Tag: যুবদল

  • বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপিকে যারা থামাতে গিয়েছে, তারাই ধ্বংস হয়েছে: আমীর খসরু

    বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, বিগত দিনগুলোতে আমরা রাজপথে রক্ত দিয়েছি, জেলে গিয়েছি, অনেক নেতাকর্মী হারিয়েছি, অনেক কিছুই হারিয়েছি জীবনে। কিন্তু একটা জায়গায় ভালো কাজ করেছি, বিএনপির নেতাকর্মীরা জ্বলে পুড়ে খাঁটি সোনায় পরিনত হয়েছে। এজন্য বিএনপিকে ভাঙতে পারে নাই। বিএনপি আজ অনেক শক্তিশালী। বিএনপিকে যারা যখনই থামাতে গিয়েছে, তখনই তারা ধ্বংস হয়েছে। বিএনপি কোথায় আর যারা বিএনপিকে ধ্বংস করতে চেয়েছিল তারা আজ কোথায়?

    তিনি শনিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর ষোলশহরস্থ বিপ্লব উদ্যানে জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রামে অনুষ্ঠিতব্য কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে সমাবেশ ও বিপ্লব উদ্যান থেকে কালুরঘাট অভিমূখী যুব পদযাত্রা কর্মসূচিতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্নার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মসূচিতে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব নাজিমুর রহমান।

    সমাবেশের আগে বিপ্লব উদ্যানে রং তুলিতে আঁকা স্বাধীনতার ঘোষণা চিত্র প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুবের রহমান শামীম ও সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন।

    আমীর খসরু বলেন, আবারো বলছি, বিএনপিকে থামানোর চেষ্টা করবেন না। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের মাধ্যমে জনগণ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করে তাদের সরকার, তাদের সংসদ দেখতে চাই। এটা বাধাগ্রস্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি এর জন্য বিগত দিনে অনেক ত্যাগ শিকার করেছে, প্রয়োজনে আবার ত্যাগ শিকার করতে আমরা রাজি আছি।

    দেশের রাজনীতি কেমন হবে তার সিদ্ধান্ত জনগণ দিবে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের গণতন্ত্র কেউ কেড়ে নিতে পারবে না। কেউ বলে দিতে পারে না আগামী দিনের বাংলাদেশের রাজনীতি কি হবে! এ সিদ্ধান্ত দিবে বাংলাদেশের জনগণ। এ সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই।

    জনগণের সিদ্ধান্ত অন্য কেউ দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, জনগণের সিদ্ধান্ত অনেকে অনেকবার দেওয়ার চেষ্টা করেছেন। স্বাধীনতার পর শেখ মুজিবুর রহমান সাহেবও চেষ্টা করেছিলেন, তিনি কি সফল হয়েছেন? এরপর এরশাদ চেষ্টা করেছিল, শেখ হাসিনা চেয়েছিল, তারা কি পেরেছে? তাই সেদিকে না গিয়ে বাংলাদেশের জনগণের সিদ্ধান্ত তাদের দিতে দেন।

    বিপ্লব উদ্যানের কথা তুলে ধরে আমীর খসরু মাহমুদ বলেন, ঐক্যের টান হচ্ছে বিপ্লব উদ্যান। এখানে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘটিয়েছিল। পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে রিভোল্ড করেছিল। পাকিস্তানিদের মুখের ওপর বলেছিল, আমি তোমাদের বিরুদ্ধে বিপ্লব ঘোষণা করেছি। সেই ঘোষণা দিয়ে পাকিস্তানিদের তৎকালীন অফিসারদের অনেককে জীবন দিতে হয়েছে। সেই বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে পরিচিত হয়েছে। সেখান থেকে এ ঘোষণা দিয়ে বাংলাদেশি সৈন্যদের নিয়ে তিনি বের হয়েছিলেন পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে লড়াই করতে।

    এরপর কালুরঘাট বেতার কেন্দ্রে গিয়ে প্রথম বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেছেন জিয়াউর রহমান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করলাম। কিন্তু তিনি প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে নিজেকে ঘোষণা করেননি, বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণার কথা বলেছেন। স্বাধীনতার এ কথাগুলো কেউ বলতে সাহস পায় না, লজ্জা পাই। স্বাধীনতার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছিলেন এ দুটি কাজের মাধ্যমে। একটি হচ্ছে, এখানে (বিপ্লব উদ্যান) বিদ্রোহ করে পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে প্রথম মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে যিনি যুদ্ধ ক্ষেত্রে, আর দ্বিতীয়টি হচ্ছে, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা। সেই স্বাধীনতার ঘোষণার পরে যাদের মধ্যে সন্দেহ ছিল, যারা পদ নির্দেশনা পাচ্ছিল না এবং শেখ মুজিবুর রহমান তো পাকিস্তানে চলে গেছেন। বাংলাদেশের মানুষ পদ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে যে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণা হয়েছে, বাংলাদেশের মানুষকে পদ নির্দেশনা পরিস্কারভাবে জিয়াউর রহমান দিয়েছেন। এরপর পুরো জাতি যুদ্ধে নেমে গেছে, সারা বাংলাদেশ ব্যাপী যুদ্ধ শুরু হয়েছিল, যোগ করেন তিনি।

    দেশের স্বাধীনতায় অনেকের অবদান রয়েছে জানিয়ে আমীর খসরু বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ক্ষেত্রে জিয়াউর রহমানের অবদান আছে এবং অনেকের অবদান আছে। জাতির জনক বলতে যা বুঝায়, এগুলো কোনো এক ব্যক্তির কথা নয়, এগুলোর পেছনে অনেক নেতাদের ত্যাগ শিকার করতে হয়েছে, জীবন যুদ্ধে নামতে হয়েছে, অনেকে সম্মুখ যুদ্ধে যুদ্ধ করে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছেন। সবাইকে স্বীকৃতি দিতে হবে। অনেকের অবদান আছে, যাদের অবদান আছে আজ পর্যন্ত সবাইকে স্বীকৃতি দিয়ে স্মরণ করতে হবে। শুধু একজন ব্যক্তিকে নয়।

    শেখ মুজিবুর রহমানকে ‘সিম্বল’ হিসেবে ব্যবহার করে খারাপ কাজ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ওই যে একজন ব্যক্তিকে (শেখ মুজিবুর) সিম্বল হিসেবে ব্যবহার করে, বাংলাদেশে যে গুম, খুন, হত্যা, মামলা, নিপীড়ন, নির্যাতন, লুটপাট, এদেশের মানুষের মানব অধিকার, গণতন্ত্রের অধিকার, আইনের শাসন কেড়ে নেওয়া, বাংলাদেশকে একটি ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রে পরিণত করা করেছে। ওই সেই ব্যক্তির নাম দিয়ে এবং সেই ব্যক্তির মূর্তি স্থাপন করেছে বাংলাদেশে, এই খারাপ কাজগুলো করেছে তারা। তারা এ খারাপ কাজগুলো করেছে, তাদের সাথে সাথে সেই ব্যক্তিও হঠাৎ করে চলে যায়। একটা সিম্বল ব্যবহার করে খারাপের পর খারাপ কাজ করতে থাকেন, এরপর আপনার যখন পতন হয়, তখন ওই সিম্বলেরও পতন হই। এটা দুর্ভাগ্য। তারা যদি সকলকে স্বীকৃতি দিত, দেশের গণতন্ত্র অব্যাহত রাখতো, দেশের মানুষের অধিকারগুলো দিয়ে দিত, ভোটাধিকার দিত, জনগণের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার থাকতো, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকতো। তাহলে এই দুর্ভাগ্য হতো না।

    কোনো ব্যক্তিকে মূলধন বানিয়ে খারাপ কাজ টিকে থাকা যায় না মন্তব্য করে তিনি বলেন, স্বাধীনতা বা কোনো ব্যক্তিকে মূলধন বানিয়ে কোনো খারাপ কাজ করে টিকে থাকতে পারে না। এটা বাংলাদেশে প্রমাণ হয়েছে। সেই শহীদ জিয়াউর রহমান, যিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল করেছিলেন। এটার মূল ভিত্তি ছিল, বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ, অর্থনৈতিক মুক্তি, একটি স্বাধীন সার্বভ্রৌম দেশ, এখানে জনগণ মাথা উঁচু করে দাঁড়াবে। এজন্য শহীদ জিয়াউর রহমানের বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল আজকেও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। এ দলকে ধ্বংস করার জন্য এমন কোনো কিছুই বাদ রাখেনি। আমাদের নেতাকর্মীরা চাকরি হারিয়েছে, বাড়িতে থাকতে পারেনি, পালিয়ে থাকতে হয়েছে। আমাদের নেতাকর্মীরা বছরের পর বছর মিথ্যা মামলায় জেল কেটেছে।

    এতে উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, শফিকুর রহমান স্বপন, মো. শাহ আলম, সদস্য আবুল হাসেম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের আহ্বায়ক রেজাউল করিম লিটন, কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, সোহেল, লক্ষ্মীপুর জেলা যুবদলের সদস্য সচিব হুমায়ুন কবির, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবদলের সভাপতি মো. শাহজাহান, সাধারণ সম্পাদক মো. আজগর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান জসিম ও সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।

  • রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় সাহসী কণ্ঠ হয়ে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন : মোনায়েম মুন্না

    রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতায় সাহসী কণ্ঠ হয়ে মেজর জিয়া স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন : মোনায়েম মুন্না

    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেছেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষায় জিয়া পরিবারের অসামান্য অবদান রয়েছে। এই স্বাধীন রাষ্ট্রের অভূত্থানের প্রথম লগ্ন উচ্চারণ হয়েছিল জিয়াউর রহমানের কণ্ঠে। তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক নেতৃত্বের ব্যর্থতাই যখন বাংলাদেশের মানুষ একটি অনিশ্চয়তা এবং অন্ধকার জীবনের মধ্যে ঘুরপাক খাচ্ছে তখন সাহসী কণ্ঠ মেজর জিয়াউর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছেন।

    আজ শনিবার (১৬ নভেম্বর) চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া জিয়ানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধিস্থলে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করে চট্টগ্রামে কেন্দ্রীয় যুবদলের দিনব্যাপী কর্মসূচি শুরুকালে তিনি এসব কথা বলেন।

    তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত শাসনামলে বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশকে পরিচিত করেছেন সমৃদ্ধ বাংলাদেশ হিসেবে। অনেকেই জানে না ইরাক-ইরান যুদ্ধ বন্ধে তার অসামান্য অবদান রয়েছে। উনার কৃতিত্ব ও কীর্তির মাধ্যমে নিজেকে একজন ক্ষণজন্মা মানুষ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে গেছেন। প্রকৃত পক্ষে তিনি একজন সফল রাষ্ট্রনায়ক ছিলেন। রাষ্ট্রনায়ক হিসেবে মানুষের মনে স্থান করে নিয়েছেন। খাল কাটা কর্মসূচির মাধ্যমে স্বনির্ভর বাংলাদেশ এবং কৃষি বিপ্লব ঘটিয়েছেন। জনশক্তি রপ্তানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনেও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদান।

    তিনি বলেন, আবেগের জায়গায় আমি এসেছি আজ। এখানে জিয়াউর রহমানের প্রথম সমাধি। এখানে আসার পর আবেগে আপ্লুত হয়েছি। এই চট্টগ্রামে শহীদ জিয়াউর রহমানের স্মৃতি বিজড়িত রয়েছে। এ চট্টগ্রামর সাথে বিএনপির সম্পর্ক শিকড়ের।

    কেন্দ্রীয় যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন বলেন, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান তিনি নিজে ইতিহাস রচনা করে গিয়েছেন। যদিও তাঁর জীবন অত্যন্ত সংক্ষিপ্ত ছিল। তার এ সংক্ষিপ্ত ঐতিহাসিক ও বর্ণাঢ্য জীবন শুরু হয়েছে চট্টগ্রাম থেকে। চট্টগ্রামে তার অনেকগুলো ঐতিহাসিক মুহূর্ত রয়েছে। তিনি যে সব স্থানে রয়েছেন প্রতিটি স্থান ঐতিহাসিক হয়েছে এবং সে সব স্থানে আজকে আমরা কর্মসূচি ঘোষণা করেছি।

    তিনি বলেন, আমরা চাই শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের জীবনের বর্ণাঢ্য কর্মযজ্ঞ তা নতুন প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করার জন্য। গত ১৬ বছর বাংলাদেশের অনেক অন্যায় হয়েছে, তার মধ্যে বড় অন্যায় মধ্যে ছিল ইতিহাস বিকৃত করা। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের অবদানকে মানুষের হৃদয় থেকে মুছে দেওয়ার জন্য, সমস্ত পাঠ্যপুস্তক থেকে তার নাম মুছে দেয়ার ষড়যন্ত্র করেছিল। বাংলাদেশের মানুষের হৃদয়ে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম অঙ্কিত রয়েছে, এটা কখনো সম্ভব হবে না।

    এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তি, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সভাপতি ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শাহেদ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান, সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আহমেদ মুন্না, চট্টগ্রাম বিভাগীয় সাবেক সহ-সাধারণ সম্পাদক ও নোয়াখালী জেলা যুবদলের সভাপতি মনজুরুল আজিম সুমন, সাবেক বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হাসান, কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভুঁইয়া, সাবেক উপজাতি বিষয়ক সম্পাদক ও রাঙ্গামাটি জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক আবু সাদাত মোহাম্মদ সায়েম, যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সাবেক সদস্য সাইফুর রহমান শপথ, আমিনুল ইসলাম তৌহিদ, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবদলের সভাপতি হাসান মাহমুদ জসিম, সাধারণ সম্পাদক এস এ মুরাদ চৌধুরী প্রমুখ।

  • টুকুর নির্দেশনায় রেললাইন কাটে যুবদল নেতা

    টুকুর নির্দেশনায় রেললাইন কাটে যুবদল নেতা

    যুবদল সভাপতি সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর নির্দেশনায় গাজীপুরের শ্রীপুরে রেললাইন কাটেন ছাত্রদলের সাবেক সহ-সভাপতি ও বর্তমান যুবদল নেতা মো. ইখতিয়ার রহমান কবির (৪৩)। রেল লাইন কেটে নাশকতার ঘটনার মূলহোতা কবিরসহ দুই জনকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট।

    গ্রেফতার আরও একজন হলেন, লালবাগ থানার ২৪ নম্বর ওয়ার্ড মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি মো. ইমন হোসেন (১৯)।

    সিটিটিসি জানায়, রেল লাইনে নাশকতা করে সাধারণ জনগণের মাঝে ভীতি সঞ্চার এবং ব্যাপক প্রাণনাশের পরিকল্পনা করেন যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু। গ্রেফতার যুবদল নেতা ইখতিয়ার রহমান কবিরের সঙ্গে যোগাযোগ করে বলেন দলীয় উচ্চ পর্যায় থেকে বড় কিছু করার চাপ আছে।

    নাশকতাকারীরার রেললাইন কাটার পর তাদের মোটা অঙ্কের টাকাও দেওয়া হয় দলীয় পর্যায় থেকে।

    সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান সিটিটিসির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আসাদুজ্জামান।

  • সীতাকুণ্ডে গভীর রাতে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা ভাংচুর

    সীতাকুণ্ডে গভীর রাতে সাবেক ইউপি সদস্য ও যুবদল নেতার বাড়িতে হামলা ভাংচুর

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ড উপজেলার কুমিরায় সাবেক ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মোঃ আলমগীর হোসেনের ঘরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

    শনিবার গভীর রাতে কুমিরা ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি ও ৭ নং ওয়ার্ডের সাবেক সদস্য আলমগীরের বাড়িতে হামলা ও ভাঙচুর করে মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা। এতে তার বাড়ির ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করা হয়েছে।

    তিনি জানান, মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা বাড়ির দরজা ও জানালার গ্লাস ভাংচুর করে এবং ১০/১৫টি কটকেলও ছুড়ে মারে। এসময় বিকট শব্দ এবং ধোঁয়ায় পুরো বাড়ি আছন্ন হয়ে যায়।

    যুবদল নেতা আলমগীর জানান, শনিবার রাত ৩ টার দিকে ১৫/২০ জন মুখোশধারী দুর্বৃত্তরা দল বেঁধে এসে ঘরের নিচের তলার দরজা জানালা ভাংচুর করে এবং ১০/১৫ টি ককটেল ছুড়ে মারে। এই সময় ঘরে থাকা নয় মাস বয়সী ফোরহান নামের এক শিশু আহত হয়।

    এদিকে হামলা ও ভাঙচুরের এই ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, প্রতিরাতে কোন না কোন নেতাকর্মীর বাড়িতে হামলা করছে সন্ত্রাসীরা। অথচ প্রশাসন কোন ধরণের পদক্ষেপ নিচ্ছে না।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ জানান, কুমিরায় সাবেক ইউপি মেম্বার আলমগীরের বাসায় হামলার ঘটনা শুনেছি কিন্তু কেউ অভিযোগ করেনাই তারপরও আমি রবিবার দুপুরে সাদা পোশাকধারী একটি পুলিশের টিম পাঠিয়েছি।

  • ভেস্ট পরে আগুন দেওয়া সেই যুবক শনাক্ত

    ভেস্ট পরে আগুন দেওয়া সেই যুবক শনাক্ত

    বিএনপির মহাসমাবেশের দিন রাজধানীতে প্রেস লেখা ভেস্ট পরে গাড়িতে আগুন দেওয়া সেই যুবককে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তার নাম রবিউল ইসলাম নয়ন। তিনি ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মো. হারুন অর রশিদ।

    সোমবার (৩০ অক্টোবর) নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এই তথ্য দেন তিনি।

    হারুন অর রশিদ জানান, ২৮ অক্টোবর ওই অঞ্চলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে তাকে শনাক্ত করা হয়েছে। ২০১৩-১৪ সালে সহিংসতার সঙ্গেও জড়িত ছিল নয়ন।

    ডিবি পুলিশের প্রধান জানান, ঘটনার দিনের সংঘর্ষের সময় ফুটেজ দেখেই সেই যুবককে শনাক্ত করা হয়। এখন তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

    ডিবি থেকে গণমাধ্যমে সরবরাহকৃত ফুটেজ ও ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সেই যুবকের গায়ে কালো জ্যাকেট। বুকে প্রেস লেখা। মুখভর্তি দাড়ি। চোখে চশমা। গায়ে সাদা শার্ট। পায়ে কেটস।

    পুলিশের ভাষ্যমতে, ঘটনার দিন সেই যুবক জ্যাকেট পরিহিত অবস্থায় একজনের মোটরসাইকেলে ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন জায়গায় আগুন দেন।

  • সীতাকুণ্ডে পুলিশের লাঠিচার্জে যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পন্ড

    সীতাকুণ্ডে পুলিশের লাঠিচার্জে যুবদলের ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান পন্ড

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: সীতাকুণ্ডে যুবদলের ঈদ পূনর্মিলনী ও বনভোজন পন্ড করে দিয়েছে পুলিশ।

    মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে তিনটার সময় উপজেলার বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের সাগর উপকুল এ ঘটনা ঘটে।

    পুলিশের লাঠিচার্জে উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ বিএনপি, যুবদলের ১০/১২ নেতাকর্মী আহত হয়েছে বলে দাবী করেছে বিএনপির নেতারা।

    জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা যুবদলের আয়োজনে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে বাড়বকুণ্ডের পশ্চিমে সাগর উপকুলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করে। অনুষ্ঠান শুরুর পর থেকেই সাদা পোশাকে পুলিশ ঔই এলাকায় অবস্থান নেন। বিকাল সাড়ে তিনটার সময় সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ অনুষ্ঠান স্থলে গিয়ে অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন। এসময় ব্যাপক লাঠিচার্জ করে নেতাকর্মীদের ছত্রভঙ্গ করে দেন। পুলিশ মঞ্চ ভেঙে গুঁড়িয়ে দিলে অনুষ্ঠান পণ্ড হয়ে যায়।

    এব্যাপারে উপজেলা যুবদলের আহবায়ক ফজলুল করিম চৌধুরী বলেন, আমরা উপজেলা যুবদল ঈদ উপলক্ষে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ঈদ পুনর্মিলনীর আয়োজন করি। হঠাৎ করে পুলিশ হাজির হয়ে নেতাকর্মীদের লাঠিচার্জ করে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে মঞ্চ ভেঙে গুড়িয়ে দেয। পুলিশের প্রহারে সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার নেলীসহ ১০/১২ জন নেতাকর্মীকে মেরে আহত করে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি তোফায়েল আহমেদ বলেন, কোন অনুমতি ছাড়াই শত শত লোক জড়ো করেছে যুবদল। এটা কোন পর্যটন এলাকা নয়, এখানে কেন তারা পিকনিক করবে। ওই জায়গাটিতে একাদিক গ্যাস কারখানাও রয়েছে। যেকোন বিপদ ঘটতে পারে এ আশঙ্কা থেকেই অনুষ্ঠানটি বন্ধ করে দিয়েছি।

  • সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার: ডা.শাহাদাত

    সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে সরকার: ডা.শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন,সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে এই সরকার। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা নেই। আজ গণমাধ্যম কথা বলতে পারে না। গণমাধ্যমের কোন সাংবাদিক সরকারের সমালোচনা করে কোন প্রতিবেদন চাপালেই তার বিরুদ্ধে আইসিটি এক্ট নামে কালো আইনের মাধ্যমে শাস্তির ব্যবস্থা নেওয়া হয়। আজকে এই কাল আইনের কারণে সাংবাদিকরা সঠিক সংবাদ প্রচার করতে পারছে না। তেমনি ভাবে গণতন্ত্রকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিয়েছে। এই সরকার একদলীয় ভাবে দেশ শাসন করছে। কেউই সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা করলেই তার বিরুদ্ধে মামলা, নির্যাতন নিপীড়ন শুরু হয়। এই সরকার একদলীয় ভাবে ফ্যাসিস্ট কায়দায় দেশ শাসন করছে। বিএনপির চেয়ারপার্সন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে কারা অন্তরীন রেখেই এই সরকার নিশি রাতের ভোটের মাধমে এক দলীয়ভাবে ক্ষমতায় এসে দেশের অর্থনীতিকে লুটপাট করেছে। আজ দেশকে একটি তলাবিহীন জুড়িতে পরিণত করেছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করে ফেলেছে। হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাটের মাধ্যমে বিদেশে পচার করেছে এই সরকার।

    তিনি আজ ১৪ ফেব্রুারি (মঙ্গলবার) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে মাদার অব ডেমোক্রেসি দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এবং চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তিসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরো বলেন, আওয়ামীলীগ সরকার ব্যয় সংকোচনের কথা বলে মানুষের জীবন যাত্রার ব্যয় বাড়িয়ে দিয়ে মানুষের জীবন যাপন দুর্বিষহ করে তুলেছে। দিন দিন নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস পত্রের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে, সব কিছু মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে চলে যাচ্ছে। সেদিকে সরকারের কোন নজর নেই। কিন্তু এই সরকার বিএনপি, যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে জনগণের এই মৌলিক অধিকারের আন্দোলন দমনে ব্যস্ত। বিএনপি ও যুবদলের নেতাকর্মীদের বাড়ী বাড়ী তাল্লাসী চালিয়ে দেশে এক নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে সরকার। তারা শান্তির কথা বলে অশান্তি সৃষ্টি করছে। নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে আন্দোলন কখনো স্তব্ধ করা যায় না এবং এগুলো করে সরকারের শেষ রক্ষা হবে না। বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তী সহ সকল রাজবন্দী নেতাকর্মীদের মুক্তি দিতে হবে।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাশেম বক্কর বলেন, আওয়ামীগ বিএনপির জনসম্পৃক্ত কর্মসুচির ভয়ে ভীত হয়ে তারা পাল্টা কর্মসূচি দিচ্ছে। পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সব জায়গায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাসকে তারা উসকে দিচ্ছে। যে রাজনৈতিক দল পাল্টা কর্মসূচি দেয়, বুঝতে হবে তারা একদম দেউলিয়া হয়ে গেছে। অবৈধ ক্ষমতায় টিকিয়ে রাখতে সরকার একদিকে পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে সন্ত্রাসকে উসকে দিচ্ছে অন্যদিকে প্রশাসনকে ব্যবহার করে বিএনিিপ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেফতার অব্যহত রাখছে। মামলা হামলা গ্রেফতার অব্যহত রেখে আওয়মী সরকারের শেষ রক্ষা হবেনা। নগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দিপ্তীকে গ্রেফতার করে যুবদলে গণতান্ত্রিক আন্দোলকে স্তব্দ করার চেষ্টা করেছে। আজকের সমাবেশ প্রমান করে যুবদল দমে যায়নি বরং আরো শক্তিশালী হয়ে রাজপথে দাবড়িয়ে বেড়াচ্ছে। সমাবেশ থেকে অবিলম্বে মোশারফ হোসেন দিপ্তীর নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানাচ্ছি।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সহ সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও মোশাররফ হোসেন দিপ্তীসহ সকল রাজবন্দীর মুক্তি দাবী জানাচ্ছি। এই ফ্যাসিবাদী সরকার হাজার হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করে এই আন্দোলনকে থামানো যাবে না। এখন শেখ হাসিনার পতন কোন ভাবেই থামানো যাবে না। যে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়েছে আর থামিয়ে দেয়া যাবে না। এ আন্দোলন চালিয়ে যেতে হবে। গতিশীল করতে হবে। দেশ বাঁচাতে, জনগণ ও গণতন্ত্র বাঁচাতে চলমান এই আন্দোলনের কোন বিকল্প নেই।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, জনগণের ভোটের অধিকার ও গণতন্ত্রের মুক্তির জন্য আন্দোলন করছি।এই আন্দোলন সংগ্রামে নেতাকর্মীদের সামিল হওয়ার আহবান জানিয়ে তিনি আরো বলেন ফ্যাসিবাদী সরকার দমন পীড়ন করে ক্ষমতাকে চিরস্থায়ী করতে চায়। আমরা বাংলার জনগণকে সাথে নিয়ে সরকারের সকল অপকর্মের সমুচিত জবাব দিব।

    নগর যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন ও সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশার যৌথ পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এস এম সাইফুল আলম, সদস্য এডভোকেট মফিজুলক ভূঁইয়া,বক্তব্য রাখেন, নগর যুবদলের সহ সভাপতি আজমল হুদা রিংকু, নূর আহমদ গুড্ডু, এস এম শাহ আলম রব, শাহেদ আকবর, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল করিম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মুহাম্মদ মুসা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, হায়দার আলী চৌধুরী, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, হাসান মুরাদ, মুজিবুর রহমান, আবু সুফিয়ান, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান মাসুম, হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম, ইকবাল পারভেজ, এরশাদ হোসেন, মো. তাজুল ইসলাম তাজু, আবদুর হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, জিয়াউল হুদা জিয়া, শাহীন পাটোয়ারী, এস এম ফারুক, রাজন খান, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক ফেরদৌস আলম, কামাল পাশা, আসাদুর রহমান টিপু, জাহাঙ্গীর আলম বাচা, ওসমান গণি, শাহজালাল পলাশ, মুজিবুর রহমান রাসেল, আহাদ আলী সায়েম, জাফর আহমদ খোকন, মো. ইয়াছিন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মুহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর,

    মো. আলাউদ্দিন, গাজী ফারুক, মোহাম্মদ আলী, মহিউদ্দিন মুকুল, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, মো. নুরুল আমিন, মো. ইকবাল, ওমর ইমতিয়াজ টিটু, মো. নওশাদ, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, মো. কামাল উদ্দিন, মনোয়ার হোসেন মানিক, কমল জ্যোতি বড়–য়া, কামরুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মঞ্জুরুল আলম, মোহাম্মদ হাসান, মাহবুবুর রহমান, মোহাম্মদ শাহেদুল ইসলাম, হামিদুল হক চৌধুরী, মো. আনোয়ার হোসেন আনু, আরিফ হোসেন, ইয়াছিন আজাদ, মেজবাহ উদ্দিন মিন্টু, মো. আবুল কালাম, মো. সালাহ উদ্দিন, আবু বক্কর সিদ্দিক আবু, মো. জসিম উদ্দিন, হাফেজ কামাল উদ্দিন, রুবেল বড়–য়া, মো. সিরাজুল ইসলাম সিকদার, দেলোয়ার হোসেন, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ফারুক হোসেন স্বপন,মো. ইদ্রিছ, গুলজার হোসেন মিন্টু, ইলিয়াছ হাসান মঞ্জু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, হোসেন উজ্জামান হোসেন, নুর জাহেদ বাবলু, এ কে আজাদ, মো. ইব্রাহিম খান, মো. সাইদুল ইসলাম, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, মো. ইউসুফ, জাহাঙ্গীর আলম মানিক, নগর যুবদলের সদস্য আফসার উদ্দৌলা অপু, শাখাওয়াত হোসেন টিপু, লতিফুর বারী সুমন, আইয়ুব আলী, শাবাব ইয়াজদানী, মাহাবুব খান জনি, মো. কলিম উল্লাহ, সোহাগ খান, সাইদুল হক সিকদার, আবদুল্লাহ আল মামুন, মো. আকবর হোসেন, সাব্বির ইসলাম ফারুক, আবদুল করিম, আজিজ চৌধুরী, শাখাওয়াত কবীর সুমন, থানা যুবদলের আহবায়ক গিয়াস উদ্দিন টুনু, শফিউল আজম, বজল আহমদ, মোশাররফ আমীন সোহেল, ইসমাঈল হোসেন লেদু, হোসনে মোবারক রিয়াদ, মো. খোরশেদ, মো. সেলিম, মো. ইসমাঈল, সদস্য সচিব মঞ্জুরুল আলম মঞ্জু, মো. হাসান, শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, ইলিয়াছ খান, এ জে এম সোহেল, হাবিবুল্লাহ খান রাজু, সারোয়ার হোসেন, মো. রাশেদ, মুশফিকুর রহমান নয়ন, থানা যুবদলের সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, মো. ইয়াছিন, সাইফুল আলম রুবেল, খালেদ সাইফুল্লাহ, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, মো. সোহেল, ইউনুছ মুন্না, সফিকুর রহমান, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক মেজবাহ উদ্দিন চৌধুরী, এস এম আলী, মো. আকতার, মোহাম্মদ ইউনুছ, মো. সাইফুল আলম, মো.মুজাহিদ, বাদশা আলমগীর, মনসুর আলম, জহিরুল ইসলাম, মোহাম্মদ হাসান, মো. সাদেক, আবু বক্কর বাবু, মো: আবু তৌহিদ, মো. জাবেদ, মো. শাহবাজ, মো. সাইফুল ইসলাম, রাসেল খান, দেলোয়ার হোসেন ও আবদুল্লাহ আল ফিরোজ টিপুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে: ডা. শাহাদাত

    দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে: ডা. শাহাদাত

    চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেছেন, দেশে দুর্নীতি ও দুঃশাসনের রাজত্ব চলছে। যার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় দুর্নীতিতে দ্বিতীয় স্থান হয়েছে। এটা বাংলাদেশী জাতি হিসেবে আমাদের জন্য অত্যন্ত কলঙ্কজনক। সরকার বেসামাল হয়ে বিদ্যুতের মূল্য আবারো বৃদ্ধি করেছে। ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম আবারও হুহু করে বাড়ছে।বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের উপর হামলা মামলা, অত্যাচার, নির্যাতন, গুম, খুন বন্ধ এবং কর্তৃত্ববাদী ফ্যাসিস্ট সরকারকে অবিলম্বে পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সবার কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছাড়া আর কোন পথ নেই। গ্যাস, বিদ্যুৎ, পানির দাম দফায় দফায় বাড়ছে, প্রত্যেকটি জিনিসের মূল্য বৃদ্ধিতে জনগণ সীমাহীন দুর্ভোগকে পড়েছে। ব্যাংকে গেলে মানুষকে টাকা দিতে পারেন না। লুটপাটের কারণে ব্যাংক খালি হয়ে গেছে। এই সরকার গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, মানুষের প্রতি এদের কোনো দায়বদ্ধতা নেই।

    তিনি আজ বৃহস্পতিবার (২ ফেব্রুয়ারী) বিকালে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয়ে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোসহ ১০ দফা দাবীতে আগামী ৪ ফেব্রুয়ারী কেন্দ্রঘোষিত বিএনপির চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের এক প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    ডা. শাহাদাত হোসেন আরও বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারে বিএনপির ১০ দফা বাস্তবায়নের দাবীতে চট্রগ্রাম বিভাগীয় বিক্ষোভ সমাবেশ সফল করতে হবে। চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি আন্দোলন বেগবান করার লক্ষ্যে ও এই সরকারের দুর্নীতি দুঃশাসনের প্রতিবাদে মহানগর যুবদলকে মিছিল সহকারে সমাবেশে যোগদান করার প্রস্তুতি নিতে হবে।

    অবিলম্বে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশারফ হোসেন দীপ্তি, যুবদল নেতা মুসাসহ সকল নেতাকর্মীদের মুক্তি দাবি করেন।

    বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চট্টগ্রাম বিএনপির সদস্য সচিব আবুল হাসেম বক্কর বলেন, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের মানুষ যখন হিমশিম খাচ্ছে, তখন গ্যাস ও বিদ্যুতের অতিরিক্ত দাম নিয়ে সংসারের হিসাব সমন্বয় করতে তারা গলদঘর্ম হচ্ছেন। গত একবছরে বিদ্যুৎ ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি পর্যালোচনা করে দেখা যাচ্ছে, বহু পরিবারে শুধু বিদ্যুৎ ও গ্যাস বিল বাবদ খরচ ২০ থেকে ২৫ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। সবচেয়ে বেশি বিপদে পড়েছেন সীমিত আয়ের মানুষ। আওয়ামী সন্ত্রাস, সরকারের নির্যাতন, রাজবন্দীদের মুক্তি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের কমানোর জোর দাবী জানাচ্ছি।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদ বলেন, আওয়ামীলীগের আর সময় নেই। নগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীসহ যুবদলের নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কোন কিছুতেই আন্দোলন থামানো যাবে না। চলমান আন্দোলন সর্বত্র চলছে, চলবে। আরও হাজার হাজার নেতাকর্মী গ্রেফতার করলেও শেখ হাসিনার অধীনে বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন হতে দেয়া হবে না।

    সভাপতির বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইকবাল হোসেন বলেন, যুবদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করে কারাগারে নিলেও আন্দোলন বন্ধ হয়নি বরং আরো তীব্রতর হয়েছে। শেখ হাসিনার পতন না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন কেউ বন্ধ করতে পারবে না।

    নগর যুবদলের প্রস্তুতি সভায় বক্তব্য রাখেন সহ সভাপতি নুর আহমেদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ইকবাল হোসেন সংগ্রাম, ফজলুল হক সুমন, মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম, আবদুল গফুর বাবুল, সাহাবুদ্দিন হাসান বাবু, মোহাম্মদ মুছা, মিয়া মোহাম্মদ হারুন, নাসির উদ্দিন চৌধুরী নাসিম, জসিমুল ইসলাম কিশোর, অরূপ বড়–য়া, মোহাম্মদ আলী সাকী, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর, মো. সেলিম উদ্দিন, মো. এরশাদ উল্লাহ, আবদুল হামিদ পিন্টু, দীপংকর ভট্টাচার্য, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, গুলজার হোসেন, সহ সাধারণ সম্পাদক আসাদুর রহমান টিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক এমদাদুল হক বাদশা, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মো. জসিম উদ্দিন সাগর, মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মহিউদ্দিন মুকুল, ইফতেখার শাহরিয়ার আজম, এস এম বখতেয়ার উদ্দিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, কামরুল ইসলাম, সাহেদুল ইসলাম, জিয়াউল হক মিন্টু, মোহাম্মদ নওশাদ, হাফেজ কামাল উদ্দিন, মোঃ সালাউদ্দীন, সাইফুদ্দিন যুবরাজ, ফারুক হোসেন স্বপন, আবু বক্কর সিদ্দিকী আবু, গুলজার হোসেন মিন্টু, আবদুল্লাহ আল মামুন জিতু, জাহাঙ্গীর আলম বাবু, মোঃ ইদ্রিস, হোসেন উজ জামান, মিফতাহ উদ্দিন সিকদার টিটু, মোহাম্মদ ইউসুফ, আবুল কালাম আবু, মো. বেলাল, সদস্য সাইদুল হক সিকদার, শাবাব ইয়াজদানী, থানা যুবদলের আহবায়ক ইসমাঈল হোসেন লেদু, মো. সেলিম, মোশাররফ আমিন সোহেল, মো. ইসমাইল, সদস্য সচিব মো. হাসান, শওকত খান রাজু, তাজ উদ্দিন তাজু, মো. সরওয়ার, আ জ ম সোহেল, মনজুরুল আলম মঞ্জু, হাবিব উল্লাহ খান রাজু, মো. রাশেদ, সি: যুগ্ম আহবায়ক আবদুল জলিল, সাইফুল আলম রুবেল, শাহেদ খান পারভেজ, ইউনুছ মুন্না, মোঃ মিল্টন, ওয়ার্ড যুবদলের আহ্বায়ক মোঃ হাসান, মোহাম্মদ জাবেদ, মো. আকতার, মো. আবু তৌহিদ, রাসেল খান, আবদুল্লাহ আল ফিরোজ টিপুসহ প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

  • বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের বিশাল আনন্দ মিছিল

    বিজয় দিবসে সীতাকুণ্ডে বিএনপি ও যুবদলের বিশাল আনন্দ মিছিল

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি: মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সীতাকুণ্ড উপজেলা ও পৌরসভা জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি ও যুবদলের বিশাল আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

    ১৬ ডিসেম্বর (শুক্রবার) সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে নেতাকর্মীরা পৌরসদর এলাকার মুন কমিউনিটি সেন্টারে। সেখান থেকে বিএনপি ও যুবদলের হাজারো নেতাকর্মী ব্যানার ফেস্টুোন নিয়ে বিশাল আনন্দ মিছিল শোভাযাত্রা বের করে। আনন্দ র‌্যালিটি মহাসড়ক পদক্ষিণ করে উপজেলা চত্বরে গিয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পমাল্য অর্পণ করে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশের আয়োজন করে।

    এতে বক্তব্য রাখেন উপজেলা বিএনপি নেতা কাজী সালাউদ্দিন, ডাঃ কমল কদর, জহুরুল আলম, মহিলা দলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট রোশনারা বেগম, পৌরসভা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মোজাহের উদ্দিন আশরাফ, রবিউল হক, যুবদল নেতা ফজলুল করিম চৌধুরী, আওরঙ্গজেব মোস্তফা, ইসমাইল হোসেন, লোকমান হোসেন, আবু সিদ্দিক বাল্লা, অমলেন্দু কনক, জিয়া উদ্দিন, সাহাব উদ্দিন রাজু, সলিমপুর যুবদলের সভাপতি আনোয়ার হোসেন ৮ নং সোনাইছড়ির সভাপতি আরমান সোহেল, সাধারণ সম্পাদক মুমিন উদ্দিন মিন্টু, কুমিরা ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক কামরুল হাসান, বাঁশবাড়ীয়া ইউনিয়ন সভাপতি কাজী বদর উদ্দিন, সম্পাদক আলা উদ্দিন, বাড়বকুণ্ড ইউনিয়ন সভাপতি নুরুন নবী সাইফুল, সম্পাদক নাছির উদ্দীন, মুরাদপুর ইউনিয়ন সিঃ সহ সভাপতি আবু জাফর, সম্পাদক মোঃ রাসেল, বারৈয়াঢালা ইউনিয়ন সভাপতি ছালেক, সম্পাদক আবদুল মান্নান, সৈয়দপুর ইউনিয়ন সভাপতি মুনছুর আলী, সম্পাদক বাবুল বাহাদুর, মহসীন, শওকত আলী, ইকবাল হোসেনসহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ।

  • চট্টগ্রামে গাড়ি ভাংচুরের মামলায় ছাত্রদল-যুবদলের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

    চট্টগ্রামে গাড়ি ভাংচুরের মামলায় ছাত্রদল-যুবদলের ৩ নেতা গ্রেপ্তার

    নয়াপল্টনে পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষ ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীতে মশাল মিছিল থেকে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ছাত্রদলের ৩ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

    গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মো. ইরফানুল হাসান রকি (৩২), মহানগর যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক মো. আরিফুর রহমান (৩২) ও মহানগর যুবদলের সদস্য মো. নজরুল ইসলাম (৩০)।

    বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

    বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল কবির।

    তিনি বলেন, গতকাল সন্ধ্যায় আলমাস সিনেমা হলের সামনে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় এক গাড়ির মালিক মামলা দায়ের করেন। পরে নগরীর বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে এ মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।

    উল্লেখ্য, বুধবার (৭ ডিসেম্বর) রাতে নগরীর ওয়াসার মোড় থেকে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিল বের করে। মিছিল শেষে আলমাস সিনেমা হলের সামনে একটি গাড়িতে অগ্নিসংযোগ করে। এ সময় দুটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা হয়।

    তবে চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি সাইফুল আলম গাড়িতে অগ্নিসংযোগ ও গাড়ি ভাঙচুর করার কথা অস্বীকার করেছেন।

  • খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল

    খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের দোয়া মাহফিল

    বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আজ ১১ জুন (শনিবার) বাদে আছর চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে নাসিমন ভবনস্থ দলীয় কার্যালয় সম্মুখ মাঠে এক দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

    দোয়া মাহফিল পূর্বক এক সংক্ষিপ্ত সভা চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দিপ্তীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত হয়।

    সংক্ষিপ্ত সভায় চট্টগ্রাম মহানগর যুবদল নেতৃবৃন্দ বলেন, তিন বারের প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া আওয়ামী রাজনীতির প্রতিহিংসার শিকার। শুধুমাত্র রাজনীতি থেকে দূরে রাখতেই বেগম জিয়ার উপর অমানষিক নির্যাতন চালানো হয়। যার ফলশ্রুতিতে তিনি আজ মৃত্যুর ঝুঁকিতে। বেগম জিয়ার কিছু হলে এর দায় বর্তমান ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী সরকারকেই নিতে হবে। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে বিরোধী রাজনৈতিক দলের উপর হায়েনাদের দমন নির্যাতন চলছে। নেতৃবৃন্দ আরো বলেন, ক্ষমতার মোহে আওয়ামী সরকার দেশ থেকে গণতন্ত্রকে কবরস্থ করার মাধ্যমে নিজেদেরকে হিংস্র করে তুলেছে। কিন্তু এখন জনগণ আওয়ামী সরকারের ভয়াবহ দু:শাসন প্রতিরোধে চূড়ান্ত প্রস্তুতি নিচ্ছে। দোয়া মাহফিল শেষে দলীয় কার্যালয়স্থ মসজিদের খতীব মাওলনা এহসানুল উল্লাহ মুনাজাত পরিচালনা করেন। মুনাজাতে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার আশু রোগ মুক্তি ও দীর্ঘ হায়াত কামনা করে মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নিকট ফরিয়াদ জানান। সাবেক প্রেসিডেন্ট মরহুম জিয়াউর রহমান বীরউত্তম ও মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা ও তাদেরকে জান্নাতের মেহমান হিসেবে কবুল করার জন্য মহান আল্লাহর দরবারে দোয়া করা হয়।

    উক্ত দোয়া মাহফিলে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন নগর যুবদলের সিনিয়র সহসভাপতি ইকবাল হোসেন, সহ সভাপতি নুর আহম্মদ গুড্ডু, এম এ রাজ্জাক, ফজলুল হক সুমন, আবদুল করিম, মুহাম্মদ মুছা, মিয়া মো: হারুন, জাহিদুল হাসান বাবু, মোহাম্মদ আলী সাকি, সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক মোশাররফ হোসাইন, যুগ্ম সম্পাদক মো: হুমায়ুন কবীর, সেলিম খান, এরশাদ উল্লাহ, এরশাদ হোসেন, সেলিম উদ্দিন রাসেল, তৌহিদুল ইসলাম রাসেল, হেলাল হোসেন, গুলজার হোসেন, রাজন খান, ওমর ফারুক, সহ সাধারণ সম্পাদক কামাল পাশা, ওসমান গনি সিকদার, মুজিবর রহমান রাসেল, জাফর আহমেদ খোকন, সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য নূর হোসেন উজ্জ্বল, জিল্লুর রহমান জুয়েল, মোহাম্মদ সাগীর, মহিউদ্দিন মুকুল, নুরুল আমিন, আসাদুজ্জামান রুবেল, সহ সম্পাদক বৃন্দ আতিকুর রহমান, মাহাবুবুর রহমান, কমল জ্যোতি বড়ুয়া, জহিরুল ইসলাম জহির, হাফেজ কামাল উদ্দিন, গুলজার হোসেন মিন্টু, ইব্রাহিম খান, জাফর, সাদেক, সোহেল, ফারুক হোসেন স্বপন, নগর যুবদলের সদস্য মাহাবুব খান জনি, সাইদুল হক সিকদার, জাহেরী মাসুদ, থানা যুবদলের আহবায়ক, নূর হোসেন নুরু, মো. কুতুব উদ্দিন, মনজুর আলম, শেখ রাসেল, শওকত খান রাজু, নূর খান, সাজ্জাদ আহমেদ সাদ্দাম, মো. মিল্টন, রাসেল আকাশ, ওয়ার্ড যুবদলের আহবায়ক এস এম আলি, মো: হাসান, মো: ইউনুস, জহিরুল ইসলাম, মো. ইউসুফ, মাসুদ আলম ও মুহাম্মদ সাইফুলসহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ।

  • নিশি রাতের ভোটের অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থঃ টুকু

    নিশি রাতের ভোটের অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থঃ টুকু

    কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু বলেছেন, নিশী রাতের ভোটের অবৈধ সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ণ ব্যর্থ। লুটপাটে ব্যস্ত আওয়ামীলীগ দেশের মানুষের দৃষ্টি অন্যদিকে সরাতে পরিকল্পিতভাবে বিএম কনটেইনার ডিপোতে এই ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় জাতীয়তাবাদী যুবদল ভয়াবহ অগ্নিকান্ডে আহতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।

    তিনি এ সময় আরো বলেন, এই সরকারের আমলে এর আগে আরো অনেক ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটেছে তার একটিও সুষ্ঠু বিচার হয়নি। দেশ আজ অনৈতিক, অবৈধ হায়েনাদের কবলে। ২০০৮ সালে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনের ডাক দিয়েছিলেন। যা আজ দেশবাসী হারে হারে টের পাচ্ছে।

    তিনি আজ ১০ জুন (শুক্রবার) বিকাল ৩ টায় সীতাকুন্ডের বিএম ডিপোতে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে অগ্নিকান্ডে আহত রোগীদের জন্য বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের উদ্যোগে খাবার, ফলমূল ও প্রয়োজনীয় ঔষুধ সামগ্রী হস্তান্তর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    সুলতান সালাহ উদ্দিন টুকু আরো বলেন, সরকারের সমালোচনা করলেই নেমে আসে গুম, খুন, গায়েবী মামলার বেড়াজাল। দেশ নায়ক তারেক রহমানের নির্দেশনায় আন্দোলনের মাধ্যমে এই অবৈধ সরকারকে হটাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ যুবদল। তিনি এই সময় জাতীয়তাবাদী যুবদলের জিয়ার সৈনিকদের আগামী আন্দোলন সংগ্রামের প্রস্তুতি নেয়ার আহবান জানান।

    প্রধান বক্তার বক্তব্যে চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহবায়ক ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, বিএম ডিপোর মালিক দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের নেতা তাই মামলার আসামী করা হয়েছে দুর্ঘটনায় আহত নিরীহ কর্মচারীদের। তিনি এই অগ্নিকান্ডের প্রকৃত রহস্য উদঘাটন করার জন্য বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের আহবান জানান।

    ডা: শাহাদাত আরো বলেন, এই ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর থেকেই চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, মহিলা দল, ছাত্রদল, ড্যাব, জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশন আহত রোগীদের পাশে রয়েছে।

    বিশেষ বক্তার বক্তব্যে কেন্দ্রীয় যুবদল সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মোনায়েম মুন্না বলেন, বর্তমান সরকারের উদাসীনতায় বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকান্ডের অন্যতম কারণ। দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের কোষাধ্যক্ষের মালিকানাধীন এই বিএম ডিপো। অথচ মামলার আসামী করা হয়নি তাকে, ক্ষমতা চিরস্থায়ী করতে ব্যস্ত এই হায়েনার দল। তিনি আহতদের যথাযথ সুচিকিৎসা এবং নিহতদের পরিবারবর্গকে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দেয়ার জোর দাবী জানান। চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সভাপতি মোশাররফ হোসেন দীপ্তির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ শাহেদের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম মিল্টন, সহসভাপতি কামরুজ্জামান দুলাল (দপ্তরের দায়িত্বে), সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ শাহজাহান, উত্তর জেলা সভাপতি হাসান জসিম, মোহাম্মদ আজগর, এস এম মুরাদ চৌধুরী।

    চমেক হাসপাতালে খাদ্য সামগ্রী ও ঔষুধ হস্তান্তরের পূর্বে দুপুর ২ টায় বিএম কন্টেইনার ডিপো পরিদর্শন করেন কেন্দ্রীয় যুবদল নেতৃবৃন্দ এবং দুর্ঘটনার পর থেকে নিখোঁজ বিএম ডিপোর ড্রাইভার মনিরুল ইসলামের অসহায় পরিবারের সাথে সাক্ষাত করে দেশনায়ক তারেক রহমানের পক্ষ থেকে আর্থিক সহযোগিতা প্রদান করেন যুবদল নেতৃবৃন্দ।