Tag: যুবলীগ

  • চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু গ্রেফতার

    চট্টগ্রামে যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবু গ্রেফতার

    আত্মগোপনে থাকা চট্টগ্রাম নগর যুবলীগের সহ-সভাপতি দেবাশীষ পাল দেবুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে নগরীর বন্দর থানাধীন মাইলের মাথা এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    গ্রেফতার দেবাশীষ পাল দেবু চট্টগ্রামের বন্দর এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্র বিজয় পালের ছেলে এবং সুচিন্তা বাংলাদেশ ফাউন্ডেশনের বিভাগীয় সদস্য।

    জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর থেকেই আত্মগোপনে ছিলেন দেবাশীষ পাল দেবু। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলাও রয়েছে।

    গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী মুহাম্মদ সুলতান আহসান বলেন, যুবলীগ নেতা দেবাশীষ পাল দেবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ বিষয়ে আমরা পরে বিস্তারিত জানাবো।

  • মিরসরাইয়ে চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ কর্মীকে বেদম পেটালো উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক

    মিরসরাইয়ে চাঁদা না পেয়ে যুবলীগ কর্মীকে বেদম পেটালো উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক

    নিজস্ব প্রতিনিধি:::মিরসরাইয়ের এক যুবলীগ কর্মীকে চাঁদার দাবিতে বেদম মারধর করেছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানার নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা।

    আহত যুবলীগ কর্মীর নাম মাসুদ রানা (৩২)। তিনি ১৩ নং মায়ানী ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড যুবলীগের সদস্য ও মৃত বীর মুক্তিযোদ্ধা আমীর হোসেন বুলুর ছেলে।

    মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬ টায় উপজেলার খৈয়াছড়া ইউনিয়ন বড়তাকিয়া বাজারে যুবলীগকর্মী মাসুদ রানার ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠানে হামলার ঘটনাটি ঘটে। ঘটনায় আহত মাসুদ রানাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে।

    আহত মাসুদ রানার মা লুৎফর নাহার অভিযোগ করে বলেন, আমার স্বামী একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা । আমরা মুক্তিযোদ্ধা পরিবার। আমার ছেলে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান। সে যুবলীগের রাজনীতি করে। ইকোনমিক জোনে জমি নিয়ে সরকার কয়েক কোটি টাকা দিয়েছে। সেগুলো দিয়ে ছেলে মেয়েরা ব্যাবসায় শুরু করেছে‌। বড়তাকিয়া বাজারে ছেলে মাসুদ রানা কাঠের ও ফার্নিসারের দোকান দিয়েছে। বাজারে আমাদের মার্কেট আছে সেগুলোর ভাড়া তোলার দায়িত্ব রানার উপর। গত কয়েকদিন ধরে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা। প্রায় সময় হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে ছেলেকে। আজকে সন্ধ্যায় আবারো মিরসরাই উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানা ও ১২ নং খৈয়াছড়া ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি নাহিদুল হাসান লাবিব সহ ৮ থেকে ১০ জন চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দিতে অস্বীকার করলে অন্যান্যদের সামনে মাসুদ করিম রানা ও নাহিদুল ইসলাম লাবিব ছেলের দোকান থেকে গাছ নিয়ে এলোপাথাড়ি মারধর করে। এসময় স্থানীয় দুই যুবক ইমাম ও ইসলাম আমার ছেলেকে উদ্ধার করতে আসলে তাদেরকেও ধাওয়া করে।

    তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মিরসরাই পৌর যুবলীগের এক নেতা জানান, আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী গিয়াস উদ্দিনের পক্ষে কাজ করেন আহত মাসুদ রানা। অপর পক্ষে হামলাকারীরা আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মাহবুবুর রহমানের অনুসারী। হামলা ও চাঁদা দাবির পেছনে মুল কারন বলেও জানান এই নেতা।

    হামলার বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত উপজেলা ছাত্রলীগের আহবায়ক মাসুদ করিম রানার সাথে যোগাযোগ করতে বার বার ফোন করা হলে তিনি সাংবাদিকদের ফোনের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেন।

    হামলার খবর পাওয়া মাত্র মিরসরাই থানা পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আহতের পরিবারের বক্তব্য গ্রহণ করেছেন। তিনি জানান, ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে মারামারির ঘটনা ঘটেছে বলে জেনেছি, রাজনৈতিক বা নির্বাচন কেন্দ্রিক নয়। থানায় এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ দায়ের করেননি। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

  • চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে রাশেদুল-শাহজাহান

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের নেতৃত্বে রাশেদুল-শাহজাহান

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা যুবলীগের ৩২ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি) যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোঃ মাইনুল হোসেন খান নিখিল স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আগামী তিন বছরের জন্য এই কমিটি ঘোষণা করা হয়।

    যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে।

    উক্ত কমিটিতে এস এম রাশেদুল আলমকে সভাপতি ও মোঃ শাহজাহানকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে।

    কমিটিতে স্থান পাওয়া অন্যান্যরা- সহ-সভাপতি: সামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, মোঃ নুরুল মোস্তফা মানিক, অ্যাড. দীপক কান্তি দত্ত, রাজিবুল আহসান সুমন, মোঃ মিজানুর রহমান, মোঃ শহিদুল আলম, নাছির হায়দার করিম বাবলু, আশেক ই ইলাইহী সোহেল, মোঃ মোশারফ হোসেন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মঞ্জুর আলম, মোঃ এরশাদ হোসেন, আব্দুল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক: আবুল বসর, মোঃ ফোরকান, এম এ খালেদ চৌধুরী, মোঃ আবু তৈয়ব, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মোঃ গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী, অর্থ সম্পাদক ইঞ্জি. মোঃ শাহজাহান, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক জয়নাল আবেদীন, আইন বিষয়ক সম্পাদক বিমল চন্দ্র নাথ, ত্রাণ সম্পাদক মোঃ সাহেদ সরওয়ার, সমাজকল্যাণ সম্পাদক মোঃ রাশেদ খান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ ওসমান চৌধুরী, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক এস এম আল নোমান, ক্রীড়া সম্পাদক মোশারফ হোসেন মান্না, পরিবেশ সম্পাদক ইঞ্জি. মোঃ হাছান মুরাদ, শিল্প ও বাণিজ্য সম্পাদক মোঃ আবু সৈয়দ, সদস্য: অ্যাড. এস এম অহিদুল্লা, মোঃ ফজলে কাদের, বাবলু।

  • মিরসরাইয়ের যুবলীগ নেতা ডিএমপির ডিবির হাতে গ্রেফতার

    মিরসরাইয়ের যুবলীগ নেতা ডিএমপির ডিবির হাতে গ্রেফতার

    মিরসরাই (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি::মিরসরাই উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি আশরাফুল কালাম মিঠু (৩৮) কে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপি ডিবির সাইবার ইউনিট। কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নিয়াজ মোরশেদ এলিটের করা একটি সাইবার মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানা গেছে। মঙ্গলবার (২৮ ডিসেম্বর) রাত আড়াইটার দিকে তার নিজ বাড়ি থেকে আটক করা হয়।

    মামলার বিবরণে জানা যায়, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের বিরুদ্ধে ফেসবুকে অপপ্রচার চালায় এই যুবলীগ নেতা। অপপ্রচারের বিরুদ্ধে ডিএমপির সাইবার ইউনিটে তেজগাঁও থানায় মামলা নং ৩৭(১০)২২ ধারা ২৩/২৬/৩০/৩৫ ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ দায়ের করা হয়।

    এছাড়া গত ১৯ নভেম্বর কেন্দ্রীয় যুবলীগ নেতা নিয়াজ মোর্শেদ এলিটের গ্রামের বাড়িতে তার যুবলীগ নেতা মিঠু ও তার সন্ত্রাসী বাহীনি বোমা হামলা করে ও ফাকা গুলি চালায়।

    এ বিষয়ে কামাল উদ্দীন নামে এলিটের এক কর্মী বাদি হয়ে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ডিএমপির বনানী থানায় একটি জিডি করেন।

    ডিবির একটি দল মিঠু কে আটক করে সাইবার আইনে গ্রেফতার দেখিয়েছে।

    মামলায় মিঠু ছাড়াও আরো ১৩ জনকে আসামী করা হয়েছে এরা হলেন আবুল হাসনাত ওরফে হাবিব খান (৩২), আশরাফুল কালাম মিঠু (৩৬), শামিম হাসান রেহান (২৮), আরাফাতুল ইসলাম (২৮), পুলিশের সোর্স কামরুল হাসান (২৮) প্রকাশ ভুয়া সাংবাদিক, ওমর ফারুক (৩০), প্রিন্স হাবিব (২৮), মো. হাসান রনি (২৮), ইমরান হোসেন তুহিন (২৭), আশ্রাফ উদ্দিন চৌধুরী (২৮), আর এন এম মোজাহিদ হোসাইন (২৯), একরামুল হক সোহেল ( ২৭), মো. ইবরাহিম নিশান (২৯) ।

    নিয়াজ মোর্শেদ এলিট জানান, রাজনৈতিক ও সামাজিক অবস্থানে ঈর্ষান্বিত হয়ে একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে এ অপপ্রচার চালাচ্ছে এবং সামাজিক কর্মকান্ডে সন্ত্রাসী কায়দায় বাধা সৃষ্টি করছে। তারা চায়না মিরসরাইতে আওয়ামীলীগের নতুন নেতৃত্ব তৈরি হোক।

  • জেলা যুবলীগের জহুরকে শুভেচ্ছা জানালেন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ যুবলীগ

    জেলা যুবলীগের জহুরকে শুভেচ্ছা জানালেন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ যুবলীগ

    বোয়ালখালী প্রতিনিধি: চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের নব নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক বোয়ালখালী পৌরসভার মেয়র জহুরুল ইসলাম জহুরকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগ।

    গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) উপজেলা সদরের দলীয় কার্যালয়ে শ্রীপুর-খরণদ্বীপ ইউনিয়ন যুবলীগের আহ্বায়ক মো. শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে এ শুভেচ্ছা জানান সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

    এ সময় জহুরুল ইসলাম জহুর যুবলীগ নেতৃবৃন্দকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে দেশ ও মানুষের কল্যাণে কাজ করার জন্য বলেন।

  • বিএনপির উদ্দেশ্য হাসিল করতে দিবে না যুবলীগ : যুবলীগ চেয়ারম্যান

    বিএনপির উদ্দেশ্য হাসিল করতে দিবে না যুবলীগ : যুবলীগ চেয়ারম্যান

    যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেছেন, ভয়ভীতি দেখিয়ে ও বোমাবাজি করে দেশ চালোনো যায় না। বিএনপির উদ্দেশ্য হাসিল করতে দিবে না বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মীরা। তাই আমি আমাদের নেতাদের নির্দেশ দিচ্ছি আপনারা রাজপথে থাকবেন। আপনাদের সাথে নিয়েই এই সন্ত্রাসীদের আমরা শায়েস্তা করবো।’

    তিনি বলেন, ‘বিএনপির কোনো নেতার রাষ্ট্র পরিচালনা করার কোনো যোগ্যতা নাই। না আছে খালেদা জিয়ার, না আছে তার গুণধর পুত্র তারেকের। দক্ষতা নাই বলে আজ তারা এ দেশকে ধ্বংস করার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এদেশে নৈরাজ্য সৃষ্টি করে, ভয়ভীতি দেখিয়ে, হয়তো তাদের বিদেশি প্রভুদের দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাবে। কিন্তু কোনো বিদেশি প্রভুদের নির্দেশনায় বা হস্তক্ষেপে বাংলাদেশে নির্বাচন হবে না। সরকারও পরিবর্তন হবে না।’

    আজ চট্টগ্রাম নগরের কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ।

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। আগামী ৪ ডিসেম্বরের মহাসমাবেশকে মহা জনসমুদ্রে পরিণত করে সফল করার জন্য যুবলীগকে দিক নির্দেশনা দেওয়া হয় সভায়।

    যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ বলেন, প্রধানমন্ত্রী আজ অতুলনীয় জনপ্রিয়তা অর্জন করেছেন। এমন কোনো ক্ষেত্র নাই, এমন কোনো গোত্রের মানুষ নাই যেখানে তাঁর সেবার সুফল পৌঁছায়নি। আজকে পদ্মা সেতুর পর চট্টগ্রামবাসীর স্বপ্নের বঙ্গবন্ধু টানেল দৃশ্যমান এবং চালু হওয়ার জন্য অপেক্ষমান। এই টানেল দেশের অর্থনীতিতে বড় প্রভাব ফেলবে। দেশের জিডিপিতে প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সাহায্য করবে। টানেল নির্মাণ শেষ হলে চট্টগ্রাম শহর চীনের সাংহাই শহরের আদলে ‘ওয়ান সিটি টু টাউন’ এর মডেলে গড়ে তোলা হবে।

    প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, মীর মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, আদিত্য নন্দী প্রমুখ।

  • জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি : হানিফ

    জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে বিএনপি : হানিফ

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন বিএনপির অনেক নেতাকর্মী জোশে হুঁশ হারিয়ে ফেলেছে। আমি শুধু একটা কথাই বলবো জোশে পড়ে হুঁশ হারায়েন না, বেহুঁশ হইয়েন না।

    তিনি বলেন, ‘রফিকুল ইসলাম মাদানীকে দেখছেন না, ওর হুঁশ ফিরে আসার পর তো পা জড়ায় ধরছে সকলের। আর আপনাদের হুঁশ ফিরে আসলে হয়তো ওর মতো পা জড়ায় ধরতে পারেন।’

    মঙ্গলবার চট্টগ্রাম নগরীর কাজীর দেউড়ির ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন। আগামী ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামের পলোগ্রাউন্ড মাঠে প্রধানমন্ত্রীর জনসভা সফল করতে বিভাগীয় সমাবেশের আয়োজন করে যুবলীগ।

    প্রধানমন্ত্রীর জনসভা নিয়ে চট্টগ্রামসহ ১১ জেলার যুবলীগের প্রস্তুতি সভায় যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস্ পরশ।

    মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, ৪ ডিসেম্বর চট্টগ্রামে আমাদের জনসভা হবে, আমাদের নেত্রী আসবেন। ওই দিনটি হবে চট্টগ্রামবাসীর আনন্দের দিন। ইতিমধ্যে চট্টগ্রাম শহরের রাস্তায় রাস্তায় বর্ণিল সাজে সেজেছে। প্রধানমন্ত্রী যেদিন আসবেন সেদিন চট্টগ্রামে জনসমুদ্র হবে।

    বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর মিথ্যাচার করেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মির্জা ফখরুল চমৎকারভাবে যেভাবে মিথ্যাকে বর্ণনা করেন তাতে তার জুড়ি মেলা ভার। বিএনপির সেই আগের কথার জোর কিন্তু নেই। এখন সুরটা কিছু নরম হয়ে গেছে। মিউ মিউ শব্দ এসেছে এখন তাদের। এর একটাই কারণ আওয়ামী যুবলীগের সেই ১১ তারিখের জনসভা। যুবলীগের এক সমাবেশ দেখে বিএনপির অনেকের হুঁশ ফিরে এসেছে। তবে বিএনপির মিথ্যা বলার জুড়ি নাই। মিথ্যাচার করে জাতিকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বিএনপি।’

    প্রস্তুতি সভায় আরও বক্তব্য রাখেন আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য মঞ্জুর আলম শাহীন, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন, এম শাহাদাত হোসেন তসলিম, আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নাঈম, মুহাম্মদ বদিউল আলম, সাংগঠনিক সম্পাদক আবু মনির মো. শহিদুল হক রাসেল, মো. সাইফুর রহমান সোহাগ, মশিউর রহমান চপল, মীর মোহাম্মদ মহি উদ্দিন, মো. আব্দুল হাই, আদিত্য নন্দী প্রমুখ।

  • দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল, সম্পাদক জহুরুল

    দক্ষিণ জেলা যুবলীগের সভাপতি দিদারুল, সম্পাদক জহুরুল

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা যুবলীগের কমিটিতে মো. দিদারুল ইসলাম চৌধুরীকে সভাপতি এবং জহুরুল ইসলাম জহুরকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। আগামী তিন বছরের জন্য তাদের কাধে থাকবে দলটির ভালো মন্দ।

    আজ বুধবার বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হােসেন খান নিখিলের যৌথ স্বাক্ষরে ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটির মধ্য থেকে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি ঘোষণা করা হয়।
    উক্ত কমিটির শূন্য পদগুলো আগামী ৬০ কর্মদিবসের মাধ্যমে পূরণ করে কেন্দ্র বরাবর জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়।

    কমিটির অন্যরা হলেন- সহ-সভাপতি – মো. ফারুক, পার্থ সারথি চৌধুরী, মো. মুর্তজা কামাল চৌধুরী, তৌহিদুল আলম,সাইফুল ইসলাম, সহিদুল ইসলাম, আকতার হোসাইন, নাসির উদ্দীন, অ্যাডঃ শাহাদাত কবির বাহাদুর, মো. মঈনুদ্দিন চৌধুরী,

    যুগ্ম সম্পাদক পদে রয়েছেন – মো. নাছির উদ্দীন মিন্টু, সফিউল আজম,

    সাংগঠনিক সম্পাদক পদে রাখা হয়েছে – মো. মুরিদুল আলম মুরাদ, মু. বেলাল হোসেন মিন্টু, মো. আবিদ হোসেন, মো. নুরুল আমিন, এ এন এম ফরহাদুল আলম।

    প্রচার সম্পাদক পদে রয়েছেন – মো. সাইফুল ইসলাম টিটু, দপ্তর সম্পাদক রাজু দাস হিরো, গ্রস্হনা প্রকাশনা সম্পাদক আবু হায়দার মো. ওসমান গণি রাসেল, অর্থ সম্পাদক মো. হাবীবুল হক চৌধুরী, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক মো. জামিল উদ্দিন, ত্রাণ সম্পাদক মো. মহিউদ্দিন মুরাদ, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম , বিজ্ঞান ও তথ্য প্রযুক্তি সম্পাদক জাহিদুল হক চৌধুরী মার্শাল, স্বাস্হ ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম চৌ. কায়সার, জনশক্তি ও কর্মসংস্তান বিষয়ক সম্পাদক ইন্জি: আলম রুদ্র, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মাহবুবুর রহমান, সহ – সম্পাদক কুতুবউদ্দিন শাহ ইমন, সহ- সম্পাদক আরমান হেলালী, সদস্য আবু নাঈম মো.মিনহাজ উদ্দিন, আবদুল হান্নান লিটন, এবং মো. মহিউদ্দিন।

    উল্লেখ্য, গত ২৮ মে চট্টগ্রাম দক্ষিণ যুবলীগের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। তিন বছরের জন্য এই কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • যুবলীগের ওয়েব সাইট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    যুবলীগের ওয়েব সাইট উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী

    বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুবলীগের ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস উদ্বোধন করেছেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী যুবলীগে তথ্য প্রযুক্তির সংযোজন দেখে প্রশংসা করেন। তিনি পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও সকল অঙ্গ সংগঠনের জন্য অ্যাপস তৈরির নির্দেশ দেন।

    শুক্রবার (১১ নভেম্বর) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে যুবলীগের সমাবেশে ওয়েবসাইট ও এ্যাপ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে মঞ্চে ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সম্পর্কে অবহিত করেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক শামসুল আলম খান অনিক, উপ তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক এন আই আহমেদ সৈকত, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য নিয়াজ মোর্শেদ এলিট।

    উদ্বোধনের সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মঞ্চে বলেন, ‘বর্তমান সরকারের আমলে সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ইন্টারনেট ব্যবহারের মাধ্যমে সারা পৃথিবীর সাথে যুক্ত রয়েছে। গ্রাম থেকে বসে পৃথিবীর যে কোন স্থানে যোগাযোগ করতে পারছে। এটা সম্ভব হয়েছে সজিব ওয়াজেদ জয়ের প্রচেষ্টা ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ১৪ বছর ক্ষমতায় থাকার কারনে। আজ যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান এর নেতৃত্বে যুবলীগের অনিক, এলিট এবং সৈকত যুবলীগকে তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে বিশ্বের সাথে সংযুক্ত করেছে। আমি এ উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দিচ্ছি।’

    অ্যাপস ও ওয়েবসাইট প্রসঙ্গে নির্মাণ প্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত নিয়াজ মোর্শেদ এলিট বলেন, ‘প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুবলীগের কেন্দ্রীয় ওয়েবসাইট ও মোবাইল অ্যাপস সংগঠনের সারাদেশের কর্মকাণ্ড, সংগঠনের জনশক্তি, তৃনমুলের সাথে কেন্দ্রের যোগাযোগ, কর্মীদের তথ্য সংরক্ষণ করা হবে। এছাড়া কেন্দ্রীয় সভাপতি সাধারণ সম্পাদক এর ভিডিও অডিও বার্তা, নোটিশ, কেন্দ্রীয় কর্মসূচি এবং সারাদেশের সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড আপলোড করতে পারবে। সারাদেশের নিবন্ধিত সদস্যদের ডাটা থাকবে। যে কোন কর্মী উপজেলা, জেলা শাখার অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতা বা গঠনতন্ত্র বিরোধী কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে কেন্দ্রে অভিযোগ দিতে পারবেন। শুধুমাত্র অভিযোগ বক্স সভাপতি নিজে তদারকি করবেন।’

    একই প্রসঙ্গে যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেছেন, ‘বিএনপির সময় বাংলাদেশকে বলা হতো ‘ব্রিডিং গ্রাউন্ড অব টেরোরিজম’। সেখান থেকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশকে এখন বলা হচ্ছে ‘নেক্সট এশিয়ান টাইগার’। উন্নয়নের পুরোটাই নেতৃত্বের দূরদর্শিতার ওপর নির্ভর করে। শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এখন বিশ্ব নেতাদের চোখে উন্নয়নের মডেল।’

    ২৪ঘণ্টা/এসএ

  • দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করুন : যুবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

    দেশকে এগিয়ে নিতে কাজ করুন : যুবকদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী

    প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা দেশপ্রেম এবং দেশ ও জনগণের প্রতি কর্তব্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তরুণদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি যুবসমাজের প্রতি আহ্বান জানাই যে, দেশকে উন্নয়ন ও সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া তাদের কর্তব্য। আওয়ামী লীগ সরকারের ব্যাপক উন্নয়নের ফলে দেশের মানুষ এখন নতুন করে একটি সুন্দর ও মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপনের আশা দেখছে। এই প্রচেষ্টাকে আরও এগিয়ে নিতে, যুবকরা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে। কেননা তারাই দেশ গড়তে পারে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বিকেলে যুব লীগের ৫০তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী যুব লীগ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

    তিনি জাতির পিতার ভাষণের সেই অমোঘ মন্ত্র ‘বাঙালিকে কেউ দাবায়ে রাখতে পারবানা’ স্মরণ করিয়ে দিয়ে বলেন, জাতির পিতা এই ময়দানেই (৭ মার্চের ভাষণে) একথা বলেছিলেন। আমিও বিশ্বাস করি ‘বাঙালিকে কেউ দাবিয়ে রাখতে পারবেনা।’ এরা (বিএনপি) যত কথাই বলুক আমরা এগিয়ে যাচ্ছি এগিয়ে যাব এবং বাংলাদেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ হিসেবেই গড়ে তুলবো।

    সারাদেশে আইটি পার্ক, হাইটেক পার্ক, সফটওয়্যার টেকনোলজি পার্ক, ইনকিউবেশন সেন্টার গড়ে তুলে তাঁর সরকার যুব সমাজকে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তুলছে যেটা আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় না থাকলে সম্ভব ছিলনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

    তিনি বলেন, ঐ এইট পাশ দিয়ে আর মেট্রিক ফেল দিয়ে দেশ চালালে দেশের উন্নতি হয়না।

    তিনি বলেন, আজকে তরুণ সমাজকে বলবো তাদের দায়িত্বই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া। যুব লীগের প্রতিষ্ঠা হয়েছিল যুদ্ধ বিধ্বস্থ দেশ গড়ে তোলার জন্য।

    তিনি বলেন, বিদেশী সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একদা জাতির পিতা যুধ্ববিধ্বস্থ দেশ পুনর্গঠনকালে বলেছিলেন যে, তাঁর কিছু না থাকলেও যে মাটি ও মানুষ রয়েছে তা দিয়েই দেশকে গড়ে তুলবেন এবং আওয়ামী লীগ প্রমাণ করেছে দেশপ্রেম থাকলে এবং দেশের প্রতি কর্তব্যবোধ থাকলে সেটা করা যায়।

    কাজেই একটা আদর্শ নিয়ে জাতির পিতার যে স্বপ্ন, সে স্বপ্ন পূরণে যুবলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীকে কাজ করতে হবে। আর এটা হবে যুবলীগের প্রাতষ্ঠাবার্ষিকীতে সকলের প্রতিজ্ঞা।

    উৎসবমুখর এই আয়োজনে এরই মধ্যে সারাদেশ থেকে লাখ লাখ যুবক মিলিত হয়েছেন। কেউ লাল সবুজ এবং কেউ হলুদ রঙের টিশার্ট ও ক্যাপ পরে সেজে এসেছেন। মিছিলে মিছিলে ঢাকঢোল পিটিয়ে সোওহরাওয়ার্দী উদ্যানে মিলিত হন তারা। সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশস্থল ছাড়িয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি, মল চত্বর, শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, শাহবাগ, মৎস্য ভবন, রমনা ও তার আশপাশের এলাকা নেতাকর্মীদের পদচারণায় মুখর হয়ে ওঠে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দুপুর দুইটা ৪০ মিনিটে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তীর অনুষ্ঠান পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে উদ্বোধন করেন।

    আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা ও সাবেক যুবলীগ চেয়ারম্যান আমির হোসেন আমু, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

    মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ এবং সঞ্চালনা করেন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মইনুল হোসেন খান নিখিল।

    শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস, যুবলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মির্জা আজম ও হারুনুর রশিদ প্রমুখ মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

    সভায় আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতৃবৃন্দ, কেন্দ্রীয়, জেলা ও নগর যুবলীগের নেতা-কর্মী ও বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।

    প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানস্থলে পৌঁছালে যুবলীগের চেয়ারম্যান ও সাধারণ সম্পাদক তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন।

    ১১ নভেম্বর আওয়ামী যুবলীগের প্রতিষ্ঠাবর্ষিকী। ১৯৭২ সালের এই দিনে দেশের প্রথম ও সর্ববৃহৎ এ যুব সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক প্রথিতযশা সাংবাদিক শেখ ফজলুল হক মনি এ সংগঠনটি প্রতিষ্ঠা করেন।

    বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অসাম্প্রদায়িক, গণতান্ত্রিক ও শোষণমুক্ত বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে যুব সমাজকে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্য নিয়ে সংগঠনটি প্রতিষ্ঠিত হয়। গত প্রায় পাঁচ দশক ধরে দীর্ঘ লড়াই-সংগ্রাম ও হাজারো নেতাকর্মীর আত্মত্যাগের মাধ্যমে যুবলীগ আজ দেশের সর্ববৃহৎ যুব সংগঠনে পরিণত হয়েছে।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • যুব মহাসমাবেশের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

    যুব মহাসমাবেশের উদ্বোধন করলেন শেখ হাসিনা

    যুবলীগের ৫০ বছর পূর্তি ও সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আয়োজিত মহাসমাবেশের উদ্বোধন করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

    আজ (শুক্রবার) দুপুর পৌনে ৩টার দিকে বেলুন ও কবুতর উড়িয়ে এ সমাবেশের উদ্বোধন করেন তিনি। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামশ পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল।

    দুপুর আড়াইটায় জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। এ সময় প্রধানমন্ত্রীকে পেইন্টিং উপহার দেন ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা। তারপর যুবলীগের উত্তরীয় পরিয়ে দেন যুবলীগের মহিলা নেত্রীরা।

    পরে সুবর্ণ জয়ন্তী লোগো উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর যুবলীগের ওয়েবসাইট উদ্বোধন করা হয়।

    সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে এ সমাবেশের আয়োজন করা হলেও এর মধ্যে দিয়ে সরকারবিরোধী দলগুলোকেও একটা সতর্কবার্তা দিতে চায় যুবলীগ। এজন্য আজকের সমাবেশে জনউপস্থিতির বিষয়টিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এ সমাবেশে ১০ লাখ নেতাকর্মীর সমাগম করতে চায় বলে জানিয়েছিল যুবলীগ।

    ২৪ঘণ্টা/এনআর

  • সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরে যুবলীগ কর্মী খুন

    সীতাকুণ্ডের মুরাদপুরে যুবলীগ কর্মী খুন

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধিঃ সীতাকুণ্ডে সন্ত্রাসী হামলায় মমিনুল হক মামুন (৪৫) নামের এক যুবলীগ কর্মী নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হয়েছে তার ছেলে আলী হোসেন সবুজ (২৬)। বুধবার উপজেলার ৪নং মুরাদপুর ইউনিয়নের ফকিরহাটস্থ বাংলাবাজার এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত মমিনুল হক মুরাদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার মো. আকবরের বড় ভাই ও মৃত ইমাম শরীফের ছেলে।

    সূত্রে জানা যায়, বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে ফকিরহাট গরুর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন মমিনুল হক ও তার ছেলে সবুজ। মাঝ রাস্তায় হঠাৎ তিনটি সিএনজি থেকে নেমে সন্ত্রাসীদের একটি দল ছুরি, কিরিচ দিয়ে মমিনুল হকের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় বাবাকে বাঁচাতে এগিয়ে আসে ছেলে সবুজ। তখন সন্ত্রাসীরা তাকেও ছুরিকাঘাতে মারাত্মক আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (চমেক) নিয়ে যায়। কিন্তু যাওয়ার পথেই পিতা মমিনুল হকের মৃত্যু হয়। হাসপাতালে পৌছাঁলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ছেলে সবুজ মুমূর্ষ অবস্থায় বর্তমানে চমেকে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

    নিহতের ভাই ইউপি মেম্বার আকবর হোসেন বলেন, সন্ত্রাসীরা তিনটি সিএনজি করে এসে অতর্কিত হামলা চালিয়ে পৌর সদরের দিকে পালিয়ে যায়। আমার ভাই যুবলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত ও পেশায় একজন কৃষক। তার সাথে কারো শত্রুতা থাকার কথা না। এটা পরিকল্পিত নাশকতা।

    এব্যাপারে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি আবুল কালাম আজাদ বলেন, আমরা ঘটনাস্থলে রয়েছি। ঘটনার কারণ নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছেনা। ঘটনার তদন্ত চলছে।