Tag: মোহাম্মদ নাসিম

  • ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করছেন নাসিমের পুত্রবধূ সাবরিনা

    ডিজিটাল আইনে গ্রেফতারকৃতদের ছেড়ে দিতে অনুরোধ করছেন নাসিমের পুত্রবধূ সাবরিনা

    সদ্য প্রয়াত আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে কটুক্তি করে গ্রেফতার ব্যক্তিদের অব্যাহতি দিতে অনুরোধ জানিয়েছেন তার পুত্রবধূ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষক সাবরিনা সুলতানা চৌধুরী।

    মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুরপর কটূক্তির অভিযোগে বিভিন্ন ব্যক্তিদের নামে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এই আইনের বিপক্ষে তার অবস্থানের কথাও তুলে ধরেছেন তিনি। ফেসবুকে ২০ জুন তিনি এ বিষয়ে একটি পোস্ট দেন।

    এতে তিনি লিখেছেন:
    ভীষণ মনোঃকষ্ট নিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম নিজের বাবার অপমানে।

    তাতে গণতন্ত্র ব্যাহত হয়েছে। তারপর আমি নিজে চোখটা বন্ধ করে অনেকক্ষণ ভাবলাম যে বাবা থাকলে কি করতেন। উত্তরটা পেয়ে গেলাম।

    তিনি হাসতেন, বলতেন ক্ষমা করতে। গ্রেফতার বা শাস্তি কিছুই চাইতেন না। এরকমই মানুষ ছিলেন তিনি। আমি নিজেও কখনো পারিবারিক কিছু কখনো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনিনি। একটা ছবি পর্যন্ত না।

    নিজে ১৩ দিন আইসিইউতে ছিলাম। বাবাকে হারালাম। তারপর এসব নিষ্ঠুর আচরণ। তাই উত্তেজিত হয়ে পড়েছিলাম। কোনো শাস্তি বা মামলা আমরা চাই না। এই আইনের বিরুদ্ধে আমি নিজেও দাঁড়িয়েছি। আর কোনো দলকানা মানুষও আমি নই। বাবা তাঁর শেষ সময় পর্যন্ত দেশের জন্যে কাজ করেছেন। তারপরও যদি তাঁর কোনো ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে আপনারা তাঁকে ক্ষমা করবেন। কন্যা হিসেবে আমি দোয়া চাই ওনার জন্যে। হিংসা বিদ্বেষ কখনো ভালো কিছু হতে দেয় না। সকল শিক্ষক মুক্তি পান, ভালো থাকুন। গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াই করা মানুষটা যেনো জান্নাতবাসী হোন। আমাকেও ক্ষমা করবেন সাময়িক উত্তেজনার জন্যে। আমিও যেনো আমার সীমিত সামর্থ্য মানুষের পাশে থাকতে পারি। ভালো থাকবেন আপনারা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নাসিমকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন ডা. জাফরুল্লাহ

    নাসিমকে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন ডা. জাফরুল্লাহ

    রাজধানীর বনানীতে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিমের দ্বিতীয় জানাজায় অংশ নিয়ে তাকে শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানান গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা জাফরুল্লাহ চৌধুরী।

    রোববার (১৪ জুন) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত মো. নাসিমের প্রতি শ্রদ্ধা জানান তিনি। এরপর কবরস্থানে সমাহিত অন্যদের সবার জন্য মহান আল্লাহর কাছে দোয়া ও ক্ষমাপ্রার্থনা করেন।

    এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের গণমাধ্যম বিষয়ক সমন্বয়ক অধ্যাপক ডা. মুহিব উল্লাহ খোন্দকার ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বনানী কবরস্থান থেকে সরাসরি গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে তার চিকিৎসাধীন রুমে চলে যান বলে জানান জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু।

    করোনামুক্ত হওয়ায় মহান রাব্বুল আলামিনের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন ডা. জাফরুল্লাহ। এছাড়া দ্রুত পুরোপুরিভাবে সুস্থ হওয়ার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া কামনা করেন।

    ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী করোনা পজিটিভ হয়ে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। এখন তিনি করোনা নেগেটিভ।

    গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত এন্টিজেন কিট দিয়ে পরীক্ষায় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে করোনা ভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া যায়নি।

    অধ্যাপক ড. বিজন কুমার শীল বলেন, তার শরীরে যথেষ্ট অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাকে এখন সুস্থ বলা যায়। তবে তার কিডনির সমস্যা এবং গত কিছুদিন যে ধকল গেছে তাতে আরও পাঁচ দিন তাকে হাসপাতালে থাকতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাসিম

    শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন নাসিম

    জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম. মনসুর আলীর সন্তান, প্রবীণ রাজনীতিবিদ, আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমকে মায়ের কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে।

    আজ রোববার (১৪ জুন) বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর বনানী কবরস্থানে দ্বিতীয় জানাজার নামাজ শেষে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তাকে দাফন করা হয়।

    জানাজার পর নাসিমকে গার্ড অব অনার প্রদান করা হয়। এরপর তার মরদেহে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

    এরআগে সকাল সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডিতে সোবহানবাগ মসজিদে স্বাস্থ্যবিধি মেনে তার প্রথম নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

    এরআগে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয় বলেন, রাজধানীর বনানী কবরস্থানে তার মায়ের কবরেই তাকে সমাহিত করা হবে। বাবাকে গ্রামের বাড়ি ও তার নির্বাচনী এলাকা সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে নিয়ে যাওয়ার কথা থাকলেও স্বাস্থ্যবিধির কথা চিন্তা করে তা বাতিল করা হয়েছে।

    উল্লেখ্য, হাসপাতালে টানা নয় দিন ধরে লাইফ সাপোর্টে থাকা নাসিমকে শনিবার বেলা ১১টা ১০ মিনিটের দিকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তান রেখে গেছেন।

    গত ১ জুন শ্বাসকষ্ট নিয়ে রাজধানীর এই হাসপাতালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম। পরে তার শরীরে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। চিকিৎসকদের চেষ্টায় তিনি করোনা থেকে মুক্তি পেলেও ৫ জুন স্ট্রোক করেন। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের কারণে দ্রুত অস্ত্রোপচার করে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। তার চিকিৎসায় গঠন করা হয় মেডিকেল বোর্ড। তবে একপর্যায়ে তিনি চলে যান গভীর কোমায়।

    সংকটাপন্ন নাসিমকে তার পরিবার বিদেশে নিতে চাইলেও তার সেই অবস্থাও ছিল না বলে চিকিৎসকরা জানান। গভীর কোমা থেকে শতচেষ্টাও তাকে আর ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা।

    বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী মোহাম্মদ নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে। তার বাবা ১৯৭৫ সালের ৩ নভেম্বরের জেল হত্যাকাণ্ডের শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহচর ছিলেন।

    জাতীয় চার নেতার অন্যতম মনসুর আলী ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রাক্কালে মেহেরপুরের বৈদ্যনাথতলার আম্রকাননে গঠিত বাংলাদেশ সরকারে অর্থ, শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের এবং স্বাধীনতা পরবর্তী বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রীসভায় প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেছিলেন।

    মোহাম্মদ নাসিমের মায়ের নাম মোসাম্মৎ আমিনা খাতুন, যিনি আমেনা মনসুর হিসেবেই পরিচিত। তিনি একজন গৃহিণী ছিলেন। নাসিম জগন্নাথ কলেজ (বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিষয়ে স্মাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। ১৯৮৬, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালের সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন মোহাম্মদ নাসিম।

    ১৯৯৬ সালে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। বিএনপি নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট সরকারবিরোধী আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। পরে ওয়ান ইলেভেনের সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার আমলে কারাবন্দি ও নির্যাতিত হন। এই কারা নির্যাতনে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় ২০০৮ এর নির্বাচনে অংশ নিতে পারেননি। তবে ২০১৪ সালে তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। ওই বছরের ১২ জানুয়ারি আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন মহাজোট সরকারের স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন।

    ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনেও একই আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। চলতি একাদশ সংসদে খাদ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি।

    ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির মধ্য দিয়ে ছাত্রজীবনেই রাজনীতি শুরু মোহাম্মদ নাসিমের। পরে যুবলীগ হয়ে আওয়ামী লীগে যোগ দেন। বিভিন্ন সময় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সদস্য পদে দায়িত্ব পালন করেন। দলের গত তিনটি জাতীয় সম্মেলনে দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য নির্বাচিত হয়ে আমৃত্যু ওই পদে ছিলেন।

    মোহাম্মদ নাসিম ১৪ দলীয় জোটের মুখপাত্রের দায়িত্বেও ছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি সমাজকল্যাণমূলক বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিলেন নাসিম। ঢাকাসহ নিজ এলাকা সিরাজগঞ্জে অনেক উন্নয়ন করেন মোহাম্মদ নাসিম।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে মির্জা আজম এমপি’র শোক প্রকাশ

    মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে মির্জা আজম এমপি’র শোক প্রকাশ

    জামালপুর প্রতিনিধি:আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এমপি আর নেই (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শনিবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে সকাল ১১টা ১০ মিনিটে তাঁর মৃত্যু হয়।

    মোহাম্মদ নাসিম এমপির মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি।

    মির্জা আজম মোহাম্মদ নাসিমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    মোহাম্মদ নাসিম ১৯৪৮ সালের ২ এপ্রিল সিরাজগঞ্জ জেলার কাজীপুর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতিদের একজন জাতীয় চারনেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলী এবং মা আমেনা মনসুর। মোহাম্মদ নাসিম ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ছিলেন।

    মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী ও তিন সন্তানসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

    নাসিমের মরদেহ হাসপাতালের হিমঘরে রাখা হবে।

    আগামীকাল ১৪ জুন সকাল সাড়ে ১০টায় নাসিমের জানাজা বনানী মসজিদ প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত হবে। জানাজা শেষে মা আমিনা মনসুরের কবরে নাসিমকে সমাহিত করা হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/মেহেদি

  • মোহাম্মদ নাসিম-এর মৃত্যুতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল’র শোক

    মোহাম্মদ নাসিম-এর মৃত্যুতে শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল’র শোক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে রাজনৈতিক অঙ্গনে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

    বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    শনিবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে শিক্ষা উপমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক সফল স্বাস্থ্যমন্ত্রী, কর্মীবান্ধব কারা নির্যাতিত নেতা, দলের একজন বলিষ্ঠ সংগঠক আন্দোলন-সংগ্রামের অকুতোভয়, শহীদ এম মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান, ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম না ফেরার দেশে চলে গেলেন।

    নওফেল বলেন, মোহাম্মদ নাসিম আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করে গেছেন। দেশ ও সমাজের উন্নয়নে তার অবদান জাতি শ্রদ্ধারভরে স্মরণ করবে।’

    নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে তিনি মরহুমের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।

    আটদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে শনিবার (১৩ জুন) বেলা ১১টার ১০ মিনিটে রাজধানীর শ্যামলী বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মোহাম্মদ নাসিমের একান্ত সহকারী সচিব মীর মোশারফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • মোহাম্মদ নাসিম-এর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    মোহাম্মদ নাসিম-এর মৃত্যুতে তথ্যমন্ত্রীর শোক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ ড. হাছান মাহমুদ।

    এক শোকবার্তায় তথ্যমন্ত্রী মরহুমের বিদেহী আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং তার শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    তথ্যমন্ত্রী শোকবার্তায় আরো বলেন, জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর পুত্র মোহাম্মদ নাসিম আজীবন জাতির পিতার আদর্শ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় অটল ছিলেন।

    মন্ত্রী এসময় ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী হিসেবে মোহাম্মদ নাসিমের দায়িত্ব পালনের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের বর্ণাঢ্য ও কর্মময় রাজনৈতিক জীবন এদেশের মানুষের কাছে স্মরণীয় হয়ে থাকবে। অপরদিকে, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ বিবৃতি দিয়েছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ডা. মোঃ মুরাদ হাসান।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • নাসিমের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

    নাসিমের মৃত্যুতে বিএনপির শোক

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

    আজ শনিবার দুপুরে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেন বিএনপির মহাসচিব। এরপর শোক প্রকাশ করেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু।

    মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতা ও ১৪ দলের সমন্বয়কারী মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছি।’

    এ ছাড়া বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকু বলেন, ‘আমার সিরাজগঞ্জের সন্তান এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, জ্যেষ্ঠ রাজনীতিবিদ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করছি। একই সঙ্গে তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কাল বনানীতে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন নাসিম

    কাল বনানীতে মায়ের কবরের পাশে শায়িত হবেন নাসিম

    আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের জানাজা আগামীকাল রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় বনানী জামে মসজিদে অনুষ্ঠিত হবে।

    জানাজা শেষে বনানী কবরস্থানে মায়ের কবরের পাশে তাঁর মরদেহ দাফন করা হবে।

    করোনাভাইরাসের কারণে জনগণের স্বাস্থ্যবিধি ও স্বাস্থ্য সচেতনতার দিকটি বিবেচনায় রেখে মোহাম্মদ নাসিমের লাশ সিরাজগঞ্জে নিজ জন্মভূমিতে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে না বলে জানান আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক এবং মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে তানভীর শাকিল জয়।

    জয় বলেন, সিরাজগঞ্জের মানুষ তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়ার জন্য বলছেন। আমার বাবার মৃত্যুর পর পরিবারের সবাই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছি; যে মানুষটি সারাজীবন দেশের জন্য জীন উৎসর্গ করে গেছেন সেই মানুষের মৃত্যুর পরেও দেশের মানুষের ক্ষতি হোক সেটা হতে দিতে পারি না। আর তাই করোনা পরিস্থিতির কারণে সিরাজগঞ্জের মানুষের চোখের জল উপেক্ষা করে বনানী কবরস্থানে দাফন করা হবে।

    শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালের সামনে আজ শনিবার দুপুর দেড়টার দিকে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তাঁরা।

    এ সময় আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ, এনামুল হক শামীম, মির্জা আজম, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, আবদুস সবুরসহ অন্যান্য নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

    মোহাম্মদ নাসিম আজ শনিবার বেলা ১১টার দিকে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

    জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে গত ১ জুন দুপুরে হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তাঁর নমুনা সংগ্রহ করা হয়। রাতে ওই পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। এর পরের তিন দিন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও গত ৫ জুন সকালে নতুন জটিলতা তৈরি হয়। হঠাৎ করে তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করেন। ওই দিন বিকেলে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণের সফল অস্ত্রোপচার হয়। অস্ত্রোপচারের পর নিবিড় পর্যবেক্ষণে থাকা নাসিমের শারীরিক অবস্থা অবনতির দিকে গেলে ১৩ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। এরপর গত বুধবার তাঁর অবস্থা অপরিবর্তিত থাকলেও করোনা টেস্ট নেগেটিভ এসেছে বলে জানান চিকিৎসক।

    লাইফ সাপোর্টে থাকার সময় করোনা নেগেটিভ হলে নাসিমকে সিঙ্গাপুরে পাঠাতে চেয়েছিল তাঁর পরিবার। কিন্তু তার আগেই তিনি পরপারে চলে যান।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    সাবেক মন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে রেজাউল করিম চৌধুরীর শোক

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী, বর্তমান সংসদ সদস্য, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও চসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়রপ্রার্থী বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব এম. রেজাউল করিম চৌধুরী।

    এক শোকবার্তায় বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে মোহাম্মদ নাসিমের ভূমিকা অপরিসীম।মোহাম্মদ নাসিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সহযোগী জাতীয় চার নেতার অন্যতম শহীদ ক্যাপ্টেন মনসুর আলীর সুযোগ্য সন্তান।

    রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনীতি রক্তে মিশে ছিলো মোহাম্মদ নাসিমের। তিনি এক বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনের অধিকারী ছিলেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহন করা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ নাসিম বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্নে বিভোর ছিলেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম এই নেতা বিভিন্ন আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। রাজনৈতিক জীবনে তিনি বেশ কয়েকবার কারাবরণ করেছিলেন। আজীবন দেশ ও মানুষের সেবায় নিজেকে উৎসর্গ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ ও জাতির অপূরণীয় ক্ষতি হলো।দেশ এক বরেণ্য রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বকে হারালো। জনসেবা ও দেশের উন্নয়নে তাঁর অবদান জাতি চিরজীবন শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করবে।

    শোকবার্তায় তিনি বলেন, আমি মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে মোহাম্মদ নাসিম’র বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি এবং তাঁদের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা ও সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি। মহান সৃষ্টিকর্তা তাঁকে জান্নাতবাসী করুন।আমিন।

    উল্লেখ্য, তিনি ২০১৪-২০১৮ মেয়াদে বাংলাদেশ সরকারের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় এবং ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ন ও গণপূর্ত এবং ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মোহাম্মদ নাসিম আর নেই/বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির শোক

    মোহাম্মদ নাসিম আর নেই/বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম: প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতির শোক

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জাতীয় ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম মারা গেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর।

    শনিবার (১৩ জুন) বেসরকারি হাসপাতাল বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। তার ছেলে তানভীর শাকিল জয় এই তথ্য জানিয়েছেন।

    গত ৫ জুন তিনি ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকে রাজধানীর একটি হাসপাতালে কোমায় ছিলেন। এর আগে, গত ১ জুন রক্তচাপ জনিত সমস্যা নিয়ে এই হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি।

    মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি আমার বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে হারালাম।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, পিতার মতোই মোহাম্মদ নাসিম আমৃত্যু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন। সকল ঘাত-প্রতিঘাত উপেক্ষা করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা প্রতিষ্ঠায় তিনি অনন্য অবদান রেখেছেন।’

    শেখ হাসিনা আরও বলেন, মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুতে বাংলাদেশ একজন দেশপ্রেমিক ও জনমানুষের নেতাকে হারাল। আমি হারালাম একজন বিশ্বস্ত সহযোদ্ধাকে।

    মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক, আওয়ামী রাজনীতির পুরোধা এই রাজনীতিক আমৃত্যু লালন করে গেছেন বঙ্গবন্ধু তথা জাতীয় ৪ নেতার আদর্শ। বারবার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত এই নেতা স্বাস্থ্য, স্বরাষ্ট্রসহ আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

    কারা অভ্যন্তরে জাতীয় ৪ নেতাকে যখন নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়, তখন তরুণ বাকশাল নেতা মোহাম্মদ নাসিম আত্মগোপনে। তাই পিতা ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর সঙ্গে শেষ দেখাটি হয়নি তার।

    জাতির পিতাকে হত্যার ১ দিন পর ৭৫ এর ১৬ আগস্ট মতিঝিল টিএন্ডটি কলোনিতে প্রধানমন্ত্রী পিতা শেষবারের মত বিদায় জানান তাকে। পিতার স্মৃতিচারণে প্রয়াত এ নেতা বলেছিলেন, আমৃত্যু জাতির পিতার আদর্শ ধারণ করে থাকার কথা।

    তার দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক সহচররা নিশ্চয়ই স্বীকার করবেন, জীবনের শেষদিন পর্যন্ত সে পথেই হেঁটেছেন মোহাম্মদ নাসিম।

    সিরাজগঞ্জের কাজীপুরে জাতীয় নেতা ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ মনসুরের ঘরে নাসিমের জন্ম ১৯৪৮ সালের দোসরা এপ্রিল। তরুণ বয়সেই রাজনীতিবিদ পিতার হাত ধরে জড়িয়ে পড়েন রাজনীতিতে।

    ৬৬তে পিতার সঙ্গে বন্দি হন স্বৈরাচারী আইয়ুবের হাতে। কারাবন্দি অবস্থায় পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেন মেট্রিক। জগন্নাথ কলেজের রাজনীতি বিজ্ঞানের ছাত্র মোহাম্মদ নাসিম সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন ছাত্রলীগে।

    মুক্তিযুদ্ধে সক্রিয়ভাবে অংশ নেয়া নাসিম মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তীকালে পিতার নির্দেশে যোগ দেন বাকশালে। ছিলেন পাবনা শাখার সাধারণ সম্পাদক। যুবলীগের নীতি নির্ধারক থেকে হয়েছেন মূল দল আওয়ামী লীগেরও নীতিনির্ধারক।

    বারবার সিরাজগঞ্জ থেকে নির্বাচিত এই সংসদ সদস্য ছিলেন বঙ্গবন্ধু কন্যার ঘনিষ্ঠ সহচর। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন সরকারে দায়িত্ব পালন করেছেন মন্ত্রিসভায়। ছিলেন, স্বরাষ্ট্র, গৃহায়ণ ও গণপূর্ত, ডাক টেলি যোগাযোগ ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী।

    জঙ্গিবাদ প্রতিরোধে প্রগতিশীল ১৪ দলের সংগঠক হিসেবে মোহাম্মদ নাসিমের অসাম্প্রদায়িক ভূমিকা রাজনীতির মাঠে সমান আলোচনা যুগিয়েছে আমৃত্যু।

    করোনা শনাক্তের পর রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে মাইল্ড স্ট্রোক করেন তিনি। চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বর্ষীয়ান এ আওয়ামী লীগে নেতা।

    ২৪ ঘণ্টা/আর এস পি

  • মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন

    মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন

    করোনাভাইরাসে আক্রান্ত আওয়ামী লীগ প্রেসিডিয়াম সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের মুখপাত্র ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের অবস্থা সংকটাপন্ন। তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছে।

    শনিবার (৬ জুন) দুপুরে মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় এ কথা জানিয়েছেন।

    তিনি বলেন, ‘উনার অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটাপন্ন। নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) ভেন্টিলেশনে আছেন তিনি।

    ‘অস্ত্রোপচারের পর উনি ৭২ ঘণ্টার পর্যবেক্ষণে রয়েছেন। এরপর চিকিৎসকরা পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবেন’ যোগ করেন তিনি।

    দেশবাসীর কাছে মোহাম্মদ নাসিমের জন্য দোয়া চেয়েছে তার পরিবার।

    জ্বর-কাশিসহ করোনাভাইরাসের লক্ষণ নিয়ে গত ১ জুন দুপুরে ঢাকার শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি হন নাসিম। সেখানেই করোনাভাইরাস পরীক্ষার জন্য তার নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

    রাতে ওই পরীক্ষার ফল ‘পজিটিভ’ আসে। তার পরের তিন দিন পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও শুক্রবার সকালে নাসিমের মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তার অস্ত্রোপচার করা হয়।

    হাসপাতালের নিউরো সার্জন অধ্যাপক রাজিউল হকের নেতৃত্বে কয়েক ঘণ্টার অস্ত্রোপচার শেষে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) স্থানান্তর করা হয়।

    ২০১৪ সালের সংসদ নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগ সরকারের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মোহাম্মদ নাসিম। এর আগে ১৯৯৬-২০০১ সালের আওয়ামী লীগ সরকারের সময় স্বরাষ্ট্রসহ একাধিক মন্ত্রণালয়ে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মোহাম্মদ নাসিমের করোনা শনাক্ত

    মোহাম্মদ নাসিমের করোনা শনাক্ত

    সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিমের করোনা শনাক্ত হয়েছে।

    সোমবার (১ জুন) রাতে তার ছেলে সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

    এর আগে শারীরিক ‘দুর্বলতা’ নিয়ে রাজধানীর শ্যামলীর বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হসপিটালে ভর্তি হন মোহাম্মদ নাসিম।

    হাসপতালে ভর্তির পর তার করোনাভাইরাসের পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করে পাঠানো হয়। পরীক্ষায় তার করোনা পজিটিভ আসে।

    মোহাম্মদ নাসিমের ছেলে ও সাবেক সংসদ সদস্য তানভীর শাকিল জয় সকলের কাছে দোয়া চেয়ে জানান, বাবার শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল আছে। শ্বাসকষ্ট বা করোনার উপসর্গ নেই। ইউরিনের সমস্যা আছে। আপাতত এই হসপিটালে রেখেই চিকিৎসা চলবে। সমস্যা বেশি হলে সিএমএইচএ নিয়ে যাওয়া হবে।

    তিনি বলেন, বাবা শারীরিকভাবে দুর্বল অনুভব করায় ওনাকে স্যালাইন দিয়ে রাখা হয়েছে। তবে উনি সার্বিকভাবে স্থিতিশীল আছেন।

    নাসিমের শারীরিক অবস্থার কথা প্রধানমন্ত্রীকে জানানোর পর প্রধানমন্ত্রী তাকে রাতের মধ্যেই সিএমএইচে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    ৭২ বছর বয়সী মোহাম্মদ নাসিম জাতীয় চার নেতার অন্যতম ক্যাপ্টেন এম মনসুর আলীর ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জ-১ আসন থেকে পাঁচবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। আওয়ামী লীগের দুই মেয়াদে স্বরাষ্ট্র ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।

    এদিকে অপর একটি সূত্র জানায়, মোহাম্মদ নাসিমের স্ত্রী ও তাদের গৃহকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারা এখন সুস্থ হয়ে বাসায় অবস্থান করছেন। এরপরই মোহাম্মদ নাসিমের করোনার উপসর্গ দেখা দেয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর