Tag: যুক্তরাষ্ট্র

  • যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন

    রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রের ৪৬তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন ডেমোক্র্যাটদলীয় প্রার্থী জো বাইডেন।

    ক্ষমতাসীন রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হাড্ডাহাড্ডি প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর ৫৩৮ ইলেকটোরাল ভোটের মধ্যে ম্যাজিক সংখ্যা ২৭০টি নিশ্চিত করেছেন তিনি।

    শনিবার পেনসিলভানিয়ার ২০টি ইলেকটোরাল ভোট জয়ের মধ্য দিয়ে তার ২৭৩টি ইলেকটোরাল ভোট নিশ্চিত হয়।

    একইসঙ্গে প্রথম নারী ও প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ ভাইস প্রেসিডেন্ট হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন কমলা হ্যারিস।

    এখনও নর্থ ক্যারোলিনা, জর্জিয়া, অ্যারিজোনা, নেভাদা ও আলাস্কা- এই পাঁচটি রাজ্যের ফল ঘোষণা বাকি রয়েছে। এর মধ্যে জর্জিয়ার ভোট পুনঃগণনা হচ্ছে।

    নির্বাচনের ফল জানতে সবার দৃষ্টি ছিল পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দিকে। এই রাজ্যে জিতলেই বাইডেনের জয় নিশ্চিত হতো। হয়েছেও সেটাই। পেনসিলভানিয়ায় জয়ের ফলে আগেই ২৫৩ ইলেকটোরাল ভোট পাওয়া বাইডেনের মোট ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৭৩। বাকি পাঁচটি অঙ্গরাজ্যে ট্রাম্প জয় পেলেও তার ইলেকটোরাল ভোটের সংখ্যা দাঁড়াবে ২৬৫।

    এদিকে আগে থেকেই জয়ের আভাস দিচ্ছিলেন জো বাইডেন। শুক্রবার রাতে ডেলওয়্যারে নিজ শহর উইলমিংটন থেকে দেয়া এক ভাষণে বাইডেন বলেছিলেন, আমরা এখনও বিজয়ের চূড়ান্ত ঘোষণা পাইনি। তবে সংখ্যা বলছে এটি পরিষ্কার, আমরা এই প্রতিযোগিতায় জিতে যাচ্ছি। ডেমোক্র্যাট প্রার্থী বলেছিলেন, আমরা সাত কোটি ৪০ লাখের বেশি ভোট পেয়েছি; যা যুক্তরাষ্ট্রের ইতিহাসে আর কোনো প্রেসিডেন্ট প্রার্থী পাননি।

    এদিকে ভোট গণনার শুরু থেকেই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ভোট জালিয়াতির কথা বলে আসছিলেন।

    তবে এ অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল নির্বাচন কমিশনার এলেন ওয়াইনট্রাব বলেছেন, এ বছরের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জালিয়াতির কোনো প্রমাণ মেলেনি।

    শনিবার সিএনএনকে তিনি বলেন, রাজ্যের ও স্থানীয় কর্মকর্তারা, সারা দেশের নির্বাচন কর্মীরা কাজ করে যাচ্ছেন। নির্বাচন যেভাবে হয়েছে তা নিয়ে খুব সামান্য কিছু অভিযোগ আমরা পেয়েছি। তিনি আরও বলেন, আমি বলতে চাই, ভোট জালিয়াতির কোনো ধরনের প্রমাণ কোথাও পাওয়া যায়নি। অবৈধভাবে ভোট দেওয়ার কোনো প্রমাণ নেই।

    তিনি আরও বলেন, জালিয়াতির কোনো অভিযোগ কোথাও পাওয়া যায়নি। যেসব অভিযোগ করা হয়েছে, সেখানেও কোনো প্রমাণ দেওয়া হয়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রাউজান আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন প্রদান করলো যুক্তরাষ্ট্রের চট্টগ্রাম প্রবাসী সংগঠন

    রাউজান আইসোলেশন সেন্টারে অক্সিজেন প্রদান করলো যুক্তরাষ্ট্রের চট্টগ্রাম প্রবাসী সংগঠন

    নেজাম উদ্দিন রানা, রাউজান (চট্টগ্রাম) : সারা বিশ্বে মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবপূর্ণ সময়ে মানবিকতার টানে বৃহত্তর চট্টগ্রামে স্বাস্থ্য উপকরণ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও আইসোলেশন সেন্টারে সহযোগিতার হাত বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত চট্টগ্রামের প্রবাসীদের সংগঠন helping hand for chittagonian inc.usa।

    সংগঠনের উদ্যোগে চট্টগ্রামের অন্যান্য জেলা-উপজেলায় মানবিক কার্যক্রমের ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রামের রাউজানে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন সেন্টারে দুটি উন্নত মানের অক্সিজেন প্রদান করা হয়।

    ৪ আগষ্ট (মঙ্গলবার) আইসোলেশন সেন্টারে আনুষ্ঠানিকভাবে উন্নত প্রযুক্তির এই অক্সিজেন হস্তান্তর অনুষ্ঠানে টেলি কনফারেন্সে বক্তব্য রাখেন আইসোলেশন সেন্টারের স্বপ্নদ্রষ্টা, রাউজানের সাংসদপুত্র ফারাজ করিম চৌধুরী।

    এ সময় তিনি মানবিক উদ্যোগে হাত বাড়ানোর জন্য যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত চট্টগ্রামের প্রবাসী ভাইদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। অনুষ্টানে বক্তব্য রাখেন রাউজান উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম এহেছানুল হায়দর চৌধুরী বাবুল, রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসীদের মানবিক কাজের চট্টগ্রাম বিভাগের প্রধান সমন্বয়ক, উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক ইউনুছ গণি চৌধুরী, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জমির উদ্দিন পারভেজ, ইউপি চেয়ারম্যান বি এম জসিম উদ্দিন হিরু, সাংবাদিক ও কলামিস্ট মুছা খান, পুলিশ পরিদর্শক এম এ মতিন, মুক্তিযোদ্ধা কামাল হায়দার, আওয়ামীলীগ নেতা জসিম উদ্দিন চৌধুরী, তছলিম উদ্দিন, মুছা আলম খান চৌধুরী, যুবলীগ নেতা সারজু মোহাম্মদ নাছের, জাহাঙ্গীর আলম, আবু ছালেক, ছাত্রলীগ নেতা শাখাওয়াত হোসেন চৌধুরী পিবলু, মোহাম্মদ আসিফ, ফয়সাল মাহামুদ, মোহাম্মদ এরশাদসহ আরো অনেকেই।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ৭৮০০ বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বের ১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ

    ৭৮০০ বাংলাদেশিসহ সারা বিশ্বের ১১ লক্ষাধিক শিক্ষার্থীকে যুক্তরাষ্ট্র ত্যাগের নির্দেশ

    করোনাভাইরাসের আতঙ্কে যুক্তরাষ্ট্রের ইউনিভার্সিটিসমূহে বাংলাদেশের ৭ হাজার ৮০০ ছাত্র-ছাত্রীসহ সারাবিশ্বের ১১ লক্ষাধিক ছাত্র-ছাত্রীকে অবিলম্বে নিজ নিজ দেশে চলে যাবার নির্দেশ জারি হয়েছে।

    ৬ জুলাই যুক্তরাষ্ট্রের অভিবাসন দফতরের সবচেয়ে ক্ষমতাশালী ‘ইমিগ্রেশন এ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট’ তথা আইস এ নির্দেশ জারি করেছে।

    তারা জানিয়েছে, ইন্টারন্যাশনাল স্টুডেন্ট হিসেবে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরতরা এ নির্দেশ অমান্য করলে তাদেরকে গ্রেফতারের মুখোমুখি হতে হবে। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী গ্রেফতারের পর সকলকে নিজ নিজ দেশে পাঠিয়ে দেয়া হবে।

    ওই ঘোষণায় উল্লেখ করা হয়েছে, করোনার কারণে প্রতিটি ইউনিভার্সিটির ক্লাস অনলাইনে করা হবে। তাই সশরীরে ক্লাসে থাকার কোনই প্রয়োজন নেই। আইসের এই পদক্ষেপের ভিকটিম হবেন নিয়মিত ছাত্র-ছাত্রীসহ যারা স্বল্প মেয়াদি ট্রেনিং কোর্স (নন-একাডেমিক অথবা ভকেশনাল) নিতে এসেছেন তারাও।

    আসছে সেপ্টেম্বরে শুরু নতুন শিক্ষাবর্ষের ক্লাস অনলাইনে করার কথা ভাবছে যুক্তরাষ্ট্রের সকল ইউনিভার্সিটি।

    চলতি সপ্তাহে অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শীর্ষ কর্মকর্তারা এ নিয়ে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে মিলিত হয়েছেন। করোনার উৎপাত অব্যাহত থাকলে ক্যাম্পাসে কারোর উপস্থিতি স্বাস্থ্যবিধির পরিপূরক হবে না বলেও এসব মিটিংয়ে অভিমত পোষণ করা হয়েছে।
    এছাড়া সিডিসির (সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল এ্যান্ড প্রিভেনশন) নির্দেশ অনুযায়ী সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হলে প্রতিটি কক্ষে সর্বোচ্চ ৮ জনকে বসার ব্যবস্থা করা যাবে। অবশিষ্ট ২২/২৩ জন কীভাবে ক্লাস করবেন-এমন প্রসঙ্গও উঠেছে ঐসব নীতি-নির্ধারকদের বৈঠকে।

    প্রসঙ্গত, গত মার্চে যুক্তরাষ্ট্রে করোনার তাণ্ডব শুরুর পর থেকেই সবকিছু লকডাউনে গেছে।

    জুন পর্যন্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ক্লাস নেয়া হয় অনলাইনে। এমনকি যারা ক্যাম্পাসে অর্থাৎ ডর্মে (আবাসিক হোটেল) ছিলেন, তারাও ক্লাস করেন অনলাইনে। সেপ্টেম্বরে শুরুতে নতুন শিক্ষাবর্ষেও ক্লাসে উপস্থিত হবার মতো পরিস্থিতি তৈরী হচ্ছে বলে কেউই মনে করছেন না। কারণ, গত কয়েক সপ্তাহে ৫০ স্টেটের মধ্যে অন্তত: ৩৬টিতেই উদ্বেগজনক হারে সংক্রমণ বেড়েছে। যে সব সিটি অথবা কাউন্টিতে লকডাউন শিথিল করা হয়েছিল, সেসবে পুনরায় সবকিছু বন্ধ করা হয়েছে। অর্থাৎ এক ধরনের অস্থিরতা পুনরায় জনজীবনকে গ্রাস করতে চলেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার করোনা আক্রান্ত

    যুক্তরাষ্ট্রে ২৪ ঘণ্টায় ৪৭ হাজার করোনা আক্রান্ত

    যুক্তরাষ্ট্রে নতুন করে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্তের সংখ্যা মঙ্গলবার ৪৭ হাজার বেড়েছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হিসাবে এমন তথ্য পাওয়া গেছে।

    মহামারী শুরু হওয়ার পর একদিনেই এটিই সবচেয়ে বড় সংক্রমণ। তবে এ সংখ্যা শিগগিরই দ্বিগুণ হয়ে যাবে বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন দেশটির সরকারের সংক্রামকবিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ।

    ক্যালিফোর্নিয়া, টেক্সাস ও আরিজোনাকে প্রাদুর্ভাবের নতুন কেন্দ্রস্থল হিসেবে দেখা গেছে। এসব রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে।

    মার্কিন সিনেট কমিটিকে দেশটির ন্যাশনাল ইনস্টিটিউটি অব অ্যালার্জি অ্যান্ড ইনফেকশাস ডিজিজেসের প্রধান ডা. অ্যান্থনি ফাউসি বলেন, পরিষ্কারভাবেই করোনার ওপর আমাদের পরিপূর্ণ নিয়ন্ত্রণ নেই। আমি খুবই উদ্বিগ্ন। কারণ পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে চলে যেতে পারে।

    ফাউসি বলেন, ভাইরাসের উত্থান থামাতে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া না হলে ২৪ ঘণ্টায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এক লাখে পৌঁছাতে পারে। যেসব এলাকায় করোনার উত্থান ঘটছে, সেসব এলাকায় কেবল নজর দিলেই চলবে না। এটি পুরো দেশকে ঝুঁকিতে ফেলে দিয়েছে।

    তিনি বলেন, টিকা উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে কোনো নিশ্চয়তা দেয়া যাচ্ছে না। যদিও প্রথম দিকের উপাত্তে অনেক সম্ভাবনা দেখিয়েছিল। আশা রাখি– আগামী বছরের শুরুতে টিকার ডোজ সুলভ।

    রয়টার্সের হিসাব বলছে, জুনে অন্তত ১০টি রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দ্বিগুণ হয়ে গেছে। যার মধ্যে টেক্সাস ও ফ্লোরিডা রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • চার রাশিয়ান যুদ্ধবিমানকে আকাশে ধাওয়া করলো মার্কিন যুদ্ধ বিমান

    চার রাশিয়ান যুদ্ধবিমানকে আকাশে ধাওয়া করলো মার্কিন যুদ্ধ বিমান

    যুক্তরাষ্ট্রের আলাস্কার কাছে চারটি রুশ যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া দিয়েছে মার্কিন যুদ্ধবিমান।

    এক বিবৃতিতে এমন দাবি করেছেন মার্কিন কর্মকর্তারা। এ নিয়ে চলতি মাসে চতুর্থবারের মতো রুশ বিমান ধাওয়া করলো মার্কিন বিমান।

    মার্কিন কর্মকর্তারা জানান, চারটি রুশ যুদ্ধবিমান আলাস্কার আশপাশের ঘোরাঘুরি করছিল। এমন সময় কয়েকটি মার্কিন এফ টুয়েন্টি টু রুশ বিমানগুলোকে ধাওয়া দেয়।

    তবে রুশ বিমানগুলো যুক্তরাষ্ট্র কিংবা কানাডার আকাশসীমায় প্রবেশ করেনি বলেও জানায় মার্কিন কর্তৃপক্ষ।

    এর আগে শুক্রবার রুশ প্রতিরক্ষা দফতর দাবি করে, কৃষ্ণ সাগরে তিনটি মার্কিন যুদ্ধবিমানকে ধাওয়া করে রুশ যুদ্ধ বিমান।

    রাশিয়ার দাবি, বিমানগুলো রুশ আকাশসীমা লঙ্ঘনের চেষ্টা করছিল। রুশ প্রতিরক্ষা দফতরের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, মাঝ সাগরে মার্কিন নৌবাহিনীর একটি বিমান, অন্য একটি বিমানকে জ্বালানী সরবারহ করছে। যদিও এ বিষয়ে মার্কিন কর্তৃপক্ষের কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা সংক্রমন বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে ;একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

    করোনা সংক্রমন বেড়েই চলেছে যুক্তরাষ্ট্রে ;একদিনে সর্বোচ্চ করোনা রোগী শনাক্ত

    বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাস শনাক্তে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটিতে একদিনে রেকর্ড ৩৮ হাজার ১১৫ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন।

    বৃহস্পতিবার সকালে ওয়াশিংটন পোস্ট এই তথ্যটি জানায়। গণমাধ্যমটি জানাচ্ছে, গেল ২৫ এপ্রিল ৩৪ হাজার ২০৩ জন আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছিল। যা এতদিন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ছিল।

    পরিসংখ্যান বিষয়ক ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার থেকে জানাচ্ছে, মার্কিন মুল্লুকে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ লাখ ৬৩ হাজার ২৩২ জনে দাঁড়িয়েছে।

    এছাড়া গেল ২৪ ঘণ্টায় ৮০৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। এনিয়ে মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ২৪ হাজার ২৮১ জনে।

    বিশ্বের ২১৩টি দেশ ও অঞ্চলের মানুষের মধ্য ছড়িয়ে পড়েছে করোনা। সব মিলিয়ে ৯৫ লাখ ২৭ হাজারের বেশি মানুষ আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যু হয়েছে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ৯৭২ জনের।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতাল বিল সাড়ে ৯ কোটি টাকা!

    করোনামুক্ত হওয়ার পর হাসপাতাল বিল সাড়ে ৯ কোটি টাকা!

    করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মরতে বসেছিলেন, শেষ পর্যন্ত বেঁচে গেলেও হাসপাতালের বিল দেখে চোখ কপালে ওঠার উপক্রম।

    সিয়াটল টাইমস শনিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, এমন অবিশ্বাস্য ঘটনাটি ঘটেছে যুক্তরাষ্ট্রের সিয়াটলে। করোনা যুদ্ধে বেঁচে যাওয়ার পর ৭০ বছর বয়সী এক আমেরিকানকে খরচ করতে হয়েছে ১১ লাখ মার্কিন ডলার, বাংলাদেশি মুদ্রায় যার মূল্য ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৮ হাজার ২০০ টাকা।

    ৪ মার্চ শহরের একটি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন মাইকেল ফ্লোর। তাকে থাকতে হয়েছে ৬২ দিন। একসময় তো মৃত্যুর দুয়ারে পৌঁছে গিয়েছিলেন, স্ত্রী-সন্তানরা যেন তাকে বিদায় জানাতে পারে সেজন্য ফোন করার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন নার্সরা।

    কিন্তু এই যাত্রায় বেঁচে গেলেন এবং নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীদের উল্লাসে ভাসিয়ে ৫ মে ছাড়া পেলেন হাসপাতাল থেকে। তবে বাঁচার আনন্দে একটু হলেও ছাই পড়েছিল হাসপাতাল বিল দেখে।

    সংবাদপত্রটিকে ফ্লোর বলেছেন, তার হাতে আসে ১৮১ পাতার বিল। মোট খরচ ১১ লাখ ২২ হাজার ৫০১ ডলার।

    প্রত্যেক দিন ইনটেনসিভ কেয়ার রুমের বিল ৯ হাজার ৭৩৬ ডলার, স্টেরাইল রুমে ৪২ দিন নিয়ে যাওয়া-আসার জন্য ৪ লাখ ৯ হাজার ডলার, ২৯ দিন ধরে ভেন্টিলেটরের জন্য খরচ ৮২ হাজার ডলার এবং মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়েছেন দুই দিন, ওই সময়ের চিকিৎসা বিল প্রায় ১ লাখ ডলার।

    বয়স্কদের জন্য সরকারি বীমা কর্মসূচি মেডিকেয়ারের অন্তর্ভুক্ত থাকায় ফ্লোরকে পুরোটা খরচ করতে হয়নি বলে জানিয়েছে সিয়াটল টাইমস। কিন্তু দেশের ব্যয়বহুল স্বাস্থ্যসেবা নিজ চোখে দেখতে পেয়ে হতাশ তিনি।

    তার বক্তব্য দিয়ে টাইমস লিখেছে, ‘আমার জীবন বাঁচাতে লাখ লাখ ডলার খরচ হল এবং অবশ্যই আমি বলব যে ভালোভাবে খরচ হয়েছে। কিন্তু আমি এটাও জানি হয়তো এ কথা শুধু আমিই বলছি।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • যুক্তরাষ্ট্র থেকে নোবিপ্রবিতে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    যুক্তরাষ্ট্র থেকে নোবিপ্রবিতে চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    নোবিপ্রবি প্রতিনিধি:যুক্তরাষ্ট্রে থেকে নোবিপ্রবিতে ১ হাজার চিকিৎসা সামগ্রী পাঠাচ্ছেন সাবেক শিক্ষার্থী

    করোনায় নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) এক হাজার বিভিন্ন চিকিৎসা ও নিরাপত্তা সামগ্রী উপহার পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪র্থ ব্যাচের শিক্ষার্থী তানভীর মুরাদ।

    শনিবার (১৩ জুন) যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী তানভীর মুরাদ চিকিৎসা সামগ্রী উপহার পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এছাড়া আগামী কয়েকদিনের মধ্যে চিকিৎসা সামগ্রীগুলো কুরিয়ারের মাধ্যমে বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হবে বলে তিনি জানান।

    চিকিৎসা সামগ্রীর মধ্যে রয়েছে ১০ পিস ব্যক্তিগত নিরাপত্তা পোশাক (পিপিই), ৪০০ পিস K95 মাস্ক, ৫০০ পিস সার্জিক্যাল মাস্ক, ১০০ পিস ফেস শিল্ড।

    তানভীর মুরাদ বলেন, আমি বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত। আমার স্বপ্নভূমি নোবিপ্রবি নিজেদের উদ্যোগে র‍্যাপিড টেস্টিং কিট আবিষ্কার করে এবং নোয়াখালী অঞ্চলে করোনা উপসর্গের রোগীদের টেস্টিং শুরু করে যা গণমাধ্যমের সুবাদে জানতে পেরে অত্যন্ত খুশি হয়েছি। কিন্তু দুঃখের সাথে আমি জানতে পারলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের টেস্টিং ল্যাব এ পর্যাপ্ত চিকিৎসা সামগ্রীর অভাব আছে। সুরক্ষা সামগ্রীর অভাব সত্ত্বেও যারা ভলান্টিয়ার হিসেবে কাজ করছে তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাহসিকতার সাথে করোনা টেস্ট করে যাচ্ছে। তাদের এই সাহসিকতা আমাকে মুগ্ধ করেছে। আমি ক্ষুদ্র মানুষ হয়ে আমার জায়গা থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। বিশ্ববিদ্যালয় জীবনে আমি জনগণের ট্যাক্স এর টাকায় পড়াশোনা করেছি তাই নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রুযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় এবং বাংলাদেশের জন্য আমার এই অতি সামান্য উপহার। আমি চেষ্টা করেছি আমেরিকান FDA অনুমোদিত মেডিকেল সুরক্ষা সামগ্রী প্রেরণ করার জন্য।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/অনামিকা

  • করোনা: ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল ব্রাজিল/সারা বিশ্বে করোনার শিকার ৫৬ লাখ

    করোনা: ২৪ ঘণ্টার মৃত্যুর সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রকে ছাড়াল ব্রাজিল/সারা বিশ্বে করোনার শিকার ৫৬ লাখ

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : পুরো বিশ্বের অদৃশ্য শত্রু করোনা ভাইরাসকে কোন ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না। যার প্রকোপে এখনও প্রতিদিনই কোন না কোন দেশে রেকর্ড গড়ছে আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায়।

    প্রায় প্রতিদিনই স্বজনদের কাছ থেকে হাজার হাজার মানুষের প্রাণ কেড়ে নিচ্ছে প্রাণঘাতী এ মহামারি। এশিয়া থেকে ইউরোপ, আমেরিকা থেকে আফ্রিকা সবখানে আঘাত হেনে দাপট অব্যাহত রয়েছে ভাইরাসটির। ইতিমধ্যে করোনার শিকার হয়েছেন বিশ্বের প্রায় ৫৬ লাখ মানুষ।

    করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় বিশ্বের শীর্ষ অবস্থানে থাকা দেশ যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে গত ২৪ ঘণ্টার হিসেবে এগিয়ে গেলেন দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। একদিনে করোনায় আক্রান্ত হয়ে ব্রাজিলে মারা গেছেন ৮০৭ জন। যেখানে যুক্তরাষ্ট্রে গত একদিনে করোনা ভাইরাসে নতুন করে ৫৩২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

    ব্রাজিলের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, দেশটিতে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৪ হাজার ৮৯৮ জন। করোনা ভাইরাস আক্রান্তের দিক থেকে বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিল। ব্রাজিলে এ পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে মারা গেছেন ২৩ হাজার ৪৭৩ জন।

    রোগটি নিয়ন্ত্রণ করতে না পারায় ব্রাজিলের প্রশাসন চাপে আছে। অভিশংসনের ঝুঁকিতে রয়েছেন স্বয়ং প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তবে এসবের দায় তিনি নিতে নারাজ।

    মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে থাকার কথা বলসোনারোকে স্মরণ করিয়ে দিলে সোমবার সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমি তো মিরাকল কাজ করতে পারি না। আমাকে দিয়ে কী করাতে চান?’

    আজ বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিশ্বখ্যাত জরিপ সংস্থা ওয়ার্ল্ডোমিটারের তথ্যানুযায়ী, বিশ্বে এখন পর্যন্ত করোনার শিকার হয়েছেন ৫৫ লাখ ৮৪ হাজার ২৬৭ জন।

    এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৯০ হাজার ১৮৪ জন। নতুন করে প্রাণ গেছে ৩ হাজার ৯৬ জনের। এ নিয়ে করোনারাঘাতে পৃথিবী থেকে গত হয়েছেন বিশ্বের ৩ লাখ ৪৭ হাজার ৬১৩ জন মানুষ।

    বিপর্যস্ত মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করোনার শিকার বেড়ে হয়েছে ১৭ লাখ ৬ হাজার ২২৬ জনে। এর মধ্যে গত একদিনেই ১৯ হাজার ৭৯৮ জন মানুষের দেহে শনাক্ত হয়েছে ভাইরাসটি। এখন পর্যন্ত ট্রাম্পের দেশে প্রাণহানি ৯৯ হাজার ৮০৪ জনে ঠেকেছে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ পিপিই পাঠালো বেক্সিমকো

    যুক্তরাষ্ট্রে ৬৫ লাখ পিপিই পাঠালো বেক্সিমকো

    বিশ্বমানের ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী পার্সোনাল প্রোটেক্টিভ ইকুইপমেন্ট (পিপিই) উৎপাদনকারী দেশের কাতারে যোগ দিল বাংলাদেশ।

    দেশের টেক্সটাইল খাতের নেতৃস্থানীয় ব্র্যান্ড বেক্সিমকো সোমবার (২৫ মে) মার্কিন ব্র্যান্ড হেইনস-এর কাছে ৬৫ লাখ পিপিই গাউনের একটি চালান পাঠিয়েছে। এই চালান পৌঁছাবে মার্কিন কেন্দ্রীয় জরুরি ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের (ফেমা) কাছে।

    এই মুহূর্তকে স্মরণীয় করে রাখতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ও বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার। তারা যুক্তরাষ্ট্রের উদ্দেশে বেক্সিমকোর তৈরি করা পিপিইর ওই চালানকে বিদায় জানান।

    অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে বেক্সিমকোর অবদানের প্রশংসা করেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম।

    তিনি বলেন, বাংলাদেশের মতো বাকি বিশ্বও মহামারির সঙ্গে লড়াইয়ে এক কঠিন সময় পার করছে।

    প্রতিমন্ত্রী বলেন, এমন এক সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ মাত্র দুই মাসের মধ্যে এ মুহূর্তে স্বাস্থ্য খাতের জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিশ্বের এক গুরুত্বপূর্ণ বাজারে রপ্তানি করছে। তাও আবার ১০/২০ হাজার নয় ৬৫ লাখ পিস। এ এক অভাবনীয় অর্জন।

    এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল আর মিলার বলেন, যুক্তরাষ্ট্রে এই প্রথম বড় ধরনের পিপিইর চালান যাচ্ছে।

    তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের জন্য বাংলাদেশের বিপুল সংখ্যায় বৈশ্বিক মানের পিপিই উৎপাদনের পদক্ষেপকে স্বাগত জানায় যুক্তরাষ্ট্র। বেক্সিমকো ও হেইনস’র চুক্তিতে আরও স্পষ্ট হয়ে ওঠে মহান এ দেশ দু’টি কোভিড-১৯ মোকাবিলায় কীভাবে লড়াই করছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু লাখ ছুঁই ছুঁই/ বিশ্বে ছাড়াল ৪৩ হাজার, আক্রান্ত ৫৪৩৯৭৯

    করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র, মৃত্যু লাখ ছুঁই ছুঁই/ বিশ্বে ছাড়াল ৪৩ হাজার, আক্রান্ত ৫৪৩৯৭৯

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : করোনা ঝড়ে কাবু যুক্তরাষ্ট্র। রোজ মৃত্যুর মিছিলে যোগ দিচ্ছেন হাজারো মানুষ। কোভিড-১৯ মহামারীতে প্রাণহানিতে শীর্ষে থাকা দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়ছে সমানতালে।

    সবশেষ ২৪ ঘণ্টায় যুক্তরাষ্ট্রে ১১শ’র বেশি মানুষ মারা গেছেন করোনাভাইরাসে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত (বাংলাদেশ সময় সকাল সাড়ে ৬টা) কভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন বলে তথ্য দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয়।

    আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যায় সবার উপরে থাকা দেশটিতে এখন পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৯৮ হাজার ৬৮৩ জনের। আক্রান্তের সংখ্যা দাড়িয়েছে ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৮২৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৪ লাখ ৪৬ হাজার ৯১৪ জন।

    এদিকে রোববার (২৪ মে) সকাল পর্যন্ত ওয়ার্ল্ডোমিটারের সূত্র অনুসারে, সারা বিশ্বে ৫৪ লাখ ৩ হাজার ৯৭৯ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। আর মারা গেছেন তিন লাখ ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন।

    আক্রান্তের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে ব্রাজিল, সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৪২ হাজার ৪১০ জন। মৃত্যু হয়েছে ২১ হাজার ৯৩৪ জনের।

    আক্রান্তের তালিকায় তৃতীয়স্থানে আছে রাশিয়া, সেখানে আক্রান্ত হয়েছেন ৩ লাখ ৩৫ হাজার ৮৮২ জন। মৃত্যু হয়েছে ৩৩৮৮ জনের। মৃতের তালিকায় যুক্তরাষ্ট্রের পরেই রয়েছে যুক্তরাজ্য। তবে আক্রান্তের তালিকায় দেশটি রয়েছে চতুর্থস্থানে। সেখানে এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু বরণ করেছেন ৩৬ হাজার ৭শরও বেশি মানুষ। আর আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৫৮ হাজার।

    মৃত্যুতে বিশ্বে তৃতীয়স্থানে আছে ইতালি সেখানে ৩২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে মৃত্যুর সংখ্যা। আটাশ হাজার ৬৭৮ জন মৃত্যু নিয়ে চতুর্থস্থানে আছে স্পেন। স্পেনে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৮২ হাজার ৩৭০ জন। চারশোর মতো মৃত্যু কম নিয়ে পঞ্চমস্থানে আছে ফ্রান্স। ২২ ছাড়ানো মৃত্যু নিয়ে ষষ্ঠস্থানে আছে ব্রাজিল।

    আক্রান্ত ও মৃত্যু দুটোই বেড়েছে ভারতে। আক্রান্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ লাখ ৩১ হাজার ৪০০; মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৮৬৮ জন।

    চীনে প্রথম ৪১ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছিল চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত। পরে ভাইরাসজনিত অতি সংক্রামক রোগটি বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়ে। ১ এপ্রিলের মধ্যেই বিশ্বজুড়ে শনাক্ত হওয়া আক্রান্তের সংখ্যা ১০ লাখে পৌঁছে যায়।

    তারপরের ১০ লাখে সংক্রমিত হতে লাগে দুই সপ্তাহ। আর তার পরের ১০ লাখে পৌঁছাতে লেগেছিল ১২ দিন। আরও ১০ লাখ বাড়তে লেগেছিল ১৩ দিন। কিন্তু এর পরের ১০ লাখ সংক্রমণ হতে সময় লাগে সবচেয়ে কম সময় ১০ দিন।

    শনিবার পর্যন্ত বাংলাদেশে আক্রান্ত সংখ্যা ৩২ হাজার ৭৮ জন; মৃতের সংখ্যা ৪৫২ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স

  • করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    করোনায় মৃত্যু প্রায় ৩ লাখ ছুঁই ছুঁই, বিশ্বব্যাপী আক্রান্ত ছাড়াল ৪৪ লাখ

    ২৪ ঘণ্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রাণঘাতী করোনায় কাবু পুরো বিশ্ব। মহামারি কোভিড-১৯ ভাইরাসটির বয়স চার মাস পার হলেও বিশ্বের কোথাও এখনে নিয়ন্ত্রণের কোনো লক্ষণ মিলছে না।

    ভাইরাসের ছোবলে মৃতের সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বেড়েই চলেছে। বিশ্বজুড়ে ইতিমধ্যে ভাইরাসটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৪ লাখ ছাড়িয়েছে আর মৃতের সংখ্যা প্রায় তিন লাখ ছুঁই ছুঁই।

    যদিও এর ভ্যাকসিন আবিষ্কারে ওঠেপড়ে লেগেছেন বিজ্ঞানীরা। শতাধিক গবেষক দল নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে এ ভাইরাসে গোটা বিশ্ব বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ভাইরাস মোকাবেলায় দেশে দেশে চলছে লকডাউন, জরুরি অবস্থাসহ নানা পদক্ষেপ।

    কয়েকটি দেশ এরই মধ্যে লকডাউন শিথিল করে বেকায়দায় আছে। সেখানে নতুন করে আবার আক্রমণ শুরু করেছে করোনা।

    বৃহস্পতিবার (১৪ মে) সকাল ৯টা পর্যন্ত এ সংখ্যা নিশ্চিত করেছে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের সংখ্যা ও প্রাণহানির পরিসংখ্যান রাখা ওয়েবসাইট ওয়ার্ল্ডোমিটার এ বলা হয়, বিশ্বব্যাপী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২ লাখ ৯৮ হাজার ১৬৫ জন। এছাড়া এ ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে ৪৪ লাখ ২৯ হাজার ২২৩ জনের শরীরে।

    আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১৬ লাখ ৫৮ হাজার ৯৬৯ জন। বর্তমানে চিকিৎসাধীন ২৪ লাখ ৭২ হাজার ৮৯ জন। এদের মধ্যে ২৪ লাখ ২৬ হাজার ১৬৯ জনের শরীরে মৃদু সংক্রমণ থাকলেও ৪৫ হাজার ৯২০ জনের অবস্থা গুরুতর।

    ভাইরাসটি চীন থেকে ছড়ালেও বর্তমানে সবচেয়ে খারাপ অবস্থা যুক্তরাষ্ট্রে। দেশটিতে মোট আক্রান্ত ১৪ লাখ ৩০ হাজার ৩৪৮ জন, সুস্থ হয়েছে তিন লাখ ১০ হাজার ২৫৯ এবং মারা গেছে ৮৫ হাজার ৯১৭ জন। এখন পর্যন্ত করোনায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও আক্রান্ত যুক্তরাষ্ট্রে।

    মৃতের সংখ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের পরের অবস্থানে উঠে এসেছে যুক্তরাজ্য। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩৩ হাজার ১৮৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ২৯ হাজার ৭০৫ জন।

    মৃত্যুর তালিকার তিন নম্বরে রয়েছে ইউরোপের দেশ ইতালি। দেশটিতে এখন পর্যন্ত ৩১ হাজার ১০৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ২২ হাজার ১০৪ জন।

    স্পেনে আক্রান্ত দুই লাখ ৭১ হাজার ৯৫, সুস্থ হয়েছে ১ লাখ ৮৩ হাজার ২২৭ এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ১০৪ জন।

    এদিকে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে রাশিয়ায়। আক্রান্তের হিসাবে তৃতীয় অবস্থানে উঠে এসেছে দেশটি। এখানে আক্রান্ত হয়েছেন ২ লাখ ৪২ হাজার ২৭১ জন, মৃত্যু হয়েছে ২ হাজার ২১২ জনের।

    ইংল্যান্ডে আক্রান্ত দুই লাখ ২৬ হাজার ৪৬৩, সেখানে কর্তৃপক্ষ সুস্থতার সংখ্যা প্রকাশ করেনি এবং মারা গেছে ৩৩ হাজার ১৮৬ জন। ফ্রান্সে আক্রান্ত এক লাখ ৭৮ হাজার ৬০, সুস্থ হয়েছে ৫৮ হাজার এবং মারা গেছে ২৭ হাজার ৭৪ জন।

    এছাড়া জার্মানিতে ১ লাখ ৭৪ হাজার ৯৮ জন মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন। মৃত্যু হয়েছে ৭ হাজার ৮৬১ জনের। তুরস্কে ১ লাখ ৪৩ হাজার ১১৪ জন আক্রান্ত হয়েছেন। এখানে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪ হাজার মানুষের। কানাডায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭২ হাজার ২৭৮ জন, মৃত্যু হয়েছে ৫ হাজার ৩০২ জনের।

    ভাইরাসটি প্রথম শনাক্ত হয় চীনে। সেখানে এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছেন ৮২ হাজার ৯২৯ জন এবং মারা গেছেন ৪ হাজার ৬৩৩ জন।

    এশিয়ার মধ্যে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত হয়েছে ইরানে। দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লাখ ১২ হাজার ৭২৫ জন। মৃত্যু হয়েছে ৬ হাজার ৭৮৩ জনের।

    পাকিস্তানে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ২৯৮, সুস্থ হয়েছে ৮ হাজার ৮৯৯ এবং মারা গেছে ৭৬১ জন। ভারতে আক্রান্ত ৭৮ হাজার ৫৫ জন এবং মারা গেছে ২ হাজার ৫৫১ জন।

    বাংলাদেশে আক্রান্ত ১৭ হাজার ৮২২, সুস্থ হয়েছে ৩ হাজার ৩৬১ এবং মারা গেছে ২৬৯ জন। এখন পর্যন্ত মোট মৃতের সংখ্যা ২৬৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হয়েছেন ২১৪ জন। ফলে এখন পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৩ হাজার ৩৬১ জন।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব প্রিন্স