নিজস্ব প্রতিবেদক : সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নে রমরমা মাদকের ব্যবসা। পাশাপাশি থেমে নেই আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা।
গেল কয়েক দিন আগে ইয়াবা সেবনরত অবস্থান পুলিশের কাছে পাকরাও হন মগধরার ইয়াবা সম্রাট বলে পরিচিতি কামরুজ্জামান(৩৩) ওরপে ইয়াবা কামরুল ও নিজান উদ্দিন (২৪)। ইতোমধ্যে তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে।
গেল বছরের নভেম্বর মাসের দুই তারিখ গ্রেপ্তার হন মগধরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল সংখ্যক অস্ত্রসহ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী জাহিদ সরওয়ার প্রকাশ শিমুল মেম্বারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সে সময় তার কাজ থেকে উদ্ধারকৃত অস্ত্রের মধ্যে ছিল একটি দোনলা বন্দুক, দুটি একনলা বন্দুক, দুটি এলজি, ১৯ রাউন্ড কার্তুজ, দুই রাউন্ড চায়না রাইফেলের গুলি, আটটি ছোরা এবং একটি রামদা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার মগধরা ইউনিয়নের পলিশ্যার বাড়ি এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে পুলিশের একটি দল। এই সময় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে পুলিশের গুলিবিনিময় হয়। প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অভিযানে পুলিশ বিপুল অস্ত্রসহ তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী শিমুল মেম্বারকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়।
তার বিরুদ্ধে সন্দ্বীপ থানায় একাধিক মামলা রয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।
মগধরার এই জনপ্রতিনিধির বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসা, চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্মের অভিযোগ দীর্ঘ দিনের। তার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ অস্বীকার করে শিমুলের পরিবার বলছে সে ষড়যন্ত্রের শিকার। তকে(শিমুল মেম্বার) ফাঁসানো হয়েছে। তারা এ ষড়যন্ত্রের র্তীর ছোঁড়ছে সাবেক মেম্বার সমিরের দিকে!
সন্দ্বীপের মগধরা ইউনিয়নের বিভিন্ন স্পটে সন্ধ্যার পর নেমে আসে যেন মাদকের হাট। ইউনিয়নের পেলিশ্যার বাজার , সরকারী পুকুর মোড, শীলতলা,ও পূর্বে আদর্শ পাড়া কলোনী এসব এলাকায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে শুরু হয় মাদক কেনা বেচার বানিজ্য। ওপেন সিক্রেটের মতো বিক্রি হচ্ছে মদ গাজা, ফেনসিডাল আর স্পিরিট। এমনকি বিভিন্ন পাড়া মহল্লার দোকানগুলেতে বিক্রি হচ্ছে মদ, গাজা। মাদকের এ ছোবলে উঠতি বয়সের ছেলেরা জড়িয়ে পডছে বেশি। একটু সন্ধা নামতেই ঘর থেকে বের হতে সাহস করেন না অনেকই।
সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে বেশ কিছু রাজনৈতিক নেতাদের আশ্রয়ে গডে উঠছে এ মাদকের রমরমা ব্যবসা। আর যার কারণে এলাকার আইন শৃঙ্খলার অবনতির আশঙ্কা করছে এলাকাবাসী। এই ব্যপারে উপজেলার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উদাসীনতাকে দায়ী করছে এলাকার জনগণ।
মাদক সহ সার্বিক বিষয়ে সন্দ্বীপ থানার সেকেন্ড অফিসারের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে তিনি বলেন, মগধরাসহ সন্দ্বীপের সার্বিক বিষয়ে আমরা (থানা পুলিশ) অবগত আছি, ইতোমধ্যে অনেকে আমরা আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হয়েছি আমাদের আন্তরিকতার কোন অংশে কমতি রাখছি না। জনগণের সহযোগীতা অব্যাহত থাকলে সন্দ্বীপকে মাদক মুক্ত করতে পারবো।