Tag: রংপুর রেঞ্জার্স

  • ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    ঢাকার বোলিং তোপে রংপুরের বিদায়

    বিপিএলের চলতি আসরে ৯ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তিন নম্বরে অবস্থান করছিল ঢাকা প্লাটুন। বাকি ৩ ম্যাচে একটা জয় পেলেই নিশ্চিত হতো শেষ চার। এই লক্ষ্যে খেলতে নেমে আজ রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬১ রানের বিশাল জয় তুলে নিয়েছে ঢাকা।

    এদিন আগে ব্যাট করে রংপুরের সামনে ১৪৫ রানের টার্গেট দাঁড় করে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরু থেকেই বিধ্বস্ত রংপুর। ইনিংসের প্রথম ওভারের শেষ দুই বলে নাইম শেখ এবং শেন ওয়াটসনের উইকেট তুলে নেন স্পিনার মেহেদী হাসান। এরপর ২০ রানে থাকা ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে ফেরান ফাহিম আশরাফ।

    সেখান থেকে একে একে ফজলে মাহমুদ (৩), লুইস গ্রেগরি (৫) এবং আল-আমিন জুনিয়র (২৩) আউট হয়ে গেলে মাত্র ৫৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর। কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় দলটির জয়ের আশা। পরে মোহাম্মদ নবীর ব্যাটে রংপুরের হারের ব্যবধানটাই কমলো শুধু।

    রংপুরকে ৮৪ রানে আটকে দিয়ে ৬১ রানে ম্যাচ জিতে চট্টগ্রাম ও রাজশাহীর পর তৃতীয় দল হিসেবে প্লে-অফ পর্ব নিশ্চিত করে ঢাকা প্লাটুন। এই ম্যাচ হারের ফলে খালি হাতে এবারের বিপিএল পর্ব শেষ হলো রংপুর রেঞ্জার্সের।

    এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নামে ঢাকা। ওপেনার এনামুল হক বিজয়কে ফিরিয়ে প্রথম আঘাত হানেন লুইস গ্রেগরি। বিজয় করেন ৭ বলে ১১ রান। এর আগে ব্যাট হাতে চমক দেখানো মেহেদী হাসান মাঠ ছাড়েন ৬ বলে ১ রান করে। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকা ঢাকার তৃতীয় উইকেটটি শিকার করেন তাসকিন আহমেদ। ১২ বলে ১৩ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আরিফুল হক।

    সুবিধা করতে পারেননি মুমিনুল হকও। ৭ রান করে আউট হয়েছেন তিনি। পরে তাসকিনের বলে শেন ওয়াটসনের হাতে সহজ ক্যাচ দিয়ে বিদায় নেয়ার আগে তামিম করেন ৩৮ বলে ৪০ রান। এরপর আসিফ আলিকে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়েও পূরণ করতে পারেননি তাসকিন।

    জোড়া ধাক্কা সামলে ওঠার আগেই বিদায় নেন থিসারা পেরেরা। মুস্তাফিজুর রহমানের বলে তাসকিনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। পেরেরার উইকেট শিকারের মাধ্যমে মেহেদী হাসান রানার সাথে যৌথভাবে চলতি বিপিএলে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হন মুস্তাফিজ। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ঢাকার সংগ্রহ দাঁড়ায় ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৪৫ রান। শেষের দিকে ১৯ বলে ৩১ রানের ছোট ক্যামিও দেখান শাদাব খান।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    ঢাকা প্লাটুন: ১৪৫/৯ (২০ ওভার)
    তামিম ৪০, শাদাব ৩১*, আরিফুল ১৩;
    তাসকিন ৩/৩২, মুস্তাফিজ ৩/৩৪, নবী ২/২১।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৮৪/১০ (১৫.৩ ওভার)
    আল-আমিন ২৩, ডেলপোর্ট ২০, নবী ১২; মেহদী হাসান ২/১২, মাশরাফি ২/১৮।

    ফল: ঢাকা ৬১ রানে জয়ী।

  • হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    হেরেই চলেছে সিলেট,রংপুরের জয়

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের চলতি আসর হার দিয়ে শুরু করেছিল সিলেট থান্ডার। এরপর টানা চার হারের পর আসে স্বস্তির জয়। তবে আবার টানা হারের বৃত্তে আটকে যাওয়া সিলেট আগেই শেষ করেছে টুর্নামেন্টের প্লে-অফের আশা। আজও রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে হেরেছে ৩৮ রানের ব্যবধানে।

    এদিন আগে ব্যাট করে শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখের ব্যাটে সিলেটকে ২০০ রানের বিশাল টার্গেট ছুঁড়ে দেয় রংপুর রেঞ্জার্স। পাহাড়সম এই লক্ষ্য টপকাতে নেমে শুরুটা সুখকর হয়নি সিলেটের। ঝড়ো শুরুর আভাস দিয়ে মাত্র ১২ বলে ১৯ রান করে আউট হয়ে যান অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার।

    আরেক ওপেনার আব্দুল মজিদ ১১ বলে ৭ রান করে গ্রেগরির বলে বোল্ড হলে পরে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন ও রাদারফোর্ড। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পরের ৪ ওভারে ৩৮ রান যোগ করেন দুজন। ইনিংসের দশম ওভারে নবীর বলে অসাধারণ এক ক্যাচ নিয়ে মিঠুনকে সাজঘরের পথ দেখান বদলি খেলোয়াড় মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ২২ বলে ৩০ রান।

    তবে নিজের কাজটা ঠিকই করে যান রাদারফোর্ড। মাত্র ৩১ বলে তুলে নেন চলতি টুর্নামেন্টে নিজের প্রথম ফিফটি। কিন্তু অন্যপ্রান্তে তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি শফিকউল্লাহ (১০), সোহাগ গাজী (১), রনি তালুকদাররা (০)। পরে রাদারফোর্ডও ৩৭ বলে ৬০ রান করে রান আউটে কাটা পড়লে ফিকে হয়ে যায় সিলেটের জয়ের আশা।

    শেষদিকে মনির হোসেন ব্যাটিংয়ে না নামলে এবং আর কোনো ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ গড়তে না পারলে মাত্র ১৬১ রানে থামে সিলেট থান্ডারের ইনিংস। ফলে ৩৮ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। রংপুরের হয়ে গ্রেগরি, তাসকিন এবং মুস্তাফিজ নেন দুইটি করে উইকেট।

    এর আগে টসে হেরে রংপুরের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন কর‍তে আসেন নাইম এবং ওয়াটসন। উদ্বোধনী জুটিতে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দুজন। যেখানে আউট হওয়ার আগে ৭টি চারের সাথে ১টি ছক্কা সাহায্যে ৩৩ বলে ৪২ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান নাইম। এরপর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দলের হাল ধরেন ওয়াটসন। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে মাত্র ৩১ বলে ফিফটি তুলে নেন এই অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান।

    পরে এবাদতের বলে আউট হওয়ার আগে ৩৬ বলে ৬৮ রান করেন তিনি। এর আগে ডেলপোর্ট ২৫ রানে আউট হলে শেষদিকে লুইস গ্রেগরির ১৫ রানের সাথে মোহাম্মদ নবীর ১৭ বলে ২৩ ও ফজলে রাব্বির অপরাজিত ১৬ রানের সুবাদে নির্ধারিত ওভার শেষে ১৯৯ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে সিলেট থান্ডারের হয়ে ২ উইকেট নেন পেসার এবাদত হোসেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৯৯/৫ (২০ ওভার)
    ওয়াটসন ৬৮, নাইম ৪২, ডেলপোর্ট ২৫; এবাদত ২/৩০, মনির ১/২৫, রাদারফোর্ড ১/২৮।

    সিলেট থান্ডার: ১৬১/১০ (১৯.১ ওভার)
    রাদারফোর্ড ৬০, মিঠুন ৩০, ফ্লেচার ১৯; মুস্তাফিজ ২/১৮, গ্রেগরি ২/২৭, তাসকিন ২/৩৯।

    ফল: রংপুর ৩৮ রানে জয়ী।

  • রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    রংপুরকে হারিয়ে রাজশাহীর ‘প্রতিশোধ’

    বিপিএলের চলতি আসরে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে প্রথম দেখায় হেরে গিয়ে শঙ্কায় পড়ে গিয়েছিল রাজশাহী রয়্যালস। তবে ফিরতি লেগে রাজশাহীকে ৩০ রানে হারিয়ে ফের জয়ের ছন্দে ফিরেছে দলটি।

    বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৭৯ রানের বড় পুঁজি জড়ো করে ৪ উইকেট হারানো রাজশাহী।

    দলের পক্ষে অর্ধ-শতক হাঁকান রবি বোপারা। ২৯ বলের মোকাবেলায় ৫০ রান করে অপরাজিত থাকেন ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকিয়ে। এছাড়া ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শোয়েব মালিক ৩১ বলে ৩৭, আফিফ হোসেন ধ্রুব ১৭ বলে ৩২ ও লিটন দাস ১৫ বলে ১৯ রান করেন।

    রংপুরের পক্ষে মুস্তাফিজুর রহমান দুটি এবং মোহাম্মদ নবী ও আরাফাত সানি একটি করে উইকেট শিকার করেন।

    জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় রংপুর। অধিনায়ক শেন ওয়াটসন চাপ জয়ের বদলে সাজঘরে ফিরে যান ৯ বলে ২ রান করে। আরেক ওপেনার নাইম শেখ চাপ জয়ের চেষ্টা চালিয়েছিলেন অবশ্য, তবে ১৮ বলে ২৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনিও।

    এরপর ক্যামেরন ডেলপোর্টের ৭ বলে ১৪, টম আবেলের ২৪ বলে ২৯ ও ফজলে মাহমুদের ২৬ বলে ৩৪ রানের ইনিংস তিনটি দলের জয়ের জন্য যথেষ্ট হতে পারেনি। শেষদিকে ঝড়ো ব্যাটিং উপহার দিতে পারেননি কেউই। শেষপর্যন্ত রংপুর পরাজয় বরণ করে ৩০ রানের বড় ব্যবধানে। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে দলীয় সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৪৯ রান।

    রাজশাহীর পক্ষে শোয়েব মালিক, মোহাম্মদ নাওয়াজ ও কামরুল ইসলাম রাব্বি দুটি উইকেট শিকার করেন।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    রাজশাহী রয়্যালস ১৭৯/৪ (২০ ওভার)
    বোপারা ৫০*, মালিক ৩৭, আফিফ ৩২
    মুস্তাফিজ ৪১/২, নবী ২৬/১

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৪৯/৭ (২০ ওভার)
    ফজলে মাহমুদ ৩৪, অ্যাবেল ২৯, নাইম ২৭
    নাওয়াজ ২১/২, মালিক ২৭/২, রাব্বি ৩২/২

    ফল: রাজশাহী রয়্যালস ৩০ রানে জয়ী।

  • রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    রংপুরের দুর্দান্ত জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে প্রথমবারের মত মুখোমুখি হয়েছিল উত্তরবঙ্গের দুই দল রাজশাহী রয়্যালস ও রংপুর রেঞ্জার্স। যেখানে উত্তরবঙ্গ ডার্বিতে শেষ হাসি রংপুরের। শুরুতে নাইম শেখের ফিফটির পর তসকিন আহমেদের অনবদ্য বোলিংয়ে ৪৭ রানের জয় পেয়েছে দলটি।

    এদিন আগে ব্যাট করে রাজশাহীর সামনে ১৮৩ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। পাহাড়সম এই টার্গেট টপকাতে নেমেও ধীরগতির শুরু করেন রাজশাহীর দুই ওপেনার লিটন দাস ও আফিফ হোসেন। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের সময় আফিফ যখন ৭ রান করে তাসকিনের প্রথম শিকারে পরিণত হন, তখন রয়্যালসদের দলীয় রান ১২।

    খানিক বাদে পর পর দুই বলে লিটনকে ১৭ বলে ১২ ও শোয়েব মালিককে ০ রানে ফিরিয়ে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনা জাগিয়ে তোলেন তাসকিন। এরপর অলক কাপালিও ২৮ বলে ৩১ রান করে আউট হলে ৬৪ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসে পদ্মা পাড়ের দলটি।

    সেখান থেকে রাজশাহীর হাল ধরার চেষ্টা করেন রবি বোপারা ও নাহিদুল ইসলাম। তবে পঞ্চম উইকেটে ২৭ রানের বেশি যোগ করতে পারেননি দুজন। বোপারা ২৮ ও নাহিদুল আউট হন ১৯ রান করে। শেষদিকে আন্দ্রে রাসেল ঝড় তুললেও ৭ বলে ১৭ রান করে রান আউট হয়ে যান তিনি।

    কার্যত ওখানেই শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর জয়ের আশা। পরে দলটির আর কোন ব্যাটসম্যান প্রতিরোধ করতে না পারলে ১৩৫ রানে থামে রাজশাহীর ইনিংস। ফলে ৪৭ রানে জয় তুলে মাঠ ছাড়ে রংপুর রেঞ্জার্স। ম্যাচে রংপুরের হয়ে একাই ৪ উইকেট পেয়েছেন তাসকিন আহমেদ।

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর রেঞ্জার্স। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান শেন ওয়াটসন ও নাইম শেখ। উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৩৮ রান। তবে আগের দুই ম্যাচের মত এই ম্যাচেও রান পাননি অধিনায়ক ওয়াটসন। অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান ৭ রান করে আউট হওয়ার পর ক্যামেরুন ডেলপোর্টকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ৫৪ রানের জুটি গড়েন নাইম। এরই ফাকে তুল নেন চলতি বিপিএলে নিজের দ্বিতীয় ফিফটি।

    ৪০ বলে অর্ধশতক পূরণ করা নাইম পরে সাজঘরে ফেরেন ৫৫ রান করে। মাঝে ডেলপোর্টের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এরপর গ্রেগরির ১৭ বলে ২৮ ও মোহাম্মদ নবীর ১৬ রানের সাথে শেষদিকে আল-আমিন জুনিয়রের ১৫ এবং জহুরুল ইসলামের ৮ বলে অপরাজিত ১৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ পায় রংপুর রেঞ্জার্স। রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ ইরফান ও আফিফ হোসেন নেন দুইটা করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮২/৬ (২০ ওভার)
    নাইম ৫৫, ডেলপোর্ট ৩১, গ্রেগরি ২৮; ইরফান ২/৩৫, আফিফ ২/৪০।

    রাজশাহী রয়্যালস: ১৩৫/৮ (২০ ওভার)
    অলক ৩১, বোপারা ২৮, নাহিদুল ১৯; তাসকিন ৪/২৯, গ্রেগরি ২/২৮।

    ফল: রংপুর ৪৭ রানে জয়ী।

  • মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    মুস্তাফিজ-ডেলপোর্ট’র নৈপুণ্যে রংপুরের সহজ জয়

    দেশ সেরা পেসার মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিং ও দক্ষিণ আফ্রিকার ক্যামেরন ডেলপোর্টের ব্যাটিং নৈপুণ্যে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ (বিপিএল) টি-২০ ক্রিকেট টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

    আজ টুর্নামেন্টের ২৫তম ম্যাচে রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে হারিয়েছে সিলেট থান্ডারকে। প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মদ মিঠুনের হাফ-সেঞ্চুরিতে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের মামুলি সংগ্রহ পায় সিলেট। ১০ রানে ৩ উইকেট নিয়ে সিলেটকে বড় স্কোর করতে দেননি রংপুরের মুস্তাফিজ। আর তিন নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ৬২ রান করেন মিঠুন।

    জবাবে ডেলপোর্টের ২৮ বলে ৬৩ রানের সুবাদে ১৬ বল বাকী রেখেই জয়ের স্বাদ নেয় রংপুর।

    মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিং করার সিদ্বান্ত নেয় রংপুর রেঞ্জার্স। দুই ওপেনার ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে ফ্লেচার ও জনসন চার্লস দলকে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি। স্পিনার আরাফাত সানির বলে ছক্কা মারতে গিয়ে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ক্যাচ দিয়ে শুন্য রানে আউট হন এবারের আসরের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান।

    ছক্কা দিয়ে ইনিংস শুরু করেছিলেন চার্লস। কিন্তু ৯ রানে চার্লস পেসার মুকিদুল ইসলামের বলে আউট হলে দলীয় ১৬ রানে দুই ওপেনারকে হারায় সিলেট।

    এরপর দলের হাল ধরে বড় জুটি গড়েন মিঠুন ও অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। দেখেশুনে খেলে জুটিতে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তারা। তবে দলীয় ৭৩ রানে মোসাদ্দেক রান আউট হলে মিঠুনের সাথে জমে উঠা জুটিটি বিচ্ছিন্ন হয়। ২৩ বলে ১৫ রান করেন মোসাদ্দেক। ৪৯ বলে ৫৭ রানের জুটি গড়েন তারা।

    অধিনায়কের বিদায়ের পরপরই ৩৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন মিঠুন। অর্ধশতকের স্বাদ নিয়ে নিজের ইনিংস বড় করছিলেন মিঠুন। কিন্তু ৬২ রানে মুস্তাফিজের বলে আরাফাত সানিকে ক্যাচ দিয়ে আউট হন মিঠুন। ৪৭ বলের ইনিংসে ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন মিঠুন।

    মিঠুনের পর আর কেউই বড় ইনিংস খেলতে না পারায় সংগ্রহটাও বড়সড় করতে পারেনি সিলেট। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেরফেইন রাদারফোর্ডের ৯ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় ১৬ রানের সুবাদে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৩৩ রানের সম্মানজনক সংগ্রহ পায় সিলেট। ৪ ওভারে ১০ রানে ৩ উইকেট নেন মুস্তাফিজ।

    জয়ের জন্য ১৩৪ রানের সহজ লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারেই অধিনায়ককে হারায় রংপুর। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক খেলোয়াড় ও রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন ১ রান করে সিলেটের পেসার এবাদত হোসেনের ইর্য়কারে বোল্ড হন।

    এরপর দলের জয়ে ভিত গড়ে দেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাইম ও ডেলপোর্ট। ৬৩ বলে ৯৯ রানের জুটি গড়েন তারা। এরমধ্যে ২৮ বলে ৬৩ রান ছিলো ডেলপোর্টের। ২৪ বলে হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করা ডেলপোর্ট থেমে যান ৬৩ রানেই।

    ১৩তম ওভারে দলীয় ১০৪ রানে ডেলপোর্টকে আউট করেন আফগানিস্তানের পেসার নবীন উল হক। পরের ওভারে আবারো রংপুর শিবিরে আঘাত হানেন নবীন। এবার ইংল্যান্ডের লুইস গ্রেগরিকে ৪ রানে থামিয়ে দেন তিনি। ফলে ৮ রানেই ২ উইকেট হারায় রংপুর। তবে আফগানিস্তানের ও রংপুরের সাবেক অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীকে নিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেন নাইম। চতুর্থ উইকেটে ১৭ বলে অবিচ্ছিন্ন ২২ রান করেন তারা। ২টি করে চার-ছক্কায় ৫০ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত নাইম। ১২ বলে ২টি চার ও ১টি ছক্কায় অপরাজিত ১৮ রান করেন নবী। সিলেটের নবীন ১৩ রানে ২ উইকেট নেন।

    এই ম্যাচের আগে এবারের আসরে একটি জয় ছিলো সিলেট ও রংপুরের। তাই পয়েন্ট টেবিলের তলানিতেই ছিলো এই দু’দল। দ্বিতীয় জয়ের জন্য মরিয়া ছিলো সিলেট ও রংপুর। অবশেষে দ্বিতীয় জয়ের স্বাদ নিয়ে ৪ পয়েন্ট সংগ্রহে রেখে ষষ্ঠস্থানে উঠলো রংপুর। সপ্তম ম্যাচে ২জয়ের সাথে ৫টি হারও রয়েছে রংপুরের। অন্যদিকে, ৮ ম্যাচে ১জয় ও ৭হারে ২ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের সপ্তম ও শেষ দল সিলেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর :
    সিলেট থান্ডার : ১৩৩/৯, ২০ ওভার (মিঠুন ৬২, রাদারফোর্ড ১৬, মুস্তাফিজ ৩/১০)।
    রংপুর রেঞ্জার্স : ১৩৪/৩, ১৭.২ ওভার (ডেলপোর্ট ৬৩, নাইম ৩৮*, নাভিন ২/১৩)।
    ফল : রংপুর রেঞ্জার্স ৭ উইকেটে জয়ী।
    ম্যাচ সেরা :মুস্তাফিজুর রহমান(রংপুর)।

  • রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    রংপুরের বিপক্ষে খুলনার বড় জয়

    বিপিএলের চলতি আসরে নিজেদের প্রথম ৩ ম্যাচে তিন জয়ের পর টানা দুই ম্যাচ হার খুলনার। ঢাকা পর্বে ফিরে আবার জয়ের ধারায় ফিরল দলটি। রংপুর রেঞ্জার্সকে হারিয়েছে ৫২ রানের ব্যবধান। অন্যদিকে টানা ৪ ম্যাচ হারের পর চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে জয়ে ফিরলেও ধরে রাখতে পারল না রংপুর।

    এদিন শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে খুলনা। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মেহেদী হাসান মিরাজ।

    ইনিংসের শুরুর দুই বলে টানা দুই চার মেরে ঝড়ো শুরুর আভাস দেন শান্ত। তবে পরের ওভারে প্রথমবারের মত বল করতে এসে পরপর দুই বলে মিরাজ (১২) আর রাইলি রুশোকে (০) ফেরান মুস্তাফিজুর রহমান। এরপর শামসুর রহমানও ১৩ রান করে বিদায় নিলে ৪৫ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে খুলনা।

    সেখান থেকে শান্তকে নিয়ে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, চতুর্থ উইকেটে গড়েন ৩৯ রানের পার্টনারশিপ। যেখানে ২২ বলে শান্তর ব্যাট থেকে আসে ৩০ রান। বলা বাহুল্য, চলতি বিপিএলে বাঁহাতি এ ব্যাটসম্যানের এটাই প্রথমবারের মত দুই অঙ্ক ছোঁয়া রান। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান নাজিবউল্লাহ জাদরানকে নিয়ে ইনিংস বড় করার কাজ করেন মুশফিক। এরই এক ফাঁকে তুলে নেন নিজের অর্ধশতক। ৩টা চার ও ২টা ছয়ের সাহায্যে ৪১ বলে ফিফটি পূরণ করেন মুশফিক।

    পরে নাজিবউল্লাহর ২৬ বলে ৪১ এবং মুশফিকের ৪৮ বলে ৫৯ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৮২ রানের সংগ্রহ দাঁড় করে খুলনা। রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে একাই ৩ উইকেট নিয়েছেন পেসার মুস্তাফিজুর রহমান।

    খুলনার দেওয়া ১৮৩ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য টপকাতে নেমে ৫ রান করে আউট হয়ে যান রংপুরের অধিনায়ক শেন ওয়াটসন। এরপর নিজ ব্যাটে ঝড়ের আভাস দেন নাইম শেখ। তবে স্থায়ী করতে পারেননি বেশিক্ষণ, মোহাম্মদ আমিরের প্রথম শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৯ বলে ২০ রান করেন তিনি। খানিক বাদে ডেলপোর্ট ৯ ও ফজলে মাহমুদ ৪ রান করে আউট হলে ৭২ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    পরে লুইস গ্রেগরিও ৩৪ রান করে ফিরে গেলে জয়ের আশা ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। এরপর শেষদিকের ব্যাটসম্যানরা আসা-যাওয়ার মিছিলে যোগ দিলে মাত্র ১৩০ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। ফলে ৫২ রানে জয় পায় খুলনা টাইগার্স। খুলনার হয়ে ৪ উইকেট তুলে নিয়েছেন পেসার শহিদুল ইসলাম।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    খুলনা টাইগার্স: ১৮২/৭ (২০ ওভার)
    মুশফিক ৫৯, নাজিবউল্লাহ ৪১, শান্ত ৩০; মুস্তাফিজ ৩/২৮, গ্রেগরি ২/৩৬।

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩০/৯ (২০ ওভার)
    গ্রেগরি ৩৪, মুস্তাফিজ ২১*, নাইম ২০; শহিদুল ৪/২৩ তানভীর ২/২৯, আমির ১/১৫।

    ফল: খুলনা ৫২ রানে জয়ী।

  • অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর

    চলতি বিপিএলে টানা চার ম্যাচ হারার পর পঞ্চম ম্যাচে এসে অধিনায়ক পরিবর্তন করে অবশেষে জয়ের দেখা পেলো রংপুর রের্ঞ্জার্স। পয়েন্টে টেবিলের শীর্ষ স্থানে থাকা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের সহজ জয় তুলে নিলো তারা।

    ১৬৪ রানের বড় লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুটা একেবারেই ভালো হয়নি রংপুরের। দুই ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম এবং ক্যামেরন ডলপোর্ট ব্যর্থ হন। অধিনায়কত্ব করা টম আবেল উইকেট বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করেন। সাদমান ইসলামও ধীরে ব্যাটিং করেন। যদিও এ দুজনও তাদের ইনিংস লম্বা করতে পারেননি। এরপর লুইস গ্রেগরিকে সঙ্গ দিতে আসেন ফজলে মাহমুদ। এ দুজনের জুটিতে ভর করে সহজে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় রংপুর।

    এর আগে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় রংপুর। ব্যাটে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৬৩ রান তোলে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। কোনো রান যোগ করার আগেই ফিরে যান ওপেনার লিন্ডলে শিমন্স। এরপর ইমরুল কায়েস, নাসির হোসেন, চাদউইক ওয়ালটনরা একে একে ব্যর্থতার খাতায় নাম লেখালেও একপাশ আগলে ঝড় তোলেন আভিশকা ফার্নান্ডো। সঞ্জিত সাহার বলে বোল্ড হওয়ার আগে ৪০ বলে ৭২ রানের ইনিংস খেলে যান তিনি।

    তার বিদায়ের পর শেষ দিকে রানের গতি ধরে রাখতে পারেননি নুরুল হাসান, মুক্তার আলীরা। শেষ পর্যন্ত রংপুরের সামনে ১৬৪ রানের লক্ষ্য দাঁড় করাতে সক্ষম হয় তারা।

    এ ম্যাচে নিজেকে ফিরে পেয়েছেন মোস্তাফিজুর রহমান। ৪ ওভারে ২৩ রান খরচায় ২ উইকেট তুলে নিয়েছেন তিনি। এছাড়া লুইস গ্রেগরিও তুলে নেন দুই উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর

    টস: রংপুর রেঞ্জার্স

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ১৬৩/৭ (২০ ওভার)
    ফার্নান্দো ৭২, সোহান ২০, ওয়ালটন ১৬, মুক্তার ১২
    মুস্তাফিজ ২৩/২, গ্রেগোরি ২৭/২

    রংপুর রেঞ্জার্স ১৬৭/৪ (১৮.৪ ওভার)
    গ্রেগোরি ৭৬*, ফজলে মাহমুদ ৩৮*, অ্যাবেল ২৪
    রুবেল ৩৭/২, রানা ১৬/১

    ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।

     

  • রুশো ঝড়ে খুলনার সহজ জয়

    রুশো ঝড়ে খুলনার সহজ জয়

    বিপিএলের চলমান আসরে একেবারে বিপরীতমুখী অবস্থান খুলনা টাইগার্স ও রংপুর রেঞ্জার্সের। নিজেদের খেলা ৩ ম্যাচের তিনটাতেই জয় তুলে নিয়েছে খুলনা। অপরদিকে পরাজয়ের বৃত্ত ভেঙে বের হতে পারছে না রংপুর। আজ খুলনার বিপক্ষে ৮ উইকেটে হারের মধ্য দিয়ে টানা ৪ ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদ পেল দলটি।

    এদিন দুই দলের মুখোমুখি লড়াইয়ে আগে ব্যাট করে খুলনার সামনে ১৩৮ রানের লক্ষ্য দাঁড় করে রংপুর। জবাবে ব্যাট করতে নেমে যথারীতি ব্যর্থ টাইগার্স ওপেনার নাজমুল হোসেন শান্ত। ফিরেছেন মোটে ১ রান করে। এরপর নতুন ব্যাটসম্যান রাইলি রুশোকে নিয়ে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। কম যাননি রুশোও। দুই ব্যাটসম্যানের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৮১ রান তোলে খুলনা।

    তবে ইনিংসের সপ্তম ওভারে গুরবাজকে সাজঘরের পথ ধরান মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। আউট হওয়ার আগে ২২ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। গুরবাজ আউট হলেও মাত্র ২৩ বলে নিজের অর্ধশতক তুলে নেন রুশো। পরে মুশফিককে সাথে নিয়ে দলকে আর কোন বিপদ হতে না দিয়ে ম্যাচ জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন তিনি।

    খুলনার ৮ উইকেটে পাওয়া বিশাল জয়ে রুশো অপরাজিত ছিলেন ৬৬ রান নিয়ে। অধিনায়ক মুশফিকের ব্যাট থেকে আসে ১৭ রান। এর ম্যাচ হারের ফলে সিলেট থান্ডারের মত টানা ৪ ম্যাচ হারের স্বাদ পেল রংপুর রেঞ্জার্স।

    এর আগে শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নামে রংপুর। দলের হয়ে ইনিংস শুরু করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান মোহাম্মদ শাহজাদ ও নাইম শেখ। তবে গত ম্যাচে নিজ ব্যাটে ঝড় তুললেও আজ মোহাম্মদ আমিরের বলে মাত্র ১১ রান করে আউট হয়েছেন শাহজাদ। টুর্নামেন্ট জুড়ে ধারাবাহিকতা ধরে রাখা নাইম গত ম্যাচে ৮ রান করে রান আউট হলেও আজ আবার ঝড় তুলেছিলেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৩২ বলে ৪৯ রান।

    মাঝে পেসার শফিউল ইসলাম ক্যামেরুল ডেলপোর্টকে ৪ ও নাদিফ চৌধুরীকে ০ রানে সাজঘরে ফিরালে বড় রানের স্বপ্ন ফিকে হয়ে যায় রংপুরের। শেষদিকে ফজলে রাব্বির ৪২ রানের সাথে লুইস গ্রেগরির অপরাজিত ২২ রানের কল্যাণে নির্ধারিত ওভার শেষে ৯ উইকেট হারিয়ে ১৩৭ রানের পুঁজি পায় রংপুর রেঞ্জার্স। খুলনার টাইগার্সের হয়ে শফিউল ৩ এবং আমির ও শহিদুল ইসলাম নেন ২টি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৩৭/৯ (২০ ওভার)
    নাইম ৪৯, রাব্বি ৪২, গ্রেগরি ২২*, শফিউল ৩/২১, আমির ২/২৪, শহিদুল ২/৩২।

    খুলনা টাইগার্স: ১৩৮/২ (১২.৩ ওভার)
    রুশো ৬৬*, গুরবার ৩৭, মুশফিক ১৭*; মুস্তাফিজ ১/১৮, মুগ্ধ ১/২৮।

    ফল: খুলনা ৮ উইকেটে জয়ী।

  • কুমিল্লার শ্বাসরুদ্ধকর জয়

    কুমিল্লার শ্বাসরুদ্ধকর জয়

    এবারের বিপিএলে ঢাকার পর চট্টগ্রামেও রান উৎসব করছেন ব্যাটসম্যানরা। তেমনই এক ম্যাচে মোহাম্মদ শাহজাদের ঝড়ো ব্যাটিংকে মলিন করে দিলেন সৌম্য সরকার-সাব্বির রাহমানরা। এর ফলে রংপুর রেঞ্জার্সের বিপক্ষে ৬ উইকেটের জয় পেয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

    রংপুরের দেওয়া ১৮২ রানের পাহাড়সম লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে কুমিল্লা। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে পাওয়ার-প্লের ৬ ওভারে ৬১ রান যোগ করেন দুই ব্যাটসম্যান ভানুকা রাজাপকসা এবং সৌম্য। ইনিংসের ষষ্ঠ ওভারের শেষ বলে মাত্র ১৫ বলে ৩২ রান করে আউট হন ভানুকা। এরপরই কুমিল্লার রান তোলার গতি কিছুটা মন্থর হয়ে যায়। দলীয় ৯০ রানের মাথায় ৪১ রানে থামা সৌম্যকে সাজঘরে ফেরান পেসার মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ।

    সৌম্যর আউটের পর যখন কুমিল্লার জয়ের জন্য ৫৩ বলে ৯০ রানের প্রয়োজন, তখন অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করতে থাকেন সাব্বির রহমান। শুরুর ৩০ বল মোকাবেলা করে সমান ৩০ রান করেন তিনি। এরপর অবশ্য কিছুটা মারমুখী হন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পরে মুস্তাফিজের বলে আউট হওয়ার আগে ৪০ বলে করেছেন ৪৯ রান।

    শেষ ৩ ওভারে কুমিল্লার জয়ের জন্য প্রয়োজন হয় ৩৫ রান। উইকেটে ডেভিড মালানের সাথে নতুন ব্যাটসম্যান দাসুন শানাকা। শেষদিকে মালানের অপরাজিত ৪২ রানের সাথে শানাকার ১২ রানের উপর ভর করে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এর ফলে সিলেট থান্ডারের পর টানা ৩ ম্যাচে হারের স্বাদ পেল রংপুর।

    এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নামে রংপুর। শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন শাহজাদ। তবে নাইম শেখ তাকে সঙ্গ দিতে পারেননি বেশিক্ষণ, দলীয় ৪৯ রানে মাথায় নিজে ফিরেছেন ৮ রান করে। এরপর টম অ্যাবেলকে সাথে নিয় নিজের অর্ধশতক তুলে নেন তিনি। মাত্র ২১ বলে ৬টা চারের সাথে ৪টা ছয়ের সাহায্যে ফিফটি পূরণ এই ব্যাটসম্যান। পরে আউট হয়েছেন ২৭ বলে ৬১ রান করে। ওই ওভারেই রান আউটে কাটা পড়েন নতুন ব্যাটসম্যান আল-আমিন। ফলে ৮৭ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে রংপুর।

    পরে টম অ্যাবেলের ২৫, অধিনায়ক মোহাম্মদ নবীর ২৬ রানের সাথে শেষদিকে গ্রেগরির ২১ এবং আরাফাত সানি ও নাদিফ চৌধুরির সমান ১৫ রানের কল্যাণে ২০ ওভার শেষে ১৮১ রানে থামে রংপুর রেঞ্জার্সের ইনিংস। কুমিল্লার হয়ে মুজিব উর রহমান ২ এবং সৌম্য সরকার, আল-আমিন হোসেন ও সানজামুল ইসলাম নেন একটি করে উইকেট।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮১/৮ (২০ ওভার)
    শাহজাদ ৬১, নবী ২৬, অ্যাবল ২৫; মুজিব ২/২৫, সৌম্য ১/১৬।

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৮২/৪ (১৯.৪ ওভার ওভার)
    সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯, মালান ৪২*; অ্যাবেল ১/২১, নবী ১/২৫, মুগ্ধ ১/২৬।

    ফলাফল: কুমিল্লা ৬ উইকেটে জয়ী।

  • জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স

    বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ঢাকা (প্রথম) পর্বের খেলা আজ শেষ হচ্ছে। ২ দিন বিরতি দিয়ে আগামী ১৭ ডিসেম্বর শুরু চট্টগ্রাম পর্ব। নিজেদের ঘরের মাঠে নামার আগে জয়ে ফিরল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। রংপুর রেঞ্জার্সকে তারা হারিয়েছে ৬ উইকেটের ব্যবধানে। যেখানে চ্যাডউইক ওয়ালটন আর ইমরুল কায়েসে ম্লান নাঈম শেখের ব্যাটিং।

    বিপিএলের সপ্তম আসরের উদ্বোধনী ম্যাচে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছিলো চট্টগ্রাম। তবে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮ উইকেটে হারে খুলনার কাছে। চট্টগ্রাম পর্ব শুরুর আগে আবার জয়ের ধারায় ফিরলো দলটি।

    আজ (শনিবার) দিনের শুরুর ম্যাচে রংপুরের দেওয়া ১৫৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নামে বন্দরনগরীর দলটি। ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে এসে উড়ন্ত সূচনা এনে দেন চট্টগ্রামের দুই ব্যাটসম্যান আভিস্কা ফার্নান্দো ও ওয়ালটন।

    উদ্বোধনী জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬৮ রান। ২৩ বলে ৩৭ রানে থাকা আভিস্কাকে ফিরিয়ে এই পার্টনারশিপ ভাঙ্গেন গ্রেগরি। তবে ইমরুলকে নিয়ে ব্যাটিং ঝড় অব্যাহত রাখেন ওয়ালট। ৩২ বলে নিজের ফিফটি তুলে নিয়ে সমান ৫০ রানে নবীর শিকারে পরিণত হন তিনি। এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ১৫ রান করে আউট হওয়ার পর জয়ের বাকি আনুষ্ঠানিকতা সারেন ইমরুল। ৬ উইকেটের বিশাল জয় পায় চট্টগ্রাম। যেখানে ইমরুল নিজে অপরাজিত থাকেন ৪৩ রানে

    এর আগে টসে হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে রংপুর। তবে উদ্বোধনী জুটিতে সুবিধা করতে পারেনি তারা, ৯ রান করে সাজঘরে ফেরেন শেহজাদ। এরপর তিনে ব্যাট করতে আসেন টম অ্যাবল। তিনিও আউট হয়েছেন ১০ রান করে। এই দুই ব্যাটসম্যানকে হারানোর মাঝে নিজ ব্যাটে ঝড় তোলেন আরেক ওপেনার নাইম। ৬টা চার ও ৩টা ছয়ের মারে মাত্র ২৬ বলে তুলে নেন ব্যক্তিগত অর্ধশতকটা।

    তবে এ বাঁহাতি ব্যাটসম্যান একপ্রান্ত আগলে রাখলেও অন্যপ্রান্তে তাকে সাপোর্ট দিতে পারেননি রংপুরের ব্যাটসম্যানরা। মাঝে অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী করেন ২১ রান। শেষদিকে রুবেল হোসেনকে স্কুপ করতে যেয়ে মেহেদী হাসানের হাতে ধরা পড়েন নাইম। আউট হওয়ার আগে খেলে যান ৫৪ বলে ৭৮ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস।

    ফলে নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৫৭ রানে থামে রংপুরের ইনিংস। চট্টগ্রামের হয়ে কেসরিক উইলিয়ামস ও রায়ান বার্ল নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া মাহমুদউল্লাহ এবং রুবেল নেন একটা করে।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    রংপুর রেঞ্জার্স: ১৫৭/৮ (২০ ওভার)
    নাইম ৭৮, নবী ২১, তাসকিন ১১*; উইলিয়ামস ২/৩৫, বার্ল ২/৩০, মাহমুদউল্লাহ ১/১৭।

    চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৫৮/৪ (১৮.২ ওভার) ওয়ালটন ৫০, আভিস্কা ৩৭, ইমরুল ৪৩*; গ্রেগরি ২/২৭, অ্যাবল ১/১১।

    ফলাফল: চট্টগ্রাম ৬ উইকেটে জয়ী।

  • রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    রংপুরকে উড়িয়ে দিল কুমিল্লা

    ব্যাট হাতে শুরুটা একেবারে সুখকর হয়নি। তবে ম্যাচের বয়স বাড়ার সাথে সাথে লাগাম নিজেদের হাতে তুলে নেয় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। অধিনায়ক দাসুন শানাকার অনবদ্য ব্যাটিংয়ের পর বল হাতেও আলো ছড়াল কুমিল্লা। এবারের বিপিএলে নিজেদের প্রথম ম্যাচে রংপুরকে হারালো ১০৫ রানের ব্যবধানে।

    দিনের দ্বিতীয় ম্যাচ আগে ব্যাট করে রংপুরকে ১৭৪ রানের লক্ষ্য ছুড়ে দেয় কুমিল্লা। এই টার্গেট টপকাতে নেমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি উত্তরাঞ্চলের দলটি। শুরুতেই ওপেনার মোহাম্মদ শেহজাদের (১৩) উইকেট হারিয়ে বসে তারা। এরপর জহুরুল ইসলাম ৫, ফজলে রাব্বির ১ ও লুইস গ্রেগরি কোন রান না করে বিদায় নিলে ৩৪ রান তুলতেই ৪ উইকেট হারিয়ে বসে রংপুর।

    রংপুরের ব্যাটসম্যানদেরকে আর খোলস ছেড়ে বের হতে দেননি কুমিল্লার বোলাররা। মোহাম্মদ নবী ১১ রান করে সাজঘরে ফিরলে খানিক বাদে একই পথের সারথি হন সঞ্জিত সাহা (০), নাঈম (১৭) ও তাসকিন আহমেদ (১)। ফলে ৫৭ রানে ৮ উইকেট হারায় দলটি। শেষদিকে মুস্তাফিজের ৮ রান জয়ের ব্যবধানটা কমিয়েছে শুধু।

    পরে শেষ ব্যাটসম্যান হিসাবে জাকির হাসান ব্যাটিংয়ে না নামলে রংপুর আটকে যায় ৬৮ রানে। ফলে ১০৫ রানের বিশাল জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা। বল হাতে আল-আমিন ৩ ও সানজামুল এবং সৌম্য নেন সমান ২টি করে উইকেট।

    এর আগে ম্যাচের শুরুতে টসে জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কুমিল্লার অধিনায়ক শানাকা। দলের হয়ে ইনিংসের গোড়াপত্তন করতে আসেন দুই ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি ও ভানুকা রাজপাকশা। তবে ইনিংসের শুরুর বলেই কুমিল্লা শিবিরে আঘাত হানেন রংপুরের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবী। শূন্য রানে আউট করেন রাব্বিকে। এরপর সৌম্য সরকার করেন ২৬ রান। পরবর্তীতে ডেভিড মালান ২৫ ও সাব্বির রহমানের ব্যাট থেকে আসে ১৯ রান।

    শেষদিকের রোমাঞ্চ যেন তুলে রেখেছিলেন শানাকা। মুস্তাফিজের করা দলীয় ১৯ তম ওভারে টানা ৪টা ছক্কা হাঁকান এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান, যেখানে দুইটা বাউন্ডারিকে আছড়ে ফেলেন একেবারে স্টেডিয়ামের বাইরে। এরই সাথে নিজের অর্ধশতটা তুলে নেন লঙ্কান ক্রিকেটার। পরে শানাকার ৩১ বলে অপরাজিত ৭৫ রানের ঝড়ে দলীয় ২০ ওভার শেষে স্কোর বোর্ডে ১৭৩ রানের সংগ্রহ পায় কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এদিন ৩টা চারের সাথে ৯টা ছক্কা হাঁকিয়েছেন শানাকা।

    সংক্ষিপ্ত স্কোর:

    কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৭৩/৭ (২০ ওভার) দাসুন শানাকা ৭৫, সৌম্য সরকার ২৬, ডেভিড মালান ২৫, সাব্বির রহমান ১৯; মুস্তাফিজুর রহমান ২/৩৭, সঞ্জিত সাহা ২/২৬, লুইয়া গ্রেগরি ১/২৫

    রংপুর রেঞ্জার্স: ৬৮/১০ (১৪ ওভার) নাইম শেখ ১৭, মোহাম্মদ শেহজাদ ১৩, মোহাম্মদ নবী ১১; আল-আমিন হোসেন ৩/১৪, সানজামুল ইসলাম ২/৪, সৌম্য সরকার ২/১২

    ফলাফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ১০৫ রানে জয়ী।