Tag: রাউজানে

  • রাউজানে বৃদ্ধের আত্মহনন

    রাউজানে বৃদ্ধের আত্মহনন

    চট্টগ্রামের রাউজানে গুন্নু মিয়া (৫৬) নামের এক ব্যক্তি আত্মহনন করেছে। ১৯ অক্টোবর শুক্রবার দিবাগত রাতে উপজেলার গহিরা ইউনিয়নের দলই নগর গ্রামের নুর ইসলামের বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। সে স্থানীয় লক্ষী মিয়ার ছেলে।

    স্থানীয় লোকজন জানায়, রাতের কোনো এক সময়ে নিজ শয়নকক্ষ থেকে বের হয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। শনিবার সকালে বাড়ির লোকজন ঘুম থেকে উঠে তার ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তার লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্র জানায়, দীর্ঘদিন প্রবাস জীবন শেষে দেশে এসে পারিবারিক কলহের জের ধরে প্রথম স্ত্রীর সাথে বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে তার। তাদের সংসারে দুই পুত্র সন্তান ও তিন কন্যা রয়েছে। পরে দ্বিতীয়বার বিয়ের পিঁড়িতে বসেন তিনি। দ্বিতীয় স্ত্রী’র সংসারে কোনো সন্তানাদি নেই। এলাকাবাসীর ধারণা হয়তো পারিবারিক কলহের জের ধরে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।

    রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কেফায়েত উল্লাহ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।

  • চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার একবছর : মুল ২ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

    চাঞ্চল্যকর ফখরুল হত্যার একবছর : মুল ২ আসামি এখনো ধরাছোঁয়ার বাইরে

    রাউজান পৌরসভার গহিরায় প্রবাসী ফখরুল ইসলামকে শ্বশুর বাড়িতে জবাই করার আলোচিত-চাঞ্চল্যকর ঘটনার একবছর পূর্ণ হয়েছে গত ১৮ অক্টোবর। কিন্তু এই এক বছরেও এ ঘটনার মূল দুই আসামিকে ধরতে পারেনি পুলিশ।

    সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, এই হত্যা মামলার আসামি ফখরুল ইসলামের স্ত্রী ও শাশুড়ি ধরা পড়ে দীর্ঘদিন জেল খেটে সম্প্রতি জামিন পেয়েছেন। তবে এ ঘটনার দুই আসামি ধরা না পড়ায় এ মামলার মূল রহস্য এখনো রয়ে গেছে অজানা। নিহতের পরিবারের সদস্যরা মনে করেন, অধরা আসামিরা ধরা পড়লেই ফখরুল হত্যার আসল রহস্য উদঘাটন হতো।

    সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, গত ২০১৮ সালের ১৮ অক্টোবর সন্ধ্যায় গহিরা চৌমুহনীর উত্তর পাশে জনতা ব্যাংকের পেছনের ৪ তলা বিশিষ্ট আমেরিকা প্রবাসী আবু তাহেরের বাসার ৩য় তলার ভাড়াটিয়া ঘর থেকে আগুনের ধোঁয়া বের হতে দেখলে স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আগুন নেভাতে যান।

    স্থানীয় লোকজন আগুন নেভাতে গিয়ে বাসাটির সিঁড়িসহ ফ্লোরে রক্তের দাগ দেখে বাসার ছাদে উঠে দেখেন, গলাকাটা অবস্থায় পড়ে ছিল উম্মে হাবিবা মায়ার স্বামী ফখরুল ইসলামের রক্তাক্ত দেহ। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে প্রথমে গহিরা জে.কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে, পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

    চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তিনদিন চিকিৎসকের সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ করে ২০ অক্টোবর না ফেরার দেশে পাড়ি জমান ফখরুল। ফখরুল হত্যার ঘটনায় পুলিশ তার স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া ও শাশুড়ি রাশেদা আকতারকে গ্রেপ্তার করে। এ ঘটনায় ফখরুল ইসলামের ছোট ভাই নুরুল ইসলাম বাদি হয়ে রাউজান থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ফখরুলের স্ত্রী উম্মে হাবিবা মায়া, মা রাশেদা আকতার, খালাতো ভাই খোরশেদ (৩১), বাসার দারোয়ান মো. হালিম (৩৬)এবং আরো ৫-৬ জন অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

    মামলার বাদি নুরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ভাইয়ের শাশুড়ি ও স্ত্রী গত সেপ্টেম্বর মাসে জেল থেকে জামিন নিলেও তাদের কাছ থেকে পুলিশ কোন ক্লু বের করতে পারেনি। বাকি দুই আসামি ধরা না পড়ায় আমরা উদ্বিগ্ন। ভাইয়ের হত্যাকারীদের ব্যাপারে পুলিশ কোন তথ্য দিতে পারছে না। অধরা দুই আসামি ধরা পড়লে মূল রহস্য উদঘাটন হতো’।

    তিনি আরো বলেন, ‘আমার ভাইয়ের সঙ্গে মায়ার ছাড়াছাড়ি হয় আগেই। কাবিননামার জন্য তারা ভাইয়ের বিরুদ্ধে কোর্টে মামলাও করে। পরে পৌরসভার প্যানেল মেয়র বশির উদ্দিন খানের মধ্যেস্থতায় কাবিনের টাকা নির্ধারণ করা হয় এবং আমার ভাই ফখরুলের পাসপোর্ট শাশুড়ির জিন্মায় ছিল।

    সেদিন পাসপোর্ট নিতে এবং কোর্টের কাবিননামার মামলা তুলে নেয়ার কথা বলে ভাইয়ের শাশুড়ি তাকে বাসায় ডেকে নেয় পূর্ব পরিকল্পিতভাবে। এরপর ফখরুলের স্ত্রী মায়া, তার মা রাশেদা বেগম এবং বাসার দারোয়ানসহ তাদের লোকজন মিলে আমার ভাইকে জবাই করে হত্যা করে।

    নিহতের ছোট ভাই রেজাউল করিম ও নজরুল ইসলাম ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন ‘আমরা এখনো ভাই হত্যার ন্যায় বিচার পাইনি। আর কোন বাবা, মায়ের বুক যাতে খালি না হয়, সেজন্য আমাদের ভাইকে নৃশংসভাবে হত্যার বিচার চাই। এজন্য প্রশাসন, এমপি ও সংশ্লিষ্ট সবার হস্তক্ষেপ কামনা করছি’।

    এ প্রসঙ্গে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার এস.আই সাইমুল ইসলাম ইভান ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, ‘ফখরুলকে কারা হত্যা করেছে, সে বিষয়টি আমরা এখনো নিশ্চিত হতে পারিনি। তারপরও এ ঘটনার চার্জশিট দাখিল করবো শীঘ্রই’।

    উল্লেখ্য, নিহত ফখরুল ইসলাম রাউজান পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারকখীল এলাকার তাজুল ইসলামের পুত্র। তিনি বিয়ে করে ছিলেন গহিরা দলইনগর এলাকার প্রবাসী আবু বক্কর ওরফে বাবুলের মেয়ে উম্মে হাবিবা প্রকাশ মায়াকে।

  • রাউজানে মাদক বিরোধী অভিযান, আটক-৬

    রাউজানে মাদক বিরোধী অভিযান, আটক-৬

    চট্টগ্রামের রাউজানে মাদক বিরোধী অভিযানে পৃথক দুটি স্থান থেকে ৬ জনকে আটক করেছে পুলিশ।

    আজ শনিবার সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়কের পথের হাট ভরতশ্বরী মার্কেটের সামনে থেকে ৫ কিশোরকে ৫৬ পিস ইয়াবাসহ এবং চট্টগ্রাম-রাঙ্গামাটি সড়কের ঢালারমুখ তালুকদার মার্কেটের সামনে থেকে ১৫ লিটার চোলাইমদ নিয়ে একজনসহ মোট ৬ জনকে আটক করা হয়।

    আটককৃতরা হলেন, নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মো. মতিনের ছেলে ইমরান (২০), মো. রুহুল আমিনের ছেলেন মো. জুয়েল (২১), মো. ইদ্রিসের ছেলেন মো. ফারুক (১৯), মো. ফজল কাদেরের ছেলে মো. মুরাদ (২০), মো. শাহ আলমের ছেলে মো. রাশেদ (১৯)। আটককৃতরা সকলে নোয়াপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা। অপরদিকে ১৫ লিটার মদসহ আটক মো. জামাল (৪২) সন্দ্বীপ থানার পশ্চিম মুছাপুর গ্রামের মৃত এমরান মোল্লার ছেলে।

    এই প্রসঙ্গে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার নুর নবী ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, গত ১৫ অক্টোবর থেকে বিশেষ অভিযান চলছে। শুক্রবার রাতে পৃথক দুটি অভিযানে ৬ জনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা রুজু শেষে আজ শনিবার দুপুরে চট্টগ্রাম আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

  • রাউজানে অটোরিকশার ধাক্কায় স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত

    রাউজানে অটোরিকশার ধাক্কায় স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত

    চট্টগ্রামের রাউজানে বিদ্যালয়ে যাওয়ার পথে অটোরিকশার ধাক্কায় আয়েশা সিদ্দিকা (১৫) নামের এক স্কুল ছাত্রী গুরুতর আহত হয়েছে।

    ১৭ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টায় উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কমলার দিঘির পাড় এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। সে উরকিরচর ইউনিয়নের হারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীর ছাত্রী ও নোয়াপাড়া ইউনিয়নের মোকামী পাড়া গ্রামের হাফেজ মুহাম্মদ ইলিয়াছের কন্যা।

    আহত অবস্থায় তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে আয়েশা চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের কমলার দিঘি এলাকায় স্কুলে যাওয়ার জন্য গাড়ীর অপেক্ষায় দাড়িয়ে ছিল। এ সময় দ্রুতগতির একটি অটোরিকশা স্কুলছাত্রী আয়েশাকে ধাক্কা দিলে সে ছিঁটকে নিচে পড়ে গিয়ে আহত হয়।

    স্কুল ছাত্রীর ভাই মুহাম্মদ ইকরাম সাবিত ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় তাঁর বোনের মাথায় প্রচন্ড আঘাত পেয়েছে। মুখের মধ্যে গাড়ীর রড ঢুকে গেছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন আছে।

    নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এসএম হাফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, দুর্ঘটনায় স্কুলছাত্রী আয়েশা গুরুতর আহত হয়েছে। বর্তমানে সে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

    তবে দুর্ঘটনার বিষয়ে তাকে কেউ তথ্য দেননি বলে ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে জানিয়েছেন নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক (এসআই) শেখ জাবেদ মিয়া।

  • গলায় বাদাম আটকে তিন বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু

    গলায় বাদাম আটকে তিন বছরের শিশু কন্যার মৃত্যু

    চট্টগ্রামের রাউজানে গলায় বাদাম আটকে অমৃতা দে নামের তিন বছর বয়সী এক শিশুকন্যার মৃত্যু হয়েছে।

    রাউজান পৌরএলাকার সুলতানপুরের জগৎমল্লপাড়ায় শনিবার সন্ধ্যায় এই ঘটনাটি ঘটে। নিহত অমৃতা দে ওই এলাকার উজ্জ্বল দে’র কন্যা।

    স্থানীয় লোকজন জানান, বাদাম খাওয়ার এক পর্যায়ে একটি বাদাম শিশু কণ্যা অমৃতার গলায় আটকে যায়। এ সময় তাকে দ্রুত গহিরা জে কে মেমোরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানখার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

    এদিকে এ ঘটনার পর নিহত শিশু কণ্যা অমৃতা দে’র স্বজনদের বুকফাঁটা আহাজারিতে হাসপাতালে এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।

  • টাকায় মেলে ডিগ্রিযুক্ত সার্টিফিকেট! আটক ২

    টাকায় মেলে ডিগ্রিযুক্ত সার্টিফিকেট! আটক ২

    প্রযুক্তির যতো উন্নত হচ্ছে দিন দিন বেড়ে চলছে নানা রকমের অপরাধ যুক্ত কাজ। শুধুই কি তাই পড়াশোনা না করে ভূয়া সার্টিফিকেট বানিয়ে রাতারাতি অর্জন করে নিছে গ্রাজুয়েশন সার্টিফিকেট। কিচু অসাধু চক্রের কল্যাণে টাকায় মিলছে এসএসসি, এইচএসসি, অনার্স, মাস্টার্স এর মতো ডিগ্রি যুক্ত সার্টিফিকেট!

    এতে দেশের শিক্ষার উন্নয়ন ও অগ্রগতি মান দিন দিন ছোট হয়ে পড়েছে। তাঁদের সাথে যুক্ত হয়েছে কিছূ অসৎ লোক যারা এসব ভূয়া সার্টিফিকেটধারী লোকজনকে চাকরি দিতে নানাভাবে সহযোগিতা করেন। ফলে দেশের মেধাবী শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে কোনো চাকরি হচ্ছেনা। বেড়ে চলেছে বেকারত্ব।

    এছাড়াও কিছু কম্পিউটার প্রিন্টের দোকান রয়েছে যারা মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে এসব এডুকেশন সার্টিফিকেট, সনদপত্র, জম্মনিবন্ধসহ সবকিছু জাল স্বাক্ষর ও সীলমোহর আসল কপির মতো করে তৈরি করে আসছে।

    এসব বানানো জাল কাগজপত্র অফিস আদালতে বুঝা মুশকিল। কেউ এসব সার্টিফিকেট চ্যালেঞ্জ করলে তখনই ধরা পরে এটা আসল নাকি নকল। এছাড়াও জাল কাগজপত্র দিয়ে চলে নানা অনৈতিক ও অপরাধমুলক কর্মকান্ড।

    ওরা সংখ্যায় কতজন তা জানা না গেলেও ওদের দলের দু’জনকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়েছে রাউজান থানা পুলিশ। গত ১০ অক্টোবর রাতে পৃথক অভিযানে নগরীর দুটি দোকান থেকে তাদের আটক করা হয়।

    আটককৃত জাল সনদ কারবারি হলো রাউজান উপজেলার উরকিচর ইউনিয়নের আবুল কালামের পুত্র মোহাম্মাদ মাহাফুজ (৩৬) ও পূর্ব মাদার বাড়ি এলাকার মৃত জাফর আহম্মদের পুত্র রাজু আহম্মদ হিরু (৩২)।

    একজনকে মোহরা গোলাপের দোকান তমা প্রিন্টার্স থেকে অপরজনকে মাদারবাড়ি নিজ বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমান জাল সনদসহ ব্যবহৃত কম্পিউটার, প্রিন্টিং মেশিন, লেমিনেশন মেশিন উদ্ধার করে।

    অভিযানে নেতৃত্ব দেন রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ ও এসআই কাজী মাসুদ ইবনে আনোয়ারসহ একদল চৌকস পুলিশ সদস্য।

    রাউজান থানার ওসি কেপায়েত উল্লাহ ২৪ ঘন্টা ডট নিউজকে বলেন, উরকিচর ইউনিয়নের অপ্রাপ্ত বয়সী কন্যার জম্মনিবন্ধে স্থানীয় চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুর জব্বার সোহেলের জাল স্বাক্ষর করে প্রাপ্ত বয়স বানানোর ঘটনায় পুলিশের জালে আটকা পরে এসব মূল হোতারা।

    তিনি জানান, উরকিচর ইউনিয়নে আবুল করিম ও নাদিয়া আলম নামে একটি বিয়েতে জম্ম নিবন্ধন নিয়ে এ ঘটনা ঘটে। এই বিয়ের নকল জম্ম নিবন্ধন করে তারা ফেঁসে যায়।

    এই জম্ম নিবন্ধ সোহেল চেয়ারম্যান চ্যালেঞ্জ করলে বেরিয়ে আসে থলের বিড়াল। তাদের বিরুদ্ধে জালিয়াতি মামলা রুজু করা হয়েছে। আসামীদের ১২ অক্টোবর শনিবার চট্টগ্রাম আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানান ওসি কেপায়েত উল্লাহ।

  • টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    টাকার বিনিময়ে নিজ সন্তানকে বিক্রি করলো পিতা

    মাথার উপর ঋনের বোঝা। ঋণ পরিশোধের চাপের মাঝেই ৫২ হাজার টাকার লোভনীয় প্রস্তাব। তাই ঋণ থেকে মুক্তি পেতে নিজের বিবেক-বুদ্ধি হারিয়ে কিছু টাকার জন্য নিজের ঔরসজাত সন্তানকে বিক্রী করে দিয়ে জন্মদাতা পিতা।

    সন্তানকে বিক্রি করে ক্লান্ত হননি পিতা, কখনো কখনো অভিনয়ের ছলে সন্তানের জন্য ফেলেছেন চোখের পানিও। সামাজিকতা রক্ষায় সাজিয়েছেন ছেলে নিখোঁজের নাটক। কখনো সন্তানের জন্য নিজের বউকে পাঠিয়েছেন বৈদ্য বাড়িতে। ওঝার তাবিজ দোয়ায় সন্তানের খোঁজ মেলে এই আশাতেই মা দৌঁড়ঝাঁপ করেছেন এখান থেকে ওখানে। এভাবেই কেটে গেছে টানা তিনমাস। চাঞ্চল্যকর এই ঘটনার সমাপ্তি ঘটে তিনমাস পর পুলিশ ছেলেটিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়ার মাধ্যমে।

    আজ ২ অক্টোবর বুধবার দুপুরে রাউজান থানা কার্যালয়ে সাত বছরের শিশু সন্তান রাব্বিকে যখন তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দেওয়া হয় তখন সেখানে আনন্দ অশ্রুতে ছলছল করে উঠে মায়ের চোখ। সিনেমার গল্পকেও হার মানানো এই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে তিনমাস পূর্বে।

    শিশু রাব্বীর নিকট আত্মীয় রহিম বিন হোসেন জানান, শিশু রাব্বির পিতা কুমিল্লা নিবাসী আহসান উল্ল্যাহ পরিবার নিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর চাক্তাই এলাকায় একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। রাব্বির নানার বাড়ি মহেশখালী শাপলাপুর মিঠাখালী গ্রামে। সেখান থেকে পেশায় দিনমজুর আহসান উল্লাহর পরিচয় ঘটে রাউজানের কচুখাইন এলাকার জাকির হোসেন নামের এক ব্যক্তির সাথে।

    পরিচয়ের সূত্র ধরে জাকির হোসেন তার বউয়ের বড় বোন বাচু আকতারের জন্য একটি ছেলে সন্তান কেনার আগ্রহ দেখালে টাকার লোভে পড়ে আহসান উল্ল্যাহ নিজ সন্তানকে ৫২ হাজার টাকায় বিক্রী করেন। এর মাঝে পরিবারে আহসান উল্ল্যাহ তার মেয়ে নিখোঁজের কল্পকাহিনী সাজান। বাচু আকতারের সংসারে চারটি মেয়ে সন্তান রয়েছে।

    টানা তিনমাস সন্তানের জন্য হণ্যে হয়ে এখানে সেখানে ছুটে বেরিয়েছেন তার মা নাছিমা আকতার। দিনে দৌঁড়ঝাপ শেষে রাতে অশ্রুচোখে নিন্দ্রাহীন চোখে তাকিয়ে থাকতেন কখন কোলে ফিরে আসবে বুকের মানিকধন। এভাবে তিনমাস অতিক্রম হওয়ার পর জাকির হোসেন রাব্বির মায়ের কাছে তার সন্তানের খবর জানিয়ে সন্তান ফেরত নিলে ৯০ হাজার টাকা দাবী করেন।

    হত-দরিদ্র পরিবারে জন্ম নেওয়া নাসিমা আকতার উপায়ান্তর না দেখে অবশেষে পুলিশের শরণাপন্ন হন। নিজে স্বশরীরে রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহর কার্যালয়ে গিয়ে ঘটনার আদোপ্যন্ত খুলে বললে ওসি বিষয়টি দেখার জন্য নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ শেখ জাভেদ মিয়াকে নির্দেশ দেন।

    ১ অক্টোবর মঙ্গলবার ফোর্স নিয়ে রাতে নগরীর দিদার মার্কেট এলাকা থেকে শিশুকে উদ্ধার করে রাউজান থানা কার্যালয়ে নাছিমা আকতারের হাতে তার সন্তানকে তুলে দেওয়া হয়। এ সময় পিতা আহসান উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন। মায়ের কাছে সন্তান ফিরিয়ে দেওয়ার সময় থানা চত্বরে এক আনন্দঘন পরিবেশের সৃষ্টি হয়।

    টাকার জন্য সন্তান বিক্রীর বিষয়ে পিতা আহসান উল্ল্যাহ বলেন, ঋণের দায়ে তিনি এই কাজটি করেছেন।

    রাউজান থানার অফিসার ইনচার্জ কেফায়েত উল্লাহ বলেন, শিশু রাব্বিকে তার মায়ের কোলে ফিরিয়ে দিতে পেরে আমরা খুবই আনন্দিত।

  • রাউজানে বিষপানে যুবকের মৃত্যু

    রাউজানে বিষপানে যুবকের মৃত্যু

    চট্টগ্রামের রাউজানে বিষপানে মুহাম্মদ নাছের (৩২) নামের এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। গত সোমবার দিবাগত রাত ৩ টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়।

    এর আগে একইদিন রাত ১২ টার দিকে বাড়ীর কাচারী ঘরে গিয়ে বিষপান করেন তিনি। তাঁর বাড়ী উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের ছামিদর কোয়াং আজিম ফকিরের বাড়ীতে। তিনি ওই বাড়ীর মুহাম্মদ বাদশা মিয়ার ছেলে।

    স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নিহত নাছের সোমবার রাত ১০ টার দিকে খাবার খেয়ে দেড় বছরের শিশু কন্যাকে কোলে নিয়ে বাড়ীর বাইরে চলে যান। পরে রাতে ঘরে না ফেরায় বাইরে খুঁজতে বের হন স্বজনরা। এসময় তাদের কাচারী ঘরে তাঁকে বিষপানরত অবস্থায় পাওয়া যায়। দ্রুত উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে রাত ৩ টার দিকে তাঁর মৃত্যু হয়।

    বিষপানের সময় শিশুকন্যা তাঁর কোলে থাকায় সেও অসুস্থ’ হয়ে পড়ে। তাকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

    পরিবারের সদস্যরা জানায় নাছের গত ৫ বছর আগে প্রথম বিয়ে করেন চাঁন্দগাও থানার মোহরা গোলাপের দোকান এলাকার এ্যানি আকতারকে। এরপর তাদের মধ্যে বনিবনা হচ্ছিল না।

    বিয়ের ১ বছরের মাথায় বাপের বাড়ীতে বিষপানে মারা যান নাছেরের ১ম স্ত্রী এ্যানি আকতার। তার মৃত্যুও কিছুদিন পর নাছের ২য় বিয়ে করেন নোয়াপাড়া ইউনিয়নের সাদার পাড়া গ্রামের হিরা নামের এক মেয়েকে। এই স্ত্রীর ঘরে দেড় বছরের এক কন্যা সন্তান ছিল। এই সংসারেও স্ত্রীর সঙ্গে তাঁর বনিবনা হচ্ছিল না। ঝগড়া বিবাদ লেগে থাকতো স্বামী স্ত্রীর মধ্যে।

    নিহত নাছের রাজমিস্ত্রী ও পাইপ ফিটারের কাজ করতো। নোয়াপাড়া পুলিশ ফাঁড়ির উপ পরিদর্শক শেখ জাবেদ মিয়া বলেন, পারিবারিক কলহের জের ধরে বিষপানে মারা যায় নাছের। পরিবারের কেউ কোন অভিযোগ না করায় ময়না তদন্ত ছাড়া তাকে দাফন করা হয়েছে।

  • বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়-ফারাজ করিম

    বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়-ফারাজ করিম

    রাউজানের সাংসদ এ বি এম ফজলে করিম চৌধুরীর জ্যেষ্ঠ সন্তান ও সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর প্রতিষ্ঠাতা ফারাজ করিম চৌধুরী বলেছেন, বিতর্ক চর্চার মাধ্যমে মেধাবী নেতৃত্ব সৃষ্টি হয়। আর এই মেধাবীরাই আগামী দিনে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দেবে।

    তিনি বলেন, পুরনো দিনের সেই চিন্তাভাবনা নয়, যুগের সাথে তাল মিলিয়ে নিত্যনতুন চিন্তাভাবনা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে।

    তিনি আজ ২৯ সেপ্টেম্বর রবিবার সকাল ১০ টায় রাউজান এ.কে.এম ফজলুল কবির চৌধুরী অডিটোরিয়ামে রাউজানের ২৪ টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদরাসার অংশগ্রহণে ৪র্থ আন্তঃস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতা-২০১৯ এর সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর ব্যবস্থাপনায় ও রাউজান উপজেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় বিতর্ক প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত হয়।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগের সভাপতিত্বে ও সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুদ্দিন জামাল চিশতীর সঞ্চালনায় প্রধান আলোচক ছিলেন লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মাসুম চৌধুরী।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন রাউজান উপজেলা আওয়ামী লীগের সি.সহ-সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম, নোয়াজিষপুর ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ সরোয়ার্দী সিকদার, রাউজান পৌরসভার প্যানেল মেয়র আলহাজ্ব বশির উদ্দিন খান, রাউজান পৌরসভার ২য় প্যানেল মেয়র জমির উদ্দিন পারভেজ, বাংলাদেশ এমেচার বক্সিং ফেডারেশন এর নির্বাহী সদস্য সুমন দে। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সভাপতি মোঃ সাইদুল ইসলাম।

    এর আগে রাউজানের ২ টি শক্তিশালী বিদ্যালয়ের অংশগ্রহণে ৪র্থ আন্তঃস্কুল-মাদরাসা বিতর্ক প্রতিযোগিতার এবারের আসরের সমাপনী প্রতিযোগিতা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করে গহিরা এ.জে.ওয়াই.এম.এস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। রানার-আপ হয় রাউজান আর.আর.এ.সি মডেল সরকারি হাই স্কুল।

    সেরা বিতার্কিক নির্বাচিত হয় গহিরা এ.জে.ওয়াই.এম.এস বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়ের ২য় বক্তা নিপা দে। প্রতিযোগিতায় বিচারক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দৃষ্টি চট্টগ্রাম এর সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আরাফাত, সহ-সম্পাদক রিদোয়ান আলম আদনান ও সহ-সম্পাদক মুন্না মজুমদার।

    এতে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জানে আলম জনি, নজরুল ইসলাম চৌধুরী, জিল্লুর রহমান মাসুদ, মোহাম্মদ আসিফ, আরমান সিকদার, সেন্ট্রাল বয়েজ অব রাউজান এর সাধারণ সম্পাদক ইমতিয়াজ জামাল নকিব, শাহরিয়ার হাসান সাকিব, তারেক হাসান, আবু বক্কর আরাফাত, মোহাম্মদ রিফাত, আরফান গণি ফাহিম, জুনাইদ উল্লাহ, তাজনবী ইমন, মিজানুর রহমানসহ সংগঠনের অন্যান্য নেতৃবৃন্দ।

  • রাউজানে ২৩২ মণ্ডপে দুর্গাপুজার প্রস্তুতি, প্রতিমায় রং-তুলির প্রলেপ

    রাউজানে ২৩২ মণ্ডপে দুর্গাপুজার প্রস্তুতি, প্রতিমায় রং-তুলির প্রলেপ

    রাউজান (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি : হাতে গোনা আর মাত্র কয়েকদিন বাকি। এরপরই শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় অনুষ্ঠান শারদীয় দুর্গাপূজা।

    দেশের অন্যান্য স্থানের মতো রাউজানেও দুর্গাপূজার আয়োজনকে ঘিরে স্ব স্ব এলাকার পূজা উদযাপন কমিটির নেতৃবৃন্দরা পূজার সার্বিক প্রস্তুতি নিয়ে ব্যস্ত। পূজার দিনক্ষণ যতই গণিয়ে আসছে ততই ব্যস্ত সময় পার করছে প্রতিমা শিল্পীরা।

    রাউজান পুজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক সুমন দে বলেন, সারাদেশের মধ্যে জেলা-উপজেলা পর্যায়ে রাউজানেও অনেক বেশি পুজা মন্ডপ রয়েছে। অন্যান্য বছরের মতো এবারো দুর্গাপূজাকে ঘিরে উৎসবমুখর রাউজানের সনাতন ধর্মের মানুষ। প্রতিবছর সমগ্র রাউজানে শারদীয় দুর্গাপূজার সময় যে উৎসবের আমেজ বিরাজমান থাকে তা সত্যিই বিরল।

    সরেজমিনে পরিদর্শনকালে দেখা গেছে, রাউজানের বিভিন্ন ইউনিয়নে পুজা নিয়ে ব্যস্ততার দৃশ্য চোখে পড়ছে। মন্ডপগুলোতে চলছে প্রতিমা তৈরী সহ নানা আনুষাঙ্গিক প্রস্ততি।

    উপজেলার নোয়াপাড়া গৌরাঙ্গ বাড়ী মাঠ, ফকিরহাট কালিবাড়ী, বাইন্ন্যা পুকুর পাড়, কুন্ডেশ্বরী, সত্যের দোকানসহ আরো বেশ কিছু স্থানে চলছে প্রতিমা তৈরীর কাজ।

    গত মঙ্গলবার উপজেলার নোয়াপাড়া ইউনিয়নের পল্লী মঙ্গল সমিতির গৌরাঙ্গ বাড়ির মাঠে গিয়ে কথা হয় শরিয়তপুরের প্রতিমা শিল্পী অনিল পালের সঙ্গে। তিনি বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরেই প্রতিমা তৈরী করে আসছেন তিনি। শুধু দুর্গাপূজা নয় বছরের অন্যান্য সময়ে স্বরস্বতি পূজাসহ বিভিন্ন পূজা-পার্বনে প্রতিমা তৈরীর অর্ডার আসে। বছর জুড়েই তিনি এই কাজে ব্যস্ত থাকেন। তাকে সহযোগিতা করেন তার দুই পুত্র সমল পাল ও অলক পাল।

    তিনি বলেন, এ বছর বড়-ছোট মিলিয়ে ৩৪ টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন তিনি।প্রকারভেদে তার তৈরীকৃত প্রতিমা সর্বোচ্চ ৩৭ হাজার টাকায় তিনি অর্ডার নিয়েছেন। বাকীগুলো ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকার মধ্যে।

    প্রতিমা শিল্পী অনিল পাল আক্ষেপ করে বলেন, এখন প্রতিমা তৈরী করতে খরচ অনেক বেড়ে যাওয়ায় তাদের সংসার চালাতে অনেক হিমশিম খেতে হয়। তিনি বলেন, আগে আমরা কম টাকার অর্ডার নিয়েও পোষাতে পারতাম আর এখন কারিগরের বেতন, প্রতিমা তৈরীর আনুষাঙ্গিক খরচাদি বেড়ে যাওয়ায় তেমন একটা লাভ হয়না। একেকজন কারিগরের বেতন ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

    দুর্গাপূজা মৌসুমে কারিগর ও হেলপার মিলে তার সাথে আটজন কাজ করেছেন।বর্তমানে শেষের দিকে কাজ কমে আসায় বর্তমানে ৪ জন কাজ করছেন।

    উত্তর গুজরা রামকৃঞ্চ সেবাশ্রম পূজা উদযাপন কমিটির সাধারণ সম্পাদক চন্দন খাস্তগীর বলেন, পূজা উদযাপনে তাদের মন্ডপে সাড়ে তিন লক্ষাধিক টাকার বাজেট থাকে। বাইরে থেকে শিল্পী এনে তাদের পূজা মন্ডপেই প্রতিমা তৈরী করা হচ্ছে। প্রতিমা তৈরীতে তাদের ত্রিশ হাজার টাকার মতো খরচ হচ্ছে।

    রাউজান ফকিরহাট কালি বাড়ির প্রতিমা শিল্পী নান্টু পাল বলেন, শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে তিনি ২৫-৩০টি প্রতিমার অর্ডার পেয়েছেন। বর্তমানে প্রতিমা গুলোতে রং তুলির প্রলেপ দেওয়া হচ্ছে।

    রাউজান উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি চেয়ারম্যান প্রিয়তোষ চৌধুরী ও সম্পাদক সুমন দে জানান, রাউজানের ১৪টি ইউনিয়ন ও পৌরসভায় এ বৎসর ২৩২টি পূজামণ্ডপে শারদীয় দুর্গোৎসব পালন করা হবে। অন্যান্য বছরের চাইতে চলতি বছর রাউজানে আরো ২টি পূজামন্ডপ বেড়েছে।

    দক্ষিণ রাউজান পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি প্রকাশ শীল ও সাধারণ সম্পাদক ম্যালকম চক্রবর্তী বলেন, দুর্গাপূজাকে ঘিরে রাউজানের সর্বত্র উৎসবের আমেজচ সৃষ্টি হয়েছে।

    রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জোনায়েদ কবির সোহাগ বলেন, রাউজানে অত্যন্ত উৎসবমুখর পরিবেশে শারদীয় দুর্গাপূজা অনুষ্টিত হয়ে আসছে। অন্যান্য বছরের ধারাবাহিকতায় এবারো পূজার সময় যাতে সনাতন ধর্মাবলম্বীরা উৎসবমুখর এবং আনন্দঘন পরিবেশে পূজা পালন করতে পারে সে ব্যাপারে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।

    আগামী ৩ অক্টোবর থেকে শুরু হবে দুর্গাপূজার আনুষ্টানিকতা। ৮ অক্টোবর বিজয়াদশমীর মধ্যদিয়ে মা দূর্গাকে বিসর্জন দেয়া হবে।

    ২৪ঘন্টা/এন রানা/রাজীব..