Tag: রাইফার মৃত্যু

  • রাইফা খুনের বিচার হলে করোনাকালে হাসপাতালগুলোতে মানুষের হাহাকার হতো না:রিয়াজ হায়দার

    রাইফা খুনের বিচার হলে করোনাকালে হাসপাতালগুলোতে মানুষের হাহাকার হতো না:রিয়াজ হায়দার

    সাংবাদিক কন্যা রাইফা খুনের মামলা তদন্তের ধীর গতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে মামলাটি তদন্তে বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিটি গঠনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশের সাংবাদিকদের সর্বোচ্চ জাতীয় সংগঠন ‘বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি ও চট্টগ্রাম নাগরিক উদ্যোগের আহ্বায়ক রিয়াজ হায়দার চৌধুরী।

    তিনি বেসরকারি পর্যায়ে চিকিৎসা সেবা খাতকে স্বচ্ছতার আওতায় আনার দাবি জানিয়ে বলেন, রাইফার মৃত্যু তদন্ত করে অভিযুক্ত প্রমাণের দীর্ঘসূত্রিতার কারনেই বেসরকারিখাতে স্বাস্থ্য সেবা প্রক্রিয়ায় লুটেরা শ্রেণী মরিয়া হয়ে উঠেছে। রাইফা খুনের সঠিক তদন্ত ও বিচার হলে এই চলতি করোনা সময়ে ক্লিনিকে-হাসপাতালগুলোতে মানুষের এমন হাহাকার হতো না।

    এই পেশাজীবী নেতা মানবিক সংগঠন মুসাফির এর উদ্যেগে সাংবাদিক কন্যা রাফিদা খান রাইফার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মিলাদ-মাহফিল, দোয়া ও এতিম, অসহায় শিশুকিশোর এবং ভাসমান মানুষদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা জানান।

    সংগঠনটির উদ্যোগে ২৯ জুন (সোমবার) দুপুর ১টায় নগরির আমানত শাহ (রা.) মাজার সংলগ্ন তনজিমুল মোছলেমিন এতিম খানায় আহ্বায়ক ও চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নিবার্হী সদস্য মুহাম্মদ মহরম হোসাইন এর সভাপতিত্বে দোয়া ও মিলাদ মাহফিলটি অনুষ্ঠিত হয়।

    এতে উপস্থিত ছিলেন বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সহসভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব মহসীন কাজী, নির্বাহী সদস্য ও রাইফার পিতা রুবেল খান, চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাবেক অর্থ সম্পাদক তাপস বড়ুয়া রুমু, এতিম খানাটির তত্বাবধায়ক হাফেজ আমান উল্লাহ, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ নাজিম উদ্দীন, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা জিয়া আবেদীন আহসান, মহানগর যুবলীগ নেতা হুমায়ুন কবির মাসুদ, মুসাফিরের যুগ্মআহ্বায়ক ও মইনুল হাদী গাউছে মাইজভান্ডারি কেন্দ্রীয় কমিটির সমন্বয়কারী কামরুল ইসলাম রাশেদ মাইজভান্ডারি, টিভি ক্যামরা জানালিস্ট এসোসিয়েশনের নিবার্হী সদস্য অমিত দাশ, আনসার কমান্ডার (অব.) মো. হারুন, মো লিটন প্রমুখ।

    মিলাদ-মাহফিল পুর্ব আলোচনা সভায় পেশাজীবী নেতা রিয়াজ হায়দার চৌধুরী মামলাটির তদন্তে ধীরগতিতে বিস্ময় প্রকাশ করে দায়িত্বশীলদের এ ব্যাপারে সচেতনতা তাগাদা দেন। একই সাথে তিনি মামলাটির বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি পুনর্ব্যক্ত করেন।

    রাইফার মৃত্যুর পরিপ্রেক্ষিত ও মামলা তদন্ত প্রক্রিয়া নিয়ে বক্তব্য তুলে ধরেন তার পিতা বিএফইউজে নির্বাহী সদস্য রুবেল খান।

    বক্তারা বলেন, রাইফা হত্যার দুই বছর অতিবাহিত হতে চললো কিন্তু মামলার কোন আগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না। দ্রুত বিচার কাজ শেষ করে দোষীদের সাজা প্রদানের জন্য সরকারের নিকট জোরালো দাবী জানান বক্তারা।

    মিলাদ শেষে রাইফার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন হাফেজ আমান উল্লাহ।

    পরে এতিম অসহায় শিশু-কিশোরদের সঙ্গে একসাথে দুপুরের খাবার খান সংগঠনের উপস্হিত নেতৃবৃন্দ।

    এতিম শিশুকিশোর ছাড়াও মাজারে উপস্হিত দেড়শতাধিক ভাসমান মানুষদের মাঝেও খাবার বিতরণ করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাইফার মৃত্যু: দুই বছরেও পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়ায় সিইউজে’র ক্ষোভ

    রাইফার মৃত্যু: দুই বছরেও পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়ায় সিইউজে’র ক্ষোভ

    দুই বছরেও শিশু রাইফার মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশের তদন্ত শেষ না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের নেতারা। এক বিবৃতিতে অতিদ্রুত মামলাটির তদন্ত শেষ করে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ আলী ও সাধারণ সম্পাদক ম. শামসুল ইসলাম।

    যৌথ বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, দুই বছর বয়সী শিশুকন্যার মৃত্যুর পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও সিভিল সার্জনের গঠিত দু’টি কমিটির প্রতিবেদনে ম্যাক্স হাসপাতালের অব্যবস্থাপনা এবং হাসপাতালটির কতিপয় চিকিৎসকের অবহেলার বিষয়টি উঠে এসেছে। এরপরও এখন পর্যন্ত হাসপাতাল ও অভিযুক্ত চিকিৎসকের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। বরং রহস্যজনকভাবে দুই বছরেও পুলিশ এ ঘটনায় আদালতে প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পুলিশের গাফেলতির কারণে দীর্ঘদিন প্রতিবেদন না পাওয়া আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল রাইফার মা-বাবাসহ বিচারপ্রত্যাশী সাধারণ মানুষকে হতাশ করবে।

    নেতৃবৃদন্দ বলেন, দেশে প্রায়ই চিকিৎসা অবহেলায় মানুষের প্রাণহানিসহ নানা ভোগান্তির কথা উঠে আসে। এসব অবহেলার সুষ্ঠু বিচার যদি ভুক্তভোগীরা না পায় তবে মানুষের ভোগান্তি যেমন বাড়বে, তেমনি দেশমানুষের সেবায় নিয়োজিত নিষ্ঠাবান চিকিৎসকদের নিয়ে মানুষের মধ্যে ভুল ধারণা তৈরি হবে।

    গলা ব্যথা নিয়ে ২০১৮ সালের ২৮ জুন চট্টগ্রাম নগরের ম্যাক্স হাসপাতালে ভর্তি করা হয় রাইফাকে। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ২৯ জুন মধ্যরাতে মারা যান রাইফা। মৃত্যুর পর পরিবারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর দুই দফা ভুল চিকিৎসার স্বীকার হয়ে মৃত্যু হয়েছে রাইফার। এ অভিযোগে চট্টগ্রামের চকবাজার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন রাইফার বাবা রুবেল খান।

    মামলায় হাসপাতালে কর্তব্যরত শিশু বিশেষজ্ঞ বিধান রায় চৌধুরী, চিকিৎসক দেবাশীষ সেন, শুভ্র দেব এবং ম্যাক্স হাসাপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক লিয়াকত আলী খানকে আসামী করা হয়েছিলো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর