Tag: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়

  • জাতীয় চিড়িয়াখানায় মাসের প্রথম রবিবার দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না

    জাতীয় চিড়িয়াখানায় মাসের প্রথম রবিবার দর্শনার্থীদের জন্য প্রবেশ ফি লাগবে না

    জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আগামী ১ নভেম্বর ২০২০ থেকে মার্চ ২০২১ পর্যন্ত মাসের প্রথম রবিবার বিনামূল্যে দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে জাতীয় চিড়িয়াখানা।

    প্রতি মাসের প্রথম রবিবার বিনামূল্যে জাতীয় চিড়িয়াখানায় বিনামূল্যে প্রবেশের করতে পারবেন দর্শনার্থীরা। এক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের অগ্রাধিকার দেয়া হবে।

    শুক্রবার (৩০ অক্টোবর) মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, মুজিববর্ষ উপলক্ষে মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিমের নির্দেশনায় প্রতি মাসের প্রথম রবিবার বিনামূল্যে চিড়িয়াখানা দেখার এই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে।

    এ বিষয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেন, ‘করোনা ক্রান্তিকালে ঢাকা শহরবাসীর বিনোদনের উল্লেখযোগ্য বিকল্প না থাকায় তাদের বিনোদন এবং শারীরিক ও মানসিক উৎকর্ষের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চিড়িয়াখানা খোলার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

    এক্ষেত্রে চিড়িয়াখানায় থাকা প্রাণীদের খাদ্য, নিয়মিত পরিচর্যা ও স্বাস্থ্যসুরক্ষা এবং সরকারের রাজস্ব ক্ষতির বিষয়টিও বিবেচনায় নেওয়া হয়েছে।

    চিড়িয়াখানায় প্রবেশ ও অবস্থানের সময় সর্বোচ্চ সতর্ক থেকে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ এবং শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য দর্শনার্থীদের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

    উল্লেখ্য, দেশে করোনা সংক্রমণের পর ২০ মার্চ চিড়িয়াখানা বন্ধ ঘোষণা করে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। মহামারীর কারণে দীর্ঘ ৭ মাস ধরে বন্ধ ছিল জাতীয় চিড়িয়াখানা। অবশেষে আগামী রোববার (১ নভেম্বর) থেকে খুলে দেয়া হচ্ছে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত এ চিড়িয়াখানা।

    সকাল নয়টা থেকে বিকাল তিনটা পর্যন্ত খোলা থাকবে। তবে এজন্য চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষকে বেশ কিছু শর্ত মেনে চলার নিদের্শনা দিয়েছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।

    যেসব শর্তে খুলছে চিড়িয়াখানা: চিড়িয়াখানায় প্রবেশের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার লক্ষ্যে অমোচনীয় রং দিয়ে বৃত্তাকার স্থান চিহ্নিত করতে হবে। প্রবেশ গেটগুলো জীবাণুনাশক টানেল ও ফুটবাথ স্থাপন করতে হবে। প্রবেশ গেটে থার্মাল স্ক্যানারের সাহায্যে দর্শনার্থীর তাপমাত্রা পরীক্ষা করার ব্যবস্থা করতে হবে এবং চিড়িয়াখানার অভ্যন্তরে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে হাত ধোয়ার জন্য বেসিন ও সাবানের ব্যবস্থা রাখতে হবে।

    নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, দর্শনার্থীদের জন্য হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা রাখা, দর্শনার্থীর সংখ্যা দৈনিক সর্বোচ্চ দুই হাজারের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা, প্রতিদিন গুরুত্বপূর্ণ প্রাণীর এনক্লোজারের চার পাশে জীবাণুনাশক স্প্রে করতে হবে। পরিদর্শন সময় সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত, ডিজিটাল ডিসপ্লের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত সতর্কতামূলক প্রচারণা চালানো এবং ষাটোর্ধ্ব বয়সের ব্যক্তিদের চিড়িয়াখানায় প্রবেশাধিকার বন্ধ রাখতে হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ

    মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে ২২ দিন ইলিশ ধরা বন্ধ

    উৎপাদন বাড়াতে প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে মঙ্গলবার (১৩ অক্টোবর) মধ্যরাত থেকে বন্ধ হচ্ছে ইলিশ ধরা। আগামী ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন সারাদেশে ইলিশ আহরণ, পরিবহন, মজুদ, কেনা-বেচা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

    মঙ্গলবার মধ্যরাত থেকে এ নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয় প্রতিবছরের মতো এ বছরও ইলিশের প্রজনন নির্বিঘ্ন করতে এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

    মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান-২০২০ (১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর) উপলক্ষে সোমবার (১২ অক্টোবর) সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে উৎপাদন বাড়াতে ২২ দিন ইলিশ ধরা-বিক্রি নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম।

    শ ম রেজাউল করিম বলেন, “বিশ্বের মোট উৎপাদিত ইলিশের ৮০ শতাংশের বেশি বাংলাদেশের নদ-নদী মোহনা ও সাগর থেকে আহরিত হয়। অন্যান্য বছরের চেয়ে এবার অনেক সুন্দর ও বড় আকারের ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। এটা সম্ভব হয়েছে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সময়োপযোগী এবং বাস্তবমুখী কার্যক্রমের কারণে। ইলিশ এক সময় দুষ্প্রাপ্য হয়ে যাচ্ছিল, এখন তা মানুষের হাতের নাগালে চলে এসেছে। বাংলাদেশে অতীতের সব রেকর্ড ভঙ্গ করে এবার ইলিশ উৎপাদিত হয়েছে। এ ধারা অব্যাহত রাখতে আমরা ১৪ অক্টোবর থেকে ৪ নভেম্বর পর্যন্ত ২২ দিন মা ইলিশ ধরা সস্পূর্ণরূপে নিষিদ্ধ করেছি। যেসব এলাকায় মা ইলিশ বা জাটকা ধরার আশঙ্কা আছে, সেসব এলাকা চিহ্নিত করা হয়েছে।”

    নিষেধাজ্ঞা কার্যকর ও এ সময়ে জেলেদের সহায়তা দিতে নানা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ২২ দিন গভীর সমুদ্রে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও সমুদ্র মোহনায় কোস্ট গার্ডের টহল জোরদার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমামেরা মা ইলিশ রক্ষার গুরুত্ব ও আইন ভঙ্গের শাস্তির বিষয়ে আলোচনা করবেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম