Tag: ম্রাক্স হাসপাতাল

  • ম্যাক্স হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দাবী কর্তৃপক্ষের

    ম্যাক্স হাসপাতাল নিয়ে ষড়যন্ত্র চলছে দাবী কর্তৃপক্ষের

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের বেসরকারি ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে একটি মহল গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে বলে দাবী করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তবে মহলটির বিষয়ে কোন কথা না বলে বিষয়টি চিহ্নিত করে কারণ খুঁজে বের করার জন্য সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

    আজ মঙ্গলবার সকাল ১১টায় নগরীর একটি রেস্টেুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে কর্তৃপক্ষ। হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা ও অপপ্রচারের বিরুদ্ধে আয়োজিত এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ডা. মো. লিয়াকত আলী খান।

    তিনি বলেন, হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে আমরা সফলতার সাথে সবধরণের সেবা দিয়ে আসছি। ইদানিং আমরা লক্ষ করছি যে আমাদের সফলতায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আমাদের প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে বিভ্রান্তিমূলক মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করে আমাদের অর্জিত সুনাম ক্ষুন্ন করার চেষ্টা করছে একটি মহল।

    লিখিত বক্তব্যে বলা হয় গত গত ৮ ডিসেম্বর বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে একটি শিশুর মাতৃগর্ভে মুত্যুর ঘটনায় ম্যাক্স হাসপাতালের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রচার করা হয়। অথচ এই ঘটনায় ম্যাক্স হাসপাতাল কোনভাবেই দায়ী নয়, এমনকি এই ঘটনার সাথে ম্যাক্স হাসপাতলের কোন সম্পর্কও নেই।

    ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ইউসুফ আলম মাসুদের স্ত্রী শারমিন আক্তার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গাইনী বিভাগীয় সহকারি অধ্যাপক ডা. আফরোজা ফেরদৌস এর অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলো। গত পহেলা ডিসেম্বর শারমিন আক্তার নিয়মিত চেকআপে ডা. আফরোজার চেম্বারে আসলে উনি রোগীকে চেকআপ করেন ও রোগীর সার্বিক অবস্থা স্বাভাবিক দেখতে পান।

    এরই পরিপ্রেক্ষিতে রোগী বিশিষ্ট সনোলজিস্ট ডা. এইচ এম রাকিবুল হকের নিকট আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। পরবর্তীতে আল্ট্রাসনোগ্রাম রিপোর্ট নিয়ে ডা. আফরোজাকে দেখান। তিনি সবকিছু স্বাভাবিক আছে বলে রোগীকে জানান। একই সাথে পানি ভাঙ্গলে বা প্রসব ব্যাথা উঠলে রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পরমর্ম দেন।

    কিন্তু গত ৩ ডিসেম্বর রোগীর প্রসব ব্যাথা উঠার ৬ ঘন্টা পর ডা. আফরোজার সাথে কোন প্রকার যোগাযোগ না করে রোগী বেসরকারি চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন হাসপাতালে ভর্তি হয় এবং সেখানকার ডিউটি ডাক্তারের তত্বাবধানে তার ডেলিভারী সম্পন্ন হয় ও একটি মৃত বাচ্চা প্রসব করেন।

    এই ঘটনার সাথে ম্যাক্স কোনভাবেই জড়িত নয় জানিয়ে তিনি বলেন, রোগী শারমিন প্রসব ব্যাথা উঠার ৬ ঘন্টা পর হাসপাতালে আসার কারনে বাচ্চা জরায়ূ থেকে অর্ধেক বের হওয়া ছিলো এবং খুব জটিল অবস্থায় ছিলো। অসম্ভব চেষ্টায় বাচ্চাটি ডেলিভারি করানো হয়।

    সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (বিএমএ) চট্টগ্রাম শাখার সভাপতি ডা. মুজিবুল হক খান ও সাধারণ সম্পাদক ডা. ফয়সল ইকবাল চৌধুরীসহ হাসপাতালের কর্তকর্তাবৃন্দ।