Tag: যশোর

  • মোবাইল মেরামতের নামে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে চাঁদাবাজি

    মোবাইল মেরামতের নামে ফেসবুকের পাসওয়ার্ড নিয়ে চাঁদাবাজি

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : মোবাইলের সমস্যা সমাধান করতে গিয়ে মহা বিপাকে পরেছেন যশোরের এক নারী। মোবাইলের দোকানীরা তার ফেসবুক পাসওয়ার্ড সংগ্রহ করে চাঁদাবাজী করতে যেয়ে ধরা খেয়েছে। এই ঘটনায় কোতয়ালি মডেল থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কোতোয়ালী থানায় মামলা হয়েছে। ৩ জন আটকও হয়েছে। একই সাথে আদালতে ঘটনার সাথে জরিত থাকার বিষয় স্বিকার করেছে।

    আসামীরা হল: নড়াইল জেলার সদর উপজেলার চুনখোলা গ্রামের টুটুল বিশ্বাসের ছেলে সোহাগ হোসেন, যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার খলিলপুর খাঁন পাড়া গ্রামের মোবাস্বের আল খাঁনের ছেলে কুদ্দুস আলী ও একই থানার তরফ মাহমুদ দিঘীরপাড় গ্রামের আবুল কালাম হাওলাদারের ছেলে সুমন হোসাইন।

    যশোর শহরতলী নীলগঞ্জ সাহাপাড়ার সেলিমের স্ত্রী খাদিজা সেলিম রোজা আসামীদের নাম উল্লেখ করে মামলায় উল্লেখ করেছে, ,গত ২ মার্চ বেলা ১১ টায় যশোর শহরের ১১ আরএনরোডে মোবাইল ঠিক করতে দি মোবাইল ষ্টোর নামক প্রতিষ্ঠানে তিনি যান। সেখানে সোহাগ হোসেন উক্ত দোকানের ম্যানেজার ও কুদ্দুস উক্ত দোকানের সেলসম্যান পরিচয় দেয়।

    তাদের কাছে মোবাইল সেট মেরামত করার জন্য দিলে তারা গৃহবধূকে মোবাইল সমস্যা সমাধানের জন্য উক্ত মোবাইলের পাসওয়ার্ড চাইলে গৃহবধূ সরল বিশ্বাসে পাসওয়ার্ড দেন। পরে মোবাইল মেরামত শেষে বাড়িতে চলে আসে। এর পর গত ২৪ আগষ্ট বাদীর ফেসবুক আইডিতে রাত সাড়ে ৯ টায় সুমন হোসাইন তার বিকাশ একাউন্ট নাম্বারে ১লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। আসামীরা তাদের ফেসবুক আইডি রাফি শেখ লিংক থেকে বাদী ফেসবুক আইডিতে ম্যাসেস প্রদান করে।

    ম্যাসেজে আরও উল্লেখ করে যে,টাকা না দিলে আসামীর ফোনে থাকা গোপনীয় তথ্য ফাঁস করে বাদীকে ক্ষতি করবে। আসামীরা বাদী সংক্রান্ত নানা ধরনের কুরুচিপূর্ন কথাবার্তা ব্যক্তিগত তথ্য পরিবর্তন এবং বিভ্রান্তিকর কথা বলিয়া প্রচার করাসহ বাদীর মান সম্মানের হানীসহ ক্ষয়ক্ষতি করার হুমকী দেওয়া হয়। এই ঘটনায় থানায় অভিযোগ দায়ের করলে কোতয়ালি মডেল থানা পুলিশ উক্ত ৩ জন প্রতারককে গ্রেফতার করেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • নারিকেল পাড়তে গিয়ে গাছেই প্রাণ গেল কৃষকের

    নারিকেল পাড়তে গিয়ে গাছেই প্রাণ গেল কৃষকের

    নিলয় ধর,যশোর  প্রতিনিধি : যশোরের অভয়নগরে রহমত গাজী (৬৫) নামে একজন কৃষকের মৃতদেহ নারিকেল গাছের মাথা থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।

    বুধবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার ভাঙ্গাগেট লক্ষিপুর গ্রামে নিজ বাড়ির একটি নারিকেল গাছ থেকে মৃত অবস্থায় তাঁর লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিস একটি দল। মৃত রহমত গাজী লক্ষিপুর গ্রামের মৃত তোরাপ গাজীর ছেলে।

    সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার নারিকেল গাছের মাথায় রহমত গাজী অচেতন অবস্থায় বসে ছিল। শতশত গ্রামবাসী গাছের চারিপাশে দাড়িয়ে আছে। অনেকে চিৎকার করেও রহমত গাজীকে ডাকলেও তিনি কোন উত্তর দিচ্ছেন না।

    এই সময় রহমত গাজীর স্ত্রী রিজিয়া বেগমের সাথে কথা হলে তিনি জানিয়েছেন, বুধবার বেলা আনুমানিক ১২ টার সময় তাঁর স্বামী বাড়ির সামনের একটি নারিকেল গাছে ওঠে। গাছের মাথায় ওঠার পর দুটি নারিকেল নিচে ফেলে দেন। প্রায় আধা ঘন্টা পর দেখতে পান স্বামী গাছের মাথায় বসে আছেন। অনেক ডাকাডাকি করে কোন সাড়াঁশব্দ না পেলে তিনি প্রতিবেশীদের খবর দেন। তাঁর স্বামী কৃষি কাজের পাশাপাশি নারিকেল পাড়ার কাজ করত। নারিকেল পাড়তে গিয়ে তাঁর স্বামীর কি হয়েছে বলে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।
    এরই মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের একটি উদ্ধার দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে শুরু করে উদ্ধার অভিযান। প্রায় ৪০ মিনিটের চেষ্টায় গাছের মাথা থেকে বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন, নিচে নামাতে সক্ষম হয় তারা।

    উদ্ধার দলের প্রধান নওয়াপাড়া ফায়ার সার্ভিস এন্ড সিভিল ডিফেন্সের স্টেশন অফিসার খাঁন এহসান উল আলম বলেছেন, খবর পাওয়া মাত্র আমরা ঘটনাস্থলে চলে আসি। দলের সদস্যদের সহযোগিতায় প্রায় ৬০ ফুট উচ্চতার নারিকেল গাছের মাথা থেকে অচেতন ও অক্ষত অবস্থায় বৃদ্ধকে উদ্ধার করা হয়, এবং দ্রুত উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়।

    উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক হাফিজা নার্গিস জানিয়েছেন, নারিকেল গাছ থেকে উদ্ধার করা ব্যক্তি হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছে। হাসপাতালে পৌঁছানোর পূর্বেই তিনি মার গিয়েছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচজন রিমান্ডে

    যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচজন রিমান্ডে

    যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে নির্যাতন করে তিন কিশোরকে হত্যা ও ১৫ জনকে আহত করার মামলায় গ্রেফতার কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।

    শনিবার (১৫ আগস্ট) সন্ধ্যায় যশোর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক মাহাদি হাসান তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

    শুক্রবার (১৪ আগস্ট) রাতে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। আদালতে হাজির করে গ্রেফতারকৃতদের সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা চাঁচড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রোকিবুজ্জামান।

    শুনানি শেষে যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক (সহকারী পরিচালক) আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, ফিজিক্যাল ইন্সট্রাক্টর শাহানূর সাইকো সোস্যালকে পাঁচদিন এবং কাউন্সিলর মুশফিকুর রহমান ও ওমর ফারুককে তিনদিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।

    এর আগে, শুক্রবার (১৪ আগস্ট) সন্ধ্যায় কোতোয়ালি থানায় একটি মামলা করেন নিহত কিশোর পারভেজ হাসান রাব্বির বাবা খুলনার দৌলতপুরের মহেশ্বর পাশা পশ্চিম সেনপাড়ার রোকা মিয়া। মামলায় শিশু উন্নয়ন কেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে আসামি করা হয়। এদিকে এ ঘটনায় সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে।

    গত ৩ আগস্ট যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে কিশোরদের দুই গ্রুপের মধ্যে মারামারি হয়। সিসিটিভির ফুটেজ দেখে ওই ঘটনায় জড়িতদের চিহ্নিত করা হয়। এরপর বৃহস্পতিবার (১৩ আগস্ট) দুপুরে কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে আনসার সদস্য ও তাদের নির্দেশে কয়েকজন কিশোর অন্তত ১৮ জনকে বেধড়ক মারপিট করে। মারপিট ও নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে তাদের ফেলে রাখা হয়। কয়েকজন অচেতন থাকায় তারা অজ্ঞান হয়ে গেছে মনে করলেও পরে তারা বুঝতে পারে এরা মারা গেছে। এরপর সন্ধ্যার দিকে এক এক করে তাদের মরদেহ হাসপাতালে এনে রাখা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    যশোরে গলায় ফাঁস দিয়ে যুবকের আত্মহত্যা

    যশোর প্রতিনিধিঃ যশোর জেলাার মণিরামপুরের পল্লীতে ওমর ফারুক (১৮) নামে এক যুবক গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।

    শুক্রবার (১৪ আগস্ট) ভোরে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরের আড়ায় ঝুলন্ত অবস্থায় ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। নিহত ওমর ফারুক উপজেলার রাজগঞ্জ এলাকার হানুয়ার গ্রামের মৃত ছমির দপ্তরির ছেলে।

    স্থানীয় ইউপি সদস্য সাহাদুজ্জামান ওই যুবকের নিহতের ঘটনা নিশ্চিত করে জানিয়েছেন , গত কয়েক মাস ধরে নিহত যুবক ওমর ফারুক মানসিক ভারসাম্যহীন অবস্থায় ছিলেন। বাড়ির সকলের অজান্তে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের যে কোন সময় সে বাড়ির পাশের একটি পরিত্যক্ত ঘরের মধ্যে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। স্বজনরা অনেক খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে শুক্রবার ভোরে ওই পরিত্যাক্ত ঘরের মধ্যে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহ দেখতে পায়। অতপরঃ স্বজনেরা সেখান থেকে মৃত দেহটি উদ্ধার করে পুলিশে খবর দেয়।

    রাজগঞ্জ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইন্সপেক্টর শাজাহান কবির জানান, ঘটানস্থল থেকে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • যশোরে পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না ইলিশের

    যশোরে পর্যাপ্ত সরবরাহ বাড়লেও দাম কমছে না ইলিশের

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে কোরবানির ঈদের পর বাজারে বেড়েছে ইলিশ মাছের চাহিদা। সরবরাহও পর্যাপ্ত, কিন্তু দাম তেমন না কমায় অসন্তোষ ক্রেতাদের মধ্যে।

    রবিবার (৯ আগষ্ট) টাউনহল ময়দানের মাছের বাজার ঘুরে দেখা যায় যে চাহিদার তুলনায় সরবরাহ পর্যাপ্ত। বাজারে মাংসের চাহিদা কমে যাওয়ায় বেড়েছে ইলিশের চাহিদা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বাজারে ইলিশের দাম কমানো হচ্ছে না বলে দাবি ক্রেতাদের।

    বিক্রেতাদের সাথে কথা বলে জেনে যায়, ৪/৫ শত’ গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি সাড়ে ৪ শত’ থেকে ৫ শত’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ৬/৭শত, গ্রাম ওজনের ইলিশের কেজি সাড়ে ৫শত’ থেকে ৬শত’ টাকায় বিক্রি করছে ব্যবসায়ীরা। এক কেজি বা তার চেয়ে বেশি ওজনের ইলিশ ১১শ’ থেকে ১২শ’ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এই সবের বাইরে জাটকা প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে সাড়ে ৩শত’ টাকায়। অথচ সাগরে জেলেদের জালে ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরা পড়ছে।

    দেশের বিভিন্ন বাজার সয়লাব ইলিশে। অন্যান্য জেলায় দাম এক থেকে দুইশত টাকা কমে বিক্রির খবর পাওয়া যাচ্ছে। অথচ যশোরের বাজারে গত দুই সপ্তাহ আগে ইলিশের দাম কেজিপ্রতি ৫০ টাকার মতো কমে বলে জানিয়েছে বিক্রেতারা। পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও এখনো ওই দামেই বিক্রি হচ্ছে।

    বাজারে মাছ কিনতে আসা ইমরান হোসেন নামে একজন বেসরকারি চাকরিজীবী বলেছেন‘টেলিভিশনে খবর দেখলাম জেলেরা ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ ধরছে। দামও কমেছে অনেক। কিন্তু এসে দেখলাম ভিন্নচিত্র। দাম না কমায় অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন তিনি।

    এক ক্রেতা বলেছেন, বর্তমানে বেশিরভাগ মানুষের বাসায় মাংস রয়েছে। বাসায় আত্মীয় আসায় ইলিশ কিনতে আসেন। চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় খুচরা বিক্রেতারা বেশি দামে বিক্রি করছে বলে দাবি তার।

    মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি কৃষ্ণপদ বিশ্বাস বলেছেন, সাগরে অনেক ইলিশ পাওয়া যাচ্ছে। তবে, দাম প্রায় আগের মতোই। সামনে ইলিশের দাম কমতে পারে বলে জানিয়েছেন তিনি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

    যশোরে ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ ঘোষণা

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি : যশোরে লাইসেন্স নবায়নের জন্যে বৈধভাবে পরিচালিত বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শনের পাশাপাশি অবৈধ প্রতিষ্ঠান গুলোতে সাড়াশি অভিযান অব্যাহত রেখেছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ।

    শনিবার ৮ আগষ্ট সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ টিম শহরের ২টি হাসপাতাল ও ১টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করেছে।

    একতা এবং মর্ডান হাসপাতালের কার্যক্রম সন্তোষজনক হওয়ায় তাদের লাইসেন্স নবায়নের সুপারিশ করার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়। অভিযোগ- অবৈধভাবে এবং স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে পরিচালিত হচ্ছিল। এই নিয়ে দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ১৭টি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার বন্ধ করলো (স্বাস্থ্য বিভাগ)।

    সিভিল সার্জন কার্যালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান এই সব তথ্য নিশ্চিত করেছে।

    সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন জানিয়েছে, বেসরকারি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার গুলো বৈধভাবে পরিচালনার স্বার্থে লাইসেন্স নবায়নের জন্যে নিয়মিত পরিদর্শনের কাজ চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় শনিবার সকালে একতা ও মর্ডান হাসপাতাল এবং যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার পরিদর্শন করা হয়েছে।

    টিমে ছিলেন যশোর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালর সার্জারি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট ডাক্তার আব্দুর রহিম মোড়ল, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার রেহেনেওয়ার রনি ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান।

    হাসপাতাল ২টির কর্তৃপক্ষ অনলাইন আবেদনপত্রে যে তথ্য দিয়েছে তা যাচাই-বাছাইয়ে সত্যতা পাওয়া ও সরেজমিন পর্যবেক্ষণে চিকিৎসা সেবা কার্যক্রম সন্তোষজনক হওয়ায় লাইসেন্স নবায়নের জন্যে সুপারিশের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কিন্তু যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের অনলাইন আবেদনপত্রে দেওয়া তথ্যে জাল জালিয়াতি করাসহ অসংখ্য অনিয়ম ধরা পড়ায় সেটি স্থায়ীভাবে বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, বলে সিভিল সার্জন জানিয়েছে।

    সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্র জানা যায়, সম্প্রতি ভিজিলেন্স টিম আকস্মিক পরিদর্শনে গিয়ে যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টারের নানা অনিয়ম ও সাধারণ মানুষের সাথে প্রতারণার প্রমাণ পেয়ে শোকজ নোটিশ জারি করে। ৩ কর্মদিবসের মধ্যে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করে ব্যবসা পরিচালনা করছিল যশোর ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ। লাইসেন্সের জন্যে মালিকপক্ষ অনলাইনে আবেদন করেছে এবং স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে প্রতিষ্ঠানটি পরিদর্শনের নির্দেশনাও এসেছে।

    শনিবার সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীনের নেতৃত্বে বিশেষজ্ঞ টিম পরিদর্শনে গিয়ে দেখতে পান নোংরা ও ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি পরিচালনা করা হচ্ছে। টিমের সদস্যরা জানিয়েছে, স্বাস্থ্য বিধি উপেক্ষা করে মানুষের সাথে অব্যাহত প্রতারণার সু-নির্দিষ্ট প্রমাণও পাওয়া যায়। বিভিন্ন প্যাথলজিক্যাল টেস্টের জন্যে মূল্য তালিকার থেকে বেশি টাকা নেওয়া হচ্ছে রোগীদের কাছ থেকে। প্যাথলজি বিভাগটি যে কক্ষে করা হয়েছে তা কোনোভাবেই আইন সম্মত নয়। এমনকি কোনো ডাক্তারও নিয়োগপ্রাপ্ত নেই রিপোর্ট প্রদানের জন্যে। এক্স-রে বিভাগটি পরিচালনা করা হয় টেকনোলজিস্ট ছাড়াই। অর্থাৎ অনলাইন আবেদনপত্রে মিথ্যা তথ্য দেওয়া হয়েছে বলে টিম অভিযোগ করে। পরে প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

    সিভিল সার্জন ডাক্তার শেখ আবু শাহীন আরও জানিয়েছেন, শনিবার চৌগাছা উপজেলা শহরের ৩টি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করা হয়েছে। সাথে ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার লুৎফুন্নাহার এবং প্রশাসনিক কর্মকর্তা আরিফুজ্জামান ।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোরে ৬ ক্লিনিকে অভিযান, ৪টি বন্ধের নির্দেশ

    যশোরে ৬ ক্লিনিকে অভিযান, ৪টি বন্ধের নির্দেশ

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের চৌগাছার ৬টি প্রাইভেট ক্লিনিকে অভিযান চালিয়ে ৪টিকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে যশোর স্বাস্থ্য বিভাগ।

    বৃহস্পতিবার (৬ আগষ্ট) দুপুর ১২ টা থেকে ২টা ৪৫ মিনিট পর্যন্ত শহরের এসব ক্লিনিকে সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি দল অভিযান চালিয়ে এই নির্দেশ দিয়েছেন।

    অভিযানের নেতৃত্ব দেন চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রকৌশলী এনামুল হক। এই দলে ছিলেন যশোরের সিভিল সার্জনের প্রতিনিধি সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ এবং চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. লুৎফুন্নাহার লাকি, চৌগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. তৌহিদুজ্জামান, যশোর সদর উপজেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর পার্থ প্রতিম লাহিড়ী, চৌগাছা থানার এসআই বাবুল আক্তারসহ পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় বিভিন্ন গণমাধ্যমের কর্মীরা।

    অভিযানে চৌগাছা উপজেলা শহরের কপোতাক্ষ ক্লিনিকে, মায়ের দোয়া পাইভেট ক্লিনিক , বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক ও পল্লবী ক্লিনিকে লাইসেন্স নবায়ন না থাকা, সার্বক্ষণিক মেডিকেল অফিসার ও পর্যাপ্ত নার্স না থাকাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সবরকমের চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

    এই সময় পল্লবী কিনিকে ভর্তি ১৫ রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরের নির্দেশ দেওয়া হয় এবং ক্লিনিকটির মালিক গ্রাম্য ডাক্তার মিজানুর রহমান ও ক্লিনিকের একজন মেডিকেল টেকনোলজিষ্ট জাহিদুর রহমানের প্রেসকিক্রপশন প্যাডে ডাক্তার লেখার অপরাধে তাদের তাদের সতর্ক করে তাদের প্রায় ২ হাজার প্রেসক্রিপশন প্যাড (চিকিৎসাপত্র) পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।

    অভিযানকালে দেখা যায় মায়ের দোয়া প্রাইভেট কিনিকের ঔষধ রাখার ফ্রিজে মাংস ও ব্লাড পাশাপাশি রাখা হয়েছে। ফ্রিজটির গোড়ায় অনেকগুলি ব্যাঙ লাফাতে দেখা গিয়েছে।

    অপারেশন থিয়েটারের পাশের জানালা খোলা এবং রোগী রাখার বেডে ময়লা পড়ে থাকায় তাৎক্ষণিকভাবে ক্লিনিকটির সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া এসব কিনিক গুলোকে আগামী ১ সপ্তাহের মধ্যে ক্লিনিক গুলির লাইসেন্স নবায়নসহ ডাক্তার ও নার্সদের কাগজপত্র প্রদর্শন ও যে কিনিকে যে যে ত্রুুটি রয়েছে তা সমাধানের নির্দেশ দেওয়া হয়।

    পরবর্তী পরিদর্শনের সময়ে নবায়নসহ সকল কাগজপত্র ও সার্বিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে না পারলে কিনিকগুলোকে স্থায়ীভাবে সিলগালা করে দেওয়া হবে।

    এই বিষয়ে অভিযানের নেতৃত্ব দেওয়া যশোরের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ও যশোর সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মীর আবু মাউদ বলেন, ৬ টি ক্লিনিকের মধ্যে কপোতাক্ষ ক্লিনিক , বিশ্বাস ডায়াগনস্টিক, মায়ের দোয়া ক্লিনিক ও পল্লবী ক্লিনিকের পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত সকল প্রকার চিকিৎসা সেবা বন্ধ রেখে কাগজপত্র হালনাগাদ ও কিনিকের স্বাস্থ্য সেবার পরিবেশ নিশ্চিত করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই নির্দেশ না মানলে ক্লিনিকগুলিকে স্থায়ীভাবে সিলগালা করে দেয়া হবে।

    তিনি বলেছেন, পল্লবী ক্লিনিকে ভর্তি থাকা ১৫জন রোগীকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে স্থানান্তরের জন্য ৩ দিন সময় দেওয়া হয়েছে, এবং তাদের ২ জনকে ভুয়া ডাক্তার লেখার অপরাধে সতর্ক করে দেওয়া হয় ও তাদের প্রেসক্রিপশন প্যাড (চিকিৎসাপত্র) পুড়িয়ে দেয়া হয়।

    তিনি আরো বলেছেন, নোভা এইড প্রাইভেট হাসপাতালের সার্টিফিকেটধারী নার্স সংকট রয়েছে এবং এছাড়া মধুমতি প্রাইভেট হাসপাতালের ইন্সপেকশন প্রক্রিয়াধীন থাকায় এই দুটির কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে। আগামী শনিবার উপজেলার অন্যান্য কিনিকগুলিতেও অভিযান চালানো হবে বলেও তিনি নিশ্চিত করে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যশোরে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত,আহত-৪

    যশোরে আলাদা সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত,আহত-৪

    যশোর প্রতিনিধি : যশোরে আলাদা দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় ২ জন নিহত ও ৪ জন আহত হয়েছে।
    নিহতরা হলো, বাঘারপাড়া উপজেলার ভদ্রবিলা গ্রামের আলী বক্সের ছেলে তৈয়ব আলী (৫০) এবং যশোর উপজেলার ধোপাখোলা এলাকার মৃত আমির হোসেনের ছেলে জাহিদ হোসেন।
    আহত ৪জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

    পুলিশ জানিয়েছেন, আজ ৪ আগষ্ট বেলা ১১টার দিকে তৈয়ব আলী ছেলে সুজনের মোটরসাইকেলে চেপে যশোর-মাগুরা মহাসড়ক ধরে খাজুরা এলাকায় যাচ্ছিলে। হাশিমপুর বাজারের কাছে তাদের মোটরসাইকেলটি ১টি গাড়িকে সাইড দিয়ে এগিয়ে যাওয়ার সময় সামনে থাকা ১টি বাসের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে বাবা-ছেলে আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগে আনেন। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তৈয়ব আলীকে মৃত ঘোষণা করেন।

    ডা. আহমেদ তারেক সামস বলেছেন, হাসপাতালে আসার আগে তৈয়ব আলীর মৃত্যু হয়েছে। সুজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।ঝিনাইদহের বারোবাজার হাইওয়ে থানার ওসি শেখ মাহফুজুর রহমান হাশিমপুরে দুর্ঘটনায় বাসটি আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে।

    এই দিকে, যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের পুলেরহাট এলাকায় বেনাপোলগামী ১টি ট্রাক ১টি ইজিবাইককে ধাক্কা দেয়। এতে ইজিবাইক চালক ইদ্রিস, যাত্রীসহ ৪জন আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে সার্জারি বিভাগের ইন্টার্ন চিকিৎসক রাফিদ ইজিবাইকের যাত্রী জাহিদ নামে ১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করেছেন।

    মৃত জাহিদ হোসেন নলকূপ মিস্ত্রি। তিনি বাড়ি থেকে ইজিবাইকযোগে মঙ্গলবার সকালের দিকে যশোর শহরে আসার পথে এই দুর্ঘটনার শিকার হন।

    যশোর কোতয়ালী থানার ইনসপেক্টর (তদন্ত) শেখ তাসমিম আলম আলাদা দুর্ঘটনায় ২ জনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেছে। তিনি জানিয়েছেন, পুলেরহাটে দুর্ঘটনাকবলিত ইজিবাইক ও ট্রাক আটক করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • যশোরে নকল সুরক্ষাসামগ্রী তৈরির অবৈধ কারখানায় অভিযান

    যশোরে নকল সুরক্ষাসামগ্রী তৈরির অবৈধ কারখানায় অভিযান

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধি:- কারখানার নেই কোন অনুমোদন, নিয়োগ দেওয়া হয়নি স্বীকৃত কেমিস্টও। অক্ষরজ্ঞানহীন শ্রমিক ইচ্ছামত সব ঝুকিপূর্ণ রাসায়নিক উপাদান মিশিয়ে তৈরি করছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, টাইলস ও টয়লেট ক্লিনার,ব্যাটারির পানিসহ বিভিন্ন দ্রব্যাদি তৈরি করছে। কারখানায় ব্যবহৃত এসিডসহ অন্যান্য পদার্থ ফেলে রাখা হয়েছে উঠোনে। এরকই একটি অবৈধ কারখানার সন্ধ্যান পাওয়া গেছে যশোর সদর উপজেলার কিসমত নওয়াপাড়া এলাকাতে।

    অবৈধ ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানকালে কারখানাটি ‘সিলগালা’ করাসহ মালিক মামুনুর রশীদকে ১ বছরের কারাদন্ড ও ২ লক্ষ টাকা জরিমানা করেছেন আদালত।

    ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী আতিকুর রহমান জানিয়েছেন, বিএসটিআই এর অনুমোদন ছাড়াই আবাসিক এলাকায় হ্যান্ডস্যানিটাইজার, ভিক্সল, টয়লেট ক্লিনার, ব্যাটারির পানি উৎপাদন করা হচ্ছিলো। কেমিস্ট ছাড়াই পণ্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, খোলা স্থানে হাইড্রোক্লোরিক এসিড রাখাসহ বিভিন্ন অভিযোগে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেছেন এবং মালিককে সাজা প্রদান করা হয়েছে।

    অভিযানকালে র‌্যাব ও পুলিশ সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যবিপ্রবি ল্যাবে যশোরের ৬৭ ও মাগুরার ১৮ নমুনা করোনা পজেটিভ

    যবিপ্রবি ল্যাবে যশোরের ৬৭ ও মাগুরার ১৮ নমুনা করোনা পজেটিভ

    যশোর প্রতিনিধি : যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) জিনোম সেন্টার থেকে আজ সোমবার (২০ জুলাই) প্রকাশিত ফলাফলে ৮৫টি নমুনাকে পজিটিভ হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। নমুনাগুলো যশোর ও মাগুরা জেলার।

    যবিপ্রবি এনএফটি বিভাগের চেয়ারম্যান ও পরীক্ষণ দলের সদস্য ড. শিরিন নিগার জানিয়েছেন, রবিবার তাদের ল্যাবে মোট ২৭০টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। এর মধ্যে ৮৫টি পজেটিভ ও ১৮৫ টি নেগেটিভ ফল এসেছে ।

    পরীক্ষিত নমুনাগুলোর মধ্যে যশোর জেলার ছিল ২২৩টি। এর মধ্যে ৬৭টি নমুনা পজেটিভ ফল এসেছে। আর মাগুরার ৪৭টি নমুনা পরীক্ষা করে ১৮টির ফল পজেটিভ রিপোর্ট এসেছে ।
    পরীক্ষা সংক্রান্ত বিস্তারিত তথ্য সংশ্লিষ্ট ২ টি জেলার সিভিল সার্জনদের কার্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।

    যশোরের পজেটিভ নমুনাগুলোর মধ্যে কতটি নতুন আর কতটি ফলোআপ তা এখনো জানা যায়নি। নতুন আক্রান্ত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে তাদের বাড়ি লকডাউনসহ আনুষঙ্গিক কাজ করবে স্থানীয় প্রশাসন কর্মকর্তারা।

    এর আগের দিন রবিবার বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্য বিভাগের হিসেব মতে যশোর জেলায় মোট শনাক্ত করোনা রোগীর সংখ্যা ছিল ১ হাজার ৩২৭। এদের মধ্যে মারা গেছে ১৯ জন। সুস্থ হয়ে উঠেছে ৬৬৯ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/নিলয়

  • যশোরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

    যশোরে প্রতিবন্ধী কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগ

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার মাটিকোমড়া গ্রামের এক প্রতিবন্ধী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গত রবিবার সকাল ১০ টার সময় ঝিকরগাছা উপজেলার হাজিরবাগ ইউনিয়নের মাটিকোমড়া গ্রামে ঘটেছে বলে অভিযোগ করা হচ্ছে।

    বৃহস্পতিবার সকালে ঐ গ্রামে গিয়ে কথিত ধর্ষিতা মায়ের সঙ্গে কথা হয়েছে, তিনি জানিয়েছেন, গত রবিবার বেলা ১০ ঘটিকার দিকে তার ১৪ বছর বয়সী প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েকে প্রতিবেশি মনিরুল ইসলাম (৪০) খেলার কথা বলে পাশের একটি বাগানে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে।

    এই সময় তিনি (ধর্ষিতার মা) বাগানের পাশ দিয়ে মাঠে যাচ্ছিলেন। তার কথা শুনে ধর্ষক মনিরুল দৌঁড়ে পালিয়ে যায়। এই সময়ে প্রতিবন্ধী কিশোরী মেয়েটি কাপতে কাপতে জামা কাপড় ছেড়া অবস্থায় মায়ের কাছে ছুটে আসে।

    এই ঘটনার বিচার চেয়ে প্রতিবন্ধীর পরিবারের পক্ষ থেকে তার মা স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ মোড়ল মাতব্বদের কাছে গেলেও তারা কর্নপাত করেনি বলে অভিযোগ ঐ কিশোরীর মায়ের।

    তবে ধর্ষনের অভিযোগ সত্য নয় বলে দাবী করেন ধর্ষক মনিরুল ইসলাম।

    এই বিষয়ে জানতে চেয়ারম্যান আতাউর রহমান মিন্টুর কাছে ফোন করলে তিনি জানিয়েছেন, আসলে ঘটনাটি সত্য দুই পরিবার অসহায় হওয়াই শালীসি বৈঠাকের মাধ্যমে মিমাংসার কথা বলেছেন।

    এই বিষয়ে ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অফিসার ইনচার্জ আঃ রাজ্জাক কাছে জানতে চাইলে তিনি জানিয়েছেন, ঘটনার বিষয়টি আগে শুনিনি, বা কেও কোন অভিযোগ করেনি।

    গতকাল সকালে ভিকটিমের মা আমার কাছে ফোন করে কান্নাকাটি করেছিলো আমি বিষয়টি আমলে নিয়ে তৎখানিক বাঁকড়া তদন্ত কেন্দ্রের এস আই হাফিজ উদ্দীনকে ভিকটিমের বাড়িতে পাঠাই। ঘটনার সত্যতা প্রমাণ হলে দ্রুত আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • মণিরামপুরে দিন দুপুরে গুলি করে ও গলা কেটে ১ ব্যক্তিকে হত্যা

    মণিরামপুরে দিন দুপুরে গুলি করে ও গলা কেটে ১ ব্যক্তিকে হত্যা

    নিলয় ধর,যশোর প্রতিনিধিঃ যশোরের মণিরামপুরে রফিকুল ইসলাম রফি (৫৫) নামে ১ ব্যক্তিকে দিন দুপুরে গুলি করে ও গলা কেটে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

    বৃহস্পতিবার(৯ জুলাই) দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার হাজিরহাট এলাকার দিগঙ্গা কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে এই ঘটনা ঘটে।

    নিহত হলেন, রফি উপজেলার মধুপুর গ্রামের মৃত আমারত আলীর ছেলে।

    তিনি এক সময় নিষিদ্ধ ঘোষিত পূর্ববাংলার কমিউনিস্ট পার্টির আঞ্চলিক কমান্ডার ছিলেন। পরে তিনি দল ছেড়ে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন।

    পুলিশ জানিয়েছেন, নিহতের ডান বুকে ও ডান বাহুতে দুটি গুলির চিহ্ন এবং গলায় ধারালো অস্ত্রের কোপের দাগ রয়েছে।

    স্থানীয়রা জানিয়েছেন, সুন্দলি বাজারে যাত্রী নামিয়ে মণিরামপুরের দিকে ফিরে আসছিলেন রফিক। দিগঙ্গা-কুচলিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের পাশে ফাঁকা স্থানে পৌঁছালে দুর্বৃত্তরা তাকে গুলি করে ও কুপিয়ে হত্যা করে চলে যায়। নিহত রফিক একসময় খুব দুর্ধর্ষ ছিলেন বলে জানিয়েছে এলাকাবাসী।

    তার নামে মণিরামপুর থানায় একাধিক মামলাও রয়েছে। তবে গত কয়েকবছর ধরে তিনি ইজিবাইক চালিয়ে সংসার চালাতেন।

    কুচলিয়া এলাকার ইউপি সদস্য প্রণবকুমার বিশ্বাস জানিয়েছেন , গুলির শব্দ শুনে মাঠে থাকা লোকজন এগিয়ে এসে রফিকের লাশ ও ইজিবাইকটি পড়ে থাকতে দেখে। এরপর খবর পেয়ে মণিরামপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে। সেইসঙ্গে লাশের পাশে পড়ে থাকা রফিকের ইজিবাইকটিও উদ্ধার করা হয়েছে।

    এই বিষয়ে যশোর পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তৌহিদুল ইসলাম জানিয়েছেন, কে বা কারা প্রকাশ্যে রফিককে হত্যা করেছে তা এখনো জানা যায় নি। তবে বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর