২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে পড়লে আহতদের তিন মাস বিভিন্ন পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা দিয়ে আলোচিত হয় এনাম মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ও এর প্রতিষ্ঠাতা ডাঃ মোঃ এনামুর রহমান। পরবর্তীতে তৎকালীন সাংসদ মুরাদ জংয়ের পরিবর্তে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কর্তৃক তিনি ঢাকা-১৯ আসনের দশম জাতীয় সাংসদ হিসেবে মনোনয়ন পান এবং নির্বাচিত হন। বর্তমানে তিনি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয় এর প্রতিমন্ত্রী।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরের পর তার অফিসে গিয়েছিলেন বাকের ভাই নামে খ্যাত সাবেক মন্ত্রী ও বর্তমান সংসদ সদস্য বিশিষ্ট্য অভিনেতা এবং আবৃত্তি শিল্পী আসাদুজ্জামান নূর।
এরপর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী।
২৪ ঘণ্টা ডট নিউজের পাঠকদের জন্য স্ট্যাটাসটি হুবহু তুরে ধরা হলো: তখন আমি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের ছাত্র। বাবা নেই। মা,চার ভাই, তিন বোন। সন্তানদের মধ্যে আমি সবার বড়। টানাটানির সংসার। তার উপর মেডিকেলের বই পত্র কেনা। অনেক খরচ। শেষমেষ বাড়তি রোজগারের আশায় শিক্ষার্থী অবস্থায় কাজ নিলাম একটা মার্কেট রিসার্চ প্রতিষ্ঠানে। ইস্ট এশিয়াটিক অ্যাডভার্টাইজিং লিমিটেড। চট্টগ্রাম শহরে দোকানে দোকানে ঘুরি। গোল্ড ফ্লেক সিগারেটের নতুন তিনটা মোড়ক- এর মধ্যে কোনটা বেশি পছন্দের তা নিয়ে জরিপ করি। প্রতিদিনের মজুরি মাত্র ২’শ টাকা। আমার কাজে সন্তুষ্ট হয়ে অল্প কিছুদিনের মাথায় মজুরি বেড়ে দাঁড়াল দিন প্রতি ৪’শ টাকা। জীবনের প্রথম উপার্জন। বেশ চলে যেত। সংসার চালানো থেকে ভাই বোনের লেখাপড়ার খরচ- মোটামুটি চলনসই পর্যায়ে নিয়ে এলাম নিজের পরিবারকে।
সেসময় নূরু ভাই ছিলেন ওই কোম্পানির জেনারেল ম্যানেজার। ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। এই কথা এজন্য বলছি যে, আজ অপরাহ্ণে মন্ত্রণালয়ে আমার অফিস কক্ষে এসেছিলেন শ্রদ্ধেয় নূর ভাই। আসাদুজ্জামান নূর। জনপ্রিয় অভিনেতা,সাবেক সংস্কৃতি মন্ত্রী এবং নীলফামারী-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য। প্রথম দর্শনেই পা ছুঁয়ে সালাম করতেই আমাকে বুকে জড়িয়ে নিলেন তিনি। বললেন, এনাম তুমি যেভাবে অতীতের কথা মনে করো,এই সময় এমনটা কেউ করে না! সবাই অতীত ভুলে যায়। আচ্ছা। আমি কেন ভুলবো? আমরা অতীতটাই তো আমার অহংকার আর গৌরবের। তাইনা!