Tag: মো. ইলিয়াস হোসেন

  • ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

    ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার পেলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক

    করোনা মহামারির সময় স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের ভোগান্তি কমাতে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের চালু করা ‘হাসপাতাল তথ্য বাতায়ন’ এবং অস্ত্রের লাইসেন্স জালিয়াতি ঠেকাতে ‘স্মার্ট ফায়ার আর্মস লাইসেন্স ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’ চালুর জন্য ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড পুরস্কার পেয়েছেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. ইলিয়াস হোসেন।

    শুক্রবার (১১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকার বাংলাদেশ ফিল্ম আর্কাইভের মাল্টি-পারপাস হলে দেশের সর্ববৃহৎ তথ্য প্রযুক্তি মেলার সমাপনী দিনে তাকে ডিজিটাল ওয়ার্ল্ড-২০২০ পুরস্কার তুলে দেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

    তথ্য ও যোগাযোগ ব্যবহার করে নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের জন্য তাকে এ পুরস্কার দেওয়া হয়েছে।

    অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সংসদ বিষয়ক স্থায়ী কমিটির চেয়ারম্যান এ কে এম রহমতুল্লাহ, আইসিটি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের নির্বাহী পরিচালক পার্থ প্রতীম দেব, বেসিসের সভাপতি সৈয়দ আলমাস কবির উপস্থিত ছিলেন।

    দেশে করোনা সংক্রমণ শুরুর পর চট্টগ্রামে লোকজনকে ঘরে রাখতে নিয়মিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, কর্মহীন দিনমজুরদের ঘরে ঘরে খাবার পৌঁছে দেওয়া, অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ করোনার চিকিৎসা সামগ্রীর দাম নিয়ন্ত্রণ, স্বাস্থ্যসেবায় মানুষের ভোগান্তি কমাতে ‘হাসপাতাল তথ্য বাতায়ন’ চালুসহ চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নানা উদ্যোগ দেশব্যাপী প্রশংসা পায়।

    করোনা মোকাবিলায় জেলা প্রশাসনের এসব কাজ সার্বক্ষণিক মনিটরিং করেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    মো. ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশনায় দেশের প্রথম জেলা হিসেবে আগ্নেয়াস্ত্র লাইসেন্স ডিজিটাল করার উদ্যোগ নেয় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন। সনাতন পদ্ধতির কাগুজে লাইসেন্সের পরিবর্তে স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স কার্ড দেওয়া শুরু হয় অস্ত্রের মালিককে।

    এর ফলে ভুয়া এবং জাল অস্ত্রের লাইসেন্স তৈরির পথ বন্ধ হয়ে যায়। স্মার্ট আর্মস লাইসেন্স ছাড়াও স্মার্ট ডিলিং লাইসেন্সের মাধ্যমে জেলা প্রশাসনের প্রায় ১৭টি সেবা ডিজিটাল করা হয়।

    ২০১৮ সালের ৬ মার্চ বন্দরনগরী চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দায়িত্ব নেন বিসিএস ২০তম ব্যাচের কর্মকর্তা মো. ইলিয়াস হোসেন।

    তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর চট্টগ্রাম বন্দরের লাইফ লাইন হিসেবে খ্যাত কর্ণফুলী নদীর দুই পাশে দীর্ঘদিন ধরে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

    টানা পাঁচ দিন অভিযান চালিয়ে চট্টগ্রাম নগরের সদরঘাট থেকে বারিক বিল্ডিং পর্যন্ত কর্ণফুলী নদী তীরের প্রায় ২ কিলোমিটার এলাকা দখলমুক্ত করা হয়।

    ২৩০টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে বেদখলে থাকা প্রায় ১০ একর সরকারি জমি উদ্ধারের পাশাপাশি পাঁচটি খালের মুখও দখলমুক্ত করা হয় এই অভিযানে।

    নগরের সরকারি বেসরকারি মালিকানাধীন ১৭টি পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে তৈরি করা স্থাপনা উচ্ছেদে একাধিক অভিযান পরিচালনা করা হয় মো. ইলিয়াস হোসেনের সময়ে।

    ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে অবৈধ সংযোগ বিছিন্ন না করলে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেড, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড এবং চট্টগ্রাম ওয়াসার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা দায়েরের হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

    প্রতি বর্ষার আগেই জেলা প্রশাসনের উচ্ছেদ অভিযানসহ নানা উদ্যোগের কারণে গত কয়েকবছরে পাহাড়ে ভূমিধসে প্রাণহানির ঘটনা কমেছে বলে দাবি সংশ্লিষ্টদের।

    জেলা প্রশাসনের ভূমি অধিগ্রহণ (এলএ) শাখায় ক্ষতিপূরণের চেক উত্তোলনে হয়রানি এবং অস্বচ্ছতার অভিযোগ ছিলো দীর্ঘদিনের।

    ক্ষতিপূরণের চেক হস্তান্তর প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আনতে ভূমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রয়োজনীয় তথ্য নিয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরির উদ্যোগ নেন জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    এ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে স্থাবর সম্পত্তি অধিগ্রহণ ও হুকুম দখল আইন ২০১৭ অনুযায়ী চট্টগ্রামে যেসব প্রকল্পের ভূমি অধিগ্রহণ করা হচ্ছে সেসব প্রকল্পের বিস্তারিত তথ্য ঘরে বসেই পাচ্ছেন সংশ্লিষ্টরা।

    চট্টগ্রামে প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়নে জেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে নিয়মিত পরিদর্শন শুরু করেন মো. ইলিয়াস হোসেন। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের উদ্বুদ্ধ করতে নিজেই তাদের পাঠদান করেন।

    এছাড়া বিদ্যালয়ের প্রতি শিক্ষার্থীদের আগ্রহী করে গড়ে তুলতে স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহায়তার বিদ্যালয়ে মিড ডে মিল চালুর জন্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের নির্দেশনা, স্কুলে খেলনা সামগ্রী উপহার দেওয়াসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেন তিনি।

    প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করায় চলতি বছরের জানুয়ারিতে চট্টগ্রাম বিভাগের শ্রেষ্ঠ ডিসি নির্বাচিত হন মো. ইলিয়াস হোসেন।

    তার সময়ে ভেজাল খাদ্য, মাদক, বেশি দামে ওষুধ বিক্রি ঠেকাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে নজিরবিহীন অভিযান পরিচালনা করছে জেলা প্রশাসন।

    এক সময়ে ময়লার ভাগাড় হিসেবে পরিচিত চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানাকে বদলে দিয়ে দৃষ্টিনন্দন করাসহ নানা উদ্যোগ গ্রহণ করায় ২০১৯ সালে জনপ্রশাসন পদক লাভ করেন মো. ইলিয়াস হোসেন।

    চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার অবকাঠামোগত উন্নয়ন, সংস্কার, সাধারণ ও অবহেলিত দুস্থ শিক্ষার্থীদের জন্য প্রাণি বিষয়ক সচেতনতামূলক শিক্ষা কার্যক্রম, নতুন নতুন প্রাণি সংযোজন, সংরক্ষণ ও পর্যটন সুবিধা বৃদ্ধির মাধ্যমে পরিবেশ ও আর্থসামাজিক উন্নয়নের জন্য তিনি এ পদক গ্রহণ করেন

  • কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম গ্রাম হচ্ছে শহর!

    কথা রেখেছেন জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন, ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম গ্রাম হচ্ছে শহর!

    হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাটহাজারী উপজেলার দুর্গম এলাকা মনাই ত্রিপুরা পল্লীতে বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সার্বিক জীবন মান উন্নয়নের জন্য অঙ্গীকার করেছিলেন চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন।

    চলতি বছরের আগস্ট মাসে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রুহুল আমিনের সহযোগীতায় প্রথমবারের মতো দুর্গম এ পাহাড়ি এলাকায় গিয়েছিলেন তিনি। তখন এলাকার সুবিধা বঞ্চিত শিশুদের মাঝে প্রাথমিক শিক্ষা বৃত্তি প্রদান করেছিলেন। কথা দিয়েছিলেন পাহাড়ি দুর্গম এলাকার সকল সমস্যা নিরসনে তিনি সার্বিক সহযোগীতা করে যাবেন।

    তিনি কথা রেখেছেন। আজ মঙ্গলবার মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় বিদ্যালয়ের প্রায় ১৩০ জন শিশুদের হাতে তিনি তুলে দিয়েছেন স্কুল ইউনিফর্ম, স্কুল ব্যাগ, খাতা, কলম, পানির বোতল, রেইনকোট, হ্যান্ডওয়াশ এবং বিভিন্ন ক্রীড়া উপকরণ (ফুটবল, ক্রিকেট, ব্যাডমিন্টন)।

    দুপুরে উপজেলার ফরহাদাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়া মনাই ত্রিপুরা পাড়ায় এসব ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তিনি এসব সামগ্রী বিতরণ করেন।

    এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুত ‘আমার গ্রাম-আমার শহর’ উদ্যোগ বাস্তবায়নে দৃঢ প্রতিজ্ঞ জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন। এ লক্ষ্যে ত্রিপুরা পল্লীর দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠির জীবন মান উন্নয়নে এ এলাকায় দ্রুতই প্রশস্ত সড়ক নির্মাণ, গৃহহীনদের জন্য দূর্যোগ সহনীয় ঘর নির্মাণ এবং বিদ্যুৎ সংযোগ স্থাপনসহ নানান উদ্দ্যেগ গ্রহণ করেছেন তিনি।

    ত্রিপুরা পাড়ার জনসাধারণ প্রত্যন্ত এলাকায় থেকেও যাতে শহরের সকল সুবিধা ভোগ করতে পারে এজন্য মঙ্গলবার দুপুরে দ্বিতীয় বারের মতো দুর্গম এলাকায় উপস্থিত হয়ে এলাকায় দূর্যোগ সহনীয় বাসগৃহ নির্মাণ কাজের শুভ উদ্বোধন ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন জেলা প্রশাসক।

    আয়োজিত উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইসতেহারে বলেছিলেন গ্রাম হবে শহর। তাই প্রত্যেক গ্রামকে শহরের আদলে সাজাতে সরকার আন্তরিক ভাবে কাজ করছেন। সরকারের উন্নত দেশ গড়ার ভিশন বাস্তবায়ন করতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ করতে হবে।

    সরকারের এ চ্যালেন্সকে সামনে রেখে ফরহাবাদ ইউনিয়নের উদালিয়ার অবহেলিত ত্রিপুরা পল্লীর জনগোষ্ঠির জীবনমান উন্নয়নে প্রশাসন কাজ করে যাচ্ছে। যে ত্রিপুরা পল্লীতে কোন স্বাস্থ্য, শিক্ষা,স্যানিটেশন,যোগাযোগ, বিনোদন, বিদ্যুৎ,ধর্মীয় উপাসনালয় ছিল না। বর্তমানে এ পল্লীবাসী এসব বিষয়ে অগ্রগতি হয়েছে। এসব সমস্যার বেশীর ভাগই সমাধান হয়েছে। বাকী সমস্যা গুলো সমাধানের জন্য প্রশাসন কাজ করছে।

    শুস্ক মৌসুমে ৭৮ লক্ষ টাকা ব্যয়ে এইচবিবি সড়ক নির্মাণ কাজ শুরু হবে। অবহেলিত এ পল্লীর অধিবাসীদের দূর্যোগ সহনীয় বাসস্থান নির্মাণের উদ্যেগ গ্রহন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার মাধ্যমে উন্নয়ন কাজ পরিচালনা করে ক্ষুদ্র-নৃ-গোষ্ঠির এ পল্লীকে মডেল হিসাব গড়ে তুলে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত ২০৪১ সালের মধ্যে গ্রামকে শহরের পরিণত করার অঙ্গিকার বাস্তবায়ন করা হবে।

    ত্রিপুরা পল্লী চত্বরে আয়োজিত অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন হাটহাজারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ রুহুল আমীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন, হাটহাজারী প্রেসক্লাবের সভাপতি কেশব কুমার বড়ুয়া, ১নং ফরহাদাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো, ইদ্রিস মিয়া তালুকদার।

    উপজেলা প্রকল্প বাস্তবয়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ নিয়াজ মোরশেদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ইউপি সদস্য সিরাজুল ইসলাম এমরান ও ত্রিপুরা পল্লীর অধিবাসীদের পক্ষে সচিন ত্রিপুরা। পরে অতিথিবৃন্দ শিক্ষার্থীদের মধ্যে শিক্ষা উপকরণ, স্কুল ড্রেস, ক্রীড়া সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সরঞ্জাম বিতরণ করেন।

    সভাপতির বক্তব্যে ইউএনও রুহুল আমিন বলেন, শুধু স্বপ্ন দেখলে হবে না। স্বপ্নকে বাস্তবে রুপ দিতে আন্তরিক ভাবে কাজ করতে হবে। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসকের স্টাফ অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম, ইউপির প্যানেল চেয়ারম্যান আলী আকবরসহ ইউপি সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

  • পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    পাথরঘাটা বিস্ফোরণ : নিহতের পরিবার পাচ্ছে ২০ হাজার টাকা, ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রাম নগরীর কোতোয়ালী থানা পাথরঘাটা ব্রিক ফিল্ড রোড বড়ুয়া ভবনে গ্যাস লাইন লিকেজ হয়ে বিষ্ফোরণের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন। তিনি আজ রবিবার বেলা পৌণে ১২টার সময় ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে এ নির্দেশনা দেন।

    তিনি সাংবাদিকদের জানিয়েছেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন, সিডিএ, সিটি করপোরেশন, ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশ প্রশাসনের যৌথ সমন্বয়ে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে কমিটিকে আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন। অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্টেটকে তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে।

    এছাড়া জেলা প্রশাসক উপস্থিত সাংবাদিকদের জানিয়েছেন গ্যাস লাইন বিস্ফোরণে নিহত ৭ জনের দাফন কাফনের জন্য প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা করে নগদ অর্থ দেওয়া হবে এবং জেলা প্রশাসন ও সিটি করপোরেশন যৌথভাবে আহতদের চিকিৎসা সেবার দায়িত্ব নিয়েছেন।

    এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন ও সিএমপির উদ্ধতন কর্মকর্তা এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।

    এদিকে বিস্ফোরণের ঘটনার পর সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষের নির্দেশে সিডিএর প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ শাহিনুল ইসলামসহ একটি টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করে প্রাথমিক তদন্তে বলেছেন দুর্ঘটনা কবলিত ভবনটি নিডিএর বিধি অনুযায়ী হয়নি।

    সড়কের জায়গা দখল করে তৈরি করা হয়েছে সেপটিক ট্যাংক তার পাশে কিচেন এবং গ্যাসের রাইজার রাখা ছিলো। ফলে সেপটি ট্যাংকের জমে থাকা গ্যাস ও গ্যাস লাইনের লিকেজ একসাথে হয়ে বিকট শব্দে বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে থাকতে পারে বলে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করছে সিডিএর এ পরিকল্পনাবিদ।