিয়র সহ সভাপতি পদে দৈনিক পূর্বদেশের রতন কান্তি দেবাশীষ ১৩০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ১২৬ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন অলোকময় তলাপাত্র।। এ পদে অন্য প্রার্থী ছিলেন কর্ণফুলীর মুজাহিদুল ইসলাম (১১৭ ভোট)।

    সহ সভাপতি পদে গাজী টিভির অনিন্দ্য টিটো ১৮৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন। ১৩৩ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পূর্বকোণের আবসার মাহফুজ। এ পদে অন্য প্রার্থী ছিলেন সি প্লাস টিভির আলমগীর অপু (৫৯ ভোট)।

    সাধারণ সম্পাদক পদে ২২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন দেশ রূপান্তরের ম. শামসুল ইসলাম। ১৫১ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন একুশে টিভির হাসান ফেরদৌস।

    চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) নির্বাহী পরিষদের নবনির্বাচিত কর্মকর্তারা-

    যুগ্ম সম্পাদক পদে ২৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আজাদীর সবুর শুভ। ১১৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন সিপ্লাস টিভির স্বরূপ ভট্টাচার্য।

    অর্থ সম্পাদক পদে ১৯৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন আজাদীর কাশেম শাহ। ১২২ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন নুর উদ্দিন আহমেদ। এ পদে অন্য প্রার্থী ছিলেন সৌমেন ধর (৬০ ভোট)।

    সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ২২৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন পূর্বকোণের এসএম ইফতেখারুল ইসলাম। ১৫০ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ভোরের কাগজের প্রীতম দাশ।

    প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ১৪৮ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন ইন্ডিপেন্ডেন্ট টিভির ইফতেখার ফয়সাল। ৯৫ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন বাংলানিউজের আল রাহমান। এ পদে অন্য দুই প্রার্থী ছিলেন পূর্বদেশের রাহুল কান্তি দাশ (৭১ ভোট) এবং এটিএন বাংলার মো. ফরিদ উদ্দীন (৬১ ভোট)।

    নির্বাহী সদস্য পদে ১৫৬ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হন বিএনএর মো. মহররম হোসাইন। ৯২ ভোট পেয়ে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন পূর্বদেশের আবুল হোসাইন। এ পদে অন্য দুই প্রার্থী ছিলেন জয়নিউজের বিশু রায় চৌধুরী (৮৫ ভোট) এবং আবদুর রউফ পাটোয়ারী (২৪ ভোট)।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক জসীম চৌধুরী সবুজ। কমিটির তিন সদস্য হলেন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মোহাম্মদ নিযাম উদ্দিন, মুহাম্মদ মোরশেদ আলম, মুহাম্মদ শামসুল হক ও মোহাম্মদ মামুনুর রশীদ।

    এবার নির্বাচনের মনোনয়নপত্র সরবরাহ করা হয় ১৫ ও ১৬ জানুয়ারি। মনোনয়নপত্র জমা নেওয়া হয় ১৭ জানুয়ারি। পরদিন মনোনয়নপত্র বাছাই ও খসড়া তালিকা প্রকাশের পর ২০ জানুয়ারি ছিল মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের সময়। এরপর চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ হয় ২১ জানুয়ারি।