Tag: যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

  • বিদ্যুৎ দেয়ার নামে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    বিদ্যুৎ দেয়ার নামে ৬০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    অ আ আবীর আকাশ,লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি :  লক্ষ্মীপুরে বিদ্যুৎ দেয়ার কথা বলে প্রতারণার মাধ্যমে সাধারণ গ্রাহক থেকে ৬০ লাখ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগে সদর পূর্ব থানাধীন কুশাখালী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী (৩২) কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়। এর আগে দুপুর ১২ টার দিকে নিজ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। প্রতারণার সাথে মোঃ সোহেল (২০), আক্তার হোসেন (৪৫) মোঃ মিলন (২২) ও মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান (৫৫) নামে আরো ৪ জন জড়িত আছে।

    অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, কামাল উদ্দিন দীর্ঘদিন থেকে ঝাউডগী ও নূরখাঁ গ্রাম এলাকায় প্রভাব বিস্তার করে আসছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দ্যোগে ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌছে দেওয়ার ঝাউডগী ও নূরখাঁ এলাকায় বিদুতায়নের কাজ শুরু হয়। গ্রেফতারকৃত আসামী মোঃ কামাল উদ্দিন পাটোয়ারী এলাকায় ঘোষনা দেয় যে, তার ব্যাক্তিগত উদ্দ্যোগে ঝাউডগী ও নূরখাঁ এলাকায় বিদ্যুতায়নের কাজ শুরু হয়েছে।

    সে জন্য লক্ষ্মীপুর বিদ্যুৎ অফিস খরচ, পিলার আনার লেবার খরচ, যাতায়াত খরচ এবং বিভিন্ন টুকিটাকি বাবদ তাকে প্রায় ২০,০০০ (বিশ লক্ষ) টাকা খরচ করতে হয়েছে, যা মিটার প্রতি খরচ ৬,২০০ টাকা। সে লক্ষে বিদ্যুতের প্রতি মিটারের জন্য ৬,৫০০ টাকা তার নিকট জমা দিয়ে তার মাধ্যমে মিটারের জন্য আবেদন করতে হবে বলে জানায়। এরপর থেকে সে নিজে এবং তার সহযোগীদের মাধ্যমে ওইসব এলাকার প্রায় ১৮শ পরিবার থেকে মিটার প্রতি তিন হাজার টাকা থেকে সাড়ে ছয় হাজার টাকা পর্যন্ত আদায় করে।

    বাকি টাকা দিতে কেউ বিলম্ব করলে কিংবা দিতে অস্বীকার করলে গ্রাহকদের মারধর সহ বিভিন্ন অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ ও বিভিন্ন হুমকি ধামকি দেয়। এবং বাকি টাকার জন্য চাপ প্রয়োগ করে। ওইসব পরিবার থেকে প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করে।

    র‌্যাব-১১, সিপিসি-৩, লক্ষ্মীপুর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানী কমান্ডার মোঃ আবু ছালেহ জানান, গ্রেফতারকৃত আসামী ও পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানায় আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সীতাকুণ্ডে মডেল মসজিদের ফলক ভাংচুরের মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ডে মডেল মসজিদের ফলক ভাংচুরের মামলায় যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি : সীতাকুণ্ডের স্থানীয় সাংসদ দিদারুল আলমের উদ্বোধনীয় মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্রের ফলক ভাংচুরের ঘটনায় উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি একরামুল হক টিটুকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    এমপি দিদারের পক্ষে আলমগীর নামে এক যুবক বাদী হয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় গত ২৫ জুন মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় বৃহস্পতিবার রাত ২টায় পুলিশ টিটুকে বাড়ী থেকে গ্রেফতার করে।

    এব্যাপারে সাংসদ দিদারুল আলম বলেন, ২৩ জুন মঙ্গলবার উপজেলার মুরাদপুর ইউনিয়নের ফকিরহাট এলাকায় সাদেক মস্তান (রাঃ) উচ্চ বিদ্যালয়ের বিপরীত পাশে দৃষ্টিনন্দন মডেল মসজিদ ও ইসলামী সাংস্কৃতিক কেন্দ্র নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করি। কিন্তু উদ্বোধনের দু’দিন পর দুষ্কৃতিকারীরা সরকারের ভাবমুর্তি ক্ষুণ্ন করতে রাতের আঁধারে উদ্বোধন ফলক ভেঙ্গে গুড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় আমার পক্ষের লোক বাদী হয়ে মামলা দায়ের করে। ভাংচুরে সম্পৃক্ততার অভিযোগে টিটু নামে
    একজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    মুরাদপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা জাহেদ হোসেন বাবু বলেন, টিটু ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ও ইউপি সদস্য। তাকে মসজিদের উদ্ধোধনের ফলক ভাংচুরের মামলায় গ্রেফতার করা হয়েছে বলে শুনেছি।

    উপজেলা ছাত্রলীগের ১ম যুগ্ম আহবায়ক শিহাব উদ্দিন বলেন, আমরা একজনকে গ্রেফতার করাই প্রশাসনকে ধন্যবাদ জানাই, পাশাপাশি জোর দাবী জানাই এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকি আসামিদের গ্রেফতারসহ এই ন্যাক্কারজনক ঘটনায় নির্দেশ দাতাদের খুজে বের করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির। যাতে কেউ আর মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ও সীতাকুন্ডের মাননীয় সংসদ দিদারুল আলম এর সীতাকুণ্ডে চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড কে বাধাগ্রস্থ করতে না পারে।

    সীতাকুণ্ড মডেল থানার এসআই মো: মামুন গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত বলেন, ফলক ভাংচুরের মামলার তদন্তে টিটু’র নামে আসে। তাই তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর/দুলু

     

  • চকরিয়ায় বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধরের মূলহোতা যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    চকরিয়ায় বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধরের মূলহোতা যুবলীগ নেতা গ্রেফতার

    কক্সবাজারের চকরিয়ায় এক বৃদ্ধকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার মূলহোতা যুবলীগ নেতা আনছুর আলমকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

    বুধবার (১০ জুন) দুপুরে মহেশখালী উপজেলার শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

    চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাবিবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

    গ্রেফতার আনছুর আলম চকরিয়া উপজেলার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুড়িটিক্কা পাড়ার মৃত মনির উল্লাহ’র ছেলে। সে ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি ছিলেন।

    তার বিরুদ্ধে এলাকায় ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও জবরদখলসহ নানা অভিযোগে চকরিয়া থানায় ১২টির বেশি মামলা রয়েছে।

    তবে ঘটনার পরপরই আনছুর আলমকে যুবলীগ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে।

    নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ নুরুল আলম (৭২) ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের বাসিন্দা।

    এর আগে গত ৩ জুন চকরিয়ার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঘটনায় জড়িত সন্দেহে মোহাম্মদ বেলাল, কায়ছার উদ্দিন ও মোহাম্মদ ফারুক নামে আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করে পুলিশ।

    গত ২৪ মে ঢেমুশিয়া স্টেশন থেকে ঈদের কেনাকাটা শেষে ইজিবাইক (টমটম) যোগে বাড়ি ফিরছিলেন বৃদ্ধ নুরুল আলম। পথে তাকে থামিয়ে নির্জন স্থানে নিয়ে নুরুল আলমকে (৭২) বিবস্ত্র করে মারধর করে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি আনছুর আলম। মারধরের সময় বৃদ্ধের পরনের লুঙ্গি ও গেঞ্জি টেনে হিঁচড়ে ছিঁড়ে ফেলার পাশাপাশি অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা কয়েকজন যুবক মারধরের দৃশ্যটি মোবাইল ফোনে ধারণ করে। ঘটনাটি আশপাশে থাকা বেশকিছু যুবক প্রত্যক্ষ করলেও কেউ নুরুল আলমকে রক্ষায় এগিয়ে আসেনি।

    তবে এ ঘটনার ভিডিও চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হওয়ার পর নানা মহলে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

    ঘটনার পর গত ৩১ মে রাতে নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধের ছেলে আশরাফ হোসাইন বাদী হয়ে যুবলীগ নেতা আনছুর আলমসহ ৮ জনকে আসামি করে চকরিয়া থানায় এজাহার দায়ের করেন।

    ওসি হাবিবুর বলেন, বুধবার দুপুরে মহেশখালীর শাপলাপুর ইউনিয়নের সাইটমারা এলাকায় একটি বাড়িতে আনছুর আলম আত্মগোপনে রয়েছে। এমন খবর পাওয়ার পর চকরিয়া থানা পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। এসময় ঘটনাস্থলে পৌঁছলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে পুলিশ গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়।

    আনছুর আলম চকরিয়ার ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের ছয়কুটিক্কা পাড়ার বৃদ্ধ নুরুল আলমকে বিবস্ত্র করে মারধর করার ঘটনার মূলহোতা। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় সে এহাজারভূক্ত ২ নম্বর আসামি। বৃদ্ধ নুরুলের ছেলে থানায় এজাহার দায়ের করেন। এতে ৮ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৪/৫ জনকে আসামি করা হয়েছে বলেও জানান পুলিশের এ কর্মকর্তা।

    পরে ঘটনাটি তদন্তের পর গত ৩ জুন মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এর আগে আরো ৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া মামলার এজাহারভুক্ত আসামিদের পাশাপাশি ভিডিও চিত্রটি দেখে ঘটনায় জড়িত অন্যদেরও গ্রেফতারে পুলিশ অভিযান চালাচ্ছে বলেন ওসি।

    ওসি আরো জানান, আনছুর আলম একজন চিহ্নিত ডাকাত ও সন্ত্রাসী। ডাকাতি, চাঁদাবাজী ও জবরদখলসহ নানা অভিযোগে তার বিরুদ্ধে ১২টি মামলা রয়েছে।

    এদিকে ঘটনার মূলহোতা ওয়ার্ড যুবলীগ নেতা আনছুর আলম একজন সুযোগ সন্ধানী এবং সংগঠনে অনুপ্রবেশকারী বলে উল্লেখ করেন চকরিয়া উপজেলা যুবলীগ সভাপতি কাউছার উদ্দিন কছির। বলেন, আনছুরের বিরুদ্ধে সম্প্রতি চাঁদাবাজী ও ডাকাতিসহ নানা অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ উঠেছে। সংগঠনের দায়িত্বশীলরা তার অপকর্ম সম্পর্কে আগে অবহিত ছিল না।

    ঘটনাটি শোনার পরপরই আনছুরকে প্রাথমিক সদস্য পদসহ সংগঠন থেকে স্থায়ীভাবে বহিস্কার করা হয়েছে বলে জানান উপজেলা যুবলীগের এ নেতা।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর