Tag: রাজনীতি

  • জনপ্রিয়তা স্বর্ত্তেও জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ ছিলোনা বাবার, চিন্তা চেতনায় শুধু চট্টগ্রাম-নওফেল

    জনপ্রিয়তা স্বর্ত্তেও জাতীয় রাজনীতিতে আগ্রহ ছিলোনা বাবার, চিন্তা চেতনায় শুধু চট্টগ্রাম-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা ডট নিউজ। রাজীব,চট্টগ্রাম ডেস্ক : চট্টলবীর, বীর মুক্তিযোদ্ধা, বর্ষীয়ান আওয়ামী লীগ নেতা, চট্টগ্রাম সিটির সাবেক তিনবারের সফল মেয়র প্রয়াত এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরী তার জীবদ্দশাই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক ধারাবাহিতা এবং দলের ভবিষ্যত নিয়ে আজীবন রাজনীতি করেছেন।

    বঙ্গবন্ধুর একনিষ্ট কর্মী হিসেবে এবং তার সুযোগ্য কণ্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপর সম্পূর্ণ আনুগত্য রেখে তিনি সবসময় দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ ছিলেন। দলের জন্য নিবেদিন প্রাণ হয়ে তিনি জননেতা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

    তৃণমুল কর্মী হিসেবে সারাদেশে জাতীয় নেতার পরিচিতি পেয়েছেন। তবে জাতীয় নেতৃত্বে মহিউদ্দিন চৌধুরী কখনো আগ্রহ প্রকাশ করেননি। কারণ তার চিন্তা চেতনায় ছিলো বৃহত্তর চট্টগ্রামে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আরো সুসংগঠিত করার এবং বৃহত্তর চট্টগ্রামের উন্নয়নের জন্য আজীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন, রাজনীতি করেছেন।

    প্রয়াত এ নেতার ২য় মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে নগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখতে গিয়ে মহিউদ্দিনপুত্র, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এবং শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল এসব কথা বলেন।

    আজ ১৫ ডিসেম্বর রবিবার সকাল ১১টায় কাজীর দেউড়ী ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশনাল সেন্টারে প্রয়াত নেতার স্মরণ সভার আয়োজন করে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগ।ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল

    নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে স্মরণ সভার প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর অন্যতম সদস্য ও প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ঘনিষ্ঠজন সাবেক মন্ত্রী আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু।

    নওফেল বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের আয়োতিক এ স্মরণ সভার মাধ্যমে আমার প্রয়াত পিতার স্মতিচারণ যেমন সম্ভব হয়েছে তেমনি আগামী নতুন প্রজন্মের জন্য অনেক শিক্ষনীয় বিষয় আমার পিতৃতুল্য আওয়ামী লীগের অভিভাবক নেতৃবৃদ্ধের আলোচনায় উঠে এসেছে।

    আমার বাবার রাজনৈতিক জীবন নিয়ে আলোচনা করবার দৃষ্টতা আমার নেই। তাছাড়া সে অভিজ্ঞতাও আমার হয়নি বলে মনে করছি। আজকের অনুষ্ঠানে আলোচক বৃন্দরে আলোচনাই মূখ্য। তাদের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন নওফেল।

    চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন পরবর্তী ভোটাভুটির মাধ্যমে যে নেতৃত্ব ঘোষণা হয়েছে তা সারা বাংলাদেশে সমাদৃক প্রশংসীত হয়েছে উল্লেখ করে নওফেল বলেন, দলীয় নেতৃত্বে প্রতিযোগীতার চমৎকার সমাপ্তির একটি উদাহরণ হয়ে থাকবে উত্তর জেলা আওয়ামীলীগের এ ভোটাভুটির নেতৃত্ব।

    তিনি বলেন, দলীয় নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা সবসময় থাকবে সে দলীয় নেতৃত্বে প্রতিযোগীতার সমাপ্তিটাও যেন সুষ্ঠ সুশৃঙ্খলভাবে হয় সে বিষয়টা যেন সকলেই সকল পর্যায়ের নেতৃবৃন্দরা ধারণ করে। কারণ আমরা আমাদের পূর্বসুরিদের জীবনের দিকে যদি তাকাই তাদের জীবনেও দলীয় নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা ছিলো কিন্তু দলীয় সাংগঠনিক শক্তির প্রশ্নে দলের প্রয়োজনে তারা কখনো এমন কোন কিছু করেনি যেখানে দলের সাংগঠনিক শক্তি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে।

    নওফেল বলেন, যেকোন মূল্যে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশের রাষ্ট্র ক্ষমতায় রাখতে সকল পর্যায়ে সকল নির্বাচনে আমাদের সর্ব শক্তি দিয়ে সাংগঠনিক ঐক্য ধরে রাখবার চেষ্টা না করি তবে আজকে আমি আপনি আমাদের প্রতিযোগীতায় ভবিষ্যত প্রজন্ম ক্ষতিগ্রস্থ হতে পারে।

    বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ যদি বাংলাদেশের রাজনীতিতে, নির্বাচনী ক্ষমতায় ঐক্যের প্রমাণ দিয়ে বিজয় না আনতে পারে, যদি প্রমাণ করতে না পারে রাজনৈতিক ঐক্যের তবে অস্তিত্ব বিপন্ন হবে। আগামী যে কঠিন সময়গুলো আসছে, বাংলাদেশের অপরাজনৈতিক শক্তি গোপনে ঐক্যবদ্ধ হয়ে উন্নয়নের রাজনীতিকে, শেখ হাসিনার রাজনীতিকে, শেখ হাসিনার ভিশন বাস্তবায়নে ব্যাঘাত ঘটাতে গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।

    তাই সকলের কাছে আহবান জানিয়ে নওফেল বলেন, আমাদের নিজেদের প্রতিযোগীতার কারণে এ অপরাজনৈতিক শক্তি যাতে কোন ভাবেই সুযোগ নিতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে রাজনীতি করতে হবে। যদি আমরা ঐক্যবদ্ধ না হয়ে রাজনীতির প্রতিযোগীতায় মেতে থাকি তবে আওয়ামীলীগের রাজনীতি টেকশই হবে না।

    স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ সালাম, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান ও মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম।

    নগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শফিকুল ইসলাম ফারুকের সঞ্চালনায় প্রয়াত নেতা মহিউদ্দিন চৌধুরীর ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মরণ সভায় মঞ্চে উপস্তিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমেদ, সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, অ্যাডভোকেট সুনীল সরকার, সহ-সভাপতি ও সিডিএ চেয়ারম্যান জহিরুল আলম দোভাষ, বন্দর-পতেঙ্গা আসনের সংসদ সদস্য এমএ লতিফ, মহানগর আওয়ামী লীগের কোষাধ্যক্ষ ও সিডিএর সাবেক চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অ্যডভোকেট শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী।

    এছাড়াও চট্টগ্রাম নগর,উত্তর ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং তার বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা স্মরণ সভায় অংশগ্রহণ করেন।

  • বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে-নওফেল

    বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : বিএনপি এখন মিডিয়া ভিত্তিক দলে পরিণত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। তিনি বলেন, তাদের কাজ হলো সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করা।

    পল্টনে ক্যামেরার সামনে বসে রিজভী সাহেব মিডিয়ার সামনে দুটি কথা বলেন আর মির্জা ফখরুল আওয়ামী লীগ সম্পর্কে কটূক্তি করেন। তাদের দলীয় প্রধান এতিমের টাকা মেরে আজকে কারাগারে, আর তার কুপুত্র তারেক রহমান বিদেশে পলাতক। তাই বিএনপি গঠনমূলক রাজনীতি করার সকল নৈতিক শক্তি হারিয়েছে।

    শনিবার (৭ ডিসেম্বর) নগরীর লালদিঘি ময়দানে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    চট্টলবীর খ্যাত এবিএম মহিউদ্দীন চৌধুরীর ছেলে ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল আরো বলেন, বিএনপির কাণ্ডারী দুর্নীতির বরপুত্র তারেক রহমানকে এ দেশের মানুষ চায় না। দেশের মানুষ কুলাঙ্গার তারেক রহমানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে। তারেক রহমান দেশে আসার ধৃষ্টতা দেখালে চট্টগ্রামবাসীকে নিয়ে প্রতিহত করার ঘোষণা দেন শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল।

    এর আগে সকাল থেকে ত্রি-বার্ষিক এ সম্মেলনের প্রথম পর্বে অংশগ্রহণ করতে উত্তর চট্টগ্রামের উপজেলা, পৌরসভা, ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার নেতা-কর্মী নগরীর লালদিঘি ময়দানে এসে জড়ো হয়। সম্মেলনের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, সাবেক মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন।

    সম্মেলনের সভাপতিত্ব করেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও রেলপথ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সম্মেলনে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ, প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, পানিসম্পদ উপমন্ত্রী ও সাংগঠনিক সম্পাদক একেএম এনামুল হক শামীম, কেন্দ্রীয় উপ প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, উপ দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া।

    মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন, নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, সংসদ সদস্য দিদারুল আলম, মাহফুজুর রহমান মিতাসহ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সম্পাদকেরা।

    বিকেলে নগরীর কাজিড় দেউরিস্থ ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সেন্টারে অনুষ্ঠিত হবে সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্ব কাউন্সিলর অধিবেশন। এ পর্বে কেন্দ্রীয় নেতারা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি-সম্পাদকের নাম ঘোষণা করবেন।

  • বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    বাবু বেঁচে থাকলে বর্তমান রাজনীতির যে সংস্কৃতি তা দেখতে হত না-নওফেল

    ২৪ ঘন্টা চট্টগ্রাম ডেস্ক : শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পর দুঃসময়ে আস্থার সংকটে ভুগেছেন আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা। কিন্তু আস্থা হারাননি বর্ষীয়ান রাজনীতিবিদ, বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু।

    এমনকি পঁচাত্তর পরবর্তী যখন অনেক নেতাই ক্ষমতার উচ্ছিষ্টের লোভে পড়েছেন ঠিক তখনও তিনি দলের অস্থিত্ব রক্ষায় নিজের সর্বস্ব দিয়ে দলকে সাজিয়ে নিয়েছেন। স্বাধীনতার পর ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে এম.পি, ১৯৭৮ থেকে আমৃত্যু চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ২০১১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য হয়েও দলকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন।

    বুধবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে নগরের কে বি কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত প্রয়াত আওয়ামী লীগ নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ৭ম মৃত্যুবার্ষিকীর স্মরণসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

    স্মরণসভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী নওফেল আরো বলেন, বর্ষীয়ান এ রাজনীতিবিদের ত্যাগে আজ দল টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায়। তিনি অসময়ে চলে গেছেন। তিনি বেঁচে থাকলে তার প্রাজ্ঞ ও দূরদর্শী নেতৃত্ব আমাদের অনেক সংকট দুর হতো। আজকে শুধু নিজের দল ভারির যে রাজনীতি এবং যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি আজ আমরা দেখি তা দেখতে হত না।

    আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, ওয়ান ইলেভেনের পরে যখন আমার বাবা প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরী গ্রেফতার হয়ে কারাগারে ছিলেন, প্রথম পর্যায়ে আমি ও আমার ছোট ভাই তখন লন্ডনে ছিলাম। সেখানে আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোয়ারের নির্দেশে আমি বাবু চাচার বাসায় যায়।

    তিনিই তখন আমাকে অভয দিয়ে বলেছিলেন, এখন যে দুঃসময় দেখছো, এরচেয়ে কঠিন সময় আমরা পার করে এসেছি। এর চেয়েও কঠিন দুঃসময় বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার উপর দিয়ে গেছে। এগুলো কিছুই না। যারা ক্ষমতায় এসেছে, বসেছে, তারা বেশীদিন টিকতে পারবে না।

    নওফেল বলেন, সেদিন তাঁর কথায় আমি আশ্বস্থ হয়েছিলাম, সাহস পেয়েছিলাম। তিনি আমাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে বলেছিলেন, তোমরা এখানে আছো, তোমাদের কোনো আর্থিক সহযোগিতার প্রয়োজন হলে অবশ্যই আমাকে জানাবে। তাঁর নাম্বার আমাকে দিয়েছিলেন।

    দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদের সভাপতিত্বে আয়োজিত স্মরণসভা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ছিলেন, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

    সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, প্রয়াত নেতা আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর জ্যৈষ্ঠপুত্র, কর্ণফুলী আসনের সংসদ সদস্য ও ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম চৌধুরী ও আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী।

    এছাড়াও অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম প্রমুখ।

  • গডফাদারের নেত্রীত্ব চাই না, সন্ত্রাসমুক্ত আওয়ামীলীগ চাই

    গডফাদারের নেত্রীত্ব চাই না, সন্ত্রাসমুক্ত আওয়ামীলীগ চাই

    সরকারের চলমান মাদক, নিরাপদ খাদ্য ও দূর্নীতি বিরোধী অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভা আওয়ামীলীগ ও সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে শনিবার (১২ অক্টোবর) এক র‍্যালী ও পথসভা অনুষ্টিত হয়েছে।

    র‍্যালিটি পৌরসভার প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিন শেষে বিবিরহাট বাজারের দরগাহ সড়কে পৌরসভা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেনের সভাপতিত্বে পথসভা অনুষ্টিত হয়।

    পৌরসভা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনের সঞ্চালনায় পথ সভায় বক্তব্য রাখেন, পৌরসভা আওয়ামীলীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা মুহাম্মদ ইউসুফ।

    এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন, মো: আলী চৌধুরী, সরোয়ার উদ্দিন, সোলেমান কোম্পানী, মাষ্টার মুহাম্মদ হারুন, একে আজাদ বাবুল, মো:মঈনুল ইসলাম সাওকি, শাহেদুল আলম সাহেদ, উপজেলা ছাত্রলীগ সভাপতি জামাল উদ্দিন, সাধারণ সম্পাক রায়হান রুপু, পৌরসভা যুবলীগ সভাপতি গোলাফ মওলা গোলাপ, সাধারণ সম্পাদক মো:আজম, পৌরসভা ছাত্রলীগ সভাপতি এস এম আবু শোয়েব, সাধারণ সম্পাদক মো. আফাজ উদ্দিন তুহিন, সাজ্জাদ হোসেন, সাদেক আলী শুভ, সামশুল আলম, জহুরুল ইসলাম, আহমদ গণি, হেলাল উদ্দিন, হাফেজ শাহজান, হেলাল চৌধুরী, আহমদুল হক, মো. রফিক, গোলাম রব্বানী মিলন, অভিজিৎ পাল, আবুল খায়ের, জাগির হোসেন, মো: আলী, শফিউল আজম দুলাল, মো. তৌফিক, শাহাব উদ্দিন, দুলাল, মো. ইউনুস, মো. লোকমান, মো. বেলাল উদ্দিন, মো. জাহাঙ্গীর, মোস্তাফিজ, মো. সাইফু উদ্দিন, মো. জয়নাল, জনি, আরমান, রিপাত ও রাহুল সহ বিভিন্ন ওয়ার্ডের নেতৃবৃন্দ।

    পথসভায় পৌর মেয়র মুহাম্মদ ইসমাইল হোসেন বলেন, মানোনীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারাদেশে মাদক, সন্ত্রাস, নিরাপদ খাদ্য ও দূর্নীতির বিরোধী যে শুদ্ধি অভিযান চালাচ্ছে তা নিঃসন্দেহে সাহসী উদ্যোগ। এ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই।

    তিনি আরো বলেন, আমরা কোন গড ফাদারের নেত্রীত্ব চাই না। আমরা সন্ত্রাসমুক্ত আওয়ামীলীগ চাই।