Tag: ম্যাজিস্ট্রেট

  • ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই দোকানে সাটানো মূল্য তালিকায় ঘষা-মাজা/ অর্থদণ্ড

    ম্যাজিস্ট্রেট দেখলেই দোকানে সাটানো মূল্য তালিকায় ঘষা-মাজা/ অর্থদণ্ড

    ২৪ ঘণ্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বাজারে ম্যাজিস্ট্রেট প্রবেশ করতেই অনেক দোকানী তাদের সামনে সাটানো মূল্য তালিকায় দাম কমিয়ে ঘষা মাঝা করছে। আবার অনেকে দোকানের সামনে মূল্য তালিকাও উধাও। কিছু কিছু ব্যবসায়িকে নিজেদের মতো করে দাম নিতে দেখা যায়।

    আজ সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর নগরীর আগ্রাবাদের চৌমুহনী বাজার ও ২ নং গেইটের কর্ণফুলী মার্কেটে পেঁয়াজের খুচরা বাজারের চিত্র এটি।

    গত কয়েকদিন ধরে চট্টগ্রামে আবারো মাথা চড়া দিয়ে উঠা পেঁয়াজের ঝাঁঝ কমাতে পাইকারি বাজারের পর এবার খুচরা বাজারেও অভিযানে নেমেছে জেলা প্রশাসন।

    পেঁয়াজের মূল্য তালিকায় লাগাম টানতে নগরীর দুটি বাজারে আজ অভিযান পরিচালিত হয়। সোমবার ৭ সেপ্টেম্বর বেলা ১২ টা থেকে দুপুর ৩টা পর্যন্ত চলে এ অভিযান।

    জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরিন আক্তার ও মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত অভিযানে ৯ ব্যবসায়ির কাছ থেকে মোট ১৪ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

    অতিরিক্ত মূল্যে পেয়াজ বিক্রি ও মূল্য তালিকা না থাকায় কর্ণফুলী মার্কেটের হাজা স্টোর, নিউ বিসমিল্লাহ স্টোর, কাশেম স্টোরকে ২ হাজার টাকা করে এবং হাজী স্টোরকে ১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    অন্যদিকে একই অপরাধে নগরীর আগ্রাবাদ চোমুহনী মার্কেটের নুরে মদীনা স্টোরকে ২ হাজার, সাগর স্টোরকে ২ হাজার, এবং মিলন স্টোর, আরিফুল স্টোর ও আলাউদ্দিন স্টোরকে ১ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়।

    পেয়াজের মূল্য বৃদ্ধিতে কারা জড়িত তাদের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে জানিয়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উমর ফারুক বলেন, আজ খুচরা বাজারে অভিযান পরিচালনার সময় দেখা যায়, কম দামে পেয়াজ কেনা থাকলেও বাজারে পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে তারা প্রতি কেজি পেয়াজ ১০ থেকে ১৫ টাকা বৃদ্ধিতে বিক্রি করছে। যার ফলে তাদের অর্থদণ্ড প্রদান করা হয়েছে।

    ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, পাইকারি ও খুচরা বাজারে পেয়াজের মূল্য যাতে বৃদ্ধি না হয় সে লক্ষ্যে আমাদের বাজার মনিটরিং অব্যাহত আছে। যদি কোন অসাধু ব্যবসায়ী পেয়াজের দামে আগের মতো কারসাজি করার চেষ্টা করে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • এবার করোনা জয় করলেন ৯৪ বছরের বৃদ্ধ

    এবার করোনা জয় করলেন ৯৪ বছরের বৃদ্ধ

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনা’র মরণঘাতী ছোবলে পুরো বিশ্বের ন্যায় ভারতও যখন দিশেহারা ঠিক তখনই ৯৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের করোনা জয়ের খবরে কিছুটা আশার আলো দেখছে দেশটির জনগণ।

    ভারতের উত্তর প্রদেশের গৌতম বুদ্ধ নগরের ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস ললিনাকারে ইয়াথিরাজ রোববার ৯৪ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের করোনা জয়ের খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শেয়ার করে এবং তা মুহূর্তের মধ্যেই ভাইরাল হয়ে যায়।

    ভাইরাসটিকে পরাজিত করে সুস্থ হয়ে ওঠায় বৃদ্ধের দৃঢ় মনোবলের প্রশংসা করেন ম্যাজিস্ট্রেট নিজেও। তিনি বলেন, রোববার গৌতম নগরে ৬০ জন করোনা আক্রান্ত রোগী সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাদের মধ্যেই ওই বৃদ্ধ একজন।

    টুইটারে ওই বৃদ্ধের ছবি টুইট করে ম্যাজিস্ট্রেট সুহাস লিখেছেন, স্যার, আপনি আমাদের আরও কঠোর পরিশ্রম করার অনুপ্রেরণা জোগাচ্ছেন। টুইটে তার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন তিনি।

    গৌতম বুদ্ধ নগরের জেলা তথ্য কর্মকর্তা রাকেশ চৌহান বলেন, রোববার শারদা হাসপাতাল থেকে ১০ রোগীকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। করোনার সফল চিকিৎসায় সুস্থ হওয়াদের মধ্যে ছিলেন ৯৪ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ।

    দেশটির সরকারি সংবাদসংস্থা পিটিআই বলছে, নবতিপর এই বৃদ্ধকে কয়েক দিন আগে গৌতম বুদ্ধ নগরের বেসরকারি শারদা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কোভিড-১৯ রোগীদের চিকিৎসার জন্য নির্ধারিত এই হাসপাতাল থেকে রোববার ছাড়পত্র পান তিনি।

    এর আগে করোনার আরেক মৃত্যুপুরী ইতালীতে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর সুস্থ হয়ে বাসায় ফিরেছেন ১০১ বছর বয়সী এক বৃদ্ধ। ১০১ বছরের বৃদ্ধ মিস্টার পি’র বাড়ি ইতালির রিমিনিতে।

    রিমিনির ভাইস মেয়র গ্লোরিয়া লিসি স্থানীয় সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, ১৯১৯ সালে জন্মগ্রহণ করেন ওই ব্যক্তি। তার শরীরে কোভিড-১৯ এর উপস্থিতি পাওয়া যাওয়াই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ১০১ বছরের বৃদ্ধের সুস্থ হয়ে যাওয়ার পর গোটা দেশে আশার আলো দেখা দিয়েছিল।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন’র সহযোগিতায় বাঁচল পথচারীর প্রাণ

    ম্যাজিস্ট্রেট আফরিন’র সহযোগিতায় বাঁচল পথচারীর প্রাণ

    করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ও দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রনের লক্ষ্যে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন। সোমবার (২৭ এপ্রিল) সকালে হঠাৎ বিকট শব্দ, নগরীর বাকলিয়া এলাকায় বালুর ট্রাকের ধাক্কায় একজন পথচারী রাস্তা পারাপারের সময় বালুবাহী ট্রাকের চাকার নিচে পড়ে গুরুত্ব আহত হয়।

    ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন নিজেই চাকার নিচে আটকা পড়া আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতেই চমেক হাসপাতালে নিয়ে যান।

    আজ সকালে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে নগরীর বাকলিয়ার লিজা গার্ডেন এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। এ সময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিনের ভাম্যমান আদালত ঐ এলাকাতেই আদালত পরিচালনা করছিলেন। হঠাৎ বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসা একটি বালুর ট্রাক এক পথচারীকে চাপা দিলে, ম্যাজিস্ট্রেট রেজওয়ানা আফরিন দ্রুত এগিয়ে এসে আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিজের গাড়িতে করে হাসপাতালে নিয়ে যান।

    ঘটনাস্থল থেকে ঘাতক ট্রাকের ড্রাইভারকে আটক করে ম্যাজিস্ট্রেটের গাড়িতে তোলেন।

    আটক ট্রাক ড্রাইভার

    এসময় বিটিভির সাংবাদিক শারমিন সুমি ও নিউজটিম পাশেই ছিলেন, তারাও এগিয়ে এসে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেন।

    ম্যাজিস্ট্রেট আহত ব্যাক্তিকে চমেক হাসপাতালের জরুরি বিভাগে ভর্তি করেন ।

    পরে , বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করে,চমেক হাসপাতালের সামনে থেকে ট্রাক ড্রাইভার ও গাড়ির চাবি বাকলিয়া থানাকে হস্তান্তর করেন।

    চমেক হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মোঃ জহিরুল হক ভুঁইয়া জানান, আহত ব্যক্তির শারীরিক অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক তাঁর নাম মোহাম্মদ আজম (৫৫)। তিনি বর্তমানে চমেক হাসপাতালের ২৮ নং ওয়ার্ডের ২০ নং বেডে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানান ।

    তিনি বাকলিয়া এলাকার কালা মিয়া বাজারের বাদশাহ মিয়া বাড়ীর বাসিন্দা এবং লিজা গার্ডেন ক্লাবের দারোয়ান বলে জানা গেছে ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    করোনায় আক্রান্ত ম্যাজিস্ট্রেট তানিয়ার আবেগঘন স্ট্যাটাস

    ২৪ ঘণ্টা ডট নিউজ। জেলা সংবাদ || বিশ্বে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত মৃতের সংখ্যা। বাংলাদেশেও থেমে নেই। দেশে এখন করোনা হটস্পট নারায়নগঞ্জ।

    দেশের মধ্যে এখন আতঙ্কের জনপদে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ। সর্বশেষ আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৪ শতাধিক।

    সরকারি হিসাবমতে এখানে করোনায় মৃত্যু হয়েছে ৩০ জনের। করোনার ছোবল থেকে রক্ষা পাচ্ছে না সিভিল সার্জন, চিকিৎসক, পুলিশ, সাংবাদিক, ম্যাজিস্ট্রেট কেউই। মারা গেছেন ত্রাণ শাখার এক কর্মচারী।

    ইতিমধ্যে ১০ চিকিৎসকের পাশাপাশি আক্রান্ত হয়েছেন জেলা প্রশাসনের তিন ম্যাজিস্ট্রেট, তাদেরই একজন নারায়ণগঞ্জের ই-সেবা কেন্দ্রের সহকারী কমিশনার তানিয়া তাবাসসুম তমা।

    বর্তমানে তিনি, তার স্বামী, মা করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। তিনি ছাড়াও আক্রান্ত হয়েছেন আরো দুইজন সহকারী কমিশনার।

    নিজের ১ বছরের ছেলে ও ৩ বছরের মেয়েকে ঢাকায় মায়ের কাছে রেখে করোনা মোকাবেলায় কাজ করেছেন। তবুও প্রশাসনের কার্যক্রম নিয়ে প্রশ্নবিদ্ধ হতে হয়েছে তাদের নানা সময়।

    গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে হোম আইসোলেশনে থাকা এই নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তার ফেসবুক আইডি থেকে কোভিড-১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায়না না অভিজ্ঞতা শেয়ার করেছেন তার টাইমলাইনে।

    স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন ‘ কোভিড ১৯ যুদ্ধ ও জনসেবায় প্রশাসন। করোনার ভয়াল থাবা এসে পড়তে দেরী নেই, সবাই প্রস্তুত হও, সরকারের নির্দেশ। সরকারের কর্মচারী তাই পিছপা হবার সুযোগ নেই।

    দেশের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা আর দায়িত্ববোধই প্রশাসনের চাকরির ধর্ম। অগত্যা ১ বছরের তাইফ আর ৩ বছরের নামিরাকে মায়ের কাছে ঢাকায় রেখে নারায়ণগঞ্জে থাকতে শুরু করলাম।

    নিয়মিত অফিস, মোবাইল কোর্ট, গণসচেতনতা কার্যক্রম, জরুরী ত্রাণ কাজ, কন্ট্রোল রুম ডিউটি, প্রতিদিনের রিপোর্টসহ প্রেস ব্রিফিং তৈরী, বেসরকারি ত্রান সংগ্রহ কার্যক্রম যখন যেটা সামনে পড়েছে করেছি।

    ভাবছেন এতো বলছি কেন, এসব তো প্রশাসনের কাজই। হ্যা, সেজন্যই ফটোসেশন, ফেসবুক পোস্ট বাহুল্য এড়িয়ে চলেছি। আমি খুব নিভৃতচারী তাই কাজকে প্রাধান্য দিয়িছি আগে।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের ছাত্রী ছিলাম বলে জীবাণু নিয়ে কিছুটা অভিজ্ঞতা রাখি বলে দাবী করি। জীবাণু ভীতিটাও তাই সরিয়ে রেখে কাজ করতে পেরেছি বোধ হয়।

    সারাদিনের চেষ্টা ক্লান্তি শেষে যখন দেখতাম লোকজন কথা শুনছে না, একই ব্যক্তি নানা অজুহাতে ঘরের বাইরে আসছে, ভিন্ন ভিন্ন পরিচয়ে ত্রাণ চাইছে আর প্রশাসনের সকল কাজ নিয়েই, যত দোষ নন্দঘোষ অপপ্রচার তখন শুধু নতুন উদ্যম হাতরে খুজে বেড়াতাম।

    কিন্তু খারাপ লাগা ঘিরে ধরত যখন ভিডিও কলে সন্তানের মুখ আর প্রিয় স্বরগুলো শুনতে পেতাম। নিজের চেয়ে বেশি ভাবতাম পরিবারকে নিয়ে। জানেন কতো রাতে ঘুমাতে পারিনি।

    শারীরিক মানসিকভাবে কিছুটা দুর্বলও হয়ে পড়েছিলাম। তার মধ্যে সারা দেশে রি রি করে উঠলো প্রশাসন বিশেষ করে নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসন নাকি পিপিই চোর।

    অথচ ডিসি স্যার নিজ উদ্যোগে আমাদের সেটা যোগাড় করে দিয়েছিলেন। পরে যতো বেসরকারি পিপিই পাওয়া গিয়েছিলো চিকিৎসকসহ অন্য সবাইকে দেওয়া হয়েছিলো জন স্বার্থে।

    যাইহোক নূন্যতম নিরাপত্তাটুকু নিয়েই কাজ চালিয়ে গিয়েছি, সকল প্রশাসন যোদ্ধারাও সারাদেশে তাই করছে। মুসলমান হিসেবে মৃত্যু ভয় মনে রাখিনি, প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসীর প্রাণ বাঁচাতেই দৌড়ে বেড়িয়েছি।

    নিজ জেলা চাঁদপুর, কিন্তু কর্মস্থল দেশের সমৃদ্ধ একটি জেলা নারায়ণগঞ্জকে আজকে যখন লোকে বাংলাদেশের উহান বলছে তখন বুকটা মুচরে উঠে।

    আপনাদের সেবা করতে গিয়ে আজ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা কর্মচারি আক্রান্ত, ত্রাণ কাজের একজন পরিশ্রমী কর্মচারি মৃত্যুবরণ করেছেন।

    এখনও মনে পড়ছে শেষ যেদিন সন্ধ্যায় কাশিপুর, গোগনগর এলাকায় মোবাইল কোর্ট করছিলাম মাইকে চিৎকার করে বলছিলাম প্রিয় নারায়ণগঞ্জবাসী, এ জেলার অবস্থা আর কতো খারাপ হলে আপনারা সচেতন হবেন!

    আজ আমি, আমার পরিবার (স্বামী, মা), প্রশাসন পরিবার কোভিড ১৯ আক্রান্ত। আমাদের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ পাওয়ার পর আত্মীয়, বন্ধু বিশেষ করে বাংলাদেশ এডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস এসোসিয়েশন আমাকে যেভাবে সাহস যুগিয়ে যাচ্ছেন মনে হচ্ছে এ যাত্রায় বেঁচে গেলে আল্লাহ যেন দ্রুত আবার সুস্থ্য করে দেন, দেশের সেবা করার তৌফিক দেন।

    তাদের সকলের নাম বলতে গেলে তালিখাটি দীর্ঘ হয়ে পোস্টটি আরো বড় হয়ে যাবে।

    অসংখ্য ধন্যবাদ সকলকে। ভালো থাকুক নারায়ণগঞ্জ, ভালো থাকুক প্রিয় দেশ। সবাই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দোয়া করবেন।

    সাধারণ এ জীবনে বহু ঘাত প্রতিঘাত পার করেছি। সন্তান দুটো জন্ম দিতে গিয়ে দু দুবার মৃত্যুর মুখ থেকে আল্লাহ ফিরিয়ে দিয়েছেন ওদের ভাগ্যে। আবার যেন আমরা প্রিয় মুখগুলোর কাছে ফিরে যেতে পারি, আল্লাহ যেন সবাইকে তার রহমতের ছায়ায় রাখেন। আমিন।’

    ২৪ ঘণ্টা/ আর এস পি

  • ফটিকছড়িতে ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

    ফটিকছড়িতে ভূয়া ম্যাজিস্ট্রেট গ্রেফতার

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুর থানাধীন বালুটিলা বাজার হতে মোঃ সাখাওয়াত হোসেন (২৫) নামের এক ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেটকে আটক করে পুলিশে দিয়েছে জনতা।

    শনিবার (৪ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। সে ফেনী জেলার ছাগলনাইয়ার নিজকুনজরা গ্রামের নুরের নবী চৌধুরী বাড়ীর মোঃ মোশারফ হোসেন চৌধুরীর পুত্র বলে জানা গেছে।

    স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,উপজেলার দাঁতমারা ইউনিয়নের বালু টিলা নামক বাজারে সাখাওয়াত হোসেন বিভিন্ন দোকানে গিয়ে ইনকাম ট্যাক্সের ম্যাজিষ্ট্রেট পরিচয় দিয়ে ফরিদ মোল্লার মুদির দোকান থেকে দশ হাজার ও জয়নালের মুদির দোকানে দেড় হাজার হাজার টাকা জরিমানা আদায় করে। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ আসলে তারা বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসার সায়েদুল আরেফিনকে জানান। এসময় স্থানীদের ফোন থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার উক্ত ভূয়া ম্যাজিষ্ট্রেটের সাথে কথা বললে সে ইনকাম ট্যাক্সের লোক বলে পরিচয় দেয়। এতে নির্বাহী অফিসারের সন্দেহ আরো ঘনিভূত হয়।
    পরে তাকে দাঁতমারা তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশ ঘটনা স্থল থেকে আটক করে নিয়ে যায়।

    এ ব্যাপারে তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ সোহারার্দি সরোয়ার বলেন গ্রেফতারকৃতকে ভূজপুর থানায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তার থেকে ১১ হাজার ৫ শত টাকা ও কাগজপত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

  • পটিয়ায় দোকান খোলা রাখায় জরিমানা করল ম্যাজিস্ট্রেট

    পটিয়ায় দোকান খোলা রাখায় জরিমানা করল ম্যাজিস্ট্রেট

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। পটিয়া প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের পটিয়ায় নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার অপরাধে এক প্রতিষ্ঠানকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করে ভ্রাম্যমান আদালত।

    আজ ২৮ মার্চ শনিবার সকালে পটিয়া সদরের পোস্ট অফিস এলাকায় এ অভিযান পরিচালিত হয়। ভ্রাম্যমান আদালতের নের্তৃত্ব দেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ফারহানা জাহান উপমা।

    এসময় পোস্ট অফিস মোড়ের খাজা আজমীর সেনিটারী মার্ট খোলা রেখে ব্যবসা পরিচালনা করার দায়ে দোকনের মালিক মো. ইদ্রিসের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়।

    এ বিষয়ে পটিয়া ইউএনও ফারহানা জাহান উপমা বলেন, প্রাণঘাতী করোনার সংক্রমন প্রতিরোধে গত ৩ দিন ধরে পুরো পটিয়া এলাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং ও লিফলেট বিতরণ করে সচেতন করা হয়। ওষুধের দোকান, মুদির দোকান ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দোকান ছাড়া সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রেখে জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে কাউকে বের না হওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়।

    কিন্তু এরপরও যারা নির্দেশনা উপেক্ষা করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে জরিমানা ও শাস্তির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। তাছাড়া বিদেশ ফেরত প্রবাসীরা সরকারি নির্দেশনা মতে হোম কোয়ারেন্টিন পালন করছে কিনা সে বিষয়েও প্রশাসন তদারকি করছে বলে তিনি জানান।

    ২৪ ঘন্টা/সঞ্জয়/আর এস পি

  • চট্টগ্রামে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, সিলগালা মেডিকেল হল

    চট্টগ্রামে ভুয়া চিকিৎসকের কারাদণ্ড, সিলগালা মেডিকেল হল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : এস এস সি পাস করে এমবিবিএস চিকিৎসক সেজে সাধারণ রোগীদের সাথে প্রতারণার অভিযোগে এক ভুয়া চিকিৎসককে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এসময় ম্যাজিস্ট্রেট অভিযানের খবর পেয়ে চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হল থেকে পালিয়ে যায় অপর এক ভুয়া চিকিসক।

    মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর পাহাড়তলী থানা কালী বাড়ি এলাকায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুকের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের কাছে ধরা পড়ে ভুয়া চিকিৎসক সজীব দাশ রুপন (২৯)।

    রুপন মাত্র এসএসসি পাস করে নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিয়ে ওই এলাকায় নিয়মিত রোগী দেখতেন। চিকিৎসক সেজে প্রতারণার অভিযোগে তাকে ৭ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক।

    তিনি বলেন, মঙ্গলবার ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সময় রুপন নিজেকে এমবিবিএস ডাক্তার পরিচয় দিলেও তার চিকিৎসক হিসেবে কোন কাগজপত্র দেখাতে পারেনি। ফলে প্রতারণার অভিযোগে তাকে দণ্ড দেয়া হয়।

    একই অভিযানে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে ওই এলাকার চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হল থেকে অপর এক ভুয়া চিকিৎসক পালিয়ে যায়। পরে ভুয়া চিকিৎসকের চেম্বার চন্দ্রিকা মেডিক্যাল হলটি সিলগালা করে দেওয়া হয়। পালিয়ে যাওয়া চিকিৎসকের নাম বিমল দাস বলে নিশ্চিত করেন ম্যাজিস্ট্রেট।

    এছাড়া একই অভিযানে মেয়াদোর্ত্তীণ ওষুধ বিক্রি এবং ড্রাগ লাইসেন্স না থাকায় অপর দুই ফার্মেসীকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এরমধ্যে কালী বাড়ি এলাকার মেডিক্যাল প্লাস ফার্মেসিকে ৩ হাজার এবং স্বাগত ফার্মেসিকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করার কথা জানিয়েছে ম্যাজিস্ট্রেট।

    অভিযানে ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহকারী পরিচালক মো. আকিব হোসেন, তত্ত্বাবধায়ক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান, কামরুল হাসান, পাহাড়তলী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) তৌফিকুল ইসলাম নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহযোগিতা করেন।

  • ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    ম্যাজিস্ট্রেট দেখে পালাল মুনাফালোভী, ১১০ থেকে এক লাফে ৭০ টাকায় পেঁয়াজের কেজি

    পেঁয়াজের বাজারমূল্য মাত্রাতিরিক্ত হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়।

    অভিযানের খবর পেয়ে এবং ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতি টের পেয়ে মিয়ানমারের পেয়াজ নিয়ে নতুন উপায়ে কারসাজির সাথে জড়িত মুনাফালোভী কমিশন এজেন্টরা গা ঢাকা দিয়ে মার্কেট থেকে পালিয়ে যায়। অন্যদিকে অভিযান চলাকালীন মাত্র দু ঘন্টার ব্যবধানে মিয়ানমারের পেয়াজ ১১০ টাকা কেজি থেকে তাৎক্ষণিকভাবে ৭০-৭৫ টাকা দরে নেমে আসে।

    আজ রবিবার বিকেল ৪ টা থেকে ৬টা পর্যন্ত পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম। এসময় আমদানিকারকদের কাছ থেকে ক্রয় মূল্যের চেয়ে অতিরিক্ত দামে পেঁয়াজ বিক্রি করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার আইনে খাতুনগঞ্জের চার আড়তদারকে ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট। অভিযানে পুলিশের পাশাপাশি র‌্যাবের সদস্যরাও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে সহায়তা করেন।

    জানা যায়, অভিযানের সময় দোকানে সংরক্ষিত কাগজপত্র পরীক্ষা করে মিয়ানমারের পেয়াজের দামে কারসাজি ও প্রতারণার প্রমাণ পাওয়ায় মেসার্স খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন-২০০৯ অনুযায়ী সর্বোচ্চ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আরো খবর : খাতুনগঞ্জে ফের অভিযান : চার প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

    অন্যদিকে প্রতারণামূলকভাবে মূল্য তালিকা থেকে অধিক দামে পেয়াজ বিক্রি করার অপরাধে মেসার্স হাজী অছি উদ্দিন সওদাগরকে ৪০ হাজার টাকা এবং মিয়ানমারের পেয়াজ আমদানি মূল্যের চাইতে মাত্রাতিরিক্তভাবে ১০০-১০৫ টাকা প্রতি কেজি দরে বিক্রি করার অপরাধে সৌমিক ট্রেডার্স ও বেঙ্গল ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা করে জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম।

    এছাড়া খাতুনগঞ্জের আরো শতাধিক আড়ত পরিদর্শণ করে প্রতিকেজি পেঁয়াজ ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি করার জন্য মুল্য নির্ধারণ করে দিয়ে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

    প্রায় দুঘন্টার অভিযান শেষে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেনের নির্দেশে আজ বাংলাদেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে চতুর্থ দফায় অভিযান পরিচালনা করা হয়। আরো খবর : দেশে আসছে এস আলম গ্রুপের ৫০ হাজার টন পেঁয়াজ!

    তিনি বলেন, অভিযানে খাতুনগঞ্জের শতাধিক আড়ত পরিদর্শন করা হয়। এসব আড়ত পরিদর্শন করে পেয়াজের দামে কারসাজির প্রমাণ পাওয়া যায়। আমদানিকারক, কমিশন এজেন্ট ও আড়তদাররা বাজারে পর্যাপ্ত পেয়াজ মজুদ থাকা সত্ত্বেও দামে কারসাজি করছে।

    আড়তে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ থাকার পরও পেঁয়াজের সংকট দেখিয়ে এবং নানা অজুহাতে পেঁয়াজের দর পাইকারিতে কেজি প্রতি ৯০ থেকে ১১০ টাকা করে বিক্রি করছে কিছু আড়তদার। অতচ প্রতি কেজি পেঁয়াজের আমদানি মূল্য পড়ছে মাত্র ৪২ টাকা।

    তিনি বলেন, বেশি দামে পেঁয়াজ বিক্রির অপরাধে খাতুনগঞ্জের চারটি আড়তকে মোট এক লাখ ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এবং প্রতিটি আড়তকে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করতে দর নির্ধারণ করে দেওয়া হয়েছে।

    অভিযান চলমান থাকবে বলে জানিয়ে তিনি বলেন, অভিযানের সময় গা ঢাকা দেওয়া কারসাজির সাথে জড়িত কমিশন এজেন্টদের ব্যাপারে সরেজমিনে খাতুনগঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অধিক নজরদারির জন্য র‌্যাব ও পুলিশকে দেয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।

    প্রসঙ্গত : চলতি বছরের গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার পেঁয়াজের রপ্তানিমূল্য ৮৫০ ডলার বেঁধে দেয়। এরপর থেকে বাজারে অস্থিরতা শুরু হয়। ভারতের বৈদেশিক বাণিজ্যবিষয়ক দপ্তর গত ২৯ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা দেয়।

    এরপর একেবারে আকাশচুম্বিতে উঠে পেঁযাজের দর। একলাফে পাইকারি বাজারে ভারতীয় আমদানি করা পেঁয়াজের দর ৯০-৯৫ টাকায় পৌঁছে। জেলা প্রশাসন ও বিভিন্ন সংস্থার অভিযান ও নিয়মিত তদারকিতে মাঝে সামান্য দরপতন হলেও ফের লাগামহীন হয়ে পড়েছে পেঁয়াজের বাজার।

    বর্তমানে পাইকারিতে সেঞ্চুরি পেরিয়ে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৩০ টাকায়।