Tag: রাজবাড়ী

  • রাজবাড়ীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ৭

    রাজবাড়ীতে ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ৬ জনসহ নিহত ৭

    রাজবাড়ীর কালুখালীতে ট্রাক, থ্রি-হুইলার ও প্রাইভেটকারের ত্রিমুখী সংঘর্ষে একই পরিবারের ছয়জনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। বুধবার (০১ জুন) সকাল ৯টার দিকে উপজেলার চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

    নিহতরা হলেন- পাংশা উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের মশিরন বিবি (৬০), মরিয়ম (৪০), ইউসুফ (৬), নয়ন (৯), শিলা (২০), মর্জিনা (৪০) এবং অটোরিকশার চালক মো. নাসির (৩৫)।

    প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, রাজবাড়ী থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী একটি ট্রাক ও পাংশা থেকে ছেড়ে আসা থ্রি- হুইলার কালুখালীর চাঁদপুর রেলগেট এলাকায় পৌঁছালো তাদের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় থ্রি-হুইলারের পেছনে থাকা প্রাইভেট কারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই তিনজন মারা যায়। আহত অবস্থায় চারজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানে তারা মারা যান। নিহতের মধ্যে ছয়জন একই পরিবারের সদস্য এবং একজন থ্রি হুইলারের চালক রয়েছেন।

    রাজবাড়ী ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক আব্দুর রহমান বলেন, সকাল ৯টার দিকে কালুখালী ফায়ার সার্ভিসের সামনে ত্রিমুখী সংঘর্ষ হয়। খবর পেয়ে আমরা উদ্ধার অভিযানে অংশ নিই। আমরা ঘটনাস্থল থেকে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করি। আহত অবস্থায় চারজনকে হাসপাতালে পাঠালে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তারা মারা যান।

    পাংশা হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) লিয়াকত আলী বলেন, এ ঘটনায় একই পরিবারের ৬জনসহ সাতজন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে তিনজনের মরদেহ পাংশা হাইওয়ে থানা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। এ ঘটনায় ট্রাকচালক ও তার সহযোগী পালিয়ে গেছেন।

  • রাঙামাটিতে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

    রাঙামাটিতে কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু

    পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে পূর্ণিমা চাকমা (১৯) নামে এক কলেজছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি সরকারি মহিলা কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর ছাত্রী ছিলেন।

    পুলিশ ও হাসপাতাল সূত্র জানায়, পূর্ণিমা চাকমা রাঙামাটি শহরের রাজবাড়ী এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া বাসায় থাকতেন। গতকাল শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে পূর্ণিমা চাকমাকে চেতনাহীন অবস্থায় রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান ভাড়া বাসার মালিকসহ দুই নারী। কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তবে, মৃত ঘোষণার পর হাসপাতালে নিয়ে আসা ব্যক্তিরা উধাও হয়ে যান।

    নাম প্রকাশ না করার শর্তে পূর্ণিমা চাকমার সহপাঠীরা জানিয়েছেন, মেয়েটির সঙ্গে ‘বড় কোনো অন্যায়’ করা হয়েছে। তিনি যে বাসায় ভাড়া থাকতেন, সে বাসার মালিককে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এবং তাঁর মোবাইল কল রেকর্ড চেক করলে প্রকৃত তথ্য বেরিয়ে আসতে পারে।

    রাঙামাটি জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক (আরএমও) শওকত আকবর বলেন, ‘কলেজছাত্রীর মৃতদেহ হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। মৃতদেহের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’

    রাঙামাটি কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কবির হোসেন বলেন, “মৃতের ঘটনা নিয়ে এখনও বিস্তারিত কিছু বলা যাচ্ছে না। সুরতহাল প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটিত হবে। তবে, ‘অস্বাভাবিক কিছু’ আছে বলে মনে হচ্ছে।”

    এন-কে

  • রাজবাড়ীতে চিকিৎসককে ধর্ষণের মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

    রাজবাড়ীতে চিকিৎসককে ধর্ষণের মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড

    রাজবাড়ীতে তরুণী চিকিৎসককে দলবেঁধে ধর্ষণের মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেওয়া হয়েছে।

    বুধবার রাজবাড়ীর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতের বিচারক শারমীন নিগার এ রায় ঘোষণা করেন।

    দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- রাজবাড়ী সদর উপজেলার মজলিসপুর গ্রামের মৃত আবুল মোল্লার ছেলে রানা মোল্লা, খানখানাপুর গ্রামের আরশাদ মোল্লার ছেলে মামুন মোল্লা ও মৃত মোন্নাফ সরদারের ছেলে হান্নান সরদার।

    মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেক আসামিকে এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অ্যাডভোকেট উমা সেন।

    মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৮ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি রাত সাড়ে সাতটার দিকে ঢাকা থেকে নিজ গ্রামের বাড়ি যাওয়ার জন্য ওই তরুণী বাসে রাজবাড়ী সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ে আসেন। সেখানে দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষা করার পর কোনো যানবাহন পাননি। ওই সময় আসামি রানা ও মামুন একটি অটোরিক্সা এনে কোথায় যাবেন জানতে চান। তরুণী গোপালগঞ্জ যাবেন জানালে তাকে ফরিদপুর পৌঁছে দিতে চান। তিনি রাজি হয়ে অটোরিক্সায় ওঠেন।

    বসন্তপুর নামক স্থানে যাওয়ার পর আরেক আসামি হান্নানকে তোলা হয়। এর কিছু দূর যাওয়ার পর একটি নির্জন স্থানে অটোরিক্সা থামিয়ে আসামিরা তাকে টেনেহিঁচড়ে অটৈারিক্সা থেকে নামিয়ে আনে। তরুণী চিৎকার করতে থাকলে আসামিরা মাফলার দিয়ে তার মুখ হাত বেঁধে ফেলে। এরপর তাকে একটি বাঁশবাগানে নিয়ে রাতভর ধর্ষণ করে আসামিরা। ওই সময় তিনি অনেক কাকুতি মিনতি করেও রেহাই পাননি। একপর্যায়ে তিনি জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন।

    পরদিন ২৪ ফেব্রুয়ারি ভোরে আসামিরা নির্যাতনের শিকার তরুণীকে রাস্তা দেখিয়ে দেয়। তিনি একটি বাসে উঠে ফরিদপুর র‌্যাব-৮ ক্যাম্পে গিয়ে অভিযোগ করেন। ওইদিনই র‌্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের সদস্যরা অভিযান চালিয়ে তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে। ধর্ষণের ঘটনায় তরুণী বাদী হয়ে রাজবাড়ী সদর থানায় তিনজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও তিন চারজনের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেন।

    মামলার দীর্ঘ তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আদালতে আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জশীট দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্য প্রমাণ ও কাগজপত্র পর্যালোচনা করে বুধবার এ রায় দেন। মামলার অন্য তিন আসামি আনিসুর রহমান, করিম মোল্লা ও কুটি মনিরকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুরের “রাজবাড়ী”

    কালের সাক্ষী হিসাবে দাঁড়িয়ে আছে হরিপুরের “রাজবাড়ী”

    গৌতম চন্দ্র বর্মন, ঠাকুরগাঁও : ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার রাজবাড়ীতে এক সময় রাজা ছিল, রাজ্য ও রাজা রক্ষায় ছিল সৈন্যবাহিনী। কিন্তু সেই প্রাসাদে আজ রাজা নেই, আর রাজবাড়ীটিও ধীরে ধীরে হারিয়ে যেতে বসেছে।

    উপজেলার স্থানীয় লোক জনের মাধ্যমে জানা যায়, এই প্রাসাদোপম অট্টালিকাটি নির্মিত হয় ১৮৯৩ সালে। নির্মাণ কাজ শুরু করেন ঘনশ্যাম কুন্ডুর বংশধর রাঘবেন্দ্র রায় চৌধুরী। আর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করেন তারই ছেলে জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী।

    মুসলিম শাসন আমলে ঘনশ্যাম কুন্ডু নামে একজন ব্যবসায়ী এন্ডি কাপড়ের ব্যবসা করতে হরিপুরে আসেন। তখন মেহেরুন্নেসা নামে এক বিধবা মুসলিম মহিলা এই অঞ্চলের জমিদার ছিলেন। তার বাড়ি মেদিনীসাগর গ্রামে। জমিদারির খাজনা দিতে হতো তাজপুর পরগনার ফৌজদারের নিকট। খাজনা অনাদায়ের কারণে মেহেরুন্নেসার জমিদারির কিছু অংশ নিলাম হয়ে গেলে ঘনশ্যাম কুন্ডু কিনেন। ঘনশ্যামের পরবর্তী বংশধরদের একজন রাঘবেন্দ্র রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে বৃটিশ আমলে হরিপুর রাজবাড়ির কাজ শুরু করেন। কিন্তু তার সময়ে রাজবাড়ির কাজ শেষ হয়নি। রাঘবেন্দ্র রায়ের ছেলে জগেন্দ্র নারায়ণ রায় ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিকে রাজবাড়ির নির্মাণ কাজ শেষ করেন। জগেন্দ্র নারায়ণ রায়ের শেষ করা রাজবাড়ির দোতলা ভবনে লতাপাতার নকশা এবং পূর্ব দেয়ালের শীর্ষে রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণের চৌদ্দটি আবক্ষ মূর্তি আছে।

    এক শতাব্দীরও বেশি পুরোনো এই অট্টালিকাটির দৃষ্টিনন্দন কারুকাজের বিলুপ্তপ্রায় নিদর্শনগুলো প্রাচীনত্বের বিবেচনায় খুব মূল্যবান নয়। তদুপরি এ অঞ্চলের একটি আকর্ষণীয় স্থাপত্য কীর্তি হিসেবে এখনো মানুষকে কাছে টানে।

    জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরী বৃটিশ সরকার কর্তৃক রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত হয়েছিলেন। সে সময়ে বৃটিশ সরকার তাদের স্বার্থ রক্ষার জন্যই সামন্ত প্রভুদের বিভিন্ন উপাধিতে ভূষিত করে খুশি করত। জগেন্দ্র নারায়ণ রায় চৌধুরীকে এই একই উদ্দেশে রাজর্ষি উপাধিতে ভূষিত করেছিল।

    যতটুকু জানা যায়, তা হচ্ছে এই উপাধি প্রদানের ক্ষেত্রে সম্ভবত আরো একটি বিষয় কাজ করেছিলো। আর সেটি হচ্ছে তার বিদ্যানুরাগ ও শিল্প সংস্কৃতি চর্চার ব্যাপারে আগ্রহ। রাজর্ষি জগেন্দ্র নারায়ণ যেমন আকর্ষণীয় স্থাপত্য শৈলীর প্রাসাদ নির্মাণ করেছিলেন তেমনি তিনি গড়ে তুলেছিলেন একটি সমৃদ্ধ গ্রন্থাগারও। শিক্ষা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে রাজর্ষির এই অনুরাগ শুধু তার ব্যক্তিগত সমৃদ্ধির পরিচয় বহন করে তা নয়। গোটা হরিপুরবাসীর মানসিক ঐশ্বর্যের উজ্জ্বল দিকটিকেও তুলে ধরে।

    শিক্ষা ও সংস্কৃতি চর্চার এই ধারায় যে আলোকিত জীবনের আকাঙ্খা সেদিন মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে গিয়েছিলো তা আজো অনেকটাই বহমান রয়েছে এই হরিপুরে।

    ভবনটির পূর্বপাশে একটি শিব মন্দির এবং মন্দিরের সামনে নাট মন্দির রয়েছে। রাজবাড়িতে ছিল একটি বড় পাঠাগার যার অস্তিত্ব এখন নেই। রাজবাড়িটির যে সিংহদরজা ছিল তাও নিশ্চিহ্ন হয়েছে। ১৯০০ সালের দিকে ঘনশ্যামের বংশধররা বিভক্ত হলে হরিপুর রাজবাড়িও দু’টি অংশে বিভক্ত হয়ে যায়। রাঘবেন্দ্র ও জগেন্দ্র নারায়ণ রায় কর্তৃক নির্মিত রাজবাড়িটি বড় তরফের রাজবাড়ি নামে পরিচিত। এই রাজবাড়ির পশ্চিম দিকে নগেন্দ্র বিহারী রায় চৌধুরী ও গিরিজা বল্লভ রায় চৌধুরী ১৯০৩ সালে আরেকটি রাজবাড়ি নির্মাণ করেন যার নাম ছোট তরফ।

    এই রাজবাড়ীর সংস্কার খুব জরুরি সে কথা জানালেন আশিতে পা রাখা স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুল হক। তিনি বলেন, প্রতিদিনই দূর-দূরান্ত থেকে মানুষ আসে বাড়িটি দেখতে। যদি সংস্কার করা যায় তাহলে হয়তো এটা দর্শনার্থীদের জন্য একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে তোলা যাবে। আর সংস্কার ছাড়া এভাবেই থাকলে একদিন বিলুপ্ত হয়ে যাবে।

    রাজবাড়ী সংস্কার করা সম্পর্কে হরিপুর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা এম. জে. আরিফ বেগ  বলেন, প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ থেকে বাড়িটি পরিদর্শ করা হয়েছে। স্থানীয়ভাবে পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখার চেষ্টা করা হয়। যদি সরকারিভাবে অনুদান পাওয়া যায় তাহলে খুব দ্রুত এর সংস্কার কাজ শুরু করা সম্ভব হবে। প্রশাসনও চেষ্টা করছে ঐতিহ্যকে ধরে রাখার।

    হরিপুর উপজেলার সর্বস্তরের লোকজনও চায় রাজবাড়ীটি সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ করা হোক। এই জন্য স্থানীয়রা সরকারের সাহায্যের অপেক্ষায় রয়েছে।

    বিলুপ্তপ্রায় এ রাজবাড়িটি হরিপুর উপজেলার কেন্দ্রস্থলে
    আজো কালের সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

    ২৪ ঘণ্টা/এম আর

  • রাজবাড়ীতে বাস-মাহেন্দ্র সংঘর্ষে নিহত ৫

    রাজবাড়ীতে বাস-মাহেন্দ্র সংঘর্ষে নিহত ৫

    রাজবাড়ি সদর উপজেলার খানখানাপু ছোট ব্রিজ এলাকায় যাত্রীবাহি বাস এবং মাহেন্দ্র সংঘর্ষে ৫ জন নিহত এবং দুজন আহত হয়েছেন।

    রোববার দুপুরে খানখানাপুরে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

    দুর্ঘটনায় আরও কয়েকজন আহত হয়েছেন। দুর্ঘটনায় নিহত এবং আহতদের নাম-পরিচয় এখন জানা যায়নি।

    সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড় হাইওয়ে থানার পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ জানান, দৌলতদিয়া থেকে ছেড়ে আসা একটি মাহেন্দ্র সদর উপজেলার গোয়ালন্দ মোড়ের দিকে যাবার সময় বেনাপোল থেকে ছেড়ে আসা ঢাকাগামী গ্রিনলাইন পরিবহনের একটি বাস সদর উপজেলার খানখানাপুর ছোট ব্রিজ এলাকায় পৌঁছালে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে দুজন নারী ও তিনজন পুরুষ নিহত এবং আর দুই যাত্রী আহত হয়।

    প্রাথমিকভাবে হতাহতদের পরিচয় জানা যায়নি। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে।

  • রাজবাড়ীতে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

    রাজবাড়ীতে ২ বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত ৫

    রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার দুর্গাপুর এলাকায় আজ বুধবার বিকেলে দুটি বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন পাঁচজন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরো ৩০ জন।

    এদের মধ্যে থেকে গুরুতর আহত অবস্থায় নয়জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে। বাকিরা রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

    নিহতদের মধ্যে দুজনের পরিচয় পাওয়া গেছে। এরা হলেন- পাংশা উপজেলার বাহাদুরপুরের মিজানুর রহমান এবং কুমারখালী উপজেলার ফরমান মণ্ডল। বাকি তিনজনের নাম-পরিচয় তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায়নি।

    ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্স রাজবাড়ীর উপ-সহকারী পরিচালক শওকত আলী জোয়ার্দ্দার জানান, ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা কুষ্টিয়াগামী লালন পরিবহন রাজবাড়ীর দুর্গাপুর এলাকার আসলে বিপরীত দিক থেকে আসা আরিফ এক্সক্লুসীভ নামের অপর একটি বাসের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলে দুইজন, রাজবাড়ী সদর হাসপাতালে দুইজন ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।

    আহতদের রাজবাড়ী ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

    রাজবাড়ীর সিভিল সার্জন ডা: মাহফুজার রহমান জানান, গুরুতর অবস্থা ১০ জনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে এখনো রাজবাড়ী হাসপাতালে ১৫ জন ভর্তি আছে।

    তিনি আরো বলেন, যাদের ফরিদপুর পাঠানো হয়েছে তাদের অবস্থা আশংকাজনক। মৃত্যর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে।

  • পদ্মায় জেলের জালে ১৫ কেজির বোয়াল

    পদ্মায় জেলের জালে ১৫ কেজির বোয়াল

    পদ্মায় জেলেদের জালে ১৫ কেজি ওজনের একটি বোয়াল মাছ ধরে পড়েছে।

    সোমবার (২৫ নভেম্বর) ভোরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলায় স্থানীয় জেলে বাসুদেব হালদারের জালে মাছটি ধরা পড়ে।

    মাছটি ১৭০০ টাকা কেজি দরে কিনে নেন স্থানীয় ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা।

    ব্যবসায়ী চান্দু মোল্লা জানান, রাজধানীতে মাছটি বিক্রির জন্য প্যাকেট করার প্রক্রিয়া চলছে।

  • মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা: আহত আরোহীর জুতায় মিলল স্বর্ণের বার

    মোটরসাইকেল দুর্ঘটনা: আহত আরোহীর জুতায় মিলল স্বর্ণের বার

    রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়ার সাইনবোর্ড এলাকায় দৌলতদিয়া-খুলনা মহাসড়কে দুর্ঘটনাকবলিত এক মোটরসাইকেল আরোহীর জুতার ভেতর থেকে ১৮ পিস স্বর্ণের বার উদ্ধার করেছে পুলিশ।

    রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সোয়া ১০টার দিকে গোয়ালন্দ ঘাট থানার পুলিশ স্বর্ণের বারগুলো উদ্ধার করে। এ ঘটনায় বিপ্লব হোসেন (২৫) নামে এক যুবককে পুলিশি হেফাজতে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

    বিপ্লব মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার গোবিন্দল গ্রামের ফরহাদ হোসেনের ছেলে।

    মোটরসাইকেল চালক দেওয়ান ইসমাইল জানান, কুষ্টিয়াতে বিএডিসির চাকরিতে যোগদানের জন্য যাচ্ছিলেন তিনি। তার সঙ্গে এলাকার ফরহাদের ছেলে বিল্পব নামের এক যুবক ছিলো। বিপ্লবের জুতার ভিতরে যে স্বর্ণের বার পাওয়া গেছে এগুলো তার না এবং তিনি জানেনও না।

    রাজবাড়ীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদরদপ্তর) মো. ফজলুল করিম জানান, বিপ্লব ঢাকা থেকে মোটরসাইকেল নিয়ে যশোরের দিকে যাচ্ছিলেন। পথে দৌলতদিয়াঘাট এলাকায় এলে বিপরীত দিক থেকে আসা অপর একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

    এ সময় তার জুতা খুলে গেলে তাতে স্বর্ণের বার দেখতে পেয়ে স্থানীয়রা থানায় খবর দেন।

    পরে পুলিশ গিয়ে ১৮টি স্বর্ণের বার ও তাকে উদ্ধার করে। আহতাবস্থায় তিনি পুলিশি হেফাজতে গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসাধীন।

    উদ্ধারকৃত একেকটি স্বর্ণের বারের ১০ তোলা করে ওজন। ধারণা করা হচ্ছে, বারগুলো চোরাচালানের উদ্দেশ্যে নেয়া হয়েছিল।

    তবে বিপ্লব হোসেনের দাবি, উদ্ধারকৃত স্বর্ণের বারগুলোর বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। যদি তিনি বৈধতা প্রমাণ করতে পারেন, তা হলে তাকে ছেড়ে দেয়া হবে। আর যদি না পারেন, তা হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।