ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁওয়ের বাজারে এসেছে গ্রীষ্মকালীন রসালো ফল তরমুজ। কিন্তু দাম বেশি থাকার কারণে সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে ফলটি। বছরের নতুন ফল দেখে অনেকেই খুব আগ্রহ নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছেন দোকানে। কিন্তু দাম শুনে হতবাক। ক্রেতারা যতটুকু আগ্রহ নিয়ে দোকানে যাচ্ছেন, দাম শোনার পর দ্বিগুণ অনাগ্রহে ফিরে যাচ্ছেন।
ঠাকুরগাঁওয়ের রাস্তায় ফলের দোকানে তরমুজ নিয়ে বসেছেন কবির নামের এক দোকানদার। একজন গ্রাহক মাঝারি সাইজের একটি তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলেন। দোকানদার দাম চাইলেন ১৮০ টাকা। দাম শুনে ক্রেতা অনেকটা হতবাক। প্রথমে কথাই বলছিলেন না। পরে তরমুজের দিকে তাকিয়ে বললেন, বিক্রি করার জন্য না দেখানোর জন্য নিয়ে এসেছেন? দোকানি বললেন কী করবো ভাই, মোকামেই দাম অনেক বেশি। শেষে দোকানি বললেন, একদাম ১৬০ টাকা, নিলে নেন না নিলে যান। ক্রেতা আর কিছু না বলে চলে গেলেন।
গত বছর যে তরমুজ ১০০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে ঠিক সে আকারের তরমুজ এবার ২০০ থেকে ২৫০টাকা দাম চাওয়া হচ্ছে। ক্রেতারা শুধু আসছেন, দেখছেন আর চলে যাচ্ছেন।
কারণ, ২০০ টাকা দিয়ে একটি তরমুজ কিনে খাওয়া অনেকের পক্ষেই সম্ভব নয়। যেটা সবচেয়ে ছোট আকারের তরমুজ সেটার দামও ১৫০ টাকা। যা গেল বছর ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
এখানে বড় আকারের একটি তরমুজের দাম চাওয়া হচ্ছে ৩০০ টাকা। ক্রেতা না নেয়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কিছুক্ষণ পর একই দোকানে আরেকজন গ্রাহক এলেন। তিনি এক কেজি আপেল আর মাঝারি আকারের একটি তরমুজের দাম জিজ্ঞেস করলে দোকানি দাম চান ৩০০ টাকা।
ক্রেতা বললেন তাহলে আপেল ব্যাগটা দেন। দোকানি তখন বার বার বলছিলেন- তরমুজের দাম কত দিবেন? ক্রেতা বললেন আবাদত এত দামে- তরমুজ নেবো না।রুহিয়া চৌরাস্তায় পবিত্র নামে এক ক্রেতা বলেন, যে দাম! এতো দামের তরমুজ খাওয়া আমাদের পক্ষে সম্ভব না। কিছুদিন পরেই দাম কমবে, তখন কিনবো।ঐ এলাকার তরমুজের দোকানদার রবিউল বলেন, আমাদের কী করার আছে। মোকাম থেকে চড়া দামে কিনে আনতে হয়। যখন কম দামে কিনে আনতে পারবো, তখন কম দামেই বিক্রি করবো।