২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের দেখতে চমেক হাসপাতালে গিয়ে লিফটের তার ছিড়ে বড় দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত সহ অন্যান্য বিএনপি নেতারা।
তবে লিফটম্যান ও রোগীর স্বজনদের সহযোগীতায় বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় নেতারা। দুর্ঘটনা কবলিত লিফটে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের চট্টগ্রাম ব্যুরোর সিনিয়র রিপোর্টার আরিচ আহম্মদ শাহ ও আরেকজন সাংবাদিকও ছিলেন।
আরিচ আহম্মদ শাহ জানিয়েছেন রবিবার চট্টগ্রামের পাথরঘাটায় গ্যাসলাইন বিস্ফোরণের ঘটনায় চিকিৎসাধীন আহতদের দেখতে আসেন কেন্দ্রিয় ও নগর বিএনপির সিনিয়র কয়েকজন নেতৃবৃন্দ। এসময় নিউজ কাভারেজের জন্য আমি ও আরেকজন সাংবাদিকও ছিলো। আহতদের দেখার পর হাসপাতালের ৫ তলা থেকে নীচে নামার সময় ২য় তলায় এসে লিফটের তার ছিঁড়ে যায়।
পরে বিকট শব্দে লিফটি নীচে পড়ে গেলে সবাই আতংকিত হয়ে পড়ি। এসময় লিফটম্যান সত্যপ্রিয় বড়ুয়া, আমির খসরুর একান্ত সচিব মো. সেলিম ও হাসপাতালে আগত রোগীর স্বজনরা এগিয়ে এসে পেশী শক্তি ব্যবহার করে লিফটের দরজা খুলে দিলে সকলে রক্ষা পায়।
লিফট অপারেটর সত্যপ্রিয় বড়ুয়া বলেন, এই লিফট রাতদিন ২৪ ঘণ্টা চলে, কোনো বিশ্রাম না থাকায় যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়ে দুর্ঘটনা ঘটেছে।
আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন সোমবার দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে চমেক হাসপাতালের ৫ তলার অর্থোপেডিক ওয়ার্ড থেকে ৩ নম্বর লিফটে চড়ে নামার সময় নিচতলার কাছাকাছি এসে বিকট আওয়াজে লিফটটি ছিঁড়ে নিচে পড়ে যায়। তবে এ ঘটনায় কেউ আহত না হলেও বড় ধরণের দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ আমাদের সকলকে রক্ষা করেছেন।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, প্রচুর পরিমাণে বাজেট থাকার পরও এসব লিফট মেরামত করার উদ্যোগ নেয় না কর্তৃপক্ষ। দীর্ঘদিন ধরে রক্ষানাবেক্ষণ না থাকায় চমেকের এসব লিফট ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। আজকে বড় ধরণের দুর্ঘটনা ঘটে যেতো পারতো। আল্লাহ সবাইকে রক্ষা করেছে।
খসরু ও ডা. শাহাদাত ছাড়াও দুর্ঘটনা কবলিত লিফটে ছিলেন পেশাজীবী পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ডা. খুরশিদ জামিল, মহানগর বিএনপির সহ-সভাপতি এম এ আজিজ, চট্টগ্রাম মহানগর যুবদলের সাবেক সভাপতি কাজী বেলাল, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম সাইফুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক ইয়াসিন চৌধুরী লিটন, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এইচ এম রাশেদ খান, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল ইসলাম রাসেলসহ আরো কয়েকজন।
এর আগে রবিবার পাথরঘাটার দুর্ঘটনায় আহতদের দেখতে সোমবার দুপুরে ১৫-২০ জন নেতাকর্মী নিয়ে চমেক হাসপাতালে যান আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নিজের একান্ত সচিব মো. সেলিমসহ অন্য নেতাকর্মীদের নিচে রেখে কয়েকজনকে নিয়ে অর্থোপেডিক ওয়ার্ডে যান আমির খসরু। সেখান থেকে নামার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
পরে ফোন করে আমির খসরু তার একান্ত সচিব মো. সেলিমকে বিষয়টি জানালে সবাই মিলে দরজা টেনে তাঁদের বের করেন। পরে পেশাজীবী নেতা ডা. খুরশিদ জামিল চমেক হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আক্তারুল আলমকে দুর্ঘটনার বিষয়টি জানান।