Tag: রাঙ্গুনিয়া

  • রাঙ্গুনিয়ায় ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে তথ্যমন্ত্রী’র ভোট প্রার্থনা

    রাঙ্গুনিয়ায় ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে তথ্যমন্ত্রী’র ভোট প্রার্থনা

    দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী আংশিক) আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা মার্কার প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ভোটারদের দুয়ারে দুয়ারে ঘুরে নৌকা প্রতীকে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

    সোমবার (২৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যার পর থেকে নির্বাচনী গণসংযোগের শুরুতে তিনি রাঙ্গুনিয়ার রাহাতিয়া দরবারে মাজার জেয়ারত করেন। এরপর প্রচারণার শুরু থেকে স্থানীয় নেতৃবৃন্দের পাশাপাশি সর্বসাধারণের মাঝে বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাস দেখা দেয়।

    সড়ক ও আশেপাশের বাড়িঘর থেকে তথ্যমন্ত্রীকে দেখতে ভিড় করেন সাধারণ মানুষ এবং পুষ্পবৃষ্টি নিক্ষেপ করেন। এসময় মন্ত্রী সবার উদ্দেশ্যে হাত নেড়ে অভিবাদন জানান এবং স্থানীয় মুরব্বিসহ জনসাধারণের সাথে হাত মেলান। নেতৃবৃন্দের উচ্ছ্বাসের জবাবে তিনি নিজেও নৌকা প্রতীকে ভোট চেয়ে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

    প্রচারণাকালে তিনি মরিয়মনগর গাজী রশিদিয়াপাড়া, আমিরকুলালপাড়া, পাঁচবাড়ি, সোনালী ব্যাংক চত্বর, বালুগোট্টা, চন্দ্রঘোনা-কদমতলী ইউনিয়নের কাটাখালী, কদমতলী, জিয়ামার্কেট, বনগ্রামসহ বিভিন্ন গ্রামে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং একাধিক পথসভায় বক্তব্য দেন তিনি।

    পথসভায় বক্তব্যে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, একজন শ্রমিক কিংবা কামলার চাকুরির সময়সীমা সর্বোচ্চ ৮ ঘন্টা। আর আমি দৈনিক ১৬ ঘন্টা পরিশ্রম করি। রাত দুটার আগে কখনো ঘুমাতে পারিনা। সবার শুক্র ও শনিবার ছুটি আছে, আর আমার কোন ছুটি নাই। গত ১৫টি বছর ধওে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের জন্য আমি নিরন্তর কাজ করেছি। আমাকে ভোট দেয়নি, আমার বিরুদ্ধে ক্যাম্পেইন করেছে এরকম মানুষের চাকুরীও আমার হাত ধরে হয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, ‘গত ১৫ বছর দল-মত, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে রাঙ্গুনিয়ার সব মানুষের খেদমত করেছি। সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা রেখেছি। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি। আপনারা আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটা খোলা রাখবেন, এবং আগামী ৭ জানুয়ারি নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে পুনরায় এমপি নির্বাচিত করার আহ্বান জানান তথ্যমন্ত্রী।

    এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন চুয়েটের ভিসি অধ্যাপক ড. রফিকুল আলম, কনকর্ড ইন্টারন্যাশনালের মালিক মোহাম্মদ আবু জাফর, উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, শফিকুল ইসলাম, ইফতেখার হোসেন বাবুল, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারসহ উত্তর জেলা, উপজেলা ও স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

  • রাজনীতির ব্যাঙদের আওয়াজ এখন খুব বড় হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    রাজনীতির ব্যাঙদের আওয়াজ এখন খুব বড় হয়ে গেছে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রাণীকুলের মধ্যে ব্যাঙ খুব ছোট, কিন্তু তাদের আওয়াজ খুব বড়। রাজনীতির মধ্যেও কিছু ব্যাঙ আছে। কিছু ছোট ছোট রাজনৈতিক দল আছে তাদের দেখি আওয়াজ খুব বড়। বিএনপির সাথেও এধরণের কিছু রাজনীতির ব্যাঙ আছে। এসব ছোট রাজনৈতিক দল গুলোর আওয়াজ খুব বড়। রাজনীতির ব্যাঙদের আওয়াজ এখন খুব বড় হয়ে গেছে।

    তিনি বলেন, বিএনপির নির্বাচন বর্জনের হাঁকডাক এখন নির্বাচনী প্রচারণার মধ্যেই ঢাকা পড়ে গেছে। তাদের এই নির্বাচন বর্জনের ডাকে এখন কেউ আর সাড়া দেয়না, এমনকি বিএনপির নেতাকর্মীরাও সাড়া দেয়নি। বিএনপি’র অনেক নেতা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে, বিএনপির নেতারা বের হয়ে তৃণমূল বিএনপি গঠন করেছে। আমাদের এখানেও তৃণমূল বিএনপির প্রার্থী আছে।

    শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম-৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) আসনের সাবেক ও বর্তমান চেয়ারম্যান-মেম্বার, মেয়র ও কাউন্সিলরদের সাথে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে পৌরসভার আলহ্জ্ব এডভোকেট নুরুচ্ছফা তালুকদার অডিটোরিয়ামে এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে দেশে একটি সুষ্ঠু অবাধ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি হযেছে। গ্রামে-গঞ্জে হাঁটে মাঠে-ঘাটে সব জায়গায় আজ নির্বাচনের আলোচনা। নির্বাচনের ঝড় এখন সমগ্র বাংলাদেশে শুরু হয়ে গেছে। সমগ্র বাংলাদেশে বিএনপি’র শত শত নেতা আজকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করছে, নির্বাচনের সাথে যুক্ত হয়েছে। তাদের নির্বাচন বর্জনের যে ডাক সেটি ভন্ডুল হয়ে গেছে। এখন তারা দেশে আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে মানুষকে ভীতসন্ত্রস্ত করার অপচেষ্টা করছে।

    তিনি বলেন, ঢাকায় একটি ট্রেনের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় আগুন জ্বালিয়ে চারজন মানুষকে হত্যা করেছে। একজন মা মৃত্যুর মধ্যেও সন্তানকে বুকে আগলে রেখেছে, বুক থেকে অঙ্গার হয়ে যাওয়া সন্তানকে সড়ানো যাচ্ছে না। এই ধরণের বিভৎসতা কোন রাজনৈতিক দল করতে পারে না, যেটি বিএনপি করছে। পৃথিবীর কোথাও এগুলো ঘটছে না। সুতারাং, এই বিএনপি আর জনগণের কাছে আসার কোন সুযোগ নেই। আমরা আগুন সন্ত্রাসীদের নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর। এখন বিএনপি নেতাদেরও দেখা যাচ্ছে না। তারা ঢাকা শহরে নাকি লিফলেট বিলি করছে। আজকে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ, এদের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানাচ্ছে। আগুন সন্ত্রাস চালিয়ে জনগণের শত্রুতে রূপান্তরিত হয়েছে। এদের নির্মূল করতে আমরা বদ্ধপরিকর।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, বিএনপি যাদের উপর ভরসা করেছিল তারাও বলছে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন চায়। কদিন আগে জাতিসংঘ বিবৃতি দিয়েছে, নির্বাচনে যাতে সবাই ভোট দিতে পারে। তার মানে বিএনপি যে নির্বাচনে বাঁধা দিচ্ছে, তার বিরুদ্ধেই তারা সেটি বলেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রও বলেছে একটি অবাধ সুষ্ঠু ও সুন্দর নির্বাচন হওয়া দরকার, আমরা সেটাই করতে চাই, সেটিতে বাঁধা দিচ্ছে বিএনপি। আমরা আশা করবো ভিসা নীতি যেটি ঘোষণা করা হয়েছে, বিএনপিসহ যারা এই নির্বাচনে বাঁধা দিচ্ছে, তাদের উপরই এই ভিসা নীতি যেন প্রয়োগ করা হবে, ইনশাল্লাহ।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হ৯াছান বলেন, জনপ্রতিনিধিরাই সমাজের স্বাভাবিক নেতা। নির্বাচন উপলক্ষে তাই আমি প্রথম বৈঠকটি আপনাদের দিয়েই শুরু করেছি। জনপ্রতিনিধিরাই কারো বাড়ির উঠানে, চায়ের দোকানে মাঠে-ঘাটে ও মসজিদের আঙ্গিনায় থাকেন। আপনারা যেকথাটি মানুষকে বলবেন, সেটি মানুষের কাছে পৌঁছাবে। আপনারাই প্রান্তিক জনগোষ্ঠির কাছে বার্তা পৌঁছানোর কাজটি করেন।

    তিনি বলেন, গত ১৫ বছর আমি সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা এবং নিষ্ঠা দিয়ে চেষ্টা করেছি এলাকার মানুষের পাশে থাকা এবং এলাকার উন্নয়ন করার জন্য। চেষ্টা করেছি সব মানুষের এমপি হওয়ার জন্য। গত ১৫বছর সবার জন্য আমার দুয়ার খোলা ছিল। কে আমাকে ভোট দিয়েছিল, কে দেই নাই, ভবিষ্যতে কে দিবে কিংবা দিবে না, সেটি আমি মাথায় রাখিনা। যেই আমার কাছে আসে চেষ্ঠা করি উপকার করার। গত ১৫টি বছর সব মানুষের জন্য আমার দরজাটি খোলা রেখেছি। কে আমাকে ভোট দিয়েছিলো কিংবা দেয়নি কিংবা ভবিষ্যতে দেবে না তা আমি কখনো ভাবিনি। অন্তত চেষ্টা করি কথা দিয়ে হলেও শান্তি দেয়ার। এভাবেই সবসময় চেষ্টা করেছি।

    নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, জহির আহমদ চৌধুরী, সাবেক চেয়ারম্যান নুর কুতুবুল আলম, ইকবাল হোসেন চৌধুরী মিল্টন, এম এ মান্নান চৌধুরী, ফজলুল কবির গিয়াসু, বর্তমান ইউপি চেয়ারম্যান আহমদ সৈয়দ তালুকদার, দানু মিয়া, আবু জাফরসহ ইউপি সদস্যগণ বক্তব্য রাখেন।

  • নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপিকে শক্তিশালী ভিটামিন দিয়েও দাঁড় করানো যাচ্ছে না

    নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্রকারী বিএনপিকে শক্তিশালী ভিটামিন দিয়েও দাঁড় করানো যাচ্ছে না

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আজকে নির্বাচন নিয়ে জনগণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বিএনপিসহ দেশে-বিদেশে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল তারা বেলুনের মত টুস করে চুপসে গেছে। এখন শক্তিশালী ভিটামিন ট্যাবলেট দিয়েও বিএনপিকে দাঁড় করানো যাচ্ছে না। ইনশাআল্লাহ ৭ই জানুয়ারি ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সারা দেশের মতো এই রাঙ্গুনিয়ায়ও হাজার হাজার, লক্ষ লক্ষ মানুষ নিয়ে আমরা সবাই ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিব।

    নির্বাচন নিয়ে যারা ষড়যন্ত্র করেছিল, তারা এখন গর্তের মধ্যে ডুকেছে, এবং বিএনপির রিজভী আহমেদও গর্তের ভিতর ডুকেছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, যখন ইঁদুরকে দৌড়ানো হয়, ইঁদুর তখন গর্তের মধ্যে ডুকে। জনগণ বিএনপিকে ধাওয়া করেছে, জনগণের দৌড়ানি খেয়ে গর্তের মধ্যে ডুকেছে। আপনারা যারা ইঁদুর ধাওয়া করেছেন তারা জানেন, ইঁদুর গর্তের ভিতর ডুকে চোখ মেলে মেলে তাকায়। এখন বিএনপির রিজভী আহমেদ গর্তের ভিতর থেকে চোখ মেলে মেলে তাকায় আর কর্মসূচি ঘোষণা করেন।

    সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-০৭ সংসদীয় আসনে (রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী আংশিক) বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ ইছাখালীস্থ রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ের সামনে থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনি প্রচারণা শুরু করেন। চট্টগ্রাম-কাপ্তাই সড়ক দিয়ে মরিয়মনগর চৌমুহনী গিয়ে পথসভার মধ্য দিয়ে শেষ করেন। পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    এরআগে পাহাড়ের চুড়ায় সত্যপীরের মাজার এবং নিজের পিতা-মাতাসহ মুরুব্বীদের কবর জিয়ারতের মাধ্যমে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন তিনি।

    রাঙ্গুনিয়ায় সড়কে বাইসাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শেষে পথসভায় বক্তব্য দেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপির কর্মসূচি হচ্ছে গাড়ি ঘোড়া পোড়ানো। গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো কোন রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি হতে পারে না। যারা গাড়ি-ঘোড়া পোড়ায় তাদেরকে আমরা বর্জন করি, তাদেরকে জনগণও বর্জন করেছে। সুতরাং রাঙ্গুনিয়ার মাটিতেও তাদের কোন স্থান নাই। রাঙ্গুনিয়ায় যারা ছিল তারাও গর্তের মধ্যে ডুকেছে। আমরা কিন্তু বলি নাই গর্তের মধ্যে ডুকার জন্য, এরপরও জনরোষ থেকে উদ্ধার পাওয়ার জন্যই তারা এখন গর্তে ডুকেছে।

    তিনি বলেন, এই নির্বাচন যাতে অনুষ্ঠিত না হয়, সেজন্য অনেক ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। বিএনপি-জামাত মনে করেছিল, আমরা নির্বাচন করতে পারব না। এখন তারা বুঝতে পেরেছে, সমস্ত প্রতিকূলতাকে উপড়ে ফেলে দেশে একটি অংশগ্রহণমূলক জনগণের ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। যেভাবে প্রতিবার ভোটকেন্দ্রে গিয়ে আপনারা ভোট দিয়েছেন এবারও দ্বিগুণ উৎসাহে মা-বোনদের সাথে নিয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য আপনাদের প্রতি বিনীত অনুরোধ জানাই।

    সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ৫৪ সালে সাইকেলে চড়ে নির্বাচনী প্রচারণা করেছিলেন। ৫৪ সাল থেকে আমাদের দলীয় প্রতীক হচ্ছে নৌকা, আমি আজকে রাঙ্গুনিয়ার দলীয় কার্যালয় থেকে সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি। এবং আজকে আমি নৌকায় চড়ে কর্ণফুলী নদী পাড় হয়েছি। যারা ‘বঙ্গবন্ধু’ ছবি দেখেছেন, সেখানে আপনারা দেখেছেন বঙ্গবন্ধু কিভাবে নৌকায় চড়তেন। নৌকা এবং সাইকেলে চড়ে বঙ্গবন্ধু নির্বাচনী প্রচারণা করতেন, এবং নৌকায় করে যাতায়াত করতেন। বঙ্গবন্ধুর সেই স্মৃতিকে স্মরণ করে আজকে আমি নৌকায় চড়েছি এবং সাইকেল চালিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেছি।

    নির্বাচনী এলাকার জনগণের উদ্দেশ্যে তথ্যমন্ত্রী হাছান বলেন, আমি প্রতিবারই আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছি, কিন্তু নির্বাচিত হবার পর আমি সব মত-পথের মানুষের এমপি হিসেবে কাজ করার চেষ্টা করেছি, কে কোন দলের সেটি কখনো দেখি নাই। আমার কাছে যিনিই গেছেন, আমি কাউকে নিরাশ করি নাই। গত ১৫ বছর ধরে আমার দুয়ার সব মানুষের জন্য খোলা ছিল। এখন আমি আপনাদের দুয়ারে হাজির হয়েছি, আপনাদের কাছে আমার বিনীত ফরিয়াদ, আপনারা দয়া করে আমার জন্য আপনাদের দুয়ারটি খুলে দিবেন।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আজকে সারাদেশে অভাবনীয় উন্নয়ন হয়েছে। দেশের অনেক উপজেলার চেয়ে বেশি উন্নয়ন আমাদের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা ও বোয়ালখালী অংশে হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনা আমাকে মনোনয়ন না দিলে আপনারা আমাকে ভোট দিতে পারতেন না। আপনারা আমাকে নির্বাচিত করেছেন, তিনি আমাকে মন্ত্রীর দায়িত্ব দিয়েছেন। সেই দায়িত্বে থাকার কারণে আমার পক্ষে এখানে উন্নয়ন করা সম্ভবপর হয়েছে, অন্যতায় এত উন্নয়ন করা সম্ভবপর হতো না। আপনাদের সেই ভালবাসার প্রতিদান আমি দেয়ার চেষ্টা করেছি।

    এসময় নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান ও উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার, উত্তরজেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইফতেখার হোসেন বাবুল, আকতার হোসেন খান, নির্বাচনী পরিচালনা কমিটির সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, গিয়াস উদ্দিন খান স্বপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

  • নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও উৎসবমুখর করতে সবাইকে কাজ করতে হবে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন নির্বাচনকে অবাধ, নিরপেক্ষ, সুষ্ঠু এবং উৎসবমূখর করতে সবাইকে যার যার অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, সবাই যেন নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে এসে ভোট দেয় তার জন্য ভোটারদের কাছে গিয়ে ভোট চাইতে হবে। প্রত্যেক ভোটারের কাছে ভোটার কার্ড পাঠাতে হবে। ভোটাররা যেনো ভোট কেন্দ্রে এসে উৎসবের আমেজে ভোট দিতে পারে সেটা নিশ্চিত করতে হবে।

    শুক্রবার (৮ ডিসেম্বর) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে চট্টগ্রাম-০৭ (রাঙ্গুনিয়া ও বোয়ালখালী আংশিক) সংসদীয় নির্বাচনী এলাকায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচন পরিচালনা কমিটির বিশেষ বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদারের সঞ্চালনায় এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কোন ভোটকে হালকাভাবে নিতে নেই। প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা বলেছিলেন, ভোটের আগে যেই জিতে যায়, সেই হেরে যায়। তাই ভোটের আগে দয়া করে কেউ জিতে যাবেন না। কারণ পিঁপড়ার শক্তিও কিন্তু শক্তি। সুতরাং নির্বাচন পরিচালনা কমিটিতে কাউকে বাদ দিতে নাই, সবাইকে রাখতে হবে। সেভাবেই সবাইকে কাজ করতে হবে।

    তিনি বলেন, নির্বাচনকে উৎসবমূখর করতে উঠান বৈঠক, পাড়া বৈঠক, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড শুরু করে ভোটের মধ্যে উৎসাহ উদ্দীপনা তৈরি করতে হবে। না হয় মানুষ ভোট দিতে উৎসাহবোধ করবে না। আমজনতাকে এই ভোটের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করতে হবে।

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ইনশাল্লাহ আমরা একটা উৎসবমুখর ভোট করবো। মানুষ লাইন ধরে একেবারে সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট দেবে। ভোটার উপস্থিতির ক্ষেত্রেও যেন রেকর্ড করতে পারি, সে জন্য ভোটারদেরকে উৎসাহ দিতে হবে। বাংলাদেশের যাতে রেকর্ড করে আমরা সেরকম একটা রেজাল্ট করতে পারি, সেই লক্ষ্যে কাজ করতে হবে সবাইকে।

    সভায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কাশেম চিশতি, মো. শাহজাহান সিকদার, নজরুল ইসলাম তালুকদার, ইদ্রিছ আজগর, কামরুল ইসলাম চৌধুরী, বেদারুল আলম চৌধুরী বেদার, আকতার হোসেন খাঁন, ইফতেখার হোসেন বাবুল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি আবদুল মোনাফ সিকদার, আওয়ামী লীগ নেতা খালেদ মাহমুদ, মাস্টার আসলাম খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

  • রাঙ্গুনিয়ার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়ার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়া প্রেসক্লাবের স্থায়ী সদস্য ও দৈনিক ‘দেশ রূপান্তর’ পত্রিকার রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি এম এ কোরাশী শেলু (৫৬) আর নেই। বৃহস্পতিবার রাতে নিজগৃহে ঘুমন্ত অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)। মৃত্যুকালে তিনি বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ১ ছেলে ও ১ মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।

    শুক্রবার (২৪ নভেম্বর) বাদে আছর মরহুমের জানাযার নামাজ শেষে রাঙ্গুনিয়ার চন্দ্রঘোনা মালেক সওদাগর বাড়ির পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পরিবার থেকে জানানো হয়।

    এম এ কোরেশী শেলু এর আগে দীর্ঘদিন দৈনিক ভোরের কাগজ সহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সাংবাদিকতা করেছেন। তার ক্ষুরধার লেখনিতে সমাজের নানা অসঙ্গতি তুলে ধরতে কখনো আপোষ করেননি।

    মফস্বলের পেশাদার সাংবাদিক এম এ কোরেশী শেলু’র মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন চট্টগ্রাম-০৭ রাঙ্গুনিয়া আসন থেকে বারবার নির্বাচিত সংসদ সদস্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    দীর্ঘদিন ধরে সাহসিকতার সাথে সাংবাদিকতা করা এম এ কোরেশী শেলু’র বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, একজন নির্লোভ, সৎ ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন এম এ কোরেশী শেলু। বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের আপোষহীন কণ্ঠ এই কলম সৈনিক সমাজে বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ছড়িয়ে দিতে আমৃত্যু অবদান রেখে গেছেন।

    এছাড়া রাঙ্গুনিয়া প্রেস ক্লাবের সকল নেতৃবৃন্দ তাদের সহকর্মী শেলু’র মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।

  • দল না করে, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: ড. হাছান মাহমুদ

    দল না করে, ত্যাগ-তিতিক্ষা ছাড়া মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নেই: ড. হাছান মাহমুদ

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘আমাদের দল আওয়ামী লীগের ক্ষেত্রে দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই। অবশ্যই তার দলীয় ত্যাগ-তিতিক্ষা থাকতে হবে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা ও জনপ্রিয়তা থাকতে হবে। এর বাইরে কারো মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ নাই।’

    রোববার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থিতার দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন চট্টগ্রাম-৭ আসনের সংসদ সদস্য ড. হাছান মাহমুদ।

    আওয়ামী লীগ থেকে অনেক নেতা মনোনয়ন ফরম সংগ্রহের বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমাদের দল নির্বাচনী এলাকাগুলোতে দীর্ঘদিন ধরে জরিপ চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকায় বহু নেতা এমপি হওয়ার যোগ্যতা রাখে। সে জন্য প্রত্যেকটি নির্বাচনী এলাকাতে অনেক নেতা নমিনেশন নেওয়াটা খুবই স্বাভাবিক, এটি অস্বাভাবিক কোনো কিছু নয়, সবসময় এটি হয়ে এসেছে। কিন্তু কোনো হাইব্রিডের মনোনয়ন পাওয়ার সুযোগ নাই। দল সবাই করতে পারে। দল অনেক সময় এটিও বিবেচনা করে যে, দীর্ঘ ধারাবাহিকতা না থাকলেও জনপ্রিয়তা আছে। কিন্তু দল না করে মনোনয়ন পাওয়ার কোনো সুযোগ আওয়ামী লীগে নাই।’

    নিজের নির্বাচনী প্রস্তুতি নিয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমার ইলেকশন শুধু ইলেকশন আসলে না, আমি সারা বছর ইলেকশন করি, প্রতি সপ্তাহেই নির্বাচনী এলাকাতে যাই, চট্টগ্রামে যাই, সারা বছর মানুষের সাথে থাকি। ইলেকশন উপলক্ষে যে ঝাঁপিয়ে পড়া সেটি আমার ক্ষেত্রে নয়। আমি সারা বছর দলমত নির্বিশেষে মানুষের সাথে থাকি। কারণ আমি ভাবি যে, আমাকে মনোনয়ন দেওয়ার সময় আওয়ামী লীগের প্রার্থী ছিলাম, যখন এমপি হয়ে গেছি তখন সব মানুষের। এবারও দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, আশা করি যে, আমি যেভাবে দল-মত নির্বিশেষে মানুষের পাশে থেকেছি, মানুষও দল-মত নির্বিশেষে ভোটের সময় আমার পাশে থাকবে।’

    নির্বাচনী কাজে তরুণদের অংশগ্রহণ বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে হাছান বলেন, ‘আমাদের শ্লোগানই হচ্ছে- তারুণ্যই শক্তি, তারুণ্যই সমৃদ্ধি। তরুণদের ওপর নির্ভর করেই দেশ এগিয়ে যাবে। সুতরাং তরুণরা আমাদের নির্বাচনী মেনিফেস্টো বলুন, নির্বাচনী কর্মকান্ড বলুন, সব কিছুতেই তরুণদের প্রাধান্য থাকবে।’

    নির্বাচনে বিএনপি আসবে কি না এ প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘ইলেকশনের ট্রেন চলা শুরু হয়ে গেছে। এখন ট্রেনে যদি কেউ উঠতে না পারে তাহলে তো করার কিছু নাই। গতবার বিএনপি ইলেকশনের ট্রেনের পাদানিতে উঠেছিলো, তার আগেরবার ইলেকশনের ট্রেন মিস করেছিলো। আজকে সারাদেশে মানুষের মধ্যে যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা দেখা যাচ্ছে এতেই প্রমাণিত হয় কেউ নির্বাচন বর্জন করলেও জনগণ ব্যাপকভাবে অংশগ্রহণ করবে।’

    মনোনয়ন সংগ্রহকালে তথ্যমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকা রাঙ্গুনিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ দলীয় নেতাকর্মী সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

  • চট্টগ্রামে তিন উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রামে তিন উপজেলাকে ভূমিহীন-গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী

    চট্টগ্রামের বাঁশখালী, ফটিকছড়ি এবং রাঙ্গুনিয়া উপজেলাকে মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া এদিন প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের ৯টি প্রতিষ্ঠানের ১৫টি প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

    ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।
    ৪র্থ পর্যায়ে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে চন্দনাইশে ৩৫টি, বাঁশখালীতে ৪৬টি ও চন্দনাইশ উপজেলায় জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে ১০০টি পরিবারসহ মোট ২৬৭টি পরিবারকে গৃহ হস্তান্তর কার্যক্রমের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী ।

    এর আগে চট্টগ্রাম জেলায় ৮টি উপজেলা পটিয়া, কর্ণফুলী, সাতকানিয়া, লোহাগাড়া, রাউজান, বোয়ালখালী, আনোয়ারা এবং হাটহাজারী উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলার সন্দ্বীপ, সীতাকুন্ড, মীরসরাই এবং চন্দনাইশ উপজেলা ছাড়া বাকি ১১টি উপজেলা ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত হবে।

    ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে ১ম পর্যায়ে ১ হাজার ৪৪৪টি, ২য় পর্যায়ে ৬৪৯টি, ৩য় পর্যায়ে ১৬২টি, ৪র্থ পর্যায়ে ১ হাজার ১৩৭টি, ৪র্থ পর্যায়ের অবশিষ্ট ৮৬টি, ৫ম পর্যায়ে ৮১টি ও জরাজীর্ণ ব্যারাক প্রতিস্থাপন করে একক গৃহ নির্মাণ ১০০টি পরিবারসহ মোট ৫ হাজার ৪৫৯টি ঘর বরাদ্দ দেওয়া হয়।

  • সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    সরকার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের বিষয়ে যথেষ্ট আন্তরিক, বরং বিএনপি বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে রাজনীতি করছে।

    তিনি বলেন, খালেদা জিয়া যতোবারই হাসপাতালে গেছে ততবারই বিএনপি বলেছে বিদেশ না পাঠালে খালেদা জিয়ার জীবন সংকটাপন্ন এবং তাকে বাচাঁনো কঠিন হবে। কিন্তু প্রতিবারই আল্লাহর রহমতে তিনি হাসপাতালে বাংলাদেশের চিকিৎসকদের চিকিৎসা ও সেবায় সুস্থ হয় বাড়ি ফেরত গেছে। এখনো বেগম খালেদা জিয়া যাতে সর্বোচ্চ চিকিৎসা পায় সরকার সেজন্য যা কিছু করা দরকার সেটি করছে।

    শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াস্থ শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে নতুনভাবে চালুকৃত ক্যাবলকার (রোপওয়ে) উদ্বোধন শেষে বেগম খালেদা জিয়াকে সরকার হত্যার চেষ্ঠা করছে বলে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু’র বক্তেব্যের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রকৃতপক্ষে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা দেশের পরিবেশ প্রকৃতি রক্ষার জন্য যেভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, সেকারণে দেশের পরিবেশ আগের চেয়ে অনেক ভালো। দেশে বন আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণ বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসাথে দেশে বৃক্ষ আচ্ছাদিত ভূমির পরিমাণও বৃদ্ধি পেয়েছে।

    তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ইচ্ছায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় শেখ রাসেল এভিযারি এন্ড ইকো পার্ক স্থাপন করতে পেরেছি। আজ থেকে প্রায় দশ বছরেরও বেশি সময় আগে এই পার্কে আসা-যাওয়া মিলে ২.৪ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের ক্যাবল কার (রোপওয়ে) স্থাপন করা হয়েছে। এই পার্কের উন্নয়নের জন্য আরও ১২৬ কোটি টাকা সরকার বরাদ্দ দিয়েছে।

    তিনি আরও বলেন, সেই বরাদ্দ থেকে আরও দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ ক্যাবল কার স্থাপন করা হবে। মোট ৪.৪ কিলোমিটার ক্যাবল কার স্থাপিত হবে। দেশের কোথাও এতো দীর্ঘ ক্যাবল কার নেই। শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে বিদেশের অনেক জাতের পাখি আছে, আমাদের দেশে অনেক সাফারি পার্ক আছে কিন্তু এরকম এভিয়ারি আমাদের দেশে আর কোথাও নাই। এটিই দেশের প্রথম এভিয়ারি পার্ক। আমি মনে করি শেখ রাসেল এভিয়ারি পার্কে ক্যাবল কার পুনঃউদ্যোমে যখন চালু হবে তখন দেশ এবং বিদেশের পর্যটকদের জন্য জনপ্রিয় গন্তব্যস্থলে পরিণত হবে।

    চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের আয়োজনে চট্টগ্রাম অঞ্চলের বন সংরক্ষক বিপুল কৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সুফল প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ও উপ প্রধান বন সংরক্ষক গোবিন্দ রায়, চট্টগ্রাম দক্ষিণ বন বিভাগের ডিএফও আবদুল্লাহ আল মামুন, রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা স্বজন কুমার তালুকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গনি ওসমানী।

  • রাঙ্গুনিয়া যুবলীগ নেতা পারভেজের মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়া যুবলীগ নেতা পারভেজের মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলাধীন শিলক ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ও সাবেক ছাত্রনেতা মোহাম্মদ পারভেজ (৩৮) মৃত্যুবরণ করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। রোববার (৩০ জুলাই) রাত ১২টায় তিনি নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

    যুবলীগ নেতা পারভেজের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি।

    তথ্যমন্ত্রী এক শোকবার্তায় মরহুম পারভেজের রূহের মাগফেরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

    মন্ত্রী বলেন, মোহাম্মদ পারভেজ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল একজন সাহসী যুবলীগ নেতা ছিলেন। তিনি দলের দুঃসময়ে আন্দোলন সংগ্রামে সামনের সারিতে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাঁর মৃত্যু দলের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। আমি তাঁর মৃত্যুতে গভীরভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।

    উল্লেখ্য, রোববার বিভিন্ন রাজনৈতিক কর্মসূচীতে অংশগ্রহন শেষে ঘরে ফেরে বুকে ব্যথা অনুভব করলে তাকে চট্টগ্রাম নগরস্থ পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর চিকিৎসাধীন অবস্থায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন। মৃত্যুকালে মোহাম্মদ পারভেজ বাবা-মা, স্ত্রী, দুই ছেলে, কর্মী-সমর্থক ও অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাঙ্গুনিয়া আওয়ামী পরিবারের মাঝে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। সোমবার (৩১ জুলাই) দুপুর আড়াইটার দিকে শিলক উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তার নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

  • আগে আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবী তুলে মাছ-মাংসের দাম কমাতে : তথ্যমন্ত্রী

    আগে আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য, এখন দাবী তুলে মাছ-মাংসের দাম কমাতে : তথ্যমন্ত্রী

    তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, ‘দেশ এখন বদলে গেছে, মানুষের ভাগ্যও পরিবর্তন হয়েছে। গ্রাম এখন শহরে পরিণত হয়েছে। আগে মানুষ আন্দোলন করতো ডাল-ভাতের জন্য। আর এখন মানুষের জীবন মানের উন্নয়ন হওয়ায় এখন মাছ-মাংসের দাম কমানোর জন্য দাবী তুলে।

    তিনি বলেন, তৃণমুলের নেতারাই হচ্ছে আওয়ামী লীগের প্রাণ। গ্রামে গঞ্জে মহল্লায় আমাদের দলকে এই নেতারাই ধরে রেখেছেন। তাই নিজেরাই নিজেদের সমালোচনা না করে সবাইকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। গ্রামে-গঞ্জে, হাটে-ঘাটে মাঠে সাধারণ মানুষের কাছে সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরতে হবে।

    শুক্রবার (৩১ মার্চ) বিকালে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার শিলক এম শাহ আলম চৌধুরী ডিগ্রী কলেজ মাঠে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত চার ইউনিয়নের তৃণমূল প্রতিনিধি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, দেশের প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় পর্যন্ত যে উন্নয়ন হয়েছে তা সবার কাছে বলতে হবে। যারা ভোট আসলে লাফালাফি করে, লুকিয়ে লুকিয়ে শহরে গিয়ে খালেদা জিয়ার নামে স্লোগান দেই, তারা যে সড়ক কিংবা ব্রীজের উপর দিয়ে যায় সেটিও আওয়ামী লীগের করা। করোনাসহ কোন দুর্যোগ-দুর্বিপাকে তাদের পাওয়া যায়নি, তাদের বয়কট করে আগামীতেও সাংগঠনিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে হবে।

    তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়াসহ সারাদেশে সরকারের অভুতপূর্ব উন্নয়ন সম্ভব হয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের কারণে। তৃণমূলের নেতারাও সরকারের এসব উন্নয়নের দাবীদার। আমাদের দলের নাম বিক্রি করে কেউ যদি অপকর্ম করে তাদের ছাড় দেয়া হবে না। তাদের প্রকাশ্যে শায়েস্তা করতে হবে।

    উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি চেয়ারম্যান আবু জাফরের সভাপতিত্বে এবং এমরুল করিম রাশেদ ও মাহমুদুল হাসান বাদশার যৌথ সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগ নেতা স্বজন কুমার তালুকদার, আবুল কাশেম চিশতি, নজরুল ইসলাম তালুকদার, মুহাম্মদ আলী শাহ, ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, আকতার হোসেন খান, জাহাঙ্গীর আলম বাদশা, নিজাম উদ্দিন বাদশা, এম এ মান্নান চৌধুরী, শামসুদ্দোহা সিকদার আরজু, শেখ ফরিদ উদ্দিন চৌধুরী, আবদুর রউফ মাস্টার, আহসান হাবীব প্রমুখ।

  • রাঙ্গুনিয়ায় ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমা নিহত

    রাঙ্গুনিয়ায় ছুরিকাঘাতে এনজিও কর্মকর্তা চম্পা চাকমা নিহত

    চট্টগ্রামে রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় ছুরিকাঘাতে চম্পা চাকমা (২৮) নামে এক এনজিও কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন।

    রোববার (৫ মার্চ) রাত সোয়া ৮ টার দিকে রাঙ্গুনিয়া থানাধীন ধামাইরহাট ওয়ান ব্যাংকের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

    নিহত চম্পা চাকমা (২৮) রাঙ্গামাটির জেলার কোতোয়ালী থানার বন্দুক ভাঙ্গা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের ছক্রছড়ি গ্রামের শান্তিময় চাকমার মেয়ে। তিনি দীর্ঘদিন ধরে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা পদক্ষেপ লালানগর শাখায় সহকারী ব্যবস্থাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন।

    পুলিশ জানায়, হত্যাকারী হিসেবে অভিযুক্ত এনামুলের বাড়ি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার উত্তর পারুয়া গ্রামে। তিনি লাকড়ি সরবরাহের ব্যবসা করেন।

    রাঙ্গুনিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহবুব মিল্কী গণমাধ্যমকে বলেন, ধামাইরহাট ওয়ান ব্যাংকের নিচে চম্পা চাকমা নামে এনজিও কর্মীকে এক যুবক গলায় ছুরিকাঘাত করে। সেখান থেকে তাকে উদ্ধার করে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। গলার শ্বাসনালী বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার কারণে তার মৃত্যু হয়েছে চিকিৎসক জানায়।

    তিনি আরও বলেন, হত্যাকান্ডে জড়িত যুবক এনামুলকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ পাঠানো হয়েছে।

    জানা গেছে, হত্যাকারী এনামুল তার বোনের নামে পদক্ষেপ এনজিও থেকে এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। প্রতিমাসে ১০ হাজার টাকার কিস্তিতে সুদসহ পরিশোধের কথা ছিল। গত ২৮ ফেব্রুয়ারি নির্ধারিত তারিখে কিস্তি পরিশোধ করতে না পারায় এনামুলের সঙ্গে চম্পার ঝগড়া হয়।

  • রাঙ্গুনিয়ায় অর্ধশত অবৈধ ইটভাটা

    রাঙ্গুনিয়ায় অর্ধশত অবৈধ ইটভাটা

    পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই চলছে রাঙ্গুনিয়ার রাণীরহাটে অর্ধশত ইটভাটা। লোক লাগিয়ে অবৈধভাবে মাটির টপ সয়েল ও বনের কাঠ কেটে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিক ফিল্ড মালিকরা।

    জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান পরিচালনা করেও এ ধরণের অপরাধ দমন করা যাচ্ছে না। কয়লার দাম বেশী হওয়ায় বনের কাঠ জ্বলাতে বাধ্য হচ্ছে ফিল্ড মালিকরা এমন অভিযোগ সরকারের বিরুদ্ধে।

    দেখভাল করার কেউ না থাকায় চট্টগ্রামের রাঙ্গুনীয়া উপজেলার রাণীর হাট এলাকায় ফসলী জমি কেটে পুকুর বানিয়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছে ব্রিকফিল্ড মালিকদের বিরুদ্ধে।

    স্থানীয়দের অভিযোগ, কোন উর্বর জমির টপসয়েল বিক্রি করলেও জেলা প্রশাসন কিছুই বলছে না। আবার কাহারো জমি রাতের আঁধারেও কেটে নিয়ে যাচ্ছে ব্রিক ফিল্ড মালিকের লোকজন।

    আরো অভিযোগ রয়েছে, এনবিসি ব্রিকস, এআরবি ব্রিকস ও এমএমবি ব্রিকসসহ অর্ধশত ব্রিক ফিল্ড বিনা ছাড়পত্রে কাজ করলেও পরিবেশ অধিদফতর কিছুই বলছে না।

    বনবিভাগের গাছ-কাঠ দেদারসে ব্যবহার হলেও দেখার কেউ নেই। ব্রিকফিল্ডে সরকার জিকজাক মেশিন স্থাপনের কথা বললেও রাঙ্গুনিয়ার ক্ষেত্রে তা পরিবেশের কাগজে কলমে রয়ে গেছে।

    অভিযোগ উঠেছে, জমির টপসয়েল কেটে ব্রিকফিল্ডে মাটির যোগান দেওয়া হচ্ছে। রাতের আঁধারে বনবিভাগের কাঠ আসে ব্রিকফিল্ডের লাকড়ির যোগান দিতে। পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়াই এখন চলছে রাঙ্গুনিয়ার রাণীর হাট এলাকার প্রায় অর্ধশত ব্রিকফিল্ড। ছাড়পত্র নবায়নের জন্য পরিবেশ অধিদপতরে জমা দিলেও কি কারণে নবায়ন হচ্ছে না এ বিষয়ে ব্রিকফিল্ড মালিকরা মুখ খুলতে নারাজ।

    জমির টপসয়েল কেটে ব্রিকফিল্ড পরিচালনার বিরুদ্ধে কি পরিমাণ অভিযান হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আতাউল গণি ওসমানি বলেন, গুমাইবিল রক্ষায় আমরা খুব বেশী তৎপর। কারণ এটি খাদ্যভান্ডার। এর আশপাশ এলাকায় কোন ধরনের মাটি কাটার কোন সুযোগ নেই। তবে কেরাণীর হাট এলাকায় যেসব ব্রিকফিল্ড রয়েছে সেখানেও যাহাতে জমির টপসয়েল ব্যবহার না হয় সে বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যানদেরকে নিষেধ করা আছে। এরপরও কিছু অসাধু সরকারী বন্ধের দিনে ও রাতের আঁধারে কাটলেও সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায়ের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

    উর্বর জমির টপসয়েল কেটে নেওয়া প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়ার সহকারী কমিশনার ভূমি জামশেদুল আলম বলেন, জমির টপসয়েল কেটে নেওয়ার অপরাধে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। জমির মাটি নিয়ে পুকুর কেটে নেওয়ার বিষয়টি আমার জানা নেই। কেউ যদি এমন ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে তাহলে অপরাধীর বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

    ব্রিকফিল্ডে বনবিভাগের কাঠ ব্যবহার হচ্ছে এমন প্রসঙ্গে রাঙ্গুনিয়া রাণীর হাট রেঞ্জের ফরেস্ট কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বিভিন্ন অভিযানে উদ্ধারকৃত কাঠ নিলামে বিক্রি করা হয়। গত এক মাসে কোন নিলাম হয়নি। মাত্র দেড়মাস আগে কক্সবাজার থেকে এই রেঞ্জে বদলী হয়ে এসেছি।

    ব্রিকফিল্ডে কাঠের ও মাটির যোগান কোথা থেকে দেওয়া হয় ব্রিকফিল্ড মালিক সমিতির পক্ষ থেকে এমন প্রশ্নে সাধারণ সম্পাদক সামশুল আলম বলেন, ব্রিকফিল্ড মালিকরা কিভাবে মাটির যোগান দিবে বা কাঠের যোগান দিবে তা আমাদের জানার বিষয় নয়।

    এ প্রসঙ্গে এমএমবি ব্রিকস এর কর্ণধার জনৈক ইকবাল বলেন, ইটভাটিতে কয়লা ব্যবহার করার কথা বলেছে সরকার। কিন্তু কয়লার দাম অনেক বেশি। ফলে আমরা বনের কাঠ ব্যবহার করি। যা আশপাশের বাগান থেকে আমাদের কাছে বিক্রি করে।

    পরিবেশের ছাড়পত্র রয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নবায়নের জন্য জমা দিয়েছি কিন্তু এ বছর এখনো নবায়ন হয়নি।

    পরিবেশের ছাড়পত্র ছাড়া এআরবি ব্রিকফিল্ড চলছে এমন প্রশ্নে ব্রিকফিল্ডের মালিক জনৈক মিজান বলেন, পরিবেশ ছাড়পত্র নবায়ন করে দিচ্ছে না। নবায়নের জন্য পরিবেশের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যাচ্ছে না। ইটভাটিতে কাঠের যোগান সরকারী ফরেস্ট থেকে হচ্ছে এমন অভিযোগের জবাবে তিনি বলেন, আমরা ফরেস্টের কোন কাঠ ব্যবহার করিনা। রাঙ্গামাটি এলাকায় বেশকিছু বাগান আছে। ওইসব বাগান থেকে কাঠের যোগান দেওয়া হয়।

    এনবিসি ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার জনৈক মফিজ বলেন, জ্বালানী কাঠের যোগান সমিতির অফিস থেকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়। ফরেস্টের কোন কাঠ এই ফিল্ডে ব্যবহার করা হয় না। ফিল্ডের নবায়ন প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন আমি মাত্র কয়েকমাস আগে এখানে ম্যানেজার পদে নিয়োগ পেয়েছি। আমি এর চেয়ে বেশি কিছু জানিনা। কিছুক্ষণ পর এনবিসি ব্রিক ফিল্ডের মালিক হাসান কোম্পানীর মোবাইলে ফোন করা হলে মুঠো ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।

    রাঙ্গুনীয়ার ঘাগড়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভূমি উপ—সহকারী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আকরাম হোসেনের এক প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, রাঙ্গুনিয়ার ইসলামপুর ইউনিয়নের এন বি সি ব্রিক ফিল্ডের মালিক হাসান কোম্পানী ওই এলাকার বেশিরভাগ জমির মাটি কেটে নিয়ে গেছেন। জমিতে প্রায় ১৫ ফুটেরও বেশি মাটি কাটার ফলে গভীর কূয়ার সৃষ্টি হয়েছে। গত বছরের ২৫ ফেব্রুয়ারীর এই প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে মাত্রাতিরিক্ত মাটি কর্তনের ফলে পার্শ্ববর্তী ভূমিতে ভাঙ্গন সৃষ্টি হয়েছে।