Tag: যুক্তরাষ্ট্র

  • নির্বাচনে সহিংসতা করলে বিরোধীদলও মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

    নির্বাচনে সহিংসতা করলে বিরোধীদলও মার্কিন ভিসা পাবে না: ডোনাল্ড লু

    বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিরোধীদলের কেউ সহিংসতা বা ভোটারদের ভয় দেখালে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন বলে জানিয়েছেন সহকারী মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডোনাল্ড লু।

    বুধবার মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন বাংলাদেশের জন্য নতুন ভিসানী‌তি ঘোষণার মধ্যেই দেশের এক‌টি বেসরকারি টেলিভিশনের সঙ্গে সরাসরি যুক্ত হ‌য়ে এমন বার্তা দেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়াবিষয়ক সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    বাংলাদেশিদের কীভাবে এই নীতির আওতায় আনা হবে- জানতে চাইলে লু বলেন, এই নীতি সরকার ও বিরোধী দল সবার জন্যই সমানভাবে প্রযোজ্য হবে। উদাহরণ দিয়ে বলা যায়, সামনের নির্বাচনে যদি আমরা দেখি যে বিরোধীদলের কেউ সহিংসতায় জড়িয়ে পড়েছেন বা ভোটারদের ভয় দেখিয়েছেন, তাহলে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা পাবেন না।

    তিনি বলেন, একইভাবে যদি আমরা দেখি যে সরকারের বা নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত কেউ যদি ভোটারদের ভয় দেখায় অথবা সহিংসতায় জড়ায় অথবা বাক স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে, তবে সেই ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে ভ্রমণের জন্য অযোগ্য বলে বিবেচিত হবেন।

    জড়িত ব্যক্তিদের পরিবারের সদস্যদের ভিসা বিধিনিষেধে বিষ‌য়ে জান‌তে চাইলে লু বলেন, নতুন এই নীতি ও যে আইনের ওপর ভিত্তি করে এটি নেওয়া হয়েছে, উভয় জায়গাতেই এই বিষয়টি খুব স্পষ্ট। অভিযুক্ত ব্যক্তির নিকট পরিবারের সদস্যরা অর্থাৎ স্বামী/স্ত্রী ও সন্তানরা এই নীতিতে ভিসা বিধিনিষেধের সম্মুখীন হবেন।

    ক্ষতিগ্রস্ত ব্যক্তিদের ভিসা বাতিলের বিষয়‌টি কীভাবে জানা‌নো হবে- জানতে চাইলে লু বলেন, যাদের ভিসা প্রত্যাহার করা হবে এমন সবাইকেই আমাদের সিদ্ধান্তের বিষয়টি তৎক্ষণাৎ জানানো হবে।

    গত ১৪ মে মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নিরাপত্তা কমিয়ে আনার ঘটনার জেরেই কী এই নীতি গ্রহণ করা হচ্ছে কিনা- জান‌তে চাইলে লু বলেন, বিষয়টি একেবারেই এরকম না। গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে যখন নতুন এই নীতির বিষয়ে অবহিত করা হয়। তখন আমি ব্যক্তিগতভাবে এই প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত ছিলাম। সুতরাং নতুন এই নীতি ও এর ঘোষণা কোনোভাবেই সরকারের ১৪ মের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত নয়। যুক্তরাষ্ট্র সরকার কখনো প্রতিশোধের মনোভাব নিয়ে সিদ্ধান্ত নেয় না এবং নেবে না।

    বাংলাদেশের নির্বাচন যুক্তরাষ্ট্রের কাছে কেন এতো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন রাখা হয় লুর কা‌ছে। জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কাছে বাংলাদেশের বিশেষ স্থান রয়েছে। এই দুই দেশের মানুষে–মানুষে, পারিবারিক, প্রাতিষ্ঠানিক, বিশ্ববিদ্যালয় ও কোম্পানি পর্যায়ে দারুণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা বিশ্বব্যাপী গণতন্ত্র এগিয়ে নিতে চেষ্টা করি যা বাইডেন–হ্যারিস প্রশাসনের একটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আমরা বিশ্বাস করি, বাংলাদেশে একটি সত্যিকারের গণতন্ত্র রয়েছে যে কারণেই এখানে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়া দরকার।

     

  • যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পলিসি, নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়

    যুক্তরাষ্ট্রের নতুন পলিসি, নির্বাচনে বাধা দিলে ভিসা নয়

    চলতি বছরের শেষের দিকে বাংলাদেশে জাতীয় নির্বাচন হতে যাচ্ছে। যেসব ব্যক্তি বা গোষ্ঠী এই নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করবে বা গণতান্ত্রিক ধারাকে ব্যাহত করার চেষ্টা করবে, তাদের ও তাদের পরিবারের সদস্যদের ওপর ভিসা বিধিনিষেধ জারি করবে যুক্তরাষ্ট্র।

    বুধবার যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন এক টুইটবার্তায় এ ঘোষণা দেন। পরে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ব্রিফিংয়েও এ তথ্য নিশ্চিত করেন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার।

    বুধবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ৮ মিনিটে এক টুইটবার্তায় মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করার লক্ষ্যকে সহায়তা করতে আমি আজ ইমিগ্রেশন অ‌্যান্ড ন্যাশনালিটি অ্যাক্টের ২১২ (এ) (৩) (সি) (৩সি) ধারার আওতায় নতুন ভিসা নীতি ঘোষণা করছি। এই নীতির অধীনে, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা যেকোনো বাংলাদেশি ব্যক্তির ওপর ভিসা বিধিনিষেধ আরোপ করতে পারবে।

    বর্তমান ও সাবেক বাংলাদেশি কর্মকর্তা/কর্মচারী, সরকারপন্থি ও বিরোধী রাজনৈতিক দলের সদস্য এবং আইন প্রয়োগকারী, বিচার বিভাগ ও নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যদের নতুন এই নীতির আওতায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে বলেও জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।

    পরে বাংলাদেশের মার্কিন দূতাবাস থেকে দেওয়া এ সম্পর্কিত এক বিবৃতিতে বলা হয়, গণতান্ত্রিক নির্বাচন প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে এমন কাজের মধ্যে রয়েছে- ভোট কারচুপি, ভোটারদের ভয় দেখানো, সহিংসতার মাধ্যমে জনগণকে সংগঠিত হওয়ার স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার প্রয়োগ করতে বাধা দেওয়া এবং বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে রাজনৈতিক দল, ভোটার, সুশীল সমাজ বা গণমাধ্যমকে তাদের মতামত প্রচার করা থেকে বিরত রাখা।

    ব্লিনকেন বলেন, ‘অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের দায়িত্ব ভোটার, রাজনৈতিক দল, সরকার, নিরাপত্তা বাহিনী, সুশীল সমাজ ও গণমাধ্যমসহ সবার। যারা বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে এগিয়ে নিতে চায় তাদের সকলকে আমাদের সমর্থন দিতে আমি এই নীতি ঘোষণা করছি।’

    গত ৩ মে বাংলাদেশ সরকারকে এই সিদ্ধান্তের ব্যাপারে অবহিত করা হয়েছে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে বলে বিবৃতিতে।

  • যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৯

    যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলা, নিহত ৯

    যুক্তরাষ্ট্রে বন্দুকধারীর হামলায় কমপক্ষে ৯ জন নিহত হয়েছে। টেক্সাসের ডালাসের উত্তরাঞ্চলের একটি শপিংমলে এই হামলা চালানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির ইমার্জেন্সি সার্ভিস। খবর বিবিসির।

    অ্যালেন শহরে ওই হামলার পরপরই শপিংমল থেকে শত শত মানুষকে নিরাপদে সরিয়ে নেওয়া হয়। এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, এক বন্দুকধারী শপিংমলের লোকজনকে লক্ষ্য করে এলোপাতাড়ি গুলি ছুড়তে থাকে।

    এদিকে ওই হামলার পর পুলিশের গুলিতে বন্দুকধারী নিহত হয়েছে বলে নিশ্চিত করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, একজন ব্যক্তিই বন্দুক নিয়ে হামলা চালিয়েছে।

    ধারণা করা হচ্ছে, নিহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজন শিশুও রয়েছে। ওই হামলায় কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছে। তাদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এদের মধ্যে তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

    টেক্সাসের গভর্নর গ্রেগ অ্যাবোট এই বন্দুক হামলাকে ‌‘ভয়াবহ ট্র্যাজেডি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, তারা স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে যে কোনো ধরনের সহায়তা দিতে প্রস্তুত।

    ফনটাইন পেটন নামের এক প্রত্যক্ষদর্শী এপি নিউজকে জানান, শপিংমলে তার কানে হেডফোন থাকার পরেও তিনি গোলাগুলির শব্দ শুনতে পেয়েছেন।

    তিনি বলেন, লোকজন যখন শপিংমল থেকে বের হয়ে যাচ্ছিল তখন তারা বাইরে বেশ কয়েকজনের মরদেহ দেখতে পান। তিনি বলেন, আমি প্রার্থনা করছিলাম যেন এর মধ্যে কোনো শিশু না থাকে। কিন্তু বেশ কয়েকজন শিশুও নিহত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে।

    গান ভায়োলেন্স আর্কাইভ বলছে, চলতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে কমপক্ষে ১৯৮টি গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। চলতি সপ্তাহের শুরুতে টেক্সাস পুলিশ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে। ওই ব্যক্তি নয় বছর বয়সী এক শিশুসহ তার পাঁচ প্রতিবেশীকে গুলি করে হত্যা করে।

  • বাংলাদেশে ‘মডেল’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে ‘মডেল’ নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র

    বাংলাদেশে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু দেখতে চায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এ ক্ষেত্রে একটি ‘মডেল’ নির্বাচনের তাগিদ দিয়েছে দেশটি। এ ব্যাপারে আশ্বস্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতা চেয়েছে বাংলাদেশ।

    ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। বৈঠকে শেষে ওয়াশিংটনের স্থানীয় সময় সোমবার (১০ এপ্রিল) সেখানকার একটি হোটেলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব তথ্য জানান মোমেন।

    বৈঠকে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে কোন বিষয়গুলো গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে ড. মোমেন বলেন, নির্বাচন নিয়ে কথা বলেছেন। তারা (যুক্তরাষ্ট্র) চান অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। একটা মডেল নির্বাচন করতে হবে। আমি বলেছি, অবশ্যই; এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য। আমরাও মডেল নির্বাচন চাই।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য এবং বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করার বিষয়ে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ। সরকার এ ব্যাপারে এক্কেরে…। তবে এ ব্যাপারে আপনাদের (যুক্তরাষ্ট্র) সাহায্য চাই। আপনারও (যুক্তরাষ্ট্র) আমাদের সাহায্য করেন, যেন একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে পারি।

    মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরে এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলে মোমেন-ব্লিঙ্কেনের বৈঠক। বৈঠকে রোহিঙ্গা ইস্যু, র‌্যাব, ব্যবসা-বাণিজ্য, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করা খুনি রাশেদ চৌধুরীকে বাংলাদেশে প্রত্যাবর্তনসহ আরও অন্যান্য ইস্যুতে আলোচনা করে উভয়পক্ষ।

    নির্বাচনে যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানানোর কথা দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে জানান মোমেন। তবে দেশটিতে অবস্থানরত কোনো বাংলাদেশি নাগরিক রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে পর্যবেক্ষক হতে পারবে না বলে বার্তা দেন ড. মোমেন।

    তিনি বলেন, আমরা তোমাদের (যুক্তরাষ্ট্র) পর্যবেক্ষককে স্বাগত জানাতে চাই। তোমরা আস। আমরা বলেছি, তোমরা যত পার পর্যবেক্ষক পাঠাও। গত নির্বাচনে ২৫ হাজার পর্যবেক্ষক ছিল। কিন্তু পর্যবেক্ষক অবশ্যই বাংলাদেশি অরিজিন কেউ হতে পারবে না, যারা রাজনৈতিক দলের ব্যানারে পর্যবেক্ষক হতে চাইবে।

    নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু করার বিষয়ে সরকারের পরিকল্পনার কথা ব্লিঙ্কেনের কাছে তুলে ধরে মোমেন বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য আমরা কী করেছি- আমরা ফটো আইডি তৈরি করেছি, যাতে ভুয়া ভোট না হয়। আমরা বিশ্বাসযোগ্য ব্যালট বাক্স করেছি। আমরা একটা স্বাধীন নির্বাচন কমিশন করেছি।

    নির্বাচনের সময় কমিশন স্বাধীন জানিয়ে মোমেন বলেন, নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশন সুপ্রিম। তারা ইচ্ছে করলে যেকোনো লোককে বদলি করতে পারে, যেকোনো লোককে সাসপেন্ড করতে পারে। কমিশনের এগুলো করার ক্ষমতা রয়েছে এবং তারা করেছে।

    পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে কয়েক হাজার নির্বাচন হয়েছে। স্বল্প সংখ্যক কিছু অনিয়ম হয়েছে। সেখানে কমিশন ব্যবস্থা নিয়েছে। আরা আশা করছি, নির্বাচন কমিশন একটা স্বচ্ছ নির্বাচন পরিচালনা করতে পারবে। তবে নির্বাচন একা একা হয় না।

    সরকারের একার পক্ষে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয় বলে মনে করেন মোমেন। তার ভাষ্য, নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু শুধু সরকার করতে পারবে না। সেটার জন্য সব বিরোধী দলকে এগিয়ে আসতে হবে। তাদেরকেও অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য কমিট করতে হবে। তাদের অংশগ্রহণ ছাড়া অবাধ, সুষ্ঠু বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন…।

    নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশে একজন মানুষও যেন প্রাণ না হারায় সেই চাওয়ার কথা মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে তুলে ধরেন মোমেন। তিনি বলেন, আমাদের দেশে নির্বাচনে লোক মারা যায়। আমরা চাই না একটা লোক মারা যাক। আমাদের এখানে হাসি-আনন্দে নির্বাচন হয়। তবে আমরা খুব ইগোস্টিক, এত উদ্বেলিত হই যে; লোক মাইরা ফেলি। আমরা চাচ্ছি, নির্বাচন ইস্যুতে আমাদের একটা লোকও যেন না মারা যায়।

    ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব ধরনের পরিবেশ তৈরি করেছে। তবে অন্যদের সাহায্যের প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন মোমেন।

  • চতুর্দশ দফার ভোটেও স্পিকার হতে ব্যর্থ ম্যাকার্থি

    চতুর্দশ দফার ভোটেও স্পিকার হতে ব্যর্থ ম্যাকার্থি

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে চতুর্দশ দফার ভোটেও স্পিকার হতে পারলেন না রিপাবলিকান সদস্য কেভিন ম্যাকার্থি। নির্বাচনে ছয়জন বিদ্রোহী সদস্যের মধ্যে চারজন বিকল্প প্রার্থীর পক্ষে ভোট দেন, আর দুজন কেবল ‘উপস্থিত’ রয়েছেন জানিয়ে ভোটের সুইচ বোতামে চাপ দেন।

    এদিকে, সর্বশেষ ভোটাভুটির পর হাউস ফ্লোরে কেভিন ম্যাকার্থির সঙ্গে তার ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও বিদ্রোহী সদস্য ম্যাট গায়েটজের তীব্র বাদানুবাদ হয়।

    ত্রয়োদশ রাউন্ড ভোটাভুটিতে পরাজিত হওয়ার পর ম্যাকার্থি বলেছিলেন যে স্পিকার নির্বাচিত হতে প্রতিনিধি পরিষদে তার পক্ষে প্রয়োজনীয় সংখ্যক ভোট রয়েছে।

    এই অচলাবস্থার কারণে হাউসের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রম যেমন নতুন কমিটি গঠন ও নতুন সদস্যদের শপথ নেওয়ার মতো বিষয়গুলো আটকে থাকবে। স্পিকার হাউসের কার্যসূচি নির্ধারণ করেন এবং আইনি কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যান।

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ও ভাইস প্রেসিডেন্টের পর স্পিকারের পদটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।

  • যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

    যুক্তরাষ্ট্রকে উড়িয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে নেদারল্যান্ডস

    ম্যাচের সবে শুরু। ঘড়ির কাটা দুই মিনিটও ঘোরেনি। এর মধ্যেই গোল করে এগিয়ে যাওয়া সুযোগ হারান যুক্তরাষ্ট্রের নাম্বার টেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। তিনি ‘ক্যাপ্টেন আমেরিকা’ হতে না পারলেও ডাচম্যান মেম্পিস ডিপাই নিঁখুত শট নিতে ভুল করেননি। ম্যাচের ১০ মিনিটে তার এনে দেওয়া শুরুয় ৩-১ গোলের জয়ে মাঠ ছেড়েছে নেদারল্যান্ডস। মার্কিনদের বিদায় করে উঠে গেছে কাতার বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে।

    তরুণ প্রজন্মের যুক্তরাষ্ট্রকে সমীহ করে তিন সেন্ট্রাল ডিফেন্ডার নিয়ে কৌশল সাজান কিংবদন্তি ডাচ কোচ লুইস ভ্যান গাল। মার্কিনরা আক্রমণে উঠলেও যাতে দেয়াল ভাঙতে না পারে, কোনঠাসা হলে যাতে দুই ফুলব্যাক আক্রমণ শানাতে পারেন এটাই ছিল তার তত্ত্ব। তার ওই থিওরি ভুল হয়নি। প্রথমার্ধেই ফেবারিট হয়ে আসা ডাচরা ২-০ গোলের লিড নেয়।

    ডিপাইয়ের প্রথম গোলের পর দলকে প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে দ্বিতীয় লিড এনে দেন ডেভি ব্লাইন্ড। ম্যাচের শুরুতে ডিপাইকে গোল করান ইন্টার মিলানে খেলা রাইট ব্যাক ডেঞ্জেল ডামফ্রাইস। ব্লাইন্ডকে দিয়েও গোল করান ২৬ বছর বয়সী এই ফুলব্যাক। যেন ডাচ কোচের কষা ছকে পা দিয়ে পিছিয়ে পড়া।

    প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়ার পর আক্রমণ ভিন্ন পথ খোলা ছিল না যুক্তরাষ্ট্রের। বলের দখল নিয়ে দ্বিতীয়ার্ধে গোল পোস্টে ছয়টি ভালো শট নেয় মার্কিনরা। কিন্তু ডাচ গোলরক্ষক নোপার্টে আটকে যাচ্ছিল অ্যাটাক। ম্যাচের ৭৬ মিনিটে হাজি রাইট গোল করে ম্যাচ জমিয়ে তোলেন। ব্যবধান কমিয়ে করেন ২-১। তাদের সামনে তখন কামব্যাকের স্বপ্ন।

    ওই স্বপ্নে ‘ডালপালা’ গজানোর আগেই ভেঙে দেন ডামফ্রায়েস। তিনি ৮১ মিনিটে গোল করে দলকে বড় জয় এনে দেন। সবার আগে ডাচদের তুলে নেন বিশ্বকাপের কোয়ার্টার ফাইনালে। কমলা জার্সির দলটির এখন প্রতিপক্ষের অপেক্ষা। শনিবার রাতের ম্যাচে মুখোমুখি হবে আর্জেন্টিনা ও অস্ট্রেলিয়া। ওই ম্যাচের জয়ী দলের বিপক্ষে সেমিফাইনালে যাওয়ার লড়াইয়ে নামবে ভ্যান গালের শিষ্যরা।

  • পারলো না ইরান, নকআউটে যুক্তরাষ্ট্র

    পারলো না ইরান, নকআউটে যুক্তরাষ্ট্র

    বিশ্বকাপের আগে এই ম্যাচ নিয়ে উত্তেজনা কম হয়নি। ওর আগের দুইবারে মোকাবেলায় ইরানকে একবারও হারাতে পারেনি যুক্তরাষ্ট্র। তাই এই ম্যাচটি অনেকটা প্রতিশোধও ছিল যুক্তরাষ্ট্রের জন্য। যেই প্রতিশোধে তারা পুরোপুরি পাস মার্কস পেয়ে ইরানকে ১-০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে বিশ্বকাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে উঠে গেল। যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে একমাত্র গোলটি করেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ।

    ম্যাচের শুরু থেকে গোলের নেশায় মত্ত হয়ে খেলতে থকে যুক্তরাষ্ট্র। ১২ মিনিতে পুলিসিচের করা হেড সহজেই তালুবন্দী করেন ইরান গোলরক্ষক। ২৯ মিনিটে টিমোথি উইয়াহর শটও রুখে দেন ইরানিয়ান গোলরক্ষক।

    পুরো প্রথমার্ধে বল দখলে এগিয়ে থেকে ৩৯ মিনিটেই কাঙ্ক্ষিত গোলের দেখা পায় জো বাইডেনের দেশ। ডান পাশ থেকে সার্জিনো ডেস্টের হেড থেকে বাড়ানো বলে ইরান রক্ষণভাগকে বোকা বানিয়ে বল জালে জড়ান ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। এই গোলেই ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে বিরতিতে যায় আমেরিকানরা।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে আক্রমণের ধারা বাড়ায় ইরানিয়ানরা। ৪৭ মিনিটের মাথায় ইনজুরি নিয়ে পুলিসিচ মাঠ ছাড়লে কিছুটা ছন্দপতন হয় আমেরিকানদের। বল দখলে এগিয়ে থাকলে ইরান কোন শটই গোলমুখে নিতে পারছিল না৷ মাত্র ১ শট নিয়েছে তারা পুরো দ্বিতীয়ার্ধে। অন্যদিকে আমেরিকা একটি শটও গোলমুখে নিতে পারেনি দ্বিতীয়ার্ধে যা এবারের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার পর দ্বিতীয় ঘটনা।

    ম্যাচ শেষ হওয়ার ৩ নিনিট আগে পৌরালিগাঞ্জির ডাইভিং হেড একটুর জন্য জালের দেখা না পেলে গোলবঞ্চিত হয় ইরান৷ ফলে ১-০ গোলের জয়ে বিশ্বকাপের নক আউট রাউন্ড নিশ্চিত করলো যুক্তরাষ্ট্র।

  • ইংল্যান্ডের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের ড্র

    ইংল্যান্ডের সঙ্গেও যুক্তরাষ্ট্রের ড্র

    বিশ্বকাপে শুরুর ম্যাচে ইরানকে বড় ব্যবধানে উড়িয়ে দারুণ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। যুক্তরাষ্ট্রের ঝুলিতে ছিল ওয়েলসের সঙ্গে ড্র। দুই দলের মুখোমুখি হওয়ার দিনে জমলো দারুণ লড়াই। ইতিহাস ঐতিহ্যে এগিয়ে থাকা ইংল্যান্ডকে গোলশূন্য ড্র’তে আটকে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এতে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে খেলার স্বপ্ন বেঁচে রইল যুক্তরাষ্ট্রের।

    এদিন ম্যাচের প্রথমার্ধে বেশ ভালো সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেনি ইংল্যান্ড। ম্যাচের দশম মিনিটে ডি-বক্সে বুকায়ো সাকার পাস ফাঁকায় পেয়ে শট নেন হ্যারি কেইন। কিন্তু সামনে ছুটে আসা ডিফেন্ডার ওয়াকার জিমারম্যানের পায়ে লেগে তা ফিরে আসে। পরের মিনিটে জন স্টোন্সের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ১৩ মিনিটে মন্টের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলে ইংল্যান্ডের সমর্থকদের হতাশ হতে হয়।

    যুক্তরাষ্ট্রও ঘুরে দাঁড়িয়ে একের পর এক আক্রমণ করতে থাকে। ১৭ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের হাজি রাইটের হেড পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। ২৬ মিনিটে ওয়েস্টন ম্যাকনির ডান পায়ের শট দূর দিয়ে গেলে দল গোল বঞ্চিত থাকে।

    ২৯ মিনিটে ইউনুস মুসার শট ইংলিশ গোলকিপার প্রতিহত করে দলকে ম্যাচে ঠিকঠাক রাখেন। চার মিনিট পর ক্রিস্টিয়ান পালিসিকের শট বারে লাগলে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থকদের আবারও হতাশ হতে হয়।

    দ্বিতীয়ার্ধের শুরু থেকে চলতে থাকে আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ। এ সময় নিয়মিত বিরতিতে পরীক্ষা দিয়েছে দুদলের কিপাররা। এ সময় একের পর এক আক্রমণের চেষ্টা চালিয়েছেন হ্যারি কেন-জ্যাক গ্রিলিশরা। ম্যাচের একদম শেষদিকে গিয়ে একটা সুযোগ তৈরি করে ইংল্যান্ড। অতিরিক্ত সময়ের তৃতীয় মিনিটে এসে শ এর ফ্রি কিকে জোরালো হেড করলেও গোল পাননি হ্যারি কেইন। শেষ অবধি ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় দুই দলকে।

  • ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে ওয়েলসের ড্র

    ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে ওয়েলসের ড্র

    শেষবার ১৯৫৮ সালে ফুটবল বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিল ওয়েলস। এরপর দীর্ঘ ৬৪ বছরের বিরতি। তারপর নানান চড়াই উৎরাই শেষে কাতার বিশ্বকাপের টিকিট মেলে। আর ৬৪ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেই চমক দেখিয়েছে ওয়েলস। ফিফা র‍্যাংকিংয়ে নিজেদের চেয়ে তিন ধাপ এগিয়ে থাকা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পিছিয়ে পড়েও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে ড্র করেছে ওয়েলস।

    ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপে শেষবার ২০১৪ ব্রাজিল বিশ্বকাপে খেলেছিল যুক্তরাষ্ট্র। এরপর রাশিয়া বিশ্বকাপে কোয়ালিফাই করতে ব্যর্থ হয় তারা। তবে কাতার বিশ্বকাপে ঠিকই জায়গা করে নেয় যুক্তরাজ্য। ৮ বছর পর বিশ্বকাপে ফিরে ওয়েলসের বিপক্ষে দারুণ শুরু করে। তিমুথি উইয়াহর গোলে লিড নিলেও শেষ পর্যন্ত ১-১ গোলে সমতায় শেষ করতে হয় ম্যাচটি।

    বিশ্বকাপে ফেরাটা দুঃস্বপ্নের মতো হয়ে উঠেছিল ওয়েলসের জন্য। ম্যাচের শুরুতেই যুক্তরাষ্ট্রের আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারছিল না ওয়েলস। ম্যাচের ১২তম মিনিটে এসে দলের সেরা খেলোয়াড় গ্যারেথ বেল বলের স্পর্শ পান। তার আগেই অবশ্য ম্যাচে পিছিয়ে পড়ার অবস্থা হয়েছিল ওয়েলসের। তবে তাদের কোনো রকমে ম্যাচে ধরে রাখেন গোলরক্ষক ওয়েন হেনেসি।

    ম্যাচের ৯ মিনিটের মাথায় ডান দিক থেকে তিমুথি উইয়াহর ক্রস ক্লিয়ার করতে গিয়ে নিজেদের জালের দিকেই হেড করে বসেন রনডন। তবে দারুণ প্রতিফলনে তা শক্ত হাতে রুখে দেন ওয়েলস গোলরক্ষক হেনেসি। এরপর একের পর এক আক্রমণে ওয়েলসের রক্ষণের ভালোই পরীক্ষা নিয়েছে ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ, তিমুথি উইহারা।

    যুক্তরাষ্ট্র চেপে রেখে ম্যাচের ৩৬তম মিনিটে এসে আদায় করে নেয় গোলও। মধ্যমাঠে বলের দারুণ নিয়ন্ত্রণ নিয়ে কয়েক স্পর্শে বল নিয়ে ওয়েলসের ডি বক্সের দিকে এগিয়ে যান ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিচ। এরপর সুযোগ বুঝে ডান দিকে তিমুথি উইয়াহর দিকে বল বাড়ান। ডি বক্সে ঢুকে বল নিয়ে বাঁ দিকে ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে এগিয়ে গিয়ে গোলরক্ষকের সামনে থেকে বুটের বাইরের প্রান্ত দিয়ে শট করে বল জালে জড়ান। এতেই ১-০ গোলে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র।

    ১৯৫৮ সালে শেষবার ওয়েলসের জালে বল জড়িয়েছিলেন কিংবদন্তি ফুটবলার পেলে। এরপর ৬৪ বছর বিশ্বকাপে ফেরা ওয়েলসের জালে বল জড়ালেন তিমুথি উইয়াহ। লাইবেরিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট এবং সাবেক ফুটবলার জর্জ উইয়াহর ছেলে তিমুথি খেলেন যুক্তরাষ্ট্রের হয়ে। পিতা জর্জ উইয়াহ ১৯৯৫ সালের ব্যালন ডি অর জয়ী কখনো বিশ্বকাপ খেলতে না পারলেও ছেলে তিমুথি উইয়াহ দেশ বদলে খেলেছেন বিশ্বকাপে।

    প্রথমার্ধে ওই ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় যুক্তরাষ্ট্র। দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ গোলের সব সুযোগ তৈরি করে যুক্তরাষ্ট্র। তবে এই অর্ধে নিজেদের খুঁজে পায় ওয়েলস। প্রতি আক্রমণে বেশ কয়েকবার যুক্তরাষ্ট্রের রক্ষণে আঘাত হেনেছে। সময় শেষের দিকে গড়াতে থাকলে আক্রমণের গতিও বাড়ায় ওয়েলস। যার প্রতিদান মেলে ম্যাচের ৮১তম মিনিটে এসে।

    ডি বক্সের ভেতর গ্যারেথ বেলকে ফাউল করেন যুক্তরাষ্ট্রের ডিফেন্ডার জিমারম্যান। সঙ্গে সঙ্গে পেনাল্টির বাঁশি বাজান রেফারি। এরপর স্পটকিক থেকে গোল করে ওয়েলসকে সমতায় ফেরান গ্যারেথ বেল। শেষ পর্যন্ত এই ১-১ গোলের ড্র নিয়েই মাঠ ছাড়ে দুই দল।

    শেষবার ১৯৫৮ সালের বিশ্বকাপে ওয়েলসের হয়ে গোল করেছিলেন টেরি মেডউইন। হাঙ্গেরির বিপক্ষে বিশ্বকাপে শেষ গোলটি ছিল ওয়েলসের। এরপর গ্যারেথ বেলের পা থেকে এলো ৬৪ বছরে পর ওয়েলসের গোল।

  • খাসোগি হত্যা : যুক্তরাষ্ট্রের দায়মুক্তি পেলেন প্রিন্স সালমান

    খাসোগি হত্যা : যুক্তরাষ্ট্রের দায়মুক্তি পেলেন প্রিন্স সালমান

    সৌদি আরবের শাসক পরিবারের কট্টর সমালোচক সাংবাদিক জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত সৌদি ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দায়মুক্তি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রশাসন।

    জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ড নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনের একটি আদালতে মামলা চলছে। সেই মামলার অভিযুক্তদের তালিকা থেকে এখন প্রিন্স সালমানের নাম কেটে দেওয়া হবে। শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এমন তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    যুক্তরাষ্ট্রের বাইডেন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ক্রাউন প্রিন্স সালমান যেহেতু সৌদি আরবের প্রধানমন্ত্রী সে কারণে যুক্তরাষ্ট্রে তার বিরুদ্ধে কোনো ধরনের বিচার সম্ভব না।

    ২০১৮ সালে ইস্তাম্বুলে সৌদি দূতাবাসের ভেতর সৌদি ঘাতক দলের হাতে নিহত হন জামাল খাসোগি। হত্যার পর তার মরদেহ এসিড প্রয়োগ করে নিশ্চিহ্ন করে দেওয়া হয়। যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দাদের বিশ্বাস, ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান নিজে এ হত্যাকাণ্ডের হুকুম দিয়েছিলেন।

    এদিকে প্রিন্স সালমানকে দায়মুক্তি দেওয়ার পর এর সমালোচনা করেছেন জামাল খাসোগির বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজ। তিনি টুইটে বলেছেন, জামাল আজ আবারও মারা গেল। আমরা ভেবেছিলাম যুক্তরাষ্ট্রে হয়ত বিচারের আশার আলো দেখব। কিন্তু আবারও অর্থই জিতল। এটি সেই বিশ্ব যেটি জামাল জানে না এবং আমি…!

    প্রিন্স সালমানকে দায়মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিল এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই আইনগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

    যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের আইনজীবী বলেছেন, ‘বাইডেন প্রশাসন দেখেছে যে, বিবাদী বিন সালমান, একটি বিদেশী সরকারের প্রধান, সে হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতের বিচার ব্যবস্থায় বিচারের মুখোমুখি হওয়া থেকে মুক্ত তিনি।

    চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে সৌদি আরবের শাসক সালমান বিন আবদুল আজিজ রাষ্ট্রীয় ডিক্রির মাধ্যমে প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমানকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী বানান।

    জামাল খাসোগি হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি জড়িত থাকার ঘটনা শুরু থেকেই অস্বীকার করে আসছিলেন প্রিন্স সালমান। যদিও পরবর্তীতে তিনি জানান, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি জানতেন।

    সাংবাদিক জামাল খাসোগি সৌদি আরবের শাসকগোষ্ঠীর তীব্র সমালোচক ছিলেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াশিংটন পোস্টে এ নিয়ে কলাম লিখতেন। ২০১৮ সালে বাগদত্তা হাতিস চেঙ্গিজকে বিয়ে করা সংক্রান্ত কাগজ আনতে সৌদি দূতাবাসে গিয়েছিলেন জামাল। এরপর আর কখনোই সেখান থেকে বের হননি তিনি।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের জয়

    যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধি পরিষদে রিপাবলিকানদের জয়

    মার্কিন কংগ্রেসের নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদে জয় পেয়েছে রিপাবলিকান পার্টি। মধ্যবর্তী নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠতায় প্রয়োজনীয় ২১৮টি আসন নিশ্চিত করেছে লাল শিবির।

    বুধবার ক্যালিফোর্নিয়ার একটি আসনে রিপাবলিকান প্রার্থী মাইক গার্সিয়ার জয়ের মধ্য দিয়ে ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছায় দলটি। তবে প্রত্যাশা অনুযায়ী গড়তে পারেনি বড় ব্যবধান। এ পর্যন্ত ডেমোক্র্যাটদের দখলে গেছে ২০৯টি আসন।

    এবার ন্যান্সি পেলোসির স্থলে হাউস স্পিকার হতে পারেন কংগ্রেসে রিপাবলিকান দলীয় নেতা কেভিন ম্যাককার্থি। মঙ্গলবার দলের পক্ষ থেকে প্রস্তাব করা হয় তার নাম। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অভিনন্দন বার্তাও পেয়েছেন তিনি।

    হাউসে সংখ্যাগরিষ্ঠতার ফলে ডেমোক্র্যাটদের যেকোনো বিল আটকে দেয়ার সুযোগ পেলো রিপাবলিকানরা। এর আগে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ের পর উচ্চকক্ষ সিনেটে সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিশ্চিত করে ডেমোক্র্যাটরা।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল সেন্টারে বন্দুক হামলায় নিহত ৫

    যুক্তরাষ্ট্রে মেডিকেল সেন্টারে বন্দুক হামলায় নিহত ৫

    যুক্তরাষ্ট্রে একটি মেডিকেল সেন্টারে বন্দুক হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় নিহত হয়েছেন চার জন। পরে অভিযুক্ত হামলাকারী নিজেও নিহত হয়েছেন।

    যুক্তরাষ্ট্রের ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের তুলসা শহরে একটি মেডিকেল সেন্টারের ভেতরে স্থানীয় সময় বুধবার (১ জুন) রাইফেল ও হ্যান্ডগান নিয়ে সশস্ত্র এক ব্যক্তি হামলা চালানোর পর প্রাণহানির এই ঘটনা ঘটে।

    মার্কিন পুলিশের বরাত দিয়ে বৃহস্পতিবার (২ জুন) এক প্রাতবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা রয়টার্স।

    প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সেন্ট ফ্রান্সিস হাসপাতাল ক্যাম্পাসের বাইরে তুলসার ডেপুটি পুলিশ প্রধান জোনাথন ব্রুকস সাংবাদিকদের বলেন, অভিযুক্ত বন্দুকধারীও মারা গেছেন। মূলত আত্মঘাতী আঘাতের কারণেই প্রাণ হারিয়েছেন ওই অভিযুক্ত।

    ব্রুকস আরও বলেছেন, পুলিশ হামলাকারী লোকটির পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা করছে। তার বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে বলেও জানিয়েছেন তিনি।

    রয়টার্স বলছে, মেডিকেল সেন্টারে গোলাগুলির বিষয়ে ফোনকল পাওয়ার তিন মিনিট পর কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এর পাঁচ মিনিট পর সেখানে হামলার শিকার কয়েকজন ব্যক্তি ও সন্দেহভাজন হামলাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন তারা। অভিযুক্ত বন্দুকধারীর হাতে একটি রাইফেল ও একটি হ্যান্ডগান ছিল।

    তুলসা শহরের মেয়র জি.টি. বাইনুম হামলার খবর পাওয়ার পরপরই ব্যবস্থা নেওয়ায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের প্রতি নিজের কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

    বার্তাসংস্থাটি আরও জানিয়েছে, মেডিকেল সেন্টারের নাটালি বিল্ডিংয়ের দ্বিতীয় তলায় বন্দুক হামলার এই ঘটনা ঘটে। যেখানে একটি অর্থোপেডিক সেন্টার-সহ ডাক্তারের চেম্বার রয়েছে।

    তুলসার আরেক উপ-পুলিশ প্রধান এরিক ডালগ্লিশ বলেছেন, হামলায় নিহতদের মধ্যে কর্মচারী ও রোগীরাও রয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি।

    এদিকে সর্বশেষ এই বন্দুক হামলার ঘটনা পৌঁছেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের কানেও। হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে বন্দুক হামলার বিষয়ে জানানো হয়েছে। এছাড়া হামলার পর বিদ্যমান পরিস্থিতিতে তুলসার রাজ্য ও স্থানীয় কর্মকর্তাদের সহায়তার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

    উল্লেখ্য, তুলসা শহরটি ওকলাহোমা অঙ্গরাজ্যের রাজধানী ওকলাহোমা সিটি থেকে প্রায় ১০০ মাইল (১৬০ কিলোমিটার) উত্তর-পূর্বে অবিস্থিত। শহরটিতে প্রায় ৪ লাখ ১১ হাজার মানুষ বসবাস করেন।