Tag: যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

  • চট্টগ্রামে ইয়াবা কারবারে জড়িত ট্রাকচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    চট্টগ্রামে ইয়াবা কারবারে জড়িত ট্রাকচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    চট্টগ্রামে ৪৮ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার এক ট্রাকচালককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    বুধবার (৩১ জানুয়ারি) চট্টগ্রামের চতুর্থ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালত এই আদেশ দেন।

    যাবজ্জীবন কারাদণ্ড পাওয়া ট্রাকচালকের নাম মো. এমরানুল ইসলাম। তিনি কক্সবাজার জেলার পেকুয়া থানার বারবাকিয়া ইউনিয়নের ফাসিয়াখালি গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে।

    আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ১২ সেপ্টেম্বর ভোরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানার জালালাবাদ আরেফিন নগর বাজার এলাকায় একটি ট্রাক থেকে ৪৮ হাজার ৮০০ পিস ইয়াবাসহ এমরানুলকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব-৭। ওই ঘটনায় ট্রাকচালকের সহকারী এক কিশোরকেও (১৪) গ্রেপ্তার করা হয়েছিল।

    এ ঘটনায় র‌্যাব-৭ এর তৎকালীন সিনিয়র ওয়ারেন্ট অফিসার সিরাজুল ইসলাম বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র দিলে ২০২২ সালের ২৭ জানুয়ারি এমরানুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু হয়। মামলার অন্য আসামি শিশু হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে আলাদা মামলা পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আবু জাফর জানান, আটজনের সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে আসামি মো. এমরানুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় আসামি মো. এমরানুল ইসলাম আদালতে উপস্থিত ছিলেন। পরে তাকে সাজা পরোয়ানামূলে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • যুদ্ধাপরাধ: ময়মনসিংহের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    যুদ্ধাপরাধ: ময়মনসিংহের ৫ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মুক্তিযুদ্ধকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ময়মনসিংহের ত্রিশালের পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।

    সোমবার (২০ ফেব্রুয়ারি) ট্রাইব্যুনালের চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এ রায় ঘোষণা করেন।

    আসামিরা হলেন মো. হরমুজ আলী, মো. আবদুস সাত্তার, খন্দকার গোলাম রব্বানী, খন্দকার গোলাম ছাব্বির আহমাদ ও মো. ফখরুজ্জামান। এদের মধ্যে খন্দকার গোলাম ছাব্বির ও মো. ফখরুজ্জামান পলাতক।

    ২০১৫ সালের ১৯ মে মুক্তিযোদ্ধা আবদুর রহমানের স্ত্রী রহিমা খাতুন এ মামলা করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুই বছর তদন্তের পর আটজনের বিরুদ্ধে ট্রাইব্যুনালে প্রতিবেদন দাখিল করেন। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়। ২০১৯ সালের ২৭ মে এ মামলার বিচার শুরুর আদেশ দেয় ট্রাইব্যুনাল।

    মামলার আট আসামির মধ্যে কারাবন্দি থাকা অবস্থায় তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা হলেন এম এ হান্নান ও তার ছেলে রফিক সাজ্জাদ এবং মিজানুর রহমান মন্টু। বাকি পাঁচজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

  • মেয়েকে ধর্ষণ : বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    মেয়েকে ধর্ষণ : বাবার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    রাজধানীর বাড্ডায় নিজের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলায় বাবা কামাল হোসেনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে তাকে।

    মঙ্গলবার (৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করেন।

    মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ৮-৯ বছর আগে ভুক্তভোগীর বাবা-মায়ের ডিভোর্স হয়। এরপর ভুক্তভোগী তার দাদির কাছে থাকত। ডিভোর্সের পর লিপি বেগম নামে আরেকজনকে বিয়ে করেন আসামি। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে ভুক্তভোগীকে তার বাবা রূপনগর আবাসিক এলাকার বস্তিতে নিয়ে যান। এ নিয়ে তার সৎমায়ের সঙ্গে বাবার ঝগড়া হয়। পরে একই বছরের ২ মে ভুক্তভোগীকে নিয়ে তার বাবা বাড্ডার আব্দুল্লাহবাগ এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। ওই বছরের ৪ ও ৫ মে আসামি কামাল হোসেন ভুক্তভোগীকে ধর্ষণ করেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী বাদী হয়ে বাড্ডা থানায় মামলা করেন।

    মামলার পর কামাল হোসেনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ৬ মে আদালত তার দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রিমান্ড শেষে ৯ মে কামাল হোসেন ধর্ষণের দায় স্বীকার করে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। এরপর তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।

    গত বছরের ১২ অক্টোবর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বাড্ডা থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) আল-ইমরান আহম্মেদ আসামি কামাল হোসেনকে অভিযুক্ত করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। এরপর ২০২০ সালের ১২ অক্টোবর আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত। মামলায় আটজন সাক্ষীর মধ্যে বিভিন্ন সময়ে ছয়জন সাক্ষ্য দেন।

     

  • কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    কন্যাকে ধর্ষণের দায়ে পিতার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ফটিকছড়ি প্রতিনিধি : চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার ভূজপুরে নিজ কন্যা সন্তান (১২)-কে ধর্ষণের দায়ে মোঃ নেজাম উদ্দীন (৪০) নামে এক পিতাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

    মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল-৭ এর বিচারক মুন্সী আব্দুল মজিদ এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণাকালে আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

    বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিত করে ট্রাইবুনালের পিপি খন্দকার আরিফুল আলম বলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মোট দু’টি ধারায় আসামির সাজা হয়েছে। এর মধ্যে ৯(১) ধারায় আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড, ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন। অপর ৯(৪) (খ) ধারায় আসামিকে ৫ বছরের কারাদণ্ড, ৫ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে ৩ মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পুরো বিচার প্রক্রিয়ায় আদালত ১৩ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করেছেন।

    মামলার সুত্রে জানা গেছে, ‘১৫-২০ দিন ধরে নিজের মেয়েকে ধর্ষণ করে আসছিল মো. নেজাম উদ্দীন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হলে স্থানীয় চেয়ারম্যান রুস্তম আলীর কাছে বিচার চাওয়া হয়। চেয়ারম্যান বিষয়টি জেনে ঘটনাটি দ্রুত দাঁতমারা পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের মাধ্যমে ভূজপুর থানায় অবহিত করেন। এলাকার লোকজন শিশুটির বাবা নেজাম উদ্দীনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোপর্দ করে। পরে মেয়ের মা সেলিনা আকতার নিজে বাদী হয়ে ভুজপুর থানায় একটি মামলা করেন।

    মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ২০১৯ সালের ৩০ অক্টোবর বাদী অভিযোগ আমলে নিয়ে নেজাম উদ্দিনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দেন। পরবর্তীতে ২০২০ সালের ৫ মার্চ আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আদালত।

    ২৪ঘণ্টা/জুনায়েদ

  • ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ে এক কিশোরীকে গণধর্ষণের অপরাধে তিন যুবককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া প্রত্যেককে ১ লাখ টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। পৃথক ধারায় অপহরণের দায়ে প্রত্যেককে ১৪ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ৬ মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

    বৃহস্পতিবার (১২ মার্চ) বিকালে ঠাকুরগাঁও নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ গোলাম ফারুক এ রায় প্রদান করেন।

    মামলার অভিযুক্ত আসামিরা হলো- ঠাকুরগাঁও জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার দৌলতপুর গ্রামের মলিফত হোসেনের ছেলে মকিম উদ্দিন (৪৩), রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে সুমন (৩৩) ও দৌলতপুর গ্রামের মকিম উদ্দিনের (শুকনা) ছেলে আব্দুল মালেক (সানু) (৩২)।

    মামলার অপর আসামি সখিনা বেগম মামলা চলা অবস্থায় মৃত্যুবরণ করায় তাকে এই মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। নিহত সখিনা বেগম (৪৮) পীরগঞ্জ উপজেলার জগথা গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী।

    মামলা সূত্রে যানা যায়, ২০০৮ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর বিকালে দণ্ডিত আসামি মকিম উদ্দিন রানীশংকৈল উপজেলার গোগর চৌরাস্তা এলাকার রিকশাচালক মনতাজ আলী সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়েছে এমন সংবাদ দিয়ে তার বাসা হতে নাবালিকা কন্যাকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। সেই দিন রাতে পীরগঞ্জ উপজেলার জগথা এলাকায় জনৈক সখিনা বেগমের বাসায় নিয়ে গিয়ে ওই আসামিসহ অপরাপর সহযোগীরা মেয়েটিকে দুই দিন যাবত পালাক্রমে ধর্ষণ করে।

    এ ঘটনায় মেয়েটির মা লতিফা খাতুন বাদী হয়ে ২৬ সেপ্টেম্বর রানীশংকৈল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।

    পরে পুলিশ ভিক্টিমকে উদ্ধার করে ও আসামিদের গ্রেপ্তার করে আদালতে সোপর্দ করে। তদন্ত শেষে ২০০৯ সালের ১৩ জানুয়ারি ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই ফরহাদ হোসেন দণ্ডিত আসামিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

     

  • নীলফামারীতে নারী ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    নীলফামারীতে নারী ধর্ষণের অপরাধে ধর্ষকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড

    নীলফামারীর সৈয়দপুরে এক নারীকে ধর্ষণের দায়ে আসামী আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমনা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত।

    বুধবার(৩০ অক্টোবর) দুপুরের নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক জেলা ও দায়রা জজ আহসান তারেক ওই দন্ডাদেশ প্রদান করেন।

    দন্ডাদেশ প্রাপ্ত আমিনুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে পলাতক রয়েছেন। সে সৈয়দপুর উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের পূর্ব দক্ষিণপাড়া মহল্লার মনির উদ্দিনের ছেলে।

    মামলার বিবরণে মতে, ২০০৪ সালের ২৪ আগষ্ট রাতে সৈয়দপুর লক্ষমণপুর বালাপাড়া গ্রামের স্বামী পরিত্যক্তা দুলালী বেগমকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে একই উপজেলার নিয়ামতপুর গ্রামের আমিনুল ইসলাম। পরের দিন বিকালের গৃহবধু বাদী হয়ে আমিনুলের বিরুদ্ধে সৈয়দপুর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ (সংশোধিত/০৩) এর ৯ (১)/৩০ ধারা একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-১৭।

    ওই মামলার তদন্ত শেষে ২০০৪ সালের ৩০ সেপ্টম্বর আদালতে আমিনুলের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সৈয়দপুর থানার উপ-পরিদর্শক আজগর আলী।নীলফামারী নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী রমেন্দ্র নাথ বর্দ্ধন বাপী জানান, বিচার কাজ শুরু থেকেই আসামী আমিনুল ইসলাম পলাতক রয়েছে। তার বিরুদ্ধে দায়ের করা নারী শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০০ এর ৯ (১) আদালতে প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক আসামী আমিনুল ইসলামকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদন্ড ও নগদ ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ছয় মাসের কারাদন্ডাদেশ প্রদান করেন।