Tag: রাঙ্গুনিয়া

  • সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবসেবা ও সম্প্রীতি স্থাপন: তথ্যমন্ত্রী

    সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবসেবা ও সম্প্রীতি স্থাপন: তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রকৃতপক্ষে সকল ধর্মের মর্মবাণী হচ্ছে মানবসেবার মাধ্যমে সৌহার্দ্যে ও সম্প্রীতি স্থাপন করা, মানুষের মঙ্গল করা। ধর্মের এই মর্মবাণী সকলে ধারন করতে পারলেই পৃথিবীতে কোন হানাহানি, মারামারি এবং অশান্তি আর থাকবে না।

    তিনি বলেন, আমাদের এই বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ক্ষেত্রে পৃথিবীর অন্যান্য দেশের কাছে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। এই দেশে হিন্দু মুসলিম, বৌদ্ধ খ্রিষ্টান, বাঙালি, মগ, চাকমা সকল ধর্মের সকল জাতির মানুষের যে সহাবস্থান এবং সাম্প্রদায়িক সম্পর্ক তা পৃথিবীতে বিরল।

    শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতি ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা বৌদ্ধ সমিতির সভাপতি এবং উপজেলার কেন্দ্রিয় সৈয়দবাড়ি ধর্মচক্র বিহারের অধ্যক্ষ প্রয়াত বিমলজ্যোতি মহাস্থবিরের আন্ত্যেষ্টিক্রিয়া উদ্যাপন অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    দুইদিনব্যাপী অনুষ্ঠানের শেষ দিনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার সংঘরাজ জ্ঞানশ্রী মহাস্থবির।

    অনুষ্ঠানে উদ্বোধক ছিলেন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার।

    বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ সংঘরাজ ভিক্ষু মহাসভার উপসংঘরাজ ধর্মপ্রিয় মহাস্থবির, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক বিমান চন্দ্র বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার মেয়র মো. শাহজাহান সিকদার, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ সদস্য কামরুল ইসলাম চৌধুরী, সুখবিলাস ফিসারিজ এন্ড প্লানটেশনের চেয়ারম্যান এরশাদ মাহমুদ, ধর্মসেন মহাস্থবির, মনিলাল তালুকদার, প্রসেনজিৎ তালুকদার।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র পাকিস্তান থেকে বেরিয়ে এসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র গঠিত হয়েছিল। আমাদের এই দেশে মাঝে মধ্যে সাম্প্রদায়িক বিষবাষ্প মাথাছাড়া দিয়ে প্রভাব ফেলার চেষ্টা চালায়। কিন্তু আমাদের এই অসম্প্রদায়িকতা এই অপশক্তিকে সবসময় দমন করেছে। এখনও একটি সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠি আমাদের এই দেশকে আমাদের সমাজকে হেয় করার চেষ্টা করে।

    তিনি বলেন, আমাদের এই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি এবং সম্মিলিত শক্তির কাছে তারা অতীতে যেমন পরাভূত হয়েছে তেমনি বর্তমান এবং ভবিষ্যতেও পরাভূত হবে। আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি। সকল ধর্মের মানুষের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে এই বাংলাদেশ রচিত হয়েছে।সাম্প্রদায়িক অপশক্তির স্থান বাংলাদেশে হতে পারে না।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বিমল জ্যোতি মহাস্থবির বৌদ্ধ ধর্মের একজন ভিক্ষু ছিলেন। কিন্তু তিনি হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবধর্মের মানুষের প্রিয় একজন মানুষ ছিলেন। তিনি তার দয়া, মমতা ও ভালবাসা দিয়ে সমস্ত মানুষের ভালবাসা এবং শ্রদ্ধার মানুষ হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন। তাঁর বর্ণাঢ্য জীবন থেকে সব ধর্মের মানুষের অনেক কিছু শেখার আছে। তিনি তার আকর্ষনীয় ব্যক্তিত্ব দিয়ে সব ধর্মের মানুষকে সহজে আপন করে নিতে পারতেন।

  • থানায় বিনা খরচে করা যাবে জিডি, থাকবে আপ্যায়নও: এএসপির প্রশংসনীয় উদ্যোগ

    থানায় বিনা খরচে করা যাবে জিডি, থাকবে আপ্যায়নও: এএসপির প্রশংসনীয় উদ্যোগ

    ২৪ঘণ্টা নিউজ ডেস্ক: অর্থ খরচ না করে এবং কোনরকম হয়রানি ছাড়াই থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করতে পারবেন চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান উপজেলার সাধারণ মানুষ। থানার ডিউটি অফিসারের কাছ থেকে বিনামূল্যে জিডির ফর্ম সংগ্রহ করে মাত্র ৫ মিনিটেই জিডির আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করতে পারবেন তারা।

    সাধারণ মানুষের কথা বিবেচনায় নিয়ে জনবান্ধব এই উদ্যোগটি গ্রহণ করেছেন চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের সহকারী পুলিশ সুপার (রাউজান-রাঙ্গুনিয়া সার্কেল) মো. আনোয়ার হোসেন শামীম।

    জিডি করতে আসা সেবাপ্রার্থীদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে অনেক পুরনো। এছাড়া থানার বাইরে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী কর্তৃক জিডির আবেদন ও কম্পিউটার কম্পোজ করে দেয়ার নামে অসহায় মানুষের কাছ ১০০ থেকে ৫০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়ার কথাও শোনা যায় অহরহ।

    সাধারণ মানুষকে এসব হয়রানি থেকে মুক্ত করতেই সার্কেল এএসপির উদ্যোগে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া ও রাউজান থানায় এই জিডির ফর্ম সরবরাহের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। এখন থেকে যেকোনও সেবাপ্রার্থী ব্যক্তি থানায় উপস্থিত হয়ে এই ফর্ম সংগ্রহ ও পূরণ করার মাধ্যমে কোনও টাকা খরচ ছাড়াই জিডি করতে পারবেন। এমনকি যারা এই ফর্ম পূরণ করতেও অপারগ এবং যারা শিক্ষক, নারী, মুক্তিযোদ্ধা, প্রতিবন্ধী, অথবা সিনিয়র সিটিজেন (ষাটোর্ধ্ব বয়সী ব্যক্তি), তাদের জিডি ফর্মটি পূরণ করার কাজটি করে দিবেন থানার ডিউটি অফিসার নিজেই।

    শুধু যে বিনামূল্যে জিডি করারই বন্দোবস্তই করা হয়েছে তা নয়, পাশাপাশি থানায় সেবাপ্রার্থীদের জন্য আপ্যায়ন হিসেবে থাকছে চকলেটের ব্যবস্থাও।

    পুলিশ সূত্রে জানা যায়, জিডি করার জন্য নিয়ম অনুযায়ী প্রয়োজনীয় তথ্য প্রদানপূর্বক নির্দিষ্ট ফরম্যাটে অফিসার ইনচার্জ বরাবর আবেদন করতে হয়। গ্রামের অসচেতন নিরীহ মানুষ স্বাভাবিকভাবেই এই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে হিমসিম খান, যার সুযোগ নেয় থানার আশপাশেই অবস্থান নিয়ে থাকা দালাল চক্র।

    তাদের যোগসাজশে এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী জিডি লেখা এবং সেটা নিয়ে কোথায় যেতে হবে এসব রাস্তা বাতলে দেয়ার বিনিময়ে তাদের কাছ থেকে হাতিয়ে নেয় কষ্টার্জিত অর্থ। এখন থেকে বিনামূল্যে থানা হতে প্রাপ্ত আবেদন ফর্মের মাধ্যমে সহজে এবং হয়রানিমুক্তভাবে জিডি করতে পারবেন যেকেউ।

    সার্টিফিকেট হারানোর জিডি করতে রাউজান থানায় এসেছিলেন চট্টগ্রামের হাজী মুহম্মদ মহসিন কলেজের শিক্ষার্থী কাজী রবিউল হোসাইন। জিডি করে বের হবার পর থানা গেটে কথা হয় তার সাথে। পুলিশের সেবায় সন্তোষ প্রকাশ করে তিনি বলছিলেন ভাবতেও পারিনি এত ঝামেলামুক্তভাবে এবং দ্রুত জিডি করা যায়।

    পুলিশ যদি এই কাজ অব্যাহত রাখতে পারে, তাহলে এলাকার মানুষ উপকৃত হবার পাশাপাশি পুলিশের সম্মানও বাড়বে বলে আমি মনে করি।

    মোবাইল হারানোর জিডি করতে মুরগি বিক্রি করে ৫০০ টাকা নিয়ে  থানায় এসেছিলেন গৃহবধূ কোহিনূর বেগম (ছদ্মনাম)।

    এলাকার মেম্বার নাকি বলে দিয়েছেন, ২/৩ শ টাকা লাগবে জিডি লিখতেই, আর থানার পুলিশদেরকে চা-পানি খাওয়ার জন্যও নাকি কিছু খরচ দিতে হয়। থানা থেকে বের হয়ে তিনিও খুশি পুলিশের আচরণে। তিনি বলেন, এক টাকাও লাগেনি। উল্টো পুলিশ জিডির ফর্ম পূরণ করে দিয়েছে, চকলেটও খাইয়েছে। তারা খুব সম্মান দিয়ে কথা বলছে।

    এ প্রসঙ্গে উদ্যোগ গ্রহণকারী এএসপি মো. আনোয়ার হোসেন শামীম  জানান, আমার দায়িত্বাধীন এলাকায় বসবাসকারী মানুষের জন্য হয়রানিমুক্ত পুলিশি সেবা নিশ্চিত করতেই উদ্যোগটি নেয়া।

    বাংলাদেশ পুলিশের সম্মানিত আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদ স্যারের নেতৃত্বে জনবান্ধব পুলিশের যে অগ্রযাত্রা, তারই অংশ হিসেবে আমিসহ থানায় কর্মরত অন্য সকল অফিসার-ফোর্সের নিজস্ব অর্থায়নে সাধারণ মানুষের জন্য এই জিডির ফর্ম সরবরাহের ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশকে মানুষের প্রকৃত ভরসাস্থলে পরিণত করতে সামনের দিনগুলোতে এ ধরণের আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে বলেও জানান তিনি।

    পুলিশের এমন জনবান্ধব পদক্ষেপে খুশি এলাকাবাসীও। তবে এটি যেন বন্ধ না হয়ে যায়, এমনটাই প্রত্যাশা সবার।

    ২৪ঘণ্টা/এন এম রানা

  • রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

    রাঙ্গুনিয়ায় গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যু

    ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলায় রহস্যজনকভাবে মারা গেছে সুলতানা আক্তার (২০) নামে এক গৃহবধূ।

    বুধবার (২৮ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে উপজেলার স্বনির্ভর রাঙ্গুনিয়া ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড ব্রহ্মোত্তর দক্ষিণ পাড়া গ্রামে মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে।

    শ্বশুর বাড়ির লোকজনের দাবি, মেয়েটি সবার অজান্তে নিজ কক্ষে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করেছে। তবে মৃতের পরিবারের দাবি-যৌতুকের দাবিতে মেয়েটিকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।

    অন্যদিকে ময়নাতদন্তের পর রিপোর্ট এলেই হত্যা না আত্মহত্যা সেই রহস্যের উম্মোচন হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

    পুলিশ জানায়, মৃত সুলতানা আক্তার উপজেলার পোমরা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ড ছাইনী পাড়া গ্রামের আবুল কদরের মেয়ে এবং ব্রহ্মোত্তর গ্রামের সিএনজি অটোরিকশা চালক আকতার হোসেনের স্ত্রী।

    রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহবুব মিল্কি বলেন, খবর পেয়ে থানার একটি টিম সেখানে পৌছালে ঘটনাস্থল কক্ষের দরজাটি ভিতর থেকে বন্ধ পাওয়া যায়। ফলে প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলে মনে হচ্ছে।

    তিনি বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য লাশটি মর্গে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে হত্যা না আত্মহত্যা সেই বিষয়ে জানা যাবে। আপাতত এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান এ পুলিশ কর্মকর্তা।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • শরণঙ্কর ভিক্ষু’র গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে রাঙ্গুনিয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    শরণঙ্কর ভিক্ষু’র গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে রাঙ্গুনিয়ায় মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ

    হিন্দুদের শ্মশান ও রাধা কৃষ্ণ মন্দির দখল, সরকারের সংরক্ষিত বনের জায়গা দখলসহ ইসলাম ধর্ম নিয়ে আপত্তিকর কটুক্তিকারী বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণংকর থের’কে গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে মানব বন্ধন করেছে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সনাতনি হিন্দু সমাজসহ বিভিন্ন সামাজিক ও পেশাজীবি সংগঠন।

    শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকালে চট্টগ্রাম কাপ্তাই সড়কের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদরের ইছাখালী এলাকায় সচেতন নাগরিক সমাজ, সনাতনী হিন্দু সমাজ ও বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন রাঙ্গুনিয়া উপজেলা শাখার যৌথ আয়োজনে এই মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে বিভিন্ন সংগঠনের কয়েক’শ মানুষ অংশ নেন।

    বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা বলেন, রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামের শতাধিক একর বনের জায়গা দখল করে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাংকর থের জ্ঞাণশরন বৌদ্ধ বিহার প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে তার দখল উম্মত্ততা থেকে রেহাই পাননি হিন্দু ধর্মাবলম্বিদের দুই যুগের বেশি সময়ের শ্মশান ও রাধা কৃষ্ণ মন্দির। তিনি সেখানে বসবাসকারী হিন্দু মুসলমানসহ সাধারন মানুষকে জোরপূর্বক উচ্ছেদ করেছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন অনলাইনে বিভিন্ন ব্যক্তিকে লক্ষ্য করে উস্কানিমূলক ও দেশ বিরোধী বক্তব্য দিয়ে তিনি অস্থিতিশীল পরিবেশের সৃষ্টি করছে। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হলেও অদৃশ্য কারণে তাকে আইনের আওতায় আনা হচ্ছেনা। দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানান বক্তারা। অন্যতায় আরো বৃহত্তর আন্দোলনে নামবে বলে তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন।

    সুপায়ন সুশীলের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রধান ড. মুহাম্মদ আবদুল মাবুুদ, এডভোকেট পঙ্কজ কুমার চৌধুরী, বিভূতি ভূষণ সেন, মাস্টার নির্মল কান্তি দাশ, অধ্যাপক অসীম কুমার শীল, হিন্দু মহাজোটের পক্ষ থেকে মাস্টার তপন দত্ত, উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈবাল চক্রবর্ত্তী, মানবাধিকার কমিশনের সাধারণ সম্পাদক এম ইসকান্দর মিয়া তালুকদার, যুগ্ম সম্পাদক মাস্টার রঞ্জন বড়ুয়া, এডভোকেট সেকান্দর চৌধুরী, মাওলানা নুরুল আজিম, মাওলানা আইয়ুব নূরী, জন্মাষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি বিজয় সেন, বদিউজ্জামান বদি প্রমুখ।

    ২৪ ঘণ্টা/রিহাম

  • রাঙ্গুনিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

    রাঙ্গুনিয়ায় কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার ধর্ষককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত

    ডেস্ক নিউজ : চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে হোটেলে রেখে ধর্ষণ করার অভিযোগে অভিযুক্ত ২ আসামির মধ্যে একজনকে গ্রেফতার করেছে রাঙ্গুনিয়া থানা পুলিশ।

    জানা যায়, উপজেলার ইসলামপুর ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ড পোঁড়াবন এলাকা থেকে ১৪ বছর বয়সী ওই কিশোরীকে তুলে নিয়ে যায় ধর্ষকরা।

    শনিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত সাজ্জাদ হোসেন (৩৫)কে আদালতের তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন। অন্যদিকে একই ঘটনায় জড়িত আরো এক আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা করছে পুলিশ।

    মামলার এজহার সূত্রে জানা যায়, গত মঙ্গলবার (২৯ সেপ্টেম্বর) জোরপূর্বক মেয়েটিকে গাড়িতে তুলে রাঙামাটি নিয়ে যায় গ্রেফতার সাজ্জাদ ও তার বন্ধু মো. রিপন (২০)। সেখানের একটি আবাসিক হোটেলে নিয়ে ভয় দেখিয়ে তাকে রাতভর ধর্ষণ করে দুজনই পালিয়ে যায়।

    এদিকে কিশোরী মেয়েটিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। পরদিন রাঙ্গামাটির স্থানীয় লোকজন ধর্ষণের স্বীকার ওই কিশোরীকে মূর্মুর্ষু অবস্থায় পরিবারের কাছে নিয়ে আসে।

    কিশোরীটি তার পরিবারের কাছে পুরো ঘটনাটি খুলে বললে ইসলামপুর ইউপি সদস্য মো. বেলালের সহযোগীতা নিয়ে তার নানী ২ যুবককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করে।

    রাঙ্গুনিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাহবুব হোসেন মামলার তথ্যটি নিশ্চিত করে বলেন, ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে ২ যুবককে আসামি করে রাঙ্গুনিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কিশোরীর নানী।

    মামলার সূত্র ধরে ঘটনার স্বীকার কিশোরী মেয়েটির ডাক্তারি পরীক্ষা করার পর প্রাথমিক তদন্তে ধর্ষণের বিষয়টির প্রমাণ পাওয়া যায়। পরে অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত একজনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

    তিনি বলেন, এই ঘটনায় জড়িত মো. রিপন নামে আরো এক যুবককে গ্রেফতারপূর্বক প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

    ২৪ ঘণ্টা/রাজীব

  • গিয়াস রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত

    গিয়াস রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত

    ঢাকাস্থ চট্টগ্রাম সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও রাঙ্গুনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা গিয়াস উদ্দিন খাঁন স্বপন রাঙ্গুনিয়া মজুমদারখীল উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন।

    চট্টগ্রাম মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি স্বাক্ষরিত পত্রে বিদ্যালয়ের দৈনন্দিন প্রশাসনিক কার্যাবলি পরিচালনার জন্য তাঁকে নবগঠিত এডহক কমিটির সভাপতি মনোনীত করা হয়।

    কমিটির অন্যান্যরা হলেন পদাধিকার বলে সদস্য সচিব প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুখ, সদস্য শিক্ষক প্রতিনিধি আনন্দ কুমার বড়ুয়া, সদস্য অভিভাবক প্রতিনিধি জান্নাতুল ফেরদৌস।

    গত ১৪ জুলাই শিক্ষা বোর্ডের বিদ্যালয় পরিদর্শক ড. বিপ্লব গাঙ্গুলি স্বাক্ষরিত পত্রে উল্লেখ করা হয় প্রবিধান ৩৯ এর উপ-প্রবিধান (২) অনুসারে এডহক কমিটি ম্যানেজিং কমিটির সকল ক্ষমতা প্রয়োগসহ সকল দায়িত্ব পালন করিবে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • তুচ্ছ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়ায় যুবক খুন

    তুচ্ছ ঘটনায় রাঙ্গুনিয়ায় যুবক খুন

    চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ার পোমরা হাজীপাড়া এলাকায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছেন মো. সুজন নামে এক যুবক।

    সোমবার (২০ জুলাই) সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত মো. সুজন হাজীপাড়ার পেতাগাজী বাড়ির ইউছুপ মিস্ত্রির ছেলে।

    খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত মো. জাশেদ একই এলাকার শামসুর রহমানের ছেলে। রাঙ্গুনিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহাবুব মিল্কী বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে খুন হয়েছে এক যুবক। অভিযুক্তকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

    তিনি জানান, অভিযুক্ত জাশেদ পেশায় একজন নির্মাণ শ্রমিক। সুজনের বাবার অধীনে সে কাজ করে। সোমবার কাজে যোগ না দিয়ে এলাকায় ঘুরছিল জাশেদ। তাকে ঘুরতে দেখে সুজন বকা দেয় এবং কাজে যোগ দিতে বলে। তার সঙ্গে তর্ক হলে থাপ্পড়ও মারে সুজন।

    ‘ঘটনার কিছুক্ষণ পর চায়ের দোকানে বসে থাকা সুজনকে পেছন থেকে লাঠি দিয়ে আঘাত করে জাশেদ। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যায় সুজন।’

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দলকানা হতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    কমিউনিটি ক্লিনিক বন্ধ করে দলকানা হতে গিয়ে জনগণের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিল বিএনপি : তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা ১৯৯৬ সালে প্রথম দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পাবার পর মানুষের দোড়গোড়ায় স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিতে কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করেছিলেন। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য পরবর্তীতে বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ কেন কমিউনিটি ক্লিনিক চালু করল, সেই কারণে তিনি কমিউনিটি ক্লিনিকগুলো বন্ধ করে দিলেন। বিএনপি যে জনগণের জন্য ভাবেননা, সেটির উদহারণ হলো তারা শুধুমাত্র দলকানা নয় দলকানা হতে গিয়ে জনগণেরও বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন।

    তিনি বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে মানুষের দোড়গোড়ায় জননেত্রী শেখ হাসিনা স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দিচ্ছেন। শুধু স্বাস্থ্যসেবা নয় পাশাপাশি কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে ৩০ প্রকার ওষুধ বিনামূল্যে বিতরণ করা হচ্ছে। ভারত, নেপাল, পাকিস্তানসহ আশপাশের দেশগুলোর কোথাও এই ব্যবস্থা নাই।

    শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া শিল্পকলা একাডেমির মুক্তমঞ্চে ইউজিডিপি প্রকল্পের আওতায় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও ইউনিয়ন পর্যায়ে কমিউনিটি ক্লিনিকে চিকিৎসা সরঞ্জামাদি ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে বেঞ্চ এবং ২৫ হাজার গাছের চারা বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রেহানুল ইসলাম, উপজেলা প্রকৌশলী দিদারুল আলম, পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাষ্টার আসলাম খাঁন, চট্টগ্রাম মহানগর রেড ক্রিসেন্টের সাধারন সম্পাদক আবদুল জব্বার প্রমূখ।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, কয়েকবছর আগে আঞ্চলিক স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের একটা সম্মেলন বাংলাদেশে হয়েছিল। সেখানে ভারতের স্বাস্থ্যমন্ত্রী অকপটে স্বীকার করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে যেভাবে স্বাস্থ্যসেবা মানুষের দোড়গোড়ায় পৌঁছে দেয়া হচ্ছে, বিনামূল্যে ওষুধ বিতরণ করা হচ্ছে, এটি থেকে অনেক দেশ শিখতে পারে।

    তিনি বলেন, মানুষকে আরো ভালোমতে স্বাস্থ্যসেবা দেয়ার জন্য বর্তমানে শেখ হাসিনার সরকার কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে আরো শক্তিশালী করার জন্য স্বাস্থ্যসেবা সামগ্রী বিতরণের উদ্যোগ নিয়েছেন। একইসাথে প্রধানমন্ত্রী শিশু কিশোরদের জন্য স্কুল শিক্ষা অবৈতনিক করেছেন, এবং ছাত্রীদের জন্য ডিগ্রী পর্যন্ত অবৈতনিক শিক্ষার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের কোন মা কোনদিন ভাবেনি তার সন্তান স্কুলে গেলে মোবাইলে টাকা চলে আসে। বাংলাদেশে দেড়কোটি মা মোবাইলে টাকা পান, কারণ তাদের সন্তানেরা স্কুলে যাই। এটি পৃথিবীর আর কোন দেশে আছে কিনা আমার জানা নেই। নানা ধরণের পদক্ষেপ গ্রহণের মধ্য দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণের জন্য নতুন প্রজন্মকে গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার। যা অন্যান্য অনেক দেশের জন্য এটি উদাহরন।

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব শুরু হবার পর প্রধানমন্ত্রী সঠিক নেতৃত্ব দিয়ে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করছেন। যেকারণে বাংলাদেশে করোনা ভাইরাসে আক্রান্তদের মধ্যে মৃত্যুর হার সমগ্র পৃথিবীতে হাতেগোনা যে কয়টি দেশে সবচে কম তার মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে করোনায় মৃত্যুর হার চায়না এবং ভারত-পাকিস্তানের চেয়েও কম।

    তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী আহবান জানিয়েছিলেন সবাইকে সম্মিলিত ভাবে এই দূর্যোগ মোকাবেলা করার জন্য। আজকে যারা সরকারের পাশাপাশি বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান হাত প্রসারিত করেছেন তাদেরকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। আমরা যদি সম্মিলিতভাবে প্রচেষ্ঠা চালায় তাহলে করোনা ভাইরাস কেন যেকোন দূর্যোগ আমরা সম্মিলিতভাবে মোকাবেলা করতে পারবো।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম -তথ্যমন্ত্রী

    সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম -তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেছেন মুসলিম, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ সকল সম্প্রদায়ের মিলিত রক্তস্রোতের বিনিময়ে বাংলাদেশের জন্ম হয়েছিল। লাল সূর্য খচিত সবুজ পতাকার জন্ম হয়েছে বাংলাদেশ। আজকে আমরা মুসলমান হিন্দু বৌদ্ধ খ্রীস্টান যেভাবে সুন্দর করে বসেছি আমাদের বাংলাদেশও ঠিক এরকম সুন্দর। আমাদের রাঙ্গুনিয়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির জন্য আরো সুন্দর।

    তিনি বলেন, সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্পকে চিরতরে বিদায় করার লক্ষ্যেই সাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র ব্যবস্থা পাকিস্তান থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছিলাম। তাই এই বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িকতার কোন স্থান নাই। সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প যারা ছড়ায় তারা প্রকৃতপক্ষে মানবতা ও বাংলাদেশের শত্রু।

    শনিবার (১৮ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়ামে সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান াতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    রাঙ্গুনিয়ায় সকল ধর্মের নেতৃবৃন্দের সাথে মতবিনিময় সভায় বক্তব্য দেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যঅন ট্রাস্টের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়া, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাতের সাধারন সম্পাদক হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন আলকাদেরী, রাঙ্গুনিয়া সংঘরাজ ভিক্ষু সমিতির সভাপতি ধর্মসেন মহাস্থবির, সাধারন সম্পাদক সুমঙ্গল মহাথের, রাঙ্গুনিয়া বৌদ্ধ কৃষ্টি প্রচার সংঘের সভাপতি জ্ঞানবংশ মহাথের, সৈয়দবাড়ি ধর্মপ্রবর্তন বিহারের অধ্যক্ষ পরমানন্দ থের। হিন্দু ধর্মীয় পুরোহিত সুজন চক্রবর্তী, অসিম চক্রবর্তী, চট্টগ্রাম ও পার্বত্য আঞ্চলিক চার্জ সংঘের প্রধান পালক রেভারেন্ড সহখরীয় বৈরাগী, রাঙ্গুনিয়ার বেতাগী আস্তানা শরীফের পীরজাদা মাওলানা গোলামুর রহমান আশরাফ শাহ, সরফভাটা মোয়াবিনুল উলুম মাদরাসার পরিচালক মাওলানা আবুল বয়ান, উপজেলা আওয়ামী লেিগর উপদেষ্ঠা মাওলানা আইয়ুব নুরী, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লেিগর সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার প্রমূখ।

    মতবিনিময় সভায় বিভিন্ন ধর্মের নেতৃবৃন্দ বলেন, যুগ যুগ ধরেই রাঙ্গুনিয়ায় সকল ধর্মের মানুষ সম্প্রীতির সেতুবন্ধনে একসাথে বসবাস করে আসছে। ভবিষ্যতেও সেই ধারা অব্যাহত থাকবে।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন অসাম্প্রদায়িক মানুষ। তাঁর নেতৃত্বে আমরা কিভাবে অসাম্প্রদায়িকতাকে লালন করতে হয় কিভাবে মুসলমান, হিন্দু , বৌদ্ধ, খ্রীস্টান ভাই ভাইয়ের মতো মিলিত হয়ে চলতে হয় সেই শিক্ষা আমরা পেয়েছি। আমাদের রাঙ্গুনিয়ার প্রতিটি গ্রামের চিত্র হচ্ছে হিন্দু বৌদ্ধ মুসলমান একযোগে সুন্দরভাবে বসবাস করছে। আমার গ্রাম সুখবিলাসে হিন্দু মুসলিম বৌদ্ধ খ্রীস্টানের পাশাপাশি চাকমা মারমারাও আছে। আমরা যেভাবে শতশত বছর ধরে একসাথে ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে বসবাস করছি সেটি সমগ্র বাংলাদেশের জন্য উদাহরণ। তাই কোন ব্যক্তি বিশেষ বা কোন গোষ্ঠির কারণে আমাদের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারেনা।

    তিনি বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করার অপচেষ্ঠা চালানো হয় দেশ এবং বিদেশ থেকে। যখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিপক্ষরা রাজনৈতিকভাবে মোকাবেলা করতে ব্যর্থ হয় তখন তারা ফেসবুক এবং ইউটিউবের আশ্রয় নেন। সেটির মাধ্যমে গন্ডগোল পাকানোর চেষ্ঠা করে। তাই এগুলোতে বেশি কান দেয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ যদি সেরকম করে সেটি নিয়ে মাতামাতি করার কোন প্রয়োজন নেই। আমরা সবাই শতশত বছর ধরে ভাই ভাইয়ের মতো ছিলাম, এখনো আছি, ভবিষ্যতেও হাজার বছর ধরে থাকবো।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের প্রথম পরিচয় হচ্ছে বাঙালি, আমাদের দ্বিতীয় পরিচয় কে হিন্দু, কে মুসলিম, কে বৌদ্ধ, কে খ্রীস্টান। এটিই হচ্ছে যারা আওয়ামী লীগ করেন তাদের সাথে যারা বিএনপি জামাত করেন তাদের পার্থক্য। আমি ২০০৮ সালে যখন জাতীয় নির্বাচনে অংশগ্রহণ করি তখন আমার প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট ছিল স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়া, ২০১৮ সালের নির্বাচনেও তিনি প্রধান এজেন্ট ছিলেন। এটির কারণ হলো উনি হিন্দু নাকি বৌদ্ধ নাকি মুসলিম এটি আমার বিবেচনায় নাই। এটি বিবেচ্য বিষয়ও নয়। বিবেচ্য বিষয় হচ্ছে উনি আমার দলও আমাদের নেত্রীর প্রতি আস্থাশীল ও অনুগত কিনা।

    সকল ধর্মীয় নেতাদের প্রতি শান্তির জনপদ রাঙ্গুনিয়াকে আরো শান্তিময় ও প্রীতিময় করার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ফেসবুকে কে একটা লিখলো সেটা নিয়ে অন্যরা লেগে থাকবো এটাও হতে পারেনা। আমাদের কাছে কে কোন ধর্মাবলম্বি সেটা বিবেচ্য বিষয় নয়, কে মানুষ কে বাঙালি সেটা বিবেচ্য বিষয়। তাই সকলের কাছে অনুরোধ কোন ব্যক্তির কারণে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট হতে পারেনা। এবং সেই লক্ষ্যে যেকোন অশুভ শক্তির ব্যাপারে আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ যেন এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করতে নাপারে।

    তিনি বলেন, কদিন আগে রাঙ্গুনিয়ার উন্নয়নের জন্য আমাকে সরকার থেকে এককোটি টাকার বরাদ্দ দিয়েছে। তখন আমি ভাগ করে সেখান থেকে চল্লিশ লাখ টাকা দিয়েছি মন্দির, বিহারসহ ধর্মীয় উপাসনালয়ের জন্য।

    প্রধানমন্ত্রীকে বলে স্বজন কুমার তালুকদার বড়ুয়াকে পরপর দুবার বৌদ্ধ ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ভাইস চেয়ারম্যান করা হয়েছে। একইভাবে পরপর তিনবার হিন্দু ধর্মীয় কল্যান ট্রাস্টের সদস্য করেছিলাম শ্রীযুক্ত রাখাল চন্দ্র দাশ গুপ্তকে। রাঙ্গুনিয়ায় ইসলাম ধর্মের জন্যও অনেক কাজ করা হয়েছে। প্রতিটি ইউনিয়নে ব্যক্তিগত উদ্যোগে ১টি করে নতুন মসজিদ করা করা হয়েছে। শতাধিক মসজিদ ভিত্তিক মক্তব করা হয়েছে। প্রতিটি মাদ্রাসায় ভবন নির্মাণ করা হয়েছে। বিশেষ ভাবে টাকা এনে হিন্দু ধর্মীয় মন্দির ও বৌদ্ধ বিহারগুলোর উন্নয়নে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

    তথ্যমন্ত্রী নিজের জীবনের সাথে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উদাহরণ টেনে বলেন, আমি যখন ছাত্রজীবনে ঢাকায় যেতাম তখন আমি কমলাপুর বৌদ্ধ বিহারে থাকতাম। সেখানকার গুরুভান্তে সদ্য প্রয়াত শুদ্ধানন্দ মহাথেরো’র বাড়ি আমাদের এলাকায়। আমার বাবার সমসাময়িক। আমি তাকে পিতার মতো শ্রদ্ধা করতাম, উনিও আমাকে সন্তানের মতো আদর করতেন। এটার মধ্যে কোনো খাদ ছিলনা। দিনের বেলা না খেলেও রাতের বেলা সেখানে খেতাম। একথা আমি ঢাকায় বৌদ্ধ মন্দিরসহ সবখানে বলেছি। মানুষ বড় হলে অতীতের কথা বলেনা, ভুলে যায়। আপনাদের দোয়া ও আশির্বাদে আল্লাহর রহমতে প্রধানমন্ত্রী আমাকে একবার প্রতিমন্ত্রী, দুবার কেবিনেট মন্ত্রী করেছেন, গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিয়েছেন। যারা আমাকে নানাভাবে স্নেহ দিয়েছেন বড় করেছেন তাদের কথা আমি ভুলতে পারিনা। তৎমধ্যে অন্যতম শুদ্ধানন্দ মহাথের। আমার ছোটকালে একজন শিক্ষক ছিলেন মৌলভি আবদুর রহমান, তিনি আমাকে দশ বছর পড়িয়েছেন। আমার জীবনের সমস্ত নীতি নৈতিকতার অনেক কিছু আমি তাঁর কাছে শিখেছি -বলেন তথ্যমন্ত্রী।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি; রাঙ্গুনিয়ায় বিতর্কিত শরণাঙ্কর ভিক্ষুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

    ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তি; রাঙ্গুনিয়ায় বিতর্কিত শরণাঙ্কর ভিক্ষুকে অবাঞ্চিত ঘোষণা

    ইসলাম ধর্ম, হযরত মুহাম্মদ (স.) ও আল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর কটুক্তি করার পর চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি করা বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণঙ্কর থের’কে রাঙ্গুনিয়ায় অবাঞ্চিত ঘোষণা করা হয়েছে।

    বিতর্কিত এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে রাঙ্গুনিয়ার যেখানেই পাওয়া যাবে সেখানেই প্রতিহতের ঘোষণা দিয়েছেন উপজেলার সম্মিলিত আলেম ওলামা পরিষদ ও স্থানীয় জনতা।

    হযরত মুহাম্মদ (স.) ও আল্লাহকে নিয়ে ফেসবুকে আপত্তিকর কটুক্তি করায় সোমবার (১৩ জুলাই) দুপুরে রাঙ্গুনিয়া উপজেলা সদর ইছাখালীতে শরণঙ্কর থের নামের এই বৌদ্ধ ভিক্ষুকে গ্রেফতারের দাবীতে আয়োজিত মানববন্ধনে এই ঘোষণা দেয়া হয়। মানববন্ধনে কয়েক শতাধিক আলেম-ওলামা অংশ নেন।

    মানববন্ধনে বক্তব্য দেন রাঙ্গুনিয়ার রাহাতিয়া দরবারের সাজ্জাদানশীন সৈয়দ ওবাইদুল মোস্তফা নঈমী, রাঙ্গুনিয়া সরকারি কলেজের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. আবদুল মাবুদ, মাওলানা মোহাম্মদ হাছান, আ.ন.ম. নাজমুল হোসাইন নঈমী, মাওলানা সৈয়দ আইয়ুব নূরী, মাওলানা নুরুল আজিম, মাওলানা দিলদার বিন কাশেম, নাজমুল হক চৌধুরী, গাউছিয়া কমিটির নেতা জসিম উদ্দিন শাহ, মাওলানা সৈয়দ মোকাম্মেল হক শাহ, মাওলানা ওমর ফারুক, মুহাম্মদ আরিফুর রহমান, মাওলানা সিরাজ প্রমুখ।

    মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিতর্কিত বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাঙ্কর থের ও তার অনুসারীরা ইসলাম ধর্ম ও মহানবী (সঃ) নিয়ে আপত্তিকর ও স্পর্শকাতর কটুক্তি করেছেন ফেসবুকে৷ এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করতে বিভিন্ন বিবৃতিতেও উষ্কানিমূলক বক্তব্য দেন। তিনি চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে দেশদ্রোহী দৃষ্টতা দেখিয়েছেন। তার এসব অপরাধে তাকে দ্রুত গেফতার করা না হলে সারা বাংলাদেশে ব্যাপী আরও বৃহত্তর কর্মসূচী ঘোষনা করা হবে।

    বক্তারা আরও বলেন, রাঙ্গুনিয়ার পদুয়া ইউনিয়নের ফলহারিয়া গ্রামে বনবিভাগের শতাধিক একর জায়গা দখল করে গড়ে তোলা জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহারের প্রতিষ্টাতা ধুতাঙ্গ সাধক দাবীদার শরণাঙ্কর থের বনের জায়গা দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করলে বাঁধা দেন বনবিভাগ ও পুলিশ। এরআগেও বনবিভাগ এই বৌদ্ধ ভিক্ষুর বিরুদ্ধে প্রায় শতাধিক একর সংরক্ষিত বনের জায়গা দখল করার অভিযোগে ৪টি মামলা দায়ের করেন। কিন্তু কোনভাবেই তাকে বনের জায়গা দখল থেকে বিরত করা যাচ্ছিলনা। পুলিশ ও বনবিভাগের বাঁধার মুখে পাকা স্থাপনা নির্মাণ বন্ধ থাকার পর ফেসবুক লাইভে গিয়ে বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণাঙ্কর থের রাঙ্গুনিয়ার বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজন নির্যাতনের শিকার হচ্ছে এবং তাদের বাড়িঘর দখল করে নিচ্ছে এধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমুলক বক্তব্য পোস্ট দেন। অথচ এধরণের কোন ঘটনা রাঙ্গুনিয়ায় ঘটেনি। বৌদ্ধ ভিক্ষুর এধরণের সাম্প্রদায়িক উস্কানিমুলক বক্তব্যে স্থানীয় মুসলমান ও বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের মাঝে ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে।

    এরমধ্যে শরণঙ্কর ভিক্ষুর ছবি সম্বলিত ‘রুমন হিমু’ ও ‘রানা সাধু’ নামের ফেসবুক আইডি থেকে ইসলাম ধর্ম ও হযরত মুহাম্মদ (স.) কে নিয়ে নানা আপত্তিকর কটুক্তি করা হয়। এতে রাঙ্গুনিয়া জুড়ে মুসলমানদের মাঝে ক্ষোভের সঞ্চার ঘটে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রতিবাদের ঝড় উঠে। পরবর্তীতে এই দুই ফেসবুক আইডি ব্যবহারকারীর বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাঙ্গুনিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন ছাত্রলীগ নেতা রাসেল রাসু।

    প্রতিবাদের মুখে জ্ঞানশরণ মহাঅরণ্য বৌদ্ধ বিহার ছেড়ে পালিয়ে যান বিতর্কিত ও দেশদ্রোহী ভিক্ষু শরণঙ্কর থের।

    মানববন্ধনে জানানো হয়, বিহার ছেড়ে ফেসবুক লাইভে থেকে যাবার পথে তিনি নানা আপত্তিকর কথা বলেন। সেখানে তিনি বলেন, ‘পুরো বাংলাদেশের ৩০ লাখ মানুষ তাকে খোদার মতো করে পূজা করেন।’ একপর্যায়ে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য চট্টগ্রামকে আলাদা বৌদ্ধ রাজ্য বানানোর ঘোষণা দিয়ে উপস্থিত বৌদ্ধ সম্প্রদায়ের লোকজনের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আমার সিদ্ধান্ত আমি নিয়েছি, আপনারা কি করবেন সেই সিদ্ধান্ত আপনারা নিন।’

    রাঙ্গুনিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, বনের জায়গা দখলে বাঁধা দেয়ায় বৌদ্ধ ভিক্ষু শরণঙ্কর নানা ধরণের বিতর্ক সৃষ্টি করে ফেলেছেন। ইসলাম ধর্ম নিয়ে কটুক্তিকারী আাইডি দুটির ব্যবহারকারীকে চিহ্নিত করতে পুলিশের একাধিক টিম কাজ করছে। এছাড়া সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি যাতে নষ্ট না হয় সেজন্য মাঠ পর্যায়েও পুলিশ সক্রিয় রয়েছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • বিএনপি নেতারা আইসোলেশনে থেকে প্রেস ব্রিফিং করে, আর সরকারের দোষ ধরে- তথ্যমন্ত্রী

    বিএনপি নেতারা আইসোলেশনে থেকে প্রেস ব্রিফিং করে, আর সরকারের দোষ ধরে- তথ্যমন্ত্রী

    আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি’র অনেক নেতা আছে, যারা ঘরের মধ্যে আইসোলেশনে থেকে শুধু প্রেস ব্রিফিং করে, আর সরকারের দোষ ধরে। জনগণের সহায়তায় তারা এগিয়ে আসেনি। সারাদেশে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী এবং কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্মীরাই আছে মানুষের পাশে।

    তিনি বলেন, যারা ঘরে বসে বসে শুধু সমালোচনা করছে, তারা কিন্তু ঘর থেকে বের হচ্ছেনা। পক্ষান্তরে আওয়ামী লীগ ও সরকারের কেউ কিন্তু বসে নেই। আক্রান্ত হলে কি হতে পারে সেটিও আমি জানি, তাই আমি নিজেও বসে নেই। সব প্রস্তুতি নিয়েই কিন্তু মাঠে কাজ করছি। এই সময়ে দেশের মানুষ যখন আক্রান্ত, তখন হাত গুটিয়ে বসে থাকার কোন কারণ নেই।

    শনিবার (৪ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া উপজেলা অডিটরিয়ামে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জন্য চিকিৎসা সরঞ্জামাদি প্রদান ও বন্যহাতির আক্রমণে মৃত ব্যক্তির পরিবারের সরকারের আর্থিক অনুদানের চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, সহকারি পুলিশ সুপার আবুল কালাম আজাদ, বিভাগীয় বন কর্মকর্তা আবু নাছের মোহাম্মদ ইয়াছিন নেওয়াজ, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রেহানুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার শামসুল আলম তালুকদার, চেয়ারম্যান ইদ্রিছ আজগর, মুজিবুল হক হিরু, উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আবু তাহের প্রমূখ।

    অনুষ্ঠান শেষে তথ্যমন্ত্রী রাঙ্গুনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স পরিদর্শন করে চিকিৎসা ব্যবস্থার খোঁজখবর নেন। এসময় তিনি হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থার আরো উন্নতি ও আধুনিকায়নকল্পে নানা উদ্যোগের কথা জানান।

    দলীয় নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের জনগণের পাশে থাকার জন্য। আমরা নির্দেশনা মেনে জনগণের পাশে আছি, এবং ভবিষ্যতেও থাকবো। সেই কারণে আমাদের দলের বহু নেতা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। অনেক নেতা মৃত্যুবরণ করেছে। মৃত্যু যেকোন সময় হতে পারে, তাই বলে জনগণের এই দূর্দশার সময় বসে থাকবো সেটা হতে পারেনা।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারি শুরুর পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের মানুষকে করোনা থেকে রক্ষা করার জন্য প্রাণান্তকর চেষ্ঠা করে যাচ্ছেন। মানুষকে সুরক্ষা দেয়ার জন্য, যাতে খাদ্যের সঙ্কট না হয়, গরীব মানুষের যাতে কোনভাবে অনুবিধা না হয় সেজন্য নানাভাবে তিনি দিবানিশি কাজ করে যাচ্ছেন। ক্রমান্বয়ে দেশে করোনা ভাইরাস মোকাবেলার সামর্থ এবং সক্ষমতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজকে তিন মাসের বেশি দূর্যোগে বাংলাদেশে আল্লাহর রহমতে খাদ্যের অভাব হয়নি। খাদ্যের অভাবে কোন মানুষ মৃত্যুবরণ করেনি। খাদ্যের জন্য কোন জায়গায় হাহাকার নাই।

    তিনি বলেন, রাঙ্গুনিয়ার ৬০ হাজারের বেশি পরিবারকে খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়েছে। এখনো সেই ত্রাণ কার্যক্রম চলমান আছে। এরবাইরে আমাদের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান এনএনকে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমেও হাজার হাজার মানুষকে ত্রাণ দেয়া হয়েছে। যতদিন এই পরিস্থিতি থাকবে, সরকার জনগণের পাশে আছে, এবং থাকবে।

    তথ্যমন্ত্রী বলেন, করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার পৃথিবীতে সর্বনিম্ম যে কয়টি দেশে আছে তৎমধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বাংলাদেশে এখন করোনা ভাইরাসে মৃত্যুর হার ১.২৫ শতাংশ। ভারতে সেটি ৩ শতাংশের বেশি, পাকিস্তানে ২ শতাংশের বেশি। ইউরোপ আমেরিকার দেশ গুলোতে ৫ থেকে ১৬ শতাংশ। প্রধানমন্ত্রী সবাইকে সাথে নিয়ে অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করোনা ভাইরাস মোকাবেলা করছেন বিধায় আমাদের দেশে মৃত্যুর হার অনেক দেশের চেয়ে কম।

    ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যাতে করোনা রোগীদের সঠিক ভাবে চিকিৎসা দেয়া সম্ভব হয় সেই লক্ষ্য নিয়ে কিছু কাজ হাতে নিয়েছি। ইতিমধ্যে সেখানে আইসোলেশন সেন্টার করা হয়েছে। আরো বেডের সংখ্যা বৃদ্ধি করে অক্সিজেন সিলিন্ডারসহ প্রয়োজনীয় স্বাস্থ্য সুরক্ষা সরঞ্জামের ব্যবস্থা করে সেটিকে শীততাপ নিয়ন্ত্রিতসহ আধুনিকায়ন করা হবে।

    তিনি বলেন, এখন আমরা উপজেলা পর্যায়েও চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করছি। চট্টগ্রামে করোনা রোগীদের চিকিৎসা দেয়ার ক্ষেত্রে যেসব অসুবিধাগুলো ছিল তৎমধ্যে অনেক অসুবিধাগুলো ইতিমধ্যে দুর করা হয়েছে। কিছুদিনের মধ্যে ব্যবস্থা আরো ভাল হবে। আগের সঙ্কট ও হা-হুতাশ অনেকটা কেটে গেছে। নতুন ভাবে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গুলোকে ঢেলে সাজানো হচ্ছে, সেগুলো যাতে করোনা পরবর্তি স্বাভাবিক সময়েও ভালো মতে চিকিৎসা দেয়া যায় সেই লক্ষ্যে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের অধীনে দেশের উপজেলা পর্যায় পর্যন্ত সমস্ত স্বাস্থ্য সেবাকে ঢেলে সাজানোর কর্মসুচি সরকার হাতে নিয়েছে।

    সকলকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার অনুরোধ জানিয়ে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, রাঙ্গুনিয়ায়ও অনেক করোনা আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। আমাদের মনে রাখতে হবে আমার সুরক্ষা আমার হাতে। আমি যদি সচেতন না হই সরকার কিংবা ডাক্তারসহ অন্য কেউ আমাকে সুরক্ষিত করতে পারবেনা। সেজন্য আমার সুরক্ষা আমার হাতে এটি মাথায় রেখেই আমাদেরকে করোনা ভাইরাসের সময় জীবন এবং কর্মকান্ড পরিচালনা করতে হবে। অসচেতন থাকলে যে কেউ যেকোন সময় আক্রান্ত হতে পারে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যানের ছেলের মৃত্যু, তথ্যমন্ত্রীর শোক

    শ্বাসকষ্ট নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাঙ্গুনিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বর্ষিয়ান আওয়ামী রাজনীতিক খলিলুর রহমান চৌধুরীর তৃতীয় পুত্র মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী (৫০) ইন্তেকাল করেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।

    রোববার (২৮ জুন) দিবাগত রাত ১ টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।

    রাঙ্গুনিয়ার রোয়াজার হাট ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মাহফুজ চৌধুরী বেশ কিছুদিন ধরে শ্বাসকষ্টসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনা পরীক্ষা করালে তার রিপোর্ট নেগেটিভ আসে।

    মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরীর অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাঙ্গুনিয়া থেকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

    তিনি শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে বলেন, রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান মাহফুজুল ইসলাম চৌধুরী আওয়ামী রাজনীতির দুঃসময়ে দলের পাশে থেকে নিবৃত্তে কাজ করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে রাঙ্গুনিয়াবাসী একজন প্রকৃত বঙ্গবন্ধুপ্রেমীকে হারিয়েছেন। মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন তথ্যমন্ত্রী।

    সোমবার দুপুরে রাঙ্গুানিয়ার মুরাদনগর জামে মসজিদ মাঠে জানাজা শেষে তাকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর