বিপিএলের চলতি আসরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছিল ঢাকা প্লাটুন। বাকি ৩ ম্যাচে একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হতো শেষ চার। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬১ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।
এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের সামনে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড় করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে নাইম শেখ এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর ২০ রানে থাকা ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফেরান ফাহিম আশরাফ।
সেখান থেকে একে একে ফজলে মাহমুদ (৩), লুইস গ্রেগরি (৫) এবং আল-আমিন জুনিয়র (২৩) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় দলটির জয়ের আশা। পরে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই কমলো শুধু।
রংপুরকে ৮৪ রানে আটকে দিয়ে ৬১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচ হারের ফলে খালি হাতে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো রংপুর রেঞ্জার্সের।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন লুইস গ্রেগরি। বিজয় করেন ৭ বলে ১১ রান। এর আগে ব্যাট হাতে চমক দেখানো মেহেদী হাসান মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ১ রান করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার তৃতীয় উইকেটটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।
সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরে তাসকিনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। এরপর আসিফ আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পূরণ করতে পারেননি তাসকিন।
জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পেরেরার উইকেট শিকারের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রানার সাথে যৌথভাবে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান। শেষের দিকে ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিও দেখান শাদাব খান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ঢাকা প্লাটুন: ১৪৫/৯ (২০ ওভার)
তামিম ৪০, শাদাব ৩১*, আরিফুল ১৩;
তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবী ২/২১।
রংপুর রেঞ্জার্স: ৮৪/১০ (১৫.৩ ওভার)
আল-আমিন ২৩, ডেলপোর্ট ২০, নবী ১২; মেহদী হাসান ২/১২, মাশরাফি ২/১৮।
ফল: ঢাকা ৬১ রানে জয়ী।