Tag: যান চলাচল

  • অক্টোবরেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল

    অক্টোবরেই কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচল

    সংস্কারকাজ পর্যবেক্ষণ শেষে কালুরঘাট সেতুতে যানবাহন চলার পক্ষে ‘মত’ দিয়েছেন বুয়েট বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) বিশেষজ্ঞদল। মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিন সদস্যের ওই প্রতিনিধিদল সেতু পরিদর্শনে যান। পরে বিকেলে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের দপ্তরে বৈঠকে বসে বাকি সংস্কার কাজ শেষ করে দ্রুত খুলে দেওয়ার পরামর্শ দেন।

    এ বিষয়ে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের সেতু প্রকৌশলী জিসান দত্ত বলেন, কালুরঘাট ব্রিজের সংষ্কার কাজের বিষয়ে বিশেষজ্ঞ দল সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তবে এখনো পর্যন্ত অল্প কিছু কাজ বাকি আছে। এসব কাজ এ মাসের মধ্যে শেষ হয়ে যাবে। এরপর আনুষ্ঠানিকভাবে গাড়ি চলচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।

    ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেডের প্রকল্প ব্যবস্থাপক মো. মেহেদী হাসান বলেন, আজকে রেলওয়ের সাথে বুয়েটের বিশেষজ্ঞ দলের বৈঠকের কালুরঘাট নিয়ে বৈঠক হয়েছে। এখনো পর্যন্ত বিশেষজ্ঞদের এবং রেলওয়ের ফিডব্যাক আসেনি। আগামীকালের মধ্যে আশাকরি করা চলে আসবে।

    ‘এখন পর্যন্ত কালুরঘাট সেতু গাড়ি চলাচলের জন্য উপযোগী। তবে আমাদের অল্পকিছু কাজ বাকি আছে। এর মধ্যে ব্রিজ রং ও স্ট্রিট লাইট বসানোর কাজ বাকি আছে। তবে সেগুলো গাড়ি চলাচলে কোনো সমস্যা পোহাবে না।’ বলেও জানান ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের এ কর্মকর্তা।

    বুয়েট বিশেষজ্ঞ টিমের প্রধান বুয়েটেরে পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. সাইফুল আমীন বলেন, ‘সেতুর কিছু কাজ বাকি আছে। আমরা কাজের ধাপ অনুযায়ী তালিকাটি বাংলাদেশ রেলওয়ের কাছে পাঠাবো। ওই কাজগুলো শেষ হলেই সড়ক যানবাহনের জন্য উন্মুক্ত ঘোষণা করা হবে।

    যদিও আনুষ্ঠানিকভাবে সেতু খুলে দেওয়া না হলেও গত ৬ আগস্ট থেকে সরকার পতনের পর থেকে সেতুতে যানবাহন চলাচল করছে ইচ্ছেমতো। ফেরি বন্ধ হলে কিংবা সময়মতো না পেলে যানবাহন চালকরা নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিভিন্ন সময় সেতু পার হন। নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সেতুতে উঠে রেলিং ভেঙে দুর্ঘটনাও ঘটেছে কয়েকবার।

  • অবরোধ প্রত্যাহার,মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

    অবরোধ প্রত্যাহার,মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক

    টানা ৮ ঘণ্টা জনদুর্ভোগের পর অবশেষে বেলা ২টার পর সড়ক অবরোধ তুলে নিয়েছেন শ্রমিকরা। এর পর থেকেই ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড থেকে শ্রমিকরা সরে যেতে শুরু করলে শুরু হয় ঢাকা-সিলেট ও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে যান চলাচল।

    এ ছাড়া নারায়ণগঞ্জ শহর থেকেও শুরু হয় যান চলাচল। তবে সকাল ৬টা থেকে টানা ৮ ঘণ্টা সড়ক অবরোধের কারণে লাখ লাখ মানুষকে চরম ভোগান্তি আর দুর্ভোগের শিকার হতে হয়।

    সাইনবোর্ডে অবরোধকারীরা জানান, তারা তাদের দাবির প্রতি অবিচল। কিন্তু বুধবার মন্ত্রীদের সঙ্গে শ্রমিক নেতাদের বৈঠকের কারণে আপাতত সাময়িকভাবে অবরোধ প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। দাবি না মানলে প্রয়োজনে আবারও অবরোধ করা হবে।

    এর আগে নারায়ণগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী সব পরিবহন বুধবার সকাল থেকে বন্ধ ছিল। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ যাত্রীরা। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বাসের জন্য দাঁড়িয়ে থেকেও না পেয়ে হাঁটতে শুরু করে।

    ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন রেখে অবরোধ করে রাখেন পরিবহন শ্রমিকরা। ফলে ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা-সিলেট মহাসড়কেও যান চলাচল বন্ধ ছিল।

    জানা গেছে, নতুন সড়ক পরিবহন আইন স্থগিত রাখাসহ ৯ দফা দাবিতে বুধবার সকাল ৬টা থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ডাকে বাংলাদেশ ট্রাক-কাভার্ডভ্যান পণ্য পরিবহন মালিক শ্রমিক ঐক্য পরিষদ। ওই কর্মবিরতিতে সংহতি প্রকাশ করে সারা দেশের মতো নারায়ণগঞ্জেও সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ ছিল।

    প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ৬টা থেকেই পরিবহন শ্রমিকরা সাইনবোর্ড এলাকায় দাবি আদায়ে বিক্ষোভ শুরু করেন। তখন ব্যক্তিমালিকাধীনসহ বেসরকারি গাড়ি চলাচল করছিল। পরে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের সাইনবোর্ড এলাকায় এলোপাথাড়ি যানবাহন ফেলে রেখে ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের ঢাকামুখী রাস্তা বন্ধ করে দেয়।

    এতে করে শিবু মার্কেট থেকেই এ সড়ক তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়। কয়েক ঘণ্টা পর্যন্ত রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে যানবাহন। অতিষ্ঠ হয়ে যাত্রীরা যানবাহন থেকে নেমে হেঁটে যেতে শুরু করেন।

    সরেজমিন চাষাড়া এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, ঘণ্টার পর ঘণ্টা যাত্রীরা চাষাড়া বাস টার্মিনালে যানবাহনের জন্য অপেক্ষা করেন। কোনো বাস থাকায় অনেকেই বাসায় ফিরে যান। আর যারা জরুরি প্রয়োজনে বের হয়েছে তাদের কেউ ট্রেনের জন্য আবার কেউ হেঁটে রওনা হন কিংবা রিকশায়। সিএনজি অটোরিকশাও চলাচলে বাধা দিতে দেখা যায় শ্রমিকদের। শুধু প্রাইভেটকার, অ্যাম্বুলেন্স, রিকশা ও লেগুনা চলাচল করতে দেখা যায়।

    পরিবহন শ্রমিকরা বলেন, ‘আমরা গলায় ফাঁসি নিয়ে পরিবহন চালাব না। কারণ পরিবহন চালান একটি সেবা। আমরা মানুষকে সেবা দেয়। আর কেউ ইচ্ছা করে দুর্ঘটনা ঘটায় না। তার পরও কঠোর শাস্তির বিধান করেছে। আবার লাইসেন্স, গাড়ির কাগজসহ বিভিন্ন কিছুর জন্য হাজার গুণ জরিমানা ধার্য করেছে। এগুলো কীভাবে পরিশোধ করব।

    আমরা সারা মাসে ২৫ হাজার টাকা আয় করতে পারি না। ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হলে গাড়িসহ সংসারের জিনিসপত্র বিক্রি করতে হবে। এভাবে গাড়ি চলানো সম্ভব নয়।

    ফতুল্লা মডেল থানার ওসি আসলাম হোসেন জানান, যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।

  • চকরিয়ায় বেতুয়াবাজার ব্রীজে ফুটো, ঝুঁকিপূর্ণ যানচলাচল

    চকরিয়ায় বেতুয়াবাজার ব্রীজে ফুটো, ঝুঁকিপূর্ণ যানচলাচল

    কক্সবাজারের চকরিয়ার চিরিঙ্গা-বেতুয়াবাজার-বাগগুজারা সড়কের বেতুয়াবাজার ব্রীজের নিচে মাটি সরে যাওয়ার বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। গত কয়েকদিন ধরে এই গর্ত দৃশমান হলেও সড়ক ও জনপথ বিভাগের কোন ধরনের পদক্ষেপ না থাকায় ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে যানবাহন ও পথচারী।

    গতকাল শনিবার বিকালে সরেজমিন দেখা যায় গত বর্ষার বন্যায় ওই সড়কের বেতুয়াবাজার ব্রীজের পশ্চিম পাশে ব্রীজের কানেকটিং সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যায়। এ সময় চকরিয়া-পেকুয়া আসনের এমপি জাফর আলম সরেজমিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। কিন্তু বর্ষা চলে গেলেও সড়কের সংস্কার কাজ না করায় ব্রীজের উপরিভাগ থেকে মাটি সরে গিয়ে ফুটো হয়ে যায়।

    জানা যায়, চিরিঙ্গা-বেতুয়াবাজার-বাগগুজারা সড়কে প্রতিদিন বিভিন্ন যানবাহনে করে অন্তত ৫ হাজার লোকের চলাচল রয়েছে। ব্রীজের কানেকটিং সড়কে গর্তে সৃষ্টি হওয়ায় সড়ক দিয়ে যাতায়তকারী যানবাহন ও লোকজনের মাঝে আতংক দেখা দিয়েছে। যেকোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

    ওই সড়কে চলাচলকারী সরোয়ার আলম নামের এক ব্যক্তি বলেন, গত বর্ষাকালে মাতামুহুরী নদীর উপর নির্মিত বেতুয়াবাজার ব্রীজের কানেকটিং সড়কের নিচ থেকে মাটি সরে যায়।

    এসময় এমপি জাফর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও যথাসময়ে সংস্কার কাজ না করায় নিচের মাটি সরে গিয়ে বড় ধরনের গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে যানবাহনে চলাচলকারী লোকজনের মাঝে আতংক সৃষ্টি হয়েছে।

    সড়ক ও জনপথ বিভাগের চকরিয়া উপবিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মোহাম্মদ রাফিজ বিন মনজুর বলেন, বেতুয়াবাজার ব্রীজের কানেকটিং সড়কে মাটি সরে গিয়ে ফুটো হওয়ার বিষয়ে আমরা অবগত আছি। দুই একদিনের মধ্যে সংস্কার কাজ শুরু হবে।