Tag: রওশন এরশাদ

  • জিএম কাদের-চুন্নুকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ

    জিএম কাদের-চুন্নুকে বহিষ্কার করলেন রওশন এরশাদ

    জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জি এম কাদের ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুকে অব্যাহতি দিয়ে নিজেকে চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষণা করেছেন দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ। পাশাপাশি কাজী মামুনুর রশীদকে পার্টি মহাসচিব হিসেবে ঘোষণা করেন।

    রোববার (২৮ জানুয়ারি) দুপুরে গুলশানে রওশন এরশাদের বাসায় এক সভার আয়োজন করেন তিনি। এ সময় দলের বহিষ্কার, প্রত্যাহার হওয়া নেতাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করেন।

    তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অযোগ্য নেতৃত্ব ও ভুল সিদ্ধান্তের কারণে অভিভাবকহীন হয়ে পড়ে জাতীয় পার্টির তৃণমূল নেতাকর্মীরা। জাতীয় পার্টিতে এখন ক্রান্তিকাল বিরাজ করছে। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক ও কো- চেয়ারম্যান হওয়ায় আমি বেগম রওশন এরশাদ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।

  • রওশন প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জিএম কাদের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত

    রওশন প্রধান পৃষ্ঠপোষক, জিএম কাদের চেয়ারম্যান ও রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত

    জাতীয় পার্টির নবম কেন্দ্রীয় কাউন্সিলে পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান ও সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ পার্টির প্রধান পৃষ্ঠপোষক, সংসদে বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের চেয়ারম্যান এবং মসিউর রহমান রাঙ্গা মহাসচিব নির্বাচিত হয়েছেন।

    আজ শনিবার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে পার্টির কাউন্সিলে তারা এসব পদে আগামী তিন বছরের জন্য নির্বাচিত হন।

    কাউন্সিলে প্রধান নির্বাচন কমিশনার পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট শেখ সিরাজুল ইসলাম তাদের নাম প্রস্তাব করলে উপস্থিত কাউন্সিলর ও ডেলিগেটরা এতে অনুমোদন দেন।
    এর আগে সকালে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের।

    জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর পর এবারই প্রথম দলটির কাউন্সিল হয়েছে। এর আগে ৮টি কাউন্সিলই হয়েছে এরশাদের জীবদ্দশায় এবং তার উপস্থিতিতে।

    জাতীয় পার্টির গঠনতন্ত্রে তিন বছর পরপর কাউন্সিল করার বিধান থাকলেও পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের মৃত্যুর কারণে ২৮ ডিসেম্বর নবম কাউন্সিলের তারিখ নির্ধারণ করা হয়।

    সর্বশেষ ২০১৬ সালের ১৪ মে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জাতীয় পার্টির সর্বশেষ কাউন্সিল হয়। কাউন্সিলে হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ কো- চেয়ারম্যানের পদ তৈরি করে তাতে ভাই জিএম কাদেরকে আসীন করেন। পরে স্ত্রী রওশন এরশাদকে সিনিয়র কো-চেয়ারম্যানের পদে বসান। এরশাদ জীবিত অবস্থায় চলতি বছরের ৫ মে তার ভাই জিএম কাদেরকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ঘোষণা করেন।

    ১৪ জুলাই ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় এরশাদ মারা যান । এর চার দিনের মাথায় বনানীতে পার্টির চেয়ারম্যানের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মসিউর রহমান রাঙ্গা চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদেরের নাম ঘোষণা করেন।

  • মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না,শুন্যের ওপর মেট্রোরেল চলবে কিভাবে?

    রেল দুর্ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে জাতীয় সংসদের বিরোধী দলের নেতা রওশন এরশাদ বলেছেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটছে। মাটির ওপরে ট্রেন ঠিকমত চলছে না, মেট্রোরেল কিভাবে চালানো হবে? শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে। এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) একাদশ জাতীয় সংসদের পঞ্চম অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে বিরোধী দলীয় নেতা এসব কথা বলেন।

    রওশন এরশাদ বলেন, একের পর এক ট্রেন দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। আমরা মাটির ওপর দিয়ে ট্রেন ঠিকমত চালাতে পারি না বলে দুর্ঘটনা ঘটে। এর মধ্যে আবার শুন্যের ওপর দিয়ে মেট্রোরেল করা হচ্ছে তখন চালাবো কিভাবে? এই ট্রেন যে পড়ে যাবে না, তার নিশ্চয়তা কি।

    সংসদে বিরোধী দলের ভূমিকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বিরোধী দল হিসেবে জাতীয় পার্টি জনগণের জন্য যা প্রয়োজন তাই নিয়ে কথা বলে। বিরোধী দল হিসেবে রাজনীতির ধারা বদলে দিয়েছি। অতীতের বিরোধী দল যা করেনি আমরা তা করেছি। আমরা যে সব কথা বললে জনগণের উপকার হয় সে সব নিয়ে কথা বলেছি।

    তিনি বলেন, যানজট নিরসনে বড় বড় ফ্লাইওভার, এখন মেট্রোরেল তৈরি করা হচ্ছে। এত টাকা খরচ করে এগুলো তৈরি না করে, এই টাকা দিয়ে সারা দেশে শিল্প উন্নয়ন করলে বেকার সমস্যা দূর হত। ঢাকাকে বিকেন্দ্রীকরণ করা গেলে যানজট থাকতো না।

    বিরোধী দলের নেতা বলেন, বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার, সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি, কুমিল্লার সোহাগী জাহান তনু, পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আকতারের স্ত্রী মাহমুদা আকতারসহ এ পর্যন্ত যত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে সবগুলোর দ্রুত বিচার সম্পন্ন করে মানুষের মধ্যে আস্থা ফিরিয়ে আনার জন্য আইনমন্ত্রীকে বলেন, দ্রুত বিচার করুন। তাহলে মানুষের আস্থা ফিরে আসবে।

    রওশন বলেন, কিছু কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত হয় আবার কিছু হত্যাকাণ্ডের বিচার হচ্ছে না। নুসরাত হত্যাকাণ্ডের বিচার দ্রুত সম্পন্ন করা হলেও সাংবাদিক দম্পত্তি সাগর-রুনি হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনো শুরুই হয়নি। কিছু কিছু মামলা ঝুলিয়ে রাখা হয়েছে। যেগুলো সরকার চায় সেগুলো দ্রুত বিচার হয়। আর সরকার যেগুলো চায় না সেগুলো ঝুলিয়ে রাখা হয়। এসব মামলা দ্রুত বিচার কাজ সম্পন্ন করার জন্য স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আইনমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

    চলমান ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান প্রসঙ্গে বিরোধী দলের নেতা বলেন, যখন ঢাকা ও চট্টগ্রামে ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরু হয় তখন কিছু কিছু ক্লাব ও বাড়িতে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও নগদ টাকা পাওয়া গেছে। এই অভিযানে প্রধানমন্ত্রী নিজের দলের নেতাদেরও ছাড় দেননি। এসব ক্লাবে ক্যাসিনোর খবর স্থানীয় থানাগুলো কেন দেখেনি। আমি চাইবো শুদ্ধ অভিযান অব্যাহত থাকুক।

    নিরাপদ খাদ্য নিয়ে তিনি বলেন, এখন নিশ্চিন্ত মনে কোনো খাবার খাওয়া যায় না। হোটেলগুলো ২০ বছর আগের ঝোল ও ডাল বিক্রি করছে। খাদ্য নিরাপত্তা আইনের প্রয়োগ নেই। সরকার না চাইলে মানুষ হাজার চেষ্টা করেও নিরাপদ খাদ্য খেতে পারবে না।

    রোহিঙ্গা নিয়ে রওশন বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু অনেক দিনের। এখনও হয়নি। কবে এটার সমাধান হবে, কে জানে। তাদেরকে যত তাড়াতাড়ি পাঠানো যায় ততই মঙ্গল।