Tag: যশোর

  • যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

    যশোরে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ৭

    যশোর সদর উপজেলার লেবুতলায় বাসচাপায় একই পরিবারের ৩ জন ও ইজিবাইকের চালকসহ ৭ যাত্রী নিহত এবং আরও দুজন আহত হয়েছেন।

    শুক্রবার (৭ জুলাই) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন, ইজিবাইক চালক যশোর সদরের সুলতানপুরের সাইফুলের ছেলে ২৭ বছরের ইমরান হোসেন, বাঘারপাড়ার যাদবপুরের হেলালের জমজ দুই ছেলে দুই বছর বয়সী হোসেন ও হোসাইন, তার মেয়ে ৭ বছরের খাদিজা, একই গ্রামের বাবুল মুন্সির স্ত্রী ৩০ বছরের ফাহিমা খাতুন এবং অন্যদুইজন অজ্ঞাত।

    স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাঘারপাড়া উপজেলার খাজুরা বাজার থেকে ইজিবাইকে করে কয়েকজন যশোরে যাচ্ছিল। যশোর-মাগুরা মহাসড়কের লেবুতলা এলাকায় পৌঁছালে যশোর থেকে ছেড়ে আসা দ্রুতগতির একটি বাস ইজিবাইকটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে ৫ জন নিহত হয়, এ ছাড়া আরও কয়েকজন আহত হন। তাদের উদ্ধার করে দ্রুত সদর হাসপাতালে নেয়া হলে আরও দুজনকে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন।

    যশোরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বেলাল হোসাইন বলেন, লেবুতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ইজিবাইক চালকসহ সাতজন নিহত হয়েছে বলে এখন পর্যন্ত জানতে পেরেছি।

    যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, লেবুতলায় সড়ক দুর্ঘটনায় ছয়জন নিহতের খবর নিশ্চিত হতে পেরেছি।

    ঘটনাস্থলে এবং হাসপাতালে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বিস্তারিত পরে জানানো হবে।

    যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক আসিফ মোহাম্মদ আলী হাসান বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মরদেহ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

  • মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড

    মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। অন্য তিন আসামি হলেন- মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস ও মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা।

    রোববার (২৫ জুন) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের বেঞ্চ এ রায় ঘোষণা করেন।

    ট্রাইব্যুনালের অন্য দুই সদস্য হলেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার ও বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম।

    এটি ট্রাইব্যুনালের ৫২তম রায়। এদিন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিটে রায় পড়া শুরু হয়। ১৬৯ পৃষ্ঠার রায়ের প্রথমাংশ পাঠ করেন বিচারপতি কে এম হাফিজুল আলম। দুই-তৃতীয়াংশ পাঠ করেন বিচারপতি মো. আবু আহমেদ জমাদার। রায়ের মূল অংশ পাঠ করেন ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলাম। রায় ঘোষণাকালে এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া একমাত্র আসামি মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা আসামির কাঠগড়ায় বসা ছিলেন।

    এর আগে গত ২১ জুন মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে রায় ঘোষণার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন ট্রাইব্যুনাল।

    গত ১১ মে একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে যশোরের বাঘারপাড়ার মো. আমজাদ হোসেন মোল্লাসহ চার আসামির বিরুদ্ধে যুক্তিতর্ক উপস্থাপন শেষ হয়। আসামিরা হলেন— মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা, মো. ওহাব মোল্লা, মো. মাহতাব বিশ্বাস, মো. ফসিয়ার রহমান মোল্লা ও মো. নওশের বিশ্বাস। এর মধ্যে অন্য মামলায় গ্রেপ্তার থাকা আমজাদ হোসেন মোল্লাকে ২০১৭ সালের ২২ মে এ মামলায় শ্যোন অ্যারেস্ট দেখানো হয়। আর বাকি চার জন ছিলেন পলাতক। তবে পলাতকদের মধ্যে নওশের বিশ্বাস নামে এক আসামি মারা গেছে।

    প্রসিকিউশন থেকে জানানো হয়েছে, মামলায় চার আসামির মধ্যে আমজাদ গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে আছে। বাকি তিনজন পলাতক। আগে মামলায় মোট আসামি ছিলেন পাঁচজন। তাদের মধ্যে একজন মারা গেছে।

    ২০১৬ সালের ৪ এপ্রিল এ মামলার তদন্ত শুরু হয়, ২০১৮ সালের ১৬ এপ্রিল তা শেষ হয়। যশোর জেলা প্রশাসকের দেওয়া রাজাকারদের তালিকাতেও আসামিদের নাম রয়েছে।

    আসামিদের বিরুদ্ধে চারটি অভিযোগ রয়েছে। সেগুলো হলো— অভিযোগ-১, ১৯৭১ সালের ৩ ভাদ্র বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বাঘারপাড়া থানার উত্তর চাঁদপুর গ্রামের মো. ময়েনউদ্দিন ওরফে ময়নাকে তার বাড়ি থেকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায় মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা। সেখানে তিন দিন আটকে রেখে নির্যাতন করে ৬ ভাদ্র দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে ময়নাকে গুলি করে হত্যা করে মো. আমজাদ হোসেন মোল্লা।

    অভিযোগ-২, ১৯৭১ সালের ২০ জুলাই দুপুর ১টার দিকে আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা বাঘারপাড়া খাজুরা বাজার থেকে ডা. নওফেল উদ্দিন বিশ্বাসকে আটক করে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। পরদিন দুপুর ১২টায় তাকে থানা সদরের মহিরাম গ্রামের মাঠে গুলি করে করে হত্যা করা হয়।

    অভিযোগ-৩, আমজাদ হোসেন মোল্লা ও তার সহযোগীরা ১৯৭১ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সকাল ৮-৯টার দিকে মুক্তিযোদ্ধাদের সহায়তাকারী সুরত আলী বিশ্বাস ও মোক্তার বিশ্বাসকে তাদের বাড়ি থেকে ধরে প্রেমচারা রাজাকার ক্যাম্পে নিয়ে যায়। সেখানে তিন দিন নির্যাতনের পর ২৩ সেপ্টেম্বর দুপুর ১২টার দিকে খুড়দা গ্রামের বিজয় দাশের দেবদারু বাগানে কুয়ার পাশে দাঁড় করিয়ে গুলি করে হত্যার পর লাশ কুয়ায় ফেলে দেয়।

  • যশোর শহরে সব ওষুধের দোকান বন্ধ

    যশোর শহরে সব ওষুধের দোকান বন্ধ

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি: যশোরের ওষুধ ব্যবসায়ীরা রবিবার ভোর থেকে তাদের ফার্মেসি বন্ধ করে দিয়েছেন। দুই জন ওষুধ ব্যবসায়ীকে আটকের প্রতিবাদে তারা এই কর্মসূচি পালন করছেন। আটক দুজনের মুক্তি না দেওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন কর্মসূচি চালিয়ে যাবে বলে অভিমত ব্যক্ত করেছেন।অবশ্য পুলিশ বলছেন, তাদের কাছ থেকে নকল ওষুধ পাওয়া গেছে বিধায় আটক করা হয়েছে।

    পুলিশ জানান, ২১ নভেম্বর দুপুরে অভিযান চালিয়ে পুলিশ শহরের জেলরোড এলাকা থেকে কাশেমপুর সার্জিক্যাল অ্যান্ড মেডিসিন হাউজ থেকে ১৪৩ পিস নকল মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ দোকানের মালিক ইব্রাহিম সরদার (৩৭) আটক করা হয়েছে। এরপর তার দেয়া তথ্য মতে, মাইকপট্টি এলাকার জমজম ড্রাগ হাউজ থেকে ১০টি মনটেয়ার-১০ ট্যাবলেটসহ ফার্মেসির মালিক জহিরুদ্দিন সুইটকে (৪২) আটক করা হয়েছে। এই ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে এসআই শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলা নম্বর- ৬৯/২১.১১.২০২০ করেন।

    বাংলাদেশ কেমিস্ট অ্যান্ড ড্রাগিস্ট সমিতি যশোরের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল হামিদ চাকলাদার ইদুল বলেছেন, আমরা এখন জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অবস্থান করছি। যশোরের ডিসিকে এই বিষয়ে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। তার সঙ্গে আলোচনার পরবর্তী কর্মসূচি দেওয়া হবে।

    তিনি বলেছেন, কোনও ফার্মেসিতে যদি নকল ও ভেজাল ওষুধ থাকে, তবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ওষুধ প্রশাসন অথবা ভ্রাম্যমাণ আদালত এই অভিযান পরিচালনা করতে পারে। কিন্তু পুলিশ কীভাবে বুঝবে এটি নকল ওষুধ। কেননা আমরা কোম্পানির কাছ থেকে ওষুধ নিয়ে সেগুলো বিক্রি করি।

    জানতে চাইলে যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেছেন, নকল ওষুধ বিক্রি করলে পুলিশ তো তাদের আটক করবেই। এতে যদি তারা ধর্মগট করে তাহলে কীইবা বলার আছে।

  • যশোরে ২ পত্রিকার বিরুদ্ধে শিক্ষিকার মামলা

    যশোরে ২ পত্রিকার বিরুদ্ধে শিক্ষিকার মামলা

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:- সুদের কারবার সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশ করায় দৈনিক গ্রামের কাগজ ও দৈনিক যশোরের সম্পাদকসহ সাতজনের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করা হয়েছে।মামলাটি করেন যশোর সদর উপজেলার খোলাডাঙ্গা এলাকার শেখ আব্দুস সবুরের স্ত্রী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা জাকিয়া সুলতানা লাকি।

    লাকির দায়ের করা মামলার বিবাদীরা হলেন খোলাডাঙ্গা পশ্চিমপাড়ার লাল্টু মিয়া ও তার স্ত্রী আলেয়া সুলতানা আলো, মফিজুর রহমানের স্ত্রী ডলি বেগম, দৈনিক যশোরের প্রকাশক ও সম্পাদক জাহিদ হাসান টুকুন, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক নুর ইসলাম, দৈনিক গ্রামের কাগজের প্রকাশক ও সম্পাদক মবিনুল ইসলাম মবিন এবং ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক আঞ্জুমানারা।

    অভিযোগ আমলে নিয়ে জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুদ্দীন হোসাইন সিআইডি যশোর জোনকে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে আগামী (৪ জানুয়ারি) মামলার পরবর্তী দিন ধার্য করেছেন।

    মামলার এজাহারে বাদী উল্লেখ করেছেন, বিবাদী আলেয়া খাতুন আলো বিভিন্ন সময় বাদীর কাছ থেকে টাকা ধার নিতেন এবং পরবর্তীতে তা পরিশোধও করতেন। এর মাঝে আলো ও ডলি দুইজনে লাকিকে জানিয়েছেন, ডলি একটি জমি কেনার জন্য মোটা অংকের টাকা বায়না দিয়েছেন। অবশিষ্ট টাকা পরিশোধ না করলে জমি লিখে দেবেন না ও বায়নার টাকা ফেরতও দেবেন না বলে জানিয়েছেন। একইসঙ্গে ৮ লাখ টাকা ৩মাসের জন্য লাকির কাছে ধার হিসেবে চান তারা। একপর্যায় বাদীর জমানো ৬লাখ ৭০ হাজার টাকা দেন লাকি। কিন্তু নির্দিষ্ট সময় হলে পাওনা টাকা ফেরত দিতে ব্যর্থ হয়ে নন জুডিসিয়াল স্ট্যাম্পে একবছরের মধ্যে পরিশোধ করবে বলে অঙ্গীকার করেন। সময় অতিবাহিত হলেও টাকা ফেরত দেননি আলো। এরমাঝে আলোর স্বামীর প্ররোচনায় গত ২৩ আগস্ট দৈনিক যশোর ও ২৪ আগস্ট দৈনিক গ্রামের কাগজে বাদী ও বাদীর ভাইয়ের ছেলে এবং তার এক মামাতো ভাইকে জড়িয়ে ‘সুদখোর’ আখ্যা দিয়ে সংবাদ প্রকাশ করা হয়। বাদীর অভিযোগ, সংবাদটি যাচাই-বাছাই ছাড়া প্রকাশ করায় পত্রিকার চার কর্মকর্তাকেও মামলায় বিবাদী করা হয়।

    এই বিষয়ে মামলার আসামিপক্ষের দাবি, যশোর শহরতলীর খোলাডাঙ্গা গ্রামে লাকির নেতৃত্বে দেদারসে সুদের কারবার চলছে। তাদের কারণে অনেকে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সর্বশেষ গত ২০ আগস্ট খোলাডাঙ্গার মফিজুর রহমানের মেয়ে আলেয়া সুলতানা আত্মহত্যার চেষ্টা চালান। লাকি বাদেও এই সিন্ডিকেটের উল্লেখযোগ্য অন্য সদস্যরা হলেন শেখ শাহীনের ছেলে রাকিব হাসান ইমন ও মিলন বিশ্বাসের ছেলে সবুজ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে ভবদহ জলাবদ্ধতার বাড়ির উঠোনের পানিতে শিশুর মৃত্যু

    যশোরে ভবদহ জলাবদ্ধতার বাড়ির উঠোনের পানিতে শিশুর মৃত্যু

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি: যশোরের অভয়নগর উপজেলার সুন্দলী ইউনিয়নের রামসরা গ্রামে অর্পণ মল্লিক (৭) নামে এক শিশু পানিতে ডুবে মারা গিয়েছে। সোমবার(৯ নভেম্বর) দুপুরে তাদের বাড়ির উঠোনে জমে থাকা পানি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করেন।
    অর্পণ অভয়নগর উপজেলার রামসরা গ্রামের কৃষক বিপ্লব মল্লিকের একমাত্র সন্তান।

    বিপ্লব মল্লিক জানিয়েছেন, ভবদহের জলাবদ্ধতার কারণে তার বাড়ির উঠোনে কোমর সমান পানি। বাড়ির সামনে উঁচু রাস্তা। যাতায়াতের জন্য বাড়ি থেকে রাস্তা পর্যন্ত লম্বা বাঁশের সাঁকো তৈরি করা হয়েছে। পাড়ার শিশুরা সাঁকো দিয়ে রাস্তায় যায়। সেখানে তারা খেলা করে।

    সকালে তার ছেলে খেলা করার জন্য সাঁকো দিয়ে রাস্তায় যাওয়ার সময় পা পিছলে উঠোনের পানিতে পড়ে যায়। অনেক খোঁজাখুজি করেও তাকে পাওয়া যায়নি। পরে দুপুরে উঠোনে সাঁকোর নিচ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করেন।

    সুন্দলী ইউনিয়ন পরিষদের(ইউপি)চেয়ারম্যান বিকাশ রায় বলেছেন, ভবদহের জলাবদ্ধতা ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। জলাবদ্ধ পানিতে ডুবে যাওয়ার ভয়ে এলাকার শিশুদের কোমরে দড়ি বেঁধে দড়ির অপর প্রান্ত খাটিয়ার সাথে বেঁধে রাখা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ

    যশোরে মামার বিরুদ্ধে ভাগ্নিকে ধর্ষণের অভিযোগ

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে মামার বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণির আপন ভাগ্নিকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করার অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে । রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে মামা শফিকুল ইসলাম ৬ মাস ধরে এই ঘটনা ঘটিয়ে আসছে বলে নির্যাতনের শিকার মেয়েরটির অভিযোগ।

    উপজেলার দেবিদাসপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় এলাকায় ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। নির্যাতনের শিকার ছাত্রী জানান, তার মায়ের সাথে বাবার ডিভোর্স হলে ১০ বছর ধরে জীবিকার তাগিদে মা বাইরে থাকে। এরপর মায়ের পাঠানো টাকা দিয়ে মামার বাড়িতে আলাদা ঘরে সে বসবাস করে আসছে।

    গত ৬ মাস থেকে সুযোগ পেলেই ছোট মামা শফিকুল ইসলাম ঘরে ঢুকে গলায় দা ধরে জোর করে তার উপর পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছে। কাউকে বললে রাতে বালিশ চাপা দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া সহ তাকে (ভাগ্নি) বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেবার ভয় দেখাতো।

    রবিবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ফের জোর করে পাশবিক নির্যাতন চালানোর সময় প্রতিবেশি এক নারী দেখে ফেলায় ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে। এই দিনে ভূক্তভোগি ওই ছাত্রী তার নিকটাত্বীয়সহ গণমাধ্যম কর্মীদের কাছে তার উপর চালানো পাশবিক নির্যাতনের পুরো ঘটনা খুলে বলেন।

    শফিকুল ইসলামের মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় তার মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।স্থানীয় ইউপি সদস্য আনোয়ার হোসেন মোল্যা জানায়, মামা শফিকুল ইসলাম প্রায়ই তার ভাগ্নির ওপর এমন পাশবিক নির্যাতন চালিয়ে আসছেন বলে তিনি শুনেছেন।

    থানার ওসি রফিকুল ইসলাম বলেছেন, এই ঘটনায় থানায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে সাড়ম্বরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

    যশোরে সাড়ম্বরে কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : পৃথিবী ব্যাপী চলছে করোনা মহামারির প্রকোপ। এই মহামারিকে দমনে যশোরে এবার দেবী সুভগাকে অর্চনার মাধ্যমে কুমারী পূজা সম্পন্ন হয়। শনিবার (২৪ অক্টোবর) যশোর রামকৃষ্ণ আশ্রম ও মিশনের আয়োজনে পাঁচ বছর বয়সী কন্যা ঐশ্বানী ভট্টাচার্য্যকে ‘সুভগা’ রূপে পূজা করা হয়েছে।

    আশ্রম মিশন অধ্যক্ষ স্বামী জ্ঞানপ্রকাশানন্দ নিজে হাতে এই পূজা সম্পন্ন করে। শাস্ত্র অনুসারে এ কুমারীর পুজো করলে রোগ নাশ হয়। মহাঅষ্টমীর দিন সকাল ১১টায় আশ্রমে অনুষ্ঠিত হয় কুমারী পূজা। এই সময় স্বাস্থ্যবিধী মেনে পূজা আচারে অংশ নিতে আশ্রম আঙ্গিনায় সমবেত হন হাজারো পূর্ণার্থী।

    কেন্দ্রীয় পূজা উদযাপন পরিষদের নির্দেশনায় এই বছর ঢাকায় কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত না হলেও ঢাকার বাইরে হয়েছে। পরম্পরা মেনে যারা কুমারী পূজা করে আসছেন তারা এই পূজা করছে।

    এই দিকে দুর্গাপূজার ৫ দিনের মধ্যমণি মহা অষ্টমীতে যশোরের সকল মন্ডবে মহামায়ার ভক্ত অনুরাগীদের পদচারণা ছিল বিশেষ চোখে পড়ার মতো। মন্দিরে মন্দিরে ধূপের সুগন্ধ, ঢাক ঢোলের বাদ্যের সাথে উলু শঙ্খধ্বণী সকল জ্বরা, দুঃখ অতিক্রম করে সুখ সমৃদ্ধির বার্তা দেয়। শাস্ত্র বিহীত মহা অষ্টমী পূজার পাশাপাশি মহা সন্ধিক্ষণের ৪৮ মিনিটের সন্ধি পূজা ধর্মবর্ণ নির্বিশেষে আসুরিক মনোভাবের বলিদানের মাহত্ব যেমন শেখায় তেমনি শতঅষ্ট প্রদীপের আলো যাবতীয় অজ্ঞতাকে পুড়িয়ে জ্ঞানের প্রজ্ঞায় উদ্ভাসিত করে হৃদয়কে। দেবী চামুণ্ডাকে দেখানো এই প্রদীপ শিখার আগুন যেন হিংসা, দৈহিক বাসনা ও ভোগের আকাঙ্খাকে পুড়িয়ে ছাই করে দেয়-এ মিনতি করে সকলে।

    রোববার (২৫ অক্টোবর) মহানবমী। এই দিনে দেবী দুর্গাকে প্রাণ ভরে দেখে নেয়ার ক্ষণ।

    কালিকাপুরাণ-এ মহানবমীতে যথাবিধানে বলিদান এবং ঐশ্বর্যলাভের নিমিত্ত জপ ও হোম করতে বলা হয়েছে। দেবী দুর্গার নাম বারবার উচ্চারণ করাকে ‘জপ’ বলে। জপ আসলে মাকে স্মরণ করা। এই জপের সংখা একশত ৮এক হাজার ৮ বা লাখও হতে পারে।

    অনেক স্থানে মহানবমীর দিন হয় কুমারী পুজো। এ দিন অগ্নিকে প্রতীক করে সকল দেবদেবীকে আহুতি দেয়া হয়। অগ্নি সকল দেবতার যজ্ঞভাগ বহন করে যথাস্থানে পৌঁছে দিয়ে থাকে। এই দিনই দুর্গাপুজোর অন্তিম দিন। পরের দিন কেবল বিজয়া ও বিসর্জনের পর্ব। নবমী নিশিথে উৎসবের রাত শেষ হয়। নবমী রাত বিদায়ের অমোঘ পরোয়ানা নিয়ে হাজির। এই রাতের পর পিতৃআলয়ে কণ্যা রূপী মা চণ্ডী থাকবেন আর মাত্র কয়েক প্রহর।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • মণিরামপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

    মণিরামপুরে জোড়া খুনের ঘটনায় যুবক গ্রেফতার

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুর উপজেলায় দুই যুবককে কুপিয়ে হত্যার চাঞ্চল্যকর ঘটনায় পুলিশ জাহিদ হাসান ওরফে মানিক (২৩) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছেন। পূর্বশত্রুতার কারণে এই হত্যাকাণ্ড বলে পুলিশ জানতে পেরেছে।

    ২১ অক্টোবর সন্ধ্যায় যশোর সদরের চাউলিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ২২ অক্টোবর দুপুর সোয়া ২টায় নিজ কার্যালয়ে যশোরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন প্রেস ব্রিফিংয়ে এই সব তথ্য দেন।

    তিনি বলেন, গত (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যারাতে মণিরামপুর উপজেলার উত্তরপাড়া এলাকায় খুন হন বাদল হোসেন (২২)ও আহাদ মোল্যা (২৫) নামে দুই যুবক। ক্লু লেস এই মামলায় পুলিশ প্রথমে ধারণা করেছিল মোটরসাইকেল ছিনতাই কিংবা ডিশ লাইনের কাজ সংক্রান্ত ঘটনায় এই হত্যাকাণ্ড। কিন্তু ঘটনার রাত থেকেই পুলিশ সাঁড়াশি অভিযান পরিচালনা করেন। সেইসময় সন্দেহভাজন বেশ কয়েকজনকে ধরে আনা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে ইনোসেন্টদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। ধৃতদের মধ্যে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে মানিকের নাম আসে। এরপর ডিবি পুলিশের ইনচার্জ সৌমেন দাশের নেতৃত্বে তাদের একটি টিম অভিযান চালিয়ে মানিককে আটক করা হয়। মানিকের দেয়া তথ্য অনুযায়ী নিহত বাদলের একটি মোবাইলফোন সেট এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত চাকুটি উদ্ধার করা হয়।

    পুলিশ সুপার মুহাম্মদ আশরাফ হোসেন বলেছেন, জিজ্ঞাসাবাদে মানিক এ ঘটনার সঙ্গে নিজের সম্পৃক্ততা স্বীকার করেছে। হত্যাকাণ্ডের কারণ হিসেবে সে পুলিশকে জানিয়েছে- বাদলের সঙ্গে প্রতিবেশী আহাদের নারীঘটিত বিষয়ে শত্রুতা ছিলো। বাদল তার শত্রু হিসেবে আহাদকে খুন করানোর জন্যে তারই বন্ধু মানিককে ম্যানেজ করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘটনার দিন বসুন্দিয়া জয়ন্তা বাজার থেকে বাদলের মোটরসাইকেলে তারা ৩জন বের হয়। এক পর্যায়ে মোটরসাইকেলটি চালাচ্ছিল মানিক, মাঝে বসেছিল আহাদ এবং পেছনে বাদল।

    মণিরামপুরে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে বাদল তার কাছে থাকা চাকু দিয়ে আহাদের গলায় পোচ দেয়। আহাদ একটু শক্ত সামর্থ হওয়ায় বাদলের কাছ থেকে চাকুটি কেড়ে নেয় এবং তাকে আঘাত করে। মোটরসাইকেল পড়ে যাওয়ায় মানিক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে। আহাদের চাকুর আঘাতে বাদলের মৃত্যু হলে সে মানিককে ধাওয়া করেন। একপর্যায়ে মানিক দেখতে পায়, আহাদ ধীরে ধীরে মোটরসাইকেলের কাছে গিয়ে লাইট নিভিয়ে নিজেও পড়ে যায়। তখন মানিক সেখানে পৌঁছে এবং আহাদের কাছে থাকা চাকুটি নিয়ে তার বুকে পেটে আঘাত করে। এরপর তার কাছে থাকা বাদলের মোবাইলফোন সেট পাশের একটি পুকুরে এবং চাকুটি আরও কিছু দূরে একটি ধানক্ষেতে ফেলে পালিয়ে যায়।

    পুলিশ সুপার জানায়, ধৃত মানিকের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী পুলিশ ডুবুরি দিয়ে ফেলে দেওয়া সেই মোবাইলফোন সেট এবং আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১২টার দিকে ধানক্ষেত থেকে চাকুটি উদ্ধার করা হয়েছে।তিনি বলেছেন, আজই তাকে আদালতে সোপর্দ করে রিমান্ডের আবেদন করা হবে।

    প্রসঙ্গত, (১৫ অক্টোবর) বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় যশোরের মণিরামপুরে খুন হন যশোর সদরের জয়ন্তা গ্রামের আক্তার গাজীর ছেলে বাদল এবং একই এলাকার লুকমান মোল্যার ছেলে আহাদ। এ ঘটনায় নিহত বাদলের মা আঞ্জুয়ারা বেগম মণিরামপুর থানায় মামলা করেন। মামলা নম্বর ১০/১৮১ (১৬.১০.২০২০)।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

     

  • জীবনের নিরাপত্তা দাবিতে মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান’র সাংবাদিক সম্মেলন

    জীবনের নিরাপত্তা দাবিতে মণিরামপুর উপজেলা চেয়ারম্যান’র সাংবাদিক সম্মেলন

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি:- যশোরের মণিরামপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান নাজমা খানম বুধবার যশোর প্রেসক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করেছেন। মণিরামপুরের শাহপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গাছ নিলাম নিয়ে হামলার প্রতিবাদে তিনি ওই সংবাদ সম্মেলন করেছেন।

    সকাল ১১টায় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি অভিযোগ করেছেন, সন্ত্রাসীদের ক্রমাগত হুমকির কারণে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছে।

    লিখিত বক্তব্যে উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খানম বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কিছু গাছ বিক্রির জন্যে মঙ্গলবার স্কুল প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যে নিলাম আহ্বান করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। নিলামে অংশ গ্রহণ করতে গেলে উপজেলা চেয়ারম্যানের প্রতিবেশী হাবিবুর রহমান হাবিব ও সবুজ করের ওপর অতর্কিত হামলা চালায় সন্ত্রাসীরা। একইসাথে তাদের একটি ঘরে আটকে রেখে ৩ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেয়। এছাড়া, নিলামে অন্য কেউ অংশ গ্রহণ করলে প্রকাশ্যে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা।

    বিষয়টি মোবাইলফোনের মাধ্যমে জানতে পেরে দুপুর সাড়ে ১২টায় ঘটনাস্থলে পৌঁছান তিনি। গাড়ি থেকে নামার সাথেই সন্ত্রাসীরা তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মনিরুল ইসলাম নয়ন ও মণিরামপুর পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি সন্দীপ ঘোষকে চাইনিজ কুড়াল ও রডের পাইপ দিয়ে মারাত্মক জখম করেন। এইসময় তার ওপরও সন্ত্রাসীরা হামলা চালায় এবং তাকে লাঞ্ছিত করেন।

    তিনি অভিযোগ করেছেন, ওই হামলার ঘটনায় তিনি নিজে বাদী হয়ে সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করতে গেলে অজ্ঞাত কারণে নথিভুক্ত করেনি পুলিশ।

    তিনি আরও অভিযোগ করেছেন, উপজেলা চেয়ারম্যান হওয়ার পরই একটি পক্ষ বিভিন্ন সময় তাকে জীবননাশের হুমকি, শারীরিবভাবে লাঞ্ছিত ও মানসিকভাবে আঘাত করছে। বর্তমানে তিনি জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে দিন পার করছে বলে দাবি করেন। তিনি তার ভাষায় স্বাভাবিক মৃত্যুর নিশ্চয়তা চেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু

    যশোরে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : অবশেষে যশোরে কাঙ্খিত ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু হয়েছে। ইতিমধ্যে সাত জন যশোর অফিস থেকে এই পাসপোর্ট গ্রহণ করেছে ও প্রক্রিয়াধীন আছে শতাধিক আবেদন। গত ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরে আনুষ্ঠানিকভাবে এই কার্যক্রম চালু হয়।

    করোনা মহামারির কারণে এ কার্যক্রম দুই মাস পিছিয়ে ছিল। একইসাথে চালু রয়েছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট কার্যক্রম।

    সূত্র জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৪ এপ্রিল পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন শেষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-পাসপোর্ট কার্যক্রমের ঘোষণা দেন। ই-পাসপোর্ট এমন একটি ব্যবস্থা যেখানে বিদ্যমান বইয়ের সঙ্গে একটি ডিজিটাল পাতা (ডাটা পেজ) জুড়ে দেওয়া রয়েছে। ওই ডিজিটাল পাতায় উন্নতমানের মেশিন রিডেবল চিপ বসানো রয়েছে। এতে সংরক্ষিত থাকবে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য।

    ডাটা পেজে থাকবে পাসপোর্টধারীর ৩ ধরনের ছবি, ১০ আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ। ভ্রমণকালে অভিবাসন কর্তৃপক্ষ কম্পিউটারের মাধ্যমে দ্রুততম সময়ে পাসপোর্টধারীর সব তথ্য-উপাত্ত জানতে পারবেন। এতে সবচেয়ে বড় সুবিধা হবে বিভিন্ন বিমানবন্দরে ভিসা চেকিংয়ে। পৃথিবীর ১২০টি দেশে বর্তমানে ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম চালু আছে। চলতি বছরের ২৮ জুন থেকে দেশের বিভাগীয় অফিসগুলোতে এই কার্যক্রম চালু হবার কথা ছিল। এর ১৫ দিন পর জেলা অফিসগুলোতে ই-পাসপোর্টের কাজ শুরু হবে বলে নিদের্শনা পাঠানো হয়। কিন্তু করোনায় গোটা দেশ বিপর্যস্থ হয়ে পড়ে। ফলে অন্যান্য অফিস আদালতের ন্যায় পাসপোর্ট অফিসও কিছুদিন বন্ধ ছিল। এই কারণে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ধীরগতি আসে। পরবর্তীতে সরকারের নির্দেশে পাসপোর্ট অফিস খোলা হলেও নতুন আবেদন ও সংশোধন কার্যক্রম বন্ধ ছিল। শুধুমাত্র চালু ছিল কোন পরিবর্তন ছাড়াই নবায়ন কার্যক্রম। এরপর গত সেপ্টেম্বর মাসের শুরুতে স্বাভাবিক কার্যক্রমে ফিরে যায় দেশের পাসপোর্ট অফিসগুলো।

    ২৯ সেপ্টেম্বর থেকে যশোরে চালু হয় ই-পাসপোর্ট কার্যক্রম। এরপর গত ১৫ দিনে যশোর অফিস থেকে ৭ জনের ই-পাসপোর্ট প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া আবেদন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে আরো শতাধিক বলে অফিস সূত্র জানানো হয়েছে।

    সূত্র জানায়, যশোর অফিস থেকে ই-পাসপোর্ট ৫ ও ১০ বছর মেয়াদী প্রদান করা হচ্ছে। এই ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত রয়েছে। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, ১৮ বছরের নীচে ও ৬০ বছর বয়সের অধিক ব্যক্তিরা ৫ বছর মেয়াদি ই-পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। এই বয়সের বাইরের মানুষ ১০ বছর মেয়াদি পাসপোর্টের আবেদন করতে পারবেন। ৪৮ পাতার দশ বছর মেয়াদী সাধারণ (২১ দিন) ই-পাসপোর্টের ফি ৫ হাজার ৭৫০ টাকা, জরুরি (১০ দিন)মেয়াদের ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতি জরুরি (২ দিন)মেয়াদের ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা। একই পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদী সাধারণ ফি ৪ হাজার ২৫ টাকা, জরুরি ফি ৬ হাজার ৩২৫ টাকা ও অতি জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা।

    এছাড়া, ৬৪ পাতার ই-পাসপোর্টের দশ বছর মেয়াদী ফি সাধারণ(২১ দিন)৮ হাজার ৫০ টাকা, জরুরি ফি (১০ দিন) ১০ হাজার ৩৫০ টাকা ও অতি জরুরি ফি (২ দিন) ১৩ হাজার ৮শত টাকা। একই পাসপোর্টের পাঁচ বছর মেয়াদী ফি সাধারণ ৬ হাজার ৩২৫ টাকা, জরুরি ফি ৮ হাজার ৬২৫ টাকা ও অতি জরুরি ফি ১২ হাজার ৭৫ টাকা। একইসাথে চালু রয়েছে মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি)কার্যক্রম। এই পাসপোর্ট আবেদনের সাধারণ ফি(২১ দিন) ৩ হাজার ৪৪৫ টাকা।

    এদিকে, ই-পাসপোর্টের আবেদন ও জমা সবকিছুই অনলাইনে করতে হবে। প্রথমেই অনলাইনে প্রবেশ করে নির্দিষ্ট ফরমে আবেদন পূরণ করতে হবে। এরপর চাইলে আবেদনের সাথেই অনলাইনে নির্দিষ্ট ফি জমা দেয়া যাবে। এসময় অনলাইনেই আবেদনকারীকে অফিসে ফরম জমা দেয়ার তারিখ ও সময় জানিয়ে দেয়া হবে। এরপর আবেদনকারী নির্দিষ্ট তারিখে যশোর পাসপোর্ট অফিসে ফরম জমা দিতে পারবেন। এর বাইরে অন্য দিনে গেলে তিনি আবেদন জমা দিতে পারবেন না। অনলাইন ছাড়াও পাসপোর্ট আবেদনের ফি সোনালী ব্যাংক, যশোর কর্পোরেট শাখাসহ নির্দিষ্ট কয়েকটি বেসরকারি ব্যাংকে জমা দেওয়া যায়।

    এসব ব্যাপারে যশোর পাসপোর্ট অফিসে সদ্য আসা সহকারী পরিচালক মোবারক হোসেনের সাথে কয়েকবার মোবাইলে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি। তারস্থলে মোবাইল রিসিভ করেন অফিসের ডাটা এন্ট্রি অপারেটর। তিনি বলেছেন, স্যার রুমের বাইরে আছেন। আর পাসপোর্ট সংক্রান্ত সব তথ্য ওয়েবসাইটে রয়েছে। ওখান থেকে দেখে নিন, সব তথ্য পেয়ে যাবেন। এর ২ ঘন্টা পর দুপুর ২টা ৫১ মিনিটে ফের ফোন করা হলে অপরপ্রান্ত থেকে একই কথা বলা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    যশোরে নারী নির্যাতনের প্রতিবাদ ও দোষীদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন

    নিলয় ধর, যশোর প্রতিনিধি : যশোরের মণিরামপুরে ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতন ও নারীর প্রতি সহিংসতার প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে শনিবার সকালে পৌর শহরে সুশাসনের জন্য (সুজন), কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ প্লাটফর্ম, বিকশিত নারী নেটওয়ার্ক, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের উদ্যোগে মানববন্ধন কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

    মণিরামপুর পৌরসভার সামনের মেইন সড়কে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত আয়োজিত এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেছেন ও বক্তব্য রাখেন সুজন উপজেলা কমিটির সভাপতি ও জাতীয় কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম মণিরামপুর উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা ও নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ উপজেলা প্লাটফর্ম এর আহবায়ক অধ্যাপক মোঃ আব্বাস উদ্দীন।

    ক্রমবর্ধমান নারী নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান এই সময় সুজন উপজেলা কমিটির অর্থ সম্পাদক প্রধান শিক্ষক আব্দুল মান্নানের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সুজন উপজেলা কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও মণিরামপুর বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি অরুন কুমার নন্দন, বাংলাদেশ মাধ্যমিক শিক্ষক সমিতি মণিরামপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি ও টেংরামারী সম্মিলনী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রভাস চন্দ্র দাস, পিস ফ্যাসিলিটেটর গ্রুপ (পিএফজি)’র পিস এ্যাম্বাসেডর আসাদুজ্জামান রয়েল, কন্যাশিশু এ্যাডভোকেসি ফোরাম উপজেলা কমিটির সভানেত্রী ও পৌর কাউন্সিলর গীতা রানী কুন্ডু, সুজন উপজেলা কিমিটির সদস্য অশোক কুমার বিশ্বাস।

    এই মানববন্ধন কর্মসূচিতে অন্যান্যের মধ্যে সুজন উপজেলা কমিটির সহ-সভাপতি প্রধান শিক্ষক আব্দুল লতিফ, সাংগাঠনিক সম্পাদক প্রভাষক সঞ্জয় কুমার দে, সদস্য প্রভাষক হাসিনা আক্তার কাকলী, সুরাইয়া নার্গিস, আনন্দ কুমার দেবনাথ,লাভলী খাতুন, মোঃ শফিকুজ্জামান,পৌর কাউন্সিলর শংকরী রানী বিশ্বাস, পৌর কাউন্সিলর পারভিনা আকতার, সমাজকর্মী মহসিন আলী খান, শিক্ষার্থী তাসনিম আহম্মেদ ইমনসহ বিপুল সংখ্যক বিভিন্ন শ্রেণি পেশার নারী-পুরুষ উপস্থিতি ছিলেন।

    উপস্থিত ছিলেন, বিভিন্ন মিডিয়ার সাংবাদিকগণ। মানববন্ধন কর্মসূচিতে বক্তাগন সাম্প্রতিক সময়ে ঘটে যাওয়া নারীর প্রতি জঘন্য পৈচাশিক নির্যাতন এবং সেই বিভৎস্য নির্যাতনের ভিডিও চিত্র মিডিয়ায় প্রকাশ করার ন্যায় জঘন্য ন্যাক্কারজনক ঘটনার প্রতি তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ঘটনার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সদাশয় সরকারের প্রতি দৃষ্টি আরোপ করেছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • যশোরে সবজির বাজারে আগুন

    যশোরে সবজির বাজারে আগুন

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে সবজির বাজারে যেন আগুন লেগেছে। নিম্ন ও মধ্যবিত্ত মানুষ বাজারে যেতে এক রকম ভয় পাচ্ছেন। দু’ একশ’ টাকা নিয়ে বাজারে যাওয়া যেন বোকামি হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্রেতাদের বক্তব্য, বাজারে গিয়ে তারা তাদের প্রয়োজনীয় সবজি কিনতে পারছে না। চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ার কারণে সবজির দাম বেশি বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা।

    গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে সবজির দাম সাধারণ মানুষের ক্রয়ক্ষমতার বাইরে চলে গিয়েছে। অতি বৃষ্টিতে সবজি নষ্ট হয়েছে আশঙ্কাজনক ভাবে। যে কারণে চাহিদামতো সবজি আসতে পারছে না বাজারে। তবে অনেক ক্রেতার দাবি, দাম বৃদ্ধি যেন নিত্যদিনের ঘটনা। কোনো জিনিসেরই দর নিয়ন্ত্রণে থাকছে না।

    তাদের বক্তব্য, প্রশাসনের তদারকি না থাকায় এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত ১ সপ্তাহের ব্যবধানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রতি কেজি সবজিতে ১০ থেকে ২০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। যা নিয়ে সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষ চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছে।

    মঙ্গলবার প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে একশ’ ৮০ থেকে দুশত’ টাকা। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে একশত’ ৬০ থেকে একশত’ ৭৫ টাকায়। শিম প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে একশত’৫০ থেকে একশত’৬০ টাকা পর্যন্ত। যা এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় একশত’ ৩০ থেকে একশ’ ৪০ টাকা দরে। বেগুন বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকা প্রতি কেজি। যা গত সপ্তাহে ছিল ৫০ থেকে ৬০ টাকার মধ্যে। উচ্ছে প্রতি কেজি ৯০ থকে একশত’ ১০ টাকায় বিক্রি হলেও সাতদিন আগে ছিল ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। প্রতি কেজি ঝিঙে ও কুশি ৫০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

    গত সপ্তাহের তুলনায় ১০ টাকা বেড়ে প্রতি কেজি কাঁচকলা বিক্রি হয়েছে ৬০ টাকায়। ফুল কপি বিক্রি হয়েছে একশত’ টাকা প্রতি কেজি। গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ টাকায়। শসা ৬০, টমেটো ৮০ ও কচুরলতি ৬০ কেজিতে বিক্রি হয়েছে। লাউ প্রতি পিছ ৩০ থেকে ৪০ টাকা দরে বিক্রি করতে দেখা গেছে। প্রতি কেজি আলু বিক্রি হচ্ছে ৩৯ থেকে ৪০ টাকায়। অথচ এক সপ্তাহ আগেও বিক্রি হয়েছে ৩৫ থেকে ৩৮ টাকার মধ্যে। পিঁয়াজের দাম এখনো অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি হালি ডিমে দু’টাকা বৃদ্ধি পেয়ে সাদা ৩২ ও লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ৩৫ টাকায়।

    ক্রেতারা বলছেন, প্রতিদিনই বাড়ছে সবজির দাম। সকাল-বিকেল সবজির দাম পরিবর্তন হচ্ছে।আড়তদাররা বলেন, চাহিদার তুলনায় যোগান কম হওয়ায় বাজারে সবজির দাম বেশি।

    সজীব মহলদার নামে একজন কলেজ শিক্ষক বলেছেন, সবজির দর এভাবে চলতে থাকলে তাদের মতো দিন আনা দিন খাওয়া মানুষ কীভাবে চলবেন। তিনি বাজার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।

    বড় বাজারের সালেহা ভান্ডারের ম্যানেজার আলী আক্তার বলেন, এক শ্রেণির মজুতদারের আলুর দাম বৃদ্ধি পাচ্ছেবড় বাজারের আব্দুল লতিফ নামে এক খুচরা বিক্রেতা বলেন, বৃষ্টির কারণে সব সবজির দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম